ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এই উদ্যোগ বর্তমান সরকারই কার্যকর করতে চায়। সেই লক্ষ্যে কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ধাপে ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন করছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্থগিত থাকা ভর্তি কার্যক্রম শেষ করাই এখন তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। চলতি মাসের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বাকি কাজও চলমান থাকবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে অবশিষ্ট কাজগুলোও শেষ করা হবে। কমিটির কাজ সম্পন্ন হলে এই সরকারের আমলেই যাত্রা শুরু করতে পারে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি)।
সাত কলেজ-সংক্রান্ত বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজের নেতৃত্বে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে, তাদের চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদ ২৯ এপ্রিল শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আরও শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যাতে নির্ভুলভাবে অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পর সরকার এই কলেজগুলো পরিচালনায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘সাত কলেজের বিষয়টি জটিল হলেও এর একটি ন্যায্য সমাধানের জন্য শুরু থেকেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কলেজগুলোর সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত একটি আইনানুগ অন্তর্বর্তী প্রশাসন ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই প্রশাসনের অধীনেই সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও আইন তৈরির জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। প্রয়োজনে কমিটির কাজে আরও বিশেষজ্ঞ পরামর্শক যুক্ত করা যেতে পারে এবং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিতেও কোনো অসুবিধা নেই। এ কাজ শেষ হলে বর্তমান সরকারের আমলেই একটি অধ্যাদেশ জারি করা সম্ভব হবে। অধ্যাদেশ জারি হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। আমার ধারণা, পরবর্তী সরকারও এটি অনুমোদন করবে।’
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, চার মাসের মধ্যে ইউজিসির কমিটি কাজ শেষ করতে না পারায় তাঁরা হতাশ। তাই গত ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সরকারকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করতে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন, যা শেষ হয়েছে সোমবার (১৬ জুন)। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো অধ্যাদেশসংক্রান্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। গত ২৯ এপ্রিল এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শিক্ষার্থীরা সহায়তা করে আসছে। কিন্তু আমরা কর্তৃপক্ষের কাজে গড়িমসি লক্ষ করছি। ইউজিসিকে চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা এক-দুই মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। এখন আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম ও লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মডেল খসড়াও তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এই খসড়ায় মতামত দেবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ও এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে পৃথক করার উদ্দেশ্য শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও এই কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোর মানেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
সাত কলেজের দায়িত্ব নিয়েই নতুন প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরির তাগিদ দিয়েছেন। অধ্যাপক ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজের এখন দুটি প্রধান কাজ রয়েছে। একটি হলো বিদ্যমান কাঠামোকে কার্যকরভাবে চালিয়ে যাওয়া, অন্যটি হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আইনগত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। দুটি কাজই সমন্বিতভাবে করতে হবে, যাতে একটির জন্য অন্যটি বাধাগ্রস্ত না হয়।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘নতুন প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনি কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার বসবো এবং আলোচনা করব।’
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এই উদ্যোগ বর্তমান সরকারই কার্যকর করতে চায়। সেই লক্ষ্যে কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ধাপে ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন করছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্থগিত থাকা ভর্তি কার্যক্রম শেষ করাই এখন তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। চলতি মাসের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বাকি কাজও চলমান থাকবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে অবশিষ্ট কাজগুলোও শেষ করা হবে। কমিটির কাজ সম্পন্ন হলে এই সরকারের আমলেই যাত্রা শুরু করতে পারে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি)।
সাত কলেজ-সংক্রান্ত বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজের নেতৃত্বে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে, তাদের চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদ ২৯ এপ্রিল শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আরও শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যাতে নির্ভুলভাবে অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পর সরকার এই কলেজগুলো পরিচালনায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘সাত কলেজের বিষয়টি জটিল হলেও এর একটি ন্যায্য সমাধানের জন্য শুরু থেকেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কলেজগুলোর সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত একটি আইনানুগ অন্তর্বর্তী প্রশাসন ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই প্রশাসনের অধীনেই সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও আইন তৈরির জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। প্রয়োজনে কমিটির কাজে আরও বিশেষজ্ঞ পরামর্শক যুক্ত করা যেতে পারে এবং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিতেও কোনো অসুবিধা নেই। এ কাজ শেষ হলে বর্তমান সরকারের আমলেই একটি অধ্যাদেশ জারি করা সম্ভব হবে। অধ্যাদেশ জারি হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। আমার ধারণা, পরবর্তী সরকারও এটি অনুমোদন করবে।’
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, চার মাসের মধ্যে ইউজিসির কমিটি কাজ শেষ করতে না পারায় তাঁরা হতাশ। তাই গত ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সরকারকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করতে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন, যা শেষ হয়েছে সোমবার (১৬ জুন)। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো অধ্যাদেশসংক্রান্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। গত ২৯ এপ্রিল এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শিক্ষার্থীরা সহায়তা করে আসছে। কিন্তু আমরা কর্তৃপক্ষের কাজে গড়িমসি লক্ষ করছি। ইউজিসিকে চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা এক-দুই মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। এখন আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম ও লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মডেল খসড়াও তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এই খসড়ায় মতামত দেবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ও এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে পৃথক করার উদ্দেশ্য শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও এই কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোর মানেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
সাত কলেজের দায়িত্ব নিয়েই নতুন প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরির তাগিদ দিয়েছেন। অধ্যাপক ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজের এখন দুটি প্রধান কাজ রয়েছে। একটি হলো বিদ্যমান কাঠামোকে কার্যকরভাবে চালিয়ে যাওয়া, অন্যটি হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আইনগত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। দুটি কাজই সমন্বিতভাবে করতে হবে, যাতে একটির জন্য অন্যটি বাধাগ্রস্ত না হয়।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘নতুন প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনি কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার বসবো এবং আলোচনা করব।’
আরও খবর পড়ুন:
ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এই উদ্যোগ বর্তমান সরকারই কার্যকর করতে চায়। সেই লক্ষ্যে কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ধাপে ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন করছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্থগিত থাকা ভর্তি কার্যক্রম শেষ করাই এখন তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। চলতি মাসের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বাকি কাজও চলমান থাকবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে অবশিষ্ট কাজগুলোও শেষ করা হবে। কমিটির কাজ সম্পন্ন হলে এই সরকারের আমলেই যাত্রা শুরু করতে পারে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি)।
সাত কলেজ-সংক্রান্ত বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজের নেতৃত্বে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে, তাদের চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদ ২৯ এপ্রিল শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আরও শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যাতে নির্ভুলভাবে অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পর সরকার এই কলেজগুলো পরিচালনায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘সাত কলেজের বিষয়টি জটিল হলেও এর একটি ন্যায্য সমাধানের জন্য শুরু থেকেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কলেজগুলোর সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত একটি আইনানুগ অন্তর্বর্তী প্রশাসন ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই প্রশাসনের অধীনেই সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও আইন তৈরির জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। প্রয়োজনে কমিটির কাজে আরও বিশেষজ্ঞ পরামর্শক যুক্ত করা যেতে পারে এবং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিতেও কোনো অসুবিধা নেই। এ কাজ শেষ হলে বর্তমান সরকারের আমলেই একটি অধ্যাদেশ জারি করা সম্ভব হবে। অধ্যাদেশ জারি হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। আমার ধারণা, পরবর্তী সরকারও এটি অনুমোদন করবে।’
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, চার মাসের মধ্যে ইউজিসির কমিটি কাজ শেষ করতে না পারায় তাঁরা হতাশ। তাই গত ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সরকারকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করতে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন, যা শেষ হয়েছে সোমবার (১৬ জুন)। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো অধ্যাদেশসংক্রান্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। গত ২৯ এপ্রিল এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শিক্ষার্থীরা সহায়তা করে আসছে। কিন্তু আমরা কর্তৃপক্ষের কাজে গড়িমসি লক্ষ করছি। ইউজিসিকে চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা এক-দুই মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। এখন আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম ও লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মডেল খসড়াও তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এই খসড়ায় মতামত দেবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ও এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে পৃথক করার উদ্দেশ্য শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও এই কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোর মানেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
সাত কলেজের দায়িত্ব নিয়েই নতুন প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরির তাগিদ দিয়েছেন। অধ্যাপক ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজের এখন দুটি প্রধান কাজ রয়েছে। একটি হলো বিদ্যমান কাঠামোকে কার্যকরভাবে চালিয়ে যাওয়া, অন্যটি হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আইনগত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। দুটি কাজই সমন্বিতভাবে করতে হবে, যাতে একটির জন্য অন্যটি বাধাগ্রস্ত না হয়।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘নতুন প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনি কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার বসবো এবং আলোচনা করব।’
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এই উদ্যোগ বর্তমান সরকারই কার্যকর করতে চায়। সেই লক্ষ্যে কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ধাপে ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন করছেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্থগিত থাকা ভর্তি কার্যক্রম শেষ করাই এখন তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। চলতি মাসের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বাকি কাজও চলমান থাকবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে অবশিষ্ট কাজগুলোও শেষ করা হবে। কমিটির কাজ সম্পন্ন হলে এই সরকারের আমলেই যাত্রা শুরু করতে পারে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি)।
সাত কলেজ-সংক্রান্ত বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজের নেতৃত্বে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে, তাদের চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদ ২৯ এপ্রিল শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আরও শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যাতে নির্ভুলভাবে অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পর সরকার এই কলেজগুলো পরিচালনায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘সাত কলেজের বিষয়টি জটিল হলেও এর একটি ন্যায্য সমাধানের জন্য শুরু থেকেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কলেজগুলোর সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত একটি আইনানুগ অন্তর্বর্তী প্রশাসন ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই প্রশাসনের অধীনেই সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও আইন তৈরির জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। প্রয়োজনে কমিটির কাজে আরও বিশেষজ্ঞ পরামর্শক যুক্ত করা যেতে পারে এবং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিতেও কোনো অসুবিধা নেই। এ কাজ শেষ হলে বর্তমান সরকারের আমলেই একটি অধ্যাদেশ জারি করা সম্ভব হবে। অধ্যাদেশ জারি হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। আমার ধারণা, পরবর্তী সরকারও এটি অনুমোদন করবে।’
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, চার মাসের মধ্যে ইউজিসির কমিটি কাজ শেষ করতে না পারায় তাঁরা হতাশ। তাই গত ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সরকারকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করতে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন, যা শেষ হয়েছে সোমবার (১৬ জুন)। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো অধ্যাদেশসংক্রান্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। গত ২৯ এপ্রিল এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শিক্ষার্থীরা সহায়তা করে আসছে। কিন্তু আমরা কর্তৃপক্ষের কাজে গড়িমসি লক্ষ করছি। ইউজিসিকে চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা এক-দুই মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। এখন আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম ও লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মডেল খসড়াও তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এই খসড়ায় মতামত দেবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।
রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ও এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।
অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে পৃথক করার উদ্দেশ্য শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও এই কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোর মানেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
সাত কলেজের দায়িত্ব নিয়েই নতুন প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরির তাগিদ দিয়েছেন। অধ্যাপক ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজের এখন দুটি প্রধান কাজ রয়েছে। একটি হলো বিদ্যমান কাঠামোকে কার্যকরভাবে চালিয়ে যাওয়া, অন্যটি হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আইনগত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। দুটি কাজই সমন্বিতভাবে করতে হবে, যাতে একটির জন্য অন্যটি বাধাগ্রস্ত না হয়।’
ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘নতুন প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনি কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার বসবো এবং আলোচনা করব।’
আরও খবর পড়ুন:

এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান মাপকাঠি আইইএলটিএস পরীক্ষার পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আসছে। এত দিন এই পরীক্ষা কাগজভিত্তিক (পেপার বেসড) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হতো, যেখানে পরীক্ষার্থীরা কাগজে উত্তর লিখে জমা দিতেন।
তবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির পর এই পদ্ধতি আর থাকছে না। এর পর থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে নেওয়া হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের (বাংলাদেশ) ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এ উদ্যোগ বর্তমান
১৭ জুন ২০২৫
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, তানজিল কাজী এবং সানজিদা জান্নাত পিংকি।
তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এলিন খান বলেন, ‘এ বিজয় অর্জিত হয়েছে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ ত্যাগ, সাহস এবং একাত্মতার মাধ্যমে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। যুবসমাজকে সাহসী, দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যেন আমরা একটি শক্তিশালী, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’
তানজিল কাজী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে একটি জাতি কীভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। বিজয়ের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন এই অগ্রগতি হবে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।’

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘অনেক অপেক্ষা, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমাদের এসব প্রতিষ্ঠার লড়াই চালু রাখতে হবে।’
বিভিন্ন শাখার বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান, তাহমিদ হাসান, সফিক খান, আবিদ আনজুম ত্রিদিব, আফরা রুমালী সুপ্তি, জান্নাতুল লামিশা, হামিম মন্ডল, শরিফুল ইসলাম রিফাত, শিহাব আহসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বন্ধুরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
বিজয়ের এই মহান দিনে আজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধু জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানো হয়। পাঠকবন্ধুর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক খানের নেতৃত্বে বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা এতে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন সমন্বিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তাহমিদ আল মাহাবুব খান এলিন, তানজিল কাজী এবং সানজিদা জান্নাত পিংকি।
তরুণ প্রজন্মের দায়িত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে এলিন খান বলেন, ‘এ বিজয় অর্জিত হয়েছে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অশেষ ত্যাগ, সাহস এবং একাত্মতার মাধ্যমে। আমাদের দায়িত্ব হলো এই অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করা এবং দেশের উন্নয়নের জন্য নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। যুবসমাজকে সাহসী, দায়িত্ববান এবং ন্যায়পরায়ণ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে, যেন আমরা একটি শক্তিশালী, মানবিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’
তানজিল কাজী বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হলে একটি জাতি কীভাবে অসম্ভবকেও সম্ভব করে তুলতে পারে। বিজয়ের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়। আজ বাংলাদেশ অর্থনীতি, শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবে বিজয়ের প্রকৃত মর্যাদা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে, যখন এই অগ্রগতি হবে ন্যায়, সাম্য ও মানবিকতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।’

সানজিদা জান্নাত পিংকি বলেন, ‘অনেক অপেক্ষা, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি। আমাদের এসব প্রতিষ্ঠার লড়াই চালু রাখতে হবে।’
বিভিন্ন শাখার বন্ধুদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ হাসান, তাহমিদ হাসান, সফিক খান, আবিদ আনজুম ত্রিদিব, আফরা রুমালী সুপ্তি, জান্নাতুল লামিশা, হামিম মন্ডল, শরিফুল ইসলাম রিফাত, শিহাব আহসান প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বন্ধুরা একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এ উদ্যোগ বর্তমান
১৭ জুন ২০২৫
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।
অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এ উদ্যোগ বর্তমান
১৭ জুন ২০২৫
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
৩ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।
[গতকালের পর]
ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)
১. Synonyms & Antonyms:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।
২. Spelling Correction:
Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।
৩. Idioms & Phrases:
পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।
ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)
যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।
জনপ্রিয় লেখক:
William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।
প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা
প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।
ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এ উদ্যোগ বর্তমান
১৭ জুন ২০২৫
এতে বলা হয়, ২০২৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইইএলটিএস পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিবর্তনের ফলে পরীক্ষার ধরন, প্রশ্ন ও স্কোরিং পদ্ধতি আগের মতো অপরিবর্তিত রেখে পরীক্ষার্থীরা আরও দ্রুত ও আধুনিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় দিন ‘মহান বিজয় দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ এবং লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল স্বাধীনতা। আনন্দ, গৌরব ও শহীদদের স্মরণে প্রতিবছরের মতো এবারও উদ্যাপিত হলো ৫৫তম মহান বিজয় দিবস।
১ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে