Ajker Patrika

সাত কলেজ /মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

ইলিয়াস শান্ত, ঢাকা
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৫, ১৬: ০৪
মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড এস এম এ ফায়েজের নেতৃত্বাধীন উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নেওয়া এই উদ্যোগ বর্তমান সরকারই কার্যকর করতে চায়। সেই লক্ষ্যে কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা ধাপে ধাপে কাজগুলো সম্পন্ন করছেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্থগিত থাকা ভর্তি কার্যক্রম শেষ করাই এখন তাদের প্রথম অগ্রাধিকার। চলতি মাসের মধ্যেই এই কার্যক্রম শুরু হবে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বাকি কাজও চলমান থাকবে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে অবশিষ্ট কাজগুলোও শেষ করা হবে। কমিটির কাজ সম্পন্ন হলে এই সরকারের আমলেই যাত্রা শুরু করতে পারে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকেবি)।

সাত কলেজ-সংক্রান্ত বিষয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজের নেতৃত্বে যে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে, তাদের চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মেয়াদ ২৯ এপ্রিল শেষ হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধি এবং আরও শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যাতে নির্ভুলভাবে অবশিষ্ট কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের পর সরকার এই কলেজগুলো পরিচালনায় ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াসকে অন্তর্বর্তী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘সাত কলেজের বিষয়টি জটিল হলেও এর একটি ন্যায্য সমাধানের জন্য শুরু থেকেই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কলেজগুলোর সমন্বয়ে একটি পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত একটি আইনানুগ অন্তর্বর্তী প্রশাসন ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে সেই প্রশাসনের অধীনেই সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাত কলেজের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো ও আইন তৈরির জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে। প্রয়োজনে কমিটির কাজে আরও বিশেষজ্ঞ পরামর্শক যুক্ত করা যেতে পারে এবং কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধিতেও কোনো অসুবিধা নেই। এ কাজ শেষ হলে বর্তমান সরকারের আমলেই একটি অধ্যাদেশ জারি করা সম্ভব হবে। অধ্যাদেশ জারি হলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। আমার ধারণা, পরবর্তী সরকারও এটি অনুমোদন করবে।’

সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, চার মাসের মধ্যে ইউজিসির কমিটি কাজ শেষ করতে না পারায় তাঁরা হতাশ। তাই গত ১৭ মে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সরকারকে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি করতে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন, যা শেষ হয়েছে সোমবার (১৬ জুন)। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো অধ্যাদেশসংক্রান্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা আবার মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজকে সভাপতি করে চার সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তার। গত ২৯ এপ্রিল এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এখনো শেষ হয়নি।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. নাঈম হাওলাদার বলেন, ‘শুরু থেকেই সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শিক্ষার্থীরা সহায়তা করে আসছে। কিন্তু আমরা কর্তৃপক্ষের কাজে গড়িমসি লক্ষ করছি। ইউজিসিকে চার মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল, যা এক-দুই মাস আগে শেষ হয়ে গেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম, কিন্তু তা আমলে নেওয়া হয়নি। এখন আমরা আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের বিষয়টি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে। কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। ইউজিসির পক্ষ থেকে আগেই প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাম ও লোগো নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি মডেল খসড়াও তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এই খসড়ায় মতামত দেবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে এটি চূড়ান্ত হবে।

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এই কলেজগুলোতে বর্তমানে প্রায় ২ লাখ শিক্ষার্থী ও এক হাজারের বেশি শিক্ষক রয়েছেন।

অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলেজগুলোকে পৃথক করার উদ্দেশ্য শুধু প্রশাসনিক নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং কলেজগুলোর স্বতন্ত্র সত্ত্বা বজায় রেখে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাও এই কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ উদ্যোগ সফল হলে দেশের অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোর মানেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

সাত কলেজের দায়িত্ব নিয়েই নতুন প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন তৈরির তাগিদ দিয়েছেন। অধ্যাপক ইলিয়াস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাত কলেজের এখন দুটি প্রধান কাজ রয়েছে। একটি হলো বিদ্যমান কাঠামোকে কার্যকরভাবে চালিয়ে যাওয়া, অন্যটি হলো নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আইনগত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। দুটি কাজই সমন্বিতভাবে করতে হবে, যাতে একটির জন্য অন্যটি বাধাগ্রস্ত না হয়।’

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফায়েজ বলেন, ‘নতুন প্রশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইনি কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবার বসবো এবং আলোচনা করব।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় প্রার্থীরা

সোহানুর রহমান, জবি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।

ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’

ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’

ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

জবি প্রতিনিধি 
‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।

‎‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।

‎‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।

‎‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷

‎মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।

‎পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।

‎বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।

‎এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান।

অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস পর্বের সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস একটি প্রাণবন্ত গেমিং অঙ্গনে রূপ নেয়। অনলাইন বাছাইপর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে লড়ে। চার ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ‘ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এই বিভাগে ‘লোয়ার-ব্র্যাকেট’ থেকে উঠে এসে গ্র্যান্ড ফাইনালে ‘ন্যাক্সার ই-স্পোর্টস’কে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ‘অলস্টারস’ দল।

‘মোবাইল লিজেন্ডস ব্যাং ব্যাং’ (MLBB) বিভাগে ‘ভাইপার স্ট্রাইকার্স’, ‘এফসি ২৫’ বিভাগে নিও এবং ‘ই-ফুটবল’ একক বিভাগে শাওন শান্ত ও দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এছাড়া এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, ই-স্পোর্টস ক্লাব ও পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনজনকে সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

বক্তারা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা এই আয়োজনের পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও ব্যাপক প্রসারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এবারের আয়োজনে ইকুইপমেন্ট স্পন্সর ছিল কিয়ানস কালেক্টিবলস, টেক স্পন্সর এমএসআই এবং বেসিক স্পন্সর হিসেবে ছিল সিটি ব্যাংক। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার হিসেবে ছিল লিঙ্ক থ্রি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল ডেইলি সান, দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি নিউজ এবং ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল কিশোর আলো।

উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খানসহ অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. রইছ ও সম্পাদক ড. ইমরানুল

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৫
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।

‎সকল পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

‎ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সহসভাপতি পদে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খাঁন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকা ডেইজী, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারেক মুহাম্মদ শামসুল আরেফীন এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।

‎নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমদ ইহসানুল কবীর, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়শা জাহান এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক বিন আতিক।

‎নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড. ইমরানুল হক বলেন, এককভাবে নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আগামী বছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত