শাহ বিলিয়া জুলফিকার

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য পারিবারিক আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পারিবারিক আইন অংশে যে শিক্ষার্থী যতটা প্রস্তুত, তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ জন্য দরকার পরিকল্পিত, গোছানো ও স্মার্ট প্রস্তুতি। একজন শিক্ষার্থী পারিবারিক আইন অংশে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন, নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সে পরামর্শ দিয়েছেন ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. মেহেদী হাসান।
সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ‘লিখিত পরীক্ষা’
বিজেএসে ‘পারিবারিক সম্পর্কবিষয়ক আইন’ অংশে ভালো করতে হলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার বিকল্প নেই। সহকারী জজ হতে চাইলে লিখিত অংশে বেশি নম্বর তোলা জরুরি। প্রিলিমিনারি পাস শুধু লিখিত পরীক্ষায় বসার টিকিট দেয়। প্রিলিমিনারির নম্বর ৫০, কিন্তু চূড়ান্ত ফলে এটি যোগ হয় না। চূড়ান্ত ফল তৈরি হয় লিখিত (১০০) ও ভাইভার (১০০ নম্বর) যোগ করে। তাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১০০ তে ৯০-১০০ নম্বর পাওয়ায় কোনো লাভ নেই; শুধু লিখিত পরীক্ষায় বসার জন্য যথেষ্ট নম্বর (৫০) হলেই হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি
পারিবারিক আইনে প্রিলিমিনারিতে সাধারণত ১০টি প্রশ্ন আসে। লিখিত পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতি থাকলে প্রিলিমিনারিতে ৮-১০ নম্বর পাওয়া কঠিন নয়। মূলত ‘পারিবারিক সম্পর্কবিষয়ক আইন’-এ জোর দিতে হবে। সার্কুলার অনুযায়ী পরীক্ষা অক্টোবরের শেষার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। যাঁদের প্রিলিমিনারিতে ভয় আছে, তাঁরা তারিখ ঘোষিত হওয়ার পর শুধু প্রিলিমিনারিভিত্তিক পড়াশোনায় মনোযোগ দেবেন। বিশেষ করে ইংরেজি শব্দের আরবি টার্ম, সংখ্যাভিত্তিক সেকশন বা বিধান (যেমন ইদ্দতের সময়কাল, আপিল/রিভিশনের মেয়াদ), বিবাহ ও নিবন্ধন, ইদ্দত, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ, বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, উত্তরাধিকার, দান, উইল, দত্তক, ওয়াক্ফ ও অগ্রক্রয় বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রিলিমিনারির প্রস্তুতিতে সহায়ক বই হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের ‘আইন পাঠ (২য় খণ্ড)’ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ে অনুশীলনের জন্য দেওয়া প্রশ্নগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত মানসম্মত বই যেমন লিগ্যাম ডাইজেস্ট, প্রিলিমাস্টার ইত্যাদিও দেখা যেতে পারে।
লিখিত অংশের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় পারিবারিক আইন অংশে ১০০ নম্বর থাকে। এখানে মোট তিনটি ভাগ রয়েছে:
১. মুসলিম আইন: মুসলিম আইনের প্রথম ভাগে মুসলিম আইনের উৎস, বিভিন্ন স্কুল, বিবাহ ও নিবন্ধন, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ, বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, উত্তরাধিকার, দান, উইল, ওয়াক্ফ, অগ্রক্রয় ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এখানে ৫টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হয় (মোট ৬০ নম্বর, ৩×২০)। উত্তরাধিকার নির্ণয়ের প্রশ্ন বাধ্যতামূলক; সঠিকভাবে উত্তর দিলে পূর্ণ ২০ নম্বর পাওয়া সম্ভব।
এই অংশে কোরানিক শেয়ারার, আসাবা, আউল, রাদসহ ব্যতিক্রম নিয়মগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। মাঝে মাঝে ‘দূরবর্তী আত্মীয়’-সম্পর্কিত অঙ্কও প্রশ্নে আসে। ভালো ফল করতে চাইলে অঙ্ক ব্যাখ্যাসহ সঠিক উত্তর দিতে হবে। সম্পত্তি-সম্পর্কিত বিষয়—দান, উইল, অগ্রক্রয়, ওয়াক্ফ থেকে উত্তর দিলে ভালো নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই এই অংশ ভালোভাবে পড়তে হবে।
রেফারেন্স বই হিসেবে উত্তরাধিকার অংশের জন্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকরামুল হক স্যারের ‘Muslim Inheritance’ বইটি যথেষ্ট। সময় কম হলে ইউটিউবে ইকরাম স্যারের উত্তরাধিকার নির্ণয় ভিডিওগুলোও দেখা যেতে পারে। অন্য অংশের জন্য মুল্লাহ থেকে অনূদিত ভালো বাংলা বই পড়তে পারেন, যা সময় সাশ্রয় করে এবং বিষয় বুঝতেও সহজ।
২. হিন্দু আইন: হিন্দু আইন অংশে ২টি প্রশ্নের মধ্যে ১টির উত্তর দিতে হয় (নম্বর ২০)। সাধারণত হিন্দু দায়ভাগ মতবাদ অনুযায়ী
সম্পত্তি বণ্টন-সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন আসে, নম্বর প্রায় ১২। এটি সঠিকভাবে উত্তর দিলে পুরো নম্বর পাওয়া যায়। বাকি অংশে ১-২টি তাত্ত্বিক প্রশ্ন থাকে (নম্বর ৮) যেমন হিন্দু আইনের উৎস, বিবাহ, দত্তক, দান, উইল, উত্তরাধিকার,
বিভিন্ন মতবাদ, ভরণপোষণ, অভিভাবকত্ব,
যৌথ পরিবার ইত্যাদি। পরীক্ষার্থীদের চেষ্টা করা উচিত সম্পত্তি বণ্টন-সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিতভাবে দেওয়া।
রেফারেন্স বই হিসেবে আজিজুল হকের ইংরেজি ‘হিন্দু আইন’ বই এবং শ্রী দীনেশচন্দ্র দেবনাথের বাংলায় লেখা ‘হিন্দু আইন’ সহায়ক।
৩. অন্যান্য আইন: এই অংশে ছোট ৩টি আইন থেকে ২টি প্রশ্ন আসে; ১টির উত্তর দিতে হয় (নম্বর ২০)। ছোট তিনটি আইনের সব সেকশন ভালোভাবে পড়লে সহজেই ৮০ শতাংশ নম্বর অর্জন সম্ভব। The Muslim Family Laws Ordinance, 1961—গুরুত্বপূর্ণ ধারা: ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১১ক।
পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩
পড়তে হলে পুরোনো The Family Courts Ordinance, 1985 সঙ্গে তুলনা করে পড়া উচিত। বিশেষভাবে সংশোধনীতে আনা বিধানগুলোতে জোর দিতে হবে (যেমন আরজি সংশোধন, ধারা ০৯)।
The Dissolution of Muslim Marriage Act, 1939—গুরুত্বপূর্ণ ধারা: ২, ৩, ৪ ও ৫।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য পারিবারিক আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পারিবারিক আইন অংশে যে শিক্ষার্থী যতটা প্রস্তুত, তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ জন্য দরকার পরিকল্পিত, গোছানো ও স্মার্ট প্রস্তুতি। একজন শিক্ষার্থী পারিবারিক আইন অংশে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন, নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সে পরামর্শ দিয়েছেন ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. মেহেদী হাসান।
সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ‘লিখিত পরীক্ষা’
বিজেএসে ‘পারিবারিক সম্পর্কবিষয়ক আইন’ অংশে ভালো করতে হলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার বিকল্প নেই। সহকারী জজ হতে চাইলে লিখিত অংশে বেশি নম্বর তোলা জরুরি। প্রিলিমিনারি পাস শুধু লিখিত পরীক্ষায় বসার টিকিট দেয়। প্রিলিমিনারির নম্বর ৫০, কিন্তু চূড়ান্ত ফলে এটি যোগ হয় না। চূড়ান্ত ফল তৈরি হয় লিখিত (১০০) ও ভাইভার (১০০ নম্বর) যোগ করে। তাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১০০ তে ৯০-১০০ নম্বর পাওয়ায় কোনো লাভ নেই; শুধু লিখিত পরীক্ষায় বসার জন্য যথেষ্ট নম্বর (৫০) হলেই হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি
পারিবারিক আইনে প্রিলিমিনারিতে সাধারণত ১০টি প্রশ্ন আসে। লিখিত পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতি থাকলে প্রিলিমিনারিতে ৮-১০ নম্বর পাওয়া কঠিন নয়। মূলত ‘পারিবারিক সম্পর্কবিষয়ক আইন’-এ জোর দিতে হবে। সার্কুলার অনুযায়ী পরীক্ষা অক্টোবরের শেষার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। যাঁদের প্রিলিমিনারিতে ভয় আছে, তাঁরা তারিখ ঘোষিত হওয়ার পর শুধু প্রিলিমিনারিভিত্তিক পড়াশোনায় মনোযোগ দেবেন। বিশেষ করে ইংরেজি শব্দের আরবি টার্ম, সংখ্যাভিত্তিক সেকশন বা বিধান (যেমন ইদ্দতের সময়কাল, আপিল/রিভিশনের মেয়াদ), বিবাহ ও নিবন্ধন, ইদ্দত, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ, বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, উত্তরাধিকার, দান, উইল, দত্তক, ওয়াক্ফ ও অগ্রক্রয় বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রিলিমিনারির প্রস্তুতিতে সহায়ক বই হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের ‘আইন পাঠ (২য় খণ্ড)’ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ে অনুশীলনের জন্য দেওয়া প্রশ্নগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত মানসম্মত বই যেমন লিগ্যাম ডাইজেস্ট, প্রিলিমাস্টার ইত্যাদিও দেখা যেতে পারে।
লিখিত অংশের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় পারিবারিক আইন অংশে ১০০ নম্বর থাকে। এখানে মোট তিনটি ভাগ রয়েছে:
১. মুসলিম আইন: মুসলিম আইনের প্রথম ভাগে মুসলিম আইনের উৎস, বিভিন্ন স্কুল, বিবাহ ও নিবন্ধন, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ, বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, উত্তরাধিকার, দান, উইল, ওয়াক্ফ, অগ্রক্রয় ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এখানে ৫টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হয় (মোট ৬০ নম্বর, ৩×২০)। উত্তরাধিকার নির্ণয়ের প্রশ্ন বাধ্যতামূলক; সঠিকভাবে উত্তর দিলে পূর্ণ ২০ নম্বর পাওয়া সম্ভব।
এই অংশে কোরানিক শেয়ারার, আসাবা, আউল, রাদসহ ব্যতিক্রম নিয়মগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। মাঝে মাঝে ‘দূরবর্তী আত্মীয়’-সম্পর্কিত অঙ্কও প্রশ্নে আসে। ভালো ফল করতে চাইলে অঙ্ক ব্যাখ্যাসহ সঠিক উত্তর দিতে হবে। সম্পত্তি-সম্পর্কিত বিষয়—দান, উইল, অগ্রক্রয়, ওয়াক্ফ থেকে উত্তর দিলে ভালো নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই এই অংশ ভালোভাবে পড়তে হবে।
রেফারেন্স বই হিসেবে উত্তরাধিকার অংশের জন্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকরামুল হক স্যারের ‘Muslim Inheritance’ বইটি যথেষ্ট। সময় কম হলে ইউটিউবে ইকরাম স্যারের উত্তরাধিকার নির্ণয় ভিডিওগুলোও দেখা যেতে পারে। অন্য অংশের জন্য মুল্লাহ থেকে অনূদিত ভালো বাংলা বই পড়তে পারেন, যা সময় সাশ্রয় করে এবং বিষয় বুঝতেও সহজ।
২. হিন্দু আইন: হিন্দু আইন অংশে ২টি প্রশ্নের মধ্যে ১টির উত্তর দিতে হয় (নম্বর ২০)। সাধারণত হিন্দু দায়ভাগ মতবাদ অনুযায়ী
সম্পত্তি বণ্টন-সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন আসে, নম্বর প্রায় ১২। এটি সঠিকভাবে উত্তর দিলে পুরো নম্বর পাওয়া যায়। বাকি অংশে ১-২টি তাত্ত্বিক প্রশ্ন থাকে (নম্বর ৮) যেমন হিন্দু আইনের উৎস, বিবাহ, দত্তক, দান, উইল, উত্তরাধিকার,
বিভিন্ন মতবাদ, ভরণপোষণ, অভিভাবকত্ব,
যৌথ পরিবার ইত্যাদি। পরীক্ষার্থীদের চেষ্টা করা উচিত সম্পত্তি বণ্টন-সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিতভাবে দেওয়া।
রেফারেন্স বই হিসেবে আজিজুল হকের ইংরেজি ‘হিন্দু আইন’ বই এবং শ্রী দীনেশচন্দ্র দেবনাথের বাংলায় লেখা ‘হিন্দু আইন’ সহায়ক।
৩. অন্যান্য আইন: এই অংশে ছোট ৩টি আইন থেকে ২টি প্রশ্ন আসে; ১টির উত্তর দিতে হয় (নম্বর ২০)। ছোট তিনটি আইনের সব সেকশন ভালোভাবে পড়লে সহজেই ৮০ শতাংশ নম্বর অর্জন সম্ভব। The Muslim Family Laws Ordinance, 1961—গুরুত্বপূর্ণ ধারা: ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১১ক।
পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩
পড়তে হলে পুরোনো The Family Courts Ordinance, 1985 সঙ্গে তুলনা করে পড়া উচিত। বিশেষভাবে সংশোধনীতে আনা বিধানগুলোতে জোর দিতে হবে (যেমন আরজি সংশোধন, ধারা ০৯)।
The Dissolution of Muslim Marriage Act, 1939—গুরুত্বপূর্ণ ধারা: ২, ৩, ৪ ও ৫।
শাহ বিলিয়া জুলফিকার

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য পারিবারিক আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পারিবারিক আইন অংশে যে শিক্ষার্থী যতটা প্রস্তুত, তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ জন্য দরকার পরিকল্পিত, গোছানো ও স্মার্ট প্রস্তুতি। একজন শিক্ষার্থী পারিবারিক আইন অংশে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন, নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সে পরামর্শ দিয়েছেন ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. মেহেদী হাসান।
সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ‘লিখিত পরীক্ষা’
বিজেএসে ‘পারিবারিক সম্পর্কবিষয়ক আইন’ অংশে ভালো করতে হলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার বিকল্প নেই। সহকারী জজ হতে চাইলে লিখিত অংশে বেশি নম্বর তোলা জরুরি। প্রিলিমিনারি পাস শুধু লিখিত পরীক্ষায় বসার টিকিট দেয়। প্রিলিমিনারির নম্বর ৫০, কিন্তু চূড়ান্ত ফলে এটি যোগ হয় না। চূড়ান্ত ফল তৈরি হয় লিখিত (১০০) ও ভাইভার (১০০ নম্বর) যোগ করে। তাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১০০ তে ৯০-১০০ নম্বর পাওয়ায় কোনো লাভ নেই; শুধু লিখিত পরীক্ষায় বসার জন্য যথেষ্ট নম্বর (৫০) হলেই হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি
পারিবারিক আইনে প্রিলিমিনারিতে সাধারণত ১০টি প্রশ্ন আসে। লিখিত পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতি থাকলে প্রিলিমিনারিতে ৮-১০ নম্বর পাওয়া কঠিন নয়। মূলত ‘পারিবারিক সম্পর্কবিষয়ক আইন’-এ জোর দিতে হবে। সার্কুলার অনুযায়ী পরীক্ষা অক্টোবরের শেষার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। যাঁদের প্রিলিমিনারিতে ভয় আছে, তাঁরা তারিখ ঘোষিত হওয়ার পর শুধু প্রিলিমিনারিভিত্তিক পড়াশোনায় মনোযোগ দেবেন। বিশেষ করে ইংরেজি শব্দের আরবি টার্ম, সংখ্যাভিত্তিক সেকশন বা বিধান (যেমন ইদ্দতের সময়কাল, আপিল/রিভিশনের মেয়াদ), বিবাহ ও নিবন্ধন, ইদ্দত, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ, বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, উত্তরাধিকার, দান, উইল, দত্তক, ওয়াক্ফ ও অগ্রক্রয় বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রিলিমিনারির প্রস্তুতিতে সহায়ক বই হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের ‘আইন পাঠ (২য় খণ্ড)’ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ে অনুশীলনের জন্য দেওয়া প্রশ্নগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত মানসম্মত বই যেমন লিগ্যাম ডাইজেস্ট, প্রিলিমাস্টার ইত্যাদিও দেখা যেতে পারে।
লিখিত অংশের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় পারিবারিক আইন অংশে ১০০ নম্বর থাকে। এখানে মোট তিনটি ভাগ রয়েছে:
১. মুসলিম আইন: মুসলিম আইনের প্রথম ভাগে মুসলিম আইনের উৎস, বিভিন্ন স্কুল, বিবাহ ও নিবন্ধন, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ, বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, উত্তরাধিকার, দান, উইল, ওয়াক্ফ, অগ্রক্রয় ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এখানে ৫টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হয় (মোট ৬০ নম্বর, ৩×২০)। উত্তরাধিকার নির্ণয়ের প্রশ্ন বাধ্যতামূলক; সঠিকভাবে উত্তর দিলে পূর্ণ ২০ নম্বর পাওয়া সম্ভব।
এই অংশে কোরানিক শেয়ারার, আসাবা, আউল, রাদসহ ব্যতিক্রম নিয়মগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। মাঝে মাঝে ‘দূরবর্তী আত্মীয়’-সম্পর্কিত অঙ্কও প্রশ্নে আসে। ভালো ফল করতে চাইলে অঙ্ক ব্যাখ্যাসহ সঠিক উত্তর দিতে হবে। সম্পত্তি-সম্পর্কিত বিষয়—দান, উইল, অগ্রক্রয়, ওয়াক্ফ থেকে উত্তর দিলে ভালো নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই এই অংশ ভালোভাবে পড়তে হবে।
রেফারেন্স বই হিসেবে উত্তরাধিকার অংশের জন্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকরামুল হক স্যারের ‘Muslim Inheritance’ বইটি যথেষ্ট। সময় কম হলে ইউটিউবে ইকরাম স্যারের উত্তরাধিকার নির্ণয় ভিডিওগুলোও দেখা যেতে পারে। অন্য অংশের জন্য মুল্লাহ থেকে অনূদিত ভালো বাংলা বই পড়তে পারেন, যা সময় সাশ্রয় করে এবং বিষয় বুঝতেও সহজ।
২. হিন্দু আইন: হিন্দু আইন অংশে ২টি প্রশ্নের মধ্যে ১টির উত্তর দিতে হয় (নম্বর ২০)। সাধারণত হিন্দু দায়ভাগ মতবাদ অনুযায়ী
সম্পত্তি বণ্টন-সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন আসে, নম্বর প্রায় ১২। এটি সঠিকভাবে উত্তর দিলে পুরো নম্বর পাওয়া যায়। বাকি অংশে ১-২টি তাত্ত্বিক প্রশ্ন থাকে (নম্বর ৮) যেমন হিন্দু আইনের উৎস, বিবাহ, দত্তক, দান, উইল, উত্তরাধিকার,
বিভিন্ন মতবাদ, ভরণপোষণ, অভিভাবকত্ব,
যৌথ পরিবার ইত্যাদি। পরীক্ষার্থীদের চেষ্টা করা উচিত সম্পত্তি বণ্টন-সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিতভাবে দেওয়া।
রেফারেন্স বই হিসেবে আজিজুল হকের ইংরেজি ‘হিন্দু আইন’ বই এবং শ্রী দীনেশচন্দ্র দেবনাথের বাংলায় লেখা ‘হিন্দু আইন’ সহায়ক।
৩. অন্যান্য আইন: এই অংশে ছোট ৩টি আইন থেকে ২টি প্রশ্ন আসে; ১টির উত্তর দিতে হয় (নম্বর ২০)। ছোট তিনটি আইনের সব সেকশন ভালোভাবে পড়লে সহজেই ৮০ শতাংশ নম্বর অর্জন সম্ভব। The Muslim Family Laws Ordinance, 1961—গুরুত্বপূর্ণ ধারা: ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১১ক।
পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩
পড়তে হলে পুরোনো The Family Courts Ordinance, 1985 সঙ্গে তুলনা করে পড়া উচিত। বিশেষভাবে সংশোধনীতে আনা বিধানগুলোতে জোর দিতে হবে (যেমন আরজি সংশোধন, ধারা ০৯)।
The Dissolution of Muslim Marriage Act, 1939—গুরুত্বপূর্ণ ধারা: ২, ৩, ৪ ও ৫।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য পারিবারিক আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পারিবারিক আইন অংশে যে শিক্ষার্থী যতটা প্রস্তুত, তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ জন্য দরকার পরিকল্পিত, গোছানো ও স্মার্ট প্রস্তুতি। একজন শিক্ষার্থী পারিবারিক আইন অংশে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন, নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সে পরামর্শ দিয়েছেন ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত মো. মেহেদী হাসান।
সাফল্যের মূল চাবিকাঠি ‘লিখিত পরীক্ষা’
বিজেএসে ‘পারিবারিক সম্পর্কবিষয়ক আইন’ অংশে ভালো করতে হলে লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার বিকল্প নেই। সহকারী জজ হতে চাইলে লিখিত অংশে বেশি নম্বর তোলা জরুরি। প্রিলিমিনারি পাস শুধু লিখিত পরীক্ষায় বসার টিকিট দেয়। প্রিলিমিনারির নম্বর ৫০, কিন্তু চূড়ান্ত ফলে এটি যোগ হয় না। চূড়ান্ত ফল তৈরি হয় লিখিত (১০০) ও ভাইভার (১০০ নম্বর) যোগ করে। তাই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১০০ তে ৯০-১০০ নম্বর পাওয়ায় কোনো লাভ নেই; শুধু লিখিত পরীক্ষায় বসার জন্য যথেষ্ট নম্বর (৫০) হলেই হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি
পারিবারিক আইনে প্রিলিমিনারিতে সাধারণত ১০টি প্রশ্ন আসে। লিখিত পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতি থাকলে প্রিলিমিনারিতে ৮-১০ নম্বর পাওয়া কঠিন নয়। মূলত ‘পারিবারিক সম্পর্কবিষয়ক আইন’-এ জোর দিতে হবে। সার্কুলার অনুযায়ী পরীক্ষা অক্টোবরের শেষার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। যাঁদের প্রিলিমিনারিতে ভয় আছে, তাঁরা তারিখ ঘোষিত হওয়ার পর শুধু প্রিলিমিনারিভিত্তিক পড়াশোনায় মনোযোগ দেবেন। বিশেষ করে ইংরেজি শব্দের আরবি টার্ম, সংখ্যাভিত্তিক সেকশন বা বিধান (যেমন ইদ্দতের সময়কাল, আপিল/রিভিশনের মেয়াদ), বিবাহ ও নিবন্ধন, ইদ্দত, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ, বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, উত্তরাধিকার, দান, উইল, দত্তক, ওয়াক্ফ ও অগ্রক্রয় বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রিলিমিনারির প্রস্তুতিতে সহায়ক বই হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের ‘আইন পাঠ (২য় খণ্ড)’ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বইয়ে অনুশীলনের জন্য দেওয়া প্রশ্নগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত মানসম্মত বই যেমন লিগ্যাম ডাইজেস্ট, প্রিলিমাস্টার ইত্যাদিও দেখা যেতে পারে।
লিখিত অংশের প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
বিজেএস লিখিত পরীক্ষায় পারিবারিক আইন অংশে ১০০ নম্বর থাকে। এখানে মোট তিনটি ভাগ রয়েছে:
১. মুসলিম আইন: মুসলিম আইনের প্রথম ভাগে মুসলিম আইনের উৎস, বিভিন্ন স্কুল, বিবাহ ও নিবন্ধন, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ, বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, উত্তরাধিকার, দান, উইল, ওয়াক্ফ, অগ্রক্রয় ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত। এখানে ৫টি প্রশ্নের মধ্যে ৩টির উত্তর দিতে হয় (মোট ৬০ নম্বর, ৩×২০)। উত্তরাধিকার নির্ণয়ের প্রশ্ন বাধ্যতামূলক; সঠিকভাবে উত্তর দিলে পূর্ণ ২০ নম্বর পাওয়া সম্ভব।
এই অংশে কোরানিক শেয়ারার, আসাবা, আউল, রাদসহ ব্যতিক্রম নিয়মগুলো ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। মাঝে মাঝে ‘দূরবর্তী আত্মীয়’-সম্পর্কিত অঙ্কও প্রশ্নে আসে। ভালো ফল করতে চাইলে অঙ্ক ব্যাখ্যাসহ সঠিক উত্তর দিতে হবে। সম্পত্তি-সম্পর্কিত বিষয়—দান, উইল, অগ্রক্রয়, ওয়াক্ফ থেকে উত্তর দিলে ভালো নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই এই অংশ ভালোভাবে পড়তে হবে।
রেফারেন্স বই হিসেবে উত্তরাধিকার অংশের জন্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইকরামুল হক স্যারের ‘Muslim Inheritance’ বইটি যথেষ্ট। সময় কম হলে ইউটিউবে ইকরাম স্যারের উত্তরাধিকার নির্ণয় ভিডিওগুলোও দেখা যেতে পারে। অন্য অংশের জন্য মুল্লাহ থেকে অনূদিত ভালো বাংলা বই পড়তে পারেন, যা সময় সাশ্রয় করে এবং বিষয় বুঝতেও সহজ।
২. হিন্দু আইন: হিন্দু আইন অংশে ২টি প্রশ্নের মধ্যে ১টির উত্তর দিতে হয় (নম্বর ২০)। সাধারণত হিন্দু দায়ভাগ মতবাদ অনুযায়ী
সম্পত্তি বণ্টন-সম্পর্কিত একটি প্রশ্ন আসে, নম্বর প্রায় ১২। এটি সঠিকভাবে উত্তর দিলে পুরো নম্বর পাওয়া যায়। বাকি অংশে ১-২টি তাত্ত্বিক প্রশ্ন থাকে (নম্বর ৮) যেমন হিন্দু আইনের উৎস, বিবাহ, দত্তক, দান, উইল, উত্তরাধিকার,
বিভিন্ন মতবাদ, ভরণপোষণ, অভিভাবকত্ব,
যৌথ পরিবার ইত্যাদি। পরীক্ষার্থীদের চেষ্টা করা উচিত সম্পত্তি বণ্টন-সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিতভাবে দেওয়া।
রেফারেন্স বই হিসেবে আজিজুল হকের ইংরেজি ‘হিন্দু আইন’ বই এবং শ্রী দীনেশচন্দ্র দেবনাথের বাংলায় লেখা ‘হিন্দু আইন’ সহায়ক।
৩. অন্যান্য আইন: এই অংশে ছোট ৩টি আইন থেকে ২টি প্রশ্ন আসে; ১টির উত্তর দিতে হয় (নম্বর ২০)। ছোট তিনটি আইনের সব সেকশন ভালোভাবে পড়লে সহজেই ৮০ শতাংশ নম্বর অর্জন সম্ভব। The Muslim Family Laws Ordinance, 1961—গুরুত্বপূর্ণ ধারা: ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১১ক।
পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩
পড়তে হলে পুরোনো The Family Courts Ordinance, 1985 সঙ্গে তুলনা করে পড়া উচিত। বিশেষভাবে সংশোধনীতে আনা বিধানগুলোতে জোর দিতে হবে (যেমন আরজি সংশোধন, ধারা ০৯)।
The Dissolution of Muslim Marriage Act, 1939—গুরুত্বপূর্ণ ধারা: ২, ৩, ৪ ও ৫।

আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১০ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।
তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’
স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’

আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেক প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই (রাজনৈতিক দলের) আবেদন করেছেন। তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে চান। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি।’ এর আগে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।
তবে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এল—জানতে চাইলে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়নি নির্বাচন কমিশনার। তারা বলে, এখনো সময় আছে। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন।
কোন কোন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন আবেদন করেছে—জানতে চাইলে কমিশন উত্তর দেয়নি। তবে সূত্র জানায়, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির প্যানেলের শতাধিক নেতা-কর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার এই পাস কার্ডের আবেদন করেছেন।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের সমাজসেবা সম্পাদক ফেরদৌস শেখ বলেন, ‘আমরা জানতাম ভোটার নয় এমন কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। পর্যবেক্ষক হিসেবে রানিং শিক্ষার্থীরা থাকলেই হয়। কিন্ত হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি।’
স্বতন্ত্র আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী সানি বলেন, ‘রাজনৈতিক বা ছাত্রনেতাদের কাউকে ঢুকতে দিলে এটা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে শিক্ষার্থীরা প্রভাবিত হতে পারে ও নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। আমরা চাই, শিক্ষার্থী নয়—এমন কোনো ব্যক্তি যেন না ঢোকে।’

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য পারিবারিক আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পারিবারিক আইন অংশে যে শিক্ষার্থী যতটা প্রস্তুত, তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ জন্য দরকার পরিকল্পিত, গোছানো ও স্মার্ট প্রস্তুতি। একজন শিক্ষার্থী পারিবারিক আইন অংশে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১০ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর নির্বাচন কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান।
এ সময় ড. মোস্তফা হাসান আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় একটি স্বচ্ছ, সুশৃঙ্খল, গ্রহণযোগ্য এবং ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোস্তফা হাসান জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। তবে বেলা ৩টার মধ্যে যাঁরা ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করবেন, তাঁরা সবাই ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে ৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ১৬ হাজার ৬৪৯ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রতিটি কেন্দ্রে পৃথকভাবে ভোট গণনা করা হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ ছাড়া নিজ কেন্দ্র ছাড়া কোনো প্রার্থী অন্য কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী নিজ কেন্দ্রেও পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানান তিনি।
নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানান তিনি। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভোট গণনা লাইভ সম্প্রচারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মোস্তফা হাসান আরও জানান, যেসব ভোটারের আইডি কার্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, তাঁরা ভোটার তালিকায় প্রবেশ করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে মোবাইলে অথবা প্রিন্ট কপি হিসেবে ভোটার আইডি সংগ্রহ করে ভোট দিতে পারবেন। ভোটার তালিকা হবে ছবিযুক্ত।
নির্বাচন কমিশন জানায়, ভোটকেন্দ্রে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হবে। সকালে বিভাগভিত্তিক ব্যালট পেপার সরবরাহ করা হবে। যে শিক্ষার্থী যে বিভাগের ভোটার, তিনি সেই বিভাগেই ভোট দেবেন। ব্যালট পেপারে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কোড।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নির্বাচনের আগে আজ ‘মক টেস্ট’ সম্পন্ন করা হয়েছে, যেখানে প্রায় ৩০ জন প্রার্থী অংশ নেন। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট ছাপানো হয়নি। ভোট দেওয়া শেষে ভোটারদের ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে। শুধু প্রার্থী ও বৈধ কার্ডধারীরাই ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কানিজ ফাতেমা কাকলী, অধ্যাপক ড. জুলফিকার মাহমুদ ও ড. মো. আনিসুর রহমান। এ ছাড়া আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং পিআরআইপি পরিচালক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য পারিবারিক আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পারিবারিক আইন অংশে যে শিক্ষার্থী যতটা প্রস্তুত, তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ জন্য দরকার পরিকল্পিত, গোছানো ও স্মার্ট প্রস্তুতি। একজন শিক্ষার্থী পারিবারিক আইন অংশে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১০ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১৬ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো।
(ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২।
(খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস।
(গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২
(ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।
এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো।
(ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২।
(খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস।
(গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২
(ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।
এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য পারিবারিক আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পারিবারিক আইন অংশে যে শিক্ষার্থী যতটা প্রস্তুত, তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ জন্য দরকার পরিকল্পিত, গোছানো ও স্মার্ট প্রস্তুতি। একজন শিক্ষার্থী পারিবারিক আইন অংশে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
৩ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১৬ ঘণ্টা আগেশাহ বিলিয়া জুলফিকার

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। শুদ্ধ উচ্চারণের অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টির মাধ্যমে আবৃত্তি শিশুদের সার্বিক ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবৃত্তির এই প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর আরিফ হাসান। গ্রন্থনা করেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
আবৃত্তির মূল ভিত্তি হলো শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ। একটি কবিতার সঠিক ভাব ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠ করতে হলে স্বর, বর্ণ ও শব্দের যথাযথ উচ্চারণ অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে আবৃত্তিচর্চা করলে শিশুরা ধীরে ধীরে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাটিয়ে প্রমিত বাচনভঙ্গির অধিকারী হয়। এটি কেবল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এবং শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও জড়তা দূরীকরণ
জনসমক্ষে নির্ভয়ে ও সুন্দরভাবে কথা বলার সক্ষমতা একজন সফল মানুষের অন্যতম প্রধান গুণ। আবৃত্তি শিশুদের মনের ভেতরের ভয় ও জড়তা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মঞ্চে বা সবার সামনে আবৃত্তি পরিবেশন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজেদের ভাব প্রকাশের এই চর্চা লাজুকতা দূর করে এবং ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও সাবলীল।
শব্দভান্ডার সমৃদ্ধি
কবিতা বা ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাক্যগঠন ও সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় দিক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ফলে তাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি জন্ম নেয় গভীর অনুরাগ। কবিতার ভাব, ছন্দ ও অলংকার অনুধাবনের মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ
একটি কবিতা মুখস্থ করে তা যথাযথ আবেগ ও ভাবসহ উপস্থাপন করা স্মৃতিশক্তির জন্য একটি কার্যকর অনুশীলন। আবৃত্তিচর্চার জন্য কবিতার বিষয়বস্তু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হয়, যা শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অনুশীলন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শেখার ক্ষমতা জোরদার করে।
মানবিক মূল্যবোধের চর্চা
সাহিত্য; বিশেষ করে কবিতা—মানবজীবন, দেশপ্রেম, মানবতা ও প্রকৃতিপ্রেমের গভীর বার্তা বহন করে। আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা এসব মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ভালো কবিতার ভাবধারা শিশুদের কোমল মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।
আবৃত্তি ও মেডিকেল সায়েন্স
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবৃত্তিকে একধরনের থেরাপি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তাঁদের মতে, আবৃত্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি
আবৃত্তির জন্য কবিতা বোঝা, মনে রাখা এবং সঠিক আবেগসহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও স্মৃতিসংশ্লিষ্ট অংশ সক্রিয় হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক সংজ্ঞানাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
স্নায়বিক সংযোগ শক্তিশালীকরণ
নিয়মিত কবিতা মুখস্থ করা ও আবৃত্তি করার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ আরও দৃঢ় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি হ্রাস
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখস্থ করার অনুশীলন যেমন কবিতা বা ধর্মীয় স্তোত্র আবৃত্তি মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়
আবৃত্তির সময় সুর, ছন্দ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হয়, যা ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো প্রভাব ফেলে। এতে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।
কবিতা মানুষের গভীর অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে। আবৃত্তির মাধ্যমে সেই আবেগ প্রকাশ বা অনুভব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে স্থিতিশীলতা বাড়ায়। মনোরোগ চিকিৎসায় ‘পোয়েট্রি থেরাপি’ বা ‘গ্রন্থ চিকিৎসা’ একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবৃত্তির সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘সুখের হরমোন’ নিঃসৃত হতে পারে, যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। শুদ্ধ উচ্চারণের অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টির মাধ্যমে আবৃত্তি শিশুদের সার্বিক ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবৃত্তির এই প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর আরিফ হাসান। গ্রন্থনা করেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
আবৃত্তির মূল ভিত্তি হলো শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ। একটি কবিতার সঠিক ভাব ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠ করতে হলে স্বর, বর্ণ ও শব্দের যথাযথ উচ্চারণ অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে আবৃত্তিচর্চা করলে শিশুরা ধীরে ধীরে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাটিয়ে প্রমিত বাচনভঙ্গির অধিকারী হয়। এটি কেবল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এবং শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও জড়তা দূরীকরণ
জনসমক্ষে নির্ভয়ে ও সুন্দরভাবে কথা বলার সক্ষমতা একজন সফল মানুষের অন্যতম প্রধান গুণ। আবৃত্তি শিশুদের মনের ভেতরের ভয় ও জড়তা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মঞ্চে বা সবার সামনে আবৃত্তি পরিবেশন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজেদের ভাব প্রকাশের এই চর্চা লাজুকতা দূর করে এবং ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও সাবলীল।
শব্দভান্ডার সমৃদ্ধি
কবিতা বা ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাক্যগঠন ও সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় দিক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ফলে তাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি জন্ম নেয় গভীর অনুরাগ। কবিতার ভাব, ছন্দ ও অলংকার অনুধাবনের মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ
একটি কবিতা মুখস্থ করে তা যথাযথ আবেগ ও ভাবসহ উপস্থাপন করা স্মৃতিশক্তির জন্য একটি কার্যকর অনুশীলন। আবৃত্তিচর্চার জন্য কবিতার বিষয়বস্তু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হয়, যা শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অনুশীলন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শেখার ক্ষমতা জোরদার করে।
মানবিক মূল্যবোধের চর্চা
সাহিত্য; বিশেষ করে কবিতা—মানবজীবন, দেশপ্রেম, মানবতা ও প্রকৃতিপ্রেমের গভীর বার্তা বহন করে। আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা এসব মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ভালো কবিতার ভাবধারা শিশুদের কোমল মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।
আবৃত্তি ও মেডিকেল সায়েন্স
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবৃত্তিকে একধরনের থেরাপি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তাঁদের মতে, আবৃত্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি
আবৃত্তির জন্য কবিতা বোঝা, মনে রাখা এবং সঠিক আবেগসহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও স্মৃতিসংশ্লিষ্ট অংশ সক্রিয় হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক সংজ্ঞানাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
স্নায়বিক সংযোগ শক্তিশালীকরণ
নিয়মিত কবিতা মুখস্থ করা ও আবৃত্তি করার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ আরও দৃঢ় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি হ্রাস
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখস্থ করার অনুশীলন যেমন কবিতা বা ধর্মীয় স্তোত্র আবৃত্তি মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়
আবৃত্তির সময় সুর, ছন্দ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হয়, যা ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো প্রভাব ফেলে। এতে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।
কবিতা মানুষের গভীর অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে। আবৃত্তির মাধ্যমে সেই আবেগ প্রকাশ বা অনুভব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে স্থিতিশীলতা বাড়ায়। মনোরোগ চিকিৎসায় ‘পোয়েট্রি থেরাপি’ বা ‘গ্রন্থ চিকিৎসা’ একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবৃত্তির সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘সুখের হরমোন’ নিঃসৃত হতে পারে, যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য পারিবারিক আইন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পারিবারিক আইন অংশে যে শিক্ষার্থী যতটা প্রস্তুত, তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এ জন্য দরকার পরিকল্পিত, গোছানো ও স্মার্ট প্রস্তুতি। একজন শিক্ষার্থী পারিবারিক আইন অংশে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন...
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আগামীকাল মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন। আগের দিন আজ সোমবার রাতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরে সব কেন্দ্রের ফলাফল সমন্বয় করে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করবে। ভোট গণনার জন্য ছয়টি মেশিন ব্যবহার করা হবে এবং ফলাফল লাইভে দেখানো হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়...
৩ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১০ ঘণ্টা আগে