Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: আসন নিশ্চিত করতে চাইলে

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: আসন নিশ্চিত করতে চাইলে

চলছে ভর্তি পরীক্ষার মৌসুম। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বাকি। এসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আসন নিশ্চিত করার জন্য গোছালো প্রস্তুতি দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী 
ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান আল হাসান

চান্স পেতে যা করতে হবে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। এ জন্য প্রশ্ন প্যাটার্ন ও মানবণ্টন সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা রাখতে হবে। প্রশ্ন প্যাটার্ন সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য যেকোনো প্রকাশনীর একটি প্রশ্নব্যাংক কিনে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধানকরা জরুরি।

বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতি
বাংলা বিষয়টি সাধারণত বাংলা প্রথম (গদ্য+পদ্য+সহপাঠ), ব্যাকরণ ও বিরচন–এ তিনটি ভাগ পাওয়া যায়। বাংলা বিষয়ের প্রথমপত্র অংশে ভালো নম্বর পেতে এইচএসসির সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত গদ্যগুলো নখদর্পণে রাখতে হবে। পদ্যগুলো প্রায় মুখস্থের মতো করতে পারলে ভালো, আর পাঠ পরিচিতি অংশটি পুরোপুরি মুখস্থ রাখতে হবে। পাঠ পরিচিতি অংশে প্রয়োগ করা বাক্যগুলো লিখিত পরীক্ষার জন্যও বেশ সহায়ক। তাই এসব বাক্য নিজের খাতায় লেখার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে নম্বর দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। পাশাপাশি ব্যাকরণের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ বইয়ের সব বিষয় ও উদাহরণ আত্মস্থ করা জরুরি। এই বইকে ব্যাকরণের বাইবেল বলা হয়ে থাকে। পাশাপাশি পুরোপুরি ধারণা পাওয়ার জন্য বিষয়গুলো অন্য কোনো সহায়ক বই বা কোচিংয়ের শিট থেকে রিলেট করে পড়া আরও ভালো। বাংলা বিরচন অংশের জন্য বাজারে প্রচলিত একটি বই থেকে এক কথায় প্রকাশ, বাগধারা, সমার্থক ও বিপরীত শব্দসহ সবকিছু মুখস্থ করে ফেলতে হবে। বাংলার জন্য এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের বোর্ড বই, মুনীর চৌধুরীর নবম-দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বোর্ড বই, বাংলা বিচিত্রা ও ATM ইত্যাদি বইগুলো পড়া যেতে পারে। এ বিষয়ের প্রস্তুতিতে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত সব বিষয়ই পড়তে হবে, অন্তত বেসিক জানতে হবে। তবে বাংলা বানানের নিয়ম, বাংলা উচ্চারণের নিয়ম, শব্দের শ্রেণিবিভাগ, পদ প্রকরণ, উপসর্গ, সমাস, প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ, ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ, সন্ধি, ধ্বনির পরিবর্তন, ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান, কারক ও বিভক্তি, প্রত্যয় ও বাক্য প্রকরণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ইংরেজি বিষয়ের প্রস্তুতি
অনেক শিক্ষার্থীই ইংরেজিতে পাস নম্বর তুলতে পারেন না। তাই এ বিষয়ে বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে কয়েকটি সেগমেন্ট আছে। সেগমেন্টগুলো হলো টেক্সট বুকভিত্তিক, গ্রামারভিত্তিক ও মেমোরাইজিং। ইংরেজিতে ভালো করার জন্য পাঠ্যবই ভালো করে পড়তে হবে। বিশেষ করে সব Poem & Prose আত্মস্থ করতে হবে। এ ছাড়া Text Panacea ও lecture কোম্পানির গাইডের মান ভালো। ইংরেজি গ্রামারে ভালো করার জন্য প্রয়োজন বেসিক ক্লিয়ার করার পাশাপাশি প্রচুর অনুশীলন। বেসিক ক্লিয়ারের জন্য যেকোনো গ্রামার পড়া যেতে পারে। বিরচন অংশ চাইলে অন্য বই থেকেও পড়া যায়। আর অনুশীলনের জন্য বাজার থেকে যেকোনো একটি বই কিনে নিয়মিত পড়তে হবে। ইংরেজির জন্য A passage to the english language, P.C DAS, Practical English usage by Michael swan, Compact, Advanced by Chowdhury and Hussain, Cliff’s Toefl বইগুলো সহায়ক হয়ে থাকে। আর মেমোরাইজিংয়ের জন্য পাঠ্যবইয়ের সব Vocabulary, Phrase & Idiom এবং অনুশীলনের জন্য যেকোনো গ্রামার বইয়ের মুখস্থ অংশটা শেষ করতে হবে। ইংরেজি অংশে প্রতিবছর পরীক্ষায় আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো Noun & Determiner, Pronoun, Adjective & Adverb ( Adverbial), Identify of Parts of Speech, Right Form of Verb, Subject Verb Agreement,Tense & Sequence of Tense, Clause & Phrase, Preposition (Appropriate Preposition), Narration, Punctuation, Conditional Sentence, Sentence Structure ও Verbs & Non-Finite Verb।

সাধারণ জ্ঞান বিষয়ের প্রস্তুতি
সাধারণ জ্ঞানের নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই। তাই এর পরিধি বেশ বড়। তবে একটু কৌশল খাঁটিয়ে পড়লে এ বিষয়েও ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব। ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য প্রশ্নব্যাংক থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, সভ্যতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই বাজারে প্রচলিত একটি মানসম্পন্ন সাধারণ জ্ঞানের বই কিনে নিয়মিত পড়তে হবে। পাশাপাশি যেকোনো কোচিং সেন্টারের শিটগুলো পড়লেই যথেষ্ট। সাধারণ জ্ঞানের জন্য MP3 জর্জ, জুবায়ের’স জিকে, Last view বইগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।

লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি
লিখিত পরীক্ষার জন্য ফ্রিহ্যান্ড রাইটিংয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীলভাবে লেখার অনুশীলন থাকলে লিখিত পরীক্ষা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আর লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদা কোনো বই অনুসরণ করার দরকার নেই।নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক লেখার চেষ্টা করতে হবে। ধীরে ধীরে অ্যাডভান্স শব্দ প্রয়োগের চেষ্টা করাও জরুরি। এ জন্য অনলাইন নিউজ পেপারে প্রতিদিন যে শব্দগুলো শেখা হয়, সেই শব্দগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা সহায়ক হতে পারে। মূলত মুখস্থ না করে সাবলীলভাবে লেখার জন্য কিছু সুন্দর স্ট্রাকচার আয়ত্ত করে নেবেন। এরপর বই বা ইন্টারনেট থেকে পড়ে নিজের মতো করে সামারি আকারে সেই বিষয়ে এক পৃষ্ঠার ভেতরে লেখার চেষ্টা করতে হবে। নিয়মিত লেখা অনুশীলনের মধ্য দিয়ে অল্প দিনের মধ্যেই ফ্রিহ্যান্ড রাইটিংয়ের অভ্যাস গড়ে উঠবে।

অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় প্রার্থীরা

সোহানুর রহমান, জবি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।

ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’

ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’

ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

জবি প্রতিনিধি 
‎জবির ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।

‎‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।

‎‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।

‎‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷

‎মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।

‎পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।

‎বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।

‎এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এআইইউবিতে সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান।

অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস পর্বের সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস একটি প্রাণবন্ত গেমিং অঙ্গনে রূপ নেয়। অনলাইন বাছাইপর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে লড়ে। চার ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ‘ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

এই বিভাগে ‘লোয়ার-ব্র্যাকেট’ থেকে উঠে এসে গ্র্যান্ড ফাইনালে ‘ন্যাক্সার ই-স্পোর্টস’কে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ‘অলস্টারস’ দল।

‘মোবাইল লিজেন্ডস ব্যাং ব্যাং’ (MLBB) বিভাগে ‘ভাইপার স্ট্রাইকার্স’, ‘এফসি ২৫’ বিভাগে নিও এবং ‘ই-ফুটবল’ একক বিভাগে শাওন শান্ত ও দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এছাড়া এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, ই-স্পোর্টস ক্লাব ও পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনজনকে সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।

বক্তারা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা এই আয়োজনের পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও ব্যাপক প্রসারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এবারের আয়োজনে ইকুইপমেন্ট স্পন্সর ছিল কিয়ানস কালেক্টিবলস, টেক স্পন্সর এমএসআই এবং বেসিক স্পন্সর হিসেবে ছিল সিটি ব্যাংক। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার হিসেবে ছিল লিঙ্ক থ্রি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল ডেইলি সান, দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি নিউজ এবং ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল কিশোর আলো।

উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খানসহ অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. রইছ ও সম্পাদক ড. ইমরানুল

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৪৫
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।

‎সকল পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।

‎ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সহসভাপতি পদে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন নির্বাচিত হয়েছেন।

কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খাঁন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকা ডেইজী, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারেক মুহাম্মদ শামসুল আরেফীন এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।

‎নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমদ ইহসানুল কবীর, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়শা জাহান এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক বিন আতিক।

‎নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড. ইমরানুল হক বলেন, এককভাবে নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আগামী বছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত