আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপর। এক সময় যে ডলারকে ‘নিরাপদ মুদ্রা’ বলে মনে করা হতো, এখন সেটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের আতঙ্ক ও ডলারের দাম পড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ছুটছেন। এর ফলে সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় ছুঁয়েছে, যা বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে একের পর এক সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে মার্কিন মুদ্রার ওপর দীর্ঘদিনের আস্থায় চিড় ধরেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে মার্কিন ট্রেজারি বাজারে। ১৯৮২ সালের পর প্রথমবারের মতো মাত্র এক সপ্তাহেই ঋণগ্রহণের খরচ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, কারণ বিদেশি ফান্ডগুলো আমেরিকান বন্ড ছেড়ে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সোনার দাম ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার তীব্রতর বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ডলারের দুর্বলতার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।
এই দিনে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৩৫ দশমিক ৮৯ ডলারে। একইদিন স্পট গোল্ডের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২৪৫ দশমিক ২৮ ডলারে উঠেছিল। পুরো সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশল প্রধান রে অ্যাট্রিল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক রাতেই তার ‘নিরাপদ স্বর্গের’ ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে আস্থার ঘাটতি, অন্যদিকে ‘অসাধারণত্ব’ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দুটি মিলিয়ে স্বল্পমেয়াদে এটি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ডলার ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের পথে রয়েছে। শুক্রবার সুইস ফ্রাঙ্কের বিপরীতে ডলার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে, আর ইউরোর বিপরীতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।
রে অ্যাট্রিল বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে ডলারকে ‘রিজার্ভ কারেন্সি’ হিসেবে বিবেচনার ভিত্তিটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক মূল্যসূচক আশ্চর্যজনকভাবে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়। যদিও আমদানির ওপর নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ জুনে সুদের হার কমানো শুরু করবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ০ দশমিক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার মাধ্যমে ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও সত্তরের দশকে সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তবুও ডলারের প্রভাব অটুট ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য ও মুদ্রাবাজারে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ট্রাম্প একদিকে শুল্ক আরোপ করছেন, আবার সেগুলো বাতিল করছেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে ইতোমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলার হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে, আর বাজারে নেমেছে ভয়াবহ ধস।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষক তাই ওয়াং বলেন, সোনার দামে ছোটখাটো সংশোধন আসতে পারে, কিন্তু সামনের পথটা মূলত ঊর্ধ্বমুখী। কারণ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় কমার ফলে ফেড সুদের হার কমাতে পারবে, যা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
সুদ না পাওয়া সোনা সাধারণত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির সময়ে ভালো ফল দেয়। আবার সুদের হার কম থাকলে সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি।
এএনজেড গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড ইয়েটসেঙ্গা জানিয়েছেন, পরবর্তী ৯০ দিনে কী হয় তা যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের আর্থিক কৌশল প্রধান মার্টিন হোয়েটন বলেন, এই সপ্তাহে ডলারের বড় ধরনের পতন, মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড বেড়ে যাওয়া ও সিকিউরিটি স্প্রেডের অস্বাভাবিক আচরণ—সব মিলিয়ে বোঝা যায় ডলার এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বে আর নিরাপদ অর্থনৈতিক ঠিকানা না থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোও তাদের অর্থ সেখানে রাখতে আগ্রহ হারাবে। এমনকি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ নেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের যা দিতে হচ্ছে, সেটা ইতালি, স্পেন বা গ্রিসের চেয়েও বেশি।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। ইন্দোসুইজ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের এশিয়া প্রধান কৌশলবিদ ফ্রান্সিস ট্যান বলছেন, যখন সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, শুল্ক হার নির্ধারিত হবে এবং আর কোনো পিছুটান থাকবে না, তখন ডলার আবারও শক্তিশালী হবে।
তবুও, ডলারের নিরাপত্তা হারানো মানে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য খারাপ খবর। কারণ, এতে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা বন্ড ও শেয়ারবাজার উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশিরা মার্কিন শেয়ার ও বন্ডে মোট ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
জেফারিস ব্যাংকের গ্লোবাল ইকুইটি কৌশল প্রধান ক্রিস উড বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা, তা যেন বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিদেশি মূলধনের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল।
তবে সোনার দামে ঊর্ধ্বগতির একটি সীমা রয়েছে বলে মনে করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ইউবিএস। তাদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস, বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হলে সোনার দামের গতি থমকে যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভারের (রূপা) দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৩২ দশমিক ১৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৯৩৬ দশমিক ৩৬ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯১৪ দশমিক ৮৭ ডলার হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপর। এক সময় যে ডলারকে ‘নিরাপদ মুদ্রা’ বলে মনে করা হতো, এখন সেটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের আতঙ্ক ও ডলারের দাম পড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ছুটছেন। এর ফলে সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় ছুঁয়েছে, যা বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে একের পর এক সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে মার্কিন মুদ্রার ওপর দীর্ঘদিনের আস্থায় চিড় ধরেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে মার্কিন ট্রেজারি বাজারে। ১৯৮২ সালের পর প্রথমবারের মতো মাত্র এক সপ্তাহেই ঋণগ্রহণের খরচ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, কারণ বিদেশি ফান্ডগুলো আমেরিকান বন্ড ছেড়ে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সোনার দাম ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার তীব্রতর বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ডলারের দুর্বলতার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।
এই দিনে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৩৫ দশমিক ৮৯ ডলারে। একইদিন স্পট গোল্ডের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২৪৫ দশমিক ২৮ ডলারে উঠেছিল। পুরো সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশল প্রধান রে অ্যাট্রিল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক রাতেই তার ‘নিরাপদ স্বর্গের’ ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে আস্থার ঘাটতি, অন্যদিকে ‘অসাধারণত্ব’ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দুটি মিলিয়ে স্বল্পমেয়াদে এটি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ডলার ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের পথে রয়েছে। শুক্রবার সুইস ফ্রাঙ্কের বিপরীতে ডলার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে, আর ইউরোর বিপরীতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।
রে অ্যাট্রিল বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে ডলারকে ‘রিজার্ভ কারেন্সি’ হিসেবে বিবেচনার ভিত্তিটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক মূল্যসূচক আশ্চর্যজনকভাবে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়। যদিও আমদানির ওপর নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ জুনে সুদের হার কমানো শুরু করবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ০ দশমিক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার মাধ্যমে ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও সত্তরের দশকে সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তবুও ডলারের প্রভাব অটুট ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য ও মুদ্রাবাজারে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ট্রাম্প একদিকে শুল্ক আরোপ করছেন, আবার সেগুলো বাতিল করছেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে ইতোমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলার হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে, আর বাজারে নেমেছে ভয়াবহ ধস।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষক তাই ওয়াং বলেন, সোনার দামে ছোটখাটো সংশোধন আসতে পারে, কিন্তু সামনের পথটা মূলত ঊর্ধ্বমুখী। কারণ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় কমার ফলে ফেড সুদের হার কমাতে পারবে, যা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
সুদ না পাওয়া সোনা সাধারণত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির সময়ে ভালো ফল দেয়। আবার সুদের হার কম থাকলে সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি।
এএনজেড গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড ইয়েটসেঙ্গা জানিয়েছেন, পরবর্তী ৯০ দিনে কী হয় তা যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের আর্থিক কৌশল প্রধান মার্টিন হোয়েটন বলেন, এই সপ্তাহে ডলারের বড় ধরনের পতন, মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড বেড়ে যাওয়া ও সিকিউরিটি স্প্রেডের অস্বাভাবিক আচরণ—সব মিলিয়ে বোঝা যায় ডলার এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বে আর নিরাপদ অর্থনৈতিক ঠিকানা না থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোও তাদের অর্থ সেখানে রাখতে আগ্রহ হারাবে। এমনকি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ নেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের যা দিতে হচ্ছে, সেটা ইতালি, স্পেন বা গ্রিসের চেয়েও বেশি।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। ইন্দোসুইজ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের এশিয়া প্রধান কৌশলবিদ ফ্রান্সিস ট্যান বলছেন, যখন সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, শুল্ক হার নির্ধারিত হবে এবং আর কোনো পিছুটান থাকবে না, তখন ডলার আবারও শক্তিশালী হবে।
তবুও, ডলারের নিরাপত্তা হারানো মানে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য খারাপ খবর। কারণ, এতে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা বন্ড ও শেয়ারবাজার উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশিরা মার্কিন শেয়ার ও বন্ডে মোট ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
জেফারিস ব্যাংকের গ্লোবাল ইকুইটি কৌশল প্রধান ক্রিস উড বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা, তা যেন বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিদেশি মূলধনের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল।
তবে সোনার দামে ঊর্ধ্বগতির একটি সীমা রয়েছে বলে মনে করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ইউবিএস। তাদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস, বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হলে সোনার দামের গতি থমকে যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভারের (রূপা) দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৩২ দশমিক ১৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৯৩৬ দশমিক ৩৬ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯১৪ দশমিক ৮৭ ডলার হয়েছে।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপরও।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপরও।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপরও।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপরও।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
২৩ মিনিট আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে