Ajker Patrika

শেয়ারবাজার থেকে উবে যাচ্ছে বিনিয়োগ, বাড়ছে ক্ষোভ

  • গতকাল এক দিনে সূচক কমেছে প্রায় ৩%। 
  • টানা পতনে সূচক ৪ বছর আগের অবস্থানে। 
  • কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা।
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
আড়াই মাসে ১৭ শতাংশ সূচকের পতন হয়েছে। পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে প্রায় ১০%। পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা নেমেছেন রাস্তায়। পুঁজিবাজার সংস্কারের দাবিতে গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আড়াই মাসে ১৭ শতাংশ সূচকের পতন হয়েছে। পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে প্রায় ১০%। পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীরা নেমেছেন রাস্তায়। পুঁজিবাজার সংস্কারের দাবিতে গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দীর্ঘদিনের অনিয়মের বলি দেশের পুঁজিবাজার। এখন এর খেসারত দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। লাগাতার দরপতনে পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা তাঁরা। গত আড়াই মাসে ১৭ শতাংশ সূচক পতনের সঙ্গে পুঁজিবাজারের মূলধন কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। পুঁজি হারানোর এই মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রক ও কর্তৃপক্ষের তরফে পর্যাপ্ত বা দৃশ্যমান উদ্যোগ না দেখে ক্ষোভ বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। 

এ পরিস্থিতিতেও আশার কথা বলছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেশ লম্বা সময় ধরে পুঁজিবাজার পতনমুখী রয়েছে। গত ১৫ বছরের মধ্যে বাজার এখন অবমূল্যায়িত। অন্যদিকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতি অনেকটা কমে এসেছে। সামগ্রিক অর্থনীতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। এসবের সঙ্গে পুঁজিবাজারও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে। এই জায়গায় শেয়ার কেনার চাপ আসবে। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে।’ 

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে চরম পর্যায়ের কারসাজি, ভালো কোম্পানির অভাব, খারাপ কোম্পানির তালিকাভুক্তি, সরকারসংশ্লিষ্টদের সুবিধা প্রদান, অপরাধের শাস্তি না হওয়ার মতো নানা অনিয়ম ছিল প্রাত্যহিক ঘটনা। এসবের মধ্যে দরপতন ঠেকাতে কৃত্রিম পদ্ধতি হিসেবে আরোপ করা হয়েছিল ফ্লোর প্রাইস। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রকৃতি বিকৃত করা হয়। তবে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এরপরই বড় পতনের মুখে পড়ে দেশের পুঁজিবাজার। বিষয়টি সবাই মেনেও নেন বাজার সংশোধনের অংশ হিসেবে। মাঝখানে কিছুটা আশা দেখা গেলেও সেই দরপতন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পুঁজিবাজার। 

এই অবস্থায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুঁজিবাজার নিয়ে রঙিন স্বপ্ন বুনেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। নতুন সরকার, নতুন কমিশন। আশা ছিল, নানামুখী উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার। শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ৫ আগস্টের পর টানা চার কর্মদিবসে ডিএসইর সূচক বাড়ে ৭৮৬ পয়েন্ট। তবে এরপর বিনিয়োগকারীর হাসি উবে যায় লাগাতার দরপতনে। 

গতকালও বড় পতন, কমিটি গঠন 
পতনে পতনে এখন পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থাহীনতা এমন পর্যায়ে ঠেকেছে যে, গত দুই মাসের মধ্যেই কয়েকবার শতাধিক পয়েন্টের বেশি সূচক কমেছে। গতকাল এক দিনেই কমেছে প্রায় দেড় শ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশের কাছাকাছি। এর মধ্য দিয়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের অবস্থান নেমেছে চার বছরে আগের স্থানে। এমন পরিস্থিতির জন্য বিনিয়োগকারীরা আঙুল তুলেছেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার দিকে। 

ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ৩৪১টির, বেড়েছে ২৯টির। ২৬টির দর অপরিবর্তিত থাকে। এতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯১ শতাংশ। সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে। সূচকের অবস্থান এর চেয়ে কম ছিল ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর। ওই দিন ৪ হাজার ৯৩৪ পয়েন্টে নেমেছিল সাধারণ সূচক। 

অবশ্য টানা দরপতনকে অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে মনে করছে বিএসইসি। তাই গতকাল দরপতনের কারণ তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি। বড় পতনের কারণ, বাজার অস্থিতিশীল করতে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করতে কমিটিকে ১০ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। 

ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা রাজপথে
দরপতনের প্রতিবাদ ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে চলতি অক্টোবরের শুরু থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি পালন করে আসছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। ৩ অক্টোবর বিএসইসিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। গতকালও রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেন বিনিয়োগকারীরা। আজ সোমবার ফের মতিঝিলে ডিএসইর পুরোনো ভবনের সামনে কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 

বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে আমার পোর্টফোলিও প্রায় ৫০ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। কী যে করব, কী করা উচিত—বুঝতে পারছি না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টক এক্সচেঞ্জ তাদের দায়িত্ব পালন করছে বলে মনে হচ্ছে না?’ 

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের একাংশের সভাপতি এ কে এম মিজান-উর-রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘১৫ বছরে অসুস্থ কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে এনে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যতগুলো কোম্পানির শেয়ার ইস্যুমূল্যের নিচে অবস্থান করছে, তাদের প্রত্যেককে ধরে বিনিয়োগকারীর টাকা উদ্ধার করে দিতে হবে। তবেই বাজার আস্থা ও আপন গতি ফিরে পাবে। তা ছাড়া আর উপায় নেই।’

কেন এমন হচ্ছে? 
আতঙ্ক ও আস্থাহীনতাই চলমান দরপতনের কারণ বলে জানান মিডওয়ে সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশেকুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অবশ্যই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং গত ১৫ বছরের অনিয়মের প্রতিফলন আছে। এর সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি। আবার যাঁরা মার্জিন ঋণ নিয়ে শেয়ার কিনেছিলেন, তাঁদেরকে ফোর্সড সেলের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।’ 

আশেকুর রহমানের মতে, ‘বাজারে আস্থা বড় ইস্যু। গত দু-তিন দিন থেকে ভালো শেয়ারের দামও পড়ে গেছে। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীরা আস্থা থেকে অনেকখানি দূরে চলে গেছেন। এখন তাঁরা সব শেয়ার বিক্রি করে পুঁজি যতটুকু সম্ভব রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সহসভাপতি রিয়াদ মতিন বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক অবস্থাও এখন পর্যন্ত ঠিক হয়ে আসেনি। বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সম্প্রতি সংবিধান, রাষ্ট্রপতি ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থিতিশীল, সেটা বলতে পারছি না।’ 

তবে আশার কথা বলছেন ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যখন সংকট ছিল, সবাই চুপ ছিল। কিন্তু এখন ধৈর্য ধরার সময়ে অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকিং খাত অনেকটা গুছিয়ে এসেছে। তবে পুঁজিবাজারের সংস্কার চলছে। এর সুফল পাব।’

বিএসইসি ও ডিএসই যা বলছে
বর্তমান দরপতনের কারণ হিসেবে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারের এই অবস্থা দীর্ঘদিনের ভুল সিদ্ধান্ত, অনিয়মের কারণে। এখন এগুলো ঠিক করা বা নীতিগত অসংগতি দূর করতে সময় লাগছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব কাজ যে দীর্ঘ মেয়াদে করছি, তা নয়। স্বল্প মেয়াদেও বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু সুবিধা কীভাবে আদায় করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করছি। আজকে (গতকাল) সকালেও আমরা প্রতিনিধিদলসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করেছি।

ব্যক্তিগত করদাতার ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর, লেনদেনের ওপর কর, ব্রোকারেজ হাউসের লোকসান কমানোর জন্য অগ্রিম কর (এআই) কীভাবে সমন্বয় করা যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই কিছু ইতিবাচক প্রভাব আসবে।’ 

বিএসইসি কী কাজ করছে—এমন প্রশ্নে সংস্থার মুখপাত্র রেজাউল করিমের বক্তব্য, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও তারল্য বৃদ্ধির জন্য কমিশন কাজ করছে। আগামীতেও করবে। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তাঁদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এসব সুপারিশ সুনির্দিষ্টভাবে বিন্যস্ত করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়াও পুঁজিবাজারে তারল্য বাড়ানোর জন্য আইসিবির সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের কাছে আর্থিক বরাদ্দের জন্য কমিশনের পক্ষ থেকেও সুপারিশ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন: কোটিপতি হিসাব বাড়ছেই

  • জুন প্রান্তিকে বৃদ্ধি ৫,৯৭৪টি।
  • সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে বেড়েছে ৭৩৪টি।
  • হিসাবে জমা কমেছে ৫৯,২০৯ কোটি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে থাকলেও ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহকের হিসাব সংখ্যা বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, এক প্রান্তিক থেকে আরেক প্রান্তিকে এই গ্রাহকের হিসাব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ-জুনে কোটিপতি গ্রাহক বেড়েছিল ৫ হাজার ৯৭৪টি। এরপর ইসলামি ধারার পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হওয়া, আমানত তোলার হিড়িক এবং আস্থার ঘাটতির পরিবেশ তৈরি হলেও এই বৃদ্ধির ধারা থেমে যায়নি। গতি কিছুটা কমলেও প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জুন-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকেও ব্যাংক খাতে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েছে আরও ৭৩৪টি।

তথ্যমতে, চলতি বছরের জুন প্রান্তিক শেষে মোট কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি, যা সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। এর আগে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে কোটি টাকার বেশি আমানত থাকা হিসাবধারী ১ লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি, যা জুন প্রান্তিকে দাঁড়ায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খাতের এ হিসাবই বলে দিচ্ছে, দেশে বড় রকমের আয় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে; যা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। বৈষম্য না কমলে অর্থনীতির গতি বাধাগ্রস্ত হবে।

এদিকে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা বাড়লেও আগের তুলনায় কমেছে ওই সব হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের জুন শেষে কোটি টাকার হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৮০ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে এসব হিসাবে জমা কমেছে ৫৯ হাজার ২০৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ, ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক অ্যাকাউন্টও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব সংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০টি। অর্থাৎ

তিন মাসে ব্যাংক খাতের মোট হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৯টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের আয় বাড়ছে। ব্যাংকের সংখ্যা বেড়েছে। এসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তো কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। এমন প্রবণতা অর্থনীতির জন্য ভালো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পেঁয়াজ আমদানি: রাতারাতি পাইকারিতে দাম কমেছে কেজিতে ২৫ টাকা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে দাম বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। সেই অনুমোদনের পরদিনই গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে এক রাতের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।

গতকাল রোববার সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শনিবার বিকেলেও ছিল ১৩০ টাকা। ছোট আকারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়, যেখানে আগের দিন ছিল ১১৫-১২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দাম সামান্য কমেছে। গতকাল বিভিন্ন খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকায়, যেখানে শনিবার ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।

বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, আমদানির সঙ্গে সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও বাজারে আসছে। এতে দাম দ্রুতই কমে যাবে। গতকাল দিনভর শ্যামবাজারে পাইকারিতে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে সকালে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও বিকেলে কমে ৬৫ টাকা কেজিতে নেমে আসে, যা শনিবার ৭৫-৯০ টাকা ছিল।

শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, পেঁয়াজের বাজার এখন অনেকটাই হুজুগনির্ভর। এলসির পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি, হয়তো রাতে আসবে। তবে আমদানির খবর পেয়েই পাইকাররা দাম কমিয়ে দিয়েছেন। নতুন পেঁয়াজ আসাও দাম কমার বড় কারণ।

এদিকে দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে গতকাল। বিকেল ৪টায় দিনাজপুরের হিলি দিয়ে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ এসেছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিলির কাঁচাবাজারেও দাম কমেছে। দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে ১০০, আর শুকনো মানের দেশি পেঁয়াজ কমেছে ২০ টাকা। বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, যেখানে আগের দিন দাম ছিল ১৩০ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেক্সিমকো সুকুক: মূলধন ফেরত অনিশ্চিত, মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ আইসিবির

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বেক্সিমকো সুকুক: মূলধন ফেরত অনিশ্চিত, মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ আইসিবির

বেক্সিমকো গ্রিন সুকুকের মূলধন ফেরত দেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাই ২০২৬ সালে পরিশোধযোগ্য এই সুকুকের মেয়াদ আরও পাঁচ থেকে ছয় বছর বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

২০২১ সালে শরিয়াহভিত্তিক এই সুকুকের মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলেছিল বেক্সিমকো। অর্থায়নের লক্ষ্য ছিল তিস্তা (২০০ মেগাওয়াট) ও করতোয়া (৩০ মেগাওয়াট) সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণ এবং টেক্সটাইল ইউনিট সম্প্রসারণ। কিন্তু একাধিক বাধায় প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে যায়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট এখনো চালু হয়নি, আর ব্যয় বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে; ফলে নির্ধারিত সময়ে সুকুকের দায় শোধ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আইসিবি জানিয়েছে, ২০১৯ সালে ডলারের রেট ছিল ৮৬ টাকা; পরে ডলারের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে এবং তহবিল ঘাটতি তৈরি হয়। এর ফলে কাজ পিছিয়েছে। এখন নতুন বিনিয়োগকারী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে সুকুকধারীদের প্রতি ছয় মাসে ১২৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয় বেক্সিমকোর। আয় হচ্ছে মূলত তিস্তা সোলার প্ল্যান্ট থেকে, যেখানে বিপিডিবি মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা দেয়। করতোয়া প্ল্যান্ট বন্ধ থাকায় প্রত্যাশিত আয় পাওয়া যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুলাইয়ে আইসিবির কাছে সংশোধিত নিষ্পত্তি পরিকল্পনা চায়। সমস্যা সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে ২০৩১ সাল বা প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে তা ২০৩২ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে আইসিবির গঠিত ২১ সদস্যের কার্যকরী কমিটি। গত মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপারিশে দুটি সময়সীমার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বলা হয়, করতোয়া প্ল্যান্ট দ্রুত চালু হলে সুকুকের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে ২০৩১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর যদি প্রকল্পে আরও দেরি হয়, তাহলে মেয়াদ নিতে হবে ২০৩২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এ বিষয়ে আইসিবির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কমিটির প্রধান মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংক নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৪২ শতাংশ, দ্বিগুণ হলো পরিশোধের চাপ

  • পাঁচ বছরে সুদাসল পরিশোধ প্রায় দ্বিগুণ।
  • চাপ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দেশের তালিকায় দেশ।
  • বিদেশি ঋণছাড়ের অঙ্ক তেমন বাড়েনি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি ঋণের ওপর বাংলাদেশের নির্ভরতা অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ। বিদেশি ঋণের পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের চাপ। সব মিলিয়ে বিদেশি ঋণের কিস্তি আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশকে ঋণ ব্যবস্থাপনায় চাপ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের ‘ইন্টারন্যাশনাল ডেট রিপোর্ট ২০২৫’-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৪৪৮ কোটি ডলারে। পাঁচ বছর আগে এটি ছিল ৭ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প—পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, বিমানবন্দরের টার্মিনালসহ বিভিন্ন বড় প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ায় ক্রমেই চাপ বাড়ছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশকে ২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হয়েছিল ৩৭৩ কোটি ডলার। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৩৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ পাঁচ বছরেই অঙ্কটি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

তবে বিদেশি ঋণছাড়ের অঙ্ক তেমন বাড়েনি। ২০২৪ সালে ঋণছাড় হয়েছে ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার, যা ২০২০ সালের ১ হাজার ২২ কোটি ডলার থেকে সামান্য বেশি।

অর্থনীতিবিদেরা বলেন, করোনার পর থেকে বিদেশি ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ও ঋণ পরিশোধের চাপ—দুটোই বাড়ছে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, উন্নয়ন-সহযোগীদের দেওয়া নতুন ঋণে আগের তুলনায় গ্রেস পিরিয়ড কমছে, সুদের হার বাড়ছে আর অন্যান্য শর্তও কঠিন হচ্ছে। ফলে ঋণের দায় অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। চাপ কমাতে রপ্তানি আয় বাড়ানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সহায়তা করবে—বিদেশি ঋণের অর্থ এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে রপ্তানির তুলনায় বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯২ শতাংশ। একই বছরে মোট ঋণ পরিষেবার পরিমাণ রপ্তানির ১৬ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ওপর ঋণ পরিশোধের চাপ দ্রুত বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের আইডিএ থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ঋণ পায়। আইডিএর মোট ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশ যায় বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া ও পাকিস্তানে।

বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের ২৬ শতাংশই এসেছে বিশ্বব্যাংক থেকে। বড় ঋণদাতা হিসেবে এরপর রয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও জাপান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত