Ajker Patrika

মালয়েশিয়ার হালাল শিরোপা কেড়ে নিতে পারে বৌদ্ধ থাইল্যান্ড

আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ১৭: ৪১
মালয়েশিয়ার হালাল শিরোপা কেড়ে নিতে পারে বৌদ্ধ থাইল্যান্ড

করোনা মহামারির পর থেকে অর্থনীতির চাকা সচল করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে পর্যটননির্ভর অর্থনীতির দেশ থাইল্যান্ড। মুসলিম পর্যটক টানতে হালাল খাবার ও রেস্তোরাঁর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটি। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার ‘হালাল শিরোপা’ ধরে রাখা প্রতিবেশী মুসলিমপ্রধান মালয়েশিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে বৌদ্ধপ্রধান থাইল্যান্ড। হালাল খাবারের বাজার বিকশিত হলে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙা হবে বলে দেশটির আশা। 

তবে মালয়েশিয়াকে টেক্কা দেওয়া অতটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, মুসলিম দেশ ও পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে থাইল্যান্ড। কেননা হালাল পণ্য বিক্রির সনদ জালিয়াতি করে বা মান নিয়ন্ত্রণ না করে বাজারে নকল হালাল পণ্য বিক্রি হতে পারে। সেক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে থাই সরকারের এই উদ্যোগ। তাছাড়া, মুসলিম দেশ হিসেবে মালয়েশিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হালাল বাজারের সুদৃঢ় ভিত্তি আছে।      

চলতি বছরের জুলাই মাসে থাই সরকার ‘হালাল শিল্প’ পরিকল্পনা উন্মোচন করেছে, যার লক্ষ্য থাই পণ্যের প্রচার এবং এ শিল্পের মানকে শক্তিশালী করা। চার বছর মেয়াদি এ পরিকল্পনার আওতায় একটি থাই দ্বীপকে ‘হালাল উপত্যকা’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটি থাইল্যান্ডের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণের কোনো প্রদেশ হতে পারে। এ পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

222আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ এবং ইন্টেলিজেন্ট রিসার্চ কনসালটেন্সি কোম্পানির উপদেষ্টা আত পিসানওয়ানিচ আল-জাজিরাকে বলেন, খাদ্য, পানীয় ও কৃষি খাতে থাইল্যান্ডের শক্ত ভিত্তি থাকলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হালাল খাদ্যের বাজার হিসেবে ‘শিরোপা’ দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ার দখলে। মুসলিমপ্রধান দেশ হওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটকদের কাছে দেশটির বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। এমন আস্থা ও স্বীকৃতি পেতে থাইল্যান্ডের বেশ সময় লাগবে। 

ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, থাইল্যান্ডে হালাল সনদধারী প্রায় ১৫ হাজার কোম্পানি ১ লাখ ৬৬ হাজার পণ্য বাজারজাত করে। আর হালাল রেস্তোরাঁ রয়েছে  ৩ হাজার ৫০০টি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোতে হালাল পণ্য রপ্তানিতে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পরেই থাইল্যান্ডের অবস্থান। 

সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম আট মাসে ওআইসি দেশগুলোর বাজারে চিনি, চাল এবং হিমায়িত মুরগিসহ অন্যান্য হালাল পণ্য রপ্তানি করে প্রায় ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ৪১০ কোটি ডলার আয় করেছে থাইল্যান্ড। দেশটির প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ। হালাল পণ্যের বিকাশমান চাহিদাকে কাজে লাগাতে সংখ্যালঘু মুসলিম দেশগুলোকে অনুসরণ করছে দেশটি। 

হালাল অর্থনীতি বিষয়ে ওআইসির ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, হালাল পণ্যের বৃহত্তম রপ্তানিকারক ব্রাজিল, চীন, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ওআইসিবহির্ভূত দেশগুলো। ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর আমদানির মোট ৮০ শতাংশেরও বেশি এসেছে এসব দেশ থেকে। 

333২০৬০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে মুসলিমদের সংখ্যা ৩ বিলিয়ন বা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ হবে বলে ওআইসির প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

থাই মুসলিম ব্যবসায়ীদের সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ গানসুন আল জাজিরাকে বলেন, থাইল্যান্ড হলো সরবরাহের কেন্দ্র। মালয়েশিয়ার মতো মুসলিম দেশগুলোতে যেসব খাদ্য উৎপাদন করা হয়, প্রতিযোগিতা বাড়াতে এখানেও সেসব হালাল খাদ্য উৎপাদন করা হচ্ছে।

গানসুন বলেছেন, থাইল্যান্ডের এ যাত্রায় সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক রাস্তার পাশের খাবারের দোকানগুলো। এসব দোকান ভুয়া হালাল সনদ লাগিয়ে থাইল্যান্ডের ওপর মুসলিম পর্যটকদের আস্থা বিনষ্ট করতে পারে। 

মাস্টারকার্ড-ক্রিসেন্ট্রেটিং গ্লোবাল মুসলিম ট্রাভেল ইনডেক্সের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মুসলিমবান্ধব গন্তব্যের মধ্যে নন-ওআইসি ক্যাটাগরিতে থাইল্যান্ড নেতৃস্থানীয়। এছাড়া সামগ্রিকভাবে নন-ওআইসি গন্তব্যের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, তাইওয়ান ও হংকংয়ের পরে মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে দেশটি। 

ওই সূচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের পর বছর ধরে মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। হালাল খাদ্য উৎপাদন ও হালাল পণ্য পরিবেশনায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে দেশটি মুসলিম সম্প্রদায়ের উপকার করেছে। প্রায় সবখানে বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য পর্যটন হটস্পটগুলোতে হালাল খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। 

ফুয়াদ গানসুন আরও বলেন, প্রতুনামে (ব্যাংককের পাইকারি বাজার) যদি অপারেটররা হালাল খাবার বিক্রি না করে, তবে তাদের গ্রাহক— যারা বেশির ভাগই পর্যটক— অর্ধেক কমে যেতে পারে। পর্যটকেরা থাইল্যান্ডে ভ্রমণে আস্থা রাখে। বেশির ভাগ মুসলিম পর্যটকেরা রাস্তার খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকেন। তবে কখনো কখনো শপিং মলেও এটি ঘটে।’ 

44তিনি বলেন, জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড চেইনসহ কিছু বড় খাদ্য কোম্পানি হালাল পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিছু ফ্রায়েড চিকেনের দোকান দেখে মনে হতে পারে, এটি অপচয়ের বিনিয়োগ। কিন্তু অর্থনৈতিক সুবিধা নিতে চাইলে এমন ধারণা পোষণ ভুল হবে। কারণ, থাইল্যান্ড পর্যটনের শীর্ষ দেশ হতে চাইলে এমন মনোভাব বাধা হয়ে দাঁড়াবে। 

থাইল্যান্ডের প্রধান মুরগি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সাহা ফার্মস। হালাল সনদ অর্জনে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রচেষ্টা চালিয়েছে, তাঁদের অন্যতম এটি। সাহা ফার্মস গ্রুপের রপ্তানি ও বিপণনের সভাপতি জারুওয়ান ছোটতাওয়ান বলেন, হালাল মুরগির চাহিদা থেকেই কোম্পানিটি সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে প্রবেশ করেছে। 

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের মুরগির খাবার ও ঘাস থাইল্যান্ডের হালাল সনদ পাওয়া। উপরন্তু, মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমাদের নিরীক্ষা করা হয়। এ বছর আমরা হালাল ব্র্যান্ডিং জোরদার করতে চাই, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের বিপণন পদ্ধতির অংশ হিসেবে।’ 

থাইল্যান্ডের সেন্ট্রাল ইসলামিক কাউন্সিলের অফিস পরিচালিত ওয়েবসাইট হালাল ডটকম থাইল্যান্ড। এই সাইটে নিত্যপণ্য থেকে শুরু করে মরিচ বাটা, মাছ ভর্তা, বাদামের দুধ ও বাবল গামসহ হাজার হাজার থাই হালাল পণ্য পাওয়া যায়। 

ব্যাংককের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির মতে, হালাল সনদের জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ১০ হাজার বাথ বা ৩০০ ডলার খরচ করতে হয়। এছাড়াও পর্যায়ক্রমিক সনদ যাচাই, সনদের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ কাগজপত্রের জন্য বাড়তি ফি নেওয়া হয়। 

পিসানওয়ানিচ বলেন, ‘হালাল সার্টিফিকেট থাকা যুক্তিযুক্ত। কিন্তু থাইল্যান্ড রাতারাতি ‘হালাল হাব’ হিসেবে মুসলিম পর্যটকদের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারবে না।’

আল–জাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন আবদুল বাছেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

‘জুলাইকে জামায়াতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে’, তাজনূভার দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট

প্রথমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ছয় মাসে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’

সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

‘জুলাইকে জামায়াতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে’, তাজনূভার দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট

প্রথমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এনবিআর কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে টাকা দাবি, সতর্কবার্তা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’

জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

‘জুলাইকে জামায়াতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে’, তাজনূভার দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট

প্রথমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল আরও ৫৭ হাজার টন গম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম নিয়ে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে। আজ রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় নগদ ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে এই গম আমদানি করা হয়েছে। জি-টু-জি চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোট ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রথম চালানে ৫৬ হাজার ৮৯০ টন গম দেশে এসেছে। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ১৩৪ টন চট্টগ্রাম বন্দরে এবং অবশিষ্ট ২২ হাজার ৭৫৬ টন মোংলা বন্দরে খালাস করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গমের নমুনা পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগে আরেক চুক্তিতে (জি-টু-জি) এরই মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

‘জুলাইকে জামায়াতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে’, তাজনূভার দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট

প্রথমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের হাতে উপহার হস্তান্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪৪
ওয়ালটন পণ্য কিনে ফ্রিজ, টিভি উপহার পাওয়া ক্রেতাদের সঙ্গে চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
ওয়ালটন পণ্য কিনে ফ্রিজ, টিভি উপহার পাওয়া ক্রেতাদের সঙ্গে চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ইলেকট্রনিকস ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২৩-এ দেশজুড়ে ওয়ালটন পণ্য কিনে গ্রাহকেরা পাচ্ছেন সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাইড বাই সাইড ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ফ্রি এবং নিশ্চিত উপহার। গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন অসংখ্য ক্রেতার হাতে উপহারের পণ্য তুলে দিচ্ছে ওয়ালটন।

এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলের ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম থেকে ফ্রিজ ও টিভি কিনে ফ্রি পাওয়া সাইড বাই সাইড ফ্রিজ ও স্মার্ট টিভি ৯ ক্রেতার হাতে তুলে দিয়েছে ওয়ালটন। পণ্য ফ্রি পাওয়া ক্রেতারা হচ্ছেন পটিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, বাঁশখালীর রহিমা আক্তার, ফটিকছড়ির জহির উদ্দীন, রাউজানের অরুণ কান্তি দাস, লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জের কবির হোসেন, মিরসরাইয়ের মো. আছলাম, রাঙামাটির যতীন চাকমা, দোহাজারীর জাকির হোসেন ও সীতাকুণ্ডের মো. জোবায়ের।

গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দরনগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সৌভাগ্যবান ক্রেতাদের হাতে উপহার তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান।

উপহারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে আমিন খান বলেন, দেশের কোটি কোটি গ্রাহকের, ক্রেতার আস্থা ও ভালোবাসায়ই ওয়ালটন দেশের শীর্ষ ও টেক জায়ান্ট হয়ে উঠেছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিকস খাতের আমদানিনির্ভরতা ব্যাপক হারে কমায় সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশীয় শিল্প খাত। দেশীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে সবাইকে দেশীয় পণ্য ক্রয় ও ব্যবহারের আহ্বান জানান তিনি।

আমিন খান জানান, ওয়ালটনের গুণগত মানের পণ্য শুধু দেশীয় ক্রেতাদেরই নয়; বৈশ্বিক ক্রেতাদেরও আস্থা ও মন জয় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য এখন বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে রপ্তানি ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের টার্গেট নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানে সাধারণ ক্রেতাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপহারের পণ্য তুলে দেওয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানান বিজয়ীরা।

কর্মকর্তারা জানান, সিজন-২৩-এর আওতায় ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন ও বিএলডিসি ফ্যান কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর ক্রেতাদের মোবাইলে ওয়ালটন থেকে উপহার পাওয়ার এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ালটনের ক্রেতাদের জন্য তৈরি ‘আমার আওয়াজ’ মোবাইল অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারী ক্রেতাদের জন্যও এবারের ক্যাম্পেইনে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা থাকছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপিসহ ১০ দলের জোট ঘোষণা করলেন জামায়াতের আমির

দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে মনোনয়নপত্র নিলেন বিএনপির আরেক নেতা

সমঝোতায় পৌঁছেছি, আমরা জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব: নাহিদ ইসলাম

‘জুলাইকে জামায়াতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে’, তাজনূভার দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট

প্রথমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত