আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্ববাণিজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইইউও চাচ্ছে ভারত গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান চড়া শুল্ক তুলে দিক কিংবা উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনুক। ভারতের জন্য এই মুহূর্তে বিষয়টি কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত সিদ্ধান্তও বটে। একদিকে দেশীয় গাড়ি শিল্পের স্বার্থরক্ষা, অন্যদিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা। এই টানাপোড়েনের মধ্যে দিল্লি জানিয়েছে, তারা ইইউকে আগের চেয়ে ভালো প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারও আলোচনার টেবিলে আগের চেয়ে ভালো প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
ভারত সরকারের একজন কর্মকর্তা ও শিল্পসংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে শতভাগেরও বেশি থাকা আমদানি শুল্ক ধাপে ধাপে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে ভারত রাজি হয়েছে। যদিও দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা অন্তত ৩০ শতাংশ শুল্ক রাখার পক্ষে এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) আমদানিতে আরও চার বছর কোনো শুল্কছাড় না দিতে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
ইইউর এমন দাবি এল এমন একসময়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনও ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনায় গাড়ি ও ইভি আমদানিতে শুল্ক সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন।
এই শুল্কছাড় কার্যকর হলে ভক্সওয়াগেন, মার্সিডিজ-বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউর মতো ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতাদের জন্য ভারতের বাজার আরও উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি উপকৃত হবে ইলন মাস্কের টেসলাও, যাদের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি এ বছর ভারতে আমদানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সম্ভবত বার্লিনের কারখানা থেকে।
ভারতের এক শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলে, ইইউ আবার নতুন করে বিনা শুল্কে বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, আর ভারতও এবার আরও ভালো কিছু দিতে চায়।
সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে এক বৈঠকে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইইউর দাবি ও ভারতের অবস্থান দেশটির ভারী শিল্প মন্ত্রণালয় ও গাড়ি শিল্পের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেছে।
আলোচনাগুলো এখনো চলমান ও গোপন হওয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে ওই তিন সূত্র।
ইউরোপীয় কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও গত মার্চের আলোচনার সারসংক্ষেপ বিনিময় করেছে। কমিশনের বাণিজ্য মুখপাত্র ওলোফ গিল এক বিবৃতিতে বলেন, মূল কিছু বিষয়ে ইইউ-ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্য ভিন্ন। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আকাঙ্ক্ষার মাত্রাও ভিন্ন।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা গাড়ি নির্মাতাদের সংগঠন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (এসআইএএম) এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ভারতের সুরক্ষিত গাড়ি বাজার
ভারতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত গাড়ির বাজার। দেশীয় গাড়ি নির্মাতাদের আশঙ্কা, শুল্ক বড় পরিসরে কমিয়ে দিলে আমদানি করা গাড়ি তুলনামূলক সস্তা হয়ে যাবে, তখন এ শিল্পে স্থানীয় বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বিশেষ করে, টাটা মোটরস ও মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার মতো কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। কোম্পানি দুটি ইভি আমদানিতে শুল্কছাড়ের ঘোর বিরোধিতা করছে।
ভারতের গাড়িশিল্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথম ধাপে সীমিতসংখ্যক পেট্রলচালিত গাড়ির শুল্ক ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে তা ৩০ শতাংশে নামানোর আশ্বাস দিয়েছে। তবে ইভির ক্ষেত্রে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক না কমানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। এরপর সীমিত পরিমাণ আমদানির ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে শুল্ক ৩০ শতাংশে নামানোর কথা বলা হয়েছে।
ভারত এরই মধ্যে ইইউকে ১০ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব দিয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ ও মন্দার আশঙ্কায় উভয় পক্ষই আলোচনায় কিছুটা নমনীয় হতে পারে।
ভারত ও ইইউ কয়েক বছর ধরে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় আছে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ আলোচনা চূড়ান্ত করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্টা গত সপ্তাহে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা এখনোই জোর দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার সময়।
প্রথম ভারতীয় সূত্র বলে, ‘ইইউ যদি এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে চাপে থাকে, তাহলে আমাদের দেখা উচিত, কীভাবে আমরা সেটা কাজে লাগাতে পারি। সবই নির্ভর করছে দর–কষাকষির ওপর।’

বিশ্ববাণিজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইইউও চাচ্ছে ভারত গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান চড়া শুল্ক তুলে দিক কিংবা উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনুক। ভারতের জন্য এই মুহূর্তে বিষয়টি কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত সিদ্ধান্তও বটে। একদিকে দেশীয় গাড়ি শিল্পের স্বার্থরক্ষা, অন্যদিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা। এই টানাপোড়েনের মধ্যে দিল্লি জানিয়েছে, তারা ইইউকে আগের চেয়ে ভালো প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারও আলোচনার টেবিলে আগের চেয়ে ভালো প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
ভারত সরকারের একজন কর্মকর্তা ও শিল্পসংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে শতভাগেরও বেশি থাকা আমদানি শুল্ক ধাপে ধাপে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে ভারত রাজি হয়েছে। যদিও দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা অন্তত ৩০ শতাংশ শুল্ক রাখার পক্ষে এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) আমদানিতে আরও চার বছর কোনো শুল্কছাড় না দিতে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
ইইউর এমন দাবি এল এমন একসময়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনও ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনায় গাড়ি ও ইভি আমদানিতে শুল্ক সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন।
এই শুল্কছাড় কার্যকর হলে ভক্সওয়াগেন, মার্সিডিজ-বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউর মতো ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতাদের জন্য ভারতের বাজার আরও উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি উপকৃত হবে ইলন মাস্কের টেসলাও, যাদের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি এ বছর ভারতে আমদানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সম্ভবত বার্লিনের কারখানা থেকে।
ভারতের এক শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলে, ইইউ আবার নতুন করে বিনা শুল্কে বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, আর ভারতও এবার আরও ভালো কিছু দিতে চায়।
সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে এক বৈঠকে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইইউর দাবি ও ভারতের অবস্থান দেশটির ভারী শিল্প মন্ত্রণালয় ও গাড়ি শিল্পের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেছে।
আলোচনাগুলো এখনো চলমান ও গোপন হওয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে ওই তিন সূত্র।
ইউরোপীয় কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও গত মার্চের আলোচনার সারসংক্ষেপ বিনিময় করেছে। কমিশনের বাণিজ্য মুখপাত্র ওলোফ গিল এক বিবৃতিতে বলেন, মূল কিছু বিষয়ে ইইউ-ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্য ভিন্ন। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আকাঙ্ক্ষার মাত্রাও ভিন্ন।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা গাড়ি নির্মাতাদের সংগঠন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (এসআইএএম) এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ভারতের সুরক্ষিত গাড়ি বাজার
ভারতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত গাড়ির বাজার। দেশীয় গাড়ি নির্মাতাদের আশঙ্কা, শুল্ক বড় পরিসরে কমিয়ে দিলে আমদানি করা গাড়ি তুলনামূলক সস্তা হয়ে যাবে, তখন এ শিল্পে স্থানীয় বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বিশেষ করে, টাটা মোটরস ও মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার মতো কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। কোম্পানি দুটি ইভি আমদানিতে শুল্কছাড়ের ঘোর বিরোধিতা করছে।
ভারতের গাড়িশিল্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথম ধাপে সীমিতসংখ্যক পেট্রলচালিত গাড়ির শুল্ক ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে তা ৩০ শতাংশে নামানোর আশ্বাস দিয়েছে। তবে ইভির ক্ষেত্রে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক না কমানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। এরপর সীমিত পরিমাণ আমদানির ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে শুল্ক ৩০ শতাংশে নামানোর কথা বলা হয়েছে।
ভারত এরই মধ্যে ইইউকে ১০ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব দিয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ ও মন্দার আশঙ্কায় উভয় পক্ষই আলোচনায় কিছুটা নমনীয় হতে পারে।
ভারত ও ইইউ কয়েক বছর ধরে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় আছে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ আলোচনা চূড়ান্ত করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্টা গত সপ্তাহে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা এখনোই জোর দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার সময়।
প্রথম ভারতীয় সূত্র বলে, ‘ইইউ যদি এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে চাপে থাকে, তাহলে আমাদের দেখা উচিত, কীভাবে আমরা সেটা কাজে লাগাতে পারি। সবই নির্ভর করছে দর–কষাকষির ওপর।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্ববাণিজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইইউও চাচ্ছে ভারত গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান চড়া শুল্ক তুলে দিক কিংবা উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনুক। ভারতের জন্য এই মুহূর্তে বিষয়টি কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত সিদ্ধান্তও বটে। একদিকে দেশীয় গাড়ি শিল্পের স্বার্থরক্ষা, অন্যদিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা। এই টানাপোড়েনের মধ্যে দিল্লি জানিয়েছে, তারা ইইউকে আগের চেয়ে ভালো প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারও আলোচনার টেবিলে আগের চেয়ে ভালো প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
ভারত সরকারের একজন কর্মকর্তা ও শিল্পসংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে শতভাগেরও বেশি থাকা আমদানি শুল্ক ধাপে ধাপে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে ভারত রাজি হয়েছে। যদিও দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা অন্তত ৩০ শতাংশ শুল্ক রাখার পক্ষে এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) আমদানিতে আরও চার বছর কোনো শুল্কছাড় না দিতে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
ইইউর এমন দাবি এল এমন একসময়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনও ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনায় গাড়ি ও ইভি আমদানিতে শুল্ক সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন।
এই শুল্কছাড় কার্যকর হলে ভক্সওয়াগেন, মার্সিডিজ-বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউর মতো ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতাদের জন্য ভারতের বাজার আরও উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি উপকৃত হবে ইলন মাস্কের টেসলাও, যাদের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি এ বছর ভারতে আমদানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সম্ভবত বার্লিনের কারখানা থেকে।
ভারতের এক শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলে, ইইউ আবার নতুন করে বিনা শুল্কে বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, আর ভারতও এবার আরও ভালো কিছু দিতে চায়।
সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে এক বৈঠকে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইইউর দাবি ও ভারতের অবস্থান দেশটির ভারী শিল্প মন্ত্রণালয় ও গাড়ি শিল্পের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেছে।
আলোচনাগুলো এখনো চলমান ও গোপন হওয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে ওই তিন সূত্র।
ইউরোপীয় কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও গত মার্চের আলোচনার সারসংক্ষেপ বিনিময় করেছে। কমিশনের বাণিজ্য মুখপাত্র ওলোফ গিল এক বিবৃতিতে বলেন, মূল কিছু বিষয়ে ইইউ-ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্য ভিন্ন। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আকাঙ্ক্ষার মাত্রাও ভিন্ন।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা গাড়ি নির্মাতাদের সংগঠন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (এসআইএএম) এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ভারতের সুরক্ষিত গাড়ি বাজার
ভারতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত গাড়ির বাজার। দেশীয় গাড়ি নির্মাতাদের আশঙ্কা, শুল্ক বড় পরিসরে কমিয়ে দিলে আমদানি করা গাড়ি তুলনামূলক সস্তা হয়ে যাবে, তখন এ শিল্পে স্থানীয় বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বিশেষ করে, টাটা মোটরস ও মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার মতো কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। কোম্পানি দুটি ইভি আমদানিতে শুল্কছাড়ের ঘোর বিরোধিতা করছে।
ভারতের গাড়িশিল্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথম ধাপে সীমিতসংখ্যক পেট্রলচালিত গাড়ির শুল্ক ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে তা ৩০ শতাংশে নামানোর আশ্বাস দিয়েছে। তবে ইভির ক্ষেত্রে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক না কমানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। এরপর সীমিত পরিমাণ আমদানির ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে শুল্ক ৩০ শতাংশে নামানোর কথা বলা হয়েছে।
ভারত এরই মধ্যে ইইউকে ১০ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব দিয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ ও মন্দার আশঙ্কায় উভয় পক্ষই আলোচনায় কিছুটা নমনীয় হতে পারে।
ভারত ও ইইউ কয়েক বছর ধরে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় আছে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ আলোচনা চূড়ান্ত করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্টা গত সপ্তাহে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা এখনোই জোর দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার সময়।
প্রথম ভারতীয় সূত্র বলে, ‘ইইউ যদি এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে চাপে থাকে, তাহলে আমাদের দেখা উচিত, কীভাবে আমরা সেটা কাজে লাগাতে পারি। সবই নির্ভর করছে দর–কষাকষির ওপর।’

বিশ্ববাণিজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইইউও চাচ্ছে ভারত গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান চড়া শুল্ক তুলে দিক কিংবা উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনুক। ভারতের জন্য এই মুহূর্তে বিষয়টি কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত সিদ্ধান্তও বটে। একদিকে দেশীয় গাড়ি শিল্পের স্বার্থরক্ষা, অন্যদিকে বৈশ্বিক বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা। এই টানাপোড়েনের মধ্যে দিল্লি জানিয়েছে, তারা ইইউকে আগের চেয়ে ভালো প্রস্তাব দিতে প্রস্তুত।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারও আলোচনার টেবিলে আগের চেয়ে ভালো প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো।
ভারত সরকারের একজন কর্মকর্তা ও শিল্পসংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে শতভাগেরও বেশি থাকা আমদানি শুল্ক ধাপে ধাপে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে ভারত রাজি হয়েছে। যদিও দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা অন্তত ৩০ শতাংশ শুল্ক রাখার পক্ষে এবং বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) আমদানিতে আরও চার বছর কোনো শুল্কছাড় না দিতে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন।
ইইউর এমন দাবি এল এমন একসময়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনও ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আলোচনায় গাড়ি ও ইভি আমদানিতে শুল্ক সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে দেশীয় গাড়ি নির্মাতারা ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছেন।
এই শুল্কছাড় কার্যকর হলে ভক্সওয়াগেন, মার্সিডিজ-বেঞ্জ ও বিএমডব্লিউর মতো ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতাদের জন্য ভারতের বাজার আরও উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি উপকৃত হবে ইলন মাস্কের টেসলাও, যাদের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি এ বছর ভারতে আমদানি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সম্ভবত বার্লিনের কারখানা থেকে।
ভারতের এক শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র বলে, ইইউ আবার নতুন করে বিনা শুল্কে বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে, আর ভারতও এবার আরও ভালো কিছু দিতে চায়।
সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে এক বৈঠকে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইইউর দাবি ও ভারতের অবস্থান দেশটির ভারী শিল্প মন্ত্রণালয় ও গাড়ি শিল্পের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেছে।
আলোচনাগুলো এখনো চলমান ও গোপন হওয়ায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে ওই তিন সূত্র।
ইউরোপীয় কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও গত মার্চের আলোচনার সারসংক্ষেপ বিনিময় করেছে। কমিশনের বাণিজ্য মুখপাত্র ওলোফ গিল এক বিবৃতিতে বলেন, মূল কিছু বিষয়ে ইইউ-ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ও লক্ষ্য ভিন্ন। ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আকাঙ্ক্ষার মাত্রাও ভিন্ন।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কিংবা গাড়ি নির্মাতাদের সংগঠন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (এসআইএএম) এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
ভারতের সুরক্ষিত গাড়ি বাজার
ভারতে বছরে প্রায় ৪০ লাখ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত গাড়ির বাজার। দেশীয় গাড়ি নির্মাতাদের আশঙ্কা, শুল্ক বড় পরিসরে কমিয়ে দিলে আমদানি করা গাড়ি তুলনামূলক সস্তা হয়ে যাবে, তখন এ শিল্পে স্থানীয় বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বিশেষ করে, টাটা মোটরস ও মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার মতো কোম্পানিগুলো বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। কোম্পানি দুটি ইভি আমদানিতে শুল্কছাড়ের ঘোর বিরোধিতা করছে।
ভারতের গাড়িশিল্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথম ধাপে সীমিতসংখ্যক পেট্রলচালিত গাড়ির শুল্ক ১০০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে তা ৩০ শতাংশে নামানোর আশ্বাস দিয়েছে। তবে ইভির ক্ষেত্রে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক না কমানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। এরপর সীমিত পরিমাণ আমদানির ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে শুল্ক ৩০ শতাংশে নামানোর কথা বলা হয়েছে।
ভারত এরই মধ্যে ইইউকে ১০ শতাংশ শুল্কের প্রস্তাব দিয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ ও মন্দার আশঙ্কায় উভয় পক্ষই আলোচনায় কিছুটা নমনীয় হতে পারে।
ভারত ও ইইউ কয়েক বছর ধরে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় আছে এবং চলতি বছরের শেষ নাগাদ আলোচনা চূড়ান্ত করতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্টা গত সপ্তাহে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ভারতের সঙ্গে আলোচনা এখনোই জোর দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার সময়।
প্রথম ভারতীয় সূত্র বলে, ‘ইইউ যদি এখন ভারতের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে চাপে থাকে, তাহলে আমাদের দেখা উচিত, কীভাবে আমরা সেটা কাজে লাগাতে পারি। সবই নির্ভর করছে দর–কষাকষির ওপর।’

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

বিশ্ববাণিজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইইউও চাচ্ছে ভারত গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান চড়া শুল্ক তুলে দিক কিংবা উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনুক। ভারতের জন্য এই মুহূর্তে বিষয়টি কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত সিদ্ধান্তও বটে। একদিকে দেশীয়..
০৭ এপ্রিল ২০২৫
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

বিশ্ববাণিজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইইউও চাচ্ছে ভারত গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান চড়া শুল্ক তুলে দিক কিংবা উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনুক। ভারতের জন্য এই মুহূর্তে বিষয়টি কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত সিদ্ধান্তও বটে। একদিকে দেশীয়..
০৭ এপ্রিল ২০২৫
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

বিশ্ববাণিজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইইউও চাচ্ছে ভারত গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান চড়া শুল্ক তুলে দিক কিংবা উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনুক। ভারতের জন্য এই মুহূর্তে বিষয়টি কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত সিদ্ধান্তও বটে। একদিকে দেশীয়..
০৭ এপ্রিল ২০২৫
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

বিশ্ববাণিজ্যের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দাবি তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যুক্তরাষ্ট্রের পর ইইউও চাচ্ছে ভারত গাড়ি আমদানিতে বিদ্যমান চড়া শুল্ক তুলে দিক কিংবা উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনুক। ভারতের জন্য এই মুহূর্তে বিষয়টি কেবল অর্থনৈতিক নয়, কৌশলগত সিদ্ধান্তও বটে। একদিকে দেশীয়..
০৭ এপ্রিল ২০২৫
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে