আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের পাহাড় যেন ঈদের ছুটির ক্লান্তি ভেঙে আরও উঁচু হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৩২-৩৩ হাজার টিইউস কনটেইনার জমা থাকে, সেখানে ১৪ জুন সকাল পর্যন্ত জমা হয়েছে ৪২ হাজার ৪০০টি। এর মধ্যে ৩৯ হাজার ১৯টি পুরো ভর্তি (এফসিএল), বাকিগুলো আংশিক ভর্তি (এলসিএল)। বন্দরের ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইউস ধারণক্ষমতার ৮০ শতাংশই এখন ঠাসা কনটেইনারে।
জট শুধু জমিনে নয়, জলেও। গভীর সমুদ্রের বহিঃনোঙরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪৫টি বিদেশগামী জাহাজ, এর মধ্যে ১৩টি কনটেইনারবাহী। বন্দরের নথি বলছে, গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১২১টি জাহাজ যুক্ত রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের জটের সমীকরণে—৭৬টিতে চলছে খালাস, ৫৫টি বহিঃনোঙরে আর ২১টি জেটির গায়ে ঠেকানো।
চট্টগ্রাম বন্দরে ঈদের ছুটির সাত দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত জমেছে প্রায় ১৪ হাজার কনটেইনার। ৪ জুন বন্দরে আমদানি কনটেইনার ছিল ২৮ হাজার টিইউস, যা ১১ জুন ৩৯ হাজার ও ১৪ জুন পৌঁছেছে ৪২ হাজার ৪০০-তে। প্রতিদিন গড়ে ১০-১১টি জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো হলেও আমদানিকারকেরা খালাসে অনাগ্রহী থাকায় এবং কারখানা বন্ধ থাকায় কনটেইনারের স্তূপ বাড়ছেই।
বন্দরের স্বাভাবিক ছন্দে প্রতিদিন ৪ হাজারের বেশি কনটেইনার খালাস হয়; অথচ ছুটির মধ্যে গত সাত দিনে গড়ে খালাস হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩৭৭টি। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯৩৫ টিইউস খালাস হলেও, কর্তৃপক্ষ বলছে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার কনটেইনার খালাস না হলে জট কমবে না। ঈদের দিন ছাড়া সব সময় কনটেইনার ওঠানামা চললেও খালাস হয়নি যথাযথভাবে। গত সাত দিনে নামানো হয়েছে ২৪ হাজার কনটেইনার; কিন্তু খালাস হয়েছে মাত্র সাড়ে ৯ হাজার; ফলে বন্দরেই রয়ে গেছে অবশিষ্ট সাড়ে ১৫ হাজার কনটেইনার।
জটের ছায়া বন্দরের বাইরে, অফডকগুলোতেও। ঈদের আগে কারখানাগুলো আগাম রপ্তানি পণ্য তৈরি করে অফডকে পাঠিয়েছে, যাতে ছুটির সময় কাজ না করতে হয়। শিপমেন্ট এখনো দূরে, ফলে গুদামে জমে রয়েছে পণ্য। বিকডা জানায়, শুক্রবার থেকে চাপ কিছুটা কমলেও আগাম সরবরাহ রপ্তানি ব্যবস্থায় চাপ সৃষ্টি করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে এখনই প্রকাশ্যে মন্তব্য করছে না। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র মো. নাসির উদ্দিনের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, রোববার (আজ) থেকে কাস্টমসসহ সব সরকারি-বেসরকারি দপ্তর খুললে জাহাজ থেকে আরও কনটেইনার নেমে আসবে—সরবরাহ বাড়বে; কিন্তু খালাসের গতি কেবল আমদানিকারকের প্রস্তুতির ওপরই নির্ভর করবে।
এখন বন্দর-শাসন ছুটি কাটিয়ে কাজে ফিরছে; প্রশ্ন একটাই—খালাসের চক্র ৫০ হাজারের ঘর ছোঁয়ার আগেই কি গতি পাবে?
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের পাহাড় যেন ঈদের ছুটির ক্লান্তি ভেঙে আরও উঁচু হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ৩২-৩৩ হাজার টিইউস কনটেইনার জমা থাকে, সেখানে ১৪ জুন সকাল পর্যন্ত জমা হয়েছে ৪২ হাজার ৪০০টি। এর মধ্যে ৩৯ হাজার ১৯টি পুরো ভর্তি (এফসিএল), বাকিগুলো আংশিক ভর্তি (এলসিএল)। বন্দরের ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইউস ধারণক্ষমতার ৮০ শতাংশই এখন ঠাসা কনটেইনারে।
জট শুধু জমিনে নয়, জলেও। গভীর সমুদ্রের বহিঃনোঙরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪৫টি বিদেশগামী জাহাজ, এর মধ্যে ১৩টি কনটেইনারবাহী। বন্দরের নথি বলছে, গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট ১২১টি জাহাজ যুক্ত রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের জটের সমীকরণে—৭৬টিতে চলছে খালাস, ৫৫টি বহিঃনোঙরে আর ২১টি জেটির গায়ে ঠেকানো।
চট্টগ্রাম বন্দরে ঈদের ছুটির সাত দিনে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত জমেছে প্রায় ১৪ হাজার কনটেইনার। ৪ জুন বন্দরে আমদানি কনটেইনার ছিল ২৮ হাজার টিইউস, যা ১১ জুন ৩৯ হাজার ও ১৪ জুন পৌঁছেছে ৪২ হাজার ৪০০-তে। প্রতিদিন গড়ে ১০-১১টি জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো হলেও আমদানিকারকেরা খালাসে অনাগ্রহী থাকায় এবং কারখানা বন্ধ থাকায় কনটেইনারের স্তূপ বাড়ছেই।
বন্দরের স্বাভাবিক ছন্দে প্রতিদিন ৪ হাজারের বেশি কনটেইনার খালাস হয়; অথচ ছুটির মধ্যে গত সাত দিনে গড়ে খালাস হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩৭৭টি। শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯৩৫ টিইউস খালাস হলেও, কর্তৃপক্ষ বলছে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার কনটেইনার খালাস না হলে জট কমবে না। ঈদের দিন ছাড়া সব সময় কনটেইনার ওঠানামা চললেও খালাস হয়নি যথাযথভাবে। গত সাত দিনে নামানো হয়েছে ২৪ হাজার কনটেইনার; কিন্তু খালাস হয়েছে মাত্র সাড়ে ৯ হাজার; ফলে বন্দরেই রয়ে গেছে অবশিষ্ট সাড়ে ১৫ হাজার কনটেইনার।
জটের ছায়া বন্দরের বাইরে, অফডকগুলোতেও। ঈদের আগে কারখানাগুলো আগাম রপ্তানি পণ্য তৈরি করে অফডকে পাঠিয়েছে, যাতে ছুটির সময় কাজ না করতে হয়। শিপমেন্ট এখনো দূরে, ফলে গুদামে জমে রয়েছে পণ্য। বিকডা জানায়, শুক্রবার থেকে চাপ কিছুটা কমলেও আগাম সরবরাহ রপ্তানি ব্যবস্থায় চাপ সৃষ্টি করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে এখনই প্রকাশ্যে মন্তব্য করছে না। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র মো. নাসির উদ্দিনের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, রোববার (আজ) থেকে কাস্টমসসহ সব সরকারি-বেসরকারি দপ্তর খুললে জাহাজ থেকে আরও কনটেইনার নেমে আসবে—সরবরাহ বাড়বে; কিন্তু খালাসের গতি কেবল আমদানিকারকের প্রস্তুতির ওপরই নির্ভর করবে।
এখন বন্দর-শাসন ছুটি কাটিয়ে কাজে ফিরছে; প্রশ্ন একটাই—খালাসের চক্র ৫০ হাজারের ঘর ছোঁয়ার আগেই কি গতি পাবে?
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বিশ্ব বাণিজ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর বিভিন্ন হারে অতিরিক্ত আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রভাবে অনেক বিশ্লেষক আরেকটি মহামন্দার আশঙ্কা দেখছেন।
১ ঘণ্টা আগেইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত ইউনিয়ন ব্যাংক ভয়াবহ খেলাপি সংকটে পড়েছে। ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৩০২ কোটি টাকাই খেলাপি, যা মোট ঋণের ৮৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। এর মধ্যে ৬ হাজার ২৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিশোধ করছেন না...
৯ ঘণ্টা আগেআড়াই বছরের একটি সরকারি প্রকল্প দীর্ঘসূত্রের কারণে গড়িয়েছে ১১ বছরে। তিন দফা মেয়াদ ও বাজেট বাড়িয়েও কাজ এখনো শেষ হয়নি। আর এ সময়ে প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে আরও ৫১ কোটি টাকা, যা মূল বরাদ্দের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি।
৯ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে অনলাইন লেনদেনের জন্য ২০১৬ সালের মার্চে চালু করা হয়েছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোবাইল অ্যাপ। তবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ধারায় দেশ এগিয়ে গেলেও উল্টো পথে হাঁটছে এই অ্যাপটির ব্যবহার। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন অর্থবছরে ধারাবাহিকভাবে কমেছে অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা।
১০ ঘণ্টা আগে