মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

গত বছর খুচরা পর্যায়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ওষুধভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এবার সরকার ওষুধের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়াল। স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাড়তি এই ভ্যাটও যাবে ক্রেতার পকেট থেকে। ওষুধের দামও আরেক দফা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৯ জানুয়ারি যে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে ওষুধও রয়েছে। অধ্যাদেশে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ওষুধের ওপর ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাট বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, যা ৯ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে।
স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায় বলতে ওষুধের দোকানগুলোকে বোঝানো হয়েছে। পণ্য পর্যায়ে বলা হলে উৎপাদক পর্যায়ের ভ্যাট বাড়ত। বর্ধিত ভ্যাট স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্রেতার কাছ থেকেই আদায় করবেন। সরকার সব স্থানীয় ব্যবসায়ীকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বরের (বিন) আওতায় আনতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং বিক্রির হিসাবের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের অর্থ খরচ হবে। ফলে তাঁরা বর্ধিত ভ্যাটের চাপ ক্রেতার কাঁধেই ফেলবেন।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ায় উৎপাদকেরা। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ জীবনরক্ষাকারী প্রায় অর্ধশত ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়। ভোক্তার স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ওই দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয় সরকারের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অধিদপ্তর তখন আজকের পত্রিকাকে বলেছিল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একই পণ্যের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এই পদক্ষেপে কোনো কোনো ওষুধের দাম ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে।
৯ জানুয়ারি বাড়ানো ভ্যাট আদায় নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। তিনি জানান, যেসব ওষুধের দোকানে (ফার্মেসি) বিক্রির তথ্য সংরক্ষিত থাকে, তারা সহজেই বর্ধিত ভ্যাট দিতে পারবে।
কিন্তু খুচরা পর্যায়ের অনেক ব্যবসায়ী বিক্রির তথ্য সংরক্ষণ করেন না। তাঁরা এই মূসক দিতে গিয়ে জটিলতায় পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্য কিনতে দামাদামি করার সুযোগ থাকলেও ওষুধ কিনতে হয় ওষুধের গায়ে লেখা দামে। বিক্রেতা উল্লেখিত দামের সঙ্গে ভ্যাট যোগ করে টাকা দাবি করলে ক্রেতার সঙ্গে ঝামেলা বাধার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীকে বাড়তি ভ্যাট দিতে হলে তা ক্রেতার কাছ থেকেই আদায় করবেন।
অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, সরকার অর্থ সংকটে রয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সাধারণত কর বাড়ানো, অতিরিক্ত টাকা ছাপানো, ঋণ নেওয়া ও ভ্যাট বাড়ানো হয়। কিন্তু সরকার কর বাড়াতে পারছে না। জরুরি মুহূর্ত ছাড়া অতিরিক্ত টাকা ছাপালে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। আগের সরকার যে অবস্থানে রেখে গেছে, তাতে দাতা সংস্থার কাছ থেকে এই সরকার ঋণও পাবে না। সর্বশেষ উপায় হিসেবে সরকারকে ভ্যাট বাড়াতে হচ্ছে। ওষুধে বর্ধিত ভ্যাট ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করা হবে বলে চিকিৎসার ব্যয় বাড়ায় বেশি চাপে পড়বে নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ।
ওষুধের ওপর বর্ধিত ভ্যাট কীভাবে আদায় হবে তা মূলত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নির্ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অধ্যাদেশ গত বৃহস্পতিবার জারি হয়েছে। এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। হয়তো ওষুধের মোড়কে আলাদা সিল দিয়ে এই ভ্যাট যুক্ত করা হবে। ভ্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়। তবে কীভাবে এই ভ্যাট যুক্ত করা হবে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তা আমাদের জানাবে। ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আগে কিছু জানানো হয়নি।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশীয় চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ ইউরোপ, আমেরিকা অঞ্চলসহ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদিত রপ্তানি আয় ৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। দেশে ২২৯টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানসহ ইউনানি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক ও হারবাল ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭৩৩টি। অ্যালোপ্যাথিকের প্রায় ৩ হাজার জেনেরিকের ৩৭ হাজার ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে দেশে। রপ্তানি ও স্থানীয় মিলিয়ে দেশীয় ওষুধের বাজার প্রায় ৪০ কোটি টাকার।
বাড়তি ভ্যাট আরোপের বিষয়ে জানতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন ও ড. মো. আকতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বক্তব্য দিতে অপারগতা জানান। তাঁরা জানান, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা তাঁরা জানেন না।
স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর নতুন ভ্যাট হার বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন ও ডা. মো. আকতার হোসেন। তাঁরা এ বিষয়ে আর কিছু জানাতে অপারগতা জানান।

গত বছর খুচরা পর্যায়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ওষুধভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এবার সরকার ওষুধের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়াল। স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাড়তি এই ভ্যাটও যাবে ক্রেতার পকেট থেকে। ওষুধের দামও আরেক দফা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৯ জানুয়ারি যে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে ওষুধও রয়েছে। অধ্যাদেশে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ওষুধের ওপর ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাট বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, যা ৯ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে।
স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায় বলতে ওষুধের দোকানগুলোকে বোঝানো হয়েছে। পণ্য পর্যায়ে বলা হলে উৎপাদক পর্যায়ের ভ্যাট বাড়ত। বর্ধিত ভ্যাট স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্রেতার কাছ থেকেই আদায় করবেন। সরকার সব স্থানীয় ব্যবসায়ীকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বরের (বিন) আওতায় আনতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং বিক্রির হিসাবের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের অর্থ খরচ হবে। ফলে তাঁরা বর্ধিত ভ্যাটের চাপ ক্রেতার কাঁধেই ফেলবেন।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ায় উৎপাদকেরা। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ জীবনরক্ষাকারী প্রায় অর্ধশত ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়। ভোক্তার স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ওই দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয় সরকারের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অধিদপ্তর তখন আজকের পত্রিকাকে বলেছিল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একই পণ্যের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এই পদক্ষেপে কোনো কোনো ওষুধের দাম ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে।
৯ জানুয়ারি বাড়ানো ভ্যাট আদায় নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। তিনি জানান, যেসব ওষুধের দোকানে (ফার্মেসি) বিক্রির তথ্য সংরক্ষিত থাকে, তারা সহজেই বর্ধিত ভ্যাট দিতে পারবে।
কিন্তু খুচরা পর্যায়ের অনেক ব্যবসায়ী বিক্রির তথ্য সংরক্ষণ করেন না। তাঁরা এই মূসক দিতে গিয়ে জটিলতায় পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্য কিনতে দামাদামি করার সুযোগ থাকলেও ওষুধ কিনতে হয় ওষুধের গায়ে লেখা দামে। বিক্রেতা উল্লেখিত দামের সঙ্গে ভ্যাট যোগ করে টাকা দাবি করলে ক্রেতার সঙ্গে ঝামেলা বাধার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীকে বাড়তি ভ্যাট দিতে হলে তা ক্রেতার কাছ থেকেই আদায় করবেন।
অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, সরকার অর্থ সংকটে রয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সাধারণত কর বাড়ানো, অতিরিক্ত টাকা ছাপানো, ঋণ নেওয়া ও ভ্যাট বাড়ানো হয়। কিন্তু সরকার কর বাড়াতে পারছে না। জরুরি মুহূর্ত ছাড়া অতিরিক্ত টাকা ছাপালে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। আগের সরকার যে অবস্থানে রেখে গেছে, তাতে দাতা সংস্থার কাছ থেকে এই সরকার ঋণও পাবে না। সর্বশেষ উপায় হিসেবে সরকারকে ভ্যাট বাড়াতে হচ্ছে। ওষুধে বর্ধিত ভ্যাট ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করা হবে বলে চিকিৎসার ব্যয় বাড়ায় বেশি চাপে পড়বে নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ।
ওষুধের ওপর বর্ধিত ভ্যাট কীভাবে আদায় হবে তা মূলত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নির্ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অধ্যাদেশ গত বৃহস্পতিবার জারি হয়েছে। এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। হয়তো ওষুধের মোড়কে আলাদা সিল দিয়ে এই ভ্যাট যুক্ত করা হবে। ভ্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়। তবে কীভাবে এই ভ্যাট যুক্ত করা হবে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তা আমাদের জানাবে। ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আগে কিছু জানানো হয়নি।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশীয় চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ ইউরোপ, আমেরিকা অঞ্চলসহ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদিত রপ্তানি আয় ৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। দেশে ২২৯টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানসহ ইউনানি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক ও হারবাল ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭৩৩টি। অ্যালোপ্যাথিকের প্রায় ৩ হাজার জেনেরিকের ৩৭ হাজার ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে দেশে। রপ্তানি ও স্থানীয় মিলিয়ে দেশীয় ওষুধের বাজার প্রায় ৪০ কোটি টাকার।
বাড়তি ভ্যাট আরোপের বিষয়ে জানতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন ও ড. মো. আকতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বক্তব্য দিতে অপারগতা জানান। তাঁরা জানান, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা তাঁরা জানেন না।
স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর নতুন ভ্যাট হার বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন ও ডা. মো. আকতার হোসেন। তাঁরা এ বিষয়ে আর কিছু জানাতে অপারগতা জানান।
মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

গত বছর খুচরা পর্যায়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ওষুধভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এবার সরকার ওষুধের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়াল। স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাড়তি এই ভ্যাটও যাবে ক্রেতার পকেট থেকে। ওষুধের দামও আরেক দফা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৯ জানুয়ারি যে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে ওষুধও রয়েছে। অধ্যাদেশে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ওষুধের ওপর ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাট বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, যা ৯ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে।
স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায় বলতে ওষুধের দোকানগুলোকে বোঝানো হয়েছে। পণ্য পর্যায়ে বলা হলে উৎপাদক পর্যায়ের ভ্যাট বাড়ত। বর্ধিত ভ্যাট স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্রেতার কাছ থেকেই আদায় করবেন। সরকার সব স্থানীয় ব্যবসায়ীকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বরের (বিন) আওতায় আনতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং বিক্রির হিসাবের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের অর্থ খরচ হবে। ফলে তাঁরা বর্ধিত ভ্যাটের চাপ ক্রেতার কাঁধেই ফেলবেন।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ায় উৎপাদকেরা। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ জীবনরক্ষাকারী প্রায় অর্ধশত ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়। ভোক্তার স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ওই দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয় সরকারের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অধিদপ্তর তখন আজকের পত্রিকাকে বলেছিল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একই পণ্যের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এই পদক্ষেপে কোনো কোনো ওষুধের দাম ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে।
৯ জানুয়ারি বাড়ানো ভ্যাট আদায় নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। তিনি জানান, যেসব ওষুধের দোকানে (ফার্মেসি) বিক্রির তথ্য সংরক্ষিত থাকে, তারা সহজেই বর্ধিত ভ্যাট দিতে পারবে।
কিন্তু খুচরা পর্যায়ের অনেক ব্যবসায়ী বিক্রির তথ্য সংরক্ষণ করেন না। তাঁরা এই মূসক দিতে গিয়ে জটিলতায় পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্য কিনতে দামাদামি করার সুযোগ থাকলেও ওষুধ কিনতে হয় ওষুধের গায়ে লেখা দামে। বিক্রেতা উল্লেখিত দামের সঙ্গে ভ্যাট যোগ করে টাকা দাবি করলে ক্রেতার সঙ্গে ঝামেলা বাধার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীকে বাড়তি ভ্যাট দিতে হলে তা ক্রেতার কাছ থেকেই আদায় করবেন।
অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, সরকার অর্থ সংকটে রয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সাধারণত কর বাড়ানো, অতিরিক্ত টাকা ছাপানো, ঋণ নেওয়া ও ভ্যাট বাড়ানো হয়। কিন্তু সরকার কর বাড়াতে পারছে না। জরুরি মুহূর্ত ছাড়া অতিরিক্ত টাকা ছাপালে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। আগের সরকার যে অবস্থানে রেখে গেছে, তাতে দাতা সংস্থার কাছ থেকে এই সরকার ঋণও পাবে না। সর্বশেষ উপায় হিসেবে সরকারকে ভ্যাট বাড়াতে হচ্ছে। ওষুধে বর্ধিত ভ্যাট ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করা হবে বলে চিকিৎসার ব্যয় বাড়ায় বেশি চাপে পড়বে নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ।
ওষুধের ওপর বর্ধিত ভ্যাট কীভাবে আদায় হবে তা মূলত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নির্ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অধ্যাদেশ গত বৃহস্পতিবার জারি হয়েছে। এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। হয়তো ওষুধের মোড়কে আলাদা সিল দিয়ে এই ভ্যাট যুক্ত করা হবে। ভ্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়। তবে কীভাবে এই ভ্যাট যুক্ত করা হবে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তা আমাদের জানাবে। ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আগে কিছু জানানো হয়নি।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশীয় চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ ইউরোপ, আমেরিকা অঞ্চলসহ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদিত রপ্তানি আয় ৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। দেশে ২২৯টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানসহ ইউনানি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক ও হারবাল ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭৩৩টি। অ্যালোপ্যাথিকের প্রায় ৩ হাজার জেনেরিকের ৩৭ হাজার ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে দেশে। রপ্তানি ও স্থানীয় মিলিয়ে দেশীয় ওষুধের বাজার প্রায় ৪০ কোটি টাকার।
বাড়তি ভ্যাট আরোপের বিষয়ে জানতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন ও ড. মো. আকতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বক্তব্য দিতে অপারগতা জানান। তাঁরা জানান, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা তাঁরা জানেন না।
স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর নতুন ভ্যাট হার বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন ও ডা. মো. আকতার হোসেন। তাঁরা এ বিষয়ে আর কিছু জানাতে অপারগতা জানান।

গত বছর খুচরা পর্যায়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ওষুধভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এবার সরকার ওষুধের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়াল। স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাড়তি এই ভ্যাটও যাবে ক্রেতার পকেট থেকে। ওষুধের দামও আরেক দফা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৯ জানুয়ারি যে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে ওষুধও রয়েছে। অধ্যাদেশে স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ওষুধের ওপর ভ্যাট ২ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ভ্যাট বেড়েছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, যা ৯ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হয়েছে।
স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায় বলতে ওষুধের দোকানগুলোকে বোঝানো হয়েছে। পণ্য পর্যায়ে বলা হলে উৎপাদক পর্যায়ের ভ্যাট বাড়ত। বর্ধিত ভ্যাট স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্রেতার কাছ থেকেই আদায় করবেন। সরকার সব স্থানীয় ব্যবসায়ীকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ব্যবসা শনাক্তকরণ নম্বরের (বিন) আওতায় আনতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এ জন্য স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং বিক্রির হিসাবের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের অর্থ খরচ হবে। ফলে তাঁরা বর্ধিত ভ্যাটের চাপ ক্রেতার কাঁধেই ফেলবেন।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের আগে পর্যন্ত কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ায় উৎপাদকেরা। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে হঠাৎ জীবনরক্ষাকারী প্রায় অর্ধশত ওষুধের দাম ১০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়। ভোক্তার স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী ওই দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেয় সরকারের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অধিদপ্তর তখন আজকের পত্রিকাকে বলেছিল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একই পণ্যের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এই পদক্ষেপে কোনো কোনো ওষুধের দাম ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে পারে।
৯ জানুয়ারি বাড়ানো ভ্যাট আদায় নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। তিনি জানান, যেসব ওষুধের দোকানে (ফার্মেসি) বিক্রির তথ্য সংরক্ষিত থাকে, তারা সহজেই বর্ধিত ভ্যাট দিতে পারবে।
কিন্তু খুচরা পর্যায়ের অনেক ব্যবসায়ী বিক্রির তথ্য সংরক্ষণ করেন না। তাঁরা এই মূসক দিতে গিয়ে জটিলতায় পড়বেন। এ ছাড়া অন্যান্য পণ্য কিনতে দামাদামি করার সুযোগ থাকলেও ওষুধ কিনতে হয় ওষুধের গায়ে লেখা দামে। বিক্রেতা উল্লেখিত দামের সঙ্গে ভ্যাট যোগ করে টাকা দাবি করলে ক্রেতার সঙ্গে ঝামেলা বাধার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীকে বাড়তি ভ্যাট দিতে হলে তা ক্রেতার কাছ থেকেই আদায় করবেন।
অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, সরকার অর্থ সংকটে রয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সাধারণত কর বাড়ানো, অতিরিক্ত টাকা ছাপানো, ঋণ নেওয়া ও ভ্যাট বাড়ানো হয়। কিন্তু সরকার কর বাড়াতে পারছে না। জরুরি মুহূর্ত ছাড়া অতিরিক্ত টাকা ছাপালে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। আগের সরকার যে অবস্থানে রেখে গেছে, তাতে দাতা সংস্থার কাছ থেকে এই সরকার ঋণও পাবে না। সর্বশেষ উপায় হিসেবে সরকারকে ভ্যাট বাড়াতে হচ্ছে। ওষুধে বর্ধিত ভ্যাট ক্রেতার কাছ থেকে আদায় করা হবে বলে চিকিৎসার ব্যয় বাড়ায় বেশি চাপে পড়বে নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ।
ওষুধের ওপর বর্ধিত ভ্যাট কীভাবে আদায় হবে তা মূলত ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নির্ধারণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘অধ্যাদেশ গত বৃহস্পতিবার জারি হয়েছে। এখন এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না। হয়তো ওষুধের মোড়কে আলাদা সিল দিয়ে এই ভ্যাট যুক্ত করা হবে। ভ্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকেই নেওয়া হয়। তবে কীভাবে এই ভ্যাট যুক্ত করা হবে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর তা আমাদের জানাবে। ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আগে কিছু জানানো হয়নি।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশীয় চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ ইউরোপ, আমেরিকা অঞ্চলসহ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশি ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুমোদিত রপ্তানি আয় ৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। দেশে ২২৯টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানসহ ইউনানি, আয়ুর্বেদিক, হোমিওপ্যাথিক ও হারবাল ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৭৩৩টি। অ্যালোপ্যাথিকের প্রায় ৩ হাজার জেনেরিকের ৩৭ হাজার ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে দেশে। রপ্তানি ও স্থানীয় মিলিয়ে দেশীয় ওষুধের বাজার প্রায় ৪০ কোটি টাকার।
বাড়তি ভ্যাট আরোপের বিষয়ে জানতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন ও ড. মো. আকতার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বক্তব্য দিতে অপারগতা জানান। তাঁরা জানান, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা তাঁরা জানেন না।
স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ীদের ওপর নতুন ভ্যাট হার বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আসরাফ হোসেন ও ডা. মো. আকতার হোসেন। তাঁরা এ বিষয়ে আর কিছু জানাতে অপারগতা জানান।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

গত বছর খুচরা পর্যায়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ওষুধভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এবার সরকার ওষুধের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়াল। স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাড়তি এই ভ্যাটও যাবে ক্রেতার পকেট থে
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

গত বছর খুচরা পর্যায়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ওষুধভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এবার সরকার ওষুধের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়াল। স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাড়তি এই ভ্যাটও যাবে ক্রেতার পকেট থে
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

গত বছর খুচরা পর্যায়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ওষুধভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এবার সরকার ওষুধের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়াল। স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাড়তি এই ভ্যাটও যাবে ক্রেতার পকেট থে
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

গত বছর খুচরা পর্যায়ে কয়েক দফায় বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়িয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ওষুধভেদে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এবার সরকার ওষুধের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়াল। স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, বাড়তি এই ভ্যাটও যাবে ক্রেতার পকেট থে
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে