টিআইবির গবেষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘুষ, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণের টাকা লেনদেনে এমএফএস (মোবাইল আর্থিক সেবা) সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
‘মোবাইল আর্থিক সেবা খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়, মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা ক্রমেই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে সরবরাহ করে, কিংবা নিজেরাই এমন চক্রের অংশ হিসেবে জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কৌশলে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এসব চক্র গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে।
অনেক সময় কৌশলে অনৈতিকভাবে হস্তগত করা অন্যের এনআইডি দিয়ে নতুন হিসাব খোলার সুযোগ থাকায় প্রতারণা ও জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুষ, চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের অর্থ আদান-প্রদানেও এমএফএস একটি সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এমএফএস লেনদেন বিবরণী আয়কর রিটার্নে সংযুক্ত করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ব্যবস্থার অপব্যবহার করে ঘুষ লেনদেন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট কাজী আমিনুল হাসান এবং রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম। তাঁরা জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের ৩২ জেলার ১ হাজার ৭৮৪ ব্যক্তিগত হিসাবধারী, ৪২৯ মার্চেন্ট হিসাবধারী এবং ৬৬৪ এজেন্টের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ১৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ১ দশমিক ৬ শতাংশ জানান, তাঁরা জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৪ শতাংশ হিসাবধারী। জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ হাজার টাকা পর্যন্ত, এজেন্টদের সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীরা সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে প্রলোভন বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমএফএস গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার হার ৫২ শতাংশ। ফোনকল বা এসএমএসের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৪২ শতাংশ, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ শতাংশ। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েও ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের মাত্র ৭ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ২৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ৪ শতাংশ থানায় মামলা বা জিডি করেছে।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমএফএসে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ১৪ শতাংশ মোবাইল আর্থিক সেবা নিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হোন। ব্যক্তিগত হিসাবধারী পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সমস্যার সম্মুখীন হন। অভিযোগকারী গ্রাহকদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক সমস্যার সমাধান পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ করা হয়নি। গবেষণা প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপে নগদের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের বিধিমালায় ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এমএফএসপি হিসেবে নিবন্ধন গ্রহণের এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদনের সুযোগ না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি লঙ্ঘন করে ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’কে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়। এ ছাড়া এমএফএস বিধিমালা অনুযায়ী অনাপত্তি সনদ বা এনওসি নিয়ে শুধু অবকাঠামো স্থাপনের অনুমতি থাকলেও ‘নগদ’ গ্রাহক অন্তর্ভুক্তিসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি।
আবার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক ডাক বিভাগকে ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী লাইসেন্স দিয়ে এবং ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাবসিডিয়ারি গঠনের শর্তে ছয় বার অন্তর্বর্তী লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করে—যা এখনো চলমান।
নগদের পরিচালন প্রক্রিয়াতেও বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ না করে, অর্থাৎ সাবসিডিয়ারি গঠন ব্যতিরেকে ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই বিদ্যমান বিধিমালার লঙ্ঘন। অধিকন্তু, ডাক বিভাগের অনুমতি ও অংশগ্রহণ ছাড়াই চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর সেবামূল্য নির্ধারণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

ঘুষ, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণের টাকা লেনদেনে এমএফএস (মোবাইল আর্থিক সেবা) সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
‘মোবাইল আর্থিক সেবা খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়, মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা ক্রমেই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে সরবরাহ করে, কিংবা নিজেরাই এমন চক্রের অংশ হিসেবে জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কৌশলে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এসব চক্র গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে।
অনেক সময় কৌশলে অনৈতিকভাবে হস্তগত করা অন্যের এনআইডি দিয়ে নতুন হিসাব খোলার সুযোগ থাকায় প্রতারণা ও জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুষ, চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের অর্থ আদান-প্রদানেও এমএফএস একটি সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এমএফএস লেনদেন বিবরণী আয়কর রিটার্নে সংযুক্ত করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ব্যবস্থার অপব্যবহার করে ঘুষ লেনদেন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট কাজী আমিনুল হাসান এবং রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম। তাঁরা জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের ৩২ জেলার ১ হাজার ৭৮৪ ব্যক্তিগত হিসাবধারী, ৪২৯ মার্চেন্ট হিসাবধারী এবং ৬৬৪ এজেন্টের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ১৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ১ দশমিক ৬ শতাংশ জানান, তাঁরা জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৪ শতাংশ হিসাবধারী। জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ হাজার টাকা পর্যন্ত, এজেন্টদের সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীরা সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে প্রলোভন বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমএফএস গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার হার ৫২ শতাংশ। ফোনকল বা এসএমএসের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৪২ শতাংশ, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ শতাংশ। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েও ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের মাত্র ৭ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ২৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ৪ শতাংশ থানায় মামলা বা জিডি করেছে।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমএফএসে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ১৪ শতাংশ মোবাইল আর্থিক সেবা নিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হোন। ব্যক্তিগত হিসাবধারী পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সমস্যার সম্মুখীন হন। অভিযোগকারী গ্রাহকদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক সমস্যার সমাধান পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ করা হয়নি। গবেষণা প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপে নগদের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের বিধিমালায় ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এমএফএসপি হিসেবে নিবন্ধন গ্রহণের এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদনের সুযোগ না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি লঙ্ঘন করে ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’কে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়। এ ছাড়া এমএফএস বিধিমালা অনুযায়ী অনাপত্তি সনদ বা এনওসি নিয়ে শুধু অবকাঠামো স্থাপনের অনুমতি থাকলেও ‘নগদ’ গ্রাহক অন্তর্ভুক্তিসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি।
আবার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক ডাক বিভাগকে ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী লাইসেন্স দিয়ে এবং ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাবসিডিয়ারি গঠনের শর্তে ছয় বার অন্তর্বর্তী লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করে—যা এখনো চলমান।
নগদের পরিচালন প্রক্রিয়াতেও বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ না করে, অর্থাৎ সাবসিডিয়ারি গঠন ব্যতিরেকে ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই বিদ্যমান বিধিমালার লঙ্ঘন। অধিকন্তু, ডাক বিভাগের অনুমতি ও অংশগ্রহণ ছাড়াই চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর সেবামূল্য নির্ধারণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
টিআইবির গবেষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘুষ, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণের টাকা লেনদেনে এমএফএস (মোবাইল আর্থিক সেবা) সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
‘মোবাইল আর্থিক সেবা খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়, মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা ক্রমেই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে সরবরাহ করে, কিংবা নিজেরাই এমন চক্রের অংশ হিসেবে জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কৌশলে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এসব চক্র গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে।
অনেক সময় কৌশলে অনৈতিকভাবে হস্তগত করা অন্যের এনআইডি দিয়ে নতুন হিসাব খোলার সুযোগ থাকায় প্রতারণা ও জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুষ, চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের অর্থ আদান-প্রদানেও এমএফএস একটি সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এমএফএস লেনদেন বিবরণী আয়কর রিটার্নে সংযুক্ত করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ব্যবস্থার অপব্যবহার করে ঘুষ লেনদেন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট কাজী আমিনুল হাসান এবং রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম। তাঁরা জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের ৩২ জেলার ১ হাজার ৭৮৪ ব্যক্তিগত হিসাবধারী, ৪২৯ মার্চেন্ট হিসাবধারী এবং ৬৬৪ এজেন্টের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ১৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ১ দশমিক ৬ শতাংশ জানান, তাঁরা জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৪ শতাংশ হিসাবধারী। জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ হাজার টাকা পর্যন্ত, এজেন্টদের সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীরা সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে প্রলোভন বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমএফএস গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার হার ৫২ শতাংশ। ফোনকল বা এসএমএসের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৪২ শতাংশ, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ শতাংশ। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েও ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের মাত্র ৭ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ২৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ৪ শতাংশ থানায় মামলা বা জিডি করেছে।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমএফএসে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ১৪ শতাংশ মোবাইল আর্থিক সেবা নিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হোন। ব্যক্তিগত হিসাবধারী পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সমস্যার সম্মুখীন হন। অভিযোগকারী গ্রাহকদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক সমস্যার সমাধান পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ করা হয়নি। গবেষণা প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপে নগদের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের বিধিমালায় ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এমএফএসপি হিসেবে নিবন্ধন গ্রহণের এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদনের সুযোগ না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি লঙ্ঘন করে ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’কে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়। এ ছাড়া এমএফএস বিধিমালা অনুযায়ী অনাপত্তি সনদ বা এনওসি নিয়ে শুধু অবকাঠামো স্থাপনের অনুমতি থাকলেও ‘নগদ’ গ্রাহক অন্তর্ভুক্তিসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি।
আবার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক ডাক বিভাগকে ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী লাইসেন্স দিয়ে এবং ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাবসিডিয়ারি গঠনের শর্তে ছয় বার অন্তর্বর্তী লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করে—যা এখনো চলমান।
নগদের পরিচালন প্রক্রিয়াতেও বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ না করে, অর্থাৎ সাবসিডিয়ারি গঠন ব্যতিরেকে ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই বিদ্যমান বিধিমালার লঙ্ঘন। অধিকন্তু, ডাক বিভাগের অনুমতি ও অংশগ্রহণ ছাড়াই চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর সেবামূল্য নির্ধারণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

ঘুষ, চাঁদাবাজি, মুক্তিপণের টাকা লেনদেনে এমএফএস (মোবাইল আর্থিক সেবা) সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
‘মোবাইল আর্থিক সেবা খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়, মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতির ঘটনা ক্রমেই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে সরবরাহ করে, কিংবা নিজেরাই এমন চক্রের অংশ হিসেবে জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষেত্রে এজেন্ট পয়েন্ট থেকে কৌশলে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এসব চক্র গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে।
অনেক সময় কৌশলে অনৈতিকভাবে হস্তগত করা অন্যের এনআইডি দিয়ে নতুন হিসাব খোলার সুযোগ থাকায় প্রতারণা ও জালিয়াতিতে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। ঘুষ, চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের অর্থ আদান-প্রদানেও এমএফএস একটি সুবিধাজনক মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, এমএফএস লেনদেন বিবরণী আয়কর রিটার্নে সংযুক্ত করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় কিছু অসাধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ব্যবস্থার অপব্যবহার করে ঘুষ লেনদেন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন টিআইবির রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট কাজী আমিনুল হাসান এবং রিসার্চ ফেলো মোহাম্মদ নূরে আলম। তাঁরা জানান, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের ৩২ জেলার ১ হাজার ৭৮৪ ব্যক্তিগত হিসাবধারী, ৪২৯ মার্চেন্ট হিসাবধারী এবং ৬৬৪ এজেন্টের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ৬ দশমিক ৩ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ১৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ১ দশমিক ৬ শতাংশ জানান, তাঁরা জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৪ শতাংশ হিসাবধারী। জালিয়াতি ও প্রতারণার শিকার হয়ে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮৩ হাজার টাকা পর্যন্ত, এজেন্টদের সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পর্যন্ত এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীরা সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন।
এ ক্ষেত্রে প্রলোভন বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমএফএস গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার হার ৫২ শতাংশ। ফোনকল বা এসএমএসের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ৪২ শতাংশ, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১২ শতাংশ। আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েও ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের মাত্র ৭ শতাংশ, এজেন্ট হিসাবধারীদের ২৭ শতাংশ এবং মার্চেন্ট হিসাবধারীদের ৪ শতাংশ থানায় মামলা বা জিডি করেছে।
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমএফএসে ব্যক্তিগত হিসাবধারীদের ১৪ শতাংশ মোবাইল আর্থিক সেবা নিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হোন। ব্যক্তিগত হিসাবধারী পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সমস্যার সম্মুখীন হন। অভিযোগকারী গ্রাহকদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রাহক সমস্যার সমাধান পাননি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ করা হয়নি। গবেষণা প্রতিবেদনের সার সংক্ষেপে নগদের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের বিধিমালায় ব্যাংক ব্যতীত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের এমএফএসপি হিসেবে নিবন্ধন গ্রহণের এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদনের সুযোগ না থাকলেও বাংলাদেশ ব্যাংক বিধি লঙ্ঘন করে ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’কে কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেয়। এ ছাড়া এমএফএস বিধিমালা অনুযায়ী অনাপত্তি সনদ বা এনওসি নিয়ে শুধু অবকাঠামো স্থাপনের অনুমতি থাকলেও ‘নগদ’ গ্রাহক অন্তর্ভুক্তিসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি।
আবার বিধান না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক ডাক বিভাগকে ‘নগদ’ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী লাইসেন্স দিয়ে এবং ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সাবসিডিয়ারি গঠনের শর্তে ছয় বার অন্তর্বর্তী লাইসেন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করে—যা এখনো চলমান।
নগদের পরিচালন প্রক্রিয়াতেও বিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করে টিআইবি। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা ‘নগদ’ পরিচালনায় নির্ধারিত আইনি কাঠামো অনুসরণ না করে, অর্থাৎ সাবসিডিয়ারি গঠন ব্যতিরেকে ‘থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড’-এর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই বিদ্যমান বিধিমালার লঙ্ঘন। অধিকন্তু, ডাক বিভাগের অনুমতি ও অংশগ্রহণ ছাড়াই চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’-এর সেবামূল্য নির্ধারণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১১ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে
২৭ মে ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১১ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর প্রান্তিক শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৪৯ দশমিক ৬৫ শতাংশে, আর ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি—৫৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এই দুটি খাতেই বিতরণ করা ঋণের অর্ধেকের বেশি অনাদায়ি হয়ে পড়েছে। যেখানে বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপির হার ৪১ দশমিক ৯৫ ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার মাত্র ৪ দশমিক ৯২ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শরিয়াহভিত্তিক ১০টি ইসলামি ব্যাংক মোট ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ঋণ বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। হিসাব বলছে, প্রতি ১০ টাকার প্রায় ৬ টাকাই এখন আদায় অনিশ্চিত। সেই তুলনায় শরিয়াহসহ দেশীয় বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই তুলনাতেই স্পষ্ট, খেলাপির বোঝা এককভাবে সবচেয়ে বেশি ইসলামি ব্যাংকগুলোর ঘাড়েই।
সরকারি ছয় ব্যাংকের অবস্থাও খুব একটা ভিন্ন নয়। এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় অর্ধেকই সেখানে অনাদায়ি। ব্যাংকার ও বিশ্লেষকদের মতে, এই সংকট রাতারাতি তৈরি হয়নি। বছরের পর বছর ধরে দুর্বল তদারকি, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং ইচ্ছাকৃত খেলাপিকে আড়াল করার প্রবণতা ধীরে ধীরে ব্যাংকগুলোকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, খেলাপি ঋণের এত উচ্চ হার শুধু ব্যাংকিং খাতের ভেতরের সমস্যা নয়, এটি সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি। ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারছে না, বিনিয়োগ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ছে, শিল্প-কারখানার সম্প্রসারণ থেমে যাচ্ছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কর্মসংস্থানে। তাঁর মতে, খেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং ঋণ আদায়ে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ ছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।
ইসলামি ব্যাংকিং খাতে এস আলম, নাসা ও বেক্সিমকো গ্রুপের নাম বারবার আলোচনায় এসেছে। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, দীর্ঘদিন সরকারি মদদে এসব গ্রুপ বিপুল ঋণ নিয়ে খেলাপি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। এখন সেই বাস্তবতা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
সামগ্রিকভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র আরও উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকারের টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর যে অপচেষ্টা ছিল, তা এখন ভেঙে পড়েছে। সঠিক হিসাব সামনে আসায় হার ৩৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা বাস্তবতারই প্রতিফলন। তিনি আবারও শীর্ষ ১০ খেলাপির জন্য আলাদা ট্রাইব্যুনালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, আগের সরকারের আমলে লুকিয়ে রাখা খেলাপি ঋণ প্রকাশ পাওয়ায় এই হার বেড়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ঋণ আদায়ে কঠোর নির্দেশনার কারণে আগের তুলনায় আদায় বেড়েছে।

খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে
২৭ মে ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৩ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১৫ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে জানান, ডিসেম্বর মাসে কেনা ডলারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৯২ কোটি ডলার এবং চলতি অর্থবছর ধরে মোট কেনা হয়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ে প্রথম ডলার কেনা হয়েছিল ৪৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার, আগস্টে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ, সেপ্টেম্বরেই তা বেড়ে ৯২ কোটি ৯০ লাখে পৌঁছায়। এরপর অক্টোবর ও নভেম্বরে অবশ্য অনেকটাই কমে ১৪ কোটি ২০ লাখ এবং ৫ কোটি ৪০ লাখে নেমে আসে। ডিসেম্বরেই তার বড় উল্লম্ফন ঘটে, কেনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং চ্যানেলের শক্তিশালীকরণ এবং অনলাইনে আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এ ছাড়া ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ হওয়ায় ব্যবসার আড়ালে ডলার পাচার কমেছে। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে জমে থাকা অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগের অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনায় এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেতার ভূমিকায়, যেখানে অতীতের বছরগুলোতে বড় অঙ্কে বিক্রি হতো। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন, ২০২২-২৩ এ ছিল ১৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ এ ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন এবং ২০২৪-২৫ এ ১ দশমিক ১২৪ বিলিয়ন ডলার। এই পরিবর্তন বাজারে স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বর্তমান খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৪-১২৫ টাকার মধ্যে, যেখানে গত বছরের এই সময়ে তা ছিল ১৩১ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে পণ্য আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬১ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় ৭ শতাংশ কম। অনলাইনে বাজার নজরদারি এবং ওভার/আন্ডার ইনভয়েসিং নিয়ন্ত্রণে আসায় পণ্যের আড়াল থেকে ডলার পাচারও অনেক কমেছে।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার ক্রয় বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এর ফলে আমদানি, বিনিয়োগ ও বাজার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে।’
সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ, পাচার কমে আসা—সব মিলিয়ে ডলার বাজারে স্বস্তি ফিরিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ডলার বিক্রেতা নয়; বরং ক্রেতার ভূমিকায়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে
২৭ মে ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের দপ্তরের ব্যক্তিগত সহকারী মো. কাউসারের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে। এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা দিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, প্রতারকেরা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ফোন, মেসেজসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। তবে মো. কাউসারের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ডের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বসাধারণকে এই প্রতারক চক্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ এ ধরনের ফোনকল বা বার্তার সম্মুখীন হলে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জিডিতে মো. কাউসার উল্লেখ করেন, ২৩ ডিসেম্বর এনবিআরের উপ-কর কমিশনার রইসুন নেসা (বর্তমানে যুগ্ম কর কমিশনার) তাঁকে জানান, কাউসারের নাম ব্যবহার করে ০১৭০১৮৯০৩৮৭ নম্বর থেকে কল করে তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ আছে’ উল্লেখ করে টাকা দাবি করা হয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয় ০১৩২৮০৮৩২১৬ নম্বরে। পরে দেখা যায়, একই চক্র আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই কৌশলে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করেছে। পরে কাউসার জানতে পারেন আরও অনেক কর্মকর্তার কাছ থেকে একই নম্বর থেকে টাকা দাবি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা কে বা কারা তাঁর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করছে, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেন কাউসার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর অঞ্চল-কুষ্টিয়ার পরিদর্শী রেঞ্জ-৪-এর যুগ্ম কর কমিশনার রইসুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাকে কাউসারের নামেই ফোন করে। আমি বিষয়টি কাউসারকে জানাই। পরে আর ফোন করেনি। কোনো কথাও হয়নি।’
জানতে চাইলে মো. কাউসার বলেন, কোনো একটা চক্র এটা করছে। এর আগে চেয়ারম্যান স্যারের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করে টাকা চেয়েছিল বিভিন্নজনের কাছ থেকে।

খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কার্যকর ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ ব্যবস্থা অনুপস্থিত থাকায় প্রতারক চক্র সহজেই গ্রাহকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে এমএফএসপিতে কর্মরত বা সাবেক কর্মী, এজেন্ট ও পরিবেশকেরা অর্থের বিনিময়ে গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত সংবেদনশীল তথ্য প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের কাছে
২৭ মে ২০২৫
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের ব্যাংকিং খাতের ভেতরে জমে থাকা অনিয়ম, রাজনৈতিক আশ্রয় ও কৃত্রিম হিসাবের পর্দা চলতি বছর যেন একে একে সরে যেতে শুরু করেছে। আর তাতেই সামনে এসেছে এক ভয়াবহ বাস্তবতা। সরকারি ও শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলো খেলাপি ঋণের ভারে এখন কার্যত দিশেহারা।
১১ ঘণ্টা আগে
ডলার এখন রেমিট্যান্স, রপ্তানি, হুন্ডি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই বাজারে ডলার হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে সবাই চুপ। এই ডলারের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি পুরো বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত বিরতিতে ডলার কিনছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুধু চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই
১৫ ঘণ্টা আগে