
বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিমানকে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনায় রাজি করা প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা সফর করে গেলেন কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁরা চান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের প্রস্তাবের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হোক।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে বোয়িং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক, বোয়িংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও এয়ারবাসের প্রস্তাবসহ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতার তুলনামূলক আলোচনা ও অর্থায়নসহ নানা দিক উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বোয়িংয়ের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার, ইউরেশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বীন নাইডু ও বোয়িংয়ের বিক্রয় পরিচালক কান্তি ভুবনাগিরি।
বোয়িংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্য কোনো নির্মাতার চেয়ে তাঁদের উড়োজাহাজের দাম কম এবং পুরো প্রস্তাব আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী। এর ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিমান লাভবান হবে। সে ক্ষেত্রে আগের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অর্থায়ন করতে অর্থাৎ ঋণ দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মান উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক বছর হল ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। সেই বাধা কাটাতে আবারও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা। এফএএ ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১–এ বেবিচকের উত্তরণে নিজ খরচে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
বোয়িং ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পণ্য মূল্যায়নে আমরা সব সময়ই নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। যে অপারেটরগুলো বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে, তারা সেটি মূল্যায়ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে ৭৮৭, যা বিক্রির পর আবারও কিনতে বায়না করছে অনেকে। বিমানের কাছে বিক্রয় প্রস্তাবগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন চাই আমরা। আশা করি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সেটি হবে। এটা বিমানকে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমান মন্ত্রণালয় ও বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রস্তাবটি পুরোপুরি মূল্যায়নের অনুরোধ করেছি। তাঁরা বলেছেন, করবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৬টি বোয়িংয়ের। অন্য পাঁচটি স্বল্পপাল্লার ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ। প্রথমবারের মতো বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার আলোচনা চলছে, যা অনেক দূর এগিয়েছে বলে খবরে এসেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপের এ নির্মাতা কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে অগ্রগতিও হয়েছে। গত মাসে বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই, দর কষাকষিসহ ক্রয় প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বোয়িং চাইছে, তাদের প্রস্তাবটিও পুরোপুরি মূল্যায়ন করুক বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশের কাছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে।
উড়োজাহাজ বিক্রিতে বিমানকে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাবের বিষয়ে নাইডু বলেন, আমরা বিমানের সামনে একটি পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সেটা আমাদের ও গ্রাহকের মধ্যেই সীমিত। আর ঋণের বিষয়ে ইউএস এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করেছে। বিমানের আগের উড়োজাহাজগুলো কেনার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছিল তারা। সেটি খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অতি সম্প্রতি ৭৭৭ উড়োজাহাজের সব টাকা পরিশোধ করেছে বিমান। এবারও ব্যাংকটি আগ্রহ দেখিয়েছে।
আলোচনায় খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। বিমান বোয়িংনির্ভর হয়ে পড়লে যদি কোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়, তাহলে কি বোয়িং খুচরা যন্ত্রাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রায়ান বলেন, ‘এখন তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের এ রকম অবস্থা বিরাজমান। এগুলো হলো—রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের সঙ্গে এমন কোনো সমস্যা হবে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
আগামী বছরের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ প্রয়োজন বিমানের। সেটি কি বোয়িং সরবরাহ করতে প্রস্তুত? উত্তরে তারা বলেন, যদি অন্য কোনো কোম্পানির অর্ডার করা বিমান তৈরি থাকে, তাহলেই এ সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব।
বিমানের জন্য এয়ারবাসের চেয়ে বোয়িং ভালো—এমন দাবির পেছনে যুক্তি প্রসঙ্গে বোয়িং কর্মকর্তারা বলেন, ৭৮৭ চালিয়ে এয়ারবাসের চেয়ে বছরে ৫০ লাখ ডলারের বেশি লাভ করতে পারবে বিমান। ৬ শতাংশ কম জ্বালানি, ৩০ শতাংশ কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, প্রতিযোগিতামূলক সময়ে সরবরাহ করার প্রস্তাব রয়েছে। বোয়িংয়ের পণ্য অন্য প্রতিযোগীদের চেয়ে দামেও কম। তা ছাড়া বিমান মিশ্র বহরে গেলে অযথা ১৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান করবে।
অশ্বীন নাইডু বলেন, `এ বিষয় নিয়ে আমাদের বিস্তারিত সমীক্ষা আছে। মিশ্র বহর হলে আগামী ২০ বছরে এই ১৫০ মিলিয়ন ডলার তাদের বাড়তি ক্ষতি হবে। চারটি বড় বিষয় আছে—প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্পেয়ার পার্টস এবং পাইলট প্রশিক্ষণ। কোনো বহরে ১০টি বোয়িং ৭৮৭ এবং ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ উড়োজাহাজ থাকলে বেশি পাইলট লাগবে।'
প্রসঙ্গত, বহরে নতুন সুপরিসর উড়োজাহাজ যোগ করার চেষ্টা কয়েক বছর ধরেই করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা দুই কোম্পানি তাদের আগ্রহ দেখিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউরোপভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের ঢাকা সফরকারী প্রতিনিধিদলটি সাংবাদিকদের সামনে আসে; নিজেরাই তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং বিমানের জন্য তাদের প্রস্তাব কেন লাভজনক হবে সেসব দাবি তুলে ধরে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিমানকে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনায় রাজি করা প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা সফর করে গেলেন কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁরা চান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের প্রস্তাবের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হোক।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে বোয়িং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক, বোয়িংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও এয়ারবাসের প্রস্তাবসহ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতার তুলনামূলক আলোচনা ও অর্থায়নসহ নানা দিক উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বোয়িংয়ের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার, ইউরেশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বীন নাইডু ও বোয়িংয়ের বিক্রয় পরিচালক কান্তি ভুবনাগিরি।
বোয়িংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্য কোনো নির্মাতার চেয়ে তাঁদের উড়োজাহাজের দাম কম এবং পুরো প্রস্তাব আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী। এর ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিমান লাভবান হবে। সে ক্ষেত্রে আগের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অর্থায়ন করতে অর্থাৎ ঋণ দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মান উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক বছর হল ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। সেই বাধা কাটাতে আবারও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা। এফএএ ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১–এ বেবিচকের উত্তরণে নিজ খরচে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
বোয়িং ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পণ্য মূল্যায়নে আমরা সব সময়ই নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। যে অপারেটরগুলো বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে, তারা সেটি মূল্যায়ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে ৭৮৭, যা বিক্রির পর আবারও কিনতে বায়না করছে অনেকে। বিমানের কাছে বিক্রয় প্রস্তাবগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন চাই আমরা। আশা করি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সেটি হবে। এটা বিমানকে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমান মন্ত্রণালয় ও বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রস্তাবটি পুরোপুরি মূল্যায়নের অনুরোধ করেছি। তাঁরা বলেছেন, করবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৬টি বোয়িংয়ের। অন্য পাঁচটি স্বল্পপাল্লার ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ। প্রথমবারের মতো বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার আলোচনা চলছে, যা অনেক দূর এগিয়েছে বলে খবরে এসেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপের এ নির্মাতা কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে অগ্রগতিও হয়েছে। গত মাসে বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই, দর কষাকষিসহ ক্রয় প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বোয়িং চাইছে, তাদের প্রস্তাবটিও পুরোপুরি মূল্যায়ন করুক বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশের কাছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে।
উড়োজাহাজ বিক্রিতে বিমানকে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাবের বিষয়ে নাইডু বলেন, আমরা বিমানের সামনে একটি পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সেটা আমাদের ও গ্রাহকের মধ্যেই সীমিত। আর ঋণের বিষয়ে ইউএস এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করেছে। বিমানের আগের উড়োজাহাজগুলো কেনার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছিল তারা। সেটি খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অতি সম্প্রতি ৭৭৭ উড়োজাহাজের সব টাকা পরিশোধ করেছে বিমান। এবারও ব্যাংকটি আগ্রহ দেখিয়েছে।
আলোচনায় খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। বিমান বোয়িংনির্ভর হয়ে পড়লে যদি কোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়, তাহলে কি বোয়িং খুচরা যন্ত্রাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রায়ান বলেন, ‘এখন তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের এ রকম অবস্থা বিরাজমান। এগুলো হলো—রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের সঙ্গে এমন কোনো সমস্যা হবে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
আগামী বছরের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ প্রয়োজন বিমানের। সেটি কি বোয়িং সরবরাহ করতে প্রস্তুত? উত্তরে তারা বলেন, যদি অন্য কোনো কোম্পানির অর্ডার করা বিমান তৈরি থাকে, তাহলেই এ সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব।
বিমানের জন্য এয়ারবাসের চেয়ে বোয়িং ভালো—এমন দাবির পেছনে যুক্তি প্রসঙ্গে বোয়িং কর্মকর্তারা বলেন, ৭৮৭ চালিয়ে এয়ারবাসের চেয়ে বছরে ৫০ লাখ ডলারের বেশি লাভ করতে পারবে বিমান। ৬ শতাংশ কম জ্বালানি, ৩০ শতাংশ কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, প্রতিযোগিতামূলক সময়ে সরবরাহ করার প্রস্তাব রয়েছে। বোয়িংয়ের পণ্য অন্য প্রতিযোগীদের চেয়ে দামেও কম। তা ছাড়া বিমান মিশ্র বহরে গেলে অযথা ১৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান করবে।
অশ্বীন নাইডু বলেন, `এ বিষয় নিয়ে আমাদের বিস্তারিত সমীক্ষা আছে। মিশ্র বহর হলে আগামী ২০ বছরে এই ১৫০ মিলিয়ন ডলার তাদের বাড়তি ক্ষতি হবে। চারটি বড় বিষয় আছে—প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্পেয়ার পার্টস এবং পাইলট প্রশিক্ষণ। কোনো বহরে ১০টি বোয়িং ৭৮৭ এবং ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ উড়োজাহাজ থাকলে বেশি পাইলট লাগবে।'
প্রসঙ্গত, বহরে নতুন সুপরিসর উড়োজাহাজ যোগ করার চেষ্টা কয়েক বছর ধরেই করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা দুই কোম্পানি তাদের আগ্রহ দেখিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউরোপভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের ঢাকা সফরকারী প্রতিনিধিদলটি সাংবাদিকদের সামনে আসে; নিজেরাই তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং বিমানের জন্য তাদের প্রস্তাব কেন লাভজনক হবে সেসব দাবি তুলে ধরে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিমানকে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনায় রাজি করা প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা সফর করে গেলেন কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁরা চান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের প্রস্তাবের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হোক।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে বোয়িং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক, বোয়িংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও এয়ারবাসের প্রস্তাবসহ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতার তুলনামূলক আলোচনা ও অর্থায়নসহ নানা দিক উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বোয়িংয়ের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার, ইউরেশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বীন নাইডু ও বোয়িংয়ের বিক্রয় পরিচালক কান্তি ভুবনাগিরি।
বোয়িংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্য কোনো নির্মাতার চেয়ে তাঁদের উড়োজাহাজের দাম কম এবং পুরো প্রস্তাব আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী। এর ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিমান লাভবান হবে। সে ক্ষেত্রে আগের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অর্থায়ন করতে অর্থাৎ ঋণ দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মান উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক বছর হল ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। সেই বাধা কাটাতে আবারও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা। এফএএ ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১–এ বেবিচকের উত্তরণে নিজ খরচে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
বোয়িং ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পণ্য মূল্যায়নে আমরা সব সময়ই নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। যে অপারেটরগুলো বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে, তারা সেটি মূল্যায়ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে ৭৮৭, যা বিক্রির পর আবারও কিনতে বায়না করছে অনেকে। বিমানের কাছে বিক্রয় প্রস্তাবগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন চাই আমরা। আশা করি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সেটি হবে। এটা বিমানকে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমান মন্ত্রণালয় ও বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রস্তাবটি পুরোপুরি মূল্যায়নের অনুরোধ করেছি। তাঁরা বলেছেন, করবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৬টি বোয়িংয়ের। অন্য পাঁচটি স্বল্পপাল্লার ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ। প্রথমবারের মতো বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার আলোচনা চলছে, যা অনেক দূর এগিয়েছে বলে খবরে এসেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপের এ নির্মাতা কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে অগ্রগতিও হয়েছে। গত মাসে বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই, দর কষাকষিসহ ক্রয় প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বোয়িং চাইছে, তাদের প্রস্তাবটিও পুরোপুরি মূল্যায়ন করুক বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশের কাছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে।
উড়োজাহাজ বিক্রিতে বিমানকে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাবের বিষয়ে নাইডু বলেন, আমরা বিমানের সামনে একটি পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সেটা আমাদের ও গ্রাহকের মধ্যেই সীমিত। আর ঋণের বিষয়ে ইউএস এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করেছে। বিমানের আগের উড়োজাহাজগুলো কেনার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছিল তারা। সেটি খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অতি সম্প্রতি ৭৭৭ উড়োজাহাজের সব টাকা পরিশোধ করেছে বিমান। এবারও ব্যাংকটি আগ্রহ দেখিয়েছে।
আলোচনায় খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। বিমান বোয়িংনির্ভর হয়ে পড়লে যদি কোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়, তাহলে কি বোয়িং খুচরা যন্ত্রাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রায়ান বলেন, ‘এখন তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের এ রকম অবস্থা বিরাজমান। এগুলো হলো—রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের সঙ্গে এমন কোনো সমস্যা হবে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
আগামী বছরের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ প্রয়োজন বিমানের। সেটি কি বোয়িং সরবরাহ করতে প্রস্তুত? উত্তরে তারা বলেন, যদি অন্য কোনো কোম্পানির অর্ডার করা বিমান তৈরি থাকে, তাহলেই এ সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব।
বিমানের জন্য এয়ারবাসের চেয়ে বোয়িং ভালো—এমন দাবির পেছনে যুক্তি প্রসঙ্গে বোয়িং কর্মকর্তারা বলেন, ৭৮৭ চালিয়ে এয়ারবাসের চেয়ে বছরে ৫০ লাখ ডলারের বেশি লাভ করতে পারবে বিমান। ৬ শতাংশ কম জ্বালানি, ৩০ শতাংশ কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, প্রতিযোগিতামূলক সময়ে সরবরাহ করার প্রস্তাব রয়েছে। বোয়িংয়ের পণ্য অন্য প্রতিযোগীদের চেয়ে দামেও কম। তা ছাড়া বিমান মিশ্র বহরে গেলে অযথা ১৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান করবে।
অশ্বীন নাইডু বলেন, `এ বিষয় নিয়ে আমাদের বিস্তারিত সমীক্ষা আছে। মিশ্র বহর হলে আগামী ২০ বছরে এই ১৫০ মিলিয়ন ডলার তাদের বাড়তি ক্ষতি হবে। চারটি বড় বিষয় আছে—প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্পেয়ার পার্টস এবং পাইলট প্রশিক্ষণ। কোনো বহরে ১০টি বোয়িং ৭৮৭ এবং ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ উড়োজাহাজ থাকলে বেশি পাইলট লাগবে।'
প্রসঙ্গত, বহরে নতুন সুপরিসর উড়োজাহাজ যোগ করার চেষ্টা কয়েক বছর ধরেই করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা দুই কোম্পানি তাদের আগ্রহ দেখিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউরোপভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের ঢাকা সফরকারী প্রতিনিধিদলটি সাংবাদিকদের সামনে আসে; নিজেরাই তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং বিমানের জন্য তাদের প্রস্তাব কেন লাভজনক হবে সেসব দাবি তুলে ধরে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিমানকে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ কেনায় রাজি করা প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা সফর করে গেলেন কোম্পানির ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শীর্ষ কর্মকর্তারা। তাঁরা চান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে তাঁদের প্রস্তাবের ‘যথাযথ’ মূল্যায়ন হোক।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকার একটি হোটেলে বোয়িং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় বিমানের সঙ্গে বোয়িংয়ের সম্পর্ক, বোয়িংয়ের নিরাপত্তা নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ ও এয়ারবাসের প্রস্তাবসহ দুই উড়োজাহাজ নির্মাতার তুলনামূলক আলোচনা ও অর্থায়নসহ নানা দিক উঠে আসে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বোয়িংয়ের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার, ইউরেশিয়া ও ভারতীয় উপমহাদেশের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশ্বীন নাইডু ও বোয়িংয়ের বিক্রয় পরিচালক কান্তি ভুবনাগিরি।
বোয়িংয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অন্য কোনো নির্মাতার চেয়ে তাঁদের উড়োজাহাজের দাম কম এবং পুরো প্রস্তাব আর্থিকভাবে সাশ্রয়ী। এর ফলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিমান লাভবান হবে। সে ক্ষেত্রে আগের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অর্থায়ন করতে অর্থাৎ ঋণ দিতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফএএর মূল্যায়নে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) মান উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক বছর হল ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। সেই বাধা কাটাতে আবারও সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বোয়িংয়ের কর্মকর্তারা। এফএএ ক্যাটাগরি-২ থেকে ক্যাটাগরি-১–এ বেবিচকের উত্তরণে নিজ খরচে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।
বোয়িং ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়ান উয়্যার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পণ্য মূল্যায়নে আমরা সব সময়ই নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। যে অপারেটরগুলো বোয়িং ৭৮৭ মডেলের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে, তারা সেটি মূল্যায়ন করেছে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা হচ্ছে ৭৮৭, যা বিক্রির পর আবারও কিনতে বায়না করছে অনেকে। বিমানের কাছে বিক্রয় প্রস্তাবগুলোর একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন চাই আমরা। আশা করি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই সেটি হবে। এটা বিমানকে ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অনেক সহায়তা পেতে সাহায্য করবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিমান মন্ত্রণালয় ও বিমানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছি। আমাদের প্রস্তাবটি পুরোপুরি মূল্যায়নের অনুরোধ করেছি। তাঁরা বলেছেন, করবেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিমানের বহরে থাকা ২১টি উড়োজাহাজের মধ্যে ১৬টি বোয়িংয়ের। অন্য পাঁচটি স্বল্পপাল্লার ড্যাশ-৮০০ উড়োজাহাজ। প্রথমবারের মতো বহরে এয়ারবাস যুক্ত করার আলোচনা চলছে, যা অনেক দূর এগিয়েছে বলে খবরে এসেছে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় এসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। ইউরোপের এ নির্মাতা কোম্পানির উড়োজাহাজ কেনার ব্যাপারে অগ্রগতিও হয়েছে। গত মাসে বিমানের পর্ষদ সভায় তাদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই, দর কষাকষিসহ ক্রয় প্রক্রিয়াটি এগিয়ে নিতে ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ অবস্থায় বোয়িং চাইছে, তাদের প্রস্তাবটিও পুরোপুরি মূল্যায়ন করুক বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। এর আগে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশের কাছে বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করে।
উড়োজাহাজ বিক্রিতে বিমানকে আর্থিক সুবিধার প্রস্তাবের বিষয়ে নাইডু বলেন, আমরা বিমানের সামনে একটি পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাব দিয়েছি। তবে সেটা আমাদের ও গ্রাহকের মধ্যেই সীমিত। আর ঋণের বিষয়ে ইউএস এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক মূল্যায়ন করেছে। বিমানের আগের উড়োজাহাজগুলো কেনার ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করেছিল তারা। সেটি খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অতি সম্প্রতি ৭৭৭ উড়োজাহাজের সব টাকা পরিশোধ করেছে বিমান। এবারও ব্যাংকটি আগ্রহ দেখিয়েছে।
আলোচনায় খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। বিমান বোয়িংনির্ভর হয়ে পড়লে যদি কোনো সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়, তাহলে কি বোয়িং খুচরা যন্ত্রাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে রায়ান বলেন, ‘এখন তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের এ রকম অবস্থা বিরাজমান। এগুলো হলো—রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়া। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের সঙ্গে এমন কোনো সমস্যা হবে। কারণ, দুই দেশের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।'
আগামী বছরের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ প্রয়োজন বিমানের। সেটি কি বোয়িং সরবরাহ করতে প্রস্তুত? উত্তরে তারা বলেন, যদি অন্য কোনো কোম্পানির অর্ডার করা বিমান তৈরি থাকে, তাহলেই এ সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা সম্ভব।
বিমানের জন্য এয়ারবাসের চেয়ে বোয়িং ভালো—এমন দাবির পেছনে যুক্তি প্রসঙ্গে বোয়িং কর্মকর্তারা বলেন, ৭৮৭ চালিয়ে এয়ারবাসের চেয়ে বছরে ৫০ লাখ ডলারের বেশি লাভ করতে পারবে বিমান। ৬ শতাংশ কম জ্বালানি, ৩০ শতাংশ কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, প্রতিযোগিতামূলক সময়ে সরবরাহ করার প্রস্তাব রয়েছে। বোয়িংয়ের পণ্য অন্য প্রতিযোগীদের চেয়ে দামেও কম। তা ছাড়া বিমান মিশ্র বহরে গেলে অযথা ১৫০ মিলিয়ন ডলার লোকসান করবে।
অশ্বীন নাইডু বলেন, `এ বিষয় নিয়ে আমাদের বিস্তারিত সমীক্ষা আছে। মিশ্র বহর হলে আগামী ২০ বছরে এই ১৫০ মিলিয়ন ডলার তাদের বাড়তি ক্ষতি হবে। চারটি বড় বিষয় আছে—প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, স্পেয়ার পার্টস এবং পাইলট প্রশিক্ষণ। কোনো বহরে ১০টি বোয়িং ৭৮৭ এবং ১০টি এয়ারবাস এ৩৫০ উড়োজাহাজ থাকলে বেশি পাইলট লাগবে।'
প্রসঙ্গত, বহরে নতুন সুপরিসর উড়োজাহাজ যোগ করার চেষ্টা কয়েক বছর ধরেই করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এ নিয়ে শীর্ষস্থানীয় উড়োজাহাজ নির্মাতা দুই কোম্পানি তাদের আগ্রহ দেখিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে দেন-দরবার চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের দিক থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে ইউরোপভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস্তাব যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বোয়িংয়ের ঢাকা সফরকারী প্রতিনিধিদলটি সাংবাদিকদের সামনে আসে; নিজেরাই তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এবং বিমানের জন্য তাদের প্রস্তাব কেন লাভজনক হবে সেসব দাবি তুলে ধরে।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস
২২ মে ২০২৪
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।
শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।
প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।
চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস
২২ মে ২০২৪
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।
গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।
আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।
ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস
২২ মে ২০২৪
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।
পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’
১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।
পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ছয়টি ওয়াইড বডি এয়ারক্রাফট বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি বোয়িং। এর মধ্যে চারটি যাত্রীবাহী বোয়িং-৭৮৭ এবং দুটি মালবাহী (ফ্রেইটার) বোয়িং-৭৭৭। এদিকে ইউরোপের উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাসের প্রস
২২ মে ২০২৪
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ...
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
১ দিন আগে