বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশ অর্থনীতির জন্য এক সুসংবাদ নিয়ে এসেছে চলতি বছরের জুন মাস। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশটি খুব শিগগির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি হিসেবে মোট ১.৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছে। এই অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আইএমএফের বোর্ডে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং অনুমোদন মিললেই জুনের মধ্যে তা একসঙ্গে ছাড় হবে বলে আশা করছে সরকার।
শুধু আইএমএফ নয়, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান ও ওপেক ফান্ডসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকেও আরও প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা আসতে পারে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সব মিলিয়ে জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে আসতে পারে মোট ৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় ধরনের স্বস্তি আনবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় পর্যালোচনা (রিভিউ) সফলভাবে সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের যোগ্যতা অর্জন করে। এর পরপরই সদ্যসমাপ্ত চতুর্থ রিভিউয়ের সফলতার ভিত্তিতে পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রেও সবুজসংকেত মেলে।
আইএমএফ এই কিস্তি ছাড়ে সম্মতি জানিয়েছে মূলত বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, মুদ্রা বিনিময় হার সংস্কার ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই চতুর্থ রিভিউ, যার আনুষ্ঠানিক আলোচনা পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বসন্তকালীন সভায় সম্পন্ন হয়। ওই বৈঠকের ফলাফল হিসেবে আইএমএফ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট (এসএলএ) স্বাক্ষরিত হয়। আর এই চুক্তির মাধ্যমেই খুলে যায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের দরজা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতা নিশ্চিত করতে আমরা রাজস্ব নীতি, বিনিময় হার ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সংস্কার পরিকল্পনা সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিজস্ব উদ্যোগ এবং জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে।’
বিশ্বব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি, জাপান ও ওপেক ফান্ডের বাজেট সহায়তার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার প্রত্যাশা করছে, এই সংস্থাগুলোর সহায়তা জুন মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি ঘটবে এবং টাকার বিনিময় হারের ওপর চাপ কমবে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ভূমিকা রাখবে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে টেকসই আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য একদিকে যেমন বহুপক্ষীয় ঋণসহায়তা অপরিহার্য, তেমনি সরকারের প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করাও জরুরি। বিশেষ করে রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থায় কার্যকর সংস্কার ও বিনিময় হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘মার্কেট বেসড এক্সচেঞ্জ রেট’ পদ্ধতি চালুর ঘোষণা দিয়েছে, যা দেশের মুদ্রানীতিতে এক নতুন ধারা সূচনার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এটি শুধু আইএমএফের সংস্কার শর্ত পূরণেই সহায়ক হবে না, বরং দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, চলমান বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে আর্থিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে, এই ঋণ ও সহায়তা প্রাপ্তি সেই প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করবে। তবে এই তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া কঠিন হবে বলে তাঁরা সতর্ক করেন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, জুন মাসে আসন্ন ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের বহুপক্ষীয় সহায়তা কেবল তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক স্বস্তিই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কারের পথ প্রশস্ত করতে পারে, যদি সরকার প্রতিশ্রুত রিফর্মগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।
বাংলাদেশ অর্থনীতির জন্য এক সুসংবাদ নিয়ে এসেছে চলতি বছরের জুন মাস। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশটি খুব শিগগির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি হিসেবে মোট ১.৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ পেতে যাচ্ছে। এই অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আইএমএফের বোর্ডে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং অনুমোদন মিললেই জুনের মধ্যে তা একসঙ্গে ছাড় হবে বলে আশা করছে সরকার।
শুধু আইএমএফ নয়, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান ও ওপেক ফান্ডসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকেও আরও প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তা আসতে পারে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সব মিলিয়ে জুন মাসের মধ্যে বাংলাদেশে আসতে পারে মোট ৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বড় ধরনের স্বস্তি আনবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় পর্যালোচনা (রিভিউ) সফলভাবে সম্পন্ন করার পর বাংলাদেশ চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের যোগ্যতা অর্জন করে। এর পরপরই সদ্যসমাপ্ত চতুর্থ রিভিউয়ের সফলতার ভিত্তিতে পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রেও সবুজসংকেত মেলে।
আইএমএফ এই কিস্তি ছাড়ে সম্মতি জানিয়েছে মূলত বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, মুদ্রা বিনিময় হার সংস্কার ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত অগ্রগতির স্বীকৃতিস্বরূপ। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই চতুর্থ রিভিউ, যার আনুষ্ঠানিক আলোচনা পরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ বসন্তকালীন সভায় সম্পন্ন হয়। ওই বৈঠকের ফলাফল হিসেবে আইএমএফ ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি স্টাফ লেভেল অ্যাগ্রিমেন্ট (এসএলএ) স্বাক্ষরিত হয়। আর এই চুক্তির মাধ্যমেই খুলে যায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের দরজা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি সক্ষমতা নিশ্চিত করতে আমরা রাজস্ব নীতি, বিনিময় হার ও আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই সংস্কার পরিকল্পনা সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিজস্ব উদ্যোগ এবং জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে।’
বিশ্বব্যাংক, এডিবি, এআইআইবি, জাপান ও ওপেক ফান্ডের বাজেট সহায়তার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার প্রত্যাশা করছে, এই সংস্থাগুলোর সহায়তা জুন মাসের মধ্যেই পাওয়া যাবে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে তাৎপর্যপূর্ণ বৃদ্ধি ঘটবে এবং টাকার বিনিময় হারের ওপর চাপ কমবে, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় বড় ভূমিকা রাখবে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে টেকসই আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য একদিকে যেমন বহুপক্ষীয় ঋণসহায়তা অপরিহার্য, তেমনি সরকারের প্রতিশ্রুত সংস্কার বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করাও জরুরি। বিশেষ করে রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থায় কার্যকর সংস্কার ও বিনিময় হার নির্ধারণে বাজারভিত্তিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতিমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘মার্কেট বেসড এক্সচেঞ্জ রেট’ পদ্ধতি চালুর ঘোষণা দিয়েছে, যা দেশের মুদ্রানীতিতে এক নতুন ধারা সূচনার ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এটি শুধু আইএমএফের সংস্কার শর্ত পূরণেই সহায়ক হবে না, বরং দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, চলমান বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে আর্থিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে, এই ঋণ ও সহায়তা প্রাপ্তি সেই প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করবে। তবে এই তহবিল ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া কঠিন হবে বলে তাঁরা সতর্ক করেন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, জুন মাসে আসন্ন ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের বহুপক্ষীয় সহায়তা কেবল তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক স্বস্তিই নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কারের পথ প্রশস্ত করতে পারে, যদি সরকার প্রতিশ্রুত রিফর্মগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে।
এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ গুণে। ২০২৪ সালের মার্চ শেষে যেখানে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ৫৮৫ কোটি, সেখানে ২০২৫ সালের মার্চ শেষে তা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ঘাটতি বেড়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংকিং খাতে নজিরবিহীন।
৪ ঘণ্টা আগেআনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করেছে নেপাল। এর মাধ্যমে ভারতের সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ বাজারে নেপালের যাত্রার নতুন অধ্যায় সূচিত হলো। গত রোববার থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিদিন ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে নেপাল। এই বিদ্যুৎ রপ্তানি ৫ বছরের একটি...
৪ ঘণ্টা আগেধীরে ধীরে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গতকাল সোমবার পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে হরমুজ প্রণালি। বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সামুদ্রিক বাণিজ্যপথে নৌযান চলাচলে ইলেকট্রনিক হস্তক্ষেপ এবং নেভিগেশন বিভ্রাটের ঘটনা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাও এখন হুমকির মুখে।
৭ ঘণ্টা আগে