Ajker Patrika

ব্র্যান্ডের নকল পোশাক যাচ্ছে বিদেশে, উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩: ০৫
ব্র্যান্ডের নকল পোশাক যাচ্ছে বিদেশে, উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস তৈরি পোশাক খাত। তৈরি পোশাক খাতে কোনো অর্ডার বাতিল হলে কিংবা ত্রুটির কারণে কোনো পণ্য রপ্তানি না হলে, সেগুলো কম দামে কিনে দেশের বাজারেই বিক্রি করেন অনেক ব্যবসায়ী। অভিযোগ উঠেছে, অর্ডার বাতিল হওয়া এসব পোশাকের যেগুলোর মান ভালো, সেগুলো কেউ কেউ দেশের বাইরে রপ্তানি করছেন। এগুলো ‘নকল পণ্য’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টিকে পোশাক খাতের জন্য খারাপ খবর বলে মনে করছেন অনেকে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিয়ম অনুযায়ী অর্ডার বাতিল হওয়া বা ত্রুটিযুক্ত পোশাক কারখানার ভেতরেই ধ্বংস করে ফেলার কথা। কিন্তু খালেক মণ্ডল নামের রাজধানীর একটি মার্কেটের এক দোকানি বলেন, পোশাক কারখানা থেকে তাঁরা অর্ডার বাতিল হওয়া কাপড়গুলো কম দামে কিনে আনেন। এ সময় পোশাকের গায়ে যে ব্র্যান্ডের নাম ও ট্যাগ থাকে, সেগুলো খুলে ফেলা হয়, যেন বোঝা না যায় এগুলো কোন কোম্পানির পণ্য।

বিশ্বব্যাপী নকল পণ্যের ক্ষেত্রে লোগো, ডিজাইন, ট্রেডমার্ক ইত্যাদির হুবহু প্রতিরূপ তৈরি করাকে অপরাধ হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশ থেকে নকল তৈরি পোশাক রপ্তানির বিষয়টি সম্প্রতি উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর ‘ইউএসটিআর’-এর প্রতিবেদনে। ইউএসটিআরের কাছে বাংলাদেশের নকল পণ্য নিয়ে অভিযোগটি করেছে মার্কিন ব্র্যান্ডগুলোর সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন বা এএএফএ। বিভিন্ন গবেষণার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বিশ্বব্যাপী নকল তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষ পাঁচটি দেশের একটি বাংলাদেশ।

বিবিসি থেকে ই-মেইলে যোগাযোগ করা হলে এএএফএ জানায়, বাংলাদেশ থেকে নকল পণ্যের চালান ক্রমাগত বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১২টি দেশে ধরা পড়েছে এমন পণ্যের চালান। এমনকি বাংলাদেশ থেকে নকল তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২২ সালে আগের বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ফলে সংগঠনটি বাংলাদেশকে নজরদারির তালিকায় শীর্ষে রাখার সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের কাছে। সংগঠনটি বলছে, ২০২২ সালে শুধু মালয়েশিয়া ও ফিলিপাইনে ১৭টি অভিযানে ১ লাখ ৭৫ হাজার আইটেম নকল পণ্য জব্দ হয়, তার সবগুলোই বাংলাদেশে উৎপাদিত। এসব নকল পণ্যের চালান প্রচলিতভাবে সমুদ্রপথের বদলে সবচেয়ে বেশি পাঠানো হয় ছোট ছোট আকারে পোস্টাল সার্ভিসের মাধ্যমে। ব্যবহার করা হয় সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম।

পোশাক খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুইভাবে এ ধরনের নকল পণ্য তৈরির সুযোগ আছে। প্রথমত, কেউ স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করে কুরিয়ারের মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, কেউ হয়তো বিদেশি কোনো ব্র্যান্ডের লোগো বা ডিজাইন নকল করে কোনো পোশাক বানিয়ে সেটা রপ্তানি করে দিচ্ছে।

তবে বিজিএমইএ তাদের অধীনে থাকা কোনো কারখানা থেকে নকল পণ্য রপ্তানির অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে। বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর ‘ইউএসটিআর’ সপ্তাহখানেক আগেই পোশাকমালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। নকল পণ্য রপ্তানি নিয়ে তারা কোনো অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া ব্র্যান্ডগুলো থেকে নকল পণ্য রপ্তানির যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেগুলো আসলে অনুমাননির্ভর। তারা কোনো তথ্য-প্রমাণ বা কারা এগুলো উৎপাদন করছে, সেটা বলতে পারেনি।

পোশাক করাখানা থেকে ‘স্টক লট’ বের করে আনা প্রসঙ্গে ফয়সাল সামাদ বলেন, ‘এটা একেবারে বেআইনি নয়। যে ফ্যাক্টরিগুলো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কাজ করে, তারা সেটা নিয়মিতই করে থাকে। এখন ধরেন, একটা অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। এখন তাদের অনুমতি নিয়ে ব্র্যান্ডের লেবেল খুলে ফেলে সেটা বাইরে বিক্রি করা যায়। এটা বেআইনি নয়। এখান থেকে হয়তো দু-একটা এমন হতেই পারে, যেগুলো সঠিক নিয়ম মেনে হয়তো বাইরে যায়নি।’ তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে কেউ যদি নকল পণ্য বানায়, সেটার দায় বিজিএমইএর নয়। কারণ, তারা এই সংগঠনের অধীনে নয়।

নকল পণ্যের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তা যে তৈরি পোশাক খাতের জন্য ভালো কিছু হবে না, তা স্বীকার করেছেন ফয়সাল সামাদ। তিনি বলেন, নকল পোশাক রপ্তানির বিষয়টি প্রমাণিত হলে তা পোশাক রপ্তানিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ বা কড়াকড়ি আরোপ করা হতে পারে। ফলে বিষয়টি নিয়ে সরকারকে তৎপর হতে হবে।

এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব দেশের বাইরে থাকায় তাঁদের বক্তব্য নিতে পারেনি বিবিসি বাংলা। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে চলতি বছরের শুরুতে যখন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নকল পণ্য রপ্তানির অভিযোগ আনা হয়, তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বিজিএমইএর মতো কথা বলেছিল।

সেন্টার ফর পলিসি ডাোলগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল পোশাক সহজলভ্য এবং তা প্রকাশ্যেই বিক্রি হয়। সুতরাং লোকাল মার্কেটে যে পণ্য তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকেই দুবাই হয়ে বিভিন্ন বাজারে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে যদি উদ্বেগ চলতেই থাকে, তাহলে হয়তো ব্যবস্থা হিসেবে বাংলাদেশের যেকোনো পণ্যের জন্যই রপ্তানি পর্যায়ে নানা শর্তারোপ হতে পারে। অথবা ওই সব দেশে ঢোকার সময় চেকিংয়ে একটা দীর্ঘসূত্রতা হতে পারে। আর যদি নকল পণ্য রপ্তানির বিষয়টা জোরালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরিমাণের দিক দিয়ে বড় হয়, তাহলে কিন্তু কোটা আরোপ করা, বাড়তি শুল্ক আরোপ করা—এ ধরনের বিষয়গুলো যুক্ত হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।

প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’

তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাড়ল মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।

এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত