আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা, সুশাসন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ও সংস্কার এবং সহায়ক বাণিজ্য নীতি সহায়তার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা উন্নতি ও জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, শিল্পখাত অনেক কঠিন সময় পার করছে। সরকার বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন না হলে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে দেশে আর কোনো বিনিয়োগ হবে না। শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমস্যা সমাধানে আমাদের একটা রোডম্যাপ করতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিয়ে শিল্পখাতে আরও বেশি হারে গ্যাস সরবরাহ করার প্রস্তাব দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক খাতে যে ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, তা অকল্পনীয়। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫–১০ কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে। বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এগুলো উত্তরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ১৫ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি তিন–চার মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তবে ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে এবং আরও ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। গত চার মাসে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ৩০ টির মতো বৈঠক করেছি। তাদের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে, তারা দিতে রাজিও হয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল হয়েছে। মূল্যস্ফীতি একটা বড় চ্যালেঞ্জ, রিজার্ভ স্থিতিশীলতা ও সুদের হার সন্তোষজনক পর্যায়ে আনার মাধ্যমে এ অবস্থারও উত্তরণ হবে।
তিনি আরও বলেন, এনবিআর নিয়ে বেসরকারি খাতের অভিযোগ রয়েছে। এনবিআরের কার্যক্রমে অটোমেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ট্যাক্স পলিসি ও ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে আলাদা করা হবে, প্রক্রিয়া চলমান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সমন্বয় আবশ্যক এবং বিদ্যমান অবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে বলে আশা করছি। শুধু এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতির জন্য নয় আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য সম্প্রসারণেও নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তবে কবে নাগাদ গ্র্যাজুয়েশন করা যৌক্তিক হবে সে বিষয়ে আরও ডায়ালগ করার প্রয়োজন। কেননা এলডিসি পরবর্তী সময়ে আমরা বেশ কিছু অগ্রাধিকার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হব।’
একই পণ্যের একাধিক বাণিজ্য সংগঠন থাকা উচিত নয় জানিয়ে এগুলো একে অপরের সঙ্গে মার্জ করার পরামর্শ দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী বছরের শুরুতেই নীতি সুদ হার ক্রমান্বয়ে কমানোর পাশাপাশি সরকারি ব্যয় হ্রাস, বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় চাঁদাবাজি রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কেননা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি; আছে জ্বালানি সমস্যা। এতে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়াই কঠিন।
সম্মেলনে প্যানেল আলোচক ছিলেন, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিএবির সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, বিটিএমএ শওকত আজিজ রাসেল, ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার, এবিবির সভাপতি সেলিম আর এফ হোসেন, প্রাণ আরএফএর গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী ও ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির।
আব্দুল মোক্তাদির বলেন, বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে। শিল্প-কারখানায় অস্থিরতা কোনোভাবেই কাম্য নয়, তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট সময় সীমাসহ রোডম্যাপ থাকতে হবে। বিভিন্ন পণ্যের উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, ছোট ব্যবসায়ীরা কঠিন পরিস্থিতি পার করছে। আমাদের বেশ কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, তাই কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিলেই শিল্প খাতে আরও বেশি হারে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে। তবে কিছু ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার সুফল আসবে।
আহসান খান চৌধুরী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে ব্যবসা করা কঠিন। এ খাতে উন্নয়ন হলে ব্যবসার উন্নয়ন আসবে। এ ছাড়া এলসি সমস্যাও রয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনের নিরিখে এলসি খুলতে না পারলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দুটোই ব্যাহত হয়। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি পার্শিয়াল বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঋণের সুদের হার হ্রাস প্রদান করা প্রয়োজন।
সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের পক্ষ হতে এখনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রতিটি খাতে অনিয়ম–দুর্নীতি ছেয়ে গেছে এগুলো থামাতে হবে। সব খাতেই আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিই যথেষ্ট নয়, বরং পণ্যের সাপ্লাই চেইনে চাঁদাবাজি বন্ধ সহ বাজার ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক খাতের মামলাজট নিরসনে আরও বেশি হারে আদালত ও বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে। অর্থনৈতিক খাতে সরকার বেশ ভালো করেছে।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। ২০২৬ এ আমাদের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন স্থগিত করা উচিত। কারণ আমরা এখন বেঁচে থাকার প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছি। তা ছাড়া এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছিল বেশ কিছু ভুল তথ্যের ভিত্তিতে। আমাদের আমদানি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, পাশাপাশি কমেছে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন। গ্যাস সংকটে আমরা ফেব্রিকস তৈরি করতে পারছি না, ফলে এ ধরনের পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে।
জাভেদ আখতার বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা, ধারাবাহিকতা ও সক্ষমতা একান্ত অপরিহার্য। এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আব্দুল হাই সরকার বলেন, জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত ছাড়া শিল্প উন্নয়ন সম্ভব নয়, এ অবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে স্বাভাবিক পর্যায়ের নিয়ে আসতে সকলকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি এ ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে বিশেষকরে দুর্নীতি কমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন না করায় আমাদের উচ্চ মূল্যের গ্যাস দিয়ে শিল্পকারখানা পরিচালিত হচ্ছে, ফলে আমাদের সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।’
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ সহ বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা, সুশাসন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ও সংস্কার এবং সহায়ক বাণিজ্য নীতি সহায়তার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা উন্নতি ও জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, শিল্পখাত অনেক কঠিন সময় পার করছে। সরকার বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন না হলে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে দেশে আর কোনো বিনিয়োগ হবে না। শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমস্যা সমাধানে আমাদের একটা রোডম্যাপ করতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিয়ে শিল্পখাতে আরও বেশি হারে গ্যাস সরবরাহ করার প্রস্তাব দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক খাতে যে ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, তা অকল্পনীয়। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫–১০ কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে। বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এগুলো উত্তরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ১৫ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি তিন–চার মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তবে ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে এবং আরও ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। গত চার মাসে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ৩০ টির মতো বৈঠক করেছি। তাদের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে, তারা দিতে রাজিও হয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল হয়েছে। মূল্যস্ফীতি একটা বড় চ্যালেঞ্জ, রিজার্ভ স্থিতিশীলতা ও সুদের হার সন্তোষজনক পর্যায়ে আনার মাধ্যমে এ অবস্থারও উত্তরণ হবে।
তিনি আরও বলেন, এনবিআর নিয়ে বেসরকারি খাতের অভিযোগ রয়েছে। এনবিআরের কার্যক্রমে অটোমেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ট্যাক্স পলিসি ও ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে আলাদা করা হবে, প্রক্রিয়া চলমান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সমন্বয় আবশ্যক এবং বিদ্যমান অবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে বলে আশা করছি। শুধু এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতির জন্য নয় আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য সম্প্রসারণেও নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তবে কবে নাগাদ গ্র্যাজুয়েশন করা যৌক্তিক হবে সে বিষয়ে আরও ডায়ালগ করার প্রয়োজন। কেননা এলডিসি পরবর্তী সময়ে আমরা বেশ কিছু অগ্রাধিকার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হব।’
একই পণ্যের একাধিক বাণিজ্য সংগঠন থাকা উচিত নয় জানিয়ে এগুলো একে অপরের সঙ্গে মার্জ করার পরামর্শ দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী বছরের শুরুতেই নীতি সুদ হার ক্রমান্বয়ে কমানোর পাশাপাশি সরকারি ব্যয় হ্রাস, বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় চাঁদাবাজি রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কেননা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি; আছে জ্বালানি সমস্যা। এতে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়াই কঠিন।
সম্মেলনে প্যানেল আলোচক ছিলেন, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিএবির সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, বিটিএমএ শওকত আজিজ রাসেল, ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার, এবিবির সভাপতি সেলিম আর এফ হোসেন, প্রাণ আরএফএর গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী ও ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির।
আব্দুল মোক্তাদির বলেন, বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে। শিল্প-কারখানায় অস্থিরতা কোনোভাবেই কাম্য নয়, তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট সময় সীমাসহ রোডম্যাপ থাকতে হবে। বিভিন্ন পণ্যের উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, ছোট ব্যবসায়ীরা কঠিন পরিস্থিতি পার করছে। আমাদের বেশ কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, তাই কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিলেই শিল্প খাতে আরও বেশি হারে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে। তবে কিছু ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার সুফল আসবে।
আহসান খান চৌধুরী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে ব্যবসা করা কঠিন। এ খাতে উন্নয়ন হলে ব্যবসার উন্নয়ন আসবে। এ ছাড়া এলসি সমস্যাও রয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনের নিরিখে এলসি খুলতে না পারলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দুটোই ব্যাহত হয়। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি পার্শিয়াল বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঋণের সুদের হার হ্রাস প্রদান করা প্রয়োজন।
সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের পক্ষ হতে এখনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রতিটি খাতে অনিয়ম–দুর্নীতি ছেয়ে গেছে এগুলো থামাতে হবে। সব খাতেই আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিই যথেষ্ট নয়, বরং পণ্যের সাপ্লাই চেইনে চাঁদাবাজি বন্ধ সহ বাজার ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক খাতের মামলাজট নিরসনে আরও বেশি হারে আদালত ও বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে। অর্থনৈতিক খাতে সরকার বেশ ভালো করেছে।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। ২০২৬ এ আমাদের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন স্থগিত করা উচিত। কারণ আমরা এখন বেঁচে থাকার প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছি। তা ছাড়া এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছিল বেশ কিছু ভুল তথ্যের ভিত্তিতে। আমাদের আমদানি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, পাশাপাশি কমেছে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন। গ্যাস সংকটে আমরা ফেব্রিকস তৈরি করতে পারছি না, ফলে এ ধরনের পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে।
জাভেদ আখতার বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা, ধারাবাহিকতা ও সক্ষমতা একান্ত অপরিহার্য। এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আব্দুল হাই সরকার বলেন, জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত ছাড়া শিল্প উন্নয়ন সম্ভব নয়, এ অবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে স্বাভাবিক পর্যায়ের নিয়ে আসতে সকলকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি এ ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে বিশেষকরে দুর্নীতি কমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন না করায় আমাদের উচ্চ মূল্যের গ্যাস দিয়ে শিল্পকারখানা পরিচালিত হচ্ছে, ফলে আমাদের সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।’
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ সহ বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা, সুশাসন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ও সংস্কার এবং সহায়ক বাণিজ্য নীতি সহায়তার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা উন্নতি ও জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, শিল্পখাত অনেক কঠিন সময় পার করছে। সরকার বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন না হলে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে দেশে আর কোনো বিনিয়োগ হবে না। শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমস্যা সমাধানে আমাদের একটা রোডম্যাপ করতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিয়ে শিল্পখাতে আরও বেশি হারে গ্যাস সরবরাহ করার প্রস্তাব দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক খাতে যে ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, তা অকল্পনীয়। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫–১০ কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে। বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এগুলো উত্তরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ১৫ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি তিন–চার মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তবে ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে এবং আরও ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। গত চার মাসে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ৩০ টির মতো বৈঠক করেছি। তাদের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে, তারা দিতে রাজিও হয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল হয়েছে। মূল্যস্ফীতি একটা বড় চ্যালেঞ্জ, রিজার্ভ স্থিতিশীলতা ও সুদের হার সন্তোষজনক পর্যায়ে আনার মাধ্যমে এ অবস্থারও উত্তরণ হবে।
তিনি আরও বলেন, এনবিআর নিয়ে বেসরকারি খাতের অভিযোগ রয়েছে। এনবিআরের কার্যক্রমে অটোমেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ট্যাক্স পলিসি ও ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে আলাদা করা হবে, প্রক্রিয়া চলমান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সমন্বয় আবশ্যক এবং বিদ্যমান অবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে বলে আশা করছি। শুধু এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতির জন্য নয় আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য সম্প্রসারণেও নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তবে কবে নাগাদ গ্র্যাজুয়েশন করা যৌক্তিক হবে সে বিষয়ে আরও ডায়ালগ করার প্রয়োজন। কেননা এলডিসি পরবর্তী সময়ে আমরা বেশ কিছু অগ্রাধিকার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হব।’
একই পণ্যের একাধিক বাণিজ্য সংগঠন থাকা উচিত নয় জানিয়ে এগুলো একে অপরের সঙ্গে মার্জ করার পরামর্শ দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী বছরের শুরুতেই নীতি সুদ হার ক্রমান্বয়ে কমানোর পাশাপাশি সরকারি ব্যয় হ্রাস, বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় চাঁদাবাজি রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কেননা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি; আছে জ্বালানি সমস্যা। এতে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়াই কঠিন।
সম্মেলনে প্যানেল আলোচক ছিলেন, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিএবির সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, বিটিএমএ শওকত আজিজ রাসেল, ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার, এবিবির সভাপতি সেলিম আর এফ হোসেন, প্রাণ আরএফএর গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী ও ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির।
আব্দুল মোক্তাদির বলেন, বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে। শিল্প-কারখানায় অস্থিরতা কোনোভাবেই কাম্য নয়, তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট সময় সীমাসহ রোডম্যাপ থাকতে হবে। বিভিন্ন পণ্যের উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, ছোট ব্যবসায়ীরা কঠিন পরিস্থিতি পার করছে। আমাদের বেশ কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, তাই কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিলেই শিল্প খাতে আরও বেশি হারে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে। তবে কিছু ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার সুফল আসবে।
আহসান খান চৌধুরী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে ব্যবসা করা কঠিন। এ খাতে উন্নয়ন হলে ব্যবসার উন্নয়ন আসবে। এ ছাড়া এলসি সমস্যাও রয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনের নিরিখে এলসি খুলতে না পারলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দুটোই ব্যাহত হয়। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি পার্শিয়াল বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঋণের সুদের হার হ্রাস প্রদান করা প্রয়োজন।
সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের পক্ষ হতে এখনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রতিটি খাতে অনিয়ম–দুর্নীতি ছেয়ে গেছে এগুলো থামাতে হবে। সব খাতেই আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিই যথেষ্ট নয়, বরং পণ্যের সাপ্লাই চেইনে চাঁদাবাজি বন্ধ সহ বাজার ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক খাতের মামলাজট নিরসনে আরও বেশি হারে আদালত ও বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে। অর্থনৈতিক খাতে সরকার বেশ ভালো করেছে।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। ২০২৬ এ আমাদের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন স্থগিত করা উচিত। কারণ আমরা এখন বেঁচে থাকার প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছি। তা ছাড়া এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছিল বেশ কিছু ভুল তথ্যের ভিত্তিতে। আমাদের আমদানি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, পাশাপাশি কমেছে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন। গ্যাস সংকটে আমরা ফেব্রিকস তৈরি করতে পারছি না, ফলে এ ধরনের পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে।
জাভেদ আখতার বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা, ধারাবাহিকতা ও সক্ষমতা একান্ত অপরিহার্য। এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আব্দুল হাই সরকার বলেন, জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত ছাড়া শিল্প উন্নয়ন সম্ভব নয়, এ অবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে স্বাভাবিক পর্যায়ের নিয়ে আসতে সকলকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি এ ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে বিশেষকরে দুর্নীতি কমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন না করায় আমাদের উচ্চ মূল্যের গ্যাস দিয়ে শিল্পকারখানা পরিচালিত হচ্ছে, ফলে আমাদের সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।’
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ সহ বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা, সুশাসন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ও সংস্কার এবং সহায়ক বাণিজ্য নীতি সহায়তার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা উন্নতি ও জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
আজ শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক: প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, শিল্পখাত অনেক কঠিন সময় পার করছে। সরকার বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু যথেষ্ট উন্নতি হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন না হলে এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে দেশে আর কোনো বিনিয়োগ হবে না। শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমস্যা সমাধানে আমাদের একটা রোডম্যাপ করতে হবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিয়ে শিল্পখাতে আরও বেশি হারে গ্যাস সরবরাহ করার প্রস্তাব দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৫ বছরে অর্থনৈতিক খাতে যে ধরনের দুর্নীতি হয়েছে, তা অকল্পনীয়। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। একটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ৫–১০ কোটি টাকা নিয়ে চলে গেছে। বিশ্বে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এগুলো উত্তরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ১৫ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি তিন–চার মাসে স্বাভাবিক করা সম্ভব নয়। তবে ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে এবং আরও ক্ষয় হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। গত চার মাসে আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ৩০ টির মতো বৈঠক করেছি। তাদের কাছে অর্থ চাওয়া হয়েছে, তারা দিতে রাজিও হয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট স্থিতিশীল হয়েছে। মূল্যস্ফীতি একটা বড় চ্যালেঞ্জ, রিজার্ভ স্থিতিশীলতা ও সুদের হার সন্তোষজনক পর্যায়ে আনার মাধ্যমে এ অবস্থারও উত্তরণ হবে।
তিনি আরও বলেন, এনবিআর নিয়ে বেসরকারি খাতের অভিযোগ রয়েছে। এনবিআরের কার্যক্রমে অটোমেশন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ট্যাক্স পলিসি ও ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে আলাদা করা হবে, প্রক্রিয়া চলমান।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের সমন্বয় আবশ্যক এবং বিদ্যমান অবস্থার দ্রুত উন্নতি হবে বলে আশা করছি। শুধু এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের প্রস্তুতির জন্য নয় আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য সম্প্রসারণেও নিজেদের সক্ষমতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তবে কবে নাগাদ গ্র্যাজুয়েশন করা যৌক্তিক হবে সে বিষয়ে আরও ডায়ালগ করার প্রয়োজন। কেননা এলডিসি পরবর্তী সময়ে আমরা বেশ কিছু অগ্রাধিকার প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হব।’
একই পণ্যের একাধিক বাণিজ্য সংগঠন থাকা উচিত নয় জানিয়ে এগুলো একে অপরের সঙ্গে মার্জ করার পরামর্শ দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আগামী বছরের শুরুতেই নীতি সুদ হার ক্রমান্বয়ে কমানোর পাশাপাশি সরকারি ব্যয় হ্রাস, বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় চাঁদাবাজি রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কেননা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি; আছে জ্বালানি সমস্যা। এতে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়াই কঠিন।
সম্মেলনে প্যানেল আলোচক ছিলেন, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিএবির সভাপতি আব্দুল হাই সরকার, বিটিএমএ শওকত আজিজ রাসেল, ফিকির সভাপতি জাভেদ আখতার, এবিবির সভাপতি সেলিম আর এফ হোসেন, প্রাণ আরএফএর গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী ও ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান আব্দুল মোক্তাদির।
আব্দুল মোক্তাদির বলেন, বাংলাদেশ কঠিন সময় পার করছে। শিল্প-কারখানায় অস্থিরতা কোনোভাবেই কাম্য নয়, তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট সময় সীমাসহ রোডম্যাপ থাকতে হবে। বিভিন্ন পণ্যের উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, ছোট ব্যবসায়ীরা কঠিন পরিস্থিতি পার করছে। আমাদের বেশ কয়েকটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে, তাই কয়লার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিলেই শিল্প খাতে আরও বেশি হারে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে। তবে কিছু ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার সুফল আসবে।
আহসান খান চৌধুরী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন না হলে ব্যবসা করা কঠিন। এ খাতে উন্নয়ন হলে ব্যবসার উন্নয়ন আসবে। এ ছাড়া এলসি সমস্যাও রয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনের নিরিখে এলসি খুলতে না পারলে উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দুটোই ব্যাহত হয়। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাতের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি পার্শিয়াল বন্ড ইস্যু করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঋণের সুদের হার হ্রাস প্রদান করা প্রয়োজন।
সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের পক্ষ হতে এখনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ ক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। প্রতিটি খাতে অনিয়ম–দুর্নীতি ছেয়ে গেছে এগুলো থামাতে হবে। সব খাতেই আরও স্বচ্ছতা আনতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিই যথেষ্ট নয়, বরং পণ্যের সাপ্লাই চেইনে চাঁদাবাজি বন্ধ সহ বাজার ব্যবস্থাপনায় কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক খাতের মামলাজট নিরসনে আরও বেশি হারে আদালত ও বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে। অর্থনৈতিক খাতে সরকার বেশ ভালো করেছে।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। ২০২৬ এ আমাদের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন স্থগিত করা উচিত। কারণ আমরা এখন বেঁচে থাকার প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছি। তা ছাড়া এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছিল বেশ কিছু ভুল তথ্যের ভিত্তিতে। আমাদের আমদানি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, পাশাপাশি কমেছে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন। গ্যাস সংকটে আমরা ফেব্রিকস তৈরি করতে পারছি না, ফলে এ ধরনের পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বাণিজ্য সংগঠনগুলোকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে।
জাভেদ আখতার বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা, ধারাবাহিকতা ও সক্ষমতা একান্ত অপরিহার্য। এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
আব্দুল হাই সরকার বলেন, জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত ছাড়া শিল্প উন্নয়ন সম্ভব নয়, এ অবস্থার উন্নয়ন জরুরি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশকে স্বাভাবিক পর্যায়ের নিয়ে আসতে সকলকে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে।
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি এ ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে বিশেষকরে দুর্নীতি কমানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন না করায় আমাদের উচ্চ মূল্যের গ্যাস দিয়ে শিল্পকারখানা পরিচালিত হচ্ছে, ফলে আমাদের সক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।’
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, প্রাক্তন সভাপতিবৃন্দ সহ বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা, সুশাসন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ও সংস্কার এবং সহায়ক বাণিজ্য নীতি সহায়তার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা...
৩০ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা, সুশাসন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ও সংস্কার এবং সহায়ক বাণিজ্য নীতি সহায়তার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা...
৩০ নভেম্বর ২০২৪
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা, সুশাসন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ও সংস্কার এবং সহায়ক বাণিজ্য নীতি সহায়তার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা...
৩০ নভেম্বর ২০২৪
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাস, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন অব্যাহত রাখা, সুশাসন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ও সংস্কার এবং সহায়ক বাণিজ্য নীতি সহায়তার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা...
৩০ নভেম্বর ২০২৪
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
১ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
২ দিন আগে