
গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন লাবণী। সেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড নামে এই কারখানায় তৈরি পোশাক অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন রিটেইলার কোম্পানি মোজাইকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মোজাইকের দোষে এখন পথে বসার অবস্থা লাবণীর।
সম্প্রতি এই রিটেইলার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটির কাছে ২৫ লাখ ডলার পাওনা আছে পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশন্স লিমিটেডের। শুধু এই কারখানা নয়, আরও ২২টি কারখানার কাছে মোট ৩ কোটি ডলারের বকেয়া আছে মোজাইকের। এত বিশাল বকেয়ার কারণে লাবণীর মতো হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছে।
পোশাকশ্রমিক লাবণী বলেন, ‘দুই সন্তানের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারব কি না—এই চিন্তায় আছি। চিকিৎসার খরচ, দরকারি জিনিস কেনাও কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাদের যা বেতন, শুধু তা ই চাই আমরা। না হলে আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’
লাবণী আরও বলেন, ‘মালিক তো আর নিজের পকেট থেকে সবার বেতন দিতে পারবে না, তিনি সর্বোচ্চ কয়েকজনকে দিতে পারেন।’
গত মাসে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোম্পানি পরিচালনার ভার একাধিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ দায়িত্বে ছেড়ে দেয়। কোম্পানিটির এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পোশাক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। মোজাইকের কাছে পাওনা প্রায় ৩ কোটি ডলার নিয়ে পরিশোধ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পদ্মা স্যাটেল আরব ফ্যাশনসের পরিচালক জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘জুন মাস থেকে আমরা বারবার তাঁদের কাছে পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছি, কিন্তু তাঁরা বিক্রি কমে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়েছে। শিগগিরই পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাকি শিপমেন্ট পাঠিয়ে দিতে বলেছে।’
ফ্যাক্টরি ম্যানেজার মোহাম্মদ আলম মিয়া বলেন, ‘মোজাইক যদি টাকা পরিশোধ না করে, তাহলে অনেকের চাকরি যাবে। তাঁরা সময়মতো পাওনা পরিশোধ করুক— শুধু এটাই চাই।’
হাইড্রোক্সাইড নিটওয়্যারের মালিক ওহমার চৌধুরী বলেন, মোজাইকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য যোগান দিতে তিনি উৎপাদন বাড়িয়েছিলেন। এমনকি বেশি বেতনে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তারা দামে বড় ছাড় দিতে বলছে, এটাতো সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ প্রতারণা! মোজাইক অবিশ্বাস্য ভণ্ডামি করেছে!
মোজাইকের জন্য পোশাক সরবরাহকারী কারখানা সুলতানা সোয়েটার্সের ম্যানেজার সারওয়ার হোসেন বলেন, মোজাইকের কাছে আমার ১০ লাখ ডলার পাওনা। মাসের পর মাস কর্মীদের বেতন আটকে আছে। ব্যাংকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোকে ঋণ দিতে চাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি সহ্য করার মতো না। মজুরি ছাড়াও কাঁচামাল, বিদ্যুৎ, পরিবহন ও অন্যান্য খরচের বিষয়েও চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা।
গত বছর থেকে মোজাইকের পাওনা আটকে থাকা শুরু হয়। তবুও অর্ডার পূরণে পোশাক পাঠিয়েছেন তারা। সেটি বেশ বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন সারওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, মোজাইকের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে এবং বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি ধরে রাখতে এবং দায়িত্ব ঠিকমতো চালিয়ে যেতে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। পাওনা পরিশোধের বিষয়ে আবারও চাপ তৈরির প্রয়োজনে পণ্য পাঠাতে হয়েছিল।
মোজাইক কোম্পানির অধীনে ৯টি ফ্যাশন ব্র্যান্ড আছে। এগুলোর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে রকম্যানস, অটোগ্রাফ, ডব্লিউ. লেন, ক্রসরোডস ও বেমের কার্যক্রম বন্ধ ও পুনর্গঠনের ঘোষণা দেয় মোজাইক। বাকি ব্র্যান্ডগুলোতে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে জানায় তারা।
মোজাইকের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিকা বার্চটোল্ড বলেন, ‘এখন আমাদের পূর্ণ মনোযোগ থাকবে প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর দিকে। গ্রাহক সেবা ও নতুন গ্রাহক আকর্ষণই হবে মূল লক্ষ্য। দেউলিয়া অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। কোম্পানি কার্যক্রম পুনর্গঠন করতে এবং কোম্পানির টেকসই পরিস্থিতি মূল্যায়নের কাজও অব্যাহত আছে।’
পোশাক সরবরাহকারীরা এবিসি নিউজকে জানান, মোজাইকের আগ্রাসী বাণিজ্য কৌশল কোম্পানিটির ব্যর্থতা ও সমস্যাগুলোকে আরও প্রকট করে তুলেছে। এ বিষয়ে মোজাইকের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এফটিআই কনসালটিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
মোজাইক দেউলিয়া ঘোষণার পর তাদের মুখপাত্র হিসেবে কেপিএমজি এবিসি নিউজকে একটি ইমেইলে জানায়, মোজাইক তাদের কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে সব সরবরাহকারীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক শর্ত পুনঃস্থাপনের সুযোগ থাকতে পারে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, কোভিড মহামারি ও সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিপর্যস্ত পোশাক শিল্পের জন্য এটি বড় ধাক্কা। মোজাইকের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশন বিজিএমইএকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভাবমূর্তি ঝুঁকির মুখে। দেশটির হাইকমিশনে একাধিকবার বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও অস্ট্রেলিয়ান ব্র্যান্ড পাওনা পরিশোধ করেনি। এভাবে দায় এড়িয়ে যাওয়ায় দেশটির মান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? মোজাইক দাবি করে তারা শ্রমিকদের কল্যাণ নিয়ে ভাবে কিন্তু তারা পণ্য নিয়ে পাওনা পরিশোধ করছে না এবং এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না। তারা দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাচ্ছে।
তৈরি পোশাক শিল্প খাত থেকে প্রতি বছর ৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশ, যা দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশ। এশিল্পে কর্মরত আছে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক।
বৈশ্বিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম অস্ট্রেলিয়া বলছে, মোজাইকের বকেয়া পরিশোধ না করার এই ঘটনা আমাদের সামনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে চলমান শোষণের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে।
(এবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুবাদ করেছেন ফারহানা জিয়াসমিন)

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন লাবণী। সেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড নামে এই কারখানায় তৈরি পোশাক অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন রিটেইলার কোম্পানি মোজাইকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মোজাইকের দোষে এখন পথে বসার অবস্থা লাবণীর।
সম্প্রতি এই রিটেইলার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটির কাছে ২৫ লাখ ডলার পাওনা আছে পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশন্স লিমিটেডের। শুধু এই কারখানা নয়, আরও ২২টি কারখানার কাছে মোট ৩ কোটি ডলারের বকেয়া আছে মোজাইকের। এত বিশাল বকেয়ার কারণে লাবণীর মতো হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছে।
পোশাকশ্রমিক লাবণী বলেন, ‘দুই সন্তানের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারব কি না—এই চিন্তায় আছি। চিকিৎসার খরচ, দরকারি জিনিস কেনাও কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাদের যা বেতন, শুধু তা ই চাই আমরা। না হলে আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’
লাবণী আরও বলেন, ‘মালিক তো আর নিজের পকেট থেকে সবার বেতন দিতে পারবে না, তিনি সর্বোচ্চ কয়েকজনকে দিতে পারেন।’
গত মাসে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোম্পানি পরিচালনার ভার একাধিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ দায়িত্বে ছেড়ে দেয়। কোম্পানিটির এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পোশাক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। মোজাইকের কাছে পাওনা প্রায় ৩ কোটি ডলার নিয়ে পরিশোধ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পদ্মা স্যাটেল আরব ফ্যাশনসের পরিচালক জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘জুন মাস থেকে আমরা বারবার তাঁদের কাছে পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছি, কিন্তু তাঁরা বিক্রি কমে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়েছে। শিগগিরই পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাকি শিপমেন্ট পাঠিয়ে দিতে বলেছে।’
ফ্যাক্টরি ম্যানেজার মোহাম্মদ আলম মিয়া বলেন, ‘মোজাইক যদি টাকা পরিশোধ না করে, তাহলে অনেকের চাকরি যাবে। তাঁরা সময়মতো পাওনা পরিশোধ করুক— শুধু এটাই চাই।’
হাইড্রোক্সাইড নিটওয়্যারের মালিক ওহমার চৌধুরী বলেন, মোজাইকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য যোগান দিতে তিনি উৎপাদন বাড়িয়েছিলেন। এমনকি বেশি বেতনে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তারা দামে বড় ছাড় দিতে বলছে, এটাতো সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ প্রতারণা! মোজাইক অবিশ্বাস্য ভণ্ডামি করেছে!
মোজাইকের জন্য পোশাক সরবরাহকারী কারখানা সুলতানা সোয়েটার্সের ম্যানেজার সারওয়ার হোসেন বলেন, মোজাইকের কাছে আমার ১০ লাখ ডলার পাওনা। মাসের পর মাস কর্মীদের বেতন আটকে আছে। ব্যাংকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোকে ঋণ দিতে চাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি সহ্য করার মতো না। মজুরি ছাড়াও কাঁচামাল, বিদ্যুৎ, পরিবহন ও অন্যান্য খরচের বিষয়েও চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা।
গত বছর থেকে মোজাইকের পাওনা আটকে থাকা শুরু হয়। তবুও অর্ডার পূরণে পোশাক পাঠিয়েছেন তারা। সেটি বেশ বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন সারওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, মোজাইকের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে এবং বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি ধরে রাখতে এবং দায়িত্ব ঠিকমতো চালিয়ে যেতে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। পাওনা পরিশোধের বিষয়ে আবারও চাপ তৈরির প্রয়োজনে পণ্য পাঠাতে হয়েছিল।
মোজাইক কোম্পানির অধীনে ৯টি ফ্যাশন ব্র্যান্ড আছে। এগুলোর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে রকম্যানস, অটোগ্রাফ, ডব্লিউ. লেন, ক্রসরোডস ও বেমের কার্যক্রম বন্ধ ও পুনর্গঠনের ঘোষণা দেয় মোজাইক। বাকি ব্র্যান্ডগুলোতে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে জানায় তারা।
মোজাইকের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিকা বার্চটোল্ড বলেন, ‘এখন আমাদের পূর্ণ মনোযোগ থাকবে প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর দিকে। গ্রাহক সেবা ও নতুন গ্রাহক আকর্ষণই হবে মূল লক্ষ্য। দেউলিয়া অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। কোম্পানি কার্যক্রম পুনর্গঠন করতে এবং কোম্পানির টেকসই পরিস্থিতি মূল্যায়নের কাজও অব্যাহত আছে।’
পোশাক সরবরাহকারীরা এবিসি নিউজকে জানান, মোজাইকের আগ্রাসী বাণিজ্য কৌশল কোম্পানিটির ব্যর্থতা ও সমস্যাগুলোকে আরও প্রকট করে তুলেছে। এ বিষয়ে মোজাইকের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এফটিআই কনসালটিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
মোজাইক দেউলিয়া ঘোষণার পর তাদের মুখপাত্র হিসেবে কেপিএমজি এবিসি নিউজকে একটি ইমেইলে জানায়, মোজাইক তাদের কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে সব সরবরাহকারীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক শর্ত পুনঃস্থাপনের সুযোগ থাকতে পারে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, কোভিড মহামারি ও সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিপর্যস্ত পোশাক শিল্পের জন্য এটি বড় ধাক্কা। মোজাইকের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশন বিজিএমইএকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভাবমূর্তি ঝুঁকির মুখে। দেশটির হাইকমিশনে একাধিকবার বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও অস্ট্রেলিয়ান ব্র্যান্ড পাওনা পরিশোধ করেনি। এভাবে দায় এড়িয়ে যাওয়ায় দেশটির মান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? মোজাইক দাবি করে তারা শ্রমিকদের কল্যাণ নিয়ে ভাবে কিন্তু তারা পণ্য নিয়ে পাওনা পরিশোধ করছে না এবং এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না। তারা দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাচ্ছে।
তৈরি পোশাক শিল্প খাত থেকে প্রতি বছর ৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশ, যা দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশ। এশিল্পে কর্মরত আছে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক।
বৈশ্বিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম অস্ট্রেলিয়া বলছে, মোজাইকের বকেয়া পরিশোধ না করার এই ঘটনা আমাদের সামনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে চলমান শোষণের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে।
(এবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুবাদ করেছেন ফারহানা জিয়াসমিন)

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন লাবণী। সেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড নামে এই কারখানায় তৈরি পোশাক অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন রিটেইলার কোম্পানি মোজাইকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মোজাইকের দোষে এখন পথে বসার অবস্থা লাবণীর।
সম্প্রতি এই রিটেইলার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটির কাছে ২৫ লাখ ডলার পাওনা আছে পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশন্স লিমিটেডের। শুধু এই কারখানা নয়, আরও ২২টি কারখানার কাছে মোট ৩ কোটি ডলারের বকেয়া আছে মোজাইকের। এত বিশাল বকেয়ার কারণে লাবণীর মতো হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছে।
পোশাকশ্রমিক লাবণী বলেন, ‘দুই সন্তানের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারব কি না—এই চিন্তায় আছি। চিকিৎসার খরচ, দরকারি জিনিস কেনাও কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাদের যা বেতন, শুধু তা ই চাই আমরা। না হলে আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’
লাবণী আরও বলেন, ‘মালিক তো আর নিজের পকেট থেকে সবার বেতন দিতে পারবে না, তিনি সর্বোচ্চ কয়েকজনকে দিতে পারেন।’
গত মাসে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোম্পানি পরিচালনার ভার একাধিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ দায়িত্বে ছেড়ে দেয়। কোম্পানিটির এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পোশাক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। মোজাইকের কাছে পাওনা প্রায় ৩ কোটি ডলার নিয়ে পরিশোধ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পদ্মা স্যাটেল আরব ফ্যাশনসের পরিচালক জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘জুন মাস থেকে আমরা বারবার তাঁদের কাছে পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছি, কিন্তু তাঁরা বিক্রি কমে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়েছে। শিগগিরই পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাকি শিপমেন্ট পাঠিয়ে দিতে বলেছে।’
ফ্যাক্টরি ম্যানেজার মোহাম্মদ আলম মিয়া বলেন, ‘মোজাইক যদি টাকা পরিশোধ না করে, তাহলে অনেকের চাকরি যাবে। তাঁরা সময়মতো পাওনা পরিশোধ করুক— শুধু এটাই চাই।’
হাইড্রোক্সাইড নিটওয়্যারের মালিক ওহমার চৌধুরী বলেন, মোজাইকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য যোগান দিতে তিনি উৎপাদন বাড়িয়েছিলেন। এমনকি বেশি বেতনে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তারা দামে বড় ছাড় দিতে বলছে, এটাতো সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ প্রতারণা! মোজাইক অবিশ্বাস্য ভণ্ডামি করেছে!
মোজাইকের জন্য পোশাক সরবরাহকারী কারখানা সুলতানা সোয়েটার্সের ম্যানেজার সারওয়ার হোসেন বলেন, মোজাইকের কাছে আমার ১০ লাখ ডলার পাওনা। মাসের পর মাস কর্মীদের বেতন আটকে আছে। ব্যাংকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোকে ঋণ দিতে চাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি সহ্য করার মতো না। মজুরি ছাড়াও কাঁচামাল, বিদ্যুৎ, পরিবহন ও অন্যান্য খরচের বিষয়েও চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা।
গত বছর থেকে মোজাইকের পাওনা আটকে থাকা শুরু হয়। তবুও অর্ডার পূরণে পোশাক পাঠিয়েছেন তারা। সেটি বেশ বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন সারওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, মোজাইকের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে এবং বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি ধরে রাখতে এবং দায়িত্ব ঠিকমতো চালিয়ে যেতে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। পাওনা পরিশোধের বিষয়ে আবারও চাপ তৈরির প্রয়োজনে পণ্য পাঠাতে হয়েছিল।
মোজাইক কোম্পানির অধীনে ৯টি ফ্যাশন ব্র্যান্ড আছে। এগুলোর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে রকম্যানস, অটোগ্রাফ, ডব্লিউ. লেন, ক্রসরোডস ও বেমের কার্যক্রম বন্ধ ও পুনর্গঠনের ঘোষণা দেয় মোজাইক। বাকি ব্র্যান্ডগুলোতে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে জানায় তারা।
মোজাইকের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিকা বার্চটোল্ড বলেন, ‘এখন আমাদের পূর্ণ মনোযোগ থাকবে প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর দিকে। গ্রাহক সেবা ও নতুন গ্রাহক আকর্ষণই হবে মূল লক্ষ্য। দেউলিয়া অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। কোম্পানি কার্যক্রম পুনর্গঠন করতে এবং কোম্পানির টেকসই পরিস্থিতি মূল্যায়নের কাজও অব্যাহত আছে।’
পোশাক সরবরাহকারীরা এবিসি নিউজকে জানান, মোজাইকের আগ্রাসী বাণিজ্য কৌশল কোম্পানিটির ব্যর্থতা ও সমস্যাগুলোকে আরও প্রকট করে তুলেছে। এ বিষয়ে মোজাইকের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এফটিআই কনসালটিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
মোজাইক দেউলিয়া ঘোষণার পর তাদের মুখপাত্র হিসেবে কেপিএমজি এবিসি নিউজকে একটি ইমেইলে জানায়, মোজাইক তাদের কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে সব সরবরাহকারীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক শর্ত পুনঃস্থাপনের সুযোগ থাকতে পারে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, কোভিড মহামারি ও সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিপর্যস্ত পোশাক শিল্পের জন্য এটি বড় ধাক্কা। মোজাইকের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশন বিজিএমইএকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভাবমূর্তি ঝুঁকির মুখে। দেশটির হাইকমিশনে একাধিকবার বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও অস্ট্রেলিয়ান ব্র্যান্ড পাওনা পরিশোধ করেনি। এভাবে দায় এড়িয়ে যাওয়ায় দেশটির মান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? মোজাইক দাবি করে তারা শ্রমিকদের কল্যাণ নিয়ে ভাবে কিন্তু তারা পণ্য নিয়ে পাওনা পরিশোধ করছে না এবং এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না। তারা দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাচ্ছে।
তৈরি পোশাক শিল্প খাত থেকে প্রতি বছর ৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশ, যা দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশ। এশিল্পে কর্মরত আছে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক।
বৈশ্বিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম অস্ট্রেলিয়া বলছে, মোজাইকের বকেয়া পরিশোধ না করার এই ঘটনা আমাদের সামনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে চলমান শোষণের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে।
(এবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুবাদ করেছেন ফারহানা জিয়াসমিন)

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন লাবণী। সেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড নামে এই কারখানায় তৈরি পোশাক অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন রিটেইলার কোম্পানি মোজাইকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মোজাইকের দোষে এখন পথে বসার অবস্থা লাবণীর।
সম্প্রতি এই রিটেইলার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। অথচ প্রতিষ্ঠানটির কাছে ২৫ লাখ ডলার পাওনা আছে পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশন্স লিমিটেডের। শুধু এই কারখানা নয়, আরও ২২টি কারখানার কাছে মোট ৩ কোটি ডলারের বকেয়া আছে মোজাইকের। এত বিশাল বকেয়ার কারণে লাবণীর মতো হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে তাঁদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছে।
পোশাকশ্রমিক লাবণী বলেন, ‘দুই সন্তানের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারব কি না—এই চিন্তায় আছি। চিকিৎসার খরচ, দরকারি জিনিস কেনাও কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাদের যা বেতন, শুধু তা ই চাই আমরা। না হলে আমাদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’
লাবণী আরও বলেন, ‘মালিক তো আর নিজের পকেট থেকে সবার বেতন দিতে পারবে না, তিনি সর্বোচ্চ কয়েকজনকে দিতে পারেন।’
গত মাসে পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোম্পানি পরিচালনার ভার একাধিক প্রতিষ্ঠানের যৌথ দায়িত্বে ছেড়ে দেয়। কোম্পানিটির এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পোশাক খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। মোজাইকের কাছে পাওনা প্রায় ৩ কোটি ডলার নিয়ে পরিশোধ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পদ্মা স্যাটেল আরব ফ্যাশনসের পরিচালক জাবেদ আহমেদ বলেন, ‘জুন মাস থেকে আমরা বারবার তাঁদের কাছে পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছি, কিন্তু তাঁরা বিক্রি কমে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়েছে। শিগগিরই পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাকি শিপমেন্ট পাঠিয়ে দিতে বলেছে।’
ফ্যাক্টরি ম্যানেজার মোহাম্মদ আলম মিয়া বলেন, ‘মোজাইক যদি টাকা পরিশোধ না করে, তাহলে অনেকের চাকরি যাবে। তাঁরা সময়মতো পাওনা পরিশোধ করুক— শুধু এটাই চাই।’
হাইড্রোক্সাইড নিটওয়্যারের মালিক ওহমার চৌধুরী বলেন, মোজাইকের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য যোগান দিতে তিনি উৎপাদন বাড়িয়েছিলেন। এমনকি বেশি বেতনে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু তারা দামে বড় ছাড় দিতে বলছে, এটাতো সম্ভব নয়। এটা সম্পূর্ণ প্রতারণা! মোজাইক অবিশ্বাস্য ভণ্ডামি করেছে!
মোজাইকের জন্য পোশাক সরবরাহকারী কারখানা সুলতানা সোয়েটার্সের ম্যানেজার সারওয়ার হোসেন বলেন, মোজাইকের কাছে আমার ১০ লাখ ডলার পাওনা। মাসের পর মাস কর্মীদের বেতন আটকে আছে। ব্যাংকগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোকে ঋণ দিতে চাচ্ছে না। এই পরিস্থিতি সহ্য করার মতো না। মজুরি ছাড়াও কাঁচামাল, বিদ্যুৎ, পরিবহন ও অন্যান্য খরচের বিষয়েও চিন্তায় পড়ে গেছেন তারা।
গত বছর থেকে মোজাইকের পাওনা আটকে থাকা শুরু হয়। তবুও অর্ডার পূরণে পোশাক পাঠিয়েছেন তারা। সেটি বেশ বড় ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন সারওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, মোজাইকের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখতে এবং বড় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি ধরে রাখতে এবং দায়িত্ব ঠিকমতো চালিয়ে যেতে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। পাওনা পরিশোধের বিষয়ে আবারও চাপ তৈরির প্রয়োজনে পণ্য পাঠাতে হয়েছিল।
মোজাইক কোম্পানির অধীনে ৯টি ফ্যাশন ব্র্যান্ড আছে। এগুলোর মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে রকম্যানস, অটোগ্রাফ, ডব্লিউ. লেন, ক্রসরোডস ও বেমের কার্যক্রম বন্ধ ও পুনর্গঠনের ঘোষণা দেয় মোজাইক। বাকি ব্র্যান্ডগুলোতে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে বলে জানায় তারা।
মোজাইকের নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরিকা বার্চটোল্ড বলেন, ‘এখন আমাদের পূর্ণ মনোযোগ থাকবে প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর দিকে। গ্রাহক সেবা ও নতুন গ্রাহক আকর্ষণই হবে মূল লক্ষ্য। দেউলিয়া অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ঋণদাতাদের সঙ্গে বৈঠক চলছে। কোম্পানি কার্যক্রম পুনর্গঠন করতে এবং কোম্পানির টেকসই পরিস্থিতি মূল্যায়নের কাজও অব্যাহত আছে।’
পোশাক সরবরাহকারীরা এবিসি নিউজকে জানান, মোজাইকের আগ্রাসী বাণিজ্য কৌশল কোম্পানিটির ব্যর্থতা ও সমস্যাগুলোকে আরও প্রকট করে তুলেছে। এ বিষয়ে মোজাইকের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা এফটিআই কনসালটিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।
মোজাইক দেউলিয়া ঘোষণার পর তাদের মুখপাত্র হিসেবে কেপিএমজি এবিসি নিউজকে একটি ইমেইলে জানায়, মোজাইক তাদের কার্যক্রম স্থিতিশীল করতে সব সরবরাহকারীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এক্ষেত্রে বাণিজ্যিক শর্ত পুনঃস্থাপনের সুযোগ থাকতে পারে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলছে, কোভিড মহামারি ও সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিপর্যস্ত পোশাক শিল্পের জন্য এটি বড় ধাক্কা। মোজাইকের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়া হাই কমিশন বিজিএমইএকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ভাবমূর্তি ঝুঁকির মুখে। দেশটির হাইকমিশনে একাধিকবার বিষয়টি উত্থাপন করা হলেও অস্ট্রেলিয়ান ব্র্যান্ড পাওনা পরিশোধ করেনি। এভাবে দায় এড়িয়ে যাওয়ায় দেশটির মান কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? মোজাইক দাবি করে তারা শ্রমিকদের কল্যাণ নিয়ে ভাবে কিন্তু তারা পণ্য নিয়ে পাওনা পরিশোধ করছে না এবং এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া যাচ্ছে না। তারা দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাচ্ছে।
তৈরি পোশাক শিল্প খাত থেকে প্রতি বছর ৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে বাংলাদেশ, যা দেশের রপ্তানি আয়ের ৮৫ শতাংশ। এশিল্পে কর্মরত আছে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক।
বৈশ্বিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম অস্ট্রেলিয়া বলছে, মোজাইকের বকেয়া পরিশোধ না করার এই ঘটনা আমাদের সামনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে চলমান শোষণের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে।
(এবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুবাদ করেছেন ফারহানা জিয়াসমিন)

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন লাবণী। সেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড নামে এই কারখানায় তৈরি পোশাক অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন রিটেইলার কোম্পানি মোজাইকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মোজাইকের দোষে এখন পথে বসার অবস্থা লাবণীর।
২১ নভেম্বর ২০২৪
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন লাবণী। সেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড নামে এই কারখানায় তৈরি পোশাক অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন রিটেইলার কোম্পানি মোজাইকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মোজাইকের দোষে এখন পথে বসার অবস্থা লাবণীর।
২১ নভেম্বর ২০২৪
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন লাবণী। সেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড নামে এই কারখানায় তৈরি পোশাক অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন রিটেইলার কোম্পানি মোজাইকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মোজাইকের দোষে এখন পথে বসার অবস্থা লাবণীর।
২১ নভেম্বর ২০২৪
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৯ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন ২৬ বছর বয়সী ইয়াসমিন লাবণী। সেখানে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। পদ্মা শাতিল আরব ফ্যাশনস লিমিটেড নামে এই কারখানায় তৈরি পোশাক অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন রিটেইলার কোম্পানি মোজাইকে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এই মোজাইকের দোষে এখন পথে বসার অবস্থা লাবণীর।
২১ নভেম্বর ২০২৪
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে