শাহ আলম খান, ঢাকা

সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা শিল্পকারখানাগুলোকে আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা এবং সেখানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সৃষ্ট আর্থিক সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজছে সরকার। এ লক্ষ্যে আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরে বর্তমানে কতগুলো শিল্প সংকটে, সেখানে কী ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার সমাধানে কী পরিমাণ আর্থিক সংশ্লিষ্টতা দরকার, সেসব নির্ধারণ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
এ জন্য ২৭ অক্টোবর ১০ সদস্যের একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। এতে কারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আরিফ আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। গঠিত কমিটিতে অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ, উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যেকোনো ব্যক্তিকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গঠিত কমিটির কাজ হবে আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরের বিদ্যমান শ্রম অসন্তোষ ও শ্রম পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংকটে থাকা বা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংগ্রহ ও তালিকা তৈরি করা। একই সঙ্গে কোথায় কী ধরনের সমস্যা, তার গভীরতা কেমন, সংকট উত্তরণ সম্ভব কি না, সেখানে কোন অংশীজনের ভূমিকা কী ধরনের হওয়া উচিত, তার প্রোফাইলিং করে এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া। পরে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এই প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কারখানাগুলোর আর্থিক সংকট উত্তরণে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
দেশে শিল্প খাতে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট অনেক পুরোনো। এর মধ্যেই উৎপাদন চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল উদ্যোক্তাদের। তবে গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করেই তার ব্যত্যয় ঘটে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অদৃশ্য কারণে শিল্প খাতে দেখা দেয় নানা ধরনের অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা।
কারণ, অনেক মালিক কারখানা বন্ধ রেখে পালিয়েছেন, আবার কেউ কেউ হয়েছেন গ্রেপ্তার। আরএমজি ও নন-আরএমজি কিছু কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। এতে কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। বেশ কিছু কারখানায় গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এ নিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে বড় ধরনের শ্রম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এর জেরে আশুলিয়া, সাভার, টঙ্গী ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় বেশ কিছু কারখানা এখনো বন্ধ রয়েছে।
অর্থাৎ দেশে আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরে প্রতিনিধিত্ব করা অনেক শিল্পকারখানা এই মুহূর্তে নানা ধরনের সংকটে পড়েছে। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শ্রমিক অসন্তোষ ও কারখানা বন্ধ থাকার কারণে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার বাতিল হয়েছে; যার প্রভাব পড়ছে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, রপ্তানি আয় তথা সার্বিক অর্থনীতিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনে নেমে এসেছে মাত্র ৩ দশমিক ৯১ শতাংশে। এই বাস্তবতা অনুধাবন করেই সরকারের এমন পদক্ষেপে যাওয়া।
কমিটির প্রধান আরিফ আহমেদ খান জানিয়েছেন, কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। যদিও এ ধরনের কারখানা নিরূপণ করার বিষয়টি মোটেও সহজ কাজ নয়। কেননা, আজকে যে কারখানা সমস্যাগ্রস্ত, দুই সপ্তাহ পর হয়তো সেটির সমস্যা থাকবে না। নতুন কারখানা সমস্যায় পড়তে পারে।
বিজিএমইএর দেওয়া ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২ হাজার ১১৯টি কারখানার মধ্যে বর্তমানে চালু কারখানা ২ হাজার ১০৭টি। ১২টি কারখানা সাময়িক বন্ধ বা কারখানার শ্রমিকেরা ছুটিতে রয়েছেন। সেপ্টেম্বরের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি ২১টি কারখানা এবং আগস্টের বেতন বকেয়া রয়েছে দুটি কারখানার।
কারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কমিটি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। তাদের ধারণা, শিল্পমালিকেরা এ বিষয়ে জানতে পারলে তাঁদের অনেকে সরকার থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় নিজেদের আর্থিক সংকটের তথ্য জানাতে এসে ভিড় করতে পারেন।
এদিকে সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠান ও কারখানার প্রোফাইলিং তৈরিসংক্রান্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এসব কারখানামালিকের সহায়তা করার পাশাপাশি কোনো ব্যবসায়ী যাতে অযথা রাজনৈতিক হয়রানি বা মামলার মুখে না পড়েন, সেদিকেও সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। এ ছাড়া কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি রাখার পক্ষে মত দেন তাঁরা।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক একজন সভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ৫ আগস্টের পর অনেক ব্যবসায়ীর নামে মামলা হয়েছে, হচ্ছে; যাঁদের সবাই অপরাধী নন। যাঁরা প্রকৃতপক্ষে দায়ী নন, তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন, সেদিকেও সরকারকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকার কারখানাগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে সেগুলো সচল রাখতে সহায়তা করলে কর্মসংস্থান, উৎপাদন, রপ্তানি—সবই রক্ষা পাবে।

সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা শিল্পকারখানাগুলোকে আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা এবং সেখানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সৃষ্ট আর্থিক সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজছে সরকার। এ লক্ষ্যে আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরে বর্তমানে কতগুলো শিল্প সংকটে, সেখানে কী ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে, তার সমাধানে কী পরিমাণ আর্থিক সংশ্লিষ্টতা দরকার, সেসব নির্ধারণ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
এ জন্য ২৭ অক্টোবর ১০ সদস্যের একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। এতে কারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শন বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আরিফ আহমেদ খানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। গঠিত কমিটিতে অর্থ বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএ, উদ্যোক্তা এবং শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ যেকোনো ব্যক্তিকে কো-অপ্ট করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গঠিত কমিটির কাজ হবে আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরের বিদ্যমান শ্রম অসন্তোষ ও শ্রম পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংকটে থাকা বা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য সংগ্রহ ও তালিকা তৈরি করা। একই সঙ্গে কোথায় কী ধরনের সমস্যা, তার গভীরতা কেমন, সংকট উত্তরণ সম্ভব কি না, সেখানে কোন অংশীজনের ভূমিকা কী ধরনের হওয়া উচিত, তার প্রোফাইলিং করে এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া। পরে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে এই প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কারখানাগুলোর আর্থিক সংকট উত্তরণে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
দেশে শিল্প খাতে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট অনেক পুরোনো। এর মধ্যেই উৎপাদন চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল উদ্যোক্তাদের। তবে গত ৫ আগস্টের পর হঠাৎ করেই তার ব্যত্যয় ঘটে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অদৃশ্য কারণে শিল্প খাতে দেখা দেয় নানা ধরনের অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা।
কারণ, অনেক মালিক কারখানা বন্ধ রেখে পালিয়েছেন, আবার কেউ কেউ হয়েছেন গ্রেপ্তার। আরএমজি ও নন-আরএমজি কিছু কারখানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। এতে কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। বেশ কিছু কারখানায় গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের বেতন এখনো পরিশোধ করা হয়নি। এ নিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে বড় ধরনের শ্রম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এর জেরে আশুলিয়া, সাভার, টঙ্গী ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় বেশ কিছু কারখানা এখনো বন্ধ রয়েছে।
অর্থাৎ দেশে আরএমজি ও নন-আরএমজি সেক্টরে প্রতিনিধিত্ব করা অনেক শিল্পকারখানা এই মুহূর্তে নানা ধরনের সংকটে পড়েছে। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। শ্রমিক অসন্তোষ ও কারখানা বন্ধ থাকার কারণে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার বাতিল হয়েছে; যার প্রভাব পড়ছে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ, রপ্তানি আয় তথা সার্বিক অর্থনীতিতে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনে নেমে এসেছে মাত্র ৩ দশমিক ৯১ শতাংশে। এই বাস্তবতা অনুধাবন করেই সরকারের এমন পদক্ষেপে যাওয়া।
কমিটির প্রধান আরিফ আহমেদ খান জানিয়েছেন, কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। যদিও এ ধরনের কারখানা নিরূপণ করার বিষয়টি মোটেও সহজ কাজ নয়। কেননা, আজকে যে কারখানা সমস্যাগ্রস্ত, দুই সপ্তাহ পর হয়তো সেটির সমস্যা থাকবে না। নতুন কারখানা সমস্যায় পড়তে পারে।
বিজিএমইএর দেওয়া ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২ হাজার ১১৯টি কারখানার মধ্যে বর্তমানে চালু কারখানা ২ হাজার ১০৭টি। ১২টি কারখানা সাময়িক বন্ধ বা কারখানার শ্রমিকেরা ছুটিতে রয়েছেন। সেপ্টেম্বরের বেতন এখনো পরিশোধ করেনি ২১টি কারখানা এবং আগস্টের বেতন বকেয়া রয়েছে দুটি কারখানার।
কারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শন বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কমিটি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। তাদের ধারণা, শিল্পমালিকেরা এ বিষয়ে জানতে পারলে তাঁদের অনেকে সরকার থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় নিজেদের আর্থিক সংকটের তথ্য জানাতে এসে ভিড় করতে পারেন।
এদিকে সংকটে থাকা প্রতিষ্ঠান ও কারখানার প্রোফাইলিং তৈরিসংক্রান্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এসব কারখানামালিকের সহায়তা করার পাশাপাশি কোনো ব্যবসায়ী যাতে অযথা রাজনৈতিক হয়রানি বা মামলার মুখে না পড়েন, সেদিকেও সরকারকে মনোযোগী হতে হবে। এ ছাড়া কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি রাখার পক্ষে মত দেন তাঁরা।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক একজন সভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ৫ আগস্টের পর অনেক ব্যবসায়ীর নামে মামলা হয়েছে, হচ্ছে; যাঁদের সবাই অপরাধী নন। যাঁরা প্রকৃতপক্ষে দায়ী নন, তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন, সেদিকেও সরকারকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকার কারখানাগুলোর সমস্যা চিহ্নিত করে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে সেগুলো সচল রাখতে সহায়তা করলে কর্মসংস্থান, উৎপাদন, রপ্তানি—সবই রক্ষা পাবে।

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ মিনিট আগে
২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার দুর্বল অবস্থানে রয়েছে এবং ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক পতনের পথে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগামী বছরও সুদহার কমানোর সুযোগ পাবে, যেখানে অধিকাংশ বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
১ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে এনবিআর। এই শুল্ক অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর ফলে খেজুরের আমদানি বাড়বে এবং দামও কমবে বলে আশা করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
গত বছরও রোজার আগে নভেম্বর মাসে আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছিল।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে সব ধরনের খেজুর আমদানিতে সব মিলিয়ে ৫৭ দশমিক ২০ শতাংশ শুল্ক-কর ছিল। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক (সিডি) ২৫ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রিম কর ৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ।
এখন ১০ শতাংশ কমানোর ফলে মোট শুল্ক-কর ৪৭ দশমিক ২০ শতাংশে দাঁড়াল। তবে এই সার্কুলার এখনো এনবিআরের সার্ভারে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকেরা। তিন দিন ছুটি থাকায় আগামী রোববারে নতুন সার্কুলারে পণ্য শুল্কায়ন শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ছাড়া এই শুল্ক কামানোর ফলে প্রতি কেজি খেজুরের দাম কত কমতে পারে, এ বিষয়ে এখনই কোনো ধারণা দিতে পারেননি আমদানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, ১০ শতাংশ শুল্ক কমার ফলে দাম কিছুটা কমবে। তবে কতটুকু কমবে, তা শুল্কায়ন শুরু হলে বোঝা যাবে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানি শুল্ক কমানোর সঙ্গে সঙ্গে অগ্রিম কর ও রেগুলেটরি ডিউটি কমানোর দাবিও ছিল আমাদের। কিন্তু সরকার তা মানেনি। আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ফলে খেজুরের দাম সামান্য কমতে পারে। তবে এটি বাজারে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের খেজুর আমদানিতে মূল সমস্যা হলো ট্যারিফ হার বা শুল্কায়ন মূল্য। আমরা যে দামে আমদানি করি, শুল্ক ধরা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি দামের ওপর। এতেই ট্যাক্সের হার বেড়ে যায়।’

সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা শিল্পকারখানাগুলোকে আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা এবং সেখানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সৃষ্ট আর্থিক সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজছে সরকার।
৩১ অক্টোবর ২০২৪
২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার দুর্বল অবস্থানে রয়েছে এবং ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক পতনের পথে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগামী বছরও সুদহার কমানোর সুযোগ পাবে, যেখানে অধিকাংশ বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
১ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার দুর্বল অবস্থানে রয়েছে এবং ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক পতনের পথে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগামী বছরও সুদহার কমানোর সুযোগ পাবে, যেখানে অধিকাংশ বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যে শিথিল নীতিতে রয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী জিডিপি তথ্য সুদহার-সংক্রান্ত প্রত্যাশায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন ২০২৬ সালে ফেডের আরও প্রায় দুই দফা সুদহার কমানোর সম্ভাবনা হিসাব করছেন।
গোল্ডম্যান স্যাকসের যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড মেরিকল বলেন, ‘আমরা আশা করছি নীতিনির্ধারকেরা আরও দুটি ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কমিয়ে হার ৩ থেকে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশে নামাবে। তবে ঝুঁকির দিকটা আরও কমার দিকেই।’
গতকাল বুধবার ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ড তিন মাসের নতুন উচ্চতায় উঠলেও দিনের শেষে প্রায় স্থিতিশীল ছিল। ইউরো লেনদেন হয়েছে ১.১৮০ ডলার, পাউন্ড ১.৩৫২২ ডলারে।
ডলার সূচক নেমে আসে আড়াই মাসের সর্বনিম্ন ৯৭.৭৬৭ পয়েন্টে। চলতি বছরে ডলারের দরপতন প্রায় ৯.৮ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক ক্ষতি। বছরের শেষ সপ্তাহে আরও দুর্বল হলে ২০০৩ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ফলও হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনিয়মিত শুল্কনীতি ও ফেডের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডলারের ওপর আস্থার সংকট তৈরি করেছে। এর বিপরীতে ইউরো এ বছর ১৪ শতাংশের বেশি শক্তিশালী, যা ২০০৩ সালের পর সেরা পারফরম্যান্সের পথে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) গত সপ্তাহে সুদহার অপরিবর্তিত রেখে প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। এতে নিকট ভবিষ্যতে সুদ কমানোর সম্ভাবনা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে ইউরোপের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনা মূল্যায়ন করছেন ট্রেডাররা।
ফলে অস্ট্রেলীয় ডলার ও নিউজিল্যান্ডের ডলার শক্তিশালী হয়েছে। অস্ট্রেলীয় ডলার এ বছর এখন পর্যন্ত ৮.৪ শতাংশ বেড়ে গতকাল বুধবার তিন মাসের সর্বোচ্চ ০.৬৭১০ ডলারে পৌঁছায়। নিউজিল্যান্ড ডলারও আড়াই মাসের সর্বোচ্চ ০.৫৮৪৭৫ ডলার ছুঁয়েছে।
ব্রিটিশ পাউন্ড এ বছর ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে অন্তত একবার সুদ কমাবে এবং বছরের শেষ নাগাদ দ্বিতীয়বার কমানোর সম্ভাবনাও প্রায় ৫০ শতাংশ।
ডলার নরওয়েজিয়ান ক্রোনের বিপরীতে ১২ শতাংশ, সুইস ফ্রাঁর বিপরীতে ১৩ শতাংশ এবং সুইডিশ ক্রোনার বিপরীতে ১৭ শতাংশ দুর্বল হয়েছে। গতকাল সুইডিশ ক্রোনার বিপরীতে ডলার নেমে আসে ৯.১৬৭ ক্রোনায়, যা ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন।

২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার দুর্বল অবস্থানে রয়েছে এবং ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক পতনের পথে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগামী বছরও সুদহার কমানোর সুযোগ পাবে, যেখানে অধিকাংশ বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যে শিথিল নীতিতে রয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী জিডিপি তথ্য সুদহার-সংক্রান্ত প্রত্যাশায় তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। ফলে বিনিয়োগকারীরা এখন ২০২৬ সালে ফেডের আরও প্রায় দুই দফা সুদহার কমানোর সম্ভাবনা হিসাব করছেন।
গোল্ডম্যান স্যাকসের যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড মেরিকল বলেন, ‘আমরা আশা করছি নীতিনির্ধারকেরা আরও দুটি ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কমিয়ে হার ৩ থেকে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশে নামাবে। তবে ঝুঁকির দিকটা আরও কমার দিকেই।’
গতকাল বুধবার ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ড তিন মাসের নতুন উচ্চতায় উঠলেও দিনের শেষে প্রায় স্থিতিশীল ছিল। ইউরো লেনদেন হয়েছে ১.১৮০ ডলার, পাউন্ড ১.৩৫২২ ডলারে।
ডলার সূচক নেমে আসে আড়াই মাসের সর্বনিম্ন ৯৭.৭৬৭ পয়েন্টে। চলতি বছরে ডলারের দরপতন প্রায় ৯.৮ শতাংশ, যা ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক ক্ষতি। বছরের শেষ সপ্তাহে আরও দুর্বল হলে ২০০৩ সালের পর সবচেয়ে খারাপ ফলও হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনিয়মিত শুল্কনীতি ও ফেডের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ ডলারের ওপর আস্থার সংকট তৈরি করেছে। এর বিপরীতে ইউরো এ বছর ১৪ শতাংশের বেশি শক্তিশালী, যা ২০০৩ সালের পর সেরা পারফরম্যান্সের পথে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) গত সপ্তাহে সুদহার অপরিবর্তিত রেখে প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। এতে নিকট ভবিষ্যতে সুদ কমানোর সম্ভাবনা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাবে ইউরোপের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে সুদহার বৃদ্ধির সম্ভাবনা মূল্যায়ন করছেন ট্রেডাররা।
ফলে অস্ট্রেলীয় ডলার ও নিউজিল্যান্ডের ডলার শক্তিশালী হয়েছে। অস্ট্রেলীয় ডলার এ বছর এখন পর্যন্ত ৮.৪ শতাংশ বেড়ে গতকাল বুধবার তিন মাসের সর্বোচ্চ ০.৬৭১০ ডলারে পৌঁছায়। নিউজিল্যান্ড ডলারও আড়াই মাসের সর্বোচ্চ ০.৫৮৪৭৫ ডলার ছুঁয়েছে।
ব্রিটিশ পাউন্ড এ বছর ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে অন্তত একবার সুদ কমাবে এবং বছরের শেষ নাগাদ দ্বিতীয়বার কমানোর সম্ভাবনাও প্রায় ৫০ শতাংশ।
ডলার নরওয়েজিয়ান ক্রোনের বিপরীতে ১২ শতাংশ, সুইস ফ্রাঁর বিপরীতে ১৩ শতাংশ এবং সুইডিশ ক্রোনার বিপরীতে ১৭ শতাংশ দুর্বল হয়েছে। গতকাল সুইডিশ ক্রোনার বিপরীতে ডলার নেমে আসে ৯.১৬৭ ক্রোনায়, যা ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন।

সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা শিল্পকারখানাগুলোকে আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা এবং সেখানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সৃষ্ট আর্থিক সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজছে সরকার।
৩১ অক্টোবর ২০২৪
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ মিনিট আগে
মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে
শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকার জনগুরুত্ব বিবেচনায় এবং পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেলকে অধিক জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে ইতিপূর্বে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর আরোপিত ভ্যাট ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহতি দিয়েছে। মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে ওই অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে এনবিআর গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বর্তমান ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। মেট্রোরেল পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ও গণপরিবহন। কিন্তু মেট্রোরেল চালুর পর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেল চলাচল মতিঝিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ভবিষ্যতে কমলাপুর পর্যন্ত চলবে। মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারে।

মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকার জনগুরুত্ব বিবেচনায় এবং পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেলকে অধিক জনপ্রিয় করার উদ্দেশ্যে ইতিপূর্বে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর আরোপিত ভ্যাট ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহতি দিয়েছে। মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে ওই অব্যাহতির মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে এনবিআর গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বর্তমান ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। মেট্রোরেল পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ও গণপরিবহন। কিন্তু মেট্রোরেল চালুর পর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।
২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেল চলাচল মতিঝিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ভবিষ্যতে কমলাপুর পর্যন্ত চলবে। মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো ক্লাস বা শ্রেণিবিন্যাস নেই। সব যাত্রী একই ভাড়ায় নির্ধারিত গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারে।

সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা শিল্পকারখানাগুলোকে আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা এবং সেখানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সৃষ্ট আর্থিক সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজছে সরকার।
৩১ অক্টোবর ২০২৪
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ মিনিট আগে
২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার দুর্বল অবস্থানে রয়েছে এবং ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক পতনের পথে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগামী বছরও সুদহার কমানোর সুযোগ পাবে, যেখানে অধিকাংশ বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
১ ঘণ্টা আগে
শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
চার দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় ২২০টি স্টল থাকছে। মেলায় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছে রিহ্যাব।
মেলায় আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্ল্যাট বা প্লট বিক্রির প্রস্তাবের সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক জীবনযাত্রার ধারণাও তুলে ধরছেন। এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ আবাসন খাতে ডিজিটাল রূপান্তর, যা ক্রেতাদের অভিজ্ঞতায় আনছে নতুন মাত্রা। থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে মেলা প্রাঙ্গণেই পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন ক্রেতারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে ফ্ল্যাট কেমন হবে, তা বুঝতে ক্রেতাদের ব্রশিউর ও নকশার ওপর নির্ভর করতে হতো। তবে এবার থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গণেই তাঁদের পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন। এতে ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ও বাস্তবসম্মত হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এবার নিজস্ব ডিজিটাল সেলস প্ল্যাটফর্মও চালু করেছে।
এ ছাড়া মেলায় এমন বহু প্রকল্প প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে স্মার্ট লক, অটোমেটেড লাইটিং, স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্স ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এই প্রযুক্তির ফলে স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দেশ গঠনে ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তা ও নির্মাণকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আবাসন খাতে নানা পেশাজীবী সংগঠন যুক্ত থাকলেও বাস্তবে ভবন নির্মাণের মূল দায়িত্ব উদ্যোক্তা ও নির্মাতাদের। দীর্ঘদিন ধরে আবাসন খাত নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে কিছুটা মন্দা থাকলেও এটি স্থায়ী নয়, সুদিন অবশ্যই ফিরে আসবে।
ডেভেলপারদের বিষয়ে প্রচলিত ভুল ধারণার কথা তুলে ধরে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, ডেভেলপাররা শুধু নিজেদের ব্যবসার কথা ভাবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই ধারণা সঠিক নয়। হয়তো হাতে গোনা কয়েকজন ব্যতিক্রম থাকতে পারেন, তবে সবাই একটি সুন্দর, পরিকল্পিত ও নিয়মের মধ্যে গড়ে ওঠা শহরই চান।’
বিশেষ অতিথি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান। সদস্য ও ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে মানুষের ভালো জায়গায় সুন্দর একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকার আগ্রহ বাড়ছে। আমরা নাগরিকদের স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’
রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত্ আলী ভূঁইয়া আবাসন খাতের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন নাগরিকের পক্ষে হাউজিং লোন ছাড়া ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করা প্রায় অসম্ভব। ক্রেতারা যাতে খুব সহজে এই ঋণ পেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার জন্য জানান তিনি। পরিকল্পিত ও আধুনিক বাসস্থান তৈরিতে গৃহঋণের অবদান অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রিহ্যাবের পরিচালক ও মেলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান মিরাজ মোক্তাদিরসহ আরও অনেকে।
প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি, অপরটি মাল্টিপল। সিঙ্গেল টিকিটের প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় পাঁচবার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ দুস্থদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে। এ বছরের মেলায় প্রতিদিন র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

শুরু হলো আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় আয়োজন রিহ্যাব ফেয়ার-২০২৫। আজ বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম।
চার দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারের মেলায় ২২০টি স্টল থাকছে। মেলায় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিয়েছে রিহ্যাব।
মেলায় আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্ল্যাট বা প্লট বিক্রির প্রস্তাবের সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক জীবনযাত্রার ধারণাও তুলে ধরছেন। এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ আবাসন খাতে ডিজিটাল রূপান্তর, যা ক্রেতাদের অভিজ্ঞতায় আনছে নতুন মাত্রা। থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে মেলা প্রাঙ্গণেই পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন ক্রেতারা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগে ফ্ল্যাট কেমন হবে, তা বুঝতে ক্রেতাদের ব্রশিউর ও নকশার ওপর নির্ভর করতে হতো। তবে এবার থ্রি-ডি ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গণেই তাঁদের পছন্দের ফ্ল্যাটটি ঘুরে দেখছেন। এতে ফ্ল্যাট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ও বাস্তবসম্মত হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান এবার নিজস্ব ডিজিটাল সেলস প্ল্যাটফর্মও চালু করেছে।
এ ছাড়া মেলায় এমন বহু প্রকল্প প্রদর্শিত হচ্ছে, যেখানে স্মার্ট লক, অটোমেটেড লাইটিং, স্মার্ট অ্যাপ্লায়েন্স ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। এই প্রযুক্তির ফলে স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দেশ গঠনে ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তা ও নির্মাণকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আবাসন খাতে নানা পেশাজীবী সংগঠন যুক্ত থাকলেও বাস্তবে ভবন নির্মাণের মূল দায়িত্ব উদ্যোক্তা ও নির্মাতাদের। দীর্ঘদিন ধরে আবাসন খাত নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে কিছুটা মন্দা থাকলেও এটি স্থায়ী নয়, সুদিন অবশ্যই ফিরে আসবে।
ডেভেলপারদের বিষয়ে প্রচলিত ভুল ধারণার কথা তুলে ধরে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, ডেভেলপাররা শুধু নিজেদের ব্যবসার কথা ভাবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই ধারণা সঠিক নয়। হয়তো হাতে গোনা কয়েকজন ব্যতিক্রম থাকতে পারেন, তবে সবাই একটি সুন্দর, পরিকল্পিত ও নিয়মের মধ্যে গড়ে ওঠা শহরই চান।’
বিশেষ অতিথি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনএইচএ) চেয়ারম্যান মোছা. ফেরদৌসী বেগম নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণের কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট মো. ওয়াহিদুজ্জামান। সদস্য ও ক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে এ মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতির সঙ্গে মানুষের ভালো জায়গায় সুন্দর একটি ফ্ল্যাট নিয়ে থাকার আগ্রহ বাড়ছে। আমরা নাগরিকদের স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছি।’
রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়াকত্ আলী ভূঁইয়া আবাসন খাতের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে একজন নাগরিকের পক্ষে হাউজিং লোন ছাড়া ফ্ল্যাট বা প্লট ক্রয় করা প্রায় অসম্ভব। ক্রেতারা যাতে খুব সহজে এই ঋণ পেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করার জন্য জানান তিনি। পরিকল্পিত ও আধুনিক বাসস্থান তৈরিতে গৃহঋণের অবদান অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রিহ্যাবের পরিচালক ও মেলা কমিটির কো-চেয়ারম্যান মিরাজ মোক্তাদিরসহ আরও অনেকে।
প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। মেলায় দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি, অপরটি মাল্টিপল। সিঙ্গেল টিকিটের প্রবেশমূল্য ৫০ টাকা আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশমূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিট দিয়ে একজন দর্শনার্থী মেলার সময় পাঁচবার প্রবেশ করতে পারবেন। এন্ট্রি টিকিটের প্রাপ্ত সম্পূর্ণ অর্থ দুস্থদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে। এ বছরের মেলায় প্রতিদিন র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।

সংকটে পড়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা শিল্পকারখানাগুলোকে আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা এবং সেখানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে সৃষ্ট আর্থিক সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজছে সরকার।
৩১ অক্টোবর ২০২৪
রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বড় ধরনের শুল্কছাড় দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোজার অন্যতম ইফতারসামগ্রী খেজুরের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে বলে আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এনবিআর।
১৭ মিনিট আগে
২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার দুর্বল অবস্থানে রয়েছে এবং ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় বার্ষিক পতনের পথে। বিনিয়োগকারীরা ধারণা করছেন, মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগামী বছরও সুদহার কমানোর সুযোগ পাবে, যেখানে অধিকাংশ বড় কেন্দ্রীয় ব্যাংক
১ ঘণ্টা আগে
মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগে