এনবিআরে আন্দোলন
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’
এনবিআরে আন্দোলন
আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শেষ পর্যন্ত এনবিআরে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি থেকে সরে আসেন আন্দোলনকারীরা।
কঠোর কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ আন্দোলন প্রত্যাহার কেন—তা জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরিচয় প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তাদের কয়েকজন বলেন, চাপে পড়ে আন্দোলন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও। এ নিয়ে চরম অসন্তোষ ছিল সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। ফলে আন্দোলন থামাতে কঠোর অবস্থানে ছিল সরকার। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কর্মকর্তাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। আইনের কৌশলী ব্যবহার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা বেশ তৎপর ভূমিকা রেখেছে এ ক্ষেত্রে, তৈরি করেছে ফিয়ার ফ্যাক্টর বা ভয়ের উপাদান। যদিও সরকারের দাবি, এনবিআরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদককে তদন্তে নামাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই গত ১২ মে মধ্যরাতে এনবিআরকে দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা। আন্দোলনের মধ্যে ২২ অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা জানায় সরকার। এরপর কাজে যোগ দিলেও রাজস্ব খাতের সংস্কারে এনবিআর কর্মকর্তাদের উপেক্ষা ও অসহযোগিতা করার অভিযোগে আন্দোলনকারীরা চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অটল থাকেন। আন্দোলন তীব্র করতে গত শনি ও রোববার পালন করা হয় কমপ্লিট শাটডাউন। এতে সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এ পরিস্থিতিতে সরকার এনবিআরের সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করে। এসব সেবার ক্ষেত্রে চাকরিরত ব্যক্তি ধর্মঘট করা বা চালিয়ে যেতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে ১ বছর জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ড হতে পারে। এটি চাকরি হারানোর শঙ্কা সৃষ্টি করে কর্মকর্তাদের মধ্যে।
একই দিনে এনবিআরের আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানায় দুদক। এটিও সরকারের অন্যতম কৌশল বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। এরপরই আন্দোলনকারীরা এনবিআর ভবন ত্যাগ করেন। সন্ধ্যায় শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানান তাঁরা।
এনবিআরের একজন অতিরিক্ত কমিশনার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢালাওভাবে দুর্নীতির অভিযোগ দিলে বাংলাদেশের সব কর্মকর্তার নামেই দেওয়া যায়। সুনির্দিষ্টভাবে বলেন এই ফাইলে, এত টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ঢালাওভাবে অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করলে কিছু হবে না; কিন্তু হয়রানি হবে। একজনকে দিয়ে আরেকজনকে ভয় দেখানো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে দেখেছি, সরকারের বিপক্ষে কিছু গেলেই সরকারের টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়। এগুলো তো ঠিক নয়।
আন্দোলনকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘এনবিআরের চাকরিকে অত্যাবশ্যক সেবা ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ, আমরা কাজে না ফিরলে সরকার কাস্টমসে আর্মি বসিয়ে মালপত্র ছাড় করার পরিকল্পনা করেছিল। ডিপার্টমেন্ট আর্মিদের হাতে তুলে দিতে পারব না। সারাজীবন লোকে এ কথা শোনাবে। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছি।’
এনবিআরের একজন যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘সংকটের সমাধানে কালকে যখন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থ উপদেষ্টার বৈঠক চলছিল, তখনই দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়টা এল। ফলে কারোরই বোঝার অপেক্ষা রাখে না, হঠাৎ করে সম্মুখসারির আন্দোলনকারীদের নিয়ে এটা কেন হলো? যখনই আমরা যৌক্তিক দাবির কথা বলতে গেছি, তখনই একসঙ্গে কতগুলো বিষয় সামনে চলে এসেছে, ফিয়ার ফ্যাক্টর তৈরি করা হয়েছে।’
আন্দোলনের মধ্যে ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় বা সরকার থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বরং আগের কোনো কোনো গভর্নর অতীতে সরকারের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতেন, সে সংস্কৃতি এখন বদলেছে।
তবে সবকিছু ভুলে কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমাদের রেভিনিউ অফিসারদের বলব, যা কিছু হয়েছে, সবকিছু ভুলে গিয়ে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সব কাজ করব এবং আমাদের যে কাজগুলো আছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
ব্যবসায়ীদের স্বস্তি
এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কর্মকর্তারা কাজে যোগ দেওয়ায় স্বাভাবিক হতে শুরু করছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম। চালু হয়েছে বন্দরগুলো। শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। এতে স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘বন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর আমাদের বেশ কিছু পণ্য শুল্কায়ন করা হয়েছে আজ। এটি আমাদের জন্য ভালো একটি খবর এবং স্বস্তির বিষয়।’
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান বলেন, ‘আমরা অর্থ উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাতে শক্ত কিছু না করেন। বরং এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যেন সমস্যার সুরাহা হয়।’
বৈদেশিক বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট কাস্টমসের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কাস্টম হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় গতকাল সোমবার এই গেজেট প্রকাশ করেছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থানসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান গতকাল বলেন, ‘এনবিআরের কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনবিআর ও এর অধীন সব দপ্তর-সংস্থার সবার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনার পর শুধু জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনবিআরের দপ্তর-সংস্থার চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় ঘোষণার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।’

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
‘টুগেদার উই রাইজ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে আয়োজিত এই কনফারেন্সে এফএমসিজি ডিভিশনের ১০টি সেলস লাইনের প্রায় ১ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আগামী বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এমজিআইয়ের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিবর্তন আসায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্পন্ন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং সেগুলো ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর জন্য চাই সবার মিলিত প্রচেষ্টা। আমরা যদি একসাথে, এক লক্ষ্যে এগিয়ে যাই; তাহলে কোনো বাধা আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমজিআইয়ের ডিরেক্টর তাহমিনা মোস্তফা বলেন, ‘ফ্যাক্টরি, সাপ্লাই চেইন, ফাইন্যান্স, ব্র্যান্ড ও অপারেশনস—সবাই এফএমসিজি পরিবারের অংশ। সেলস কোনো আলাদা বিভাগ নয়, এটি সবার একটি সম্মিলিত কমিটমেন্ট।’ তিনি ২০২৬ সালেও বাজারে ‘ফ্রেশ’, ‘নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘অ্যাক্টিফিট’ ব্র্যান্ডের শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার জন্য শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার দিকনির্দেশনা দেন।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এমজিআইয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসার (সিএও) মো. রহমতুল্লাহ খন্দকার, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম ও হেড অব অ্যাকাউন্টস এস এম মুজিবুর রহমান, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) কাজী মো. মহিউদ্দিন, এসবিইউ হেড কাজী তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনফারেন্সে আগামী দিনের কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন টিম বিল্ডিং অ্যাকটিভিটি অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সেলস চ্যাম্পিয়ন’, ‘সেলস হিরো’ এবং ‘লং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ছিল দেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে
০১ জুলাই ২০২৫
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন।
ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এ. জব্বার বলেন, ‘এই পুরস্কার একবার জেতা একটি বিশেষ বিষয়। কিন্তু ছয়বার এই পুরস্কার অর্জন করা এবং বাংলাদেশের একমাত্র শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে এই গৌরব ধরে রাখার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে, ধারাবাহিকতা, সততা এবং উদ্ভাবনই হলো সত্যিকারের রপ্তানি শ্রেষ্ঠত্বের মূল স্তম্ভ। এই স্বীকৃতি ডিবিএল পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং আমাদের অংশীদারদের প্রাপ্য।’
বিশ্বব্যাপী পোশাক সংগ্রহের হাব হিসেবে অবস্থান সুসংহত করছে বাংলাদেশ। আর এর মধ্যে অগ্রণী অবস্থানে রয়েছে ডিবিএল গ্রুপ।

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে
০১ জুলাই ২০২৫
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে। এ ছাড়া চাল, ডাল, ডিম, মুরগি ও অন্যান্য মুদিপণ্য আগের দামেই স্থির রয়েছে।
তবে দাম কমে বাজারে স্বস্তি এলেও তথ্য বলছে অধিকাংশ সবজির দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এখনো বেশি রয়েছে। এ ছাড়া আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম যতটা কমা প্রয়োজন, ততটা কমেনি বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আলুর বাজার। সাধারণত অন্যান্য বছর এই সময় আলুর দাম ৫০ টাকার ওপরে থাকে। কিন্তু চলতি বছর ২৫ টাকা কেজিতে নেমেছে।
সবজিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও চালের দাম নিয়ে এখনো অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। তাঁরা বলছেন, দাম কমলেও এখনো অনেক বেশি রয়েছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি শ্যামবাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৭ টাকা কেজি; এক সপ্তাহ আগে পাইকারিতে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৬৫ টাকা। এ ছাড়া আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০-৭২ টাকা।
শ্যামবাজারের মেসার্স আনোয়ার বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. রঞ্জু শেখ বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। এতে দাম খুব দ্রুত নামছে। নতুন, পুরোনো ও আমদানির মিলে এখন তিন ধরনের পেঁয়াজই রয়েছে বাজারে। চাহিদার তুলনায় বেশি হওয়ায় পেঁয়াজের বেচাকেনা খুব কম।
পাইকারিতে কমে আসায় খুচরাতেও দাম কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগ, সেগুনবাগিচা, মানিকনগরসহ বিভিন্ন বাজারে খুচরায় দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৮৫-৯০ টাকা। আমদানির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯৫-১০০ টাকা।
বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের (ডিএএম) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় নতুন আলু বাজারে তেমন ছিল না। পুরোনো আলুই বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোয় গতকাল বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা। ডিএএম বলছে, গত বছর এই সময় বেগুনের দাম ছিল ৩০-৬০ টাকা কেজি।
বাজারে শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০-৭০ টাকা কেজি। গত বছর এই সময় শিমের দাম ছিল ৩০-৮০ টাকা।
বাজারে প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৫-৪০ টাকা। গত বছর কপি একই দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছিল।
বাজারে শীতের সবজি মুলা প্রতি কেজি ২০ টাকা, সপ্তাহখানেক আগে মুলা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। গত বছর এই সময় মুলার দাম নেমেছিল ১৫ টাকা কেজিতে।
শীতের সবজির মধ্যে টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে গত এক সপ্তাহে। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০ টাকা।
কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৬০-১০০ টাকা, দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে যা ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজি বিক্রেতা নূর নবী বলেন, গত বছর রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশে পরিস্থিতি ছিল একটু অস্থির। এতে সরবরাহব্যবস্থাও ভালো ছিল না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও কিছুটা খারাপ ছিল। এতে সবজির চাহিদাও কম ছিল। ফলে দামও কম ছিল। এ বছর সে রকম পরিস্থিতি নেই।
সবজিতে দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি থাকলেও ডিম, মুরগি, চালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে।
বাজারে ডিমের দাম আরও কমে প্রতিটি ৮ টাকা ৩৩ পয়সা থেকে ৯ টাকা ১৭ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত ছিল। গত বছর একই সময় প্রতিটি ডিম বিক্রি হয়েছিল ১০ টাকা ৮৪ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৬৭ পয়সা।
ব্রয়লার বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহেও এই দামেই বিক্রি হয়েছিল।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও বাজার তথ্য বলছে, খুচরা বাজারে গুটি, স্বর্ণাসহ মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। তবে এই দামও বেশি বলছে ক্রেতারা। যদিও গত বছর একই সময় মোটা চাল ছিল ৫২-৫৮ টাকা।
বিআর-২৮, বিআর-২৯, পাইজামসহ মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা গত বছর ছিল ৬০-৬৫ টাকা। কাটারি, শম্পা কাটারি, জিরাশাইলসহ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৯০ টাকা কেজি, যা গত বছর একই সময় ছিল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, মাঝারি মানের এক কেজি সরু চাল কিনতে এখনো ৭০-৭৫ টাকা লাগছে। আমনের এই ভরা মৌসুমে এটা অনেক বেশি। চালের দাম আরও কমে আসা উচিত। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চালের দাম অনেক কম।

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে
০১ জুলাই ২০২৫
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

নানা নাটকীয়তার পর দেড় মাস ধরে চালানো আন্দোলন কর্মসূচি গত রোববার প্রত্যাহার করে নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে সচল হয়েছে দেশের সব কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন, স্বস্তি ফিরেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে এই আন্দোলন থামানোর জন্য বেশ কঠোর অবস্থান নিতে হয়েছে সরকারকে। বিষয়টি আঁচ করতে
০১ জুলাই ২০২৫
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) এফএমসিজি ডিভিশনের বার্ষিক সেলস কনফারেন্স ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি কক্সবাজারের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পায় দুই পর্বে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকসই উন্নয়নে অবদানের জন্য সম্প্রতি ‘এইচএসবিসি এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছে বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী ডিবিএল গ্রুপ। এর মাধ্যমে ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল গ্রুপটি।
১১ ঘণ্টা আগে
দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ও আমদানির বাড়তে থাকায় আরও কমেছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৮-২৫ টাকা। শুধু পেঁয়াজই নয়, চলতি সপ্তাহে আলু, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজির দামও আরেকটু কমেছে।
২ দিন আগে