রোকন উদ্দীন, ঢাকা

লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬ টাকা করে। আসাদ মিয়াকে প্রতি ফুলকপিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫ টাকা করে।
অথচ উল্টো চিত্র রাজধানীর বাজারে। এখানে প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা ও পেঁপে ৩৫-৪০ টাকায়। এ ছাড়া টমেটো ৭০-৮০ টাকা ও আলু ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ কৃষক লোকসানে সবজি বিক্রি করলেও ক্রেতাকে সেই সবজিই কিনতে হচ্ছে ৬-৭ গুণ বেশি দামে।
কৃষক আসাদ মিয়া বলেন, নিজের শ্রম বাদ দিয়েও চারা, সার, অন্যান্য খরচসহ তাঁর প্রতিটি ফুলকপির উৎপাদন ব্যয় ৮ থেকে ১০ টাকা। এখন খেতে প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকায়। বাজারে নিয়ে গেলে একটু বেশি দাম পাওয়া যায়, তবে পরিবহন খরচ দিয়ে তা প্রায় একই হয়।
শুধু আসাদ নয়, লালমনিরহাটের প্রান্তিক সব চাষিই লোকসানে রয়েছেন। লোকসানের কথা জানিয়েছেন বগুড়ার মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজরসহ বিভিন্ন সবজি চাষিরাও।
বগুড়ার বড় পাইকারি বাজার মহাস্থান, রাজাবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি (গড়ে একটি) ফুলকপি ৩-৫ টাকা, বাঁধাকপি ৮-১৩ টাকা, মুলা ২-৪ টাকা, গাজর ২৫-৩৫ টাকা, টমেটো ৩০-৫০ টাকা, শিম ৮-১২ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০-১৫ টাকায়।
এ হাটের কৃষক নুর নবী বলেন, ফুলকপিসহ সবজি এমন ফসল, যা পরিপক্ব হলে আর খেতে রাখা যায় না। লোকসান হলেও বিক্রি করতেই হয়। না হলে আরও লোকসান। এই সুযোগে পাইকারেরা দাম কমিয়ে দেন। এতে কৃষক মূলধন হারান।
বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব পাইকারি হাটে কৃষক নিজ খরচে সবজি এনে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকারেরা সরাসরি ট্রাকে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার আড়তগুলোয় সরবরাহ করেন। আড়ত থেকে আশপাশের বাজারের ছোট পাইকারেরা কিনে নেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রান্তিক খুচরা বিক্রেতারা সবজি কিনে নিয়ে যান শহরের বিভিন্ন বাজারে, যাঁদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা সবজি কেনেন। সে হিসাবে প্রতিটি হাতবদলে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাইফুল আরেফিন বলেন, বর্তমান বাজারে সব ধরনের সবজির জোগান বেশি হওয়ায় দর কমে গেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপিই শুধু নয়, সব ধরনের সবজির দামই কমেছে।
বগুড়ার মহাস্থানের পাইকারি ব্যবসায়ী বাদশা হাট থেকে সবজি কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় শহরের আড়তগুলোয় বিক্রি করেন। বাদশা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবজি কিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতে পরিবহনভাড়া, টার্মিনাল খরচসহ প্রতি কেজি সবজির ব্যয় ৬ টাকা হয়। কেনা দামের সঙ্গে যোগ করে যদি ফুলকপির কথাই বলি, তবে প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ১১ টাকার বেশি। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম আরও বেশি বাড়ে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কপি, মুলাসহ কিছু কিছু সবজির উৎপাদন ভালো হলেও সে তুলনায় বাজারে চাহিদা কমে গেছে। মানুষ এখন কপি খেতে চায় না। তাই কৃষক লোকসানে পড়েছেন। এই দাম বেশি দিন থাকবে না। এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার বাড়তে শুরু করবে।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজির খুচরা বিক্রেতা ইয়ামিন বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজারের পাইকারদের কাছ থেকে যখন যে দামে কিনি, সে অনুসারে গাড়িভাড়া, নষ্ট হওয়ার লোকসান যোগ করে বাজারের দাম অনুসারেই বিক্রি করি। পাইকারেরা বাড়তি দাম রাখলে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে গত অক্টোবরে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। তাতে বলা হয়, উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়লেও উৎপাদকেরা ন্যায্যমূল্য পান না। কখনো কখনো পরোক্ষ খরচের কারণে দাম বাড়ে। পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, জোগান এবং আমদানির সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি অদক্ষ বাজারব্যবস্থা, পণ্য পরিবহনের উচ্চ হার, বাজার আধিপত্য এবং উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে প্রবেশাধিকারের স্বল্প সুযোগ—এসব কারণে স্থানীয় বাজারে সবজি, কাঁচা মরিচসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। স্টোরেজ, পরিবহন এবং পণ্য প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে উৎপাদন খরচ যদি কমানো যায়, তাহলে এর সমাধান হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি খাতের একটি অন্যতম সমস্যা হলো কৃষক ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারেন না। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছানোর পথে বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী, যেমন পাইকার, ব্যাপারী, আড়তদার, ফড়িয়া, খুচরা বিক্রেতা ইত্যাদির দ্বারস্থ হতে হয়। প্রতিটি ধাপে মধ্যস্থতাকারীরা নিজেদের লাভের অংশ যোগ করে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে একদিকে ক্রেতাকে বেশি দামে কিনতে হয়, অন্যদিকে লাভের একটি বড় অংশ কৃষকের কাছে পৌঁছায় না। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় হতে পারে কৃষি সমবায় বিপণনব্যবস্থা বা ‘কৃষিপণ্য একত্রীকরণ মডেল’-এর বাস্তবায়ন। এ পদ্ধতিতে কৃষকেরা তাঁদের পণ্যের বিপণন, পরিবহন ইত্যাদি নিজেরাই সম্পন্ন করতে পারবেন। ফলে তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বগুড়া প্রতিনিধি গনেশ দাস ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি মো. খোরশেদ আলম সাগর]

লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬ টাকা করে। আসাদ মিয়াকে প্রতি ফুলকপিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫ টাকা করে।
অথচ উল্টো চিত্র রাজধানীর বাজারে। এখানে প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা ও পেঁপে ৩৫-৪০ টাকায়। এ ছাড়া টমেটো ৭০-৮০ টাকা ও আলু ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ কৃষক লোকসানে সবজি বিক্রি করলেও ক্রেতাকে সেই সবজিই কিনতে হচ্ছে ৬-৭ গুণ বেশি দামে।
কৃষক আসাদ মিয়া বলেন, নিজের শ্রম বাদ দিয়েও চারা, সার, অন্যান্য খরচসহ তাঁর প্রতিটি ফুলকপির উৎপাদন ব্যয় ৮ থেকে ১০ টাকা। এখন খেতে প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকায়। বাজারে নিয়ে গেলে একটু বেশি দাম পাওয়া যায়, তবে পরিবহন খরচ দিয়ে তা প্রায় একই হয়।
শুধু আসাদ নয়, লালমনিরহাটের প্রান্তিক সব চাষিই লোকসানে রয়েছেন। লোকসানের কথা জানিয়েছেন বগুড়ার মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজরসহ বিভিন্ন সবজি চাষিরাও।
বগুড়ার বড় পাইকারি বাজার মহাস্থান, রাজাবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি (গড়ে একটি) ফুলকপি ৩-৫ টাকা, বাঁধাকপি ৮-১৩ টাকা, মুলা ২-৪ টাকা, গাজর ২৫-৩৫ টাকা, টমেটো ৩০-৫০ টাকা, শিম ৮-১২ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০-১৫ টাকায়।
এ হাটের কৃষক নুর নবী বলেন, ফুলকপিসহ সবজি এমন ফসল, যা পরিপক্ব হলে আর খেতে রাখা যায় না। লোকসান হলেও বিক্রি করতেই হয়। না হলে আরও লোকসান। এই সুযোগে পাইকারেরা দাম কমিয়ে দেন। এতে কৃষক মূলধন হারান।
বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব পাইকারি হাটে কৃষক নিজ খরচে সবজি এনে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকারেরা সরাসরি ট্রাকে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার আড়তগুলোয় সরবরাহ করেন। আড়ত থেকে আশপাশের বাজারের ছোট পাইকারেরা কিনে নেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রান্তিক খুচরা বিক্রেতারা সবজি কিনে নিয়ে যান শহরের বিভিন্ন বাজারে, যাঁদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা সবজি কেনেন। সে হিসাবে প্রতিটি হাতবদলে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাইফুল আরেফিন বলেন, বর্তমান বাজারে সব ধরনের সবজির জোগান বেশি হওয়ায় দর কমে গেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপিই শুধু নয়, সব ধরনের সবজির দামই কমেছে।
বগুড়ার মহাস্থানের পাইকারি ব্যবসায়ী বাদশা হাট থেকে সবজি কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় শহরের আড়তগুলোয় বিক্রি করেন। বাদশা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবজি কিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতে পরিবহনভাড়া, টার্মিনাল খরচসহ প্রতি কেজি সবজির ব্যয় ৬ টাকা হয়। কেনা দামের সঙ্গে যোগ করে যদি ফুলকপির কথাই বলি, তবে প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ১১ টাকার বেশি। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম আরও বেশি বাড়ে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কপি, মুলাসহ কিছু কিছু সবজির উৎপাদন ভালো হলেও সে তুলনায় বাজারে চাহিদা কমে গেছে। মানুষ এখন কপি খেতে চায় না। তাই কৃষক লোকসানে পড়েছেন। এই দাম বেশি দিন থাকবে না। এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার বাড়তে শুরু করবে।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজির খুচরা বিক্রেতা ইয়ামিন বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজারের পাইকারদের কাছ থেকে যখন যে দামে কিনি, সে অনুসারে গাড়িভাড়া, নষ্ট হওয়ার লোকসান যোগ করে বাজারের দাম অনুসারেই বিক্রি করি। পাইকারেরা বাড়তি দাম রাখলে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে গত অক্টোবরে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। তাতে বলা হয়, উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়লেও উৎপাদকেরা ন্যায্যমূল্য পান না। কখনো কখনো পরোক্ষ খরচের কারণে দাম বাড়ে। পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, জোগান এবং আমদানির সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি অদক্ষ বাজারব্যবস্থা, পণ্য পরিবহনের উচ্চ হার, বাজার আধিপত্য এবং উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে প্রবেশাধিকারের স্বল্প সুযোগ—এসব কারণে স্থানীয় বাজারে সবজি, কাঁচা মরিচসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। স্টোরেজ, পরিবহন এবং পণ্য প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে উৎপাদন খরচ যদি কমানো যায়, তাহলে এর সমাধান হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি খাতের একটি অন্যতম সমস্যা হলো কৃষক ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারেন না। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছানোর পথে বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী, যেমন পাইকার, ব্যাপারী, আড়তদার, ফড়িয়া, খুচরা বিক্রেতা ইত্যাদির দ্বারস্থ হতে হয়। প্রতিটি ধাপে মধ্যস্থতাকারীরা নিজেদের লাভের অংশ যোগ করে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে একদিকে ক্রেতাকে বেশি দামে কিনতে হয়, অন্যদিকে লাভের একটি বড় অংশ কৃষকের কাছে পৌঁছায় না। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় হতে পারে কৃষি সমবায় বিপণনব্যবস্থা বা ‘কৃষিপণ্য একত্রীকরণ মডেল’-এর বাস্তবায়ন। এ পদ্ধতিতে কৃষকেরা তাঁদের পণ্যের বিপণন, পরিবহন ইত্যাদি নিজেরাই সম্পন্ন করতে পারবেন। ফলে তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বগুড়া প্রতিনিধি গনেশ দাস ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি মো. খোরশেদ আলম সাগর]
রোকন উদ্দীন, ঢাকা

লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬ টাকা করে। আসাদ মিয়াকে প্রতি ফুলকপিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫ টাকা করে।
অথচ উল্টো চিত্র রাজধানীর বাজারে। এখানে প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা ও পেঁপে ৩৫-৪০ টাকায়। এ ছাড়া টমেটো ৭০-৮০ টাকা ও আলু ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ কৃষক লোকসানে সবজি বিক্রি করলেও ক্রেতাকে সেই সবজিই কিনতে হচ্ছে ৬-৭ গুণ বেশি দামে।
কৃষক আসাদ মিয়া বলেন, নিজের শ্রম বাদ দিয়েও চারা, সার, অন্যান্য খরচসহ তাঁর প্রতিটি ফুলকপির উৎপাদন ব্যয় ৮ থেকে ১০ টাকা। এখন খেতে প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকায়। বাজারে নিয়ে গেলে একটু বেশি দাম পাওয়া যায়, তবে পরিবহন খরচ দিয়ে তা প্রায় একই হয়।
শুধু আসাদ নয়, লালমনিরহাটের প্রান্তিক সব চাষিই লোকসানে রয়েছেন। লোকসানের কথা জানিয়েছেন বগুড়ার মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজরসহ বিভিন্ন সবজি চাষিরাও।
বগুড়ার বড় পাইকারি বাজার মহাস্থান, রাজাবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি (গড়ে একটি) ফুলকপি ৩-৫ টাকা, বাঁধাকপি ৮-১৩ টাকা, মুলা ২-৪ টাকা, গাজর ২৫-৩৫ টাকা, টমেটো ৩০-৫০ টাকা, শিম ৮-১২ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০-১৫ টাকায়।
এ হাটের কৃষক নুর নবী বলেন, ফুলকপিসহ সবজি এমন ফসল, যা পরিপক্ব হলে আর খেতে রাখা যায় না। লোকসান হলেও বিক্রি করতেই হয়। না হলে আরও লোকসান। এই সুযোগে পাইকারেরা দাম কমিয়ে দেন। এতে কৃষক মূলধন হারান।
বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব পাইকারি হাটে কৃষক নিজ খরচে সবজি এনে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকারেরা সরাসরি ট্রাকে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার আড়তগুলোয় সরবরাহ করেন। আড়ত থেকে আশপাশের বাজারের ছোট পাইকারেরা কিনে নেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রান্তিক খুচরা বিক্রেতারা সবজি কিনে নিয়ে যান শহরের বিভিন্ন বাজারে, যাঁদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা সবজি কেনেন। সে হিসাবে প্রতিটি হাতবদলে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাইফুল আরেফিন বলেন, বর্তমান বাজারে সব ধরনের সবজির জোগান বেশি হওয়ায় দর কমে গেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপিই শুধু নয়, সব ধরনের সবজির দামই কমেছে।
বগুড়ার মহাস্থানের পাইকারি ব্যবসায়ী বাদশা হাট থেকে সবজি কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় শহরের আড়তগুলোয় বিক্রি করেন। বাদশা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবজি কিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতে পরিবহনভাড়া, টার্মিনাল খরচসহ প্রতি কেজি সবজির ব্যয় ৬ টাকা হয়। কেনা দামের সঙ্গে যোগ করে যদি ফুলকপির কথাই বলি, তবে প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ১১ টাকার বেশি। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম আরও বেশি বাড়ে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কপি, মুলাসহ কিছু কিছু সবজির উৎপাদন ভালো হলেও সে তুলনায় বাজারে চাহিদা কমে গেছে। মানুষ এখন কপি খেতে চায় না। তাই কৃষক লোকসানে পড়েছেন। এই দাম বেশি দিন থাকবে না। এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার বাড়তে শুরু করবে।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজির খুচরা বিক্রেতা ইয়ামিন বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজারের পাইকারদের কাছ থেকে যখন যে দামে কিনি, সে অনুসারে গাড়িভাড়া, নষ্ট হওয়ার লোকসান যোগ করে বাজারের দাম অনুসারেই বিক্রি করি। পাইকারেরা বাড়তি দাম রাখলে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে গত অক্টোবরে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। তাতে বলা হয়, উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়লেও উৎপাদকেরা ন্যায্যমূল্য পান না। কখনো কখনো পরোক্ষ খরচের কারণে দাম বাড়ে। পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, জোগান এবং আমদানির সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি অদক্ষ বাজারব্যবস্থা, পণ্য পরিবহনের উচ্চ হার, বাজার আধিপত্য এবং উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে প্রবেশাধিকারের স্বল্প সুযোগ—এসব কারণে স্থানীয় বাজারে সবজি, কাঁচা মরিচসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। স্টোরেজ, পরিবহন এবং পণ্য প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে উৎপাদন খরচ যদি কমানো যায়, তাহলে এর সমাধান হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি খাতের একটি অন্যতম সমস্যা হলো কৃষক ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারেন না। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছানোর পথে বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী, যেমন পাইকার, ব্যাপারী, আড়তদার, ফড়িয়া, খুচরা বিক্রেতা ইত্যাদির দ্বারস্থ হতে হয়। প্রতিটি ধাপে মধ্যস্থতাকারীরা নিজেদের লাভের অংশ যোগ করে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে একদিকে ক্রেতাকে বেশি দামে কিনতে হয়, অন্যদিকে লাভের একটি বড় অংশ কৃষকের কাছে পৌঁছায় না। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় হতে পারে কৃষি সমবায় বিপণনব্যবস্থা বা ‘কৃষিপণ্য একত্রীকরণ মডেল’-এর বাস্তবায়ন। এ পদ্ধতিতে কৃষকেরা তাঁদের পণ্যের বিপণন, পরিবহন ইত্যাদি নিজেরাই সম্পন্ন করতে পারবেন। ফলে তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বগুড়া প্রতিনিধি গনেশ দাস ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি মো. খোরশেদ আলম সাগর]

লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬ টাকা করে। আসাদ মিয়াকে প্রতি ফুলকপিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫ টাকা করে।
অথচ উল্টো চিত্র রাজধানীর বাজারে। এখানে প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৪০-৬০ টাকা, শিম ৩০-৫০ টাকা ও পেঁপে ৩৫-৪০ টাকায়। এ ছাড়া টমেটো ৭০-৮০ টাকা ও আলু ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ কৃষক লোকসানে সবজি বিক্রি করলেও ক্রেতাকে সেই সবজিই কিনতে হচ্ছে ৬-৭ গুণ বেশি দামে।
কৃষক আসাদ মিয়া বলেন, নিজের শ্রম বাদ দিয়েও চারা, সার, অন্যান্য খরচসহ তাঁর প্রতিটি ফুলকপির উৎপাদন ব্যয় ৮ থেকে ১০ টাকা। এখন খেতে প্রতিটি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ টাকায়। বাজারে নিয়ে গেলে একটু বেশি দাম পাওয়া যায়, তবে পরিবহন খরচ দিয়ে তা প্রায় একই হয়।
শুধু আসাদ নয়, লালমনিরহাটের প্রান্তিক সব চাষিই লোকসানে রয়েছেন। লোকসানের কথা জানিয়েছেন বগুড়ার মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজরসহ বিভিন্ন সবজি চাষিরাও।
বগুড়ার বড় পাইকারি বাজার মহাস্থান, রাজাবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি (গড়ে একটি) ফুলকপি ৩-৫ টাকা, বাঁধাকপি ৮-১৩ টাকা, মুলা ২-৪ টাকা, গাজর ২৫-৩৫ টাকা, টমেটো ৩০-৫০ টাকা, শিম ৮-১২ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা ও বেগুন বিক্রি হয়েছে ১০-১৫ টাকায়।
এ হাটের কৃষক নুর নবী বলেন, ফুলকপিসহ সবজি এমন ফসল, যা পরিপক্ব হলে আর খেতে রাখা যায় না। লোকসান হলেও বিক্রি করতেই হয়। না হলে আরও লোকসান। এই সুযোগে পাইকারেরা দাম কমিয়ে দেন। এতে কৃষক মূলধন হারান।
বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব পাইকারি হাটে কৃষক নিজ খরচে সবজি এনে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। পাইকারেরা সরাসরি ট্রাকে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকার আড়তগুলোয় সরবরাহ করেন। আড়ত থেকে আশপাশের বাজারের ছোট পাইকারেরা কিনে নেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রান্তিক খুচরা বিক্রেতারা সবজি কিনে নিয়ে যান শহরের বিভিন্ন বাজারে, যাঁদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা সবজি কেনেন। সে হিসাবে প্রতিটি হাতবদলে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাইফুল আরেফিন বলেন, বর্তমান বাজারে সব ধরনের সবজির জোগান বেশি হওয়ায় দর কমে গেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপিই শুধু নয়, সব ধরনের সবজির দামই কমেছে।
বগুড়ার মহাস্থানের পাইকারি ব্যবসায়ী বাদশা হাট থেকে সবজি কিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বড় শহরের আড়তগুলোয় বিক্রি করেন। বাদশা গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবজি কিনে ঢাকা ও চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতে পরিবহনভাড়া, টার্মিনাল খরচসহ প্রতি কেজি সবজির ব্যয় ৬ টাকা হয়। কেনা দামের সঙ্গে যোগ করে যদি ফুলকপির কথাই বলি, তবে প্রতি কেজি বিক্রি করতে হয় ১১ টাকার বেশি। তবে খুচরা পর্যায়ে দাম আরও বেশি বাড়ে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কপি, মুলাসহ কিছু কিছু সবজির উৎপাদন ভালো হলেও সে তুলনায় বাজারে চাহিদা কমে গেছে। মানুষ এখন কপি খেতে চায় না। তাই কৃষক লোকসানে পড়েছেন। এই দাম বেশি দিন থাকবে না। এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার বাড়তে শুরু করবে।
সেগুনবাগিচা বাজারের সবজির খুচরা বিক্রেতা ইয়ামিন বলেন, ‘আমরা কারওয়ান বাজারের পাইকারদের কাছ থেকে যখন যে দামে কিনি, সে অনুসারে গাড়িভাড়া, নষ্ট হওয়ার লোকসান যোগ করে বাজারের দাম অনুসারেই বিক্রি করি। পাইকারেরা বাড়তি দাম রাখলে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে গত অক্টোবরে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। তাতে বলা হয়, উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়লেও উৎপাদকেরা ন্যায্যমূল্য পান না। কখনো কখনো পরোক্ষ খরচের কারণে দাম বাড়ে। পণ্যের চাহিদা, উৎপাদন, জোগান এবং আমদানির সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি অদক্ষ বাজারব্যবস্থা, পণ্য পরিবহনের উচ্চ হার, বাজার আধিপত্য এবং উৎপাদনকারীদের খুচরা বাজারে প্রবেশাধিকারের স্বল্প সুযোগ—এসব কারণে স্থানীয় বাজারে সবজি, কাঁচা মরিচসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। স্টোরেজ, পরিবহন এবং পণ্য প্রক্রিয়াকরণ পর্যায়ে উৎপাদন খরচ যদি কমানো যায়, তাহলে এর সমাধান হতে পারে বলে গবেষণায় বলা হয়।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি খাতের একটি অন্যতম সমস্যা হলো কৃষক ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারেন না। কৃষকের উৎপাদিত পণ্য ক্রেতা পর্যন্ত পৌঁছানোর পথে বিভিন্ন মধ্যস্থতাকারী, যেমন পাইকার, ব্যাপারী, আড়তদার, ফড়িয়া, খুচরা বিক্রেতা ইত্যাদির দ্বারস্থ হতে হয়। প্রতিটি ধাপে মধ্যস্থতাকারীরা নিজেদের লাভের অংশ যোগ করে। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। ফলে একদিকে ক্রেতাকে বেশি দামে কিনতে হয়, অন্যদিকে লাভের একটি বড় অংশ কৃষকের কাছে পৌঁছায় না। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় হতে পারে কৃষি সমবায় বিপণনব্যবস্থা বা ‘কৃষিপণ্য একত্রীকরণ মডেল’-এর বাস্তবায়ন। এ পদ্ধতিতে কৃষকেরা তাঁদের পণ্যের বিপণন, পরিবহন ইত্যাদি নিজেরাই সম্পন্ন করতে পারবেন। ফলে তাঁরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বগুড়া প্রতিনিধি গনেশ দাস ও লালমনিরহাট প্রতিনিধি মো. খোরশেদ আলম সাগর]

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৬ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

লালমনিরহাটের বড় কমলাবাড়ির চাষি আসাদ মিয়া ঋণ করে এবার ২৭ শতাংশ জমিতে ফুলকপির চাষ করেছিলেন। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা ছিল, ফুলকপি বিক্রি করে ঋণের টাকা শোধ করবেন। মুনাফার একটা অংশ দিয়ে সংসারের খরচ, আরেক অংশ দিয়ে পরবর্তী ফসল চাষের খরচ মেটাবেন। কিন্তু তাঁর সেই হিসাব ওলটপালট হয়ে গেছে। এবার ফুলকপির দাম ৫ থেকে ৬
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৬ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে