বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণগ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১০ এবং বাকি ৯০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া যাবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না। নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণগ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১০ এবং বাকি ৯০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া যাবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না। নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণগ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১০ এবং বাকি ৯০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া যাবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না। নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
নতুন এই অধ্যাদেশ জারি হলে সরকার ব্যাংকটিতে শুধু দুজন পরিচালক নিয়োগ দিতে পারবে। এর বাইরে সব ক্ষমতা বোর্ডের হাতে ন্যস্ত হবে। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় সরকারের অংশ কমে ঋণগ্রহীতাদের মালিকানার পরিমাণ বাড়বে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ২৫ শতাংশ মালিকানা এখন আছে সরকারে হাতে; বাকি ৭৫ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের। সংশোধিত খসড়ায় ব্যাংকটিতে সরকারের মালিকানা কমিয়ে ১০ এবং বাকি ৯০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাদের দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণগ্রহীতা ক্রমান্বয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়িয়ে ৯০ শতাংশের অনুপাত অর্জন করতে পারবেন। বর্তমান গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত শেয়ার মূলধন বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকলেও এটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সরকার নিযুক্ত তিনজন এবং ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার নির্বাচিত ৯ জন পরিচালককে নিয়ে বোর্ড গঠন হয়। এই বিধান বদলে সরকার নিযুক্ত দুজন এবং শেয়ারহোল্ডার নিযুক্ত ১০ জন পরিচালক নিয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিচালকদের মধ্য থেকে একজনকে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিত সরকার। এখন বোর্ড চেয়ারম্যান নিয়োগের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়া অন্য যেকোনো পরিচালককে সরকার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিতে পারে। এই নিয়ম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে পরিচালকদের মধ্য থেকে অন্য যে কাউকে বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া যাবে।
বর্তমান আইনে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ ধরা আছে তিন বছর। এটিকে সংশোধন করে নির্বাচিত পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর রাখা হলেও পরবর্তী নির্বাচিত পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণের আগপর্যন্ত তাঁদের পরিচালক পদে বহাল রাখার নিয়ম যুক্ত করা হচ্ছে।
বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। এটিকে পরিবর্তন করে বাছাই কমিটি গঠনের এখতিয়ার বোর্ডের হাতে দেওয়া হচ্ছে।
আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকতে পারেন। সংশোধিত খসড়ায় একই নিয়ম রেখে সেখানে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে বলা হয়েছে, বোর্ডের বিবেচনায় ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে বোর্ড ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চাকরিকাল সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ শূন্য হলে বা তাঁর অনুপস্থিতিতে বা তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে শূন্য পদে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বোর্ড ব্যাংকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব দিতে পারে। এই নিয়ম বদলে সর্বোচ্চ তিন মাস ব্যবস্থাপনা পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ না করলে বোর্ড তাদের একক সিদ্ধান্তে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ পূরণ করার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, চেয়ারম্যান বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত পরিচালক সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে পারেন। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালক চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগ করেন। তবে সরকার বা ক্ষেত্রমতে চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত কোনো পদত্যাগ কার্যকর হয় না। নতুন আইন কার্যকর হলে চেয়ারম্যান বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা নির্বাচিত পরিচালকেরা বোর্ডের কাছে পদত্যাগ করতে পারবেন। তবে বোর্ড পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করা পর্যন্ত ওই পদত্যাগ কার্যকর হবে না। সরকার মনোনীত পরিচালকদের সরকারের কাছে পদত্যাগ করতে হবে। এরপর সরকার তা অনুমোদন করে বোর্ডের কাছে পাঠালে তা বোর্ডের কাছে গৃহীত হয়েছে বলে গণ্য করা হবে।
বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তিনজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হয়। এটিকে বদলে দিয়ে চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালকের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। বর্তমান আইনে বলা আছে, নির্বাচিত পরিচালকের পদ শূন্য হলে বিধি দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিচালক নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান এবং সরকার নিযুক্ত দুজন পরিচালকের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। এই উপধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে।
কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা সরকার থেকে নিযুক্ত পরিচালকদের মধ্য থেকে সভাপতিত্ব করার জন্য একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেন। বিদ্যমান আইনের এই ধারা পরিবর্তন করে নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো কারণে চেয়ারম্যান বোর্ডের সভায় উপস্থিত হতে না পারলে উপস্থিত পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাদে অন্য যেকোনো পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবেন।
বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অর্ডার, ১৯৭৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দুটি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম দ্বারা প্রতিবছর ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা হয়। এই নিয়ম পরিবর্তন করতে সংশোধিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫-এর ২(৮) ধারায় সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে আইনে যা-ই থাকুক না কেন, জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব হবে ওই আইনের আওতায় গঠিত ফাইন্যান্সিয়াল কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষক দিয়ে ব্যাংকের হিসাব নিরীক্ষা করা।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, যিনি এখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক ও মুহাম্মদ ইউনূসকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৫ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
আজ রোববার এনবিআরের সচিব মো. একরামুল হক স্বাক্ষরিত এক জরুরি আদেশে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। এনবিআর সূত্র বলছে, মূলত করদাতাদের সুবিধার্থে এবং অনলাইন সিস্টেমে চাপ সামলাতে এই রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু চলতি বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তাই অনেক নতুন ব্যবহারকারী কারিগরি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছিলেন। সেই জটিলতা নিরসনেই এই বাড়তি সময় দেওয়া হলো।
সময় বাড়ানোর আগে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মতো অনলাইন ব্যবস্থাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেছি। এটি একটি বড় ধরনের সংস্কার। আমরা চাই না কোনো করদাতা পদ্ধতিগত কারণে ঝামেলার মুখে পড়ুক। সরকার করদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই এই সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী বিলম্ব জরিমানা আরোপ হতে পারে।
এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ডিজিটাল কর ব্যবস্থার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এ পর্যন্ত ২৬ লাখের বেশি করদাতা সফলভাবে তাঁদের ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত আগস্ট থেকে সরকারি কর্মকর্তা, বড় কোম্পানি এবং নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার পর থেকেই ই-রিটার্ন পোর্টালে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে করদাতারা ঘরে বসেই যেকোনো সময় রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন। রিটার্ন দাখিলের পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Acknowledgment) এবং ট্যাক্স সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। বিকাশ, নগদ বা রকেটের মতো মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে কর পরিশোধের সুযোগ রয়েছে।
যেকোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা আইনি জটিলতা এড়াতে করদাতাদের সহায়তার জন্য এনবিআর একটি কল সেন্টারও চালু রেখেছে।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৭ ঘণ্টা আগেরাতুল মণ্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। দীর্ঘ বছর পর সে হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্র।
ফুটি কার্পাসের পুনর্জাগরণকে ঘিরে গবেষক, ঐতিহ্য অনুরাগী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা। এটি শুধু একটি বিপন্ন উদ্ভিদের পুনরুদ্ধার নয়; বরং বাংলার হারানো শিল্প-ঐতিহ্য ও সম্ভাব্য উচ্চমূল্যের টেক্সটাইল খাত পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা।
শ্রীপুর তুলা গবেষণা কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালাচ্ছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য—ফুটি কার্পাস তুলা কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে চাষযোগ্য করা যায়, উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালে আনা যায় এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মসলিনকে আবার পরিচিত করা যায়। গবেষকদের প্রত্যাশা, সঠিক নীতিগত সহায়তা ও বিনিয়োগ পেলে আগামী দিনে মসলিন আবার বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পরিচয় বহন করবে।
সম্প্রতি তুলা গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি ফুটি কার্পাস তুলাগাছ। প্রায় সব গাছেই প্রচুর ফুল এসেছে, যেগুলোর অনেক ফলেও পরিণত হয়েছে। গবেষকদের তথ্যমতে, পুনরুদ্ধার করা ফুটি কার্পাস গাছের উচ্চতা ১৩ থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। বীজের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি হলেও আঁশ সূক্ষ্ম ও স্বল্প, যা মসলিন তৈরির জন্য উপযোগী।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ফুটি কার্পাসের অস্তিত্বের সূত্র প্রথম পাওয়া যায় দৃক গ্যালারি ও জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহে। সাংস্কৃতিককর্মী সাইফুল ইসলাম এর খোঁজ পান। কার্পাস তুলা থেকেই ‘কাপাসিয়া’ নামের উৎপত্তি।
ব্রিটিশ আলবার্ট মিউজিয়ামে সংরক্ষিত মোগল আমলের মসলিন শাড়ির অংশবিশেষ পরীক্ষা করে গবেষকেরা নিশ্চিত হয়েছেন, সে সময়ে ফুটি কার্পাস থেকেই এসব বস্ত্র তৈরি হতো। ইতিহাস বলছে, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে এই তুলার চাষ হতো এবং ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে মসলিন রপ্তানি করা হতো।
তুলা গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন বলেন, ‘ফুটি কার্পাস শুধু একটি তুলা নয়, এটি বাংলার ঐতিহ্যের প্রতীক। ইংরেজ শাসনামলে নিজস্ব শিল্প রক্ষার জন্য ব্রিটিশরা পরিকল্পিতভাবে মসলিনশিল্প ধ্বংস করেছিল। আমরা এখন সে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।’

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস। প্রতিবছরের মতো এবারও মাশুল বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তবে অন্যান্য বন্দরের তুলনায় মাশুল বেশি হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দরের জন্য বর্ধিত মাশুলের আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরে যাত্রীদের জন্য ২০২৫ সালের মাশুল ছিল ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির মাশুল নতুন বছরে ১৮৪ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯ টাকা বেশি। মোটর কার, জিপ ও পিকআপের জন্য এখন নতুন মাশুল ১১০ টাকা ৮২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলের জন্য ৩৬ টাকা ৯৫ পয়সা।
বেনাপোল বন্দরে ট্রাক ও লরির জন্য ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করতে হলে ৮৮ টাকা ৬৫ পয়সা দিতে হবে। কাগজপত্র প্রক্রিয়ার মাশুল এখন ১৯৫ টাকা ০৭ পয়সা। কোনো যানবাহন যদি রাতভর বন্দরে থাকে, তবে মাশুল ১১১ টাকা ৪৯ পয়সা। গুদামে পণ্য রাখার মাশুলও পণ্যের সময় অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল ছাড়াও অন্যান্য স্থলবন্দরে মাশুল ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বন্দরে যাত্রীদের মাশুল ২০২৫ সালে ৪৯ টাকা ৭৯ পয়সা ছিল, যা ২০২৬ সালে বেড়ে ৫২ টাকা ২৭ পয়সা হয়েছে। আমদানি করা বাস, ট্রাক ও লরির জন্য নতুন মাশুল ১৫৯ টাকা ২২ পয়সা, মোটর কার ও জিপের জন্য ৯৫ টাকা ৫২ পয়সা এবং মোটরসাইকেল, স্কুটার ও থ্রি-হুইলারের জন্য ৪৭ টাকা ৮৩ পয়সা।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৫ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
৭ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

দেশের উত্তরাঞ্চলে কৃষি খাতে টেকসই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের ২৫২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। চার বছরের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য প্রকল্পের আওতাধীন চার জেলায় আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কৃষিপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানো এবং কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করা।
বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন নামের এই প্রকল্প ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাস্তবায়িত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে এবং পুরো ব্যয়ভার বহন করবে সরকার। আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনা, পানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তি এবং কৃষকের দক্ষতা উন্নয়ন—এসবের সমন্বয়ে প্রকল্পের কাঠামো তৈরি হয়েছে।
ডিএই মহাপরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন বলেন, যমুনা-করতোয়া-পদ্মা-বাঙ্গালীবিধৌত বগুড়া অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়া, কম বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা ও নদীভাঙন এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে আবাদি জমি কমছে। অপর দিকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। সার্বিক বাস্তবতা বিবেচনায় এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) প্রকল্পসংশ্লিষ্ট নথিপত্রে দাবি করা হয়েছে, আধুনিক ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ানোর পাশাপাশি শস্য নিবিড়তা ২৩৬ শতাংশ থেকে ২৪১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এক হাজার নতুন দক্ষ কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি এবং ৩৫ হাজার কৃষি মানবসম্পদকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে উৎপাদন ব্যয় কমানোও প্রকল্পের লক্ষ্য।
এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে থাকছে বগুড়ায় উপপরিচালকের কার্যালয় ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ, ২০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, তিনটি আধুনিক ফল-সবজি ও কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার স্থাপন এবং ৩ হাজার ১৮৫টি কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষকদের জন্য মোট ৪ হাজার ৮৪০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ আয়োজনের পাশাপাশি ৪১ হাজারের বেশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শনী এবং ৭০০টি মাঠ দিবস ও কারিগরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনাসচিব এস এম শাকিল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেকসই কৃষি উন্নয়নের স্বার্থে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি মাঠপর্যায়ে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয় কি না, সেটাই প্রকল্পের সাফল্য নির্ধারণ করবে।
একই বিষয়ে কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আজকের পত্রিকাকে জানান, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার আবাদি জমির সঠিক ফসল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। উৎপাদিত ফসলের সংরক্ষণব্যবস্থা উন্নত হলে কৃষকের ক্ষতি কমবে এবং আয়ের সুযোগ বাড়বে।

গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর থেকে সরকারের একক কর্তৃক ঝেড়ে ফেলতে আইনে সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় গ্রামীণ ব্যাংক (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে বলে...
১৭ এপ্রিল ২০২৫
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় আরও এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করদাতারা কোনো জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ই-রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। এর আগে দুই দফা সময় বাড়িয়ে শেষ সময় নির্ধারিত ছিল ৩১ ডিসেম্বর।
৫ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশ্বজুড়ে বাংলার গর্ব ছিল মসলিন। এর অতুলনীয় সূক্ষ্মতা, মসৃণতা ও আরামদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে রাজা-বাদশাহ থেকে ইউরোপীয় অভিজাত শ্রেণির কাছে মসলিন ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। মসলিনের প্রাণ ফুটি কার্পাস তুলা ইংরেজ শাসনামলে ঔপনিবেশিক বাণিজ্যনীতির বলি হয়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের সব স্থলবন্দরের মাশুল ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সব ধরনের সেবা, কর ও টোলহারের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত মাশুল প্রযোজ্য হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বলেছে, এই মাশুলই বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস।
৭ ঘণ্টা আগে