Ajker Patrika

আয়করে কৃপণ বিলাসে উদার

ফারুক মেহেদী
আপডেট : ২৮ জুন ২০২১, ১৫: ৪৫
আয়করে কৃপণ বিলাসে উদার

ঢাকা: কোনো তারকা রপ্তানিকারক, উদ্যোক্তা কিংবা শীর্ষ ব্যবসায়ীর কথা ভাবুন। আপনি তাঁকে হয়তো চেনেন! প্রায়ই টিভিতে দেখেন। সফল জীবনের সংগ্রামী গল্প শুনে পুলকিত হন। বিভিন্ন সভা–সেমিনারে তাঁর দেওয়া ‘অনুপ্রেরণাদায়ী’ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা যায়! অথচ তিনি সেরা করদাতাদের তালিকায় নেই। দামি বাড়ি-গাড়ি, বিদেশভ্রমণসহ বিলাসে তিনি যতটা উদার, কর দেওয়ায় ততটাই কৃপণ।

এনবিআরের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের এমন তারকা ব্যবসায়ীরা আসলে কাগুজে গরিব। কর না দিতে বা কম দেওয়ার জন্য তাঁরা প্রতিনিয়ত কৌশল বের করেন। বছরে হাজার কোটি টাকার লেনদেন। অনেকের নামে-বেনামে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কিংবা দুবাইতে বিলাসবহুল বাড়ি আছে। তবে নিজের কাগুজে আয় তার তুলনায় কিছুই নয়। এ টাকায় আর কতটুকুই বা আয়কর হয়?  

আবার এমন মানুষও আছেন, যাঁকে আপনি ঠিকমতো চেনেন না, জানেন না। নাম-ডাক কম, পত্রিকায় কখনো ছবি ছাপা হয় না, শোরগোলও কম। অথচ তিনি প্রায় ছয় দশক ধরে টানা কর দিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমে-ঘামে যেভাবে তিল তিল করে ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন, তা থেকে নিজের যেটুকু আয় ও সম্পদ গড়েছেন, তা অকপটে সরকারের কাছে স্বীকার করেছেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় কর দিয়েছেন। তিনি হলেন পুরান ঢাকার জর্দা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া, যিনি টানা ১৪ বছর ধরে দেশসেরা করদাতা। নিজের আয় ও সম্পদের বিপরীতে বছরে ৪০–৫০ কোটি টাকা শুধু করই দেন!

অল্প পুঁজি থেকে ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। এখন প্রায় ৪০-৫০ ধরনের ব্যবসা। সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। সবই নিজের নামে। এর জন্য কোনো ফাঁকি বা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেননি তিনি। ব্যবসা থেকে আয় বাড়লে সরকারকে কর দিতে হবে। এই ভাবনা থেকে তিনি ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দেন। এরপর আর থামেননি। গেল প্রায় ছয় দশক ধরে কর দিয়ে যাচ্ছেন। এই মুজিব শতবর্ষেও তিনি এককভাবে সেরা করদাতা হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ওয়েলথ এক্সের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, অতি ধনী বাড়ার দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ড, জাপান, হংকং, চীন কিংবা ভারতসহ পৃথিবীতে এমন আর একটি দেশও নেই; যেখানে এত দ্রুত ধনিক শ্রেণি তৈরি হয়! গত এক দশকে বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারে ধনী ব্যক্তির সংখ্যা বেড়েছে; যাঁদের সম্পদের পরিমাণ ৫০ লাখ ডলারের (৪২ কোটি টাকা) বেশি। সংস্থাটি গত বছরের মার্চে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাউছ মিয়ারা সততার পুরস্কার শুধু এনবিআর থেকেই পাচ্ছেন না; তাঁর এই সততার ফলই হলো ১টি থেকে অন্তত ৫৬ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সাফল্য। আর আমাদের পরিচিত বিখ্যাত সব প্রতিষ্ঠান বা শিল্প গ্রুপের মালিকেরা কর না দিয়ে কীভাবে ফাঁকি দেওয়া যায় সেই চিন্তা করেন। তাঁদের সেরা করদাতা হওয়ার শখ নেই। কর কম দেওয়াই তাঁদের উদ্দেশ্য।’ তিনি বলেন, ধনীদের উচিত বেশি হারে কর দেওয়া। অথচ দিনদিন তাঁদের কর–সুবিধা দেওয়া হচ্ছে অবারিতভাবে। এবারের বাজেটেও তাঁদেরই সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ধনীরা নানাভাবে কর না দিয়ে বেঁচে যান। মূল কারণ হলো সরকারের কাছে তাঁদের প্রয়োজনীয় তথ্য নেই। কারা নিয়মিত বিদেশে যাচ্ছেন, কার কয়টা গাড়ি আছে, কার সন্তান ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে, কার কয়টা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জমি কতটুকু, কয়টা বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিক ইত্যাদি তথ্য নিয়ে একটি ডেটাবেইস করা হলে কারও কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। তা ছাড়া, ধনীরা জমিসহ যেসব খাতে কর হয় না, ওই সব খাতে বিনিয়োগ করে থাকেন। ফলে তাঁদের সম্পদ বাড়ে, কর দিতে হয় না। আমি মনে করি, জমি বা সম্পদ থাকলেই আয় হোক বা না হোক, কর দিতে হবে।’

এনবিআরের কর বিভাগ বলছে, যখন করের হিসাব হয়, ধনীদের অনেকের নথিপত্র ফাঁকা থাকে! টাকা, বাড়ি, গাড়ি কিছু নেই! এঁদের কেউ আবার শীর্ষ ধনীর আন্তর্জাতিক তালিকায় নাম ওঠান। বাংলাদেশের উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি, চারদিকে বেসরকারি খাতের জয়জয়কার, মাথাপিছু আয়ে আশপাশের অনেক দেশকে পেছনে ফেলে যখন নেতৃত্বে; তখন পুরান ঢাকার জর্দা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়ার মতো সাধারণ করদাতারা সেরা করদাতার তালিকায়।

এনবিআর সূত্র আরও জানায়, বাংলাদেশে সম্পদের বড় অংশ ৫ শতাংশ মানুষের হাতে। বাকি ৯৫ শতাংশ মানুষের কাছে তেমন টাকা নেই। তাঁদের বেশির ভাগ হন সাধারণ চাকুরে, সরকারি কর্মচারী, না হয় বেসরকারি পেশাজীবী। বেতনই তাঁদের আয়ের মূল উৎস। অথচ এই ৯৫ শতাংশ মানুষের কাছ থেকেই সরকার কর আদায় করে। ৫ শতাংশ মানুষের কাছ থেকে যথাযথ কর আদায় করা গেলে ঘাটতি করতে হবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশে ধনী বাড়ার তথ্য থাকলেও করের খাতায় এর প্রতিফলন নেই। এনবিআর জানায়, গেল এক দশকে মাত্র ৮ লাখ নতুন করদাতা তৈরি হয়েছেন। তাঁরাও বেশির ভাগ সাধারণ করদাতা। অথচ দেশে কমবেশি ৪৬ লাখ টিআইএনধারী (ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর) করদাতা রয়েছেন, যাঁদের মাত্র ২১-২২ লাখ রিটার্ন জমা দেন। সবাই আবার কর দেন না, শুধু রিটার্ন দেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের কিছু বেশি মানুষ কর দেন।

ধনীদের কম কর দেওয়ার বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ কথা সত্য যে অর্থনীতি বড় হচ্ছে, ধনীদের জীবনযাপনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। তবে করের ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। ধনীরা মূলত কর অবকাশ, কর রেয়াতসহ নানা ছাড় নেওয়ায় তাঁদের কম হারে কর দিতে হয়। পাশাপাশি করের ক্ষেত্রে নীতির জটিলতায় দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে কিছু অসাধু কর্মকর্তা করদাতার সঙ্গে যোগসাজশ করে নিজেদের পকেট ভারী করেন ঠিকই, ন্যায্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেন সরকারকে।

বিশ্বব্যাংকের ২০০৫ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, ২০০২-০৩ সালে বাংলাদেশে কালোটাকার পরিমাণ ছিল মোট জিডিপির ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এনবিআরের হিসাবে, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে জরিমানা দিয়ে বৈধ করার মোট টাকার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মাত্র ছয় মাসে ১০ হাজার ২২০ কোটি কালোটাকা সাদা হয়েছে। এই সময়ে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কালোটাকার মালিক তাঁদের টাকা বৈধ করেছেন।  

ধনীদের অনেকেই প্রয়োজনীয় কর দেন না; আবার টাকাও দেশে রাখেন না। বিপুল অঙ্কের মুদ্রা পাচারের তথ্যই এর প্রমাণ। যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটির-জিএফআইয়ের তথ্যমতে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০ হাজার কোটি। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। আর সংস্থাটির হালনাগাদ তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে এখন বছরে গড়ে পাচার হয় প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা।

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক গত বৃহস্পতিবার ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড-২০২০’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ধনীরা শুধু ওই দেশে প্রায় ৫ হাজর ২০৩ কোটি টাকা সরিয়েছেন। অঙ্কের হিসাবে সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার কমলেও বিকল্প গন্তব্যে ঠিকই তা অব্যাহত রয়েছে। এর বাইরে কেইম্যান আইল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, কানাডা, সিঙ্গাপুর, হংকংয়েও অফিস খুলে বিভিন্ন উপায়ে টাকা বিদেশে পাঠাচ্ছেন অনেকে। প্যারাডাইস পেপারস ও পানামা পেপারসসহ বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে বাংলাদেশিদের নাম রয়েছে।

ধনীদের কর ফাঁকির প্রবণতা নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা আসলে রাজস্ব কর্মকর্তা ও বড় করদাতাদের যোগসাজশের ফল। এটাই বাংলাদেশের কর সংস্কৃতির অন্যতম দিক। সৎ করদাতারা এখানে কষ্ট করে আয় করে ন্যায্য কর দেন। আর ধনীরা এর সুবিধা নেন। তিনি বলেন, ধনীদের কর ফাঁকির বিষয়টি সরকারের অজানা নয়। ডেটাবেইস করে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শেয়ারিং পদ্ধতিতে সহজেই তাঁদের ধরা সম্ভব। তবে এর জন্য সরকারের সদিচ্ছা প্রয়োজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পুঁজিবাজারে নথি জমা এখন এক ক্লিকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পুঁজিবাজারে নথি জমা এখন এক ক্লিকে

দীর্ঘদিন ধরে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর তথ্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল জটিল ও সময়সাপেক্ষ। একই তথ্য বারবার ছাপিয়ে আলাদা স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দিতে হতো। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সম্প্রতি চালু করেছে সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক স্মার্ট সাবমিশন সিস্টেম (এসএসএস)।

নতুন এই সিস্টেমের মাধ্যমে কোম্পানি ও ফান্ডগুলো মূল্য সংবেদনশীল ঘোষণা, আর্থিক প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেগুলেটরি ফাইলিং কাগজ ছাড়াই অনলাইনে জমা দিতে পারবে। এতে সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং ট্র্যাকিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ডিএসই সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্ম ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দুটি নতুন মডিউল যুক্ত হওয়ায় এখন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তথ্য একই ডিজিটাল গেটওয়ে দিয়ে জমা দেওয়া সম্ভব। ফলে দ্বৈত সাবমিশনের ঝামেলা প্রায় সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাগুজে নথির ওপর নির্ভরতা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল সাবমিশন শুধু সুবিধার বিষয় নয়, এটি বাজার শৃঙ্খলা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করার একটি কাঠামোগত পরিবর্তন।

ডিএসই জানায়, চায়নিজ কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে কাজ করে প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বাড়ানোর পর সিস্টেমটি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নতুন ফিচার যুক্ত করা সহজ হবে।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ডিএসইর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ড. মো. আসিফুর রহমান বলেন, একক ডিজিটাল সাবমিশন পয়েন্ট চালু হওয়ায় ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপজনিত ভুল কমবে এবং তথ্য জমার প্রতিটি ধাপ ডিজিটালি যাচাইযোগ্য থাকবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগের প্রভাব শুধু স্টক এক্সচেঞ্জেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হতে যাচ্ছে কক্সবাজার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল ও নগদ লেনদেনমুক্ত (ক্যাশলেস) রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বড় ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে দেশের প্রথম ‘ক্যাশলেস’ জেলা হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শনিবার চট্টগ্রামে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই তথ্য জানান।

গভর্নর বলেন, ‘২০২৭ সালের মধ্যে দেশের অন্তত ৭৫ শতাংশ খুচরা লেনদেন ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হাতে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।’

চট্টগ্রাম অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক এই সভায় গভর্নর চট্টগ্রামকে দেশের ‘অর্থনৈতিক লাইফলাইন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান সমুদ্রবন্দর, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড), ভারী শিল্প এবং জ্বালানি অবকাঠামোর কেন্দ্রবিন্দু এই চট্টগ্রাম। সিঙ্গাপুর, দুবাই বা হংকংয়ের মতো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংযোগ শক্তিশালী করতে হবে। তবেই এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হবে।’

আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করতে দেশের সব সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরে শিগগিরই ২৪ ঘণ্টা রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এটি একটি তাৎক্ষণিক ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার ব্যবস্থা যা বাণিজ্যের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এ ছাড়া, তৃণমূল পর্যায়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএমই) এবং কৃষি খাতে পর্যাপ্ত ও সহজ শর্তে ঋণ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন গভর্নর। জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে উৎপাদনশীল খাতের বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ব্যাংকগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক চেম্বার, ব্যাংকার, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের গ্র্যাচুইটি ফান্ড: কর্মকর্তার অবহেলায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি

  • ৩৩ মাস অব্যবহৃত পড়ে ছিল ফান্ডের অর্থ
  • অভিযুক্ত কর্মকর্তা আগাম স্বেচ্ছা অবসরে
  • দায়িত্বে অবহেলায় জরিমানা ১ লাখ টাকা
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম 
প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের গ্র্যাচুইটি ফান্ড: কর্মকর্তার অবহেলায় ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি

দেশের একমাত্র গাড়ি প্রস্তুত ও সংযোজনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ফান্ড ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ ৩৩ মাসের অবহেলায় অন্তত ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। অথচ এই ক্ষতির দায়ে তদারকি কর্মকর্তার কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে আদায় করা হয়েছে মাত্র ১ লাখ টাকা। বিশাল ক্ষতির বিপরীতে সামান্য দণ্ডে দায় নিষ্পত্তির ঘটনা প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশ্ন ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

ফান্ড দেখভালের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহপ্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিললেও তিনি শর্তসাপেক্ষে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে দায়িত্বমুক্ত হয়েছেন। ২৫ ডিসেম্বর তাঁর অবসর কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তিনি গত ৩১ আগস্ট থেকে আগাম অবসরে যান। ২১ জুলাই শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) কাছে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরের আবেদন করেন এবং তাঁর অবসর মঞ্জুর করা হয়।

এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, আমি প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্টের সদস্য নই। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ফান্ডের দেখভাল করেছি। ডাবল বেনিফিট স্কিমের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর ভুলবশত তা রিনিউ করা হয়নি। দোষটা আসলে ব্যাংকের, বিষয়টি ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। সে কারণে আমরা মুনাফা থেকে বঞ্চিত হয়েছি।

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, গ্র্যাচুইটি ফান্ড পরিচালনার পূর্ণ দায় ট্রাস্টি বোর্ডের সাত সদস্যের। তারপরও আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে, আমি তা মোকাবিলা করেছি এবং ১ লাখ টাকা জরিমানাও গুনেছি। এটি অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল।

প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ সূত্রে জানা যায়, কর্মচারীদের জন্য গঠিত ‘প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এমপ্লয়িজ গ্র্যাচুইটি ফান্ড ট্রাস্ট’-এর ২ কোটি টাকা ২০১২ সালের ২৪ জুলাই জনতা ব্যাংকের শেখ মুজিব রোড (আগ্রাবাদ) শাখায় ডাবল বেনিফিট স্কিমে জমা রাখা হয়। ছয় বছর মেয়াদি এ স্কিমে সুদের হার ছিল ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। মেয়াদ শেষে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই সুদে-আসলে টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৩৩ মাস ওই অর্থ একইভাবে ব্যাংকে পড়ে থাকে। এ সময়ে না প্রগতি কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয়, না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ফান্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। এতে সম্ভাব্য মুনাফা হারিয়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয় ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬১০ টাকা।

ঘটনাটি ধরা পড়ার পর ফান্ড তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ২০২৩ সালের ১ মার্চ দেওয়া তাঁর ব্যাখ্যা কর্তৃপক্ষ গ্রহণযোগ্য মনে করেনি। পরবর্তী সময়ে ১১ এপ্রিল প্রগতির তিন কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বিভাগীয় প্রশাসনিক প্রধান মো. নুর হোসেন। সদস্য হিসেবে ছিলেন সহপ্রধান হিসাবরক্ষক গোলাম রাব্বি মোহাম্মদ সাদাত হোসেন এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. খায়রুল বাশার।

তদন্ত কমিটির সুপারিশে জনতা ব্যাংকের কাছে ৩৩ মাসের মুনাফা দাবি করা হয়। দেনদরবারের পর ব্যাংক সঞ্চয়ী বেনিফিটের আওতায় ২৮ লাখ টাকা পরিশোধ করে। জসিম উদ্দিনের কাছ থেকে আদায় করা জরিমানার ১ লাখ টাকা যোগ করে মোট উদ্ধার হয় ২৯ লাখ টাকা। ফলে এখনো অনাদায়ী থেকে যায় ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬১০ টাকা।

এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মো. সানাউল্লাহ বলেন, ডাবল বেনিফিট স্কিমের মেয়াদ শেষে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয় না। এ কারণে ওই সময়ের বেনিফিট পাওয়ার সুযোগ ছিল না। ২৮ লাখ টাকা পরিশোধের বিষয়ে তিনি জানান, বিষয়টি তাঁর আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপকের সময়কার সিদ্ধান্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিসিআইয়ের সাধারণ সভা: ভ্যাট ও করকাঠামো যুক্তিসংগত করার দাবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা গতকাল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে ভ্যাট ও করকাঠামোকে আরও যুক্তিসংগত করার দাবি তুলেছে দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ে যুক্ত উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। পাশাপাশি, সকল শিল্প এলাকায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহকে নিরবচ্ছিন্ন ও টেকসই করতে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে উৎপাদন কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলতে পারে।

গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তাঁরা বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, শিল্পের প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া অত্যাবশ্যক।

সভায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশের উৎপাদনশীল শিল্পকে শক্তিশালী রাখতে সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখা, সুষ্ঠু উৎপাদন ও কার্যক্রম নিশ্চিত করতে মসৃণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। আয়বৈষম্য কমানো এবং টেকসই এমএসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার, শিক্ষাবিদ ও শিল্পের যৌথ উদ্যোগ অপরিহার্য। বিসিআই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে শিল্পের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ করছে, যাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, শিল্প প্রতিযোগিতামূলক থাকে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, ভ্যাট ও করকাঠামো সহজ, উদ্যোক্তাবান্ধব ও উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধিকে লক্ষ্য করেই তৈরি হওয়া উচিত। তাঁরা আরও বলেন, পণ্য টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়াকে উদ্যোক্তাবান্ধব করা, নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপের সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। এসব পদক্ষেপ দেশীয় শিল্পে নতুন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে, উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতা ধরে রাখবে।

সভায় শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী এবং সাবেক সভাপতি এ টি এম ওয়াজিউল্লাহর জন্য। এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। সভা পরিচালনা করেন বিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন। সভার আলোচ্যসূচি অনুযায়ী, বিগত ৩৮তম সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বিসিআই কার্যক্রম ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য অডিটেড হিসাব অনুমোদন এবং নতুন অডিটর নিয়োগের বিষয়ও অনুমোদিত হয়। সভায় অংশ নেন বিসিআই সদস্য ও সাবেক নেতা শাহেদুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত