
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্পানির গুদাম–শোরুমে ঢুকে পড়বে।
মেক্সিকোতে চীনের এমন হাজারো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলোর অর্থ লগ্নিকারী চীনা ব্যবসায়ীরা। মূলত চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা এড়াতেই চীনা ব্যবসায়ীদের এমন কৌশল। বিনিয়োগস্থল মেক্সিকো হলেও মূলধন মুনাফাসমেত ঠিকই ফিরে আসছে চীনে।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই যে ত্রিমুখী বাণিজ্যিক–উৎপাদন সম্পর্ক, এটিকে বলা হয় ‘নিয়ারশোরিং’। মূলত যে দেশের বাজারে পণ্য রপ্তানি করা হবে সেই দেশের কাছাকাছি কোনো একটি দেশে উৎপাদন ব্যবস্থা স্থানান্তরকেই নিয়ারশোরিং বলে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনারা এমন হাজারো কোম্পানি মেক্সিকোয় সম্প্রসারিত করেছে। এর ফলে, একই সঙ্গে যেমন পরিবহন খরচ কমেছে, তেমনি ‘মেড ইন মেক্সিকো’ হওয়ায় শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মান ওয়াহ-এর মহাব্যবস্থাপক উ কেন ওয়েই জানান, চীন থেকে ব্যবসা মেক্সিকোতে স্থানান্তরের বিষয়টি অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক সব বিবেচনায়ই ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে (চীনের তুলনায়) অন্তত তিন থেকে চার গুণ বেশি উৎপাদন করতে পারি।’ মজার ব্যাপার হলো, তিনি পুরো আলাপ করেছেন স্প্যানিশে, একেবারে প্রায় স্থানীয়দের মতো উচ্চারণে।
মান ওয়াহ মেক্সিকোর মন্টেরিতে কার্যক্রম শুরু করে ২০২২ সালে। কিন্তু এরই মধ্যে দেশটিতে প্রায় ৪৫০ জনের কর্মসংস্থান করেছে কোম্পানিটি। উ কেন ওয়েই জানান, কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের লক্ষ্য হলো কর্মীসংখ্যা ১ হাজার ২০০-তে উন্নীত করা এবং আরও কয়েকটি কারখানা চালু করা।
মেক্সিকোয় চীনা বাণিজ্যের বেশি সুবিধাও রয়েছে। বিষয়টি উঠে এসেছে মান ওয়াহের মহাব্যবস্থাপকের কথায়। তিনি বলেন, ‘মেক্সিকোর মানুষেরা বেশ পরিশ্রমী এবং তাঁরা দ্রুত সবকিছু শিখে নেন। আমরা খুব ভালো অপারেটর পেয়েছি এবং তাঁদের উৎপাদন দক্ষতাও খুবই উঁচুমানের। তাই আমি মনে করি, শ্রমের দিকটা বিবেচনায় কৌশলগতভাবে মেক্সিকোকে বাছাই করাটা ভালো।’
এই নিয়ারশোরিং যে কেবল চীনকেই সুবিধা দিচ্ছে তা কিন্তু নয়। গত বছরের জুন পর্যন্ত এর আগের বছরের তুলনায় দেশটির রপ্তানি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ২৯০ কোটি ডলারে। এই প্রবৃদ্ধি শিগগির থেমে যাবে এমন কোনো আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষ দুই মাসেই যে পরিমাণ বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে তা ২০২০ সালে সারা বছরের মোট বিনিয়োগের অর্ধেক।
মান ওয়াহ সোফা ফ্যাক্টরিটি মেক্সিকোর হফুসান নামে একটি চীন-মেক্সিকো শিল্প এলাকায় অবস্থিত। কোম্পানিটি অনেক দিন ধরেই নিজস্ব জায়গার জন্য আবেদন করছে। এমনকি উচ্চমূল্য দিয়ে হলেও নিতে রাজি। কিন্তু এলাকাটির সব প্লটই বিক্রি হয়ে গেছে। মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে যেসব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপিত হবে, সেগুলোর প্লটও বিক্রি হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাবেক বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী হুয়ান কার্লোস বেকার পিনেদা বলেন, ‘মেক্সিকোয় যারা (চীনা ব্যবসায়ীরা) মূলধন আনেন বা বিনিয়োগ করেন তার কাঠামোগত মূল কারণ হলো—এখানে এই দেশে থেকে যাওয়া। আমি এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে তা শিগগির থেমে যাবে।’
পিনেদা এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘তবে মেক্সিকোয় চীনা মূলধনের প্রবেশ হয়তো কিছু দেশের নীতিমালার জন্য অস্বস্তিকর। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম অনুসারে সেই অর্থ দিয়ে নির্মিত সব পণ্যই যেকোনো বিবেচনায় মেক্সিকান।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এই নিয়মই চীনকে মেক্সিকোয় পা রাখার সুযোগ দিয়েছে। একই সঙ্গে চীনকে হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মেক্সিকো। যদিও বিষয়টি একপ্রকার প্রতীকী অগ্রগতি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
মেক্সিকোর এই বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টি হতে পেরেছে ‘নিয়ারশোরিং’-এর কারণে। চীন তো আছেই, খোদ মার্কিন কোম্পানিগুলোও মেক্সিকোতে বিনিয়োগ করছে বিপুল পরিমাণে। বিশেষ করে যেসব মার্কিন কোম্পানি এশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে, তারা নতুন উৎপাদন হাব হিসেবে বেছে নিয়েছে মেক্সিকোকে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কও তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন মেক্সিকোতে। তাঁর বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার ‘গিগাফ্যাক্টরি’ স্থাপন করা হতে পারে মন্টেরির উপকণ্ঠে। এ বছরই সেই ঘোষণা দিতে পারেন মাস্ক। তবে ১ হাজার কোটি ডলারের সেই প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান গতিপথ বিবেচনায় টেসলার এই উদ্যোগ কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে।
মেক্সিকোতে চীনা বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার ভূরাজনৈতিক যে টানাপোড়েন সেটিকেও উসকে দিতে পারে। এ বিষয়ে মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর চায়না-মেক্সিকো স্টাডিজের এনরিক ডুসেল বলেন, ‘এলাকার খানদানি ধনকুবের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) শহরের নব্য ধনীর (চীন) সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছে। বিপরীতে মেক্সিকোর বর্তমান সরকারের এই সমস্যা নিরসনে এখন পর্যন্ত কোনো কৌশল নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে জো বাইডেন বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যে-ই প্রেসিডেন্ট হয়ে আসেন না কেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। তবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কড়াকড়ি আসতে পারে। এনরিক ডুসেল মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-চীন ত্রিমুখী সম্পর্ককে ‘নিয়ারশোরিং’ না বলে বরং ‘সিকিউরিটি শোরিং’ বলা ভালো। কারণ, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সবার আগে তার জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিই বিবেচনা করবে। ফলে, এই দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্বে মেক্সিকো মাঝপথে ধরা খেয়ে যাবে কি না সে বিষয়ে দেশটিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এনরিক ডুসেল বলেন, এই টানাপোড়েনের মধ্যেই মেক্সিকো চীনকে স্বাগত জানাতে ‘মেক্সিকোয় স্বাগত’ বোর্ড টাঙিয়ে রেখেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক বিবেচনায় মধ্যবর্তী মেয়াদে এই বিষয়টি যে ভালো হবে না সেটি উপলব্ধি করার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার দরকার নেই!
তবে সবাই ডুসেলের মতো হতাশাবাদী নন। অনেকেই চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বেশ ইতিবাচক। হুয়ান কার্লোস বেকার পিনেদার মতে, ‘আমার প্রশ্ন হলো, এই প্রবণতা (মেক্সিকোয় চীনা বিনিয়োগের ধারা) চলবে কি না এবং এই প্রবণতার কতটা সুবিধা আমরা নিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম ও কোস্টারিকাতেও মানুষ একই ধরনের (চীনা বিনিয়োগ নিয়ে) আলোচনা করছে। সুতরাং, যে শর্তগুলো (বিনিয়োগকারীদের) বিভিন্ন পক্ষ থেকে এসেছে, সেগুলোর সাপেক্ষে করপোরেট ও সরকারি সিদ্ধান্তগুলোকে সমন্বিত করে দীর্ঘমেয়াদে সেই প্রবণতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে মেক্সিকোকে।’
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্পানির গুদাম–শোরুমে ঢুকে পড়বে।
মেক্সিকোতে চীনের এমন হাজারো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেগুলোর অর্থ লগ্নিকারী চীনা ব্যবসায়ীরা। মূলত চীনের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা এড়াতেই চীনা ব্যবসায়ীদের এমন কৌশল। বিনিয়োগস্থল মেক্সিকো হলেও মূলধন মুনাফাসমেত ঠিকই ফিরে আসছে চীনে।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মেক্সিকোর মধ্যকার এই যে ত্রিমুখী বাণিজ্যিক–উৎপাদন সম্পর্ক, এটিকে বলা হয় ‘নিয়ারশোরিং’। মূলত যে দেশের বাজারে পণ্য রপ্তানি করা হবে সেই দেশের কাছাকাছি কোনো একটি দেশে উৎপাদন ব্যবস্থা স্থানান্তরকেই নিয়ারশোরিং বলে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনারা এমন হাজারো কোম্পানি মেক্সিকোয় সম্প্রসারিত করেছে। এর ফলে, একই সঙ্গে যেমন পরিবহন খরচ কমেছে, তেমনি ‘মেড ইন মেক্সিকো’ হওয়ায় শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে মান ওয়াহ-এর মহাব্যবস্থাপক উ কেন ওয়েই জানান, চীন থেকে ব্যবসা মেক্সিকোতে স্থানান্তরের বিষয়টি অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক সব বিবেচনায়ই ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে (চীনের তুলনায়) অন্তত তিন থেকে চার গুণ বেশি উৎপাদন করতে পারি।’ মজার ব্যাপার হলো, তিনি পুরো আলাপ করেছেন স্প্যানিশে, একেবারে প্রায় স্থানীয়দের মতো উচ্চারণে।
মান ওয়াহ মেক্সিকোর মন্টেরিতে কার্যক্রম শুরু করে ২০২২ সালে। কিন্তু এরই মধ্যে দেশটিতে প্রায় ৪৫০ জনের কর্মসংস্থান করেছে কোম্পানিটি। উ কেন ওয়েই জানান, কয়েক বছরের মধ্যে তাঁদের লক্ষ্য হলো কর্মীসংখ্যা ১ হাজার ২০০-তে উন্নীত করা এবং আরও কয়েকটি কারখানা চালু করা।
মেক্সিকোয় চীনা বাণিজ্যের বেশি সুবিধাও রয়েছে। বিষয়টি উঠে এসেছে মান ওয়াহের মহাব্যবস্থাপকের কথায়। তিনি বলেন, ‘মেক্সিকোর মানুষেরা বেশ পরিশ্রমী এবং তাঁরা দ্রুত সবকিছু শিখে নেন। আমরা খুব ভালো অপারেটর পেয়েছি এবং তাঁদের উৎপাদন দক্ষতাও খুবই উঁচুমানের। তাই আমি মনে করি, শ্রমের দিকটা বিবেচনায় কৌশলগতভাবে মেক্সিকোকে বাছাই করাটা ভালো।’
এই নিয়ারশোরিং যে কেবল চীনকেই সুবিধা দিচ্ছে তা কিন্তু নয়। গত বছরের জুন পর্যন্ত এর আগের বছরের তুলনায় দেশটির রপ্তানি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৫ হাজার ২৯০ কোটি ডলারে। এই প্রবৃদ্ধি শিগগির থেমে যাবে এমন কোনো আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে না। গত বছরের শেষ দুই মাসেই যে পরিমাণ বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে তা ২০২০ সালে সারা বছরের মোট বিনিয়োগের অর্ধেক।
মান ওয়াহ সোফা ফ্যাক্টরিটি মেক্সিকোর হফুসান নামে একটি চীন-মেক্সিকো শিল্প এলাকায় অবস্থিত। কোম্পানিটি অনেক দিন ধরেই নিজস্ব জায়গার জন্য আবেদন করছে। এমনকি উচ্চমূল্য দিয়ে হলেও নিতে রাজি। কিন্তু এলাকাটির সব প্লটই বিক্রি হয়ে গেছে। মেক্সিকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক অ্যাসোসিয়েশন জানাচ্ছে, ২০২৭ সালের মধ্যে যেসব ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপিত হবে, সেগুলোর প্লটও বিক্রি হয়ে গেছে।
মেক্সিকোর সাবেক বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী হুয়ান কার্লোস বেকার পিনেদা বলেন, ‘মেক্সিকোয় যারা (চীনা ব্যবসায়ীরা) মূলধন আনেন বা বিনিয়োগ করেন তার কাঠামোগত মূল কারণ হলো—এখানে এই দেশে থেকে যাওয়া। আমি এমন কোনো লক্ষণ দেখছি না যে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে তা শিগগির থেমে যাবে।’
পিনেদা এ সময় যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘তবে মেক্সিকোয় চীনা মূলধনের প্রবেশ হয়তো কিছু দেশের নীতিমালার জন্য অস্বস্তিকর। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম অনুসারে সেই অর্থ দিয়ে নির্মিত সব পণ্যই যেকোনো বিবেচনায় মেক্সিকান।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের এই নিয়মই চীনকে মেক্সিকোয় পা রাখার সুযোগ দিয়েছে। একই সঙ্গে চীনকে হটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মেক্সিকো। যদিও বিষয়টি একপ্রকার প্রতীকী অগ্রগতি, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ।
মেক্সিকোর এই বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টি হতে পেরেছে ‘নিয়ারশোরিং’-এর কারণে। চীন তো আছেই, খোদ মার্কিন কোম্পানিগুলোও মেক্সিকোতে বিনিয়োগ করছে বিপুল পরিমাণে। বিশেষ করে যেসব মার্কিন কোম্পানি এশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে, তারা নতুন উৎপাদন হাব হিসেবে বেছে নিয়েছে মেক্সিকোকে।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কও তাঁর ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারেন মেক্সিকোতে। তাঁর বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার ‘গিগাফ্যাক্টরি’ স্থাপন করা হতে পারে মন্টেরির উপকণ্ঠে। এ বছরই সেই ঘোষণা দিতে পারেন মাস্ক। তবে ১ হাজার কোটি ডলারের সেই প্রকল্পটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান গতিপথ বিবেচনায় টেসলার এই উদ্যোগ কিছুদিন পিছিয়ে যেতে পারে।
মেক্সিকোতে চীনা বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার ভূরাজনৈতিক যে টানাপোড়েন সেটিকেও উসকে দিতে পারে। এ বিষয়ে মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর চায়না-মেক্সিকো স্টাডিজের এনরিক ডুসেল বলেন, ‘এলাকার খানদানি ধনকুবের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) শহরের নব্য ধনীর (চীন) সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছে। বিপরীতে মেক্সিকোর বর্তমান সরকারের এই সমস্যা নিরসনে এখন পর্যন্ত কোনো কৌশল নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে জো বাইডেন বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যে-ই প্রেসিডেন্ট হয়ে আসেন না কেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে খুব একটা উন্নতি হবে বলে মনে হয় না। তবে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে কড়াকড়ি আসতে পারে। এনরিক ডুসেল মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-চীন ত্রিমুখী সম্পর্ককে ‘নিয়ারশোরিং’ না বলে বরং ‘সিকিউরিটি শোরিং’ বলা ভালো। কারণ, চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন সবার আগে তার জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিই বিবেচনা করবে। ফলে, এই দুই পরাশক্তির দ্বন্দ্বে মেক্সিকো মাঝপথে ধরা খেয়ে যাবে কি না সে বিষয়ে দেশটিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এনরিক ডুসেল বলেন, এই টানাপোড়েনের মধ্যেই মেক্সিকো চীনকে স্বাগত জানাতে ‘মেক্সিকোয় স্বাগত’ বোর্ড টাঙিয়ে রেখেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্ক বিবেচনায় মধ্যবর্তী মেয়াদে এই বিষয়টি যে ভালো হবে না সেটি উপলব্ধি করার জন্য পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার দরকার নেই!
তবে সবাই ডুসেলের মতো হতাশাবাদী নন। অনেকেই চীনের সঙ্গে মেক্সিকোর সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে বেশ ইতিবাচক। হুয়ান কার্লোস বেকার পিনেদার মতে, ‘আমার প্রশ্ন হলো, এই প্রবণতা (মেক্সিকোয় চীনা বিনিয়োগের ধারা) চলবে কি না এবং এই প্রবণতার কতটা সুবিধা আমরা নিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, কলম্বিয়া, ভিয়েতনাম ও কোস্টারিকাতেও মানুষ একই ধরনের (চীনা বিনিয়োগ নিয়ে) আলোচনা করছে। সুতরাং, যে শর্তগুলো (বিনিয়োগকারীদের) বিভিন্ন পক্ষ থেকে এসেছে, সেগুলোর সাপেক্ষে করপোরেট ও সরকারি সিদ্ধান্তগুলোকে সমন্বিত করে দীর্ঘমেয়াদে সেই প্রবণতা বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে মেক্সিকোকে।’
বিবিসি থেকে অনুবাদ করেছেন আব্দুর রহমান

দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
১০ মিনিট আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্প
২৩ এপ্রিল ২০২৪
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্প
২৩ এপ্রিল ২০২৪
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
১০ মিনিট আগে
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগে
বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
বিভিন্ন খাতে এক দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞ আরেফিন রাফি আহমেদ জেসিআই বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৫ সালে ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তাঁর নির্বাচনে সংগঠনের সদস্যদের আস্থা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরেফিন রাফি আহমেদ বলেন, ‘ভিশন ২০২৬-এর মূল কথা হলো মন দিয়ে শোনা, সাহসের সঙ্গে কাজ করা এবং সততা ও নতুন চিন্তার মাধ্যমে তরুণদের সমাজের সেবায় সক্ষম করে তোলা। একই সঙ্গে সংগঠনের স্থানীয় ইউনিটগুলোকে আরও শক্তিশালী করা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’

জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
বিভিন্ন খাতে এক দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞ আরেফিন রাফি আহমেদ জেসিআই বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৫ সালে ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তাঁর নির্বাচনে সংগঠনের সদস্যদের আস্থা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরেফিন রাফি আহমেদ বলেন, ‘ভিশন ২০২৬-এর মূল কথা হলো মন দিয়ে শোনা, সাহসের সঙ্গে কাজ করা এবং সততা ও নতুন চিন্তার মাধ্যমে তরুণদের সমাজের সেবায় সক্ষম করে তোলা। একই সঙ্গে সংগঠনের স্থানীয় ইউনিটগুলোকে আরও শক্তিশালী করা এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলাই আমার প্রধান লক্ষ্য।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্প
২৩ এপ্রিল ২০২৪
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
১০ মিনিট আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে তিন দিনের মধ্যে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানি অনুমোদন দিতে শুরু করে। ওই দিনই দীর্ঘ ৩ মাস পর দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
প্রথমে দৈনিক মোট ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বর থেকে গত বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টন করে মোট ৭ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হয়। আমদানি শুরুর দিকে দাম অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু এক-দুই দিনের মধ্যে আবার বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘শনিবার অফিস বন্ধ থাকলেও আমরা পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (আইপি) দিতে কিছু কর্মকর্তা অফিসে ছিলাম। শনিবার থেকেই প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়েছে। রোববার ১২ হাজার টন পেঁয়াজ বাজারে এলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আশা করি।’
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিদিন ২০০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। আগে ছিল ৫০টি করে। প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে আবেদনের বিষয় আগের মতোই থাকবে। অর্থাৎ ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে যে সকল আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন।

বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনিক আমদানির অনুমতি চার গুণ বাড়িয়েছে সরকার। আজ শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ থাকায় প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খুলতে না পারলেও আগামীকাল রোববার থেকে মোট ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
চলতি মাসের শুরুতে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে তিন দিনের মধ্যে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর কৃষি মন্ত্রণালয় আমদানি অনুমোদন দিতে শুরু করে। ওই দিনই দীর্ঘ ৩ মাস পর দিনাজপুরের হিলি দিয়ে ভারত থেকে প্রথম চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করে। প্রথম চালানে ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
প্রথমে দৈনিক মোট ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৭ ডিসেম্বর থেকে গত বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ১ হাজার ৫০০ টন করে মোট ৭ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হয়। আমদানি শুরুর দিকে দাম অনেকটাই কমে আসে। কিন্তু এক-দুই দিনের মধ্যে আবার বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘শনিবার অফিস বন্ধ থাকলেও আমরা পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (আইপি) দিতে কিছু কর্মকর্তা অফিসে ছিলাম। শনিবার থেকেই প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু হয়েছে। রোববার ১২ হাজার টন পেঁয়াজ বাজারে এলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে আশা করি।’
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, প্রতিদিন ২০০টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। আগে ছিল ৫০টি করে। প্রতিটি আইপিতে সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। তবে আবেদনের বিষয় আগের মতোই থাকবে। অর্থাৎ ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে যে সকল আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোর মন্টেরের একটি আর্মচেয়ার ও লেদার সোফা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের নাম মান ওয়াহ। প্রতিষ্ঠানের নাম চীনা হলেও পণ্যের ট্যাগে ঠিকই লেখা হচ্ছে ‘মেড ইন মেক্সিকো’। এই আর্মচেয়ার ও সোফাগুলো খুব শিগগিরই সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় চেইনশপ কস্টকো, ওয়ালমার্টের মতো কোম্প
২৩ এপ্রিল ২০২৪
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
১০ মিনিট আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ২০২৬ সালের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন রাফি আহমেদ। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত জেসিআই নেতারা অংশ নেন।
৫ ঘণ্টা আগে