রোকন উদ্দীন, ঢাকা

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই। ফ্যাশনসচেতন ব্যক্তিরা এ সময় বেছে নেন এমন পোশাক, যা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে। অফিসের গাম্ভীর্য ধরে রাখে, আবার অনুষ্ঠানের উচ্ছ্বাসেও মানায়। ঠিক তেমনই একটি সমাধান হলো হাল আমলের স্যুট-ব্লেজার। উষ্ণতা, ফ্যাশন আর রুচিশীলতা—সব একসঙ্গে বুনে রাখা এই পোশাক শীতের আদর্শ সঙ্গী।
একসময় স্যুট মানেই ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। সেই স্যুট আজ বদলে নিয়েছে নিজের রূপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন সর্বজনীন। শহরের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে গ্রামেও। বদলেছে এর ব্যবহার। আজকাল কেউ লুঙ্গির সঙ্গে ব্লেজার জড়িয়ে বাজারে যান, কেউবা পাড়ার আড্ডায়। আর এই পোশাক শুধু কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গের জন্য নয়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান স্বচ্ছন্দে পরছেন স্যুট-ব্লেজার। ঘরের ভেতর থেকে রাস্তাঘাট—সবখানেই এখন এর উপস্থিতি। স্যুট শুধু আভিজাত্যের নয়, এটি হয়ে উঠেছে সবার।
ছোট থেকে বড়—সবাই এখন কোট-ব্লেজারের প্রতি আকৃষ্ট। শিশু, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ কিংবা বৃদ্ধ—সব বয়সেই এই পোশাকের জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সরকারি অফিস বা করপোরেট দুনিয়ায় এটি যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকাল তো বটেই, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে গরমের দিনেও অনেকে এই পোশাক পরেন। এভাবেই কোট-ব্লেজারের বাজার ছোট গণ্ডি পেরিয়ে বিশাল পরিসরে পৌঁছে গেছে। বিন্দু থেকে সিন্ধুতে রূপ নিয়েছে এর গ্রহণযোগ্যতা।
কোট-ব্লেজারের জগতে দেশে তৈরি হয়েছে এক বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে এ খাতে গড়ে উঠেছে ২ হাজার প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান পেয়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। বেড়েছে দক্ষ কারিগরের সংখ্যা। তাঁদের নিপুণ হাতে এসেছে হালফ্যাশনের নতুন নতুন ডিজাইন। উৎপাদন বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারের আয় এখন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। কোট-ব্লেজার যেন কেবল পোশাক নয়, এক সফল গল্পের নাম।
যেভাবে সর্বজনীন হলো ব্লেজার
একসময় ব্লেজার ছিল দরজির হাতে তৈরি আভিজাত্যের পোশাক। পছন্দমতো কাপড় আর শরীরের মাপ দিয়ে বানানো হতো কমপ্লিট স্যুট। অফিস পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে এটি ছিল সম্মান আর রুচির প্রতীক। তখন এটি ছিল শুধু উচ্চবিত্তের নাগালে।
কিন্তু সময় বদলেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, রুচিরও পরিবর্তন ঘটেছে। তা ছাড়া এর রেডিমেড মার্কেট গড়ে ওঠায় এবং তা সহজলভ্য হয়ে ওঠার কারণে এখন ব্লেজার হয়ে উঠেছে সবার পোশাক। শীত বা গ্রীষ্ম—সব ঋতুতেই এটি মানায়। বিয়েতে শেরওয়ানির জায়গায় স্যুটের ব্যবহার বাড়ছে। এখন শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাড়ছে এর চাহিদা। উদ্যোক্তারা শুরু করেছেন রপ্তানি। এভাবেই ব্লেজার সীমানা পেরিয়ে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন।

আদি কারিগরেরা অস্তিত্বের সংকটে
রেডিমেড পোশাকের সহজলভ্যতা আর বৈচিত্র্য দরজি সম্প্রদায়কে আজ সংকটে ফেলেছে। একসময় পছন্দের কাপড়, নিখুঁত মাপ আর ব্যক্তিগত চাহিদার জন্য দরজিদের দ্বারস্থ হতেন ক্রেতারা। এখন সময়স্বল্পতা আর রেডিমেডের আকর্ষণীয় ডিজাইন তাঁদের সেই অভ্যাস বদলে দিয়েছে। শপিং মল, ব্র্যান্ড স্টোর আর অনলাইনে বিভিন্ন মান ও দামের স্যুট-ব্লেজার সহজে পাওয়া যায়। মাপ দেওয়ার ঝামেলা বা অপেক্ষার ধৈর্য এখন আর অনেকের নেই। ক্রেতারা দামের দিকে বেশি ঝুঁকছেন, মানের সঙ্গে আপস করতে রাজি। ফলে টেইলার্স ও ফ্যাব্রিকসের দোকানগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। অথচ দরজিদের তৈরি পোশাক এখনো মানসম্মত। কিন্তু সময় আর খরচের কারণে তাঁদের আয় কমে যাচ্ছে। রেডিমেডের দাপটে দেশের আদি কারিগরেরা যেন হারিয়ে যেতে বসেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বি এম হারুন অর রশিদ বলেন, শৌখিন ও রুচিশীল কিছু মানুষ এখনো আছেন, যাঁরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী কোট-ব্লেজার পরতে চান। তাঁদের জন্যই মূলত আমাদের ব্যবসা টিকে আছে, অন্যথায় ব্লেজার তৈরির ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে যেত। তবে করোনার পর থেকে আমাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, অনেকের ব্যবসা ৫০-৭০ শতাংশ কমে গেছে। একসময় শীত এলে ডিসেম্বরে কারিগরেরা বিশ্রামের সময় পেতেন না, কিন্তু এখন অনেক সময় কারিগরদের বসে থাকতে হয়; কারণ, কাজের পরিমাণ অনেক কমে গেছে।
অর্থ ও সময় সাশ্রয় রেডিমেডেই
দরজির বাজারে মন্দা থাকলেও রেডিমেড ব্লেজারের বাজার এখন বেশ জমজমাট। আগে মধ্যবয়সীদের মধ্যে ব্লেজারের চাহিদা বেশি ছিল। এখন তরুণেরাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছে। রেডিমেড বাজার এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। ব্র্যান্ডের পাশাপাশি স্থানীয় কারখানাগুলোও ব্লেজার তৈরি করছে। কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব কারখানা। এই ব্লেজারের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাব্রিকসের বাজার গড়ে উঠেছে রাজধানীর ইসলামপুরে। বিদেশি ফ্যাব্রিকসের মানে না পৌঁছালেও দেশের চাহিদা অনেকটাই মেটাচ্ছে। দাম ও আকর্ষণীয় ডিজাইন রেডিমেড ব্লেজারের চাহিদা বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন বিক্রেতারা।
ক্যাটস আইয়ের এলিফ্যান্ট রোড শাখার ব্যবস্থাপক সম্রাট জানিয়েছেন, রুচির পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষ এখন অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দরজির দোকানে অর্ডার দেওয়ার চেয়ে রেডিমেড ব্লেজার কেনাই বেশি সুবিধাজনক মনে করেন ক্রেতারা। তিনি আরও জানান, দরজির দোকানে ব্লেজার বানাতে যেখানে ৭-১০ হাজার টাকা লাগে, সেখানে একই টাকায় ব্র্যান্ড দোকান থেকে আকর্ষণীয় ডিজাইনের কমপ্লিট স্যুট বা ব্লেজার কিনতে পারছেন তাঁরা। এতে শুধু অর্থ নয়, সময়ও সাশ্রয় হচ্ছে। এসব কারণে ক্রেতারা রেডিমেড ব্লেজারের প্রতি ঝুঁকছেন।
কোথায় কেমন মজুরি
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও টেইলার্সের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্লেজারের দাম মূলত ফ্যাব্রিকসের মান ও ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া আইডিয়াল, টপ টেন, রেমন্ড, ব্যালমন্ড, সানমুন, ফিট এলিগেন্সসহ প্রথম সারির প্রায় সব টেইলার্সের মজুরি প্রায় সমান ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে।
মোস্তফা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফিজার রহমান জানান, ভালো ফ্যাব্রিকস দিয়ে প্যান্ট ও ব্লেজারের কমপ্লিট সেট তৈরিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাগে, তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এই ধরনের কাস্টমার কম। বেশির ভাগ ক্রেতার বাজেট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, এর মধ্যে ভালো মানের ব্লেজার তৈরি করা সম্ভব।
ফ্যাব্রিকসের দাম যেমন
দরজির দোকানের কর্মকর্তারা জানান, কমপ্লিট ব্লেজার সেট তৈরিতে সোয়া চার গজ থেকে সাড়ে চার গজ কাপড় লাগে, যার মধ্যে তিন গজ ব্লেজারেই ব্যবহৃত হয়। বাজারে দেশীয় ও বিদেশি ফ্যাব্রিকস; যেমন থাই, ইতালি, চায়না ও ভারতীয় ফ্যাব্রিকস পাওয়া যায়, যার দাম ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা গজ। এভাবে ব্লেজার তৈরিতে খরচ ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।
রেডিমেডে খরচ আরও কম
রেডিমেড ব্লেজার কম খরচে পাওয়া যায়। ক্যাটস আইয়ের মতো ব্র্যান্ড দোকান থেকে ব্লেজার ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় পাওয়া যায়, এবং কমপ্লিট স্যুট ৯ থেকে ১২ হাজার টাকায়। সুপারমার্কেট বা বিপণিবিতানে এসব ব্লেজার ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের জন্য ব্লেজারের হাতা বা লম্বা ছোট করে দেন এবং ব্র্যান্ড দোকানগুলো আজীবন রিপেয়ার সুবিধা দেয়।
আছে কম দামের ব্লেজারও
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও ব্লেজার রয়েছে বাজারে। এর দাম আরও কম, যা পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতেও। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের পাশে ফুটপাতে, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, ফার্মগেটের পাশ ঘেঁষে ফুটপাতসহ বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে বসেছে অস্থায়ী কোট-ব্লেজারের দোকান। সকাল থেকে শুরু হয় হাঁকডাক। বেলা গড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বেচাকেনা। সন্ধ্যায় ভিড় জমে বেশি। নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যবিত্তরাও ভিড় জমায় এখানে।
মানভেদে এসব ব্লেজার সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বড় কারখানাগুলোতে তৈরি হয়।
নভেম্বরে অর্ডার, ডিসেম্বরে ডেলিভারি
বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২ হাজারের বেশি টেইলার্স ব্লেজার তৈরি করেন, যার সিংহভাগই রাজধানীতে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে অর্ডার বেশি আসে এবং জানুয়ারিতে শেষ সময়ের বিক্রি হয়। এই সময় ব্লেজারের দাম ২০-৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয় স্টকের অবশিষ্ট ব্লেজার। বিক্রেতারা জানান, মূল্যস্ফীতির কারণে বিক্রি কম হবে বলে ধারণা ছিল, তবে আশা অনুযায়ী বিক্রি খারাপ হয়নি এবং জানুয়ারির শুরুতে অনেকের স্টক শেষ হয়ে গেছে।
বাড়ছে রপ্তানির বাজার
দেশের কোট-ব্লেজারের চাহিদা এখন রপ্তানির বাজারেও বাড়ছে। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এটি পণ্যের বহুমুখীকরণের বড় হাতিয়ার হতে পারে। গত পাঁচ থেকে সাত বছরে কোট-ব্লেজার তৈরির জন্য আলাদা কারখানা গড়ে উঠেছে এবং এখন পাঁচ থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান শুধু ব্লেজার তৈরি ও রপ্তানি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিগ বস। এ ছাড়া এফসিআই ও সায়হামের মতো কোম্পানিগুলোর রপ্তানির পুরোটাই ব্লেজার। এনার্জি প্যাক, অনন্তসহ আরও কিছু কারখানাও অন্য পণ্যের পাশাপাশি ব্লেজার রপ্তানি করছে। রপ্তানিকারকদের হিসাবে এখন কমবেশি ১০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণে ব্লেজার রপ্তানি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিগবস করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রেজা উল হোসেন কাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোট-ব্লেজারের বাজার সিজনাল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় অনেকে অন্য পণ্যের সঙ্গে ব্লেজার তৈরি করে রপ্তানি করেন। সাত বছর আগে এই বাজার তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম ও বিনিয়োগ করতে হয়েছে; কারণ, ব্লেজার তৈরি করা সহজ নয় এবং বিশ্বস্ত বেয়ারাও পাওয়া যায় না। এ জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে উৎপাদন শুরু করতে হয়েছে এবং এখনো টপ ম্যানেজমেন্টে বিদেশি কর্মকর্তারা রয়েছেন। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হচ্ছে।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই। ফ্যাশনসচেতন ব্যক্তিরা এ সময় বেছে নেন এমন পোশাক, যা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে। অফিসের গাম্ভীর্য ধরে রাখে, আবার অনুষ্ঠানের উচ্ছ্বাসেও মানায়। ঠিক তেমনই একটি সমাধান হলো হাল আমলের স্যুট-ব্লেজার। উষ্ণতা, ফ্যাশন আর রুচিশীলতা—সব একসঙ্গে বুনে রাখা এই পোশাক শীতের আদর্শ সঙ্গী।
একসময় স্যুট মানেই ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। সেই স্যুট আজ বদলে নিয়েছে নিজের রূপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন সর্বজনীন। শহরের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে গ্রামেও। বদলেছে এর ব্যবহার। আজকাল কেউ লুঙ্গির সঙ্গে ব্লেজার জড়িয়ে বাজারে যান, কেউবা পাড়ার আড্ডায়। আর এই পোশাক শুধু কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গের জন্য নয়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান স্বচ্ছন্দে পরছেন স্যুট-ব্লেজার। ঘরের ভেতর থেকে রাস্তাঘাট—সবখানেই এখন এর উপস্থিতি। স্যুট শুধু আভিজাত্যের নয়, এটি হয়ে উঠেছে সবার।
ছোট থেকে বড়—সবাই এখন কোট-ব্লেজারের প্রতি আকৃষ্ট। শিশু, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ কিংবা বৃদ্ধ—সব বয়সেই এই পোশাকের জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সরকারি অফিস বা করপোরেট দুনিয়ায় এটি যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকাল তো বটেই, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে গরমের দিনেও অনেকে এই পোশাক পরেন। এভাবেই কোট-ব্লেজারের বাজার ছোট গণ্ডি পেরিয়ে বিশাল পরিসরে পৌঁছে গেছে। বিন্দু থেকে সিন্ধুতে রূপ নিয়েছে এর গ্রহণযোগ্যতা।
কোট-ব্লেজারের জগতে দেশে তৈরি হয়েছে এক বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে এ খাতে গড়ে উঠেছে ২ হাজার প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান পেয়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। বেড়েছে দক্ষ কারিগরের সংখ্যা। তাঁদের নিপুণ হাতে এসেছে হালফ্যাশনের নতুন নতুন ডিজাইন। উৎপাদন বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারের আয় এখন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। কোট-ব্লেজার যেন কেবল পোশাক নয়, এক সফল গল্পের নাম।
যেভাবে সর্বজনীন হলো ব্লেজার
একসময় ব্লেজার ছিল দরজির হাতে তৈরি আভিজাত্যের পোশাক। পছন্দমতো কাপড় আর শরীরের মাপ দিয়ে বানানো হতো কমপ্লিট স্যুট। অফিস পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে এটি ছিল সম্মান আর রুচির প্রতীক। তখন এটি ছিল শুধু উচ্চবিত্তের নাগালে।
কিন্তু সময় বদলেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, রুচিরও পরিবর্তন ঘটেছে। তা ছাড়া এর রেডিমেড মার্কেট গড়ে ওঠায় এবং তা সহজলভ্য হয়ে ওঠার কারণে এখন ব্লেজার হয়ে উঠেছে সবার পোশাক। শীত বা গ্রীষ্ম—সব ঋতুতেই এটি মানায়। বিয়েতে শেরওয়ানির জায়গায় স্যুটের ব্যবহার বাড়ছে। এখন শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাড়ছে এর চাহিদা। উদ্যোক্তারা শুরু করেছেন রপ্তানি। এভাবেই ব্লেজার সীমানা পেরিয়ে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন।

আদি কারিগরেরা অস্তিত্বের সংকটে
রেডিমেড পোশাকের সহজলভ্যতা আর বৈচিত্র্য দরজি সম্প্রদায়কে আজ সংকটে ফেলেছে। একসময় পছন্দের কাপড়, নিখুঁত মাপ আর ব্যক্তিগত চাহিদার জন্য দরজিদের দ্বারস্থ হতেন ক্রেতারা। এখন সময়স্বল্পতা আর রেডিমেডের আকর্ষণীয় ডিজাইন তাঁদের সেই অভ্যাস বদলে দিয়েছে। শপিং মল, ব্র্যান্ড স্টোর আর অনলাইনে বিভিন্ন মান ও দামের স্যুট-ব্লেজার সহজে পাওয়া যায়। মাপ দেওয়ার ঝামেলা বা অপেক্ষার ধৈর্য এখন আর অনেকের নেই। ক্রেতারা দামের দিকে বেশি ঝুঁকছেন, মানের সঙ্গে আপস করতে রাজি। ফলে টেইলার্স ও ফ্যাব্রিকসের দোকানগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। অথচ দরজিদের তৈরি পোশাক এখনো মানসম্মত। কিন্তু সময় আর খরচের কারণে তাঁদের আয় কমে যাচ্ছে। রেডিমেডের দাপটে দেশের আদি কারিগরেরা যেন হারিয়ে যেতে বসেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বি এম হারুন অর রশিদ বলেন, শৌখিন ও রুচিশীল কিছু মানুষ এখনো আছেন, যাঁরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী কোট-ব্লেজার পরতে চান। তাঁদের জন্যই মূলত আমাদের ব্যবসা টিকে আছে, অন্যথায় ব্লেজার তৈরির ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে যেত। তবে করোনার পর থেকে আমাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, অনেকের ব্যবসা ৫০-৭০ শতাংশ কমে গেছে। একসময় শীত এলে ডিসেম্বরে কারিগরেরা বিশ্রামের সময় পেতেন না, কিন্তু এখন অনেক সময় কারিগরদের বসে থাকতে হয়; কারণ, কাজের পরিমাণ অনেক কমে গেছে।
অর্থ ও সময় সাশ্রয় রেডিমেডেই
দরজির বাজারে মন্দা থাকলেও রেডিমেড ব্লেজারের বাজার এখন বেশ জমজমাট। আগে মধ্যবয়সীদের মধ্যে ব্লেজারের চাহিদা বেশি ছিল। এখন তরুণেরাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছে। রেডিমেড বাজার এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। ব্র্যান্ডের পাশাপাশি স্থানীয় কারখানাগুলোও ব্লেজার তৈরি করছে। কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব কারখানা। এই ব্লেজারের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাব্রিকসের বাজার গড়ে উঠেছে রাজধানীর ইসলামপুরে। বিদেশি ফ্যাব্রিকসের মানে না পৌঁছালেও দেশের চাহিদা অনেকটাই মেটাচ্ছে। দাম ও আকর্ষণীয় ডিজাইন রেডিমেড ব্লেজারের চাহিদা বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন বিক্রেতারা।
ক্যাটস আইয়ের এলিফ্যান্ট রোড শাখার ব্যবস্থাপক সম্রাট জানিয়েছেন, রুচির পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষ এখন অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দরজির দোকানে অর্ডার দেওয়ার চেয়ে রেডিমেড ব্লেজার কেনাই বেশি সুবিধাজনক মনে করেন ক্রেতারা। তিনি আরও জানান, দরজির দোকানে ব্লেজার বানাতে যেখানে ৭-১০ হাজার টাকা লাগে, সেখানে একই টাকায় ব্র্যান্ড দোকান থেকে আকর্ষণীয় ডিজাইনের কমপ্লিট স্যুট বা ব্লেজার কিনতে পারছেন তাঁরা। এতে শুধু অর্থ নয়, সময়ও সাশ্রয় হচ্ছে। এসব কারণে ক্রেতারা রেডিমেড ব্লেজারের প্রতি ঝুঁকছেন।
কোথায় কেমন মজুরি
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও টেইলার্সের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্লেজারের দাম মূলত ফ্যাব্রিকসের মান ও ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া আইডিয়াল, টপ টেন, রেমন্ড, ব্যালমন্ড, সানমুন, ফিট এলিগেন্সসহ প্রথম সারির প্রায় সব টেইলার্সের মজুরি প্রায় সমান ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে।
মোস্তফা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফিজার রহমান জানান, ভালো ফ্যাব্রিকস দিয়ে প্যান্ট ও ব্লেজারের কমপ্লিট সেট তৈরিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাগে, তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এই ধরনের কাস্টমার কম। বেশির ভাগ ক্রেতার বাজেট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, এর মধ্যে ভালো মানের ব্লেজার তৈরি করা সম্ভব।
ফ্যাব্রিকসের দাম যেমন
দরজির দোকানের কর্মকর্তারা জানান, কমপ্লিট ব্লেজার সেট তৈরিতে সোয়া চার গজ থেকে সাড়ে চার গজ কাপড় লাগে, যার মধ্যে তিন গজ ব্লেজারেই ব্যবহৃত হয়। বাজারে দেশীয় ও বিদেশি ফ্যাব্রিকস; যেমন থাই, ইতালি, চায়না ও ভারতীয় ফ্যাব্রিকস পাওয়া যায়, যার দাম ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা গজ। এভাবে ব্লেজার তৈরিতে খরচ ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।
রেডিমেডে খরচ আরও কম
রেডিমেড ব্লেজার কম খরচে পাওয়া যায়। ক্যাটস আইয়ের মতো ব্র্যান্ড দোকান থেকে ব্লেজার ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় পাওয়া যায়, এবং কমপ্লিট স্যুট ৯ থেকে ১২ হাজার টাকায়। সুপারমার্কেট বা বিপণিবিতানে এসব ব্লেজার ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের জন্য ব্লেজারের হাতা বা লম্বা ছোট করে দেন এবং ব্র্যান্ড দোকানগুলো আজীবন রিপেয়ার সুবিধা দেয়।
আছে কম দামের ব্লেজারও
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও ব্লেজার রয়েছে বাজারে। এর দাম আরও কম, যা পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতেও। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের পাশে ফুটপাতে, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, ফার্মগেটের পাশ ঘেঁষে ফুটপাতসহ বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে বসেছে অস্থায়ী কোট-ব্লেজারের দোকান। সকাল থেকে শুরু হয় হাঁকডাক। বেলা গড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বেচাকেনা। সন্ধ্যায় ভিড় জমে বেশি। নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যবিত্তরাও ভিড় জমায় এখানে।
মানভেদে এসব ব্লেজার সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বড় কারখানাগুলোতে তৈরি হয়।
নভেম্বরে অর্ডার, ডিসেম্বরে ডেলিভারি
বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২ হাজারের বেশি টেইলার্স ব্লেজার তৈরি করেন, যার সিংহভাগই রাজধানীতে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে অর্ডার বেশি আসে এবং জানুয়ারিতে শেষ সময়ের বিক্রি হয়। এই সময় ব্লেজারের দাম ২০-৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয় স্টকের অবশিষ্ট ব্লেজার। বিক্রেতারা জানান, মূল্যস্ফীতির কারণে বিক্রি কম হবে বলে ধারণা ছিল, তবে আশা অনুযায়ী বিক্রি খারাপ হয়নি এবং জানুয়ারির শুরুতে অনেকের স্টক শেষ হয়ে গেছে।
বাড়ছে রপ্তানির বাজার
দেশের কোট-ব্লেজারের চাহিদা এখন রপ্তানির বাজারেও বাড়ছে। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এটি পণ্যের বহুমুখীকরণের বড় হাতিয়ার হতে পারে। গত পাঁচ থেকে সাত বছরে কোট-ব্লেজার তৈরির জন্য আলাদা কারখানা গড়ে উঠেছে এবং এখন পাঁচ থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান শুধু ব্লেজার তৈরি ও রপ্তানি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিগ বস। এ ছাড়া এফসিআই ও সায়হামের মতো কোম্পানিগুলোর রপ্তানির পুরোটাই ব্লেজার। এনার্জি প্যাক, অনন্তসহ আরও কিছু কারখানাও অন্য পণ্যের পাশাপাশি ব্লেজার রপ্তানি করছে। রপ্তানিকারকদের হিসাবে এখন কমবেশি ১০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণে ব্লেজার রপ্তানি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিগবস করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রেজা উল হোসেন কাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোট-ব্লেজারের বাজার সিজনাল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় অনেকে অন্য পণ্যের সঙ্গে ব্লেজার তৈরি করে রপ্তানি করেন। সাত বছর আগে এই বাজার তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম ও বিনিয়োগ করতে হয়েছে; কারণ, ব্লেজার তৈরি করা সহজ নয় এবং বিশ্বস্ত বেয়ারাও পাওয়া যায় না। এ জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে উৎপাদন শুরু করতে হয়েছে এবং এখনো টপ ম্যানেজমেন্টে বিদেশি কর্মকর্তারা রয়েছেন। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হচ্ছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
৩ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেখালেদা জিয়ার মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণিবিতানগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
চিঠিতে বিজিএমইএ বলে, ‘দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ও এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প কারখানায় আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) এক দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’
পৃথক বিবৃতিতে বিজিএমইএ বলেছে, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত সব পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানে আগামীকাল এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সারা দেশের বিপণিবিতান ও দোকানপাট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়।
ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শোক
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিজিএমইএ ছাড়াও শোক জানিয়েছে দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), টেক্সটাইল মিলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
এ ছাড়া শোক জানিয়েছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ), রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব), কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসসহ (বেসিস) আরও অনেক সংগঠন।
সংগঠনগুলো পৃথক বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে। তারা খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত চেয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছে।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন এসএওসিএলের কর্মকর্তা (এইচআর) আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৭), উপব্যবস্থাপক (হিসাব) ও ডিপো ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদুল হক (৪৫), গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন গিয়াস (৪৬), আজহার টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. সোহেল রানা (৪৪) এবং মেসার্স মদিনা কোয়ালিটির স্বত্বাধিকারী মো. মাসুদ মিয়া (৫১)।
দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের হিসাব থেকে প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও আত্মসাৎ করেন।
এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসএওসিএলের এলসি-সংক্রান্ত লেনদেনের নামে প্রকৃত সরবরাহকারীর পরিবর্তে ভুয়া ও সম্পর্কহীন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে চেক ইস্যু করার বিষয় দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। পরে এসব চেকের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর কিংবা নগদে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো এলসি খোলা হয়নি এবং লেনদেনগুলো কোম্পানির জেভি-০৮ ও জেনারেল লেজারে অন্তর্ভুক্তও করা হয়নি।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাঁচটি চেকের মধ্যে তিনটির অর্থ গোল্ডেন সিফাত এন্টারপ্রাইজ, আজহার টেলিকম ও মদিনা কোয়ালিটির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং বাকি দুটি চেকের অর্থ নগদে উত্তোলন করা হয়। চেক জমাদানকারী হিসেবে বারবার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নাম পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট ভাউচারে নিরীক্ষা বিভাগের স্বাক্ষর না থাকাও অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
৩ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন এবং শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ। এ ছাড়া কাউন্সিলের অন্য সদস্যবৃন্দ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
৩ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস।
২ দিন আগেজাহিদ হাসান, যশোর

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার আগেই যশোরের গ্রামাঞ্চলে শুরু হয় ব্যস্ততা। খেজুরগাছের নিচে হাজির হন গাছিরা। আগের বিকেলে কাটা গাছের ‘চোখ’ বেয়ে সারা রাত মাটির হাঁড়িতে জমেছে সুমিষ্ট খেজুর রস। ভোরে সেই রস নামিয়ে শুরু হয় আরেক কর্মযজ্ঞ; চুলায় জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরির কাজ। বাড়ির নারীরাই মূলত এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেন। কয়েক ঘণ্টা জ্বালানোর পর তৈরি হয় সুস্বাদু খেজুর গুড় ও পাটালি।
শীত মৌসুম এলেই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর গুড়ের জেলা খ্যাত যশোরের প্রায় প্রতিটি গ্রামে। সম্প্রতি যশোরের খেজুর গুড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় এর ঐতিহ্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও নতুন করে সামনে এসেছে।
উৎপাদন ও বাজারের চিত্র
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে যশোরে প্রায় ১২০ কোটি টাকার খেজুর রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল করবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে খেজুরের কাঁচা রস প্রতি মাটির হাঁড়ি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, দানা গুড় প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং পাটালি প্রতি কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর বাড়লেও গাছিরা বলছেন, শ্রম ও ঝুঁকির তুলনায় লাভ সীমিত।
গাছির সংকট বড় চ্যালেঞ্জ
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের গাছি আজিবর প্রায় ৩৫ বছর ধরে খেজুর গাছ কাটছেন। তিনি বলেন, ‘আগে দেড় শ গাছ কাটতাম, এখন বয়সের কারণে ৩৫-৪০টার বেশি পারি না। রস ও গুড়ের দাম বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কাটার মতো গাছ কমে গেছে। আবার গাছ থাকলেও দক্ষ গাছির অভাব। এবার বেশি শীত পড়ায় রসও ভালো নামছে, গুড়ের উৎপাদনও বেশি।’

মনিরামপুর উপজেলার সরসকাটি গ্রামের গাছি অতিয়ারও প্রায় ৪০ বছর ধরে এই পেশায় যুক্ত। তিনি বলেন, এবার ৫০টা গাছ কাটছি। প্রতিদিন ৮-১০ কেজি গুড় তৈরি হয়। কাজটা খুব কষ্টের। তবে শীত মৌসুমে এই আয়েই পুরো বছরের সংসার চলে।
ই-কমার্সে বাড়ছে চাহিদা
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, যশোর জেলায় মোট খেজুরগাছের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫। এগুলোর মধ্যে চলতি মৌসুমে রস আহরণের উপযোগী গাছ রয়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৩০টি।
উৎপাদিত গুড় প্রথমে স্থানীয় হাটে বিক্রি হয়, পরে পাইকারদের মাধ্যমে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। যশোরের খেজুর গুড় এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক উদ্যোক্তাদের হাত ধরে গুড় ও পাটালি সরাসরি ভোক্তার ঘরে পৌঁছানো হচ্ছে। এতে বাজার যেমন সম্প্রসারিত হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান।
কৃষি বিভাগের উদ্যোগ
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, যশোরের খেজুর গুড়ের স্বাদ ও মানের কারণে চাহিদা সব সময় বেশি। এবার শীত বেশি হওয়ায় রসের পরিমাণ ও মান—দুটোই ভালো। চলতি মৌসুমে প্রায় ১২০ কোটি টাকার রস ও গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপদ খেজুর রস এবং গুড় উৎপাদনে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল বুধবার দেশের সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছে পোশাকমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। আজ মঙ্গলবার পোশাকমালিকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে জানাজার আগপর্যন্ত দেশের বিপণ
৩ ঘণ্টা আগে
জ্বালানি তেল প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি করেন।
২০ ঘণ্টা আগে
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি ছাঈদ আহমাদ।
১ দিন আগে