রোকন উদ্দীন, ঢাকা

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই। ফ্যাশনসচেতন ব্যক্তিরা এ সময় বেছে নেন এমন পোশাক, যা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে। অফিসের গাম্ভীর্য ধরে রাখে, আবার অনুষ্ঠানের উচ্ছ্বাসেও মানায়। ঠিক তেমনই একটি সমাধান হলো হাল আমলের স্যুট-ব্লেজার। উষ্ণতা, ফ্যাশন আর রুচিশীলতা—সব একসঙ্গে বুনে রাখা এই পোশাক শীতের আদর্শ সঙ্গী।
একসময় স্যুট মানেই ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। সেই স্যুট আজ বদলে নিয়েছে নিজের রূপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন সর্বজনীন। শহরের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে গ্রামেও। বদলেছে এর ব্যবহার। আজকাল কেউ লুঙ্গির সঙ্গে ব্লেজার জড়িয়ে বাজারে যান, কেউবা পাড়ার আড্ডায়। আর এই পোশাক শুধু কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গের জন্য নয়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান স্বচ্ছন্দে পরছেন স্যুট-ব্লেজার। ঘরের ভেতর থেকে রাস্তাঘাট—সবখানেই এখন এর উপস্থিতি। স্যুট শুধু আভিজাত্যের নয়, এটি হয়ে উঠেছে সবার।
ছোট থেকে বড়—সবাই এখন কোট-ব্লেজারের প্রতি আকৃষ্ট। শিশু, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ কিংবা বৃদ্ধ—সব বয়সেই এই পোশাকের জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সরকারি অফিস বা করপোরেট দুনিয়ায় এটি যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকাল তো বটেই, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে গরমের দিনেও অনেকে এই পোশাক পরেন। এভাবেই কোট-ব্লেজারের বাজার ছোট গণ্ডি পেরিয়ে বিশাল পরিসরে পৌঁছে গেছে। বিন্দু থেকে সিন্ধুতে রূপ নিয়েছে এর গ্রহণযোগ্যতা।
কোট-ব্লেজারের জগতে দেশে তৈরি হয়েছে এক বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে এ খাতে গড়ে উঠেছে ২ হাজার প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান পেয়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। বেড়েছে দক্ষ কারিগরের সংখ্যা। তাঁদের নিপুণ হাতে এসেছে হালফ্যাশনের নতুন নতুন ডিজাইন। উৎপাদন বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারের আয় এখন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। কোট-ব্লেজার যেন কেবল পোশাক নয়, এক সফল গল্পের নাম।
যেভাবে সর্বজনীন হলো ব্লেজার
একসময় ব্লেজার ছিল দরজির হাতে তৈরি আভিজাত্যের পোশাক। পছন্দমতো কাপড় আর শরীরের মাপ দিয়ে বানানো হতো কমপ্লিট স্যুট। অফিস পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে এটি ছিল সম্মান আর রুচির প্রতীক। তখন এটি ছিল শুধু উচ্চবিত্তের নাগালে।
কিন্তু সময় বদলেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, রুচিরও পরিবর্তন ঘটেছে। তা ছাড়া এর রেডিমেড মার্কেট গড়ে ওঠায় এবং তা সহজলভ্য হয়ে ওঠার কারণে এখন ব্লেজার হয়ে উঠেছে সবার পোশাক। শীত বা গ্রীষ্ম—সব ঋতুতেই এটি মানায়। বিয়েতে শেরওয়ানির জায়গায় স্যুটের ব্যবহার বাড়ছে। এখন শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাড়ছে এর চাহিদা। উদ্যোক্তারা শুরু করেছেন রপ্তানি। এভাবেই ব্লেজার সীমানা পেরিয়ে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন।

আদি কারিগরেরা অস্তিত্বের সংকটে
রেডিমেড পোশাকের সহজলভ্যতা আর বৈচিত্র্য দরজি সম্প্রদায়কে আজ সংকটে ফেলেছে। একসময় পছন্দের কাপড়, নিখুঁত মাপ আর ব্যক্তিগত চাহিদার জন্য দরজিদের দ্বারস্থ হতেন ক্রেতারা। এখন সময়স্বল্পতা আর রেডিমেডের আকর্ষণীয় ডিজাইন তাঁদের সেই অভ্যাস বদলে দিয়েছে। শপিং মল, ব্র্যান্ড স্টোর আর অনলাইনে বিভিন্ন মান ও দামের স্যুট-ব্লেজার সহজে পাওয়া যায়। মাপ দেওয়ার ঝামেলা বা অপেক্ষার ধৈর্য এখন আর অনেকের নেই। ক্রেতারা দামের দিকে বেশি ঝুঁকছেন, মানের সঙ্গে আপস করতে রাজি। ফলে টেইলার্স ও ফ্যাব্রিকসের দোকানগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। অথচ দরজিদের তৈরি পোশাক এখনো মানসম্মত। কিন্তু সময় আর খরচের কারণে তাঁদের আয় কমে যাচ্ছে। রেডিমেডের দাপটে দেশের আদি কারিগরেরা যেন হারিয়ে যেতে বসেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বি এম হারুন অর রশিদ বলেন, শৌখিন ও রুচিশীল কিছু মানুষ এখনো আছেন, যাঁরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী কোট-ব্লেজার পরতে চান। তাঁদের জন্যই মূলত আমাদের ব্যবসা টিকে আছে, অন্যথায় ব্লেজার তৈরির ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে যেত। তবে করোনার পর থেকে আমাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, অনেকের ব্যবসা ৫০-৭০ শতাংশ কমে গেছে। একসময় শীত এলে ডিসেম্বরে কারিগরেরা বিশ্রামের সময় পেতেন না, কিন্তু এখন অনেক সময় কারিগরদের বসে থাকতে হয়; কারণ, কাজের পরিমাণ অনেক কমে গেছে।
অর্থ ও সময় সাশ্রয় রেডিমেডেই
দরজির বাজারে মন্দা থাকলেও রেডিমেড ব্লেজারের বাজার এখন বেশ জমজমাট। আগে মধ্যবয়সীদের মধ্যে ব্লেজারের চাহিদা বেশি ছিল। এখন তরুণেরাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছে। রেডিমেড বাজার এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। ব্র্যান্ডের পাশাপাশি স্থানীয় কারখানাগুলোও ব্লেজার তৈরি করছে। কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব কারখানা। এই ব্লেজারের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাব্রিকসের বাজার গড়ে উঠেছে রাজধানীর ইসলামপুরে। বিদেশি ফ্যাব্রিকসের মানে না পৌঁছালেও দেশের চাহিদা অনেকটাই মেটাচ্ছে। দাম ও আকর্ষণীয় ডিজাইন রেডিমেড ব্লেজারের চাহিদা বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন বিক্রেতারা।
ক্যাটস আইয়ের এলিফ্যান্ট রোড শাখার ব্যবস্থাপক সম্রাট জানিয়েছেন, রুচির পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষ এখন অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দরজির দোকানে অর্ডার দেওয়ার চেয়ে রেডিমেড ব্লেজার কেনাই বেশি সুবিধাজনক মনে করেন ক্রেতারা। তিনি আরও জানান, দরজির দোকানে ব্লেজার বানাতে যেখানে ৭-১০ হাজার টাকা লাগে, সেখানে একই টাকায় ব্র্যান্ড দোকান থেকে আকর্ষণীয় ডিজাইনের কমপ্লিট স্যুট বা ব্লেজার কিনতে পারছেন তাঁরা। এতে শুধু অর্থ নয়, সময়ও সাশ্রয় হচ্ছে। এসব কারণে ক্রেতারা রেডিমেড ব্লেজারের প্রতি ঝুঁকছেন।
কোথায় কেমন মজুরি
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও টেইলার্সের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্লেজারের দাম মূলত ফ্যাব্রিকসের মান ও ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া আইডিয়াল, টপ টেন, রেমন্ড, ব্যালমন্ড, সানমুন, ফিট এলিগেন্সসহ প্রথম সারির প্রায় সব টেইলার্সের মজুরি প্রায় সমান ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে।
মোস্তফা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফিজার রহমান জানান, ভালো ফ্যাব্রিকস দিয়ে প্যান্ট ও ব্লেজারের কমপ্লিট সেট তৈরিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাগে, তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এই ধরনের কাস্টমার কম। বেশির ভাগ ক্রেতার বাজেট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, এর মধ্যে ভালো মানের ব্লেজার তৈরি করা সম্ভব।
ফ্যাব্রিকসের দাম যেমন
দরজির দোকানের কর্মকর্তারা জানান, কমপ্লিট ব্লেজার সেট তৈরিতে সোয়া চার গজ থেকে সাড়ে চার গজ কাপড় লাগে, যার মধ্যে তিন গজ ব্লেজারেই ব্যবহৃত হয়। বাজারে দেশীয় ও বিদেশি ফ্যাব্রিকস; যেমন থাই, ইতালি, চায়না ও ভারতীয় ফ্যাব্রিকস পাওয়া যায়, যার দাম ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা গজ। এভাবে ব্লেজার তৈরিতে খরচ ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।
রেডিমেডে খরচ আরও কম
রেডিমেড ব্লেজার কম খরচে পাওয়া যায়। ক্যাটস আইয়ের মতো ব্র্যান্ড দোকান থেকে ব্লেজার ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় পাওয়া যায়, এবং কমপ্লিট স্যুট ৯ থেকে ১২ হাজার টাকায়। সুপারমার্কেট বা বিপণিবিতানে এসব ব্লেজার ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের জন্য ব্লেজারের হাতা বা লম্বা ছোট করে দেন এবং ব্র্যান্ড দোকানগুলো আজীবন রিপেয়ার সুবিধা দেয়।
আছে কম দামের ব্লেজারও
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও ব্লেজার রয়েছে বাজারে। এর দাম আরও কম, যা পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতেও। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের পাশে ফুটপাতে, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, ফার্মগেটের পাশ ঘেঁষে ফুটপাতসহ বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে বসেছে অস্থায়ী কোট-ব্লেজারের দোকান। সকাল থেকে শুরু হয় হাঁকডাক। বেলা গড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বেচাকেনা। সন্ধ্যায় ভিড় জমে বেশি। নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যবিত্তরাও ভিড় জমায় এখানে।
মানভেদে এসব ব্লেজার সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বড় কারখানাগুলোতে তৈরি হয়।
নভেম্বরে অর্ডার, ডিসেম্বরে ডেলিভারি
বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২ হাজারের বেশি টেইলার্স ব্লেজার তৈরি করেন, যার সিংহভাগই রাজধানীতে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে অর্ডার বেশি আসে এবং জানুয়ারিতে শেষ সময়ের বিক্রি হয়। এই সময় ব্লেজারের দাম ২০-৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয় স্টকের অবশিষ্ট ব্লেজার। বিক্রেতারা জানান, মূল্যস্ফীতির কারণে বিক্রি কম হবে বলে ধারণা ছিল, তবে আশা অনুযায়ী বিক্রি খারাপ হয়নি এবং জানুয়ারির শুরুতে অনেকের স্টক শেষ হয়ে গেছে।
বাড়ছে রপ্তানির বাজার
দেশের কোট-ব্লেজারের চাহিদা এখন রপ্তানির বাজারেও বাড়ছে। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এটি পণ্যের বহুমুখীকরণের বড় হাতিয়ার হতে পারে। গত পাঁচ থেকে সাত বছরে কোট-ব্লেজার তৈরির জন্য আলাদা কারখানা গড়ে উঠেছে এবং এখন পাঁচ থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান শুধু ব্লেজার তৈরি ও রপ্তানি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিগ বস। এ ছাড়া এফসিআই ও সায়হামের মতো কোম্পানিগুলোর রপ্তানির পুরোটাই ব্লেজার। এনার্জি প্যাক, অনন্তসহ আরও কিছু কারখানাও অন্য পণ্যের পাশাপাশি ব্লেজার রপ্তানি করছে। রপ্তানিকারকদের হিসাবে এখন কমবেশি ১০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণে ব্লেজার রপ্তানি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিগবস করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রেজা উল হোসেন কাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোট-ব্লেজারের বাজার সিজনাল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় অনেকে অন্য পণ্যের সঙ্গে ব্লেজার তৈরি করে রপ্তানি করেন। সাত বছর আগে এই বাজার তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম ও বিনিয়োগ করতে হয়েছে; কারণ, ব্লেজার তৈরি করা সহজ নয় এবং বিশ্বস্ত বেয়ারাও পাওয়া যায় না। এ জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে উৎপাদন শুরু করতে হয়েছে এবং এখনো টপ ম্যানেজমেন্টে বিদেশি কর্মকর্তারা রয়েছেন। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হচ্ছে।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই। ফ্যাশনসচেতন ব্যক্তিরা এ সময় বেছে নেন এমন পোশাক, যা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারে। অফিসের গাম্ভীর্য ধরে রাখে, আবার অনুষ্ঠানের উচ্ছ্বাসেও মানায়। ঠিক তেমনই একটি সমাধান হলো হাল আমলের স্যুট-ব্লেজার। উষ্ণতা, ফ্যাশন আর রুচিশীলতা—সব একসঙ্গে বুনে রাখা এই পোশাক শীতের আদর্শ সঙ্গী।
একসময় স্যুট মানেই ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। সেই স্যুট আজ বদলে নিয়েছে নিজের রূপ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি এখন সর্বজনীন। শহরের গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে গেছে গ্রামেও। বদলেছে এর ব্যবহার। আজকাল কেউ লুঙ্গির সঙ্গে ব্লেজার জড়িয়ে বাজারে যান, কেউবা পাড়ার আড্ডায়। আর এই পোশাক শুধু কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গের জন্য নয়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সমান স্বচ্ছন্দে পরছেন স্যুট-ব্লেজার। ঘরের ভেতর থেকে রাস্তাঘাট—সবখানেই এখন এর উপস্থিতি। স্যুট শুধু আভিজাত্যের নয়, এটি হয়ে উঠেছে সবার।
ছোট থেকে বড়—সবাই এখন কোট-ব্লেজারের প্রতি আকৃষ্ট। শিশু, তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষ কিংবা বৃদ্ধ—সব বয়সেই এই পোশাকের জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে সরকারি অফিস বা করপোরেট দুনিয়ায় এটি যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতকাল তো বটেই, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে গরমের দিনেও অনেকে এই পোশাক পরেন। এভাবেই কোট-ব্লেজারের বাজার ছোট গণ্ডি পেরিয়ে বিশাল পরিসরে পৌঁছে গেছে। বিন্দু থেকে সিন্ধুতে রূপ নিয়েছে এর গ্রহণযোগ্যতা।
কোট-ব্লেজারের জগতে দেশে তৈরি হয়েছে এক বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে এ খাতে গড়ে উঠেছে ২ হাজার প্রতিষ্ঠান। কর্মসংস্থান পেয়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষ। বেড়েছে দক্ষ কারিগরের সংখ্যা। তাঁদের নিপুণ হাতে এসেছে হালফ্যাশনের নতুন নতুন ডিজাইন। উৎপাদন বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে বিক্রিও। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারের আয় এখন প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। কোট-ব্লেজার যেন কেবল পোশাক নয়, এক সফল গল্পের নাম।
যেভাবে সর্বজনীন হলো ব্লেজার
একসময় ব্লেজার ছিল দরজির হাতে তৈরি আভিজাত্যের পোশাক। পছন্দমতো কাপড় আর শরীরের মাপ দিয়ে বানানো হতো কমপ্লিট স্যুট। অফিস পার্টি বা সামাজিক অনুষ্ঠানে এটি ছিল সম্মান আর রুচির প্রতীক। তখন এটি ছিল শুধু উচ্চবিত্তের নাগালে।
কিন্তু সময় বদলেছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, রুচিরও পরিবর্তন ঘটেছে। তা ছাড়া এর রেডিমেড মার্কেট গড়ে ওঠায় এবং তা সহজলভ্য হয়ে ওঠার কারণে এখন ব্লেজার হয়ে উঠেছে সবার পোশাক। শীত বা গ্রীষ্ম—সব ঋতুতেই এটি মানায়। বিয়েতে শেরওয়ানির জায়গায় স্যুটের ব্যবহার বাড়ছে। এখন শুধু দেশে নয়, বিদেশেও বাড়ছে এর চাহিদা। উদ্যোক্তারা শুরু করেছেন রপ্তানি। এভাবেই ব্লেজার সীমানা পেরিয়ে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন।

আদি কারিগরেরা অস্তিত্বের সংকটে
রেডিমেড পোশাকের সহজলভ্যতা আর বৈচিত্র্য দরজি সম্প্রদায়কে আজ সংকটে ফেলেছে। একসময় পছন্দের কাপড়, নিখুঁত মাপ আর ব্যক্তিগত চাহিদার জন্য দরজিদের দ্বারস্থ হতেন ক্রেতারা। এখন সময়স্বল্পতা আর রেডিমেডের আকর্ষণীয় ডিজাইন তাঁদের সেই অভ্যাস বদলে দিয়েছে। শপিং মল, ব্র্যান্ড স্টোর আর অনলাইনে বিভিন্ন মান ও দামের স্যুট-ব্লেজার সহজে পাওয়া যায়। মাপ দেওয়ার ঝামেলা বা অপেক্ষার ধৈর্য এখন আর অনেকের নেই। ক্রেতারা দামের দিকে বেশি ঝুঁকছেন, মানের সঙ্গে আপস করতে রাজি। ফলে টেইলার্স ও ফ্যাব্রিকসের দোকানগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে। অথচ দরজিদের তৈরি পোশাক এখনো মানসম্মত। কিন্তু সময় আর খরচের কারণে তাঁদের আয় কমে যাচ্ছে। রেডিমেডের দাপটে দেশের আদি কারিগরেরা যেন হারিয়ে যেতে বসেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বি এম হারুন অর রশিদ বলেন, শৌখিন ও রুচিশীল কিছু মানুষ এখনো আছেন, যাঁরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী কোট-ব্লেজার পরতে চান। তাঁদের জন্যই মূলত আমাদের ব্যবসা টিকে আছে, অন্যথায় ব্লেজার তৈরির ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে যেত। তবে করোনার পর থেকে আমাদের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে, অনেকের ব্যবসা ৫০-৭০ শতাংশ কমে গেছে। একসময় শীত এলে ডিসেম্বরে কারিগরেরা বিশ্রামের সময় পেতেন না, কিন্তু এখন অনেক সময় কারিগরদের বসে থাকতে হয়; কারণ, কাজের পরিমাণ অনেক কমে গেছে।
অর্থ ও সময় সাশ্রয় রেডিমেডেই
দরজির বাজারে মন্দা থাকলেও রেডিমেড ব্লেজারের বাজার এখন বেশ জমজমাট। আগে মধ্যবয়সীদের মধ্যে ব্লেজারের চাহিদা বেশি ছিল। এখন তরুণেরাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছে। রেডিমেড বাজার এই পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছে। ব্র্যান্ডের পাশাপাশি স্থানীয় কারখানাগুলোও ব্লেজার তৈরি করছে। কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে এসব কারখানা। এই ব্লেজারের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাব্রিকসের বাজার গড়ে উঠেছে রাজধানীর ইসলামপুরে। বিদেশি ফ্যাব্রিকসের মানে না পৌঁছালেও দেশের চাহিদা অনেকটাই মেটাচ্ছে। দাম ও আকর্ষণীয় ডিজাইন রেডিমেড ব্লেজারের চাহিদা বাড়াচ্ছে বলে মনে করেন বিক্রেতারা।
ক্যাটস আইয়ের এলিফ্যান্ট রোড শাখার ব্যবস্থাপক সম্রাট জানিয়েছেন, রুচির পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষ এখন অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য দরজির দোকানে অর্ডার দেওয়ার চেয়ে রেডিমেড ব্লেজার কেনাই বেশি সুবিধাজনক মনে করেন ক্রেতারা। তিনি আরও জানান, দরজির দোকানে ব্লেজার বানাতে যেখানে ৭-১০ হাজার টাকা লাগে, সেখানে একই টাকায় ব্র্যান্ড দোকান থেকে আকর্ষণীয় ডিজাইনের কমপ্লিট স্যুট বা ব্লেজার কিনতে পারছেন তাঁরা। এতে শুধু অর্থ নয়, সময়ও সাশ্রয় হচ্ছে। এসব কারণে ক্রেতারা রেডিমেড ব্লেজারের প্রতি ঝুঁকছেন।
কোথায় কেমন মজুরি
রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও টেইলার্সের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্লেজারের দাম মূলত ফ্যাব্রিকসের মান ও ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া আইডিয়াল, টপ টেন, রেমন্ড, ব্যালমন্ড, সানমুন, ফিট এলিগেন্সসহ প্রথম সারির প্রায় সব টেইলার্সের মজুরি প্রায় সমান ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে।
মোস্তফা টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফিজার রহমান জানান, ভালো ফ্যাব্রিকস দিয়ে প্যান্ট ও ব্লেজারের কমপ্লিট সেট তৈরিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাগে, তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে এই ধরনের কাস্টমার কম। বেশির ভাগ ক্রেতার বাজেট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা, এর মধ্যে ভালো মানের ব্লেজার তৈরি করা সম্ভব।
ফ্যাব্রিকসের দাম যেমন
দরজির দোকানের কর্মকর্তারা জানান, কমপ্লিট ব্লেজার সেট তৈরিতে সোয়া চার গজ থেকে সাড়ে চার গজ কাপড় লাগে, যার মধ্যে তিন গজ ব্লেজারেই ব্যবহৃত হয়। বাজারে দেশীয় ও বিদেশি ফ্যাব্রিকস; যেমন থাই, ইতালি, চায়না ও ভারতীয় ফ্যাব্রিকস পাওয়া যায়, যার দাম ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা গজ। এভাবে ব্লেজার তৈরিতে খরচ ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।
রেডিমেডে খরচ আরও কম
রেডিমেড ব্লেজার কম খরচে পাওয়া যায়। ক্যাটস আইয়ের মতো ব্র্যান্ড দোকান থেকে ব্লেজার ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায় পাওয়া যায়, এবং কমপ্লিট স্যুট ৯ থেকে ১২ হাজার টাকায়। সুপারমার্কেট বা বিপণিবিতানে এসব ব্লেজার ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রেতারা ক্রেতাদের জন্য ব্লেজারের হাতা বা লম্বা ছোট করে দেন এবং ব্র্যান্ড দোকানগুলো আজীবন রিপেয়ার সুবিধা দেয়।
আছে কম দামের ব্লেজারও
নিম্ন আয়ের মানুষের জন্যও ব্লেজার রয়েছে বাজারে। এর দাম আরও কম, যা পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতেও। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টের পাশে ফুটপাতে, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, ফার্মগেটের পাশ ঘেঁষে ফুটপাতসহ বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে বসেছে অস্থায়ী কোট-ব্লেজারের দোকান। সকাল থেকে শুরু হয় হাঁকডাক। বেলা গড়ানোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বেচাকেনা। সন্ধ্যায় ভিড় জমে বেশি। নিম্ন আয়ের থেকে মধ্যবিত্তরাও ভিড় জমায় এখানে।
মানভেদে এসব ব্লেজার সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার বড় কারখানাগুলোতে তৈরি হয়।
নভেম্বরে অর্ডার, ডিসেম্বরে ডেলিভারি
বাংলাদেশ ড্রেস মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ২ হাজারের বেশি টেইলার্স ব্লেজার তৈরি করেন, যার সিংহভাগই রাজধানীতে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে অর্ডার বেশি আসে এবং জানুয়ারিতে শেষ সময়ের বিক্রি হয়। এই সময় ব্লেজারের দাম ২০-৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সুলভ মূল্যে বিক্রি করা হয় স্টকের অবশিষ্ট ব্লেজার। বিক্রেতারা জানান, মূল্যস্ফীতির কারণে বিক্রি কম হবে বলে ধারণা ছিল, তবে আশা অনুযায়ী বিক্রি খারাপ হয়নি এবং জানুয়ারির শুরুতে অনেকের স্টক শেষ হয়ে গেছে।
বাড়ছে রপ্তানির বাজার
দেশের কোট-ব্লেজারের চাহিদা এখন রপ্তানির বাজারেও বাড়ছে। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এটি পণ্যের বহুমুখীকরণের বড় হাতিয়ার হতে পারে। গত পাঁচ থেকে সাত বছরে কোট-ব্লেজার তৈরির জন্য আলাদা কারখানা গড়ে উঠেছে এবং এখন পাঁচ থেকে সাতটি প্রতিষ্ঠান শুধু ব্লেজার তৈরি ও রপ্তানি করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বিগ বস। এ ছাড়া এফসিআই ও সায়হামের মতো কোম্পানিগুলোর রপ্তানির পুরোটাই ব্লেজার। এনার্জি প্যাক, অনন্তসহ আরও কিছু কারখানাও অন্য পণ্যের পাশাপাশি ব্লেজার রপ্তানি করছে। রপ্তানিকারকদের হিসাবে এখন কমবেশি ১০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণে ব্লেজার রপ্তানি হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিগবস করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রেজা উল হোসেন কাজী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোট-ব্লেজারের বাজার সিজনাল ও স্পর্শকাতর হওয়ায় অনেকে অন্য পণ্যের সঙ্গে ব্লেজার তৈরি করে রপ্তানি করেন। সাত বছর আগে এই বাজার তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম ও বিনিয়োগ করতে হয়েছে; কারণ, ব্লেজার তৈরি করা সহজ নয় এবং বিশ্বস্ত বেয়ারাও পাওয়া যায় না। এ জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে উৎপাদন শুরু করতে হয়েছে এবং এখনো টপ ম্যানেজমেন্টে বিদেশি কর্মকর্তারা রয়েছেন। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বর্তমানে তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হচ্ছে।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল (SMILE) প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক ডিভাইস বিতরণ করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত থাকা এই উপকারভোগীরা কৃত্রিম অঙ্গ পেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেলেন। জালালাবাদ ডিজেবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের (জেডিআরসিএইচ) সহযোগিতায় এই উদ্যোগ পরিচালিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সমন্বয় ও মনিটরিং উইংয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট প্রধান এ কে এম আরিফ আক্তার, সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন এবং জেডিআরসিএইচ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান পিপি ইঞ্জিনিয়ার শোয়াইব আহমেদ মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘কৃত্রিম অঙ্গ সহায়তা শুধু চিকিৎসা নয়, এটি প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনযাত্রায় মৌলিক পরিবর্তন আনে। শেভরন বাংলাদেশ, সুইসকন্টাক্ট ও জেডিআরসিএইচের যৌথ উদ্যোগ চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে এনে উপকারভোগীদের জীবনে নতুন আশার দ্বার খুলে দিয়েছে।’
শেভরন বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ এ ধরনের বিশেষায়িত পুনর্বাসন সেবার পর্যাপ্ত সুযোগ পায় না। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যক্তিকেন্দ্রিক সেবা পৌঁছে দিতে পারা আমাদের জন্য গর্বের। উপকারভোগীদের প্রতিটি অগ্রযাত্রাই একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে দৃঢ় পদক্ষেপ।’
সুইসকন্টাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলাল হোসেন বলেন, ‘এই প্রকল্প কেবল চলাচল সক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়নি; এটি উপকারভোগীদের কর্মজীবনে ফেরা, শিক্ষা চালিয়ে যাওয়া এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে—যা সমাজে অন্তর্ভুক্তি আরও সুদৃঢ় করেছে।’
করপোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক মুহাম্মদ ইমরুল কবির বলেন, ‘শেভরন তিন দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিশ্বস্ত জ্বালানি অংশীদার। আমাদের অঙ্গীকার কেবল জ্বালানি সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়। এসএমআইএল প্রকল্পের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চলাচল সক্ষমতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারে কাজ করছি। বাংলাদেশে আমাদের সামাজিক বিনিয়োগ কার্যক্রম জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ৯টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কৃত্রিম অঙ্গ পাওয়ার ফলে তাঁরা আবার স্বাভাবিক চলাচল, আত্মনির্ভরতা ও আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এই ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রভাব পরিবার ও সমাজেও ছড়িয়ে পড়ছে।
গৃহস্থালি আয় স্থিতিশীল হওয়া ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ফলে এর ইতিবাচক প্রভাব পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে—যা কমিউনিটির স্থিতিশীলতা ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করছে। এ সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শেভরন বাংলাদেশ ও সুইসকন্টাক্ট এসএমআইএল প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই ও প্রভাবশালী উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা অর্থোটিক ও প্রোস্থেটিক সহায়তা প্রয়োজন, এমন মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বাস্তব ও পরিমাপযোগ্য পরিবর্তন নিশ্চিত করছে।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে। ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ দশমিক ২৯ থেকে ১২২ দশমিক ৩০ টাকা আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ দশমিক ৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১১ ডিসেম্বর ১৬টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি ডলার (১৪৯ মিলিয়ন) কেনা হয়েছিল। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময়হার ছিল ১২২ টাকা ২৫ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ২৯ পয়সা। আর কাট-অফ রেট ছিল ১২২ টাকা ৯ পয়সা। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত নিলামপদ্ধতিতে মোট ২৮০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার (২.৮০ বিলিয়ন) সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জানান, আজ ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার কেনা হয়েছে।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৮ ঘণ্টা আগে
বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

বাজার সহনীয় করতে পেঁয়াজের আমদানি আরও বাড়িয়েছে সরকার। আজ সোমবার থেকে দৈনিক ১৭ হাজার ২৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে; যা আগে ছিল ৬ হাজার টন করে।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে কৃষি মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরু থেকে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। তিন দিনের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৫০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া শুরু করে কৃষি মন্ত্রণালয়। শুরুতে প্রতিদিন ৫০ জন আমদানিকারককে ৩০ টন করে মোট ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ তিন মাস পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
তবে এরপরও বাজারে দাম না কমলে আমদানির অনুমতির পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমদানি আরও বাড়ানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন ২০০ জনকে ৩০ টন করে ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়, যা আজ থেকে আরও বাড়িয়ে ১৭ হাজার ২৫০ টন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়, পেঁয়াজের বাজার সহনীয় রাখতে ১৫ ও ১৬ ডিসেম্বর দুই দিনের জন্য প্রতিদিন ৫৭৫টি করে আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু করা হবে। প্রতিটি আইপিতে আগের ন্যায় সর্বোচ্চ ৩০ টন পেঁয়াজের অনুমোদন দেওয়া হবে। আবেদনের বিষয় আগের ন্যায় বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ গত ১ আগস্ট থেকে যেসব আমদানিকারক আমদানি অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন, তাঁরাই কেবল এই দুই দিন আবেদন পুনরায় দাখিল করতে পারবেন। একজন আমদানিকারক একবারের জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের অতিরিক্ত উপপরিচালক (আমদানি) বনি আমিন খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পর আজ আমরা ৫৭৫ জনকে আমদানির অনুমোদন দিয়েছি। অনুমোদন নিয়ে এ দিন আমদানিকারকেরা ঋণপত্র খুলতে পেরেছেন। যদিও দুই দিনের কথা বলা হয়েছে, তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে সময় আরও বাড়বে। এর আগে গত শনিবার থেকে প্রতিদিন ৬ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়ে আসছিলাম আমরা।’
দেশে সাধারণত প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। সে হিসাবে যেদিন ঋণপত্র খোলেন, সেদিনই আমদানি করতে পারেন।

শীতের ঠান্ডা হাওয়া গায়ে লাগলেই মনের কোণে উষ্ণতার খোঁজ শুরু হয়। এ সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নানা অনুষ্ঠানের সাজে। ক্লাবের জমায়েত, সামাজিক মেলবন্ধন বা পারিবারিক আয়োজন—সবই যেন শীতের নিজস্ব রং। তার মাঝে অফিসের দৈনন্দিনতা তো রয়েছেই।
১২ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
শেভরন বাংলাদেশের সহায়তায় বাস্তবায়িত এসএমআইএল প্রকল্পের আওতায় ‘রিস্টোরিং মোবিলিটি: আর্টিফিশিয়াল লিম্ব সাপোর্ট’ উদ্যোগের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্প্রতি গ্র্যান্ড সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সিলেট ও নবীগঞ্জ উপজেলার ৬০ শারীরিক প্রতিবন্ধী উপকারভোগীর মধ্যে কৃত্রিম অঙ্গ (প্রোস্থেটিক) ও অর্থোটিক...
৮ ঘণ্টা আগে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার ক্রয় করেছে। আজ সোমবার ১৩টি ব্যাংক থেকে প্রায় ১৪ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (১৪১.৫ মিলিয়ন) কেনা হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে