আজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ভারতের রপ্তানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুধু ২৫ শতাংশ শুল্ক নয়, এর পাশাপাশি ‘অনির্দিষ্ট জরিমানাও’ আরোপ করা হবে। তবে এই জরিমানার পরিমাণ বা ধরন এখনো স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে এই শুল্ক ও জরিমানা কার্যকর হবে। কারণ, ভারত এমন সময় রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও অস্ত্র কিনছে, যখন সবাই চায় ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ হোক।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই জরিমানার বিস্তারিত তথ্য জানা গেলে তবেই বোঝা যাবে ভারতের ওপর প্রকৃত প্রভাব কতটা হবে।
রেটিং এজেন্সি আইসিআরএ-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে হারে শুল্ক আরোপ করছে, তা আমাদের আগের অনুমানের চেয়েও অনেক বেশি। ফলে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কতটা ক্ষতি হবে, তা নির্ভর করছে জরিমানার পরিমাণের ওপর।’
এর আগেই আইসিআরএ ভারতের এই অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল। ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান নমুরা জানিয়েছে, এই শুল্ক ভারতের প্রবৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর। তাদের হিসেব অনুযায়ী, ভারতের জিডিপি দশমিক ২ শতাংশ কমে যেতে পারে।
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের খবর সামনে আসতেই ভারতের শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। দিনের শুরুতেই সূচক পড়ে যায়। একটি প্রতিষ্ঠানের ফান্ড ম্যানেজার নীলেশ শাহ বলেন, ‘বাজারে ভাবনা ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটা ইতিবাচক বাণিজ্য চুক্তি হবে। কারণ দুই দেশের কৌশলগত স্বার্থ একসঙ্গে মেলে।’
সম্প্রতি দুই দেশ কয়েক দফা আলোচনা চালিয়েছে চুক্তির লক্ষ্যে। এমনকি ভারত মদ ও মোটরসাইকেলের ওপর শুল্ক কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো ভারতের সঙ্গে বছরে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে রয়েছে, যেটা ট্রাম্প কমাতে চান।
২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে অতিরিক্ত জরিমানা যোগ হওয়ায় ভারত এই অঞ্চলের অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক রাহুল আহলওয়ালিয়া। তাঁর মতে, চীন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের দৌড়ে ভারত পিছিয়ে পড়তে পারে।
চীনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ১৪৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশ করেছে। ১২ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি করতে দুই দেশের সময়সীমা ঠিক হয়েছে। ভিয়েতনামের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র জুলাইয়ে চুক্তি করেছে, যেখানে ২০ শতাংশ শুল্কে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
এ অবস্থায়, ভারতের পণ্যে শুল্ক বেশি হওয়ায়, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন রপ্তানি খাতে ভারতের যে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ইওয়াই ইন্ডিয়ার বাণিজ্য নীতি বিশেষজ্ঞ অগ্নিশ্বর সেন বলেন, ‘এই শুল্ক স্থায়ী হলে সামুদ্রিক পণ্য, ওষুধ, বস্ত্র, চামড়া ও গাড়ি শিল্পে বড় প্রভাব পড়বে। এই খাতগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য অনেক বেশি।’
ট্রাম্পের ঘোষণায় ভারতের অর্থনীতিবিদ, রপ্তানিকারক ও শিল্প নেতাদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির এফআইসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন আগারওয়াল বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে রপ্তানিতে স্পষ্ট প্রভাব পড়বে। তবে আমরা আশাবাদী, এটি স্বল্পমেয়াদি সিদ্ধান্ত হবে এবং দ্রুত একটি স্থায়ী বাণিজ্য চুক্তি হবে।’
ভারতের রপ্তানিকারক ফেডারেশনের প্রধান ড. অজয় সাহাই বলেন, ‘এই শুল্কের ফলে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মার্কিন ক্রেতাদের মধ্যে দাম নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হবে। রপ্তানিকারকরা কতটা শুল্কের বোঝা নিজেরা বইতে পারবেন, সেটা এখন বড় প্রশ্ন।’
শুল্ক মূলত আমদানি করা পণ্যের ওপর সরকার যে কর বসায় সেটি। এই করের কারণে সেই পণ্য বিদেশে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে এবং চাহিদা কমে যায়। ফলে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের হয় দাম কমাতে হয়, নয়তো তাদের মুনাফা কমে যায়।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ট্রাম্পের ঘোষণার প্রভাব তারা পর্যবেক্ষণ করছে। ভারত বলেছে, তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহী। তবে কৃষি, দুগ্ধ পণ্যসহ ছোট ও মাঝারি ব্যবসার স্বার্থরক্ষাকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে।
এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে কংগ্রেস লিখেছে, ‘নরেন্দ্র মোদি তো ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করেছেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরেছেন। অথচ সেই ট্রাম্পই ভারতের ওপর এত কঠোর শুল্ক আরোপ করলেন। এটা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির এক বিশাল ব্যর্থতা।’ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত ফোরামের সদস্য মার্ক লিনস্কট বলেন, ‘ট্রাম্প বাণিজ্য চুক্তিকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলেছেন। এতে আলোচনা আরও জটিল হয়ে গেছে।’
লিনস্কট আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব চুক্তিতে নিজে জোরালো ভূমিকা রাখতে চান। এর জন্য মোদির উচিত ছিল তাঁর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যাওয়া। হয়তো সেটা হয়নি বলেই এখনো চুক্তি হয়নি।’
যদিও ট্রাম্প ভারতকে ‘ভালো বন্ধু’ বলেন, তবুও তিনি ভারতের ওপর উচ্চ শুল্ক নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন। এমনকি আজ বৃহস্পতিবার সকালেও ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘ভারত রাশিয়ার সঙ্গে মিলে যা খুশি করুক, আমার কিছু আসে যায় না। তারা চাইলে তাদের মৃত অর্থনীতিকেও একসঙ্গে ডুবিয়ে দিতে পারে। আমাদের ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য তেমন একটা হয় না, কারণ তাদের শুল্ক খুবই বেশি—বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ।’
তবে উত্তেজনার মধ্যেও আলোচনা চলছে। আগস্ট মাসজুড়েই আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদল আগামী মাসে ভারতে আসবে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে। অনেকে আশাবাদী, এই শুল্ক পরে কমে যেতে পারে এবং ২৫ শতাংশ শুল্ক সাময়িকও হতে পারে। দুই দেশ আগামী শরতের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চায়।
আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান নমুরা বলছে, সবচেয়ে ভালো ফল হলেও হয়তো শুল্ক ১৫ থেকে ২০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে—যা হতাশাজনক। কারণ ভারত অনেক আগে থেকেই আলোচনায় রয়েছে। তবে ভারতের অর্থনীতি অনেকটাই দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারনির্ভর, তাই এই প্রভাব সীমিত থাকতে পারে। তবুও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাংককে সুদের হার কমাতে বাধ্য করতে পারে—এমনটাও মনে করছে নমুরা। এতে করে অর্থনীতিকে কিছুটা চাঙা রাখা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ভারতের রপ্তানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুধু ২৫ শতাংশ শুল্ক নয়, এর পাশাপাশি ‘অনির্দিষ্ট জরিমানাও’ আরোপ করা হবে। তবে এই জরিমানার পরিমাণ বা ধরন এখনো স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা পোস্টে ট্রাম্প বলেন, আগামী ১ আগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে এই শুল্ক ও জরিমানা কার্যকর হবে। কারণ, ভারত এমন সময় রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও অস্ত্র কিনছে, যখন সবাই চায় ইউক্রেনে হত্যা বন্ধ হোক।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই জরিমানার বিস্তারিত তথ্য জানা গেলে তবেই বোঝা যাবে ভারতের ওপর প্রকৃত প্রভাব কতটা হবে।
রেটিং এজেন্সি আইসিআরএ-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে হারে শুল্ক আরোপ করছে, তা আমাদের আগের অনুমানের চেয়েও অনেক বেশি। ফলে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কতটা ক্ষতি হবে, তা নির্ভর করছে জরিমানার পরিমাণের ওপর।’
এর আগেই আইসিআরএ ভারতের এই অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল। ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান নমুরা জানিয়েছে, এই শুল্ক ভারতের প্রবৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর। তাদের হিসেব অনুযায়ী, ভারতের জিডিপি দশমিক ২ শতাংশ কমে যেতে পারে।
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের খবর সামনে আসতেই ভারতের শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। দিনের শুরুতেই সূচক পড়ে যায়। একটি প্রতিষ্ঠানের ফান্ড ম্যানেজার নীলেশ শাহ বলেন, ‘বাজারে ভাবনা ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটা ইতিবাচক বাণিজ্য চুক্তি হবে। কারণ দুই দেশের কৌশলগত স্বার্থ একসঙ্গে মেলে।’
সম্প্রতি দুই দেশ কয়েক দফা আলোচনা চালিয়েছে চুক্তির লক্ষ্যে। এমনকি ভারত মদ ও মোটরসাইকেলের ওপর শুল্ক কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো ভারতের সঙ্গে বছরে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতিতে রয়েছে, যেটা ট্রাম্প কমাতে চান।
২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে অতিরিক্ত জরিমানা যোগ হওয়ায় ভারত এই অঞ্চলের অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক রাহুল আহলওয়ালিয়া। তাঁর মতে, চীন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের দৌড়ে ভারত পিছিয়ে পড়তে পারে।
চীনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ১৪৫ শতাংশ থেকে শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশ করেছে। ১২ আগস্টের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি করতে দুই দেশের সময়সীমা ঠিক হয়েছে। ভিয়েতনামের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্র জুলাইয়ে চুক্তি করেছে, যেখানে ২০ শতাংশ শুল্কে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
এ অবস্থায়, ভারতের পণ্যে শুল্ক বেশি হওয়ায়, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন রপ্তানি খাতে ভারতের যে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ইওয়াই ইন্ডিয়ার বাণিজ্য নীতি বিশেষজ্ঞ অগ্নিশ্বর সেন বলেন, ‘এই শুল্ক স্থায়ী হলে সামুদ্রিক পণ্য, ওষুধ, বস্ত্র, চামড়া ও গাড়ি শিল্পে বড় প্রভাব পড়বে। এই খাতগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য অনেক বেশি।’
ট্রাম্পের ঘোষণায় ভারতের অর্থনীতিবিদ, রপ্তানিকারক ও শিল্প নেতাদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির এফআইসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট হর্ষবর্ধন আগারওয়াল বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে রপ্তানিতে স্পষ্ট প্রভাব পড়বে। তবে আমরা আশাবাদী, এটি স্বল্পমেয়াদি সিদ্ধান্ত হবে এবং দ্রুত একটি স্থায়ী বাণিজ্য চুক্তি হবে।’
ভারতের রপ্তানিকারক ফেডারেশনের প্রধান ড. অজয় সাহাই বলেন, ‘এই শুল্কের ফলে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মার্কিন ক্রেতাদের মধ্যে দাম নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হবে। রপ্তানিকারকরা কতটা শুল্কের বোঝা নিজেরা বইতে পারবেন, সেটা এখন বড় প্রশ্ন।’
শুল্ক মূলত আমদানি করা পণ্যের ওপর সরকার যে কর বসায় সেটি। এই করের কারণে সেই পণ্য বিদেশে ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে এবং চাহিদা কমে যায়। ফলে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের হয় দাম কমাতে হয়, নয়তো তাদের মুনাফা কমে যায়।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ট্রাম্পের ঘোষণার প্রভাব তারা পর্যবেক্ষণ করছে। ভারত বলেছে, তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বাণিজ্য চুক্তিতে আগ্রহী। তবে কৃষি, দুগ্ধ পণ্যসহ ছোট ও মাঝারি ব্যবসার স্বার্থরক্ষাকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে।
এক্সে শেয়ার করা এক পোস্টে কংগ্রেস লিখেছে, ‘নরেন্দ্র মোদি তো ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করেছেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরেছেন। অথচ সেই ট্রাম্পই ভারতের ওপর এত কঠোর শুল্ক আরোপ করলেন। এটা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির এক বিশাল ব্যর্থতা।’ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কৌশলগত ফোরামের সদস্য মার্ক লিনস্কট বলেন, ‘ট্রাম্প বাণিজ্য চুক্তিকে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলেছেন। এতে আলোচনা আরও জটিল হয়ে গেছে।’
লিনস্কট আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব চুক্তিতে নিজে জোরালো ভূমিকা রাখতে চান। এর জন্য মোদির উচিত ছিল তাঁর সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যাওয়া। হয়তো সেটা হয়নি বলেই এখনো চুক্তি হয়নি।’
যদিও ট্রাম্প ভারতকে ‘ভালো বন্ধু’ বলেন, তবুও তিনি ভারতের ওপর উচ্চ শুল্ক নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন। এমনকি আজ বৃহস্পতিবার সকালেও ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘ভারত রাশিয়ার সঙ্গে মিলে যা খুশি করুক, আমার কিছু আসে যায় না। তারা চাইলে তাদের মৃত অর্থনীতিকেও একসঙ্গে ডুবিয়ে দিতে পারে। আমাদের ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য তেমন একটা হয় না, কারণ তাদের শুল্ক খুবই বেশি—বিশ্বে অন্যতম সর্বোচ্চ।’
তবে উত্তেজনার মধ্যেও আলোচনা চলছে। আগস্ট মাসজুড়েই আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদল আগামী মাসে ভারতে আসবে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে। অনেকে আশাবাদী, এই শুল্ক পরে কমে যেতে পারে এবং ২৫ শতাংশ শুল্ক সাময়িকও হতে পারে। দুই দেশ আগামী শরতের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চায়।
আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান নমুরা বলছে, সবচেয়ে ভালো ফল হলেও হয়তো শুল্ক ১৫ থেকে ২০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে—যা হতাশাজনক। কারণ ভারত অনেক আগে থেকেই আলোচনায় রয়েছে। তবে ভারতের অর্থনীতি অনেকটাই দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারনির্ভর, তাই এই প্রভাব সীমিত থাকতে পারে। তবুও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত রিজার্ভ ব্যাংককে সুদের হার কমাতে বাধ্য করতে পারে—এমনটাও মনে করছে নমুরা। এতে করে অর্থনীতিকে কিছুটা চাঙা রাখা যাবে।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে সবজি, ডিম, মুরগি, আটা, চিনিসহ প্রায় অধিকাংশ পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, এক সপ্তাহ আগে মানভেদে দাম ছিল ১১০-১২০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজের দাম অবশ্য তুলনামূলক কম। খুচরায় পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি।
জানতে চাইলে রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার পেঁয়াজ আমদানি না করেই বাজারের চাহিদা মিটে গেছে। এখন আগের মৌসুমের পেঁয়াজের মজুত একেবারেই শেষের দিকে। এই সময় পুরোনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশিই থাকে। তবে এটা বেশি দিন থাকবে না। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। চাহিদা অনুসার পেঁয়াজ রয়েছে।’
বেড়েছে ভোজ্যতেলের দামও। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮৯ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৯ টাকা লিটার, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭১-১৭৪ টাকা লিটার।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো গত এক সপ্তাহে ধীরে ধীরে বাজারে বাড়তি দামে তেল সরবরাহ করেছে। এখনো অনেক দোকানে আগের দামের তেল পাওয়া যায়। তবে বাজারের অধিকাংশ দোকানেই বাড়তি দামের তেল রয়েছে।
গত সপ্তাহ পর্যন্ত খুচরায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হতো ১২০-১৫০ টাকা কেজি, তবে চলতি সপ্তাহে দাম কমে ৭০-১০০ টাকা কেজিতে নেমেছে। এ ছাড়া শীতের সবজি হলেও শিমের দাম হঠাৎ বেড়ে ১৫০ টাকার ওপরে উঠেছিল।
সেই শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম কমেছে প্রতিটিতে ১০ টাকা। দুই ধরনের কপিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে ভালো মানের ফুলকপি ৫০ টাকা। গত সপ্তাহে একটি কপি কিনতে ৪০-৬০ টাকা লেগেছিল।
দাম কমেছে টমেটোরও। মান ও বাজারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
দেশি গাজরের সরবরাহ ব্যাপক বেড়েছে বাজারে, এতে দামও কমেছে। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। তবে আমদানির গাজর আগের মতোই ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৮০-১০০ টাকা কেজি, যা চলতি সপ্তাহে কমে ৭০-৮০ টাকায় নেমেছে। বাজারে আলুর দাম আগের মতোই প্রতি কেজি ২৫ টাকা রয়েছে।
আমিষের সবচেয়ে বড় উৎস ডিমের দাম আরও কমেছে। ফার্মের মুরগির সাদা ও বাদামি ডিমের দাম কমে ১১০ থেকে ১২৫ টাকা ডজনে নেমেছে। গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তথ্য বলছে, গত বছর এই সময় ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৪০-১৫০ টাকা ডজন। টিসিবি বলছে, গত বছরের তুলনায় ডিমের দাম ৩৫ শতাংশ কমেছে।
ডিমের সঙ্গে কমেছে ফার্মের মুরগির দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০-১৮০ টাকা কেজি।
সেগুনবাগিচা বাজারের ডিম বিক্রেতা নূর ই আলম বলেন, ‘ডিম ও মুরগির বাজার স্বাভাবিক আচরণ করছে না। হঠাৎ দামের এত পতন হচ্ছে কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ডিমের যে দাম, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় সবচেয়ে কম।’
ডিম-মুরগির সঙ্গে কিছুটা কমেছে রুই-কাতলা মাছের দামও। বাজারে চাষের এই মাছগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩২০-৪৫০ টাকা কেজি।
মুদিপণ্যের মধ্যে চিনির দাম আগে থেকেই কমেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে কমেছে আটা, মসুর ডাল, ছোলার দাম। খোলা আটার দাম ২-৩ টাকা কমে ৪৫-৪৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা কেজি। কেজিপ্রতি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৯৫-১০৫ টাকা। ছোলার দামও কেজিপ্রতি ৫ টাকা কমে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মামা-ভাগনে মুদিদোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, রমজান উপলক্ষে পণ্যের আমদানি ব্যাপক বেড়েছে। তাই প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম কমছে। তবে ভোজ্যতেল ও পেঁয়াজের বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ভারতের রপ্তানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুধু ২৫ শতাংশ শুল্ক নয়, এর পাশাপাশি ‘অনির্দিষ্ট জরিমানাও’ আরোপ করা হবে।
৩১ জুলাই ২০২৫
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল হাসান।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. রবিউল হাসান এবং উপমহাব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক প্রধান (কুমিল্লা অঞ্চল) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ভারতের রপ্তানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুধু ২৫ শতাংশ শুল্ক নয়, এর পাশাপাশি ‘অনির্দিষ্ট জরিমানাও’ আরোপ করা হবে।
৩১ জুলাই ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ মাসওয়ারি হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ, টাকার অঙ্কে এই হ্রাসকৃত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি ৮১ লাখ ডলার।
এবারই প্রথম নয়, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া নিম্নমুখী ধারা নভেম্বরে এসে চতুর্থ মাসে পা দিল। জুলাইয়ের শক্তিশালী সূচনার পর রপ্তানি খাত যে ধারাবাহিক গতি অর্জন করেছিল, সেই গতি আগস্টেই থমকে যায়। ওই মাসে আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরেও পতন গভীর হয়—৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। অক্টোবরে সেই হার আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশে।
জুলাইয়ের ব্যতিক্রমী সাফল্যের পর পরবর্তী চার মাস যেন একটানা ঢালু পথ। সেই জুলাইয়ে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু এরপর প্রতি মাসেই কমতে কমতে নভেম্বরে এসে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সার্বিক চিত্রটি বলছে, অর্থবছরের শুরুতে পাওয়া জোয়ারটি এখন চার মাসের টানা ভাটার মুখে দাঁড়িয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মিলিয়ে পাঁচ মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ২০০২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার; যা আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ঘটেছে মাত্র দশমিক ৬২ শতাংশ। অর্থাৎ পাঁচ মাসের সার্বিক রপ্তানি আয়ের চিত্রও নামমাত্র।
নভেম্বরের সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে পোশাক খাতে, যেটি দেশের রপ্তানির প্রধান ভরসা। ওই মাসে পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৩১৪ কোটি ৯ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কম। এ সময় নিটওয়্যার খাতে আয় নেমেছে ১৬১ কোটি ৮৪ লাখ ডলারে, আর ওভেনে এসেছে ১৫২ কোটি ২৪ লাখ ডলার। গত বছরের একই সময়ে নিটওয়্যার আয় ছিল ১৭৩ কোটি ৮২ লাখ ডলার এবং ওভেন ১৫৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার।
পোশাকের বাইরে কৃষিপণ্যে রপ্তানি কমেছে ২৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ১৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ছাড়া রপ্তানি পতনের তালিকায় রয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত সামগ্রী, হোম টেক্সটাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, জাহাজ, চিংড়ি ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং। এর মানে হচ্ছে, প্রচলিত এসব খাতেও মন্থরতা স্পষ্ট।
তবে সব বাজারে একই চিত্র নয়। কিছু গন্তব্যে বিপরীত প্রবণতা দেখা গেছে, যা সামগ্রিক মন্দার মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যেও ইতিবাচক প্রবণতা স্পষ্ট—চীনে রপ্তানি বেড়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ, পোল্যান্ডে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, সৌদি আরবে ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং স্পেনে ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ প্রবণতা সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যেন অনেকটাই ব্যতিক্রমী সাফল্য।
সব মিলিয়ে চিত্রটি দ্বিমুখী। একদিকে ঐতিহ্যগত প্রধান খাতগুলোতে পতন; অন্যদিকে কিছু নতুন বাজারে ইতিবাচক ইঙ্গিত। তবে বড় প্রশ্ন রয়ে যায়, এই বাজার বৃদ্ধি কি পোশাকসহ প্রধান খাতের ধারাবাহিক মন্দাকে সামাল দিতে পারবে?
বর্তমান বাস্তবতা বলছে, বৈচিত্র্য বাড়ানোর পথে অনেক দূর যেতে হবে। উৎপাদন প্রতিযোগিতা, মূল্যের চাপ, বৈদেশিক অর্ডার সংকোচন এবং বিশ্ববাজারের অনিশ্চয়তা, সব মিলিয়ে রপ্তানি খাতে সামনের পথ সহজ নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ভারতের রপ্তানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুধু ২৫ শতাংশ শুল্ক নয়, এর পাশাপাশি ‘অনির্দিষ্ট জরিমানাও’ আরোপ করা হবে।
৩১ জুলাই ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

পাবনার ইশ্বরদীভিত্তিক সিগারেট কোম্পানি ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রায় ৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযানে গিয়ে এই ফাঁকি ধরেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, তামাক ও তামাকজাত পণ্যের অবৈধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে সম্প্রতি কার্যক্রম আরও জোরদার করেছে এনবিআর। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সূত্রের ভিত্তিতে এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল ঈশ্বরদীতে অবস্থিত ইউনাইটেড টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা দলের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে আনুষ্ঠানিক উৎপাদন কার্যক্রম প্রদর্শন না করে গোপনে সিগারেট উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। অভিযানে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৯০ শলাকা জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য ৩৮ লাখ টাকারও বেশি। এসব সিগারেটের বিপরীতে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া ১০ লাখ ২৯ হাজারটি অব্যবহৃত জাল ব্যান্ডরোল বা স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়, যা ব্যবহার করা হলে অতিরিক্ত ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকারও বেশি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সম্ভব ছিল। প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৫০০টি বৈধ ব্যান্ডরোল সংগ্রহ করলেও তা ব্যবহার না করে জাল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে সিগারেট উৎপাদন ও বিক্রি করছিল।
এনবিআর জানিয়েছে, সব সিগারেট ও উপকরণ আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনিপ্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। অভিযানে উদ্ধার করা দলিলাদির ভিত্তিতে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটকে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও বিক্রি কার্যক্রমের ওপর কঠোর নজরদারির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে ভারতের রপ্তানি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হতে পারে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুধু ২৫ শতাংশ শুল্ক নয়, এর পাশাপাশি ‘অনির্দিষ্ট জরিমানাও’ আরোপ করা হবে।
৩১ জুলাই ২০২৫
বাজারে একলাফে লিটারে ৯ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। আর দেশি পুরোনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা। তবে এসব পণ্যের সরবরাহে তেমন কোনো সমস্যা নেই বাজারে। পুরোনো পেঁয়াজের সঙ্গে নতুন পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
উত্তরা ব্যাংক পিএলসির একটি নতুন শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার ব্যাংক রোড, দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যাংকের ২৫০তম লাকসাম শাখার উদ্বোধন করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. আবুল হাশেম।
১৩ ঘণ্টা আগে
রেমিট্যান্সে প্রবাহ বাড়লেও পণ্য রপ্তানিতে ধাক্কার ধারা থামছে না। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের নভেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৮৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। গত বছরের একই মাসে এই আয় ছিল ৪১১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।
১৪ ঘণ্টা আগে