Ajker Patrika

আইডিআরএর প্রতিবেদন

বিমা কোম্পানিতে ক্যানসারের ‘তামাদি কৌশল’

মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ১০
বিমা কোম্পানিতে ক্যানসারের ‘তামাদি কৌশল’

বিমা কোম্পানিগুলোর পলিসি তামাদি হওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়তির দিকে। গত ডিসেম্বরে প্রকাশিত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩৪টি বিমা কোম্পানির কাছে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে তামাদি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের বিমা। নিয়মিত প্রিমিয়াম অর্থাৎ কিস্তির টাকা পরিশোধ না করাই এর কারণ। তামাদি হয়ে কোম্পানির কাছে টাকা আটকে থাকা বিমার গ্রাহকের মধ্যে রয়েছেন গৃহকর্মী ও রিকশাচালকের মতো দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষও। সংশ্লিষ্ট পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, কোম্পানিগুলোর তরফে বিমার দাবি পরিশোধে সমস্যার পাশাপাশি তামাদির ঘটনা পুরো খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিমা তামাদি হওয়ার শীর্ষে রয়েছে ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। এ কোম্পানিতে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে নতুন করে ৫৬ হাজার ৩৩৮টি বিমা তামাদি হয়েছে। ৫৬ হাজার ৯৯টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স। তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স (৩৩ হাজার ৩৭৮), প্রগতি লাইফ (২৩ হাজার ২৩) ও আলফা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড (২১ হাজার ৯১৭)।

তামাদি বা ল্যাপস বিমা পলিসি হচ্ছে এমন বিমা, যা কিস্তি (প্রিমিয়াম) পরিশোধ না করার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তামাদি হলে বিমার সুবিধাগুলো আর পাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে বকেয়া প্রিমিয়াম ও সুদ দিয়ে পলিসি নতুন করে চালু করতে হয়।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিমা করাতে পারলে দ্বিগুণ মুনাফার প্রলোভনে এজেন্টরা ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে অনেককে বিমা গ্রহণে রাজি করান। জীবনের অনিশ্চয়তার বিবেচনায় ভবিষ্যতের কথা ভেবে অনেক মানুষ নিজেদের আগ্রহেও পলিসি কেনেন। কিন্তু প্রায়ই কিছুদিন কিস্তির অর্থ পরিশোধ করার পর এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া যায় না। কিস্তির টাকার অঙ্ক তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কেউ কেউ মনে করেন, যা দিয়েছি তা-ই লোকসান, আর দেব না, লোকসানও বাড়াব না। এভাবেই বিমা তামাদি হয়ে যায়।

আইডিআরএর প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি-বেসরকারি ৩৪টি কোম্পানি গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নতুন করে ৩ লাখ ৪৭ হাজার পলিসি তামাদি হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে। এগুলোর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশনের রয়েছে ৪ হাজার ৮০৬টি। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নতুন প্রজন্মের প্রতিষ্ঠান আলফা ইসলামী লাইফের ২১ হাজার ৯১৭টি, আস্থা লাইফের ১ হাজার ৬৯৭টি ও আকিজ তাকাফুল লাইফ ইনস্যুরেন্সের ১ হাজার ৩৪২টি বিমা তামাদি হয়েছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে পুরোনো বিমা কোম্পানির মধ্যে উল্লিখিত শীর্ষ পাঁচের বাইরে মেটলাইফের ২০ হাজার ৪০৪টি, রূপালী লাইফের ২০ হাজার ৩০টি, প্রাইম ইসলামী লাইফের ১৯ হাজার ৮৭৭টি, স্বদেশ লাইফের ১৬ হাজার ৬৮৫, মেঘনা লাইফের ৮ হাজার ১১২, বেঙ্গল ইসলামী লাইফের ৮ হাজার ৯, সানলাইফের ৭ হাজার ১৯২, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের ৫ হাজার ৬৭০, চার্টার্ড লাইফের ৫ হাজার ৪৬, গার্ডিয়ান লাইফের ৪ হাজার ৮৭৯টি, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের ৪ হাজার ৭৫৩টি ও হোমল্যান্ডের ৪ হাজার ২৯৯ বিমা তামাদি হয়েছে। কয়েক শ থেকে ৪ হাজারের ঘর পর্যন্ত রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

আইডিআরএর প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৩২টি জীবনবিমা কোম্পানি তামাদি করেছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৩টি বিমা। এগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা নতুন প্রজন্মের সোনালী লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৬৭ হাজার ৫৫৫। ৫৭ হাজার ৯৮১টি তামাদি বিমা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ডেলটা লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ন্যাশনাল লাইফের তামাদি বিমার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৬৭।

আইডিআরএর পরিচালক ও মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তামাদির হার কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আইডিআরএর সরাসরি জনসচেতনতা বাড়ানোর সুযোগ নেই। শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লাইসেন্সধারী এজেন্টরা বিমা করাতে পারবেন। তাঁরাই গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াবেন। প্রশিক্ষিত এজেন্ট নিয়োগ না দিলে বিমা কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কাজিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এমনিতেই বিমা বিষয়টির প্রতি মানুষের কিছুটা আস্থাহীনতা রয়েছে। ব্যাংক সময়মতো টাকা দিতে না পারায় এই আস্থাহীনতা আরও বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক গ্রাহকই বিমার প্রিমিয়ামের টাকা ঠিকমতো জমা দেন না। এতে অনেক পলিসি ল্যাপস (তামাদি) হয়ে যায়।’

কাজিম উদ্দিন বলেন, আর্থিক সংকটসহ নানা কারণে অনেকে যথাসময়ে প্রিমিয়ামের টাকা জমা দিতে না পারায় পলিসি ল্যাপস হচ্ছে। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ গ্রাহক ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্সেরই। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ল্যাপসও বেশি হতে পারে। কিস্তি জমা দেওয়ার জন্য তাঁরা নিয়মিত গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন জানিয়ে কাজিম উদ্দিন বলেন, অনেক পলিসি গ্রহীতা তিন-চার কিস্তি একসঙ্গে জমা দিয়ে ল্যাপস পলিসি চালু করছেন। এতে ভবিষ্যতে পলিসি ল্যাপসের সংখ্যা কমে আসবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।

আইডিআরএর তথ্যমতে, জীবনবিমা কোম্পানিগুলো ২০১৮ সালে ১৪ লাখ ৯৬ হাজার, ২০১৯ সালে ১৪ লাখ ৪৯ হাজার, ২০২০ সালে ১৪ লাখ ২০ হাজার, ২০২১ সালে ৯ লাখ ২৬ হাজার, ২০২২ সালে ১১ লাখ ৫৩ হাজার এবং ২০২৩ সালে ১৫ লাখ ৪২ হাজার বিমা তামাদি করেছে। এই তামাদি বিমার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পুনরায় চালু হয়েছে। বাকি ৮৫-৯০ শতাংশ বিমার টাকা বিমা কোম্পানিগুলোর পকেটে গেছে।

পলিসি তামাদি হওয়াকে ‘বিমা খাতের ক্যানসার’ বলে মনে করেন বিমা কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তামাদি পলিসির গ্রাহক টাকা পান না। বিষয়টি অন্যদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেয়। আবার পলিসি তামাদির কারণে কোম্পানিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোম্পানি প্রথমে অনেক বিনিয়োগ করে ফেলে। পরে তা আর ফিরে পায় না।’

বিমা খাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থা থেকে এ খাতের উত্তরণ ঘটাতে এজেন্টদের কমিশন দেওয়ার নিয়মনীতি সংশোধন করতে হবে। কোম্পানিগুলোকে বিমার দাবি পরিশোধে আরও সক্রিয় হতে হবে। বিমার প্রিমিয়ামের টাকা সশরীর পরিশোধের পাশাপাশি অনলাইনে ই-ট্রান্সফার, নগদ, বিকাশ, রকেট ইত্যাদির মাধ্যমে দেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক মো. মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েকটি কারণে বিমা তামাদি হয়ে পড়ে। বিমা এজেন্টদের প্রথম তিন বছর অত্যধিক কমিশন দেওয়া হয়। ফলে তাঁরা ‘চাকরি থাকবে না’ ইত্যাদি বলে পীড়াপীড়ি করে আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুদের বিমা করান। প্রথম দুই থেকে তিন বছর ভালো উপার্জনের প্রত্যাশায় গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রিমিয়ামের টাকা সংগ্রহ করেন। এরপর আর খোঁজখবর নেন না। অন্যদিকে অনেক গ্রাহকও টাকার অঙ্ক তুলনায় কম থাকায় প্রথম কিছুদিন উৎসাহের সঙ্গে কিস্তি দেন। তারপর নানা কারণে না পারলে বন্ধ করে দেন। সমস্যা সমাধানের জন্য এ বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।

প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’

তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাড়ল মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।

এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত