সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে টার্গেট ছিল, সেটা অর্জন করা গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি পোশাকের প্রধান আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ার চাপে আছে সেখানকার ভোক্তারা।
ফারুক হাসান: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে চাপ থাকার কারণে পোশাকসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ কমিয়ে দিয়েছে ভোক্তারা। এর জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়া এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য কারণ। এই সংকটের মধ্যেও আমাদের তৈরি পোশাক খাতে গত বছরের যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেটা কোনোমতে অর্জন করা গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশের মতো। কিন্তু আগের অর্থবছরে এই খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩০ শতাংশ। পোশাক খাতে গত বছরের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যতম কারণ। সার্বিক বিবেচনায় রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলেও প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক নয়।
আজকের পত্রিকা: একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানির সবচেয়ে বড় দেশ। মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারায় আছে। সেটা আপনাদের জন্য কতটুকু শঙ্কার?
ফারুক হাসান: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির তীব্র চাপে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশের নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, যার বহিঃপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা। আমাদের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে যাওয়া স্বভাবতই খুবই উদ্বেগের। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য ব্যাংকের সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে বাসাবাড়ি, গাড়ি ও খাবারদাবারের পেছনে খরচের পর মানুষের হাতে আর টাকা থাকছে না। ফলে স্বভাবতই ভোক্তারা এখন পোশাকের পেছনে খরচ কমিয়ে দিয়েছে।
তৈরি পোশাক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সার্বিকভাবে গত চার মাস ধরে মোট আমদানির প্রায় ২২ শতাংশ এবং ভলিয়মের দিক দিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। সেই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি একটু ভালো। তবে এই ভালো ভালো নয়। প্রধান বাজারগুলোতে রপ্তানি সংকুচিত হওয়ার কারণে আমরা নতুন এমার্জিং মার্কেট যেমন—ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।
আজকের পত্রিকা: ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে এই যুদ্ধ শিগগির শেষ হচ্ছে না। যুদ্ধের জেরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অন্যতম দেশ জার্মানিতে ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক মন্দাভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাত কেমন পারফর্ম করতে পারে?
ফারুক হাসান: ইউক্রেন যুদ্ধের এখন যা অবস্থা এবং ইউরোপের অর্থনীতি ধীরে ধীরে মন্দার দিকে যাচ্ছে। এটা সহজে অনুমান করা যায় সামনের দিনগুলোতে তৈরি পোশাকে রপ্তানি ধরে রাখাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে যাবে। জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার রেশে জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশে এখন মন্দা দেখা দিয়েছে। বৈদেশিক সমস্যা ছাড়াও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা যেমন গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ, একই সঙ্গে কাস্টম বন্ডের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখছি না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস তৈরি পোশাক খাত খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে যাবে।
আজকের পত্রিকা: আপনি বলছেন, তৈরি পোশাকের জন্য সামনের ছয় মাস খুবই কঠিন সময়। অন্যদিকে এই বছরের প্রবৃদ্ধিও আশাব্যঞ্জক নয়। এই অবস্থায় নতুন বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হবে নিশ্চিত।
ফারুক হাসান: দেশের রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য শীর্ষস্থানীয় রপ্তানির পণ্য তৈরি পোশাকে বিনিয়োগ খুবই জরুরি। তবে বর্তমান যে অবস্থা বিরাজ করছে, সেখানে এ অবস্থায় বিনিয়োগ করা খুবই কঠিন। অনেকেই এখন নতুন করে বিনিয়োগ করা বন্ধ রেখেছেন। এ বছর নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব তো হবেই না, বরং যে কর্মসংস্থানগুলো আছে, সেগুলো ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।
আজকের পত্রিকা: ডলার সংকটের কারণে ক্যাপিটাল মেশিনারি ইমপোর্টের ক্ষেত্রে এলসি খোলায় কি কোন সমস্যা হচ্ছে?
ফারুক হাসান: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনায় বর্তমানে আরএমজি খাতে তেমন বড় কোনো ইনভেস্টমেন্ট হবে না। তবে হাই অ্যান্ড প্রোডাক্ট প্রস্তুত করার জন্য যে ক্ষমতা প্রয়োজন, তার জন্য আমরা টেকনোলজিতে ইনভেস্ট করছি। তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এখন বিনিয়োগ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। এখন যদি তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ইনভেস্ট করা হয়, তাহলে ক্রেতারা পণ্যের দাম কমানোর ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ নেবে। তাছাড়া নতুন বিনিয়োগের জন্য যে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি করতে হয়, তা ডলারের সংকট থাকায় এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। দেশে যে ডলারের সংকট আছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
আজকের পত্রিকা: আইএমএফের পরামর্শে সরকার ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাজারেও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংক ঋণ এখন আগের চেয়ে ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাইছি।
ফারুক হাসান: ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য খাতের মতো তৈরি পোশাক খাতেও বিনিয়োগের খরচ বাড়াবে। একই সঙ্গে উৎপাদনে খরচও বাড়বে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা আমাদের প্রতিযোগী ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ সেসব দেশগুলোতে ব্যাংকের সুদের হার আমাদের চেয়ে অনেক কম, যার ফলে ব্যাংক ঋণের কস্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট, প্রোডাকশন এবং কস্ট অব গুডস বেড়ে যাবে, যার ভার দিন শেষে বহন করতে হবে ভোক্তাদের।
আজকের পত্রিকা: যে সমস্যাগুলোর কথা বলছেন, সেগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়—এ রকম কোনো পরিকল্পনা কি আপনারা করছেন?
ফারুক হাসান: তৈরি পোশাক খাতে বর্তমানে যেসব সমস্যা আছে, সেগুলা কাটিয়ে ওঠার জন্য দেশ-বিদেশে দৌড়ঝাঁপ করছি। ক্রেতাদের মধ্যে মনোবল ফিরে আনার জন্য আমি শরীর খারাপ নিয়েও বায়ারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফ্রান্সের ছুটে এসেছি, যাতে আমাদের মেম্বাররা পোশাক খাত নিয়ে একটু আশ্বস্ত হতে পারে। তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্রান্সে এখন তিনটা মেলা হচ্ছে। সেখানে আমাদের অনেক রপ্তানিকারক অংশগ্রহণ করছেন। আমি ফ্রান্সে ছুটে এসেছি ক্রেতা ও উৎপাদকদের একটু সাহস জোগাতে।
আজকের পত্রিকা: শিল্প উৎপাদনের অন্যতম অনুষঙ্গ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। শিল্পের রেকর্ড পরিমাণ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দেওয়ার শর্তে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের সরবরাহ কেমন পাচ্ছেন।
ফারুক হাসান: বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প খাতে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহে সংকট আছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে এই শর্তে গ্যাসের দাম রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তার পরও আমরা গ্যাসের পর্যাপ্ত সংগ্রহ পাচ্ছি না। বিশ্ববাজারে এখন গ্যাসের দাম দিনে দিনে কমছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির এই সংকটের মধ্যে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য সরকারের উচিত উৎপাদনশিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গ সমন্বয় করা।
আজকের পত্রিকা: সম্প্রতি আপনি রিপাবলিকান পার্টির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সিনেটর টেড ক্রুজসহ কয়েকজন মার্কিন আইন প্রণতাকে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য। কোনো সাড়া পেয়েছেন কি?
ফারুক হাসান: এখনো তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে তুলা কিনি, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো শুল্ক দিতে হয় না। আমরা আমাদের তুলার মোট চাহিদার ১০ থেকে ১২ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করে থাকি। একটা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানিতে শুল্ক মওকুফ করতে পারে, তাহলে উন্নত দেশ হিসেবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পোশাক রপ্তানিতে একই সুবিধা প্রত্যাশা করি। তা ছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যদি শুল্ক উঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা কম দামে পোশাক কিনতে পারবে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। সামনের দিনের ট্যাড ক্রসের সঙ্গে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে।

আজকের পত্রিকা: ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে টার্গেট ছিল, সেটা অর্জন করা গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি পোশাকের প্রধান আমদানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ার চাপে আছে সেখানকার ভোক্তারা।
ফারুক হাসান: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব অর্থনীতিতে চাপ থাকার কারণে পোশাকসহ অন্যান্য অপ্রয়োজনীয় খাতে খরচ কমিয়ে দিয়েছে ভোক্তারা। এর জন্য ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়া এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য কারণ। এই সংকটের মধ্যেও আমাদের তৈরি পোশাক খাতে গত বছরের যে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল, সেটা কোনোমতে অর্জন করা গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ শতাংশের মতো। কিন্তু আগের অর্থবছরে এই খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩০ শতাংশ। পোশাক খাতে গত বছরের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ অন্যতম কারণ। সার্বিক বিবেচনায় রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলেও প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক নয়।
আজকের পত্রিকা: একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক আমদানির সবচেয়ে বড় দেশ। মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়। গত প্রায় পাঁচ মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারায় আছে। সেটা আপনাদের জন্য কতটুকু শঙ্কার?
ফারুক হাসান: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির তীব্র চাপে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশের নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, যার বহিঃপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা। আমাদের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমে যাওয়া স্বভাবতই খুবই উদ্বেগের। মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য ব্যাংকের সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে বাসাবাড়ি, গাড়ি ও খাবারদাবারের পেছনে খরচের পর মানুষের হাতে আর টাকা থাকছে না। ফলে স্বভাবতই ভোক্তারা এখন পোশাকের পেছনে খরচ কমিয়ে দিয়েছে।
তৈরি পোশাক ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র সার্বিকভাবে গত চার মাস ধরে মোট আমদানির প্রায় ২২ শতাংশ এবং ভলিয়মের দিক দিয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়েছে। সেই হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি একটু ভালো। তবে এই ভালো ভালো নয়। প্রধান বাজারগুলোতে রপ্তানি সংকুচিত হওয়ার কারণে আমরা নতুন এমার্জিং মার্কেট যেমন—ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।
আজকের পত্রিকা: ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে এই যুদ্ধ শিগগির শেষ হচ্ছে না। যুদ্ধের জেরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অন্যতম দেশ জার্মানিতে ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক মন্দাভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক খাত কেমন পারফর্ম করতে পারে?
ফারুক হাসান: ইউক্রেন যুদ্ধের এখন যা অবস্থা এবং ইউরোপের অর্থনীতি ধীরে ধীরে মন্দার দিকে যাচ্ছে। এটা সহজে অনুমান করা যায় সামনের দিনগুলোতে তৈরি পোশাকে রপ্তানি ধরে রাখাটা একটা বড় চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে যাবে। জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভুগছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার রেশে জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশে এখন মন্দা দেখা দিয়েছে। বৈদেশিক সমস্যা ছাড়াও আমাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা যেমন গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ, একই সঙ্গে কাস্টম বন্ডের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখছি না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস তৈরি পোশাক খাত খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে যাবে।
আজকের পত্রিকা: আপনি বলছেন, তৈরি পোশাকের জন্য সামনের ছয় মাস খুবই কঠিন সময়। অন্যদিকে এই বছরের প্রবৃদ্ধিও আশাব্যঞ্জক নয়। এই অবস্থায় নতুন বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাধাপ্রাপ্ত হবে নিশ্চিত।
ফারুক হাসান: দেশের রপ্তানি আয় বাড়ানোর জন্য শীর্ষস্থানীয় রপ্তানির পণ্য তৈরি পোশাকে বিনিয়োগ খুবই জরুরি। তবে বর্তমান যে অবস্থা বিরাজ করছে, সেখানে এ অবস্থায় বিনিয়োগ করা খুবই কঠিন। অনেকেই এখন নতুন করে বিনিয়োগ করা বন্ধ রেখেছেন। এ বছর নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব তো হবেই না, বরং যে কর্মসংস্থানগুলো আছে, সেগুলো ধরে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।
আজকের পত্রিকা: ডলার সংকটের কারণে ক্যাপিটাল মেশিনারি ইমপোর্টের ক্ষেত্রে এলসি খোলায় কি কোন সমস্যা হচ্ছে?
ফারুক হাসান: বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিবেচনায় বর্তমানে আরএমজি খাতে তেমন বড় কোনো ইনভেস্টমেন্ট হবে না। তবে হাই অ্যান্ড প্রোডাক্ট প্রস্তুত করার জন্য যে ক্ষমতা প্রয়োজন, তার জন্য আমরা টেকনোলজিতে ইনভেস্ট করছি। তৈরি পোশাক খাতে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এখন বিনিয়োগ করাটা ঝুঁকিপূর্ণ। এখন যদি তৈরি পোশাক খাতে বড় ধরনের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ইনভেস্ট করা হয়, তাহলে ক্রেতারা পণ্যের দাম কমানোর ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ নেবে। তাছাড়া নতুন বিনিয়োগের জন্য যে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি করতে হয়, তা ডলারের সংকট থাকায় এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে। দেশে যে ডলারের সংকট আছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
আজকের পত্রিকা: আইএমএফের পরামর্শে সরকার ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাজারেও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংক ঋণ এখন আগের চেয়ে ব্যয়বহুল হয়ে যাবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন জানতে চাইছি।
ফারুক হাসান: ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য খাতের মতো তৈরি পোশাক খাতেও বিনিয়োগের খরচ বাড়াবে। একই সঙ্গে উৎপাদনে খরচও বাড়বে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে আমরা আমাদের প্রতিযোগী ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া সঙ্গে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ সেসব দেশগুলোতে ব্যাংকের সুদের হার আমাদের চেয়ে অনেক কম, যার ফলে ব্যাংক ঋণের কস্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট, প্রোডাকশন এবং কস্ট অব গুডস বেড়ে যাবে, যার ভার দিন শেষে বহন করতে হবে ভোক্তাদের।
আজকের পত্রিকা: যে সমস্যাগুলোর কথা বলছেন, সেগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়—এ রকম কোনো পরিকল্পনা কি আপনারা করছেন?
ফারুক হাসান: তৈরি পোশাক খাতে বর্তমানে যেসব সমস্যা আছে, সেগুলা কাটিয়ে ওঠার জন্য দেশ-বিদেশে দৌড়ঝাঁপ করছি। ক্রেতাদের মধ্যে মনোবল ফিরে আনার জন্য আমি শরীর খারাপ নিয়েও বায়ারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ফ্রান্সের ছুটে এসেছি, যাতে আমাদের মেম্বাররা পোশাক খাত নিয়ে একটু আশ্বস্ত হতে পারে। তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্রান্সে এখন তিনটা মেলা হচ্ছে। সেখানে আমাদের অনেক রপ্তানিকারক অংশগ্রহণ করছেন। আমি ফ্রান্সে ছুটে এসেছি ক্রেতা ও উৎপাদকদের একটু সাহস জোগাতে।
আজকের পত্রিকা: শিল্প উৎপাদনের অন্যতম অনুষঙ্গ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। শিল্পের রেকর্ড পরিমাণ গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ দেওয়ার শর্তে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের সরবরাহ কেমন পাচ্ছেন।
ফারুক হাসান: বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প খাতে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহে সংকট আছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ দেওয়া হবে এই শর্তে গ্যাসের দাম রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তার পরও আমরা গ্যাসের পর্যাপ্ত সংগ্রহ পাচ্ছি না। বিশ্ববাজারে এখন গ্যাসের দাম দিনে দিনে কমছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির এই সংকটের মধ্যে রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য সরকারের উচিত উৎপাদনশিল্পে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গ সমন্বয় করা।
আজকের পত্রিকা: সম্প্রতি আপনি রিপাবলিকান পার্টির টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের সিনেটর টেড ক্রুজসহ কয়েকজন মার্কিন আইন প্রণতাকে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করার জন্য। কোনো সাড়া পেয়েছেন কি?
ফারুক হাসান: এখনো তেমন কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে তুলা কিনি, তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো শুল্ক দিতে হয় না। আমরা আমাদের তুলার মোট চাহিদার ১০ থেকে ১২ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করে থাকি। একটা স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানিতে শুল্ক মওকুফ করতে পারে, তাহলে উন্নত দেশ হিসেবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পোশাক রপ্তানিতে একই সুবিধা প্রত্যাশা করি। তা ছাড়া তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যদি শুল্ক উঠিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা কম দামে পোশাক কিনতে পারবে। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে। সামনের দিনের ট্যাড ক্রসের সঙ্গে একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে।

গ্যাস-সংযোগ নেই, বিমানবন্দর নেই; রয়েছে নাব্যতাসংকট, নাগরিক সুবিধাও সীমিত—এত সব প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক দশকে ৪ গুণ রপ্তানি এবং প্রায় ১২ গুণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাফল্য দেখিয়েছে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)। এ সময় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগুনে পুড়ে যাওয়া টাকা এখন আর ব্যাংকের শাখায় বদলানো যাবে না। এমন নোট নিয়ে গ্রাহককে যেতে হবে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টাকা ফেরত পেতে সময় লাগবে কমপক্ষে আট সপ্তাহ। অন্যদিকে ভিন্ন নোটের অংশ জোড়া লাগিয়ে বা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা নোট উপস্থাপন করলে শাস্তি হবে...
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা...
১ ঘণ্টা আগে
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেসুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)

গ্যাস-সংযোগ নেই, বিমানবন্দর নেই; রয়েছে নাব্যতাসংকট, নাগরিক সুবিধাও সীমিত—এত সব প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক দশকে ৪ গুণ রপ্তানি এবং প্রায় ১২ গুণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাফল্য দেখিয়েছে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)। এ সময় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্প ও অর্থনীতিতে মোংলা ইপিজেড হয়ে উঠেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
বন্দরের পাশে গড়ে ওঠা শিল্পাঞ্চল
মোংলা ইপিজেড সূত্র জানায়, মোংলা বন্দরের সুবিধা কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে ১৯৯৮ সালে বন্দরের মাত্র ২৭০ মিটার দূরে ৩০২.৯৭ একর জমির ওপর ইপিজেডটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে প্রায় ২ হাজার বর্গমিটার আয়তনের ২৭৮টি শিল্প প্লট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৭৫টি প্লট এরই মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ৩৬টি কারখানা উৎপাদনে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৩টি বিদেশি মালিকানাধীন, দুটি যৌথ উদ্যোগ এবং ১১টি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। আরও ১১টি কারখানা চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে উল্লম্ফন
২০০১ সালে একটি কৃষি প্রক্রিয়াকরণ কারখানার মাধ্যমে মোংলা ইপিজেডের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম বছরে যেখানে মাত্র ১০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছিল, বর্তমানে সেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ কাজ করছেন।
২০১৫ সাল পর্যন্ত মোংলা ইপিজেডে মোট বিনিয়োগ ছিল ২৬৫ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সেই বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ১০ বছরে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। একই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, যা এক দশক আগে ছিল ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ।
বহুমুখী শিল্পে কর্মসংস্থান
বর্তমানে মোংলা ইপিজেডে তৈরি পোশাক, টাওয়েল, লাগেজ ও ট্রাভেল ব্যাগ, স্টিল টিউব, কার সিট হিটিং প্যাড, রাবার পণ্য, পরচুলা, পাটজাত পণ্য, পলি ব্যাগ এবং অ্যাগ্রো প্রসেসিং শিল্প গড়ে উঠেছে। এসব পণ্য ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন উপব্যবস্থাপক মাকরুজ্জামান বলেন, মোংলা ইপিজেড প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যই ছিল বন্দরের কার্যক্রম বাড়ানো। কাঁচামাল আমদানি এবং উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির ফলে মোংলা বন্দরের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
গ্যাস, বিমানবন্দর ও নিরাপত্তা সংকট
সম্ভাবনার পাশাপাশি রয়েছে বড় কিছু চ্যালেঞ্জ। গ্যাস-সংযোগ না থাকা, নাব্যতাসংকট, বিমানবন্দরের অভাব, সুন্দরবনের নিকটবর্তী অবস্থান এবং লবণাক্ত এলাকার কারণে শিল্প পরিচালনায় ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি লাগেজ বিডি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, মোংলায় বিমানবন্দর না থাকায় বিদেশি ক্রেতাদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়; পাশাপাশি ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় আলাদা থানা না থাকায় নিরাপত্তাঝুঁকিও রয়েছে।
পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিনলাইট বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হৃদয় হোসাইন বলেন, গ্যাস ছাড়া শিল্প উৎপাদন দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করা কঠিন। ২০০৭ সালে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ ছাড়া আমরা মোংলা বন্দরের সুবিধাও পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছি না। বন্দরে নাব্যতাসংকটের কারণে কনটেইনার জাহাজ আগমনের সংখ্যাও চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় অনেক কম। কনটেইনারপ্রতি খরচও বেশি।
সম্ভাবনার অপেক্ষায়
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক কালাম মো. আবুল বাসার বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, আদমজী ও কর্ণফুলী ইপিজেডে বর্তমানে কোনো প্লট খালি না থাকায় সাম্প্রতিককালে মোংলায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। গ্যাস-সংযোগ, বন্দর উন্নয়ন, বিমানবন্দর এবং নিরাপত্তা অবকাঠামো উন্নত করা গেলে মোংলা ইপিজেড দেশের রপ্তানি ও কর্মসংস্থানে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, আগে মোংলা এলাকার অর্থনীতি ছিল কৃষি ও চিংড়িনির্ভর। এখন শ্রমিকেরা টয়োটা গাড়ির হিটিং প্যাড, ভিআইপি লাগেজ ব্যাগ, টাওয়েল, ফ্যাশন উইগ, পাটজাত পণ্য, অ্যাগ্রো প্রসেসিং পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত আছেন। এসব পণ্য ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

গ্যাস-সংযোগ নেই, বিমানবন্দর নেই; রয়েছে নাব্যতাসংকট, নাগরিক সুবিধাও সীমিত—এত সব প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক দশকে ৪ গুণ রপ্তানি এবং প্রায় ১২ গুণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাফল্য দেখিয়েছে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)। এ সময় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্প ও অর্থনীতিতে মোংলা ইপিজেড হয়ে উঠেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।
বন্দরের পাশে গড়ে ওঠা শিল্পাঞ্চল
মোংলা ইপিজেড সূত্র জানায়, মোংলা বন্দরের সুবিধা কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে ১৯৯৮ সালে বন্দরের মাত্র ২৭০ মিটার দূরে ৩০২.৯৭ একর জমির ওপর ইপিজেডটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এখানে প্রায় ২ হাজার বর্গমিটার আয়তনের ২৭৮টি শিল্প প্লট রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৭৫টি প্লট এরই মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ৩৬টি কারখানা উৎপাদনে রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৩টি বিদেশি মালিকানাধীন, দুটি যৌথ উদ্যোগ এবং ১১টি দেশীয় প্রতিষ্ঠান। আরও ১১টি কারখানা চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
বিনিয়োগ ও রপ্তানিতে উল্লম্ফন
২০০১ সালে একটি কৃষি প্রক্রিয়াকরণ কারখানার মাধ্যমে মোংলা ইপিজেডের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম বছরে যেখানে মাত্র ১০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছিল, বর্তমানে সেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ কাজ করছেন।
২০১৫ সাল পর্যন্ত মোংলা ইপিজেডে মোট বিনিয়োগ ছিল ২৬৫ কোটি টাকা। ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সেই বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ১০ বছরে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। একই সময়ে রপ্তানি আয় বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা, যা এক দশক আগে ছিল ৪ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০ বছরে রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ।
বহুমুখী শিল্পে কর্মসংস্থান
বর্তমানে মোংলা ইপিজেডে তৈরি পোশাক, টাওয়েল, লাগেজ ও ট্রাভেল ব্যাগ, স্টিল টিউব, কার সিট হিটিং প্যাড, রাবার পণ্য, পরচুলা, পাটজাত পণ্য, পলি ব্যাগ এবং অ্যাগ্রো প্রসেসিং শিল্প গড়ে উঠেছে। এসব পণ্য ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন উপব্যবস্থাপক মাকরুজ্জামান বলেন, মোংলা ইপিজেড প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যই ছিল বন্দরের কার্যক্রম বাড়ানো। কাঁচামাল আমদানি এবং উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির ফলে মোংলা বন্দরের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
গ্যাস, বিমানবন্দর ও নিরাপত্তা সংকট
সম্ভাবনার পাশাপাশি রয়েছে বড় কিছু চ্যালেঞ্জ। গ্যাস-সংযোগ না থাকা, নাব্যতাসংকট, বিমানবন্দরের অভাব, সুন্দরবনের নিকটবর্তী অবস্থান এবং লবণাক্ত এলাকার কারণে শিল্প পরিচালনায় ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
ভারতীয় মালিকানাধীন ভিআইপি লাগেজ বিডি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, মোংলায় বিমানবন্দর না থাকায় বিদেশি ক্রেতাদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়; পাশাপাশি ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় আলাদা থানা না থাকায় নিরাপত্তাঝুঁকিও রয়েছে।
পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জিনলাইট বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হৃদয় হোসাইন বলেন, গ্যাস ছাড়া শিল্প উৎপাদন দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করা কঠিন। ২০০৭ সালে পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ ছাড়া আমরা মোংলা বন্দরের সুবিধাও পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছি না। বন্দরে নাব্যতাসংকটের কারণে কনটেইনার জাহাজ আগমনের সংখ্যাও চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় অনেক কম। কনটেইনারপ্রতি খরচও বেশি।
সম্ভাবনার অপেক্ষায়
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক কালাম মো. আবুল বাসার বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, আদমজী ও কর্ণফুলী ইপিজেডে বর্তমানে কোনো প্লট খালি না থাকায় সাম্প্রতিককালে মোংলায় বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। গ্যাস-সংযোগ, বন্দর উন্নয়ন, বিমানবন্দর এবং নিরাপত্তা অবকাঠামো উন্নত করা গেলে মোংলা ইপিজেড দেশের রপ্তানি ও কর্মসংস্থানে আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, আগে মোংলা এলাকার অর্থনীতি ছিল কৃষি ও চিংড়িনির্ভর। এখন শ্রমিকেরা টয়োটা গাড়ির হিটিং প্যাড, ভিআইপি লাগেজ ব্যাগ, টাওয়েল, ফ্যাশন উইগ, পাটজাত পণ্য, অ্যাগ্রো প্রসেসিং পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের কাজে নিয়োজিত আছেন। এসব পণ্য ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, ইতালি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির তীব্র চাপে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশের নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, যার বহিঃপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা। আমাদের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়।
০৮ জুলাই ২০২৩
আগুনে পুড়ে যাওয়া টাকা এখন আর ব্যাংকের শাখায় বদলানো যাবে না। এমন নোট নিয়ে গ্রাহককে যেতে হবে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টাকা ফেরত পেতে সময় লাগবে কমপক্ষে আট সপ্তাহ। অন্যদিকে ভিন্ন নোটের অংশ জোড়া লাগিয়ে বা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা নোট উপস্থাপন করলে শাস্তি হবে...
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা...
১ ঘণ্টা আগে
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগুনে পুড়ে যাওয়া টাকা এখন আর ব্যাংকের শাখায় বদলানো যাবে না। এমন নোট নিয়ে গ্রাহককে যেতে হবে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টাকা ফেরত পেতে সময় লাগবে কমপক্ষে আট সপ্তাহ। অন্যদিকে ভিন্ন নোটের অংশ জোড়া লাগিয়ে বা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা নোট উপস্থাপন করলে শাস্তি হবে সর্বোচ্চ—যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা জরিমানা।
নতুন নোট বিনিময় নির্দেশনা ইস্যুতে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, নতুন প্রবিধানে প্রচলিত নোটকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে—পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়া-ফাটা বা ক্ষতিগ্রস্ত, দাবিযোগ্য এবং আগুনে পোড়া নোট। এর মধ্যে ছেঁড়া-ফাটা, ক্ষতিগ্রস্ত ও অপ্রচলনযোগ্য নোট বিনিময় সেবা নিয়মিতভাবেই সব বাণিজ্যিক ব্যাংক শাখায় দিতে হবে। এসব নোটের জন্য গ্রাহককে বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে হবে না। শর্ত পূরণ হলে শাখা থেকেই সম্পূর্ণ বিনিময়মূল্য পরিশোধ করা হবে। শর্ত অনুযায়ী, নোটের মোট আয়তনের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ থাকতে হবে এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে শনাক্তযোগ্য হতে হবে। নোট দুই টুকরা হলে উভয় অংশ একই নোটের হতে হবে এবং সঠিকভাবে জোড়া লাগানো থাকতে হবে। তবে একাধিক নোটের অংশ জোড়া দিয়ে তৈরি ‘বিল্ট-আপ’ নোট বা কোনো জাল নোট উপস্থাপন করা যাবে না। এটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। জাল নোট প্রতিরোধ আইন, ২০২২ অনুযায়ী, এ অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
তবে আগুনে পোড়া নোটের ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। কোনো ব্যাংক শাখা এই ধরনের নোট বদলাতে বা এর বিপরীতে টাকা দিতে পারবে না। গ্রাহককে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটস্থ অফিসের হেল্প ডেস্ক বা দাবি শাখায় আবেদন করতে হবে। যাচাই শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক নোটের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং আবেদন জমা দেওয়ার সর্বোচ্চ আট সপ্তাহের মধ্যে অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত জানাবে। অনুমোদন মিললে টাকা জমা হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে।
দাবিযোগ্য নোটের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এসব নোটের জন্য শাখা পর্যায়ে সরাসরি টাকা দেওয়া যাবে না। নোট উপস্থাপনকারীকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে এবং পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। ব্যাংক শাখা আবেদন গ্রহণ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যু অফিসে পাঠাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের পর অর্থ পরিশোধ করা হবে।
গত ৯ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপনে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান, ২০২৫’ কার্যকর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগের ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট রিফান্ড রেগুলেশন ২০১২’ বাতিল হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, নোট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং গ্রাহক ভোগান্তি কমানোই নতুন নির্দেশনার মূল লক্ষ্য।

আগুনে পুড়ে যাওয়া টাকা এখন আর ব্যাংকের শাখায় বদলানো যাবে না। এমন নোট নিয়ে গ্রাহককে যেতে হবে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টাকা ফেরত পেতে সময় লাগবে কমপক্ষে আট সপ্তাহ। অন্যদিকে ভিন্ন নোটের অংশ জোড়া লাগিয়ে বা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা নোট উপস্থাপন করলে শাস্তি হবে সর্বোচ্চ—যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা জরিমানা।
নতুন নোট বিনিময় নির্দেশনা ইস্যুতে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, নতুন প্রবিধানে প্রচলিত নোটকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে—পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়া-ফাটা বা ক্ষতিগ্রস্ত, দাবিযোগ্য এবং আগুনে পোড়া নোট। এর মধ্যে ছেঁড়া-ফাটা, ক্ষতিগ্রস্ত ও অপ্রচলনযোগ্য নোট বিনিময় সেবা নিয়মিতভাবেই সব বাণিজ্যিক ব্যাংক শাখায় দিতে হবে। এসব নোটের জন্য গ্রাহককে বাংলাদেশ ব্যাংকে যেতে হবে না। শর্ত পূরণ হলে শাখা থেকেই সম্পূর্ণ বিনিময়মূল্য পরিশোধ করা হবে। শর্ত অনুযায়ী, নোটের মোট আয়তনের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ থাকতে হবে এবং নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে শনাক্তযোগ্য হতে হবে। নোট দুই টুকরা হলে উভয় অংশ একই নোটের হতে হবে এবং সঠিকভাবে জোড়া লাগানো থাকতে হবে। তবে একাধিক নোটের অংশ জোড়া দিয়ে তৈরি ‘বিল্ট-আপ’ নোট বা কোনো জাল নোট উপস্থাপন করা যাবে না। এটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। জাল নোট প্রতিরোধ আইন, ২০২২ অনুযায়ী, এ অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
তবে আগুনে পোড়া নোটের ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা। কোনো ব্যাংক শাখা এই ধরনের নোট বদলাতে বা এর বিপরীতে টাকা দিতে পারবে না। গ্রাহককে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটস্থ অফিসের হেল্প ডেস্ক বা দাবি শাখায় আবেদন করতে হবে। যাচাই শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক নোটের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং আবেদন জমা দেওয়ার সর্বোচ্চ আট সপ্তাহের মধ্যে অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত জানাবে। অনুমোদন মিললে টাকা জমা হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হিসাবে।
দাবিযোগ্য নোটের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এসব নোটের জন্য শাখা পর্যায়ে সরাসরি টাকা দেওয়া যাবে না। নোট উপস্থাপনকারীকে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে এবং পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। ব্যাংক শাখা আবেদন গ্রহণ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যু অফিসে পাঠাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তের পর অর্থ পরিশোধ করা হবে।
গত ৯ অক্টোবর জারি করা প্রজ্ঞাপনে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান, ২০২৫’ কার্যকর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আগের ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট রিফান্ড রেগুলেশন ২০১২’ বাতিল হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, নোট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং গ্রাহক ভোগান্তি কমানোই নতুন নির্দেশনার মূল লক্ষ্য।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির তীব্র চাপে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশের নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, যার বহিঃপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা। আমাদের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়।
০৮ জুলাই ২০২৩
গ্যাস-সংযোগ নেই, বিমানবন্দর নেই; রয়েছে নাব্যতাসংকট, নাগরিক সুবিধাও সীমিত—এত সব প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক দশকে ৪ গুণ রপ্তানি এবং প্রায় ১২ গুণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাফল্য দেখিয়েছে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)। এ সময় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা...
১ ঘণ্টা আগে
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেমাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাইতে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় সংশোধিত পর্যায়ে আরও দুই বছর বৃদ্ধির পরও সেই সময়সীমা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত আরও ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। অথচ প্রকল্পের কাজের বড় অংশের বাস্তব অগ্রগতি সেই শূন্যতেই আটকে আছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পাঁচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। অথচ প্রায় সাড়ে চার বছরেও বেজা তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমির সমস্যা এখনো মেটাতে পারেনি। আর জমি জটিলতা না কাটায় সেখানে এক ইঞ্চি কাজও এগোয়নি; বরং কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির। আর বাকি দুই অঞ্চলে ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ এগোলেও চারদিক ঘিরে সীমানাপ্রাচীর বা গেট নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় সড়ক উন্নয়নকাজও পুরোপুরি অসম্পূর্ণ থাকায় সেখানে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর সুযোগও তৈরি হয়নি। ফলে অগ্রগতির অংশেও প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছায়নি।
এই বাস্তবতায় আশানুরূপ অগ্রগতির প্রত্যাশায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তৃতীয়বারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইএমইডি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন দল। প্রস্তাবটি বর্তমানে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় অনুমোদন পেলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে।
তবে এই বর্ধিত সময়ের মধ্যেও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গভীর শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য সাবেক প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, নানা বাস্তবতায় অতিরিক্ত সময়েও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার কারণ জানতে আইএমইডির সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের আওতাভুক্ত পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সাবরাং, সোনাদিয়া ও নাফ ট্যুরিজম পার্কে এখনো জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়নি। ফলে এসব এলাকায় কাজ শুরু করা যায়নি।
অন্যদিকে জামালপুর সদর ও মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি হস্তান্তরের পর ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ হলেও সড়ক নির্মাণ অসম্পূর্ণ থাকায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন সম্ভব হয়নি।
আইএমইডির ভাষ্য অনুযায়ী, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছিল। তবে জমি হস্তান্তরে বিলম্ব, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত জটিলতা, সমন্বয়ের ঘাটতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে সড়ক নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। এসব কারণই প্রকল্পের অগ্রগতির প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর মেলেনি। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি বিভাগের সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের জুলাইতে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় সংশোধিত পর্যায়ে আরও দুই বছর বৃদ্ধির পরও সেই সময়সীমা ছাড়িয়ে অতিরিক্ত আরও ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। অথচ প্রকল্পের কাজের বড় অংশের বাস্তব অগ্রগতি সেই শূন্যতেই আটকে আছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পাঁচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ দেওয়ার কথা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। অথচ প্রায় সাড়ে চার বছরেও বেজা তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমির সমস্যা এখনো মেটাতে পারেনি। আর জমি জটিলতা না কাটায় সেখানে এক ইঞ্চি কাজও এগোয়নি; বরং কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির। আর বাকি দুই অঞ্চলে ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ এগোলেও চারদিক ঘিরে সীমানাপ্রাচীর বা গেট নির্মাণের কাজ শুরুই হয়নি। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় সড়ক উন্নয়নকাজও পুরোপুরি অসম্পূর্ণ থাকায় সেখানে অপটিক্যাল ফাইবার বসানোর সুযোগও তৈরি হয়নি। ফলে অগ্রগতির অংশেও প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছায়নি।
এই বাস্তবতায় আশানুরূপ অগ্রগতির প্রত্যাশায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় তৃতীয়বারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই প্রকল্পের সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইএমইডি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শন দল। প্রস্তাবটি বর্তমানে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় অনুমোদন পেলে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে।
তবে এই বর্ধিত সময়ের মধ্যেও প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গভীর শঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদ্য সাবেক প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবির জানান, নানা বাস্তবতায় অতিরিক্ত সময়েও প্রকল্প সম্পন্ন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ার কারণ জানতে আইএমইডির সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো পরিদর্শন করে। পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্পের আওতাভুক্ত পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সাবরাং, সোনাদিয়া ও নাফ ট্যুরিজম পার্কে এখনো জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হয়নি। ফলে এসব এলাকায় কাজ শুরু করা যায়নি।
অন্যদিকে জামালপুর সদর ও মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি হস্তান্তরের পর ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশ হলেও সড়ক নির্মাণ অসম্পূর্ণ থাকায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন সম্ভব হয়নি।
আইএমইডির ভাষ্য অনুযায়ী, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যেই কাজ শুরু করা হয়েছিল। তবে জমি হস্তান্তরে বিলম্ব, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত জটিলতা, সমন্বয়ের ঘাটতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে সড়ক নির্মাণকাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। এসব কারণই প্রকল্পের অগ্রগতির প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর মেলেনি। আর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি বিভাগের সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির তীব্র চাপে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশের নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, যার বহিঃপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা। আমাদের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়।
০৮ জুলাই ২০২৩
গ্যাস-সংযোগ নেই, বিমানবন্দর নেই; রয়েছে নাব্যতাসংকট, নাগরিক সুবিধাও সীমিত—এত সব প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক দশকে ৪ গুণ রপ্তানি এবং প্রায় ১২ গুণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাফল্য দেখিয়েছে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)। এ সময় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগুনে পুড়ে যাওয়া টাকা এখন আর ব্যাংকের শাখায় বদলানো যাবে না। এমন নোট নিয়ে গ্রাহককে যেতে হবে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টাকা ফেরত পেতে সময় লাগবে কমপক্ষে আট সপ্তাহ। অন্যদিকে ভিন্ন নোটের অংশ জোড়া লাগিয়ে বা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা নোট উপস্থাপন করলে শাস্তি হবে...
১ ঘণ্টা আগে
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকার একটি সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বন্ডটি অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) তালিকাভুক্ত করতে হবে।
আজ বুধবার ৯৮৮তম কমিশন সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
বিএসইসি জানায়, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, কুপন বিয়ারিং সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব কমিশন সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ডটি হবে আনসিকিউরড, অর্থাৎ এর বিপরীতে ব্যাংক কোনো নির্দিষ্ট সম্পদ জামানত হিসেবে রাখছে না। একই সঙ্গে এটি নন-কনভার্টিবল, ফলে ভবিষ্যতে এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকবে না। তবে বন্ডটি ফুললি রিডিমেবল, অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের সম্পূর্ণ মূল টাকা ফেরত পাবেন।
এই বন্ডের কুপন রেট বা সুদের হার হবে ফ্লোটিং রেট, অর্থাৎ বাজারভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ওঠানামা করবে। বন্ডটি কুপন বিয়ারিং, ফলে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময় পরপর সুদ পাবেন।
বন্ডটির কুপন রেট নির্ধারণ করা হয়েছে রেফারেন্স রেটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ কুপন মার্জিন যোগ করে। অর্থাৎ, যদি রেফারেন্স রেট ৮ শতাংশ হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মোট ১১ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। ভবিষ্যতে রেফারেন্স রেট বাড়লে বা কমলে বন্ডের কুপন রেটও সেই অনুযায়ী পরিবর্তিত হবে।
এই বন্ড প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, উচ্চসম্পদশালী ব্যক্তি, স্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলো এতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে। বন্ডটির প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
বিএসইসি জানায়, এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ ব্যাসেল–৩ নীতিমালার অধীনে ইস্টার্ন ব্যাংকের টায়ার-২ মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক এই নীতিমালার লক্ষ্য হলো ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততা বাড়ানো এবং আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা জোরদার করা।
ব্যাংকিং খাতে টায়ার-২ মূলধনের মধ্যে সাধারণত সাব-অর্ডিনেট বন্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে, যা দেউলিয়াত্বের ক্ষেত্রে আমানতকারী ও অন্যান্য বড় ঋণের পরে পরিশোধযোগ্য। এ কারণে এসব বন্ড তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য সুদের হার সাধারণত বেশি হয়ে থাকে।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি। আর ইস্যুর অ্যারেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির তীব্র চাপে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশের নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, যার বহিঃপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নেতিবাচক ধারা। আমাদের মোট তৈরি পোশাক রপ্তানির ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়।
০৮ জুলাই ২০২৩
গ্যাস-সংযোগ নেই, বিমানবন্দর নেই; রয়েছে নাব্যতাসংকট, নাগরিক সুবিধাও সীমিত—এত সব প্রতিকূলতার মধ্যেও গত এক দশকে ৪ গুণ রপ্তানি এবং প্রায় ১২ গুণ বিনিয়োগ বৃদ্ধির সাফল্য দেখিয়েছে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)। এ সময় প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আগুনে পুড়ে যাওয়া টাকা এখন আর ব্যাংকের শাখায় বদলানো যাবে না। এমন নোট নিয়ে গ্রাহককে যেতে হবে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর টাকা ফেরত পেতে সময় লাগবে কমপক্ষে আট সপ্তাহ। অন্যদিকে ভিন্ন নোটের অংশ জোড়া লাগিয়ে বা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা নোট উপস্থাপন করলে শাস্তি হবে...
১ ঘণ্টা আগে
সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সমন্বয়হীনতা এবং দায়িত্বে অবহেলার যে উদাহরণ প্রায়ই দেখা যায়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প সেই সংকটকে আরও স্পষ্ট করেছে। দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে (ইজেড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক তৈরির উদ্দেশ্যে ৯৫ কোটি ১২ লাখ টাকা...
১ ঘণ্টা আগে