Ajker Patrika

ব্যাংকের মালিক হয়ে ১২৫০ কোটি ডলার আত্মসাৎ, মৃত্যুদণ্ডের মুখে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ী

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩: ৩০
ব্যাংকের মালিক হয়ে ১২৫০ কোটি ডলার আত্মসাৎ, মৃত্যুদণ্ডের মুখে ভিয়েতনামের ব্যবসায়ী

ভিয়েতনামের এক শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী ১ হাজার ২৫০ ডলার আত্মসাতের মামলায় কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে বড় অর্থ তছরুপের মামলা এটি। আজ বৃহস্পতিবার তিনিসহ কয়েক ডজন আসামির বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। এখন রায় ঘোষণার অপেক্ষা।

ভিয়েতনাম এক্সপ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত ট্রুং মাই ল্যান একটি ডেভেলপার কোম্পানির চেয়ারপারসন। তিনি ভিয়েতনামের সাইগন কমার্শিয়াল ব্যাংক (এসসিবি) থেকে এক দশক ধরে জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উঠে এসেছে। 

ল্যান এবং অন্য ৮৫ জন পাঁচ সপ্তাহের বিচারকার্যের পরে ভিয়েতনামের ব্যবসাকেন্দ্র হো চি মিন সিটিতে আদালতের রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। অভিযুক্তদের তালিকায় সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তা, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এবং পূর্ববর্তী এসসিবি নির্বাহীরা রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি এবং ব্যাংকিং আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। 

তবে ল্যান অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর অধস্তনদের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। তাঁর আইনজীবীরা বলেছেন, তিনি কোনো ধরনের তছরুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, কারণ এসসিবিতে তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক পদ নেই। 

তবে বিচারকেরা এই যুক্তি মানেননি। তাঁরা বলেছেন, এসসিবি ব্যাংকের ৯১ দশমিক ৫ শতাংশের শেয়ারের মালিক ল্যান। সুতরাং ব্যাংকে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। প্রকৃতপক্ষে তিনিই ব্যাংকের মালিক। তিনিই ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা নিয়োগেও তাঁর হাত ছিল। 

অন্যান্য আসামির সাক্ষ্য এবং তদন্তের সময় সংগৃহীত নথিপত্র নির্দেশ করে যে, ল্যান পরোক্ষভাবে তিনটি ঋণদাতা সংস্থা—এসসিবি, দে নাত এবং তিন এনগিয়াতে বিপুলসংখ্যক শেয়ারের মালিক ছিলেন। পরবর্তী দুটি সংস্থাকে এসসিবিতে একীভূত করা হয়। 

এরপর ব্যক্তিগত ব্যয় এবং নিজের আবাসন কোম্পানি ভ্যান থিন ফাত পরিচালনায় অর্থায়নের জন্য একটি আর্থিক উপকরণ বা উৎস হিসেবে তিনি এসসিবিকে ব্যবহার করেছেন। 

২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ল্যান ৩৬৮টি ঋণ অনুমোদনের নির্দেশ দিয়েছেন। জামানত কেটে নেওয়ার পরে এই ঋণগুলোর কারণে ২০২২ পর্যন্ত (ওই বছর ল্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়) এসসিবি ব্যাংকের লোকসান দাঁড়ায় ৬৪ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ভিয়েতনামি দং (ভিয়েতনামের মুদ্রা)। এই সময়ের মধ্যে ল্যান ব্যাংকিং বিধি লঙ্ঘন করে ঋণগুলো শ্রেণিবদ্ধ করেন। 

২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ল্যান ৯১৬টি ঋণ অনুমোদনের নির্দেশ দেন। এই সময়ে তিনি ৩০৪ ট্রিলিয়ন ভিয়েতনামি দং তছরুপ করেছেন। এতে ব্যাংকের ক্ষতি হয়েছে ১৩০ ভিয়েতনামি দং। 

ভিয়েতনামে ২০১৮ সাল থেকে বেসরকারি খাতের ব্যক্তিদের অর্থ তছরুপকে ফৌজদারি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ কারণে ল্যানের বিরুদ্ধে মামলাটি আত্মসাৎ হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

প্রসিকিউটররা ল্যানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আদালতের রায় তেমন হলে এ ধরনের মামলায় এটি একটি অস্বাভাবিক কঠোর শাস্তি হবে। 

বহু দিন ধরেই এ মামলা চলছে। এই ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিয়েতনামের অভিজাত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মকর্তাকে নাড়া দিয়েছে। 

এদিকে ল্যান গত সপ্তাহে আদালতে তাঁর শেষ মন্তব্যে বলেছেন, তিনি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, ‘হতাশার মধ্যে ডুবে গিয়ে আমি মৃত্যুর কথা ভেবেছিলাম। আমি এতটাই ক্ষুব্ধ যে, এই অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যবসায়িক পরিবেশে জড়িয়ে পড়ার জন্য আমি এতটা বোকা ছিলাম! ব্যাংকিং সেক্টর সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুব কম।’ 

২০২২ সালের অক্টোবরে ল্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় শত শত মানুষ রাজধানী হ্যানয় এবং হো চি মিন সিটিতে বিক্ষোভ শুরু করে। একদলীয় কমিউনিস্ট রাষ্ট্রে এটি ছিল বিরল ঘটনা। 

গতকাল বুধবার হ্যানয়ে স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনামের বাইরে প্রচুর পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেছে। এখানেই এর আগে বিক্ষোভ হয়েছিল। পুলিশ এই আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রায় ৪২ হাজার ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করেছে। এ ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির সরকার ও সাধারণ মানুষ হতবাক হয়েছে। 

ল্যান বিয়ে করেছেন হংকংয়ের একজন ধনী ব্যবসায়ীকে। তিনিও এখন বিচারাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে এসসিবি থেকে ঋণ নিতে জাল নথিপত্র ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে। ল্যান এই ব্যাংকের ৯০ শতাংশের বেশি শেয়ারের মালিক ছিলেন। 

ল্যানের জালিয়াতির অর্থের পরিমাণ ২০২২ সালে ভিয়েতনামের জিডিপির প্রায় তিন শতাংশের সমান। ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব তছরুপের ঘটনা ঘটেছে।

প্রসিকিউটরেরা বলেছেন, বিচার চলাকালীন তাঁরা ল্যানের এক হাজারেরও বেশি আবাসন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন। 

কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন এবং দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতি লুকানোর জন্য ল্যান এবং কিছু এসসিবি কর্মকর্তা সরকারি কর্মকর্তাদের ৫২ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছেন। ভিয়েতনামের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ ঘুষের রেকর্ড। 

স্টেট ব্যাংক অব ভিয়েতনামের পরিদর্শক দলের সাবেক প্রধান ডো থি নানকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, বিচার চলাকালীন এসসিবির প্রাক্তন সিইও ভো তান ভ্যান তাঁকে স্টাইরোফোম বাক্সে করে নগদ অর্থ পাঠিয়েছিলেন। তবে তিনি বুঝতে পেরে বাক্সগুলো ফেরত দেন। কিন্তু ভ্যান সেগুলো ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেন। 

ভিয়েতনামে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে ২০২১ সাল থেকে ১ হাজার ৭০০ টিরও বেশি দুর্নীতির মামলায় ৪ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। 

একজন শীর্ষস্থানীয় ভিয়েতনামি আবাসন ব্যবসায়ী তান হোয়াং মিন গ্রুপের প্রধান দো আন দং ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বন্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার দায়ে গত মাসে আট বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন। তাঁর মাধ্যমে হাজার হাজার বিনিয়োগকারীকে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন

এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

  • পাঁচ মাসেই ব্যয় কমেছে ৬ হাজার কোটি।
  • শুধু নভেম্বরে ব্যয় কমেছে ৪ হাজার কোটি।
  • সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট।
  • নির্বাচন ইস্যুতে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।

শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।

প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।

গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।  

আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।

ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৬
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।

পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’

১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।

পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনার দাম ভরিতে ১৪৭০ টাকা বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।

এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বিষয়:

দামসোনা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি-জামায়াত মারামারি, আহত ১৫

বগুড়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

রাবিতে ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস’ প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত