Ajker Patrika

প্রশ্নবিদ্ধ নেতৃত্বে দুর্বল অবস্থানে রূপালী ব্যাংক

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আপডেট : ২৭ মে ২০২৪, ০৮: ৫৮
প্রশ্নবিদ্ধ নেতৃত্বে দুর্বল অবস্থানে রূপালী ব্যাংক

মাথায় খেলাপি ঋণের বিশাল বোঝা। বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতিও। পরপর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ফলে মান নেমে এসেছে জেড ক্যাটাগরিতে। নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত এই প্রতিষ্ঠানের নাম রূপালী ব্যাংক পিএলসি। শীর্ষ নেতৃত্বের অদক্ষতার কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির এমন দুর্দশা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

২০২২ সালের ১৪ আগস্ট থেকে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সূচকে দিন দিন খারাপ হতে থাকে ব্যাংকটির অবস্থা। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, যা তখন পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। কিন্তু গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকটির বিতরণকৃত ঋণের ১৭ দশমিক ৮১ শতাংশই এখন খেলাপির খাতায়। খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণও বাড়ছে। গত বছর শেষে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। 

ব্যাংকের এমন দশার কারণে বর্তমান এমডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রূপালী ব্যাংকে পেশাদার ও অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা নেতৃত্ব দিয়েছেন। সময়ে সময়ে ব্যাংকটি বিভিন্ন সংকটে পড়লেও তাঁদের পেশাদারত্বে ভর করে মোটামুটি সফলতার সঙ্গেই এগিয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নিজের পুরো কর্মজীবন এই ব্যাংকে কাটালেও তাঁর নিয়োগ, শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ অনেক কিছুই ব্যাংকটির শীর্ষ ওই পদকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

রূপালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বর্তমান এমডির পরিচিতিতে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ১৯৯০ সালে অফিসার হিসেবে রূপালী ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। একই তথ্য তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগেও (এফআইডি) দিয়েছেন। কিন্তু ব্যাংকটির মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১-এর জনবল ও সাংগঠনিক কাঠামোতে বলা হয়েছে, ১৯৮৬ সালে রূপালী ব্যাংক লিমিটেডকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের মাধ্যমে বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়ার কারণে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১২ বছরের বেশি সময় ধরে অফিসার পদে জনবল নিয়োগ বন্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৮, ২০০০, ২০০১ ও ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে কর্মকর্তা এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। যেখানে ১২ বছর ধরে ব্যাংকে অফিসার নিয়োগ বন্ধ ছিল, সেখানে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কীভাবে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এমডি হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আগে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ডিএমডি পদে থাকা অবস্থায় রূপালী ব্যাংকের স্থায়ী পদ থেকে অবসরে যান। পরে অবসরোত্তর যে সুবিধা তিনি নিয়েছেন, তাতে ১৯৮৫ সাল থেকেই তাঁর কর্মকাল গণনা করা হয়। অর্থাৎ ১৯৯০ সালে কর্মকর্তা পদে নিয়োগের যে তথ্য এফআইডিতে তিনি দিয়েছেন, তার সত্যতা নেই। প্রকৃত সত্য হলো, তিনি ১৯৮৫ সালের ১৯ জানুয়ারি রূপালী ব্যাংকে কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি অফিসার হন। 

এসব বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা বিশেষ গোষ্ঠীর মাতামাতি ছাড়া কিছু না। কারও অমূলক কথায় কর্ণপাত করা সমীচীন হবে না। যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও একাগ্রতার বলেই আজ শীর্ষ পদে থেকে ব্যাংকটির নেতৃত্ব দিতে পারছি। সামনে অনেক দূর যেতে চাই। এখন ব্যাংকটি ভালো চলছে।’ 

দুই পরীক্ষায় তৃতীয় শ্রেণি
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি বা বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না। অথচ রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক (বিকম) দুই পরীক্ষাতেই তৃতীয় শ্রেণি নিয়ে পাস করেছেন। শিক্ষাজীবনে দুটি তৃতীয় শ্রেণি পাওয়ার পরও ২০২২ সালে রূপালী ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। 

দুটি তৃতীয় শ্রেণি থাকার পরও রূপালী ব্যাংকের বর্তমান এমডির নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগ নিয়োগের জন্য প্রস্তাব পাঠায়। আমরা শিক্ষাগত যোগ্যতা, খেলাপি এবং অন্যান্য অভিজ্ঞতা যাচাই করে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য অনুমোদন (অ্যাপ্রুভাল) দিয়ে থাকি। বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাপ্রুভালের ওপর ভিত্তি করে নিয়োগ দেয় এফআইডি। বিশেষ কেউ নন; যিনিই নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাঁর শাস্তি হবে।’ 

এসব বিষয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিয়ম মেনেই নিয়োগ হয়েছে। আর জালিয়াতির বিষয়ে কাগজপত্র না দেখে এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলব না।’ 

রূপালী ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা, ২০১১ অনুযায়ী, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের ক্ষেত্রে জুনিয়র অফিসার হিসেবে ২ বছরের চাকরিসহ ব্যাংকে ৬ বছরের কর্মের অভিজ্ঞতা জরুরি। কর্মকর্তা পদে তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়। আর রূপালী ব্যাংক (কর্মচারী) চাকরি প্রবিধানাবলি, ১৯৮১ বলছে, সরাসরি কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে সরাসরি নিয়োগে বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর ও সর্বোচ্চ ২৫ বছর। কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির জন্য প্রথমত স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার দুই পার্ট ডিপ্লোমা পাসসহ ন্যূনতম ৪ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি কোনো কর্মচারী ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স পরীক্ষার এক পার্ট পাসসহ ন্যূনতম ৫ বছর ব্যাংকে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া স্নাতক পাস কোনো কর্মচারী ৬ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেই কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। তিনি ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পার্ট-১ পাস করেন ১৯৯৯ সালে এবং পার্ট-২ ২০০৮ সালে। এ ক্ষেত্রেও নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইএমইডির নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন

এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

  • পাঁচ মাসেই ব্যয় কমেছে ৬ হাজার কোটি।
  • শুধু নভেম্বরে ব্যয় কমেছে ৪ হাজার কোটি।
  • সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট।
  • নির্বাচন ইস্যুতে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এডিপি বাস্তবায়নে বড় ধাক্কা

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই সরকারের উন্নয়ন ব্যয় আশঙ্কাজনকভাবে ধীর হয়ে পড়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন যেমন প্রত্যাশার তুলনায় অনেক পিছিয়ে, তেমনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বয় ঘাটতি, প্রশাসনিক টানাপোড়েন ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাবও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বড় হলেও বাস্তব অগ্রগতি একেবারেই হতাশাজনক।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর—এই পাঁচ মাসে উন্নয়ন ব্যয় হয়েছে ২৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের মাত্র ১১.৭৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় পিছিয়ে আছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প যেন এগোচ্ছেই না। সরকারি তহবিল, বৈদেশিক সহায়তা ও সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন—প্রকল্প বাস্তবায়নে উন্নয়ন ব্যয়ের এ তিন উৎসের প্রতিটিতেই যেন মন্থরতা লক্ষণীয়।

শুধু অর্থবছরের সার্বিক পরিস্থিতিই নয়, এডিপির মাসওয়ারি অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, নভেম্বর মাসের তথ্য আরও চিন্তার। এই এক মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে ৮ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার মতো, যেখানে আগের বছরের নভেম্বরেই ব্যয় ছিল ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এক মাসেই ব্যয় কমে গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির হার মাত্র ৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ধীরগতি কোনো স্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা নয়; বরং প্রকল্প ব্যবস্থাপনার ভেতরে জমে থাকা নানা অচলাবস্থার ফল।

প্রকল্প অনুমোদনে বিলম্ব, টেন্ডারপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়া, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, মাঠপর্যায়ে প্রকৌশল বিভাগগুলোর সংকোচন—এসব মিলেই উন্নয়ন ব্যয় জমে থাকছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনে তৈরি হওয়া মন্থরতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধা। আইএমইডি কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে পুরো প্রশাসনিক কাঠামো একধরনের অচল অবস্থায় ছিল, যার ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটেনি।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ব্যয়ে বৈষম্যও স্পষ্ট। বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সংসদবিষয়ক সচিবালয় মন্ত্রণালয় পাঁচ মাসে এক টাকাও ব্যয় করতে পারেনি। কিছু বিভাগ অগ্রগতি দেখালেও, তা সমগ্র চিত্র বদলে দেওয়ার মতো নয়। বিপরীতে খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ১৩২.৭৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বরাদ্দের চেয়েও বেশি ব্যয়—এটি চলমান প্রকল্পগুলোর প্রকৃত অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আইএমইডির মতে, প্রকৃত ব্যয় ও আর্থিক প্রতিবেদনের মধ্যকার এ ধরনের ব্যবধান ভবিষ্যতে প্রকল্প মূল্যায়নকে আরও জটিল করে তুলবে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলছেন, ‘বাস্তবায়নের হার স্পষ্টতই কম। শুধু সংখ্যা নয়, কেন এই অবস্থা, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন থাকায় ব্যবস্থাপনায় আরও ধীরতা দেখা দিতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফিন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইএনএম) নির্বাহী পরিচালক মুস্তফা কে মুজেরী এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত কিছুটা ধীরতা দেখা গেলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। নির্বাচনকালীন প্রশাসন সাধারণত ঝুঁকিনির্ভর হয় না, ফলে প্রকল্পের গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

সব মিলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, প্রশাসনিক দ্বিধা এবং মাঠপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণহীনতা মিলিয়ে এডিপি বাস্তবায়ন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, তা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন খুব কঠিন—এমনটি ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পনা কমিশনের ভেতরেও।

চলতি অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রথম পাঁচ মাসে যে গতি দেখা গেছে, তাতে বছরের শেষে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন আদৌ সম্ভব হবে কি না, সে প্রশ্ন এখন আরও তীব্র হয়ে উঠছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত
ভারতীয় রুপি ও মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহিত

যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান আরও ২৩ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ০১-এ পৌঁছেছে। ডলারের বিপরীতে এখন পর্যন্ত এটিই রুপির সর্বনিম্ন দর। ধারাবাহিক বিদেশি তহবিলের প্রস্থান, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনায় স্থবিরতা এবং স্থায়ী ডলার ক্রয়কে এই পতনের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, গতকাল মঙ্গলবার দিনের শুরুতে রুপি ৩৬ পয়সা কমে ৯১ দশমিক ১৪-এ পৌঁছায়, যা ইতিহাসের সর্বনিম্ন, পরে সামান্য পুনরুদ্ধার হয়। যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে এবং ডলারের শক্তি কিছুটা কমেছে, তারপরও রুপির পতন অব্যাহত রয়েছে।

গত ১০টি লেনদেনের দিনে রুপি ৯০ থেকে ৯১-এর মধ্যে ওঠানামা করেছে। শুধু গত পাঁচ দিনে রুপির মান ডলারের তুলনায় ১ শতাংশ কমেছে। মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের বিপরীতে রুপির দাম চলতি মাসে ৯২ ছাড়িয়ে যাবে।  

আজ মঙ্গলবার আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা রুপি ৯০ দশমিক ৮৭ থেকে লেনদেন শুরু হয়। পরে ৯০ দশমিক ৭৬ থেকে ৯১ দশমিক ১৪-এর মধ্যে ওঠানামা করে। শেষে ৯১ দশমিক ০১-এ বন্ধ হয়। গত সোমবার রুপি ৯০ দশমিক ৭৮-এ বন্ধ হয়েছিল, যা আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়সা কম।

ফিনরেক্স ট্রেজারি অ্যাডভাইজার্সের হেড অব ট্রেজারি অনিল কুমার বানসালি বলেন, ‘ডলারের ক্রয় অব্যাহত থাকায় রুপি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের নতুন বাণিজ্য প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় চুক্তি স্থগিত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫৬
যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের আবেদন করল পেপ্যাল

ডিজিটাল পেমেন্ট কোম্পানি পেপ্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এটি পেপ্যাল ব্যাংক তৈরি করার জন্য ইউটাহ ডিপার্টমেন্ট অব ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এবং ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে আবেদন জমা দিয়েছে।

পেপ্যালের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রিস বলেন, ‘পুঁজির নিরাপত্তা ছোট ব্যবসাগুলোর বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা। পেপ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা ছোট ব্যবসার উন্নয়ন এবং মার্কিন অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারব।’

১৯৯৮ সালে ইলন মাস্ক ও পিটার থিয়েল পেপ্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি গ্রাহককে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। মার্কিন ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার পর কোম্পানি তৃতীয় পক্ষের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গ্রাহকের আমানতকে ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশনে বিমার আওতায় আনতে পারবে।

পেপ্যালের আবেদন এসেছে এমন সময়ে, যখন একাধিক ক্রিপ্টো কোম্পানি এবং নিওব্যাংক এই বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি সুবিধা নিয়ে নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং খাতে প্রবেশের সুযোগ গ্রহণের চেষ্টা করছে। এ বছরের মধ্যে নুবাঙ্ক, কয়েনবেসসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকিং চার্টারের জন্য আবেদন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সোনার দাম ভরিতে ১৪৭০ টাকা বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৭০ টাকা। এতে এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা হয়েছে।

স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ৩ হাজার ৪৪২ টাকা এবং ১২ ডিসেম্বর ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। এই দাম বাড়ানোর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন আবার দাম বাড়ানো হলো।

এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ৪১১ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ১ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৬৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।

বিষয়:

দামসোনা
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

মুজিব বাহিনীর গণহত্যার প্রতিক্রিয়া ২৫ মার্চে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্র্যাকডাউন: জামায়াত নেতা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত