আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
রাখাইনে গৃহযুদ্ধ থামছে না। তার ছায়ায় টানা দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ফলে সরকার হারিয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব। বন্দরভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য ভেঙে পড়েছে, কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শত শত শ্রমিক। ছোট্ট একটি নদী নাফ; কিন্তু তার ওপারেই এখন গোলার আওয়াজ, বন্দুকের শব্দ, মৃত্যু আর অনিশ্চয়তা। আর এপারে, বেকার সময়ের ভারে নুয়ে পড়েছে টেকনাফ বন্দর ও তার হাজারো নির্ভরশীল মুখ।
২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে নতুন করে সংঘর্ষে জড়ায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মি (এএ)। তার পর থেকে একটানা থেমে গেছে সীমান্তপারের স্বাভাবিক বাণিজ্য। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আর কোনো পণ্য আসছে না, যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে দু-একটি পণ্যবাহী নৌযান এলেও তা এমনভাবে অনুমতির কড়াকড়িতে বন্দী যে স্বাভাবিক ব্যবসা তো নয়ই, টিকে থাকার লড়াইটাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সোহেল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হতো। সেই হিসাবে গত দেড় বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার রাজস্ববঞ্চিত হয়েছে সরকার।
কাস্টমসের হিসাবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে এই বন্দর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩০৯ কোটি টাকার বেশি। পরের অর্থবছর ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৪০ কোটি টাকায়। কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে একলাফে তা নেমে আসে ৪০৪ কোটিতে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে আয় হয়েছে মাত্র ১০৯ কোটি টাকা।
পরিসংখ্যান বলছে, একই সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণও তীব্রভাবে কমেছে। ২০২১-২২ সালে যেখানে আমদানি হয়েছিল ২ লাখ ৩২ হাজার টনের বেশি, রপ্তানি হয়েছিল ২০ হাজার টন, সেখানে চলতি অর্থবছরে আমদানি কমে এসেছে মাত্র ১৫ হাজার টনে, আর রপ্তানি কার্যত নেই বললেই চলে।
এই বন্দর দিয়ে মূলত মাছ, কাঠ, সুপারি, আদা, নারকেল, শুঁটকি, আচারসহ নানা পণ্য আমদানি হতো। এখন জেটি খালি পড়ে আছে। পণ্য ওঠানো-নামানোর শ্রমিকেরা দিনের পর দিন বেকার বসে আছেন। পণ্যবাহী ট্রলার নেই, নেই বন্দরের চিরচেনা কোলাহল। সব যেন থমকে গেছে এক যুদ্ধের অজানা পরিণতির অপেক্ষায়।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলার ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে। সেই পরিস্থিতিতে সীমান্ত বাণিজ্য চালু হবে কি না, তা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
টেকনাফের বিপরীতে মিয়ানমারের মংডু শহরের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। এই ছোট্ট ব্যবধানেই এখন থমকে আছে একসময়ের জমজমাট সীমান্ত বাণিজ্য। শান্তি না ফিরলে সেই অচলাবস্থার ইতি কবে হবে, তা জানে না কেউ। আর তত দিন পর্যন্ত টেকনাফ বন্দরে শুধু অপেক্ষা, ক্ষয় আর লোকসানের হিসাবই জমা হবে।
রাখাইনে গৃহযুদ্ধ থামছে না। তার ছায়ায় টানা দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ফলে সরকার হারিয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব। বন্দরভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজ্য ভেঙে পড়েছে, কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শত শত শ্রমিক। ছোট্ট একটি নদী নাফ; কিন্তু তার ওপারেই এখন গোলার আওয়াজ, বন্দুকের শব্দ, মৃত্যু আর অনিশ্চয়তা। আর এপারে, বেকার সময়ের ভারে নুয়ে পড়েছে টেকনাফ বন্দর ও তার হাজারো নির্ভরশীল মুখ।
২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরে নতুন করে সংঘর্ষে জড়ায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মি (এএ)। তার পর থেকে একটানা থেমে গেছে সীমান্তপারের স্বাভাবিক বাণিজ্য। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আর কোনো পণ্য আসছে না, যাচ্ছে না। মাঝেমধ্যে দু-একটি পণ্যবাহী নৌযান এলেও তা এমনভাবে অনুমতির কড়াকড়িতে বন্দী যে স্বাভাবিক ব্যবসা তো নয়ই, টিকে থাকার লড়াইটাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
টেকনাফ শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সোহেল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হতো। সেই হিসাবে গত দেড় বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার রাজস্ববঞ্চিত হয়েছে সরকার।
কাস্টমসের হিসাবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে এই বন্দর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩০৯ কোটি টাকার বেশি। পরের অর্থবছর ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৪০ কোটি টাকায়। কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে একলাফে তা নেমে আসে ৪০৪ কোটিতে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে আয় হয়েছে মাত্র ১০৯ কোটি টাকা।
পরিসংখ্যান বলছে, একই সঙ্গে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণও তীব্রভাবে কমেছে। ২০২১-২২ সালে যেখানে আমদানি হয়েছিল ২ লাখ ৩২ হাজার টনের বেশি, রপ্তানি হয়েছিল ২০ হাজার টন, সেখানে চলতি অর্থবছরে আমদানি কমে এসেছে মাত্র ১৫ হাজার টনে, আর রপ্তানি কার্যত নেই বললেই চলে।
এই বন্দর দিয়ে মূলত মাছ, কাঠ, সুপারি, আদা, নারকেল, শুঁটকি, আচারসহ নানা পণ্য আমদানি হতো। এখন জেটি খালি পড়ে আছে। পণ্য ওঠানো-নামানোর শ্রমিকেরা দিনের পর দিন বেকার বসে আছেন। পণ্যবাহী ট্রলার নেই, নেই বন্দরের চিরচেনা কোলাহল। সব যেন থমকে গেছে এক যুদ্ধের অজানা পরিণতির অপেক্ষায়।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলার ইউএনও শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, মিয়ানমারে এখন গৃহযুদ্ধ চলছে। সেই পরিস্থিতিতে সীমান্ত বাণিজ্য চালু হবে কি না, তা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।
টেকনাফের বিপরীতে মিয়ানমারের মংডু শহরের দূরত্ব মাত্র ৫ কিলোমিটার। এই ছোট্ট ব্যবধানেই এখন থমকে আছে একসময়ের জমজমাট সীমান্ত বাণিজ্য। শান্তি না ফিরলে সেই অচলাবস্থার ইতি কবে হবে, তা জানে না কেউ। আর তত দিন পর্যন্ত টেকনাফ বন্দরে শুধু অপেক্ষা, ক্ষয় আর লোকসানের হিসাবই জমা হবে।
ঈদের কারণে মুরগি, ডিম, সবজিসহ কাঁচাবাজারের বিভিন্ন পণ্যের সরবরাহকারীদের অনেকেই দীর্ঘ ছুটিতে। ক্রেতাদেরও বড় অংশ এখনো গ্রামের বাড়ি। বহু মানুষ ঢাকায় ফেরার পথে। তাই পাইকারি ও খুচরা বাজারের অনেক দোকান না খোলায় পণ্যের সরবরাহ কিছুটা কম। এ কারণে কিছু পণ্যের দামও বেড়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে সরবরাহ এবং
৭ ঘণ্টা আগেরাজস্ব ঘাটতির চাপ, বিদেশি ঋণদাতাদের শর্ত আর কর ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যেই বড় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে একসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে করছাড়-সংক্রান্ত ১২টি সরকারি আদেশ (এসআরও), যেগুলো গত ১৬ বছরে বিভিন্ন সময় জারি করা হয়েছিল। কৃষি, খামার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জনহিতকর খাতে দেওয়া এসব
৮ ঘণ্টা আগেদায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন বা ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট জমা না দিয়েই ৬ বছর ধরে গোপনে ব্যবসা করেছে প্রোটেকটিভ ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। নিয়মিত বার্ষিক প্রতিবেদন ও দায় মূল্যায়ন না থাকায় গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের প্রাপ্য বোনাস, লভ্যাংশ, কমিশন কিংবা খরচ—কোনোটিরই হদিস ছিল না আইডিআরএর কাছে। ফলে কোম্পানিটির বির
৮ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহার ছুটিতে নগদ টাকার সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকেরা। ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধ থাকায় এটিএম বুথ, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে মানুষ। কিন্তু অধিকাংশ এটিএম বুথ ছিল টাকাশূন্য, বন্ধ কিংবা সীমিত লেনদেন সক্ষমতায় চলমান। ফলে ঈদের সময়
৮ ঘণ্টা আগে