লবীব আহমদ, সিলেট

দিনদুপুরে অবাধে চলছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটপাট। সামনে দিয়ে বালু-পাথর লুট করে নিয়ে গেলেও প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই বলে দাবি করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনের ব্যর্থতা আর মদদে এ লুটপাট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয় এ লুটপাট। পরে স্থানীয় লোকজন ও সেনাবাহিনীর কারণে সাময়িক বন্ধ হলেও আবারও লুটপাট শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় প্রশাসন লোকদেখানো অভিযান চালালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেখানে পাথর কেনাবেচা হয় এবং যেদিক দিয়ে পাথর নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিকে অভিযান না হওয়ায় লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না।
গত শনিবার সরেজমিনে সাদা পাথরে গিয়ে দেখা যায়, সাদা পাথরের প্রধান স্পট যেখানে পর্যটকেরা সাঁতার কাটছেন, এর পাশ থেকেই বারকি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে চলছে অবাধে পাথর লুট। কয়েক শ নৌকায় করে এসব পাথর তোলা ও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সাদা পাথর লুটপাট করে কারা, এ নিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার শ্রমিক পাথর নিতে আসেন। যাঁদের ৫ ভাগের ১ ভাগ স্থানীয় লোক, বাকিরা বহিরাগত। যাঁরা ধলাই নদতীরবর্তী এলাকায় ভাড়ায় থেকে প্রতিদিন নৌকায় এসে পাথর লুট করেন।
কাউসার নামের এক শ্রমিক জানান, ‘আমরা ২ জন প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ ট্রিপ দেই। প্রতি ট্রিপে ২৫০০-২৬০০ টাকা পাওয়া যায়। আগে বাংকার থেকে যখন পাথর নিতাম, তখন নৌকাপ্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা পেতাম। তখন বিজিবিকে
নৌকাপ্রতি ৩০০ টাকা দিতে হতো। এখন কাউকে দিতে হয় না। তবে স্থানীয় কিছু নেশাখোর সকালে আসে টাকা নেওয়ার জন্য। জোর করে অনেকের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নেয়। এখন মাঝেমধ্যে বিজিবি ও পুলিশ এসে দৌড়ায়। এখানে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ। কতজনকে দৌড়াবে।’
আরেক শ্রমিক মধ্যবয়সী সুমন মিয়া বলেন, ‘সাদা পাথরে এক নৌকা পাথর তুলতে ১ ঘণ্টা লাগে। আর ভরতে ১০ মিনিট লাগে। পরে আমরা সেগুলো নৌকায় করে ধলাই নদের দুই পাশে নিয়েই বিক্রি করতে পারি। সেখানে প্রতি নৌকায় আড়াই, তিন হাজার টাকা পাওয়া যায়। বাংকারে কম মানুষ কাজ করার কারণে আমরা পাথর বিক্রি করে ভালো টাকা পেতাম, এখন সেটা কমে গেছে। এখন তেমন অভিযান হয় না, মাঝেমধ্যে বিজিবি এসে দৌড়ায়। আমরা ৪ জন একসঙ্গে কাজ করি।’
কোথায় বিক্রি হয় পাথর
ধলাই নদের দুই পাশে প্রতিদিন সাদা পাথর ও বাংকার থেকে নৌকায় করে আসা পাথর বিক্রি হয়। ধলাই নদের পূর্বপাড়ের কালাইরাগ, দয়ারবাজার ও কালীবাড়ি এরিয়ায় এবং পশ্চিমপাড়ে ১০ নম্বর ঘাট, ব্যাটারি ঘাট, ১০ নম্বর নৌকা ঘাট ও আশপাশে বিক্রি হয় এই সাদা পাথর। এখানে নদীর পাশে পাথর কিনে পরে তা অন্যত্র বিক্রি করা হয়। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মূলত স্থানীয়রা। তাঁরা নৌকা থেকে পাথর কেনেন। পরে এগুলো ট্রাকে করে সারা দেশে যায়।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে সরাসরি ট্রাকে পাথর ঢাকার কাঁচপুরে ও গাবতলীতে যায়। এই পাথর ভোলাগঞ্জ থেকে সড়কপথে নিতে হলে উপজেলার ভোলাগঞ্জ, টুকেরবাজার হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে যেতে হয়। এসব এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট আছে। তবে এরপরও থামানো যাচ্ছে না পাথর পরিবহন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনজীবী ফরহাদ খন্দকার বলেন, সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। সেখানে প্রশাসন ১৫-২০ দিনে একবার অভিযান চালায়। একবার অভিযানের পর আরেকবার অভিযানে যেতে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করতে আরও ১৫ দিন চলে যায়। এই ১৫ দিনে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার পাথর লুট হয়ে যায়। প্রশাসন যদি আইনি পদক্ষেপ নেয়, অপরাধীদের যদি আইনের আওতায় আনে—তাহলেই লুটপাট বন্ধ হবে।
এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে কথা হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসি অফিসে কথা বলেছি। হয়তোবা এ সপ্তাহের মধ্যে আবার ক্রাশারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আগেরবার আমরা অনেকটা শক্ত অভিযানে ছিলাম। পরবর্তী সময়ে পরিবহন শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এরপর থেকেই এই লুটপাট হচ্ছে।’
তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ‘প্রশাসনকে আমি সাদা পাথর রক্ষার্থে ব্যর্থ বলব না। ব্যর্থ তারা তখনই হতো, যখন চেষ্টা করত। সাদা পাথর রক্ষার্থে তো তারা কখনো কোনো চেষ্টাই করেনি।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সাদা পাথর রক্ষার্থে আমরা তো নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি; কিন্তু কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।’
পুলিশের সামনে লুট
গত শনিবার সাদা পাথরে দেখা যায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ২ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষ সদস্যকে। তারা হাঁটছেন ওই স্পটেই। আর এর কয়েক হাত দূর থেকেই সাদা পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভোলাগঞ্জ জোনের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) অভিরঞ্জন দেবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘ভোলাগঞ্জে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের ক্যাম্প রয়েছে। আমিসহ ৩ জন মহিলা পুলিশ নিয়ে ১২ জন রয়েছি। প্রতিদিন ২ শিফটে ৬ জন দায়িত্ব পালন করেন। আমরা মূলত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করি। আমাদের তো লোকবল নেই, আর আমরা চাইলেও তাদের (সাদা পাথর লুটকারীদের) কোনোভাবে মোকাবিলা করতে পারব না।’

দিনদুপুরে অবাধে চলছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটপাট। সামনে দিয়ে বালু-পাথর লুট করে নিয়ে গেলেও প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই বলে দাবি করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনের ব্যর্থতা আর মদদে এ লুটপাট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয় এ লুটপাট। পরে স্থানীয় লোকজন ও সেনাবাহিনীর কারণে সাময়িক বন্ধ হলেও আবারও লুটপাট শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় প্রশাসন লোকদেখানো অভিযান চালালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেখানে পাথর কেনাবেচা হয় এবং যেদিক দিয়ে পাথর নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিকে অভিযান না হওয়ায় লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না।
গত শনিবার সরেজমিনে সাদা পাথরে গিয়ে দেখা যায়, সাদা পাথরের প্রধান স্পট যেখানে পর্যটকেরা সাঁতার কাটছেন, এর পাশ থেকেই বারকি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে চলছে অবাধে পাথর লুট। কয়েক শ নৌকায় করে এসব পাথর তোলা ও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সাদা পাথর লুটপাট করে কারা, এ নিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার শ্রমিক পাথর নিতে আসেন। যাঁদের ৫ ভাগের ১ ভাগ স্থানীয় লোক, বাকিরা বহিরাগত। যাঁরা ধলাই নদতীরবর্তী এলাকায় ভাড়ায় থেকে প্রতিদিন নৌকায় এসে পাথর লুট করেন।
কাউসার নামের এক শ্রমিক জানান, ‘আমরা ২ জন প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ ট্রিপ দেই। প্রতি ট্রিপে ২৫০০-২৬০০ টাকা পাওয়া যায়। আগে বাংকার থেকে যখন পাথর নিতাম, তখন নৌকাপ্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা পেতাম। তখন বিজিবিকে
নৌকাপ্রতি ৩০০ টাকা দিতে হতো। এখন কাউকে দিতে হয় না। তবে স্থানীয় কিছু নেশাখোর সকালে আসে টাকা নেওয়ার জন্য। জোর করে অনেকের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নেয়। এখন মাঝেমধ্যে বিজিবি ও পুলিশ এসে দৌড়ায়। এখানে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ। কতজনকে দৌড়াবে।’
আরেক শ্রমিক মধ্যবয়সী সুমন মিয়া বলেন, ‘সাদা পাথরে এক নৌকা পাথর তুলতে ১ ঘণ্টা লাগে। আর ভরতে ১০ মিনিট লাগে। পরে আমরা সেগুলো নৌকায় করে ধলাই নদের দুই পাশে নিয়েই বিক্রি করতে পারি। সেখানে প্রতি নৌকায় আড়াই, তিন হাজার টাকা পাওয়া যায়। বাংকারে কম মানুষ কাজ করার কারণে আমরা পাথর বিক্রি করে ভালো টাকা পেতাম, এখন সেটা কমে গেছে। এখন তেমন অভিযান হয় না, মাঝেমধ্যে বিজিবি এসে দৌড়ায়। আমরা ৪ জন একসঙ্গে কাজ করি।’
কোথায় বিক্রি হয় পাথর
ধলাই নদের দুই পাশে প্রতিদিন সাদা পাথর ও বাংকার থেকে নৌকায় করে আসা পাথর বিক্রি হয়। ধলাই নদের পূর্বপাড়ের কালাইরাগ, দয়ারবাজার ও কালীবাড়ি এরিয়ায় এবং পশ্চিমপাড়ে ১০ নম্বর ঘাট, ব্যাটারি ঘাট, ১০ নম্বর নৌকা ঘাট ও আশপাশে বিক্রি হয় এই সাদা পাথর। এখানে নদীর পাশে পাথর কিনে পরে তা অন্যত্র বিক্রি করা হয়। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মূলত স্থানীয়রা। তাঁরা নৌকা থেকে পাথর কেনেন। পরে এগুলো ট্রাকে করে সারা দেশে যায়।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে সরাসরি ট্রাকে পাথর ঢাকার কাঁচপুরে ও গাবতলীতে যায়। এই পাথর ভোলাগঞ্জ থেকে সড়কপথে নিতে হলে উপজেলার ভোলাগঞ্জ, টুকেরবাজার হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে যেতে হয়। এসব এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট আছে। তবে এরপরও থামানো যাচ্ছে না পাথর পরিবহন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনজীবী ফরহাদ খন্দকার বলেন, সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। সেখানে প্রশাসন ১৫-২০ দিনে একবার অভিযান চালায়। একবার অভিযানের পর আরেকবার অভিযানে যেতে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করতে আরও ১৫ দিন চলে যায়। এই ১৫ দিনে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার পাথর লুট হয়ে যায়। প্রশাসন যদি আইনি পদক্ষেপ নেয়, অপরাধীদের যদি আইনের আওতায় আনে—তাহলেই লুটপাট বন্ধ হবে।
এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে কথা হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসি অফিসে কথা বলেছি। হয়তোবা এ সপ্তাহের মধ্যে আবার ক্রাশারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আগেরবার আমরা অনেকটা শক্ত অভিযানে ছিলাম। পরবর্তী সময়ে পরিবহন শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এরপর থেকেই এই লুটপাট হচ্ছে।’
তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ‘প্রশাসনকে আমি সাদা পাথর রক্ষার্থে ব্যর্থ বলব না। ব্যর্থ তারা তখনই হতো, যখন চেষ্টা করত। সাদা পাথর রক্ষার্থে তো তারা কখনো কোনো চেষ্টাই করেনি।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সাদা পাথর রক্ষার্থে আমরা তো নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি; কিন্তু কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।’
পুলিশের সামনে লুট
গত শনিবার সাদা পাথরে দেখা যায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ২ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষ সদস্যকে। তারা হাঁটছেন ওই স্পটেই। আর এর কয়েক হাত দূর থেকেই সাদা পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভোলাগঞ্জ জোনের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) অভিরঞ্জন দেবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘ভোলাগঞ্জে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের ক্যাম্প রয়েছে। আমিসহ ৩ জন মহিলা পুলিশ নিয়ে ১২ জন রয়েছি। প্রতিদিন ২ শিফটে ৬ জন দায়িত্ব পালন করেন। আমরা মূলত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করি। আমাদের তো লোকবল নেই, আর আমরা চাইলেও তাদের (সাদা পাথর লুটকারীদের) কোনোভাবে মোকাবিলা করতে পারব না।’
লবীব আহমদ, সিলেট

দিনদুপুরে অবাধে চলছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটপাট। সামনে দিয়ে বালু-পাথর লুট করে নিয়ে গেলেও প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই বলে দাবি করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনের ব্যর্থতা আর মদদে এ লুটপাট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয় এ লুটপাট। পরে স্থানীয় লোকজন ও সেনাবাহিনীর কারণে সাময়িক বন্ধ হলেও আবারও লুটপাট শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় প্রশাসন লোকদেখানো অভিযান চালালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেখানে পাথর কেনাবেচা হয় এবং যেদিক দিয়ে পাথর নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিকে অভিযান না হওয়ায় লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না।
গত শনিবার সরেজমিনে সাদা পাথরে গিয়ে দেখা যায়, সাদা পাথরের প্রধান স্পট যেখানে পর্যটকেরা সাঁতার কাটছেন, এর পাশ থেকেই বারকি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে চলছে অবাধে পাথর লুট। কয়েক শ নৌকায় করে এসব পাথর তোলা ও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সাদা পাথর লুটপাট করে কারা, এ নিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার শ্রমিক পাথর নিতে আসেন। যাঁদের ৫ ভাগের ১ ভাগ স্থানীয় লোক, বাকিরা বহিরাগত। যাঁরা ধলাই নদতীরবর্তী এলাকায় ভাড়ায় থেকে প্রতিদিন নৌকায় এসে পাথর লুট করেন।
কাউসার নামের এক শ্রমিক জানান, ‘আমরা ২ জন প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ ট্রিপ দেই। প্রতি ট্রিপে ২৫০০-২৬০০ টাকা পাওয়া যায়। আগে বাংকার থেকে যখন পাথর নিতাম, তখন নৌকাপ্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা পেতাম। তখন বিজিবিকে
নৌকাপ্রতি ৩০০ টাকা দিতে হতো। এখন কাউকে দিতে হয় না। তবে স্থানীয় কিছু নেশাখোর সকালে আসে টাকা নেওয়ার জন্য। জোর করে অনেকের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নেয়। এখন মাঝেমধ্যে বিজিবি ও পুলিশ এসে দৌড়ায়। এখানে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ। কতজনকে দৌড়াবে।’
আরেক শ্রমিক মধ্যবয়সী সুমন মিয়া বলেন, ‘সাদা পাথরে এক নৌকা পাথর তুলতে ১ ঘণ্টা লাগে। আর ভরতে ১০ মিনিট লাগে। পরে আমরা সেগুলো নৌকায় করে ধলাই নদের দুই পাশে নিয়েই বিক্রি করতে পারি। সেখানে প্রতি নৌকায় আড়াই, তিন হাজার টাকা পাওয়া যায়। বাংকারে কম মানুষ কাজ করার কারণে আমরা পাথর বিক্রি করে ভালো টাকা পেতাম, এখন সেটা কমে গেছে। এখন তেমন অভিযান হয় না, মাঝেমধ্যে বিজিবি এসে দৌড়ায়। আমরা ৪ জন একসঙ্গে কাজ করি।’
কোথায় বিক্রি হয় পাথর
ধলাই নদের দুই পাশে প্রতিদিন সাদা পাথর ও বাংকার থেকে নৌকায় করে আসা পাথর বিক্রি হয়। ধলাই নদের পূর্বপাড়ের কালাইরাগ, দয়ারবাজার ও কালীবাড়ি এরিয়ায় এবং পশ্চিমপাড়ে ১০ নম্বর ঘাট, ব্যাটারি ঘাট, ১০ নম্বর নৌকা ঘাট ও আশপাশে বিক্রি হয় এই সাদা পাথর। এখানে নদীর পাশে পাথর কিনে পরে তা অন্যত্র বিক্রি করা হয়। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মূলত স্থানীয়রা। তাঁরা নৌকা থেকে পাথর কেনেন। পরে এগুলো ট্রাকে করে সারা দেশে যায়।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে সরাসরি ট্রাকে পাথর ঢাকার কাঁচপুরে ও গাবতলীতে যায়। এই পাথর ভোলাগঞ্জ থেকে সড়কপথে নিতে হলে উপজেলার ভোলাগঞ্জ, টুকেরবাজার হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে যেতে হয়। এসব এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট আছে। তবে এরপরও থামানো যাচ্ছে না পাথর পরিবহন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনজীবী ফরহাদ খন্দকার বলেন, সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। সেখানে প্রশাসন ১৫-২০ দিনে একবার অভিযান চালায়। একবার অভিযানের পর আরেকবার অভিযানে যেতে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করতে আরও ১৫ দিন চলে যায়। এই ১৫ দিনে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার পাথর লুট হয়ে যায়। প্রশাসন যদি আইনি পদক্ষেপ নেয়, অপরাধীদের যদি আইনের আওতায় আনে—তাহলেই লুটপাট বন্ধ হবে।
এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে কথা হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসি অফিসে কথা বলেছি। হয়তোবা এ সপ্তাহের মধ্যে আবার ক্রাশারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আগেরবার আমরা অনেকটা শক্ত অভিযানে ছিলাম। পরবর্তী সময়ে পরিবহন শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এরপর থেকেই এই লুটপাট হচ্ছে।’
তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ‘প্রশাসনকে আমি সাদা পাথর রক্ষার্থে ব্যর্থ বলব না। ব্যর্থ তারা তখনই হতো, যখন চেষ্টা করত। সাদা পাথর রক্ষার্থে তো তারা কখনো কোনো চেষ্টাই করেনি।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সাদা পাথর রক্ষার্থে আমরা তো নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি; কিন্তু কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।’
পুলিশের সামনে লুট
গত শনিবার সাদা পাথরে দেখা যায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ২ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষ সদস্যকে। তারা হাঁটছেন ওই স্পটেই। আর এর কয়েক হাত দূর থেকেই সাদা পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভোলাগঞ্জ জোনের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) অভিরঞ্জন দেবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘ভোলাগঞ্জে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের ক্যাম্প রয়েছে। আমিসহ ৩ জন মহিলা পুলিশ নিয়ে ১২ জন রয়েছি। প্রতিদিন ২ শিফটে ৬ জন দায়িত্ব পালন করেন। আমরা মূলত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করি। আমাদের তো লোকবল নেই, আর আমরা চাইলেও তাদের (সাদা পাথর লুটকারীদের) কোনোভাবে মোকাবিলা করতে পারব না।’

দিনদুপুরে অবাধে চলছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের পাথর লুটপাট। সামনে দিয়ে বালু-পাথর লুট করে নিয়ে গেলেও প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই বলে দাবি করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, প্রশাসনের ব্যর্থতা আর মদদে এ লুটপাট হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই শুরু হয় এ লুটপাট। পরে স্থানীয় লোকজন ও সেনাবাহিনীর কারণে সাময়িক বন্ধ হলেও আবারও লুটপাট শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় প্রশাসন লোকদেখানো অভিযান চালালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেখানে পাথর কেনাবেচা হয় এবং যেদিক দিয়ে পাথর নিয়ে যাওয়া হয়, সেদিকে অভিযান না হওয়ায় লুটপাট বন্ধ হচ্ছে না।
গত শনিবার সরেজমিনে সাদা পাথরে গিয়ে দেখা যায়, সাদা পাথরের প্রধান স্পট যেখানে পর্যটকেরা সাঁতার কাটছেন, এর পাশ থেকেই বারকি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে চলছে অবাধে পাথর লুট। কয়েক শ নৌকায় করে এসব পাথর তোলা ও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সাদা পাথর লুটপাট করে কারা, এ নিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, সেখানে প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার শ্রমিক পাথর নিতে আসেন। যাঁদের ৫ ভাগের ১ ভাগ স্থানীয় লোক, বাকিরা বহিরাগত। যাঁরা ধলাই নদতীরবর্তী এলাকায় ভাড়ায় থেকে প্রতিদিন নৌকায় এসে পাথর লুট করেন।
কাউসার নামের এক শ্রমিক জানান, ‘আমরা ২ জন প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ ট্রিপ দেই। প্রতি ট্রিপে ২৫০০-২৬০০ টাকা পাওয়া যায়। আগে বাংকার থেকে যখন পাথর নিতাম, তখন নৌকাপ্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা পেতাম। তখন বিজিবিকে
নৌকাপ্রতি ৩০০ টাকা দিতে হতো। এখন কাউকে দিতে হয় না। তবে স্থানীয় কিছু নেশাখোর সকালে আসে টাকা নেওয়ার জন্য। জোর করে অনেকের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা নেয়। এখন মাঝেমধ্যে বিজিবি ও পুলিশ এসে দৌড়ায়। এখানে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ। কতজনকে দৌড়াবে।’
আরেক শ্রমিক মধ্যবয়সী সুমন মিয়া বলেন, ‘সাদা পাথরে এক নৌকা পাথর তুলতে ১ ঘণ্টা লাগে। আর ভরতে ১০ মিনিট লাগে। পরে আমরা সেগুলো নৌকায় করে ধলাই নদের দুই পাশে নিয়েই বিক্রি করতে পারি। সেখানে প্রতি নৌকায় আড়াই, তিন হাজার টাকা পাওয়া যায়। বাংকারে কম মানুষ কাজ করার কারণে আমরা পাথর বিক্রি করে ভালো টাকা পেতাম, এখন সেটা কমে গেছে। এখন তেমন অভিযান হয় না, মাঝেমধ্যে বিজিবি এসে দৌড়ায়। আমরা ৪ জন একসঙ্গে কাজ করি।’
কোথায় বিক্রি হয় পাথর
ধলাই নদের দুই পাশে প্রতিদিন সাদা পাথর ও বাংকার থেকে নৌকায় করে আসা পাথর বিক্রি হয়। ধলাই নদের পূর্বপাড়ের কালাইরাগ, দয়ারবাজার ও কালীবাড়ি এরিয়ায় এবং পশ্চিমপাড়ে ১০ নম্বর ঘাট, ব্যাটারি ঘাট, ১০ নম্বর নৌকা ঘাট ও আশপাশে বিক্রি হয় এই সাদা পাথর। এখানে নদীর পাশে পাথর কিনে পরে তা অন্যত্র বিক্রি করা হয়। এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মূলত স্থানীয়রা। তাঁরা নৌকা থেকে পাথর কেনেন। পরে এগুলো ট্রাকে করে সারা দেশে যায়।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থেকে সরাসরি ট্রাকে পাথর ঢাকার কাঁচপুরে ও গাবতলীতে যায়। এই পাথর ভোলাগঞ্জ থেকে সড়কপথে নিতে হলে উপজেলার ভোলাগঞ্জ, টুকেরবাজার হয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে যেতে হয়। এসব এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট আছে। তবে এরপরও থামানো যাচ্ছে না পাথর পরিবহন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনজীবী ফরহাদ খন্দকার বলেন, সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। সেখানে প্রশাসন ১৫-২০ দিনে একবার অভিযান চালায়। একবার অভিযানের পর আরেকবার অভিযানে যেতে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করতে আরও ১৫ দিন চলে যায়। এই ১৫ দিনে কমপক্ষে ১৫ কোটি টাকার পাথর লুট হয়ে যায়। প্রশাসন যদি আইনি পদক্ষেপ নেয়, অপরাধীদের যদি আইনের আওতায় আনে—তাহলেই লুটপাট বন্ধ হবে।
এ নিয়ে গত সোমবার বিকেলে কথা হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসি অফিসে কথা বলেছি। হয়তোবা এ সপ্তাহের মধ্যে আবার ক্রাশারগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আগেরবার আমরা অনেকটা শক্ত অভিযানে ছিলাম। পরবর্তী সময়ে পরিবহন শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এরপর থেকেই এই লুটপাট হচ্ছে।’
তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ‘প্রশাসনকে আমি সাদা পাথর রক্ষার্থে ব্যর্থ বলব না। ব্যর্থ তারা তখনই হতো, যখন চেষ্টা করত। সাদা পাথর রক্ষার্থে তো তারা কখনো কোনো চেষ্টাই করেনি।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘সাদা পাথর রক্ষার্থে আমরা তো নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি; কিন্তু কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।’
পুলিশের সামনে লুট
গত শনিবার সাদা পাথরে দেখা যায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ২ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষ সদস্যকে। তারা হাঁটছেন ওই স্পটেই। আর এর কয়েক হাত দূর থেকেই সাদা পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভোলাগঞ্জ জোনের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) অভিরঞ্জন দেবের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘ভোলাগঞ্জে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের ক্যাম্প রয়েছে। আমিসহ ৩ জন মহিলা পুলিশ নিয়ে ১২ জন রয়েছি। প্রতিদিন ২ শিফটে ৬ জন দায়িত্ব পালন করেন। আমরা মূলত পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করি। আমাদের তো লোকবল নেই, আর আমরা চাইলেও তাদের (সাদা পাথর লুটকারীদের) কোনোভাবে মোকাবিলা করতে পারব না।’

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি আদায়ের নেতৃত্ব দেওয়া শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং বিভাগে। আরও অনেককে বদলি করা হতে পারে। এ নিয়ে কেউ বিচলিত হবেন না। প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব। তবে আন্দোলন থেকে সরে আসব না। আপনাদের পাশে রয়েছি। অবিলম্বে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। সে জন্য যদি জেলেও যেতে হয়, প্রস্তুত রয়েছি।’
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেমের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মাহফুজা খাতুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেমকে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

এক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি। এখন তিনি আশা করছেন, ‘আগামী জানুয়
১৩ আগস্ট ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

এক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি। এখন তিনি আশা করছেন, ‘আগামী জানুয়
১৩ আগস্ট ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

এক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি। এখন তিনি আশা করছেন, ‘আগামী জানুয়
১৩ আগস্ট ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

এক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি। এখন তিনি আশা করছেন, ‘আগামী জানুয়
১৩ আগস্ট ২০২৫
সহকর্মী এবং নিজের বদলি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবুল কাশেম। তিনি বলেন, ‘আমাকে সাড়ে ৪০০ মাইল দূরে বদলি করা হয়েছে। এতে আমি বিচলিত নই।’
১৮ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
১ ঘণ্টা আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে