নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

মৌলভীবাজারের জুড়ী লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের আট কিলোমিটার ভেতরে বিশাল আকৃতির অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গত রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্যরা। ততক্ষণে অজগর সাপের দেহের ৭৫ ভাগ পচে যায়।
এর আগে ৫ অক্টোবর অজগর সাপটিকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। গবাদিপশু (গরু) খেয়ে ফেলবে বা বড় কোনো ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সাপটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বন বিভাগ জুড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেই দায় শেষ করেছে। এমন কী অজগরের দেহটি মাটিচাপা দেওয়া বা কীভাবে মারা গেল তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের প্রয়োজনও মনে করেনি তারা।
অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের উদাসীনতা এবং পরিচর্যার অভাবে সংরক্ষিত এই অঞ্চলের বন্য প্রাণীগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
জানা গেছে, লাঠিটিলা সংরক্ষিত এই বনের আয়তন পাঁচ হাজার ৬৩১ দশমিক ৩০ হেক্টর। নিবিড় পর্যবেক্ষণে এই বনে সম্প্রতি নতুন কয়েক ধরনের বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এটি সিলেট বিভাগের অন্যতম চির হরিৎ বন। সংরক্ষিত এই বনে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকলেও মানছেন না কেউই। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নজরদারিও কম। হয়রানির ভয়েও মুখ খোলেন না স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা অনেক সময় বন বিভাগের জন্য কথা বলতে পারি না। যদি বলি, পরে বন বিভাগ আমাদের ওপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে। মিথ্যা মামলায় জেল খাটায়। তবে এই সাপটি মরে নি। সাপটিকে বনে ভেতরে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এখানে বনের ভেতরে অনেকেই গরু চরায় ও বাগান পরিচর্যা করে। তারা বলাবলি করেছে, এই সাপটি যখন এত বড় প্রাণী গিলে ফেলছে নিশ্চয়ই গরুও খেতে পারবে। এই চিন্তায় যারা গরু রাখে ও বাগান পরিচর্যা করে তারাই মেরেছে।’
পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের দুই সদস্য আবিদ হোসাইন ও জেবলু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকালয় থেকে ৭/৮ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সেখানে প্রায় ৮ থেকে ৯ ফুট লম্বা মৃত একটি অজগর সাপ পড়ে থাকতে দেখি। আমরা রাস্তায় মানুষ চলাচলের বেশ কিছু আলামত পেয়েছি। সঙ্গে বনের বড় একটি অংশ পরিষ্কার করে রাখা। অজগরটি দেখা বোঝা যাচ্ছে বড় কোনো প্রাণী খেয়ে পড়ে আছে। সঙ্গে অজগরের গায়ে আঘাতের চিহ্নও দেখতে পাই। যে কেউ দেখলেই বুঝবে সাপটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে অজগরটি বন্য শূকর খেয়ে পড়ে থাকে। অজগরের পেট খাবারে ভর্তি থাকায় তাৎক্ষণিক নড়াচড়া করতে পারেনি। এই সুযোগে সাপটিকে পিটিয়ে মারা হতে পারে। ওই দিনের দুইটি ভিডিও সন্ধান পাওয়া যায়, একটি ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ও অপরটি এক মিনিটের।
এতে দেখা যায়, ‘স্থানীয় কিছু মানুষ সাপটিকে বনের ঝোপঝাড় থেকে লেজ ধরে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করছে। আবার, সাপটি মানুষের হাত থেকে বাঁচার জন্য বনের দিকে জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সাপটির গায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। ভিডিওতে শোনা যায় কেউ বলছেন, মারো বাড়ি (আঘাত করো)।’
পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের আরেক সদস্য খোর্শেদ আলম বলেন, ‘গিয়ে দেখি মৃত সাপটি প্রায় ৭৫ শতাংশ পচে গেছে। শেষ বারের মতো খাওয়া বুনো শূকরের হাড় দেখা যাচ্ছে। এখানে এসে যা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে না সাপটি এমনি মারা যায়নি। এখানকার পরিবেশ বলছে, এটা পরিকল্পিতভাবে মারা হয়েছে।’
সাপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অঞ্চলে যে অজগরগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো হলো বর্মিজ পাইথন। এরা কোনোভাবে মানুষ কিংবা গরুর মতো প্রাণী খাওয়া সম্ভব না। সাপ যখন খাবার খায় তখন হজম করার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় নিবে। খাবার যদি একটু বড় সাইজের হয়, তখন অজগরের জন্য কোনো কোনো সময় ৫ থেকে ৬ দিনও সময় লাগতে পারে হজম করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্য শূকরের স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে সাইজে একটু বড় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষ যদি তাকে বিরক্ত করে তাহলে সাপ বমি করার চেষ্টা করে এবং মারা যেতে পারে। এই সাপটাকে আঘাত করা হয়েছে এটা স্পষ্ট। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সাপের পেটে খাবার থাকায় সে পালাতে পারেনি। এটা সাপের জন্য খুব নাজুক অবস্থা।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণভাবে যে কোনো প্রাণী মারা গেলে মাটি ছাপা দেওয়া পরিবেশ-প্রকৃতি এবং ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য ভালো।’
জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাপটি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ডিএফও স্যারকে জানানো হয়। উনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবে কাজ করেছি। তবে সাপটি কীভাবে মারা গেছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রটোকল ডিউটিতে সিলেটে ছিলাম। বিট অফিসার গিয়েছিলেন। সাপটিকে মারা হয়েছে এমন কোন তথ্য পাইনি। বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে, তদন্ত চলছে।’
লাঠিটিলা বনের বিট কর্মকর্তা রুমিজ্জামান হোসেন বলেন, ‘৫ তারিখ গিয়েছিলাম। সাপটির শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখিনি। মাটিচাপা ওয়ার্ল্ড লাইফের কাজ, আমাদের নয়।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় বিট অফিসার আমাদের জানিয়েছে প্রাকৃতিক কারণে বা ওভার হিটিংয়ের কারণে সাপটি মারা গেছে। আমার কাছে যে ছবি পাঠানো হয়েছে, তা দেখে মনে হয়েছে ওভার হিটিং এর কারণে সাপটি মারা যেতে পারে। সাধারণত সাপকে মারা হলে থেঁতলে যায়। ছবিতে এ রকম কিছু চোখে পড়েনি। তবে বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে। সাপটিকে যদি পিটিয়ে মারা হয়, তাহলে থানায় নিয়মিত মামলা হবে। মাটিচাপা দেওয়ার কথা। এটাতো সিলেট বন বিভাগের অধীনে, আমাদের না।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অধীনে তো সবই কিন্তু বন্যপ্রাণীর বিষয়গুলো তো ওয়ার্ল্ড লাইফের। অসুবিধা নাই আমি বিট অফিসারকে বলে দিচ্ছি।’

মৌলভীবাজারের জুড়ী লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের আট কিলোমিটার ভেতরে বিশাল আকৃতির অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গত রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্যরা। ততক্ষণে অজগর সাপের দেহের ৭৫ ভাগ পচে যায়।
এর আগে ৫ অক্টোবর অজগর সাপটিকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। গবাদিপশু (গরু) খেয়ে ফেলবে বা বড় কোনো ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সাপটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বন বিভাগ জুড়ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেই দায় শেষ করেছে। এমন কী অজগরের দেহটি মাটিচাপা দেওয়া বা কীভাবে মারা গেল তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের প্রয়োজনও মনে করেনি তারা।
অভিযোগ রয়েছে, বন বিভাগের উদাসীনতা এবং পরিচর্যার অভাবে সংরক্ষিত এই অঞ্চলের বন্য প্রাণীগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
জানা গেছে, লাঠিটিলা সংরক্ষিত এই বনের আয়তন পাঁচ হাজার ৬৩১ দশমিক ৩০ হেক্টর। নিবিড় পর্যবেক্ষণে এই বনে সম্প্রতি নতুন কয়েক ধরনের বন্যপ্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া গেছে। এটি সিলেট বিভাগের অন্যতম চির হরিৎ বন। সংরক্ষিত এই বনে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ থাকলেও মানছেন না কেউই। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নজরদারিও কম। হয়রানির ভয়েও মুখ খোলেন না স্থানীয়রা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা অনেক সময় বন বিভাগের জন্য কথা বলতে পারি না। যদি বলি, পরে বন বিভাগ আমাদের ওপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে। মিথ্যা মামলায় জেল খাটায়। তবে এই সাপটি মরে নি। সাপটিকে বনে ভেতরে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এখানে বনের ভেতরে অনেকেই গরু চরায় ও বাগান পরিচর্যা করে। তারা বলাবলি করেছে, এই সাপটি যখন এত বড় প্রাণী গিলে ফেলছে নিশ্চয়ই গরুও খেতে পারবে। এই চিন্তায় যারা গরু রাখে ও বাগান পরিচর্যা করে তারাই মেরেছে।’
পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের দুই সদস্য আবিদ হোসাইন ও জেবলু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘লোকালয় থেকে ৭/৮ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। সেখানে প্রায় ৮ থেকে ৯ ফুট লম্বা মৃত একটি অজগর সাপ পড়ে থাকতে দেখি। আমরা রাস্তায় মানুষ চলাচলের বেশ কিছু আলামত পেয়েছি। সঙ্গে বনের বড় একটি অংশ পরিষ্কার করে রাখা। অজগরটি দেখা বোঝা যাচ্ছে বড় কোনো প্রাণী খেয়ে পড়ে আছে। সঙ্গে অজগরের গায়ে আঘাতের চিহ্নও দেখতে পাই। যে কেউ দেখলেই বুঝবে সাপটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে অজগরটি বন্য শূকর খেয়ে পড়ে থাকে। অজগরের পেট খাবারে ভর্তি থাকায় তাৎক্ষণিক নড়াচড়া করতে পারেনি। এই সুযোগে সাপটিকে পিটিয়ে মারা হতে পারে। ওই দিনের দুইটি ভিডিও সন্ধান পাওয়া যায়, একটি ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ও অপরটি এক মিনিটের।
এতে দেখা যায়, ‘স্থানীয় কিছু মানুষ সাপটিকে বনের ঝোপঝাড় থেকে লেজ ধরে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টা করছে। আবার, সাপটি মানুষের হাত থেকে বাঁচার জন্য বনের দিকে জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তারা সাপটির গায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। ভিডিওতে শোনা যায় কেউ বলছেন, মারো বাড়ি (আঘাত করো)।’
পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের আরেক সদস্য খোর্শেদ আলম বলেন, ‘গিয়ে দেখি মৃত সাপটি প্রায় ৭৫ শতাংশ পচে গেছে। শেষ বারের মতো খাওয়া বুনো শূকরের হাড় দেখা যাচ্ছে। এখানে এসে যা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে না সাপটি এমনি মারা যায়নি। এখানকার পরিবেশ বলছে, এটা পরিকল্পিতভাবে মারা হয়েছে।’
সাপ গবেষক বোরহান বিশ্বাস রুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের এই অঞ্চলে যে অজগরগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো হলো বর্মিজ পাইথন। এরা কোনোভাবে মানুষ কিংবা গরুর মতো প্রাণী খাওয়া সম্ভব না। সাপ যখন খাবার খায় তখন হজম করার জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় নিবে। খাবার যদি একটু বড় সাইজের হয়, তখন অজগরের জন্য কোনো কোনো সময় ৫ থেকে ৬ দিনও সময় লাগতে পারে হজম করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘বন্য শূকরের স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে সাইজে একটু বড় হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষ যদি তাকে বিরক্ত করে তাহলে সাপ বমি করার চেষ্টা করে এবং মারা যেতে পারে। এই সাপটাকে আঘাত করা হয়েছে এটা স্পষ্ট। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সাপের পেটে খাবার থাকায় সে পালাতে পারেনি। এটা সাপের জন্য খুব নাজুক অবস্থা।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ আজিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাধারণভাবে যে কোনো প্রাণী মারা গেলে মাটি ছাপা দেওয়া পরিবেশ-প্রকৃতি এবং ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষের জন্য ভালো।’
জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাপটি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ডিএফও স্যারকে জানানো হয়। উনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবে কাজ করেছি। তবে সাপটি কীভাবে মারা গেছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রটোকল ডিউটিতে সিলেটে ছিলাম। বিট অফিসার গিয়েছিলেন। সাপটিকে মারা হয়েছে এমন কোন তথ্য পাইনি। বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে, তদন্ত চলছে।’
লাঠিটিলা বনের বিট কর্মকর্তা রুমিজ্জামান হোসেন বলেন, ‘৫ তারিখ গিয়েছিলাম। সাপটির শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখিনি। মাটিচাপা ওয়ার্ল্ড লাইফের কাজ, আমাদের নয়।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্থানীয় বিট অফিসার আমাদের জানিয়েছে প্রাকৃতিক কারণে বা ওভার হিটিংয়ের কারণে সাপটি মারা গেছে। আমার কাছে যে ছবি পাঠানো হয়েছে, তা দেখে মনে হয়েছে ওভার হিটিং এর কারণে সাপটি মারা যেতে পারে। সাধারণত সাপকে মারা হলে থেঁতলে যায়। ছবিতে এ রকম কিছু চোখে পড়েনি। তবে বিষয়টি নিয়ে থানায় জিডি হয়েছে। সাপটিকে যদি পিটিয়ে মারা হয়, তাহলে থানায় নিয়মিত মামলা হবে। মাটিচাপা দেওয়ার কথা। এটাতো সিলেট বন বিভাগের অধীনে, আমাদের না।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. তৌফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অধীনে তো সবই কিন্তু বন্যপ্রাণীর বিষয়গুলো তো ওয়ার্ল্ড লাইফের। অসুবিধা নাই আমি বিট অফিসারকে বলে দিচ্ছি।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
৩৩ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম ইসরাত রায়হান অমি। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাতিয়া উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দরোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ইসরাত রায়হান অমি চরইশ্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম আজাদের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, শুক্রবার রাতে ইসরাত রায়হান অমি এনসিপির এক কর্মীর কাছে মেসেঞ্জারে উসকানিমূলক বার্তা পাঠান। ওই বার্তায় তিনি লেখেন, আব্দুল হালিম আজাদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে হান্নান মাসউদ, তানভীরসহ অন্য নেতাদের হাতিয়ার উত্তরাঞ্চলে চলাচল ‘হারাম’ করে দেওয়া হবে। বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা সরাসরি গিলে খেয়ে ফেলবে।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইসরাত রায়হান অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা সরাসরি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করবে, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের আট কিলোমিটার ভেতরে বিশাল আকৃতির অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গত রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্যরা। ততক্ষণে অজগর সাপের দেহের ৭৫ ভাগ পচে যায়। এর আগে ৫ অক্টোবর অজগর সাপটিকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়
১২ অক্টোবর ২০২৩
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
৩৩ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্বর পিলারের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় তাঁর কাছে থাকা ভারতীয় ১৮ হাজার রুপি উদ্ধার করেন সাতানীপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের (বিওপি) বিজিবি সদস্যরা।
জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানীপাড়া বিওপি সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল অভিযান পরিচালনা করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় রুপি বহনকারী মো. আসাদকে আটক করা হয়।
সাতানীপাড়া বিওপির বিজিবির নায়েব সুবেদার ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৮ হাজার ভারতীয় রুপিসহ আসাদ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁকে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, আটক আসাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের আট কিলোমিটার ভেতরে বিশাল আকৃতির অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গত রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্যরা। ততক্ষণে অজগর সাপের দেহের ৭৫ ভাগ পচে যায়। এর আগে ৫ অক্টোবর অজগর সাপটিকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়
১২ অক্টোবর ২০২৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা। দারিদ্র্যের কারণে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আয়শার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তবে দরিদ্র এই পরিবারের সবটুকু সম্বল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। ফলে অর্থের অভাবে বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে অস্বাভাবিক বড় মাথা ও তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করছে ছোট্ট আয়শা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আয়শা বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছে। মাথার ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সে নিজে নড়াচড়া করতে পারে না। প্রস্রাব-পায়খানা করাতে হলে দুজন তাকে ধরতে হয়।
আয়শার মা সুমি বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ের মাথার ওজন এতটাই বেড়ে গেছে যে একা ধরে রাখা যায় না। নাকে মাংস বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো শ্বাসও নিতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ডাক্তারের পরামর্শে মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক অপারেশনের কথা বলেছেন। অপারেশনে খরচ হবে প্রায় ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য খরচসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। তাই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।’
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে (নয়া দিগন্ত) আয়শার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দুজন প্রবাসী ব্যক্তি ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা করেছিলেন। সেই অর্থে কিছুদিন চিকিৎসা চললেও পরে আর তা সম্ভব হয়নি।
আয়শার বাবা আশেক আলী ও মা সুমি বেগম বলেন, ‘দেশের কোনো বিত্তবান কিংবা প্রবাসী মানবিক মানুষ যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে আমাদের অবুঝ শিশুটির চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারতাম।’
এলাকাবাসীও আয়শার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।

মৌলভীবাজারের জুড়ী লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের আট কিলোমিটার ভেতরে বিশাল আকৃতির অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গত রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্যরা। ততক্ষণে অজগর সাপের দেহের ৭৫ ভাগ পচে যায়। এর আগে ৫ অক্টোবর অজগর সাপটিকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়
১২ অক্টোবর ২০২৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
৩৩ মিনিট আগে
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

গোপালগঞ্জের ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, সিলনা ও গুয়াধানা এবং টুঙ্গীপাড়া উপজেলার রুপাহাটি, গোপালপুর, মিত্রডাঙ্গা ও বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৌসুমভেদে সারা বছরই এসব গ্রামের কৃষকেরা নানা ধরনের শাকসবজি আবাদ করে থাকেন।
চলতি শীত মৌসুমে জমি ও মাছের ঘেরপাড়ে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, ব্রকলিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন কৃষকেরা। নিজেদের কষ্টার্জিত বিষমুক্ত ও বালাইমুক্ত নিরাপদ সবজি বাজারে নিয়ে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন তাঁরা। উৎপাদন ভালো হওয়ায় এবং বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের সংসারে ফিরছে সচ্ছলতা।
এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সবুজে সবুজে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। রঘুনাথপুর, সিলনা, গুয়াধানা, গোপালপুর ও মিত্রডাঙ্গা গ্রামের মাঠজুড়ে সারি সারি ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো, মুলা, পালংশাকসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি শোভা পাচ্ছে। শুধু জমিতে নয়, মাছের ঘেরপাড়েও লাউ, করলা, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে চারা রোপণ, সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেতখামারে। এসব গ্রামের মানুষের প্রধান আয়ের উৎস হলো সবজি চাষ। শাকসবজির ফলনেই নির্ভর করে হাজারো কৃষকের জীবন-জীবিকা।
এ বছর এসব গ্রামে সবজির ফলন ভালো হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের জেলা থেকেও ব্যাপারীরা এসে সবজি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং লাউ ২০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিলনা গ্রামের কৃষক প্রমথ ওঝা বলেন, ‘আমরা মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, টমেটো ও শাকসবজি চাষ করে সংসারের খরচ ও সন্তানদের পড়াশোনার ব্যয় মেটাই। এই ফসলের ওপরই আমাদের জীবন।’

একই গ্রামের শিলা ওঝা বলেন, ‘১৫ কাঠা জমিতে সবজি চাষ করেছি। ফসল ভালো হয়েছে, লাভও ভালো হবে। এই চাষ করেই আমরা ভালো আছি।’
সিলনা গ্রামের কিষানি রিতা কীর্তনিয়া বলেন, ‘আমি ২২ বছর ধরে সবজি চাষ করছি। ভাসমান বেডেও নানা ধরনের সবজি উৎপাদন করি। এতে ভালো লাভ হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এসেও আমাদের কাছ থেকে সবজি কিনে নেয়।’
সিংগারকুল গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ঘেরপাড়ে টমেটো ও শসা চাষ করেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। টমেটো প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং শসা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের উপপরিচালক ড. মো. মামুনুর রহমান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৪০ শতক জমি নিচু হওয়ায় কৃষকেরা সারা বছর ঘেরপাড়ে সবজি চাষ করেন। রবি মৌসুমে জমিতে ব্যাপকভাবে সবজি আবাদ হয়। এ বছর প্রায় ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এরই মধ্যে অর্জিত হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের চেয়ে ভালো ফলনের আশা করছি। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

মৌলভীবাজারের জুড়ী লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের আট কিলোমিটার ভেতরে বিশাল আকৃতির অজগর সাপকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গত রোববার ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পাথারিয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্যরা। ততক্ষণে অজগর সাপের দেহের ৭৫ ভাগ পচে যায়। এর আগে ৫ অক্টোবর অজগর সাপটিকে মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়
১২ অক্টোবর ২০২৩
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে শাপলা কলি প্রতীকের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ এবং তাঁর কর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩১ মিনিট আগে
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ভারতীয় রুপিসহ মো. আসাদ (৩০) নামের এক যুবককে আটক করেছেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরা। আটক আসাদ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের বালুগাঁও গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে। গতকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে কামালপুর সীমান্তবর্তী সাতানীপাড়া এলাকার ১০৮৬ নম্ব
৩৩ মিনিট আগে
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি পাগলাটারী গ্রামের আশেক আলী ও সুমি বেগম দম্পতির আট বছর বয়সী মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত হয়ে চরম দুর্ভোগের জীবন কাটাচ্ছে। জন্মের পর থেকেই অস্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকে তার মাথা।
১ ঘণ্টা আগে