Ajker Patrika

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধে নতুন সুযোগ, সিলেটে বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালু

ইয়াহ্‌ইয়া মারুফ, সিলেট
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ২১
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করার পর বাংলাদেশের রপ্তানি তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এটি নতুন সুযোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালু করা হয়েছে। আজ রোববার বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ‘এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন করার পরপরই উন্নত বিশ্বে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়।

সন্ধ্যা ৭টায় ৬০ টন তৈরি পোশাক নিয়ে স্পেনের উদ্দেশে উড়াল দেয় প্রথম কার্গো ফ্লাইট। এর মাধ্যমে দেশের রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পর এই প্রথম আরএ-থ্রি প্রটোকল অনুসরণ করে চালু হচ্ছে কোনো কার্গো টার্মিনাল। ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ায় এটি দেশের রপ্তানি খাতে নতুন বিকল্প হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, কার্গো কমপ্লেক্সের ভেতরে ও বাইরের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ভেতরে ইভিএস ও ডুয়েল এক্স-রে মেশিনসহ স্ক্যানিং মেশিন প্রস্তুত রয়েছে। বিদ্যুতের সাবস্টেশনও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কমপ্লেক্সের ভেতরের দুটি অংশের মধ্যে একটি পণ্য রাখার জন্য এবং অপর অংশে যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০ টন পণ্য স্ক্যানিং করে ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘দেশে আরএ-থ্রি প্রটোকল অনুসরণ করে চালু হচ্ছে দ্বিতীয় কার্গো টার্মিনাল। আর ওসমানী বিমানবন্দরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো কার্গো ফ্লাইট ইউরোপে যাচ্ছে।’

ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

বিমানবন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রক্রিয়া শুরুর দুই বছরের মাথায় উন্নত বিশ্বের মতো সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মানসম্পন্ন এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স নির্মাণ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালে সেটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। কার্গো কমপ্লেক্সের ধারণক্ষমতা প্রায় ১০০ টন। এটা নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

কমপ্লেক্সটি আন্তর্জাতিক মানের হওয়ায় দুই বছর আগে স্বীকৃতি প্রদান করা হলেও নানা কারণে কার্গো ফ্লাইট চালু হয়নি। কার্গো কমপ্লেক্সের সুবিধাদির মধ্যে রয়েছে, অত্যাধুনিক এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস), ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন ও এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেকশন মেশিন।

বিমানবন্দরের কয়েক কর্মকর্তা জানান, ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ কার্গোর হ্যান্ডেলিং চার্জ বেশি। যেখানে ভারতে প্রতি কেজি মালামালের হ্যান্ডেলিং চার্জ ৩ সেন্ট, সেখানে বাংলাদেশে এ চার্জ ২৯ সেন্ট। পাশাপাশি ঢাকা থেকে মালামাল পরিবহন খাতে কেজিপ্রতি খরচ পড়ছে ২০-২৫ সেন্ট। এ অবস্থায় হ্যান্ডেলিং চার্জ কমানোর দাবি রপ্তানিকারকদের।

প্যাকিং হাউস ও কুলিং সেন্টার চান সিলেটের ব্যবসায়ীরা

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পার্টনার নামে একটি নতুন প্রকল্পে সিলেটে একটি প্যাকিং হাউস নির্মাণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির কথা ছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। তবে সরকার পরিবর্তনের পর এ প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি হয়নি বলে জানা গেছে। একজন প্রবাসী ও একজন বাংলাদেশি সিলেটে বেসরকারি উদ্যোগে একটি প্যাকিং হাউস নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু, সে উদ্যোগও তেমন এগোয়নি।

ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দরের অবকাঠামো ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে পণ্য রপ্তানি করা যাবে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য প্যাকিং হাউস বাধ্যতামূলক।

সিলেটের রপ্তানিকারকেরা জানান, প্যাকিং হাউস না থাকায় যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন থেকে তাঁরা ভোগান্তির শিকার। এ অবস্থায় শিগগির সিলেটে পূর্ণাঙ্গ প্যাকিং হাউস নির্মাণের দাবি তাঁদের। পূর্ণাঙ্গ প্যাকিং হাউস চালুর আগে বেসরকারি ভবন কিংবা স্পেস ভাড়া নিয়ে প্যাকিং হাউস চালু করা যেতে পারে বলে কেউ কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন।

সিলেটের বিশিষ্ট রপ্তানিকারক ও বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাবকমিটির চেয়ারম্যান হিজকিল গুলজার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‌‘এখন সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। আমাদের সিলেটের মাটির শাকসবজি, ফলমূলসহ ফসলাদির ইউরোপের বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইউরো স্ট্যান্ডার্ডের প্যাকিং হাউস নির্মিত হলে আমরা এখান থেকে এসব বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে সিলেটে পূর্ণাঙ্গ প্যাকিং হাউস নির্মাণ করা না গেলেও বেসরকারি ভবন কিংবা স্পেস ভাড়া নিয়ে প্যাকিং হাউস নির্মাণ করা যেতে পারে। তবে বেসরকারিভাবে প্যাকিং হাউস স্থাপন করতে হলে আগে মার্কেটিং চেইন ঠিক করতে হবে।’

সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১২ বছর আমরা কার্গো টার্মিনাল, প্যাকিং হাউস, কুলিং সেন্টার, সার্টিফিকেশন ল্যাব ও হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। মাত্র একটি অংশ পূরণ হলো, বাকিগুলো পূরণ না হলে এসবের পূর্ণাঙ্গ সুফল পাওয়া যাবে না।’

সিলেটের আমদানি ও রপ্তানিকারকেরা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের শাকসবজি ছাড়াও জারা লেবু, পান, নাগা মরিচ, ফ্রোজেন ফিশ, নানা জাতের সুগন্ধি চাল, ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি শাড়ি, সাতকরা, বেতের আসবাব ও নকশিকাঁথার বিশাল বাজার রয়েছে বহির্বিশ্বে। ঢাকা থেকে তাঁরা বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে আসছেন। সিলেট থেকে রপ্তানির সুযোগ পেলে তাঁরা সময় ও অর্থের দিক থেকে লাভবান হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ার চরআতাউর: সুপেয় পানির তীব্র সংকট, বাসিন্দাদের ভোগান্তি

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
চরআতাউরে গর্তের পানিতে ধোয়ার কাজ সারছেন এক নারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
চরআতাউরে গর্তের পানিতে ধোয়ার কাজ সারছেন এক নারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি। ফলে বাসিন্দারা নিজেদের ব্যবহারের পানিসংকটের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়েও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরআতাউরে। এই চরে দুটি গুচ্ছগ্রাম ও একটি ব্যারাক হাউসে প্রায় চার শ লোকের বসবাস। তাদের সুবিধার্থে সরকারিভাবে দুটি বড় পুকুর খনন করা হয়। অস্বাভাবিক জোয়ারে পুকুরের পাড় ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে। তাতে পলি জমে জমে পুকুরগুলো সমতলের মতো হয়ে গেছে। ফলে এখন আর পানি জমে না এই পুকুরগুলোতে। এ ছাড়া এখানকার বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে তিনটি অনেক আগে থেকেই বিকল। একটি থেকে কোনোমতে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মানুষজনকে নদীর লোনা পানিসহ বিকল্প উৎস খুঁজতে হয়।

সরেজমিনে তরুবীথি গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এক গৃহিণী ঘরের সামনের গর্তে জমে থাকা ঘোলা পানিতে থালাবাসন পরিষ্কার করছেন। অল্প পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার হয় কি না—প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কিছুই করার নেই। নদীর লোনা পানির চেয়ে অনেক ভালো গর্তের এই পানি। লোনা পানি ব্যবহারে শরীরে অ্যালার্জিসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এ জন্য ঘরের সামনে পুকুরের মধ্যে গর্ত তৈরি করে নিয়েছি। তা দিয়ে দৈনন্দিন গোসল, রান্নার কাজে ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে হয়।’

গুচ্ছগ্রামের উত্তর পাড়ে বসবাস করেন লিপি রানী দাস নামের একজন। তিনি বলেন, এখন শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিছুদিন পর গর্তের পানি শুকিয়ে যাবে। তখন গরু-ছাগল ও নিজেদের প্রয়োজন মেটানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু লিপি, আফিয়া বা হাজেরা নয়। তরুবীথি ও ছায়াবীথি দুটি গুচ্ছ গ্রামের অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে ঘরের সামনে গর্ত করে নিয়েছেন। সেই গর্তের পানি তাঁদের একমাত্র ভরসা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সেখানে নতুন একটি পুকুর খননের জন্য চিন্তা করতেছি। এ ছাড়া আগের পুকুরগুলো পুনরায় খনন করা যায় কি না তাও দেখতেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সড়ক সংস্কারে অনিয়ম

ইউএনওর বদলির রাতে কাজ ঠিকাদার বিএনপির নেতা

নূরুন্নবী ফারুকী, ধামইরহাট (নওগাঁ) 
হাত দিয়ে একটু ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে পিচসহ পাথর। দেখাচ্ছেন এক পথচারী। সম্প্রতি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাত দিয়ে একটু ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে পিচসহ পাথর। দেখাচ্ছেন এক পথচারী। সম্প্রতি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় রাতের অন্ধকারে করা সড়ক সংস্কারকাজের (সিল কোট) অনিয়ম ভোরের আলোতেই ফাঁস হয়ে গেছে। সদ্য সিল কোট দেওয়া সড়কে আঙুল বোলালেই উঠে আসছে পিচ আর পাথর। গতকাল রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকার সড়কে এই চিত্র দেখা গেছে।

সড়ক সংস্কারে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান এবং ঠিকাদার, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, সাবেক পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান গত শুক্রবার ধামইরহাট থেকে বদলি হন। তার আগের দিন (বৃহস্পতিবার) রাতে তড়িঘড়ি করে যেনতেনভাবে সড়ক সংস্কারকাজ করেন ঠিকাদার। অভিযোগ রয়েছে, বদলি হওয়ার আগে অনেকটা ‘জোর করে’ প্রকল্প নিয়ে ঠিকাদারকে দিয়ে কাজটি করান পৌর প্রশাসক শাহরিয়ার রহমান।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে পৌরসভার অধীনে রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন (আরএফকিউ) টেন্ডারের মধ্য দিয়ে ৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের ৩৯৫ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শহিদুর ট্রেডার্স। তবে অতিরিক্ত আরও ৪৫৬ মিটার সড়ক সিল কোট করে প্রতিষ্ঠানটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্বর এলাকায় সদ্য সংস্কার করা সড়কে আঙুল বা পা দিয়ে সামান্য ঘষা দিলেই পিচসহ পাথর উঠে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজের মান অত্যন্ত নিম্নমানের। এমনটি রোলারও নিয়মমাফিক ব্যবহার করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির পেছনে ঠিকাদার শহিদুর রহমান, সাবেক ইউএনও এবং কয়েকজন প্রভাবশালী জড়িত। তদন্ত হলে সবকিছু বের হয়ে আসবে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার ও পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুর রহমান বলেন, ‘আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করা হয়েছে ঠিক। তবে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই।’

এ বিষয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সজল কুমার অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার তৎকালীন ইউএনও শাহরিয়ার রহমান অনেকটা জোর করে ৪৫৬ মিটার সিল কোট সড়ক নির্মাণকাজের দায়িত্ব নেন। সেদিন ছুটি থাকায় এবং রাতের অন্ধকারে কাজ হওয়ায় পৌরসভা তা তদারকি করতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ ওয়াদুদ বলেন, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুরের বিরুদ্ধে কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমন ঘটনার কোনো সত্যতা নেই। সত্যতা প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে বদলির কারণে পৌর প্রশাসক ও ইউএনও শাহরিয়ার রহমানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নড়াইলের ২ আসন: বিএনপি-জামায়াত সমানে সমান, আশাবাদী প্রার্থীরা

  • হাল ছাড়তে রাজি নন বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিত নেতা।
  • কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট পেতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
  • বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
নড়াইল প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ০২
বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, মনিরুল ইসলাম, এম সাজ্জাদ হোসেন, ওবায়দুল্লাহ কায়সার, আতাউর রহমান বাচ্চু ও তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি
বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, মনিরুল ইসলাম, এম সাজ্জাদ হোসেন, ওবায়দুল্লাহ কায়সার, আতাউর রহমান বাচ্চু ও তাজুল ইসলাম। ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইলের দুটি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। নড়াইল-১ আসনে বিএনপি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করলেও হাল ছাড়তে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বি এম নাগিব হোসেন। এ ছাড়া কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট পেতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম সাজ্জাদ হোসেন। নড়াইল-২ আসনে বিএনপির মো. মনিরুল ইসলাম এবং জামায়াতের আতাউর রহমান বাচ্চু; দুজনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

নড়াইল-১ (সদরের একাংশ ও কালিয়া) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম। এখানে বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক বি এম নাগিব হোসেন। তিনিও হাল ছাড়তে রাজি নন। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ কায়সার। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুল আজিজ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট পেতে পারেন। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত মিছিল, সমাবেশসহ গণসংযোগ করছি। ভোটারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি।’ ওবায়দুল্লাহ কায়সার বলেন, ‘আমাদের নীতি ও আদর্শের প্রতি জনগণ ব্যাপকভাবে সাড়া দিচ্ছে। নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত কালিয়া গড়ব।’

নড়াইল-২ (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী দলের জেলা সেক্রেটারি মো. মনিরুল ইসলাম। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন তাজুল ইসলাম। গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থী নুর ইসলাম।

আতাউর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। আপামর জনসাধারণের কাছে যাচ্ছি, তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’ মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দল করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। কারাবরণ করেছি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে মাঠে-ময়দানে কাজ করছি।’ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গদখালীর ফুলবাজার: ফুলের গায়ে ভোটের হাওয়া

  • দিগন্তজোড়া মাঠে শোভা পাচ্ছে বাহারি রঙের ফুল।
  • এই মৌসুমে লক্ষ্য ৫০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি।
  • নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে লোকসানের শঙ্কা।
জাহিদ হাসান, যশোর 
ফুলের বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। সম্প্রতি যশোরের গদখালীতে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফুলের বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। সম্প্রতি যশোরের গদখালীতে। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজার লোকারণ্য। বাইসাইকেল বা ভ্যানে করে বাহারি সব ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন চাষিরা। সকাল হতে হতে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরাও হাজির। দামে মিললেই কিনে নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। এমন দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। চাষিরা জানান, বছরজুড়ে ফুলের চাষ হলেও জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। তবে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, এ নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন তাঁরা।

বছরে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকার ফুল হাতবদল হয় এ বাজারে। চলতি বছর অতিবৃষ্টির কারণে দেরিতে চাষাবাদ শুরু হলেও চাষিদের নিবিড় পরিচর্যায় মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, জারবেরা, গ্লাডিওলাসসহ নানা ধরনের ফুল। গাছে গাঁদা ফুল ধরে রাখতে চলছে ভিটামিন ও বালাইনাশক স্প্রে। এর মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে সব ধরনের ফুলের দামও। বিজয় দিবসের আগে এ দাম আরও বাড়বে বলে আশা চাষিদের।

গদখালীর ফুলচাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা শীতের মৌসুমের বিশেষ দিবসগুলো ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য চাষিরা কয়েক মাস আগে থেকে খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবারও আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। কিন্তু মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম কম হলেও বিশেষ দিবসগুলোতে দাম বাড়বে বলে আশা রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার।’

গদখালী মোকামে ফুল বিক্রি করতে আসা চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শীতকালে ফুলের উৎপাদন ও বিক্রি বাড়ে। এ বছরও আমরা ফুল বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছি। আজকে বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ তিন টাকা। বর্তমানে বাজারে গোলাপ ও গাঁদার দাম সবচেয়ে কম। আশা করছি, বিজয় দিবস উপলক্ষে সব ধরনের ফুলের দাম বাড়বে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে ফুলের বাজার। দেশের পরিবেশ স্থিতিশীল থাকলে ফুলের বাজার চাঙা হবে।’

বৃহস্পতিবার গদখালী বাজারে প্রতিটি গোলাপ বিক্রি হয়েছে ৩-৪ টাকা, রজনীগন্ধা ৮-১৫ টাকা, জারবেরা ৮-১০ টাকা, গাঁদা প্রতি হাজার ১০০ টাকা। গ্লাডিওলাস ৬-৮ টাকা, জারবেরা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২-৩ টাকা। কৃষকেরা জানান, এখন গোলাপ ও রজনীগন্ধা ছাড়া সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগামী সপ্তাহ থেকে এই দুটি ফুলের দামও বাড়বে বলে জানান তাঁরা।

ঝিকরগাছার কুলিয়া গ্রামের চাষি আরিজুল ইসলাম বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে রজনীগন্ধা চাষ করেছি। প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় দুই লাখ টাকার ফুল বিক্রি করেছি। আশা করছি, আরও প্রায় তিন লাখ টাকার ফুল বিক্রি হবে। মৌসুমের শুরুতে ফুলের দাম ভালো পাচ্ছি। বর্তমানে ১০-১২ টাকা দরে প্রতিটি রজনীগন্ধার স্টিক বিক্রি করলেও এ মৌসুমে সর্বোচ্চ ২১ টাকা দরেও রজনীগন্ধা বিক্রি করেছি।’

পটুয়াপাড়া গ্রামের চাষি তৈয়ব আলী বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে গোপাল চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গোলাপ ফুলের উৎপাদন বেশি। বাজারে গোলাপের সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। গাঁদা ফুলের দামেও ধস নেমেছে। আশা করছি, বিজয় দিবসের আগে আবার ফুলের দাম বাড়বে। এই মৌসুমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হতে পারব।’

ফুল চাষ ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস ডে, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ, ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্তবরণ উৎসব, পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠান উপলক্ষে ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

এ বছরও ৫০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকলে অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবসগুলো জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয় না। তাই আমাদের ফুলের চাহিদা ও বিক্রি কমে যায়। তারপরও বাজার ধরার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি, দিবসগুলোতে ফুলের দাম আরও বাড়বে।’

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোরে প্রায় সাড়ে ৬০০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ১৩ ধরনের ফুলের চাষ হয়েছে। এ ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত লক্ষাধিক মানুষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

২০৯৮ পর্যন্ত কবে কোন দেশ বিশ্বকাপ নেবে—ভবিষ্যদ্বাণী করল গ্রোক এআই

খালেদা জিয়ার রিপোর্ট ভালো, চেষ্টা করছেন কথা বলার: চিকিৎসক

সেই এনায়েত করিমের মামলায় সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখাল ডিবি

বিচারকেরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না—কাঠগড়ায় সাংবাদিক দুররানীর প্রশ্ন

শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীর লাগেজে ৯৩ হাজার ইউরো

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত