ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সবাইকে একটি আদেশে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পাঁচটি আলাদা আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অতিরিক্ত ৮ জনের নিয়োগের প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ জুন স্থানীয় পত্রিকায় সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জেলার ৪৪টি ইউনিয়নের জন্য ৫৫টি পরিবারকল্যাণ সহকারী পদের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়। এসব পদের নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সদস্যসচিব জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও সদস্য ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার।
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর ওই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। পরদিন প্রকাশিত হয় ফলাফল। পরীক্ষায় ১৮৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর। নিয়োগ কমিটি ৫৫টি পদের বিপরীতে ৫১ জনকে সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফলাফল সরকারি দুটি ওয়েবসাইটেও রয়েছে।
এরপর ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নাসহ ৭ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ী ঠিকানা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর সঠিক হলে এক আদেশেই সব প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর পাঁচটি আদেশ জারি করা হয়।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রথম আদেশে ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসের ২৮ তারিখ জারি করা দ্বিতীয় আদেশে নিয়োগ পান ১৭ জন। এই আদেশে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ইউনিয়নে পলি দাশ এবং তেতলী ইউনিয়নে পপি রানী দাশ ও মন্টি সরকারকে পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের কারও রোল নম্বর চূড়ান্ত ফলাফলের তালিকায় নেই। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বরইকান্দি ইউনিয়নে লোকবল নিয়োগের কথা উল্লেখও ছিল না।
এ নিয়ে জানতে মোবাইল ফোনে পপি রানী দাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পলি ফোনকল রিসিভ করলেও এ ব্যাপারে কথা বলেননি। তবে সব পরীক্ষায় পাস করেছেন বলে দাবি করেছেন মন্টি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি গোয়াইনঘাট। বাবার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়। ওপর থেকে নিয়োগ দিছে। চিঠি পেয়ে যোগদান করেছি।’
এই তিনজনের বিষয়ে দক্ষিণ সুরমার উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মানুদা রঞ্জন তালুকদার বলেন, ‘পপি, পলি ও মন্টিকে জেলা অফিসের পাঠানো আদেশে নিয়ম মেনে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের সবার স্থায়ী ঠিকানা সঠিক নয়।’
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তৃতীয় আদেশে আরও ৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে স্নিগ্ধা বিশ্বাস নামের একজনকে গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ওই ইউনিয়নের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশিত হয়নি। এই সিগ্ধা বিশ্বাসকে শুধু ঠিকানা পরিবর্তন করে দুই আদেশে দুই উপজেলার দুটি ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি চতুর্থ আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জনকে। এতে তাহসিন মাসুমা কচি ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নের নিয়োগ পান। তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি।
এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় চারজনকে। এর মধ্যে বালাগঞ্জের সদর ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত শক্তি রানী পাল লিখিত ও মৌখিক কোনো পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হননি। ওসমানীনগর উপজেলার কোনো ইউনিয়নের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয় মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করা পূর্ণিমাকে। একই ইউনিয়নে নিয়োগ পেয়েছেন তাছলিমা আক্তার ও সিগ্ধা বিশ্বাস।
এ নিয়ে জানতে নিয়োগপ্রাপ্ত তাহসিন মাসুমা কচি কচিকে ফোন কল করা হয়। তিনি রিসিভ করেননি। তাসলিমা বলেন, ‘ভাইভা পরীক্ষায় পাস করিনি। আমাকে ওয়েটিং লিস্ট থেকে জেলা অফিস ফোনে ডেকে পাঠায়। সেখানে ডা. জেসমিন ম্যাম জনস্বার্থে উছমানপুরে কাজ করব কি না জানতে চান। রাজি হলে নিয়োগ দেওয়া হয়।’ কিন্তু নিজের গ্রামের নাম নিয়ে দুই ধরনের তথ্য দেন তাসলিমা।
একইভাবে নিয়োগ পান পূর্ণিমা। তাঁর বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার রামেশ্বর গ্রামে। তাসলিমা ও পূর্ণিমার মতো চাকরি পান শক্তি রানী পালও। শক্তি রানী পাল বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। তবে স্বামীর বাড়ি বালাগঞ্জের চানপুর।’
একইভাবে নিয়োগ পাওয়া সিগ্ধা বিশ্বাসের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওসমানীনগরের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিতোষ মজুমদার বলেন, ‘নিয়োগ আদেশ জেলা অফিসের এক ই-মেইলে চার উপজেলায় পাঠানো হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা কাজে যোগ দিয়েছেন।’
পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের জারি করা সবগুলো আদেশে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিনের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষর রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন, জেলা অফিসে সংযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বরুণ ছত্রীর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন বলেন, ‘যে চারটি নিয়োগের আদেশে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর ফাইল স্বাক্ষর করেছেন বরুণ ছত্রী। এগুলোয় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আর বরুণ ছত্রী বলেন, ‘না দেখে কিছু বলতে পারব না। এসব স্মারকে নিয়োগই হয়নি। স্বাক্ষর থাকলেও আমার কিছু বলার নাই, উপপরিচালকের স্বাক্ষর করেছেন। সেগুলো স্ক্যান করা কি না তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
এ সব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন বলেন, ‘আমরা দেই নাই, এসব জানতামও না। পূর্বের নিয়োগ আদেশ থেকে সহকারীসহ আমার সই স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছে। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওই সব গ্রামেরও না, ভুয়া। আমরা পাঁচটি আদেশে ৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। একজন তদন্তে বাদ পড়েছেন। আমাদের দেওয়া আদেশ আর জারি করা আদেশের মধ্যে মিল নেই।’
তাহলে এসব আদেশে নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করলেন কীভাবে এমন প্রশ্নে ডা. জেসমিন আরও বলেন, ‘অফিসের অভ্যন্তরে থাকা সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এই অনিয়ম করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’
সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘৮ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে— এটি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
আরও খবর পড়ুন:

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সবাইকে একটি আদেশে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পাঁচটি আলাদা আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অতিরিক্ত ৮ জনের নিয়োগের প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ জুন স্থানীয় পত্রিকায় সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জেলার ৪৪টি ইউনিয়নের জন্য ৫৫টি পরিবারকল্যাণ সহকারী পদের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়। এসব পদের নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সদস্যসচিব জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও সদস্য ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার।
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর ওই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। পরদিন প্রকাশিত হয় ফলাফল। পরীক্ষায় ১৮৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর। নিয়োগ কমিটি ৫৫টি পদের বিপরীতে ৫১ জনকে সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফলাফল সরকারি দুটি ওয়েবসাইটেও রয়েছে।
এরপর ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নাসহ ৭ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ী ঠিকানা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর সঠিক হলে এক আদেশেই সব প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর পাঁচটি আদেশ জারি করা হয়।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রথম আদেশে ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসের ২৮ তারিখ জারি করা দ্বিতীয় আদেশে নিয়োগ পান ১৭ জন। এই আদেশে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ইউনিয়নে পলি দাশ এবং তেতলী ইউনিয়নে পপি রানী দাশ ও মন্টি সরকারকে পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের কারও রোল নম্বর চূড়ান্ত ফলাফলের তালিকায় নেই। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বরইকান্দি ইউনিয়নে লোকবল নিয়োগের কথা উল্লেখও ছিল না।
এ নিয়ে জানতে মোবাইল ফোনে পপি রানী দাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পলি ফোনকল রিসিভ করলেও এ ব্যাপারে কথা বলেননি। তবে সব পরীক্ষায় পাস করেছেন বলে দাবি করেছেন মন্টি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি গোয়াইনঘাট। বাবার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়। ওপর থেকে নিয়োগ দিছে। চিঠি পেয়ে যোগদান করেছি।’
এই তিনজনের বিষয়ে দক্ষিণ সুরমার উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মানুদা রঞ্জন তালুকদার বলেন, ‘পপি, পলি ও মন্টিকে জেলা অফিসের পাঠানো আদেশে নিয়ম মেনে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের সবার স্থায়ী ঠিকানা সঠিক নয়।’
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তৃতীয় আদেশে আরও ৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে স্নিগ্ধা বিশ্বাস নামের একজনকে গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ওই ইউনিয়নের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশিত হয়নি। এই সিগ্ধা বিশ্বাসকে শুধু ঠিকানা পরিবর্তন করে দুই আদেশে দুই উপজেলার দুটি ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি চতুর্থ আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জনকে। এতে তাহসিন মাসুমা কচি ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নের নিয়োগ পান। তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি।
এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় চারজনকে। এর মধ্যে বালাগঞ্জের সদর ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত শক্তি রানী পাল লিখিত ও মৌখিক কোনো পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হননি। ওসমানীনগর উপজেলার কোনো ইউনিয়নের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয় মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করা পূর্ণিমাকে। একই ইউনিয়নে নিয়োগ পেয়েছেন তাছলিমা আক্তার ও সিগ্ধা বিশ্বাস।
এ নিয়ে জানতে নিয়োগপ্রাপ্ত তাহসিন মাসুমা কচি কচিকে ফোন কল করা হয়। তিনি রিসিভ করেননি। তাসলিমা বলেন, ‘ভাইভা পরীক্ষায় পাস করিনি। আমাকে ওয়েটিং লিস্ট থেকে জেলা অফিস ফোনে ডেকে পাঠায়। সেখানে ডা. জেসমিন ম্যাম জনস্বার্থে উছমানপুরে কাজ করব কি না জানতে চান। রাজি হলে নিয়োগ দেওয়া হয়।’ কিন্তু নিজের গ্রামের নাম নিয়ে দুই ধরনের তথ্য দেন তাসলিমা।
একইভাবে নিয়োগ পান পূর্ণিমা। তাঁর বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার রামেশ্বর গ্রামে। তাসলিমা ও পূর্ণিমার মতো চাকরি পান শক্তি রানী পালও। শক্তি রানী পাল বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। তবে স্বামীর বাড়ি বালাগঞ্জের চানপুর।’
একইভাবে নিয়োগ পাওয়া সিগ্ধা বিশ্বাসের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওসমানীনগরের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিতোষ মজুমদার বলেন, ‘নিয়োগ আদেশ জেলা অফিসের এক ই-মেইলে চার উপজেলায় পাঠানো হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা কাজে যোগ দিয়েছেন।’
পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের জারি করা সবগুলো আদেশে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিনের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষর রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন, জেলা অফিসে সংযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বরুণ ছত্রীর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন বলেন, ‘যে চারটি নিয়োগের আদেশে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর ফাইল স্বাক্ষর করেছেন বরুণ ছত্রী। এগুলোয় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আর বরুণ ছত্রী বলেন, ‘না দেখে কিছু বলতে পারব না। এসব স্মারকে নিয়োগই হয়নি। স্বাক্ষর থাকলেও আমার কিছু বলার নাই, উপপরিচালকের স্বাক্ষর করেছেন। সেগুলো স্ক্যান করা কি না তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
এ সব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন বলেন, ‘আমরা দেই নাই, এসব জানতামও না। পূর্বের নিয়োগ আদেশ থেকে সহকারীসহ আমার সই স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছে। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওই সব গ্রামেরও না, ভুয়া। আমরা পাঁচটি আদেশে ৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। একজন তদন্তে বাদ পড়েছেন। আমাদের দেওয়া আদেশ আর জারি করা আদেশের মধ্যে মিল নেই।’
তাহলে এসব আদেশে নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করলেন কীভাবে এমন প্রশ্নে ডা. জেসমিন আরও বলেন, ‘অফিসের অভ্যন্তরে থাকা সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এই অনিয়ম করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’
সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘৮ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে— এটি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
আরও খবর পড়ুন:
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সবাইকে একটি আদেশে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পাঁচটি আলাদা আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অতিরিক্ত ৮ জনের নিয়োগের প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ জুন স্থানীয় পত্রিকায় সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জেলার ৪৪টি ইউনিয়নের জন্য ৫৫টি পরিবারকল্যাণ সহকারী পদের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়। এসব পদের নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সদস্যসচিব জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও সদস্য ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার।
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর ওই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। পরদিন প্রকাশিত হয় ফলাফল। পরীক্ষায় ১৮৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর। নিয়োগ কমিটি ৫৫টি পদের বিপরীতে ৫১ জনকে সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফলাফল সরকারি দুটি ওয়েবসাইটেও রয়েছে।
এরপর ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নাসহ ৭ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ী ঠিকানা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর সঠিক হলে এক আদেশেই সব প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর পাঁচটি আদেশ জারি করা হয়।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রথম আদেশে ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসের ২৮ তারিখ জারি করা দ্বিতীয় আদেশে নিয়োগ পান ১৭ জন। এই আদেশে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ইউনিয়নে পলি দাশ এবং তেতলী ইউনিয়নে পপি রানী দাশ ও মন্টি সরকারকে পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের কারও রোল নম্বর চূড়ান্ত ফলাফলের তালিকায় নেই। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বরইকান্দি ইউনিয়নে লোকবল নিয়োগের কথা উল্লেখও ছিল না।
এ নিয়ে জানতে মোবাইল ফোনে পপি রানী দাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পলি ফোনকল রিসিভ করলেও এ ব্যাপারে কথা বলেননি। তবে সব পরীক্ষায় পাস করেছেন বলে দাবি করেছেন মন্টি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি গোয়াইনঘাট। বাবার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়। ওপর থেকে নিয়োগ দিছে। চিঠি পেয়ে যোগদান করেছি।’
এই তিনজনের বিষয়ে দক্ষিণ সুরমার উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মানুদা রঞ্জন তালুকদার বলেন, ‘পপি, পলি ও মন্টিকে জেলা অফিসের পাঠানো আদেশে নিয়ম মেনে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের সবার স্থায়ী ঠিকানা সঠিক নয়।’
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তৃতীয় আদেশে আরও ৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে স্নিগ্ধা বিশ্বাস নামের একজনকে গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ওই ইউনিয়নের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশিত হয়নি। এই সিগ্ধা বিশ্বাসকে শুধু ঠিকানা পরিবর্তন করে দুই আদেশে দুই উপজেলার দুটি ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি চতুর্থ আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জনকে। এতে তাহসিন মাসুমা কচি ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নের নিয়োগ পান। তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি।
এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় চারজনকে। এর মধ্যে বালাগঞ্জের সদর ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত শক্তি রানী পাল লিখিত ও মৌখিক কোনো পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হননি। ওসমানীনগর উপজেলার কোনো ইউনিয়নের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয় মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করা পূর্ণিমাকে। একই ইউনিয়নে নিয়োগ পেয়েছেন তাছলিমা আক্তার ও সিগ্ধা বিশ্বাস।
এ নিয়ে জানতে নিয়োগপ্রাপ্ত তাহসিন মাসুমা কচি কচিকে ফোন কল করা হয়। তিনি রিসিভ করেননি। তাসলিমা বলেন, ‘ভাইভা পরীক্ষায় পাস করিনি। আমাকে ওয়েটিং লিস্ট থেকে জেলা অফিস ফোনে ডেকে পাঠায়। সেখানে ডা. জেসমিন ম্যাম জনস্বার্থে উছমানপুরে কাজ করব কি না জানতে চান। রাজি হলে নিয়োগ দেওয়া হয়।’ কিন্তু নিজের গ্রামের নাম নিয়ে দুই ধরনের তথ্য দেন তাসলিমা।
একইভাবে নিয়োগ পান পূর্ণিমা। তাঁর বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার রামেশ্বর গ্রামে। তাসলিমা ও পূর্ণিমার মতো চাকরি পান শক্তি রানী পালও। শক্তি রানী পাল বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। তবে স্বামীর বাড়ি বালাগঞ্জের চানপুর।’
একইভাবে নিয়োগ পাওয়া সিগ্ধা বিশ্বাসের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওসমানীনগরের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিতোষ মজুমদার বলেন, ‘নিয়োগ আদেশ জেলা অফিসের এক ই-মেইলে চার উপজেলায় পাঠানো হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা কাজে যোগ দিয়েছেন।’
পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের জারি করা সবগুলো আদেশে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিনের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষর রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন, জেলা অফিসে সংযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বরুণ ছত্রীর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন বলেন, ‘যে চারটি নিয়োগের আদেশে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর ফাইল স্বাক্ষর করেছেন বরুণ ছত্রী। এগুলোয় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আর বরুণ ছত্রী বলেন, ‘না দেখে কিছু বলতে পারব না। এসব স্মারকে নিয়োগই হয়নি। স্বাক্ষর থাকলেও আমার কিছু বলার নাই, উপপরিচালকের স্বাক্ষর করেছেন। সেগুলো স্ক্যান করা কি না তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
এ সব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন বলেন, ‘আমরা দেই নাই, এসব জানতামও না। পূর্বের নিয়োগ আদেশ থেকে সহকারীসহ আমার সই স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছে। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওই সব গ্রামেরও না, ভুয়া। আমরা পাঁচটি আদেশে ৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। একজন তদন্তে বাদ পড়েছেন। আমাদের দেওয়া আদেশ আর জারি করা আদেশের মধ্যে মিল নেই।’
তাহলে এসব আদেশে নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করলেন কীভাবে এমন প্রশ্নে ডা. জেসমিন আরও বলেন, ‘অফিসের অভ্যন্তরে থাকা সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এই অনিয়ম করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’
সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘৮ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে— এটি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
আরও খবর পড়ুন:

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সবাইকে একটি আদেশে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পাঁচটি আলাদা আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অতিরিক্ত ৮ জনের নিয়োগের প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ জুন স্থানীয় পত্রিকায় সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জেলার ৪৪টি ইউনিয়নের জন্য ৫৫টি পরিবারকল্যাণ সহকারী পদের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়। এসব পদের নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সদস্যসচিব জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও সদস্য ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার।
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর ওই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। পরদিন প্রকাশিত হয় ফলাফল। পরীক্ষায় ১৮৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর। নিয়োগ কমিটি ৫৫টি পদের বিপরীতে ৫১ জনকে সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফলাফল সরকারি দুটি ওয়েবসাইটেও রয়েছে।
এরপর ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নাসহ ৭ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ী ঠিকানা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর সঠিক হলে এক আদেশেই সব প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর পাঁচটি আদেশ জারি করা হয়।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রথম আদেশে ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসের ২৮ তারিখ জারি করা দ্বিতীয় আদেশে নিয়োগ পান ১৭ জন। এই আদেশে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ইউনিয়নে পলি দাশ এবং তেতলী ইউনিয়নে পপি রানী দাশ ও মন্টি সরকারকে পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের কারও রোল নম্বর চূড়ান্ত ফলাফলের তালিকায় নেই। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বরইকান্দি ইউনিয়নে লোকবল নিয়োগের কথা উল্লেখও ছিল না।
এ নিয়ে জানতে মোবাইল ফোনে পপি রানী দাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পলি ফোনকল রিসিভ করলেও এ ব্যাপারে কথা বলেননি। তবে সব পরীক্ষায় পাস করেছেন বলে দাবি করেছেন মন্টি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি গোয়াইনঘাট। বাবার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়। ওপর থেকে নিয়োগ দিছে। চিঠি পেয়ে যোগদান করেছি।’
এই তিনজনের বিষয়ে দক্ষিণ সুরমার উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মানুদা রঞ্জন তালুকদার বলেন, ‘পপি, পলি ও মন্টিকে জেলা অফিসের পাঠানো আদেশে নিয়ম মেনে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের সবার স্থায়ী ঠিকানা সঠিক নয়।’
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তৃতীয় আদেশে আরও ৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে স্নিগ্ধা বিশ্বাস নামের একজনকে গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ওই ইউনিয়নের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশিত হয়নি। এই সিগ্ধা বিশ্বাসকে শুধু ঠিকানা পরিবর্তন করে দুই আদেশে দুই উপজেলার দুটি ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি চতুর্থ আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জনকে। এতে তাহসিন মাসুমা কচি ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নের নিয়োগ পান। তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি।
এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় চারজনকে। এর মধ্যে বালাগঞ্জের সদর ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত শক্তি রানী পাল লিখিত ও মৌখিক কোনো পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হননি। ওসমানীনগর উপজেলার কোনো ইউনিয়নের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয় মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করা পূর্ণিমাকে। একই ইউনিয়নে নিয়োগ পেয়েছেন তাছলিমা আক্তার ও সিগ্ধা বিশ্বাস।
এ নিয়ে জানতে নিয়োগপ্রাপ্ত তাহসিন মাসুমা কচি কচিকে ফোন কল করা হয়। তিনি রিসিভ করেননি। তাসলিমা বলেন, ‘ভাইভা পরীক্ষায় পাস করিনি। আমাকে ওয়েটিং লিস্ট থেকে জেলা অফিস ফোনে ডেকে পাঠায়। সেখানে ডা. জেসমিন ম্যাম জনস্বার্থে উছমানপুরে কাজ করব কি না জানতে চান। রাজি হলে নিয়োগ দেওয়া হয়।’ কিন্তু নিজের গ্রামের নাম নিয়ে দুই ধরনের তথ্য দেন তাসলিমা।
একইভাবে নিয়োগ পান পূর্ণিমা। তাঁর বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার রামেশ্বর গ্রামে। তাসলিমা ও পূর্ণিমার মতো চাকরি পান শক্তি রানী পালও। শক্তি রানী পাল বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। তবে স্বামীর বাড়ি বালাগঞ্জের চানপুর।’
একইভাবে নিয়োগ পাওয়া সিগ্ধা বিশ্বাসের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওসমানীনগরের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিতোষ মজুমদার বলেন, ‘নিয়োগ আদেশ জেলা অফিসের এক ই-মেইলে চার উপজেলায় পাঠানো হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা কাজে যোগ দিয়েছেন।’
পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের জারি করা সবগুলো আদেশে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিনের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষর রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন, জেলা অফিসে সংযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বরুণ ছত্রীর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন বলেন, ‘যে চারটি নিয়োগের আদেশে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর ফাইল স্বাক্ষর করেছেন বরুণ ছত্রী। এগুলোয় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আর বরুণ ছত্রী বলেন, ‘না দেখে কিছু বলতে পারব না। এসব স্মারকে নিয়োগই হয়নি। স্বাক্ষর থাকলেও আমার কিছু বলার নাই, উপপরিচালকের স্বাক্ষর করেছেন। সেগুলো স্ক্যান করা কি না তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
এ সব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন বলেন, ‘আমরা দেই নাই, এসব জানতামও না। পূর্বের নিয়োগ আদেশ থেকে সহকারীসহ আমার সই স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছে। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওই সব গ্রামেরও না, ভুয়া। আমরা পাঁচটি আদেশে ৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। একজন তদন্তে বাদ পড়েছেন। আমাদের দেওয়া আদেশ আর জারি করা আদেশের মধ্যে মিল নেই।’
তাহলে এসব আদেশে নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করলেন কীভাবে এমন প্রশ্নে ডা. জেসমিন আরও বলেন, ‘অফিসের অভ্যন্তরে থাকা সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এই অনিয়ম করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’
সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘৮ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে— এটি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
আরও খবর পড়ুন:

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২১ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
২৭ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
৩৫ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১ ঘণ্টা আগেনরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আব্দুর রশিদ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন অটোরিকশাচালক; তবে নিয়মিত আড়িয়াল খাঁ নদে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করা ছিল তাঁর নেশা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টার দিকে ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর পাড়ে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। লাশের পাশেই মোবাইল ফোন ও অটোরিকশাটি ছিল। পরে স্বজনেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন। আব্দুর রশিদের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, তিনি দুষ্কৃতকারীর হামলার শিকার হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তির ভাই কাজল মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১-১২টা পর্যন্ত অটোরিকশা চালিয়ে তারপর নদীর পাড়ে বসে মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরত ভাই। কিন্তু গতকাল রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকালে খবর পেয়ে নদীর পাড়ে এসে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পাই।’
নিহত ব্যক্তির ছেলে হৃদয় বলেন, ‘রাতে বাড়ি না ফেরায় কল দিলে ফোন বন্ধ পাই। সকালে খবর শুনে নদীর পাড়ে এসে বাবার মরদেহ, মোবাইল ও অটোরিকশা পড়ে থাকতে দেখি।’
বেলাব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি পিবিআইকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৩
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
২৭ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
৩৫ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না। গুরুতর রোগীদের কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন বিভাগে রাখা হলেও, পূর্ণাঙ্গ ওয়ার্ডের অভাবে এতদিন অনেককেই ফিরিয়ে দিতে হতো।
হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৬৭ বছর পর এই প্রথম ২৫ শয্যার একটি সুসজ্জিত মনোরোগ ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। হাসপাতালটির পুরাতন আইসিইউ ভবনে এই নতুন ওয়ার্ডটি গড়ে তোলা হয়েছে।
এই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বিন্যাস রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষদের জন্য ১০টি, নারীদের জন্য ৭ টি, শিশু-কিশোরদের জন্য ৫টি এবং উচ্চ পর্যবেক্ষণের জন্য ৩টি শয্যা সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য থেরাপি ও কাউন্সেলিং রুমসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোস্তফা আলী।
এই ওয়ার্ডটি চালুর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল কলেজের স্বীকৃতি বজায় রাখা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মার্চ মাসেই ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশন (ডব্লিউএফএমই) থেকে একটি প্রতিনিধি দল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। পরিদর্শনকালে মনোরোগ বিভাগের ওয়ার্ড না পেলে কলেজের পয়েন্ট কমে যাওয়ার এবং অ্যাক্রিডিটেশনে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে এই কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বা পড়াশোনা করার সুযোগ কমে যেত। এ ছাড়া এফসিপিএস এবং ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের জন্যও এমন একটি ওয়ার্ড জরুরি ছিল।
কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুরোধ শুনে সদ্যবিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ দ্রুত এই ওয়ার্ড চালুর উদ্যোগ নেন এবং গত বুধবার এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের সময় তাঁর সঙ্গে নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামসহ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে যে ৬৭ বছরেও মানসিক রোগীদের জন্য ওয়ার্ড চালু হয়নি, এটি সত্যিই অবাক হওয়ার মতো বিষয়। আমরা প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটি চালু করেছি। এখন থেকে এ অঞ্চলের মানসিক রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেগত ২৩ অক্টোবর শুধু সাপে কাটা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে একজনও সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়নি, যেখানে আগে প্রায় প্রতিদিনই এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতো। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি নতুন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পি কে এম মাসুদ-উল-ইসলামের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৩
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২১ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
৩৫ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।
পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৩
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২১ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
২৭ মিনিট আগে
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’
পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।
সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’
পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।
সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৩
নরসিংদীর বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদের তীর থেকে আব্দুর রশিদ (৪০) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের ভাওয়ালেরচর এলাকায় নদীর তীর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২১ মিনিট আগে
অবশেষে ৬৮ বছরে পা দিতে চলা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মানসিক রোগীদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ মনোরোগ ওয়ার্ড চালু হলো। হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিনই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানসিক রোগী চিকিৎসা নিতে এলেও ভর্তির সুযোগ ছিল না।
২৭ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা।
৩৫ মিনিট আগে