Ajker Patrika

জেলা প্রশাসকের সই জাল করে প্রতারণা, সাবেক মেয়রকন্যাসহ গ্রেপ্তার ২

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২১: ১১
জেলা প্রশাসকের সই জাল করে প্রতারণা, সাবেক মেয়রকন্যাসহ গ্রেপ্তার ২

দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ। 

গ্রেপ্তারকৃত দুজন হলেন আনিকা তাসনিম সরকার তৃষা (৩২) ও আব্দুল মান্নান ওরফে মান্না (৩৫)। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আনিকা তাসনিম সরকার তৃষা দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কাটাপাড়া গ্রামের ফুলবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহজাহান আলী সরকার পুতুর মেয়ে। অপরজন প্রতারক আব্দুল মান্নান ওরফে মান্না নাটোর জেলা সদরের জালালাবাদ গ্রামের চাঁদ মিয়ার ছেলে। 

আব্দুল মান্নান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারের কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত। তবে, তিনি তাঁর কর্মস্থলে অনিয়মিত বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। 

 প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা ভুয়া নিয়োগপত্রের মাধ্যমে যোগদানকৃত তিনটি খাম, প্রজ্ঞাপন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের নিয়োগপত্রসংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, প্রতারক আনিকা তাসনিম সরকার তৃষা জেলা প্রশাসনের পরিচয় ব্যবহার করে কৌশলের আশ্রয় নিয়ে ১৫ জানুয়ারি জাতীয় ‘দৈনিক মানবকণ্ঠ’ ও স্থানীয় ‘দৈনিক খবর একদিন’ পত্রিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, দিনাজপুরের ৫টি পদে ৫০ জন কর্মচারী নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পর তা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সংশ্লিষ্ট পত্রিকার প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। পরে দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ির ভাড়াবাসা থেকে প্রতারক আনিকা তাসনিম সরকার তৃষা ও তাঁর কথিত স্বামী আব্দুল মান্নান ওরফে মান্না গ্রেপ্তার করা হয়। 

এসপি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে, বিভিন্ন লোককে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন ওই নারী। এ জন্য তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নব নিয়োগ শাখা গেজেটের ক্রমিক নম্বর-১০৫ দিয়ে, ডিসি অফিসে চাকরি করেন বলে পরিচয় দিতেন। তিনি ইতিপূর্বে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় একটি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে, কিছুদিন জেল খেটে বের হয়েছেন। এরপর আবারও প্রতারণার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। 

প্রতারক আনিকা তাসনিম সরকার তৃষাকে গ্রেপ্তারের সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা ভুয়া নিয়োগপত্রের মাধ্যমে যোগদানকৃত তিনটি খাম, প্রজ্ঞাপন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের নিয়োগপত্র ও নিয়োগপত্র আদেশের দুটি কপি, তিন পাতা নিয়োগপত্রের প্রজ্ঞাপন, ৬ পাতা নিকাহনামাসহ বিভিন্ন কাগজ, বিভিন্নজনের তিনটি ভোটার আইডি কার্ড, ৬টি সিম কার্ড, দুটি পাসপোর্ট, ৬টি মোবাইল ফোনসহ নগদ ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় একটি এফজেড মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নম্বর নাটোর ল-১১-৫১১৩ জব্দ করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। 
 
পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ জানান, এই নারী প্রতারক দিনাজপুর পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বেকারদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ইতিমধ্যে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাঁর গ্রেপ্তারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার খবরে প্রতারিত কয়েকজন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জড়ো হন।

এ সময় প্রতারণার শিকার দাবি করে শারমিন সুলতানা তনু নামের এক নারী জানান, তাঁর বাড়ি দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলায়। তাঁকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে এবং ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে ১২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই নারী প্রতারক। পরে করোনাকালীন ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কয়েক মাসের বেতন দিয়ে আস্থা তৈরি করে তাঁর পরিবারের আরও একাধিক লোকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। 

হাসিনা বানু নামে পঞ্চগড়ের এক নারী দাবি করে জানান, তাঁর মেয়েকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে, তাঁর কাছ থেকেও ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই নারী। 

এ বিষয়ে আনিকা তাসনিম সরকার তৃষার বাবা ফুলবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র শাহজাহান আলী সরকার পুতু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর প্রতারণার বিষয়টি জানার পরে আমি বছর দেড়েক আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাঁর (তৃষা) সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই মর্মে নিজ দায়িত্বে লেনদেনের জন্য ঘোষণা দিই। বর্তমানে তাঁর সাথে আমার কোনো প্রকার যোগাযোগ নেই।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ মারা গেছেন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (৭০) মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। তিনি ধানমন্ডির বাসায় থাকতেন। গত কয়েক দিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

সুকুমার রঞ্জন ঘোষ শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ শ্রীনগর উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর থেকে অসুস্থ ছিলেন।

উল্লেখ্য, সুকুমার রঞ্জন ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (কুলা প্রতীক) ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে (ধানের শীষ) পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। এরপর ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে নিহত দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১০
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় গণপিটুনিতে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের বাড়িতে শোকের মাতম এখনো থামেনি। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পুরো পরিবার যেন শোকে কাতর।

প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তাসহ নানা আশ্বাস। এ ছাড়া দিপুর পরিবারের জন্য বাড়িতে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আজ সোমবার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান নিহত দিপু দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তাঁর সঙ্গে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, শীতবস্ত্র, শুকনো খাবার ও একটি সেলাই মেশিন পরিবারটিকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিপুর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও দেন জেলা প্রশাসক।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সহযোগিতাসহ সব সময় তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছি।’

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় নিহতে দিপুর ছোট ভাই অপু দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রতিবাদ সমাবেশ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভালুকায় দিপু দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ময়মনসিংহ নগরী ও তারাকান্দায় মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। আজ সচেতন ময়মনসিংহবাসীর ব্যানারে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন দিপু দাসের ছোট ভাই অপু দাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা আল নুর মো. আয়াস, হৃদয় খান, সাংবাদিক মোজাম্মেল খোকন, কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ।

একই দাবিতে দিপু দাসের নিজ উপজেলা তারাকান্দায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ফ্রন্ট ও দিপু দাসের পরিবার। আজ সকালে তারাকান্দা বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের তারাকান্দা উপজেলা সভাপতি বিজন কুমার ভৌমিক রতন, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শর্মা সরকার কাঞ্চনসহ দিপুর পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা কারখানার মালিকসহ প্রকৃত দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন এবং দিপু দাসের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যানজটে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা রহমতপুর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। ঘণ্টা তিনেক ধরে চলা অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।

ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত সপ্তাহ থেকে ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) থেকে পৃথক করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করা, সব কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদ শুধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষণ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরিতে ন্যূনতম দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে যোগদানের পর ছয় মাসের বনিয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘৯ মাস আগে আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তখন শুধু আশ্বাস দিয়েছিল, বাস্তব কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’ আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেনে না নেবে, তত দিন ক্যাম্পাস লকডাউন, প্রশাসনিক ভবন বন্ধসহ এই আন্দোলন চলবে।’

এ বিষয়ে রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিতাসে শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যায় জামাতা গ্রেপ্তার

হোমনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় শাশুড়িকে খালে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জামাতা মো. জামাল সিকদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার রাতে ঢাকার সাভারে আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার সকালে তাঁকে তিতাস থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তিতাস থানা-পুলিশ দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।

গত ১০ অক্টোবর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে সুফিয়া খাতুন নামে (৭০) এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর জামাতা জামাল তাঁকে বসতবাড়ির কাছে খালে চুবিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে তিতাস থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন জামাল।

জানা গেছে, জামাল সুফিয়া বেগমের ভাই দিলু সিকদারের ছেলে। তাঁর সঙ্গে সুফিয়ার মেয়ে রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির পাশেই জামালের বাড়ি।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিন শিকদারকে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করে আজ সকালে থানায় আনা হয়। পরে দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত