Ajker Patrika

শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গায় মাধ্যমিক বন্ধ থাকলেও খোলা প্রাথমিক স্কুল

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ২৬
শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গায় মাধ্যমিক বন্ধ থাকলেও খোলা প্রাথমিক স্কুল

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল বুধবার দশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হওয়ায় চুয়াডাঙ্গার সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস। তবে ‘সর্বোচ্চ’ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে বিদ্যালয় বন্ধের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকছে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। 

এর আগে গতকাল বুধবার সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও এদিন জেলার কোনো মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়নি। বুধবার রাতে জেলা শিক্ষা অফিস বৃহস্পতিবারের জন্য সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় এ জেলায় ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

বুধবার জেলা সদরের হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গায় থেমে থেমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। গত শুক্রবার ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। তাপমাত্রা সোমবার ও মঙ্গলবার কিছুটা বেড়ে ১০.৯ ও ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও বুধবার তা আবার নেমে আসে ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

তবে বুধবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেও চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এ ধরনের কোনো পত্র না পাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেননি বলে জানান প্রতিষ্ঠান প্রধানেরা।

চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের বেড়েছে অস্বস্তি। ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। তবে বিপাকে পড়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমলমতি শিক্ষার্থীরা। সরকারি নির্দেশনা দেখে স্বস্তি পেলেও নির্দেশনার অস্পষ্টতা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে না পৌঁছানোর কারণে চুয়াডাঙ্গার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল বুধবারও। শৈত্যপ্রবাহ ও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল-কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশনা মন্ত্রণালয় দিলেও এ নির্দেশনা গতকাল বুধবার মানা হয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলায়। শিক্ষার্থীদের কষ্ট বুঝতে পেরেও জেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেননি বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা। 

চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর হোসেন বলেন, এ ধরনের নির্দেশনার কথা শুনেছি। তবে জেলা শিক্ষা অফিসার থেকে নির্দেশনা দেয়নি বলে বুধবারও আমার প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে বৃহস্পতিবার নির্দেশনা পাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভি.জে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা জেলা শিক্ষা অফিস দিয়েছিলো না। তবে বুধবার রাতে নির্দেশনা পেয়ে রাতেই বৃহস্পতিবারের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস জাহান বলেন, টেলিভিশনে নির্দেশনার ব্যাপারে দেখেছিলাম। তবে জেলা শিক্ষা অফিস এ ধরনের কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় বুধবার বিদ্যালয় চালুই ছিল। রাতে মেসেজ পেয়ে বৃহস্পতিবারের জন্য বিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দিয়েছে তাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার কথা উল্লেখ আছে। স্পষ্ট করে বলা আছে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে আমি খোঁজ নিয়েছি, চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ডিগ্রির নিচে নামেনি। সে জন্য এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’

তবে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক এবং মাধ্যমিকের উপপরিচালক মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার জেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সামনে সপ্তাহে তাপমাত্রা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি জানান, বুধবার রাতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯২ শতাংশ। সকাল ছয়টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ ছিল। এ ছাড়া আজ ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে সকাল ৮:১০ মিনিটে শেষ হয়েছে। মোট ১৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে উদ্ধার শিশুটি মারা গেছে

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত
নিহত শিশু শামীম। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিখোঁজের ৭ ঘণ্টা পর বন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু শামীম (১০) মারা গেছে। উদ্ধারের তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আজ শুক্রবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির মামা সাব্বির হোসেন ও সখীপুর থানা-পুলিশ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত শামীম উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের শাহিন আলমের ছেলে ও স্থানীয় কীর্তনখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

নিহত শিশুর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাড়ি থেকে বের হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির আশপাশের বনাঞ্চলে অনুসন্ধান চালান। পরে রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি বন থেকে শামীমকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত ৯টার দিকে তাকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

নিহত শামীমের মামা সাব্বির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলাম শিয়ালের আক্রমণে এমন হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, এটি শেয়াল-কুকুরের আক্রমণের চিহ্ন নয়, শিশুটির মাথা ও শরীরের আঘাত করা হয়েছে।’

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, নিহত শামীমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুমকীতে অটো-টমটম সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২

দুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া গাড়ি। ছবি: আজকের পত্রিকা

পটুয়াখালীর দুমকীতে অটোরিকশা ও সিমেন্টবাহী টমটমের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লেবুখালী-বাউফল মহাসড়কের রাজাখালী (স্থানীয় নাম পিছাখালী ব্রিজ) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বগা থেকে আসা যাত্রীবাহী অটোরিকশা বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবাহী টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয় বছরের রবিউল নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে ৬০ বছর বয়সী ইব্রাহিম খানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সুমন সরদার (২৫) ও আব্দুল কাদেরকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত আব্দুল কাদেরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সুমনের একটি হাত সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বাড়ি বাউফল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাকবলিত অটোরিকশা ও টমটমটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের চেষ্টা: ব্যর্থ হয়ে ১৪ জনকে ফেরত নিল বিএসএফ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। শূন্য লাইন থেকে গতকাল দুপুরে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি চলছে, ঠিক সেই সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তৎপরতায় ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৪ ভারতীয় নাগরিককে জিরো লাইন থেকে ফেরত নিয়ে যায় বিএসএফ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপির সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধীন মহিষকুন্ডি বিওপিতে কর্মরত সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধিদল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানি কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেয়।

বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস-সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। যাচাই শেষে বিএসএফ তাদেরকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

পুশ ইনের চেষ্টা করা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন মৃত হারুন শেখের ছেলে শেখ জব্বার (৭০), তাঁর চার ছেলে শেখ হাকিম (৪৫), শেখ ওকিল (৪০), শেখ রাজা (৩০) ও শেখ বান্টি (২৮); শেখ ওকিলের স্ত্রী শাবেরা বিবি (৩০); শেখ হাকিমের স্ত্রী শমশেরি বিবি (৪০); শেখ রাজার স্ত্রী মাইনু বিবি (২৫); শেখ জব্বারের স্ত্রী আলকনি বিবি (৬০); মৃত শেখ হোসেনের স্ত্রী গুলশান বিবি (৯০); শিশুদের মধ্যে রয়েছে শাকিলা খাতুন (১১), নাছরিন আক্তার (১২), শেখ তাওহিদ (১১) ও আড়াই বছর বয়সী শেখ রহিত।

এই ঘটনায় সীমান্তবাসীর মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে ভারতের এমন পুশ ইন চেষ্টাকে কেন্দ্র করে সীমান্ত এলাকায় নানা আলোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনোভাবেই অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সব সময় কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মালবাহী দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাকের চালক ও হেলপার গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকালে উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা তালতলা এলাকায় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গবাদিপশুর খাবার (ভুসি) বহনকারী একটি ট্রাকের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই আরেকটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এবং অপরটি মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর রেকার দিয়ে ট্রাক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত চালক ও হেলপারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি বলে জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত