Ajker Patrika

দৌলতপুরে কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত, লাভের আশায় খামারিরা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২৫, ০৯: ০৫
দৌলতপুরের ফিলিপনগর এলাকার ‘এন এস আর অ্যাগ্রো ফার্মে’ কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশু। ছবি: আজকের পত্রিকা
দৌলতপুরের ফিলিপনগর এলাকার ‘এন এস আর অ্যাগ্রো ফার্মে’ কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশু। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রায় ৪৭ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন ৫ হাজার ২২৩ জন খামারি ও কৃষক, যা স্থানীয় চাহিদার তুলনায় ২৪ হাজার ৫৩৬টি বেশি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব উদ্বৃত্ত পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কোরবানির চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবারের কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশুর মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার ৩৯৯টি গরু, ৩১৬টি মহিষ, ২৩ হাজার ২৭টি ছাগল ও ৩ হাজার ২৯৪টি ভেড়া। উপজেলা পর্যায়ে চাহিদা ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৫০০ পশু।

স্থানীয় খামারিরা বলছেন, যদি বাইরের দেশ থেকে গবাদিপশু আমদানি বন্ধ থাকে, তাহলে স্থানীয় খামারিরা ভালো লাভের মুখ দেখবেন।

দৌলতপুরের ফিলিপনগর এলাকার ‘এন এস আর অ্যাগ্রো ফার্মে’ কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশু। ছবি: আজকের পত্রিকা
দৌলতপুরের ফিলিপনগর এলাকার ‘এন এস আর অ্যাগ্রো ফার্মে’ কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশু। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাদিপুর গ্রামের ’জিয়াউর অ্যাগ্রো’ খামারের মালিক জিয়াউর রহমান জানান, তার খামারে এবারের কোরবানির জন্য ১৫টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। তবে গোখাদ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় খামার পরিচালনায় বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তিনি আশা করেন, ভারতীয় পশু না এলে স্থানীয় খামারিরা কিছুটা লাভবান হতে পারবেন।

অন্যদিকে, উপজেলার ফিলিপনগর এলাকার ’এন এস আর অ্যাগ্রো’ খামারের মালিক নাঈম হোসেন জানান, তার খামারে ৩০টি মহিষ ও ১০টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সব পশু দেশীয় খাদ্যেই লালন-পালন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁরও আশা, এ বছর ভালো দাম পাওয়া যাবে।

এ ছাড়া অনেক কৃষক পরিবারেই এক-দুটি করে গরু ও ছাগল পালন করে কোরবানির সময় বিক্রি করছেন এবং এতে তাঁরা লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় দৌলতপুরে কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। এসব পশু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। আমরা খামারি ও কৃষকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি এবং টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করি। ফলে রোগবালাই কম থাকায় পশুপালনে আগ্রহ বাড়ছে।’

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, ‘উপজেলায় চারটি পশুর হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে। হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যাতে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, নারীসহ আহত ৬

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৫
শ্রীনগরে গতকাল রাতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে বাসের সামনের অংশ মুচড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রীনগরে গতকাল রাতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে বাসের সামনের অংশ মুচড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা লেগে বাসটির নারী যাত্রীসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে জেলার শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ি এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের মাওয়ামুখী লেনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার গাউস শিকদারের ছেলে নিয়ামত, টুঙ্গিপাড়া উপজেলার রম্বু খলিফার ছেলে ইয়াছিন, বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলার আবেদ আলীর ছেলে হায়দার আলী, একই উপজেলার সোনা মিয়ার ছেলে আমেদ মিয়া, আসাদুজ্জামানের স্ত্রী জুলেখা আক্তার ও মাসুদ মিয়ার ছেলে রিজভী মিয়া।

শ্রীনগরে গতকাল রাতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে বাসের সামনের অংশ মুচড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
শ্রীনগরে গতকাল রাতে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে বাসের সামনের অংশ মুচড়ে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে কয়েকজনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার কারণে এক্সপ্রেসওয়েতে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

দুর্ঘটনাকবলিত ‘টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস’ বাসটি হাসাড়া হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাত পেরিয়ে সকাল, শাহবাগ ছাড়েননি হাদি হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভকারীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে আজ শনিবার সকালেও অবস্থান করতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধে সেখানে রাতভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিক্ষোভকারীরা। সকালেও সেখানে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থী-জনতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগে এসে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।

চারদিকে কুয়াশা আর হাড়কাঁপানো ঠান্ডার মধ্যেও শাহবাগ মোড় আন্দোলনের উত্তাপে সরব। হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।

জাবের বলেন, ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার এবং বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না তাঁরা। সরকারের উপদেষ্টারা জনগণের সামনে এসে না দাঁড়ানো পর্যন্ত তাঁরা শাহবাগ ছাড়বেন না। হত্যার পরিকল্পনাকারী, হত্যাকারী ও তাঁদের ভারতে পালাতে সহায়তাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথে অবস্থান চালিয়ে যাবেন।

ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচারে সরকারের আগ্রহ নেই। হত্যার বিচার না হলে যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

ওমর বিন হাদি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ওপর চাপ থাকলে বা তাঁকে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সাহায্য না করলে আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থাকে নিযুক্ত করতে হবে।

শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।

এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার ‘শহীদি শপথ’ নেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যরা। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ওসমান হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতুর নতুন নাম ‘শহীদ ওসমান হাদি’

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৬
শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতুর টোল প্লাজার নামফলকের পাশে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ নাম স্থাপন করেন ছাত্র-জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতুর টোল প্লাজার নামফলকের পাশে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ নাম স্থাপন করেন ছাত্র-জনতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলার ওপর নির্মিত শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতু উদ্বোধন করা হয় ২০২২ সালে। সে সময় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। তবে ৫ আগস্টের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সেতু থেকে নাসিম ওসমানের নাম মুছে ফেলা হয়। এবার জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ওসমান হাদির নামে সেতুটির নামকরণ করেছেন বন্দর এলাকার ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার বিকেলে ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্র-জনতা। মিছিলটি বন্দর রেললাইন এলাকা থেকে শুরু হয়ে মদনগঞ্জ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। পরে শীতলক্ষ্যা তৃতীয় সেতুর টোল প্লাজার নামফলকের পাশে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ নাম স্থাপন করেন আন্দোলনকারীরা।

নতুন নামকরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই ছাত্র-জনতার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। আয়োজকদের দাবি, ওসমান হাদিকে স্মরণীয় করে রাখা এবং তাঁর হত্যার বিচার নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আয়োজকদের একজন রেদোয়ান ইসলাম বলেন, ‘হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করেছি। এরপর সিদ্ধান্ত নিই, তাঁর নাম স্মরণীয় করে রাখতে সেতুর নামকরণ করব। এর আগে ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগী নাসিম ওসমানের নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এবার সেখানে দেশের একজন মহানায়ক হাদি ভাইয়ের নাম স্থাপন করা হলো। শিগগিরই সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই নাম স্থায়ী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হঠাৎ ঘন কুয়াশায় মাদারীপুর অন্ধকারে

মাদারীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৫
রাত নামতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়লে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাত নামতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়লে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

হঠাৎ ঘন কুয়াশায় অন্ধকারে ঢেকে গেছে মাদারীপুর জেলা। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুর শহরসহ আশপাশের গ্রামাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়।

এর আগে দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন, সূর্যের দেখা মেলেনি। রাত নামতেই চারদিকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়লে রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল করেছে ধীরগতিতে ও সতর্কতার সঙ্গে।

রিকশাচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সাধারণত রাত ১২টা পর্যন্ত রিকশা চালাই। কিন্তু আজ হঠাৎ অনেক কুয়াশা পড়েছে, রাস্তাও ফাঁকা। তাই আগেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’

ডিসি ব্রিজ এলাকার মুদিদোকানি রানা বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রাখি। আজ কুয়াশা আর শীত বেশি থাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকেই দোকান বন্ধ করেছি।’

মাদারীপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ জেলায় শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব থাকতে পারে। এ সময় সাধারণ মানুষকে সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি। দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলায়ও যানবাহনের হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচলের অনুরোধ জানান এবং মহাসড়কে চলাচলকারী চালকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার কথা বলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত