Ajker Patrika

লালমনিরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৮

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
হামলার শিকার শফিকুলের একটি ঘর। ছবি: সংগৃহীত
হামলার শিকার শফিকুলের একটি ঘর। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে জেলার জেলখানা রোডের ডায়াবেটিক হাসপাতাল এলাকার এ ঘটনায় চার ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।

সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিরা হলেন সিজান, রোহান, দুলালী, জাহানারা ও আব্দুল হামিদ। অন্য তিনজনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিরা হলেন লালমনিরহাট শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল এলাকার জিয়ারুল ইসলাম (২৩), তাঁর তিন ভাই সৈকত (১৮), শাহিনুর ইসলাম (২৬) ও সজীব (২৫)। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে হাসি দেওয়াকে কেন্দ্র করে শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল এলাকার সজীবদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় একই এলাকার সিজানের। এ সময় সিজানকে একা পেয়ে মারধর করে ওই পক্ষ। পরে প্রতিবাদ করতে গেলে মারধরের শিকার হন আব্দুস সালাম। এ সময় একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।

আহত সিজান ও তাঁর পরিবারকে দেখতে সিজানের বন্ধুরা সন্ধ্যায় তাঁর বাসায় যান। এ সময় শফিকুল ইসলাম ও তাঁর ছেলেরা আবার সিজানের বাবা আব্দুস সালামের ওপর হামলা চালান। তাতে কয়েকজন আহত হন। রাতে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফেরত দিতে চেয়ে বাইরে রোহান ও সিজানকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করেন শফিকুলের ছেলেরা। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রোহান ও সিজানকে উদ্ধার করে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ সময় একজনের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শফিকুলের বাড়িতে হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শফিকুলের চার ছেলেকে আটক করে। এ ঘটনায় আহত রোহানের মা বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক শফিকুলের চার ছেলেকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত