শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ (রংপুর)

‘সেদিনকায় ত্যালের দাম সাত ট্যাকা বাড়াইল, ফের বলে ত্যালের দাম বাড়াওচে। সরকার যদি এক ট্যাকা বাড়ায়, তা দোকানদার হামারটে তিন ট্যাকা বেশি নেয়। খালি ত্যালে নোয়্যায়, সবজির দাম, মাংসোরও দাম বাড়চে। হাটোত ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার পতিযোগিতাত নামচে। ক্যামবা করি হামরা সংসার চালামো চিন্তা করি পাওঁছি না। এমন করি দাম বাললে (বাড়লে) চুরি করিবার নাগিবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের যখন নাভিশ্বাস, সেই পরিস্থিতিতে নিজের অসহায়ত্বের কথা এভাবেই বলছিলেন দিনমজুর সাদেকুল ইসলাম।
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ হাটে মাংস শেডের পাশে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন সাদেকুল। তিনি জানান, এক সপ্তাহের বাজার তিনি তারাগঞ্জ হাট থেকে এক দিনে করে নিয়ে যান। এতে কিছুটা সাশ্রয় হয়। কিন্তু আজ হাটে এসে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাড়িতে আত্মীয় আসায় ১ হাজার টাকা নিয়ে হাটে এসেছিলেন। ৬০০ টাকা দিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনেছেন। যেখানে এক মাস আগেও কিনেছেন ৫০০ টাকা দরে। বাকি টাকায় কীভাবে অন্য খরচ করবেন তার হিসাব মেলাতে পারছেন না।
৩৫০ টাকা দৈনিক মজুরিতে শ্রমিকের কাজ করেন নদীরপাড় গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম। এ টাকায় স্ত্রী, সন্তান আর বাবা-মাসহ সাত সদস্যের সংসার চলে তাঁর। তারাগঞ্জ হাটে খালি থলে নিয়ে মাংস শেডে ঘুরছিলেন তিনি।
আলাপকালে আনোয়ারুল বলেন, ‘ভাই, হিসাব করো তো—এক দিনে কামাই মোর ৩৫০ ট্যাকা। দুই বেলা খাবার গেইলে পাঁচ সের (৩ কেজি ৫০০ গ্রাম) চাল নাগে, তার দাম ১৬০ ট্যাকা, এক সের বাগুন নেয় ৫০ ট্যাকা, এক কেজি কপি নেয় ৩৫ ট্যাকা, তেল, নুন, আকালি (কাঁচা মরিচ), পিঁয়াজ, রসুন, হলুদ আর মসলা নাগে ৫০ ট্যাকা। দৈনিক বাড়ির লোকজনের ওষুধ নাগে ৩০ থাকি ৪০ ট্যাকার। তার উপর ছাওয়াগুলার লেখাপড়ার খরচ। আরও খরচ তো আচে। শখ করি কোনো দিন পছন্দের তরকারি নিগারপাওঁ না। চার দিন থাকি ছাওয়াগুলা বায়না ধরছে গরুর গোস্ত খাইবে। হাওলাত করি ৫০০ ট্যাকা ধরি আসচুং। তাক ফির ৬০০ ট্যাকা চাওচে। ২০ দিন আগোতে ৫০০ ট্যাকাত বেচা দেখছুন গরুর গোস্ত। ত্যালের মতোন গোস্তরও দাম বাড়ছে, কবারে পাওঁ না। সউগ জিনিসের দাম বাড়ায় সংসার চালা খুব কষ্ট হয়্যা গেইচে।’
সাদেকুল ইসলাম আর আনোয়ারুল ইসলামের মতো তারাগঞ্জের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের এখন অসহায় অবস্থা। ঊর্ধ্বমুখী বাজারদরে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সংসার খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা।
আজ তারাগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগেও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০ টাকা, সোনালি মুরগির মাংস ২২০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির মাংস ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৮৫ টাকা, বোতলজাত তেল ১৭০-১৭৫ টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ৫০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, শিম ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জয়বাংলা গ্রামের ইয়াকুব আলী বলেন, ‘হাটোত ত্যাল, সবজি, মসল্লা, মাংসের যে দাম, তাতে মনে হয় নুন দিয়া সাদা ভাত খায়া বাঁচির নাগবে। শোনোচি, খোলা ত্যাল নাকি বন্ধ হইবে। তাহলে সরকারোক হামার জন্যে ২০ ট্যাকার বোতল বানার কন। না হইলে তো হামরা বড় ত্যালের বোতল কিনবার পাবার নাই।’
কুঠিয়ালপাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক মণ আলু বেচে এক কেজি মাংস কিনার পাওঁচি না। আবাদের খরচ, সংসার খরচ নিয়া খুব টানা-হাছড়ার মধ্যে আচি। দুইটারে জিনিসপাতির খুব দাম। সরকার কয়, দ্যাশ বাঁচলে কৃষক বাঁচপে। কিন্তুক কৃষক তো মরি যাওছে। হামার আবাদি জিনিস বাজারোত বেচার গেইলে দাম নাই। সেই জিনিস ফের বেশি দামে কিনি খাবার নাগোচে।’

‘সেদিনকায় ত্যালের দাম সাত ট্যাকা বাড়াইল, ফের বলে ত্যালের দাম বাড়াওচে। সরকার যদি এক ট্যাকা বাড়ায়, তা দোকানদার হামারটে তিন ট্যাকা বেশি নেয়। খালি ত্যালে নোয়্যায়, সবজির দাম, মাংসোরও দাম বাড়চে। হাটোত ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার পতিযোগিতাত নামচে। ক্যামবা করি হামরা সংসার চালামো চিন্তা করি পাওঁছি না। এমন করি দাম বাললে (বাড়লে) চুরি করিবার নাগিবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের যখন নাভিশ্বাস, সেই পরিস্থিতিতে নিজের অসহায়ত্বের কথা এভাবেই বলছিলেন দিনমজুর সাদেকুল ইসলাম।
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ হাটে মাংস শেডের পাশে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন সাদেকুল। তিনি জানান, এক সপ্তাহের বাজার তিনি তারাগঞ্জ হাট থেকে এক দিনে করে নিয়ে যান। এতে কিছুটা সাশ্রয় হয়। কিন্তু আজ হাটে এসে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাড়িতে আত্মীয় আসায় ১ হাজার টাকা নিয়ে হাটে এসেছিলেন। ৬০০ টাকা দিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনেছেন। যেখানে এক মাস আগেও কিনেছেন ৫০০ টাকা দরে। বাকি টাকায় কীভাবে অন্য খরচ করবেন তার হিসাব মেলাতে পারছেন না।
৩৫০ টাকা দৈনিক মজুরিতে শ্রমিকের কাজ করেন নদীরপাড় গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম। এ টাকায় স্ত্রী, সন্তান আর বাবা-মাসহ সাত সদস্যের সংসার চলে তাঁর। তারাগঞ্জ হাটে খালি থলে নিয়ে মাংস শেডে ঘুরছিলেন তিনি।
আলাপকালে আনোয়ারুল বলেন, ‘ভাই, হিসাব করো তো—এক দিনে কামাই মোর ৩৫০ ট্যাকা। দুই বেলা খাবার গেইলে পাঁচ সের (৩ কেজি ৫০০ গ্রাম) চাল নাগে, তার দাম ১৬০ ট্যাকা, এক সের বাগুন নেয় ৫০ ট্যাকা, এক কেজি কপি নেয় ৩৫ ট্যাকা, তেল, নুন, আকালি (কাঁচা মরিচ), পিঁয়াজ, রসুন, হলুদ আর মসলা নাগে ৫০ ট্যাকা। দৈনিক বাড়ির লোকজনের ওষুধ নাগে ৩০ থাকি ৪০ ট্যাকার। তার উপর ছাওয়াগুলার লেখাপড়ার খরচ। আরও খরচ তো আচে। শখ করি কোনো দিন পছন্দের তরকারি নিগারপাওঁ না। চার দিন থাকি ছাওয়াগুলা বায়না ধরছে গরুর গোস্ত খাইবে। হাওলাত করি ৫০০ ট্যাকা ধরি আসচুং। তাক ফির ৬০০ ট্যাকা চাওচে। ২০ দিন আগোতে ৫০০ ট্যাকাত বেচা দেখছুন গরুর গোস্ত। ত্যালের মতোন গোস্তরও দাম বাড়ছে, কবারে পাওঁ না। সউগ জিনিসের দাম বাড়ায় সংসার চালা খুব কষ্ট হয়্যা গেইচে।’
সাদেকুল ইসলাম আর আনোয়ারুল ইসলামের মতো তারাগঞ্জের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের এখন অসহায় অবস্থা। ঊর্ধ্বমুখী বাজারদরে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সংসার খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা।
আজ তারাগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগেও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০ টাকা, সোনালি মুরগির মাংস ২২০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির মাংস ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৮৫ টাকা, বোতলজাত তেল ১৭০-১৭৫ টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ৫০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, শিম ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জয়বাংলা গ্রামের ইয়াকুব আলী বলেন, ‘হাটোত ত্যাল, সবজি, মসল্লা, মাংসের যে দাম, তাতে মনে হয় নুন দিয়া সাদা ভাত খায়া বাঁচির নাগবে। শোনোচি, খোলা ত্যাল নাকি বন্ধ হইবে। তাহলে সরকারোক হামার জন্যে ২০ ট্যাকার বোতল বানার কন। না হইলে তো হামরা বড় ত্যালের বোতল কিনবার পাবার নাই।’
কুঠিয়ালপাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক মণ আলু বেচে এক কেজি মাংস কিনার পাওঁচি না। আবাদের খরচ, সংসার খরচ নিয়া খুব টানা-হাছড়ার মধ্যে আচি। দুইটারে জিনিসপাতির খুব দাম। সরকার কয়, দ্যাশ বাঁচলে কৃষক বাঁচপে। কিন্তুক কৃষক তো মরি যাওছে। হামার আবাদি জিনিস বাজারোত বেচার গেইলে দাম নাই। সেই জিনিস ফের বেশি দামে কিনি খাবার নাগোচে।’
শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ (রংপুর)

‘সেদিনকায় ত্যালের দাম সাত ট্যাকা বাড়াইল, ফের বলে ত্যালের দাম বাড়াওচে। সরকার যদি এক ট্যাকা বাড়ায়, তা দোকানদার হামারটে তিন ট্যাকা বেশি নেয়। খালি ত্যালে নোয়্যায়, সবজির দাম, মাংসোরও দাম বাড়চে। হাটোত ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার পতিযোগিতাত নামচে। ক্যামবা করি হামরা সংসার চালামো চিন্তা করি পাওঁছি না। এমন করি দাম বাললে (বাড়লে) চুরি করিবার নাগিবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের যখন নাভিশ্বাস, সেই পরিস্থিতিতে নিজের অসহায়ত্বের কথা এভাবেই বলছিলেন দিনমজুর সাদেকুল ইসলাম।
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ হাটে মাংস শেডের পাশে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন সাদেকুল। তিনি জানান, এক সপ্তাহের বাজার তিনি তারাগঞ্জ হাট থেকে এক দিনে করে নিয়ে যান। এতে কিছুটা সাশ্রয় হয়। কিন্তু আজ হাটে এসে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাড়িতে আত্মীয় আসায় ১ হাজার টাকা নিয়ে হাটে এসেছিলেন। ৬০০ টাকা দিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনেছেন। যেখানে এক মাস আগেও কিনেছেন ৫০০ টাকা দরে। বাকি টাকায় কীভাবে অন্য খরচ করবেন তার হিসাব মেলাতে পারছেন না।
৩৫০ টাকা দৈনিক মজুরিতে শ্রমিকের কাজ করেন নদীরপাড় গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম। এ টাকায় স্ত্রী, সন্তান আর বাবা-মাসহ সাত সদস্যের সংসার চলে তাঁর। তারাগঞ্জ হাটে খালি থলে নিয়ে মাংস শেডে ঘুরছিলেন তিনি।
আলাপকালে আনোয়ারুল বলেন, ‘ভাই, হিসাব করো তো—এক দিনে কামাই মোর ৩৫০ ট্যাকা। দুই বেলা খাবার গেইলে পাঁচ সের (৩ কেজি ৫০০ গ্রাম) চাল নাগে, তার দাম ১৬০ ট্যাকা, এক সের বাগুন নেয় ৫০ ট্যাকা, এক কেজি কপি নেয় ৩৫ ট্যাকা, তেল, নুন, আকালি (কাঁচা মরিচ), পিঁয়াজ, রসুন, হলুদ আর মসলা নাগে ৫০ ট্যাকা। দৈনিক বাড়ির লোকজনের ওষুধ নাগে ৩০ থাকি ৪০ ট্যাকার। তার উপর ছাওয়াগুলার লেখাপড়ার খরচ। আরও খরচ তো আচে। শখ করি কোনো দিন পছন্দের তরকারি নিগারপাওঁ না। চার দিন থাকি ছাওয়াগুলা বায়না ধরছে গরুর গোস্ত খাইবে। হাওলাত করি ৫০০ ট্যাকা ধরি আসচুং। তাক ফির ৬০০ ট্যাকা চাওচে। ২০ দিন আগোতে ৫০০ ট্যাকাত বেচা দেখছুন গরুর গোস্ত। ত্যালের মতোন গোস্তরও দাম বাড়ছে, কবারে পাওঁ না। সউগ জিনিসের দাম বাড়ায় সংসার চালা খুব কষ্ট হয়্যা গেইচে।’
সাদেকুল ইসলাম আর আনোয়ারুল ইসলামের মতো তারাগঞ্জের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের এখন অসহায় অবস্থা। ঊর্ধ্বমুখী বাজারদরে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সংসার খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা।
আজ তারাগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগেও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০ টাকা, সোনালি মুরগির মাংস ২২০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির মাংস ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৮৫ টাকা, বোতলজাত তেল ১৭০-১৭৫ টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ৫০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, শিম ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জয়বাংলা গ্রামের ইয়াকুব আলী বলেন, ‘হাটোত ত্যাল, সবজি, মসল্লা, মাংসের যে দাম, তাতে মনে হয় নুন দিয়া সাদা ভাত খায়া বাঁচির নাগবে। শোনোচি, খোলা ত্যাল নাকি বন্ধ হইবে। তাহলে সরকারোক হামার জন্যে ২০ ট্যাকার বোতল বানার কন। না হইলে তো হামরা বড় ত্যালের বোতল কিনবার পাবার নাই।’
কুঠিয়ালপাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক মণ আলু বেচে এক কেজি মাংস কিনার পাওঁচি না। আবাদের খরচ, সংসার খরচ নিয়া খুব টানা-হাছড়ার মধ্যে আচি। দুইটারে জিনিসপাতির খুব দাম। সরকার কয়, দ্যাশ বাঁচলে কৃষক বাঁচপে। কিন্তুক কৃষক তো মরি যাওছে। হামার আবাদি জিনিস বাজারোত বেচার গেইলে দাম নাই। সেই জিনিস ফের বেশি দামে কিনি খাবার নাগোচে।’

‘সেদিনকায় ত্যালের দাম সাত ট্যাকা বাড়াইল, ফের বলে ত্যালের দাম বাড়াওচে। সরকার যদি এক ট্যাকা বাড়ায়, তা দোকানদার হামারটে তিন ট্যাকা বেশি নেয়। খালি ত্যালে নোয়্যায়, সবজির দাম, মাংসোরও দাম বাড়চে। হাটোত ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার পতিযোগিতাত নামচে। ক্যামবা করি হামরা সংসার চালামো চিন্তা করি পাওঁছি না। এমন করি দাম বাললে (বাড়লে) চুরি করিবার নাগিবে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের যখন নাভিশ্বাস, সেই পরিস্থিতিতে নিজের অসহায়ত্বের কথা এভাবেই বলছিলেন দিনমজুর সাদেকুল ইসলাম।
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ হাটে মাংস শেডের পাশে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন সাদেকুল। তিনি জানান, এক সপ্তাহের বাজার তিনি তারাগঞ্জ হাট থেকে এক দিনে করে নিয়ে যান। এতে কিছুটা সাশ্রয় হয়। কিন্তু আজ হাটে এসে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বাড়িতে আত্মীয় আসায় ১ হাজার টাকা নিয়ে হাটে এসেছিলেন। ৬০০ টাকা দিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনেছেন। যেখানে এক মাস আগেও কিনেছেন ৫০০ টাকা দরে। বাকি টাকায় কীভাবে অন্য খরচ করবেন তার হিসাব মেলাতে পারছেন না।
৩৫০ টাকা দৈনিক মজুরিতে শ্রমিকের কাজ করেন নদীরপাড় গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম। এ টাকায় স্ত্রী, সন্তান আর বাবা-মাসহ সাত সদস্যের সংসার চলে তাঁর। তারাগঞ্জ হাটে খালি থলে নিয়ে মাংস শেডে ঘুরছিলেন তিনি।
আলাপকালে আনোয়ারুল বলেন, ‘ভাই, হিসাব করো তো—এক দিনে কামাই মোর ৩৫০ ট্যাকা। দুই বেলা খাবার গেইলে পাঁচ সের (৩ কেজি ৫০০ গ্রাম) চাল নাগে, তার দাম ১৬০ ট্যাকা, এক সের বাগুন নেয় ৫০ ট্যাকা, এক কেজি কপি নেয় ৩৫ ট্যাকা, তেল, নুন, আকালি (কাঁচা মরিচ), পিঁয়াজ, রসুন, হলুদ আর মসলা নাগে ৫০ ট্যাকা। দৈনিক বাড়ির লোকজনের ওষুধ নাগে ৩০ থাকি ৪০ ট্যাকার। তার উপর ছাওয়াগুলার লেখাপড়ার খরচ। আরও খরচ তো আচে। শখ করি কোনো দিন পছন্দের তরকারি নিগারপাওঁ না। চার দিন থাকি ছাওয়াগুলা বায়না ধরছে গরুর গোস্ত খাইবে। হাওলাত করি ৫০০ ট্যাকা ধরি আসচুং। তাক ফির ৬০০ ট্যাকা চাওচে। ২০ দিন আগোতে ৫০০ ট্যাকাত বেচা দেখছুন গরুর গোস্ত। ত্যালের মতোন গোস্তরও দাম বাড়ছে, কবারে পাওঁ না। সউগ জিনিসের দাম বাড়ায় সংসার চালা খুব কষ্ট হয়্যা গেইচে।’
সাদেকুল ইসলাম আর আনোয়ারুল ইসলামের মতো তারাগঞ্জের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের এখন অসহায় অবস্থা। ঊর্ধ্বমুখী বাজারদরে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সংসার খরচ চালাতে হিমশিম অবস্থা।
আজ তারাগঞ্জ হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মাস আগেও প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০ টাকা, সোনালি মুরগির মাংস ২২০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির মাংস ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৮৫ টাকা, বোতলজাত তেল ১৭০-১৭৫ টাকা, বেগুন প্রতিকেজি ৫০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, ফুলকপি ৩৫ টাকা, শিম ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, আলু ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জয়বাংলা গ্রামের ইয়াকুব আলী বলেন, ‘হাটোত ত্যাল, সবজি, মসল্লা, মাংসের যে দাম, তাতে মনে হয় নুন দিয়া সাদা ভাত খায়া বাঁচির নাগবে। শোনোচি, খোলা ত্যাল নাকি বন্ধ হইবে। তাহলে সরকারোক হামার জন্যে ২০ ট্যাকার বোতল বানার কন। না হইলে তো হামরা বড় ত্যালের বোতল কিনবার পাবার নাই।’
কুঠিয়ালপাড়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক মণ আলু বেচে এক কেজি মাংস কিনার পাওঁচি না। আবাদের খরচ, সংসার খরচ নিয়া খুব টানা-হাছড়ার মধ্যে আচি। দুইটারে জিনিসপাতির খুব দাম। সরকার কয়, দ্যাশ বাঁচলে কৃষক বাঁচপে। কিন্তুক কৃষক তো মরি যাওছে। হামার আবাদি জিনিস বাজারোত বেচার গেইলে দাম নাই। সেই জিনিস ফের বেশি দামে কিনি খাবার নাগোচে।’

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৫ মিনিট আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকার এক বিএডিসির সারের ডিলার অবৈধ উপায়ে আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর এলাকার তাওহীদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির কাছে ডিএপি ১১ বস্তা ও এমওপি ৯ বস্তা সার বিক্রি করেন।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিনুল ইসলাম দ্রুত অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিএডিসি সার ডিলার মডার্ন অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইকবাল বিশ্বাসকে নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে অবৈধ উপায়ে সার কেনার অপরাধে ক্রেতা তাওহীদ হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান।

চার দিন থাকি ছাওয়াগুলা বায়না ধরছে গরুর গোস্ত খাইবে। হাওলাত করি পাঁচশ ট্যাকা ধরি আসচুং। তাক ফির ছয়শ ট্যাকা চাওচে। বিশ দিন আগোতে পাঁচশ ট্যাকাত বেচা দেখছুন গরুর গোস্ত।
০৪ মার্চ ২০২২
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে তিনি কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এর আগে দুপুরে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হন নাসরিন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন উল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফুল দেওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেই ইস্যুতে বিএনপির নেত্রী নাসরিন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
জানা গেছে, অভিযোগে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনের কথা বলা হয়েছে। এদের অধিকাংশই ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির নেতা-কর্মী।
জানতে চাইলে বিএনপির নেত্রী আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তাঁর ওপর যারা হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রোববার রাত ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তাদের নাম তিনি প্রকাশও করেছেন।
নাসরিনের অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বরিশাল-৫ (মহানগর-সদর) আসনের মনোনীত প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক জানান, রোববার দুপুরে ফুল দিয়ে তাঁরা যখন যাচ্ছেন, তখন বাইরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নাসরিনের ঝামেলা হয়েছে। তবে কী হয়েছে জানেন না।

চার দিন থাকি ছাওয়াগুলা বায়না ধরছে গরুর গোস্ত খাইবে। হাওলাত করি পাঁচশ ট্যাকা ধরি আসচুং। তাক ফির ছয়শ ট্যাকা চাওচে। বিশ দিন আগোতে পাঁচশ ট্যাকাত বেচা দেখছুন গরুর গোস্ত।
০৪ মার্চ ২০২২
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৫ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ফয়সালের স্ত্রী সামিয়া, তাঁর শ্যালক শিপু ও বান্ধবী মারিয়া।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক ইন্তেখাব চৌধুরী জানান, সামিয়া ও শিপুকে নারায়ণগঞ্জ থেকে এবং মারিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার হাদিকে গুলির ঘটনার আগে ও পরে ফয়সালের সঙ্গে তাঁদের ফোনে ঘন ঘন যোগাযোগের তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় র্যাব মোট চারজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে। এর আগে গুলির সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ তিন দিনের রিমান্ডে নেয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে করা গুলিতে গুরুতর আহত হন রিকশায় থাকা ওসমান হাদি। তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে। আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর, ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুদিন ধরে ওসমান হাদির চিকিৎসার জন্য সরকার সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার কয়েকটি হাসপাতালে যোগাযোগ করেছে। আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলের পরামর্শে ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, বর্তমানে ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ও অপরিবর্তিত রয়েছে।
আগামীকাল দুপুরে ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক দল ও ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাকসিডেন্ট ইমার্জেন্সি বিভাগে তাঁর চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওসমান হাদির চিকিৎসাসংক্রান্ত সব ব্যয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বহন করা হবে। তাঁর চিকিৎসাপ্রক্রিয়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া ও প্রার্থনা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

চার দিন থাকি ছাওয়াগুলা বায়না ধরছে গরুর গোস্ত খাইবে। হাওলাত করি পাঁচশ ট্যাকা ধরি আসচুং। তাক ফির ছয়শ ট্যাকা চাওচে। বিশ দিন আগোতে পাঁচশ ট্যাকাত বেচা দেখছুন গরুর গোস্ত।
০৪ মার্চ ২০২২
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৫ মিনিট আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা (সেরিব্রাল ইডেমা) আগের তুলনায় বেড়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ওসমান হাদির চিকিৎসায় গঠিত মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল বোর্ড আজ রোববার বিকেলে বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ওই হাসপাতালের আইসিইউ ও এইচডিইউ সমন্বয়ক এবং জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট মো. জাফর ইকবাল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির সর্বশেষ সিটি স্ক্যানে দেখা গেছে, তাঁর মস্তিষ্কের ফোলা আগের তুলনায় বেড়েছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে একটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি। ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আজ আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন করা হলে মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ ও ফোলাজনিত ঝুঁকি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, ব্রেন স্টেমে আঘাত ও বাড়তি সেরিব্রাল ইডেমার কারণে রোগীর রক্তচাপে ওঠানামা হচ্ছে। এদিন তাঁর হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি লক্ষ করা গেছে। তবে রক্তচাপ ও হৃদ্যন্ত্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সাপোর্ট অব্যাহত রয়েছে। ফুসফুসের কার্যকারিতা ও ভেন্টিলেটর সাপোর্ট বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি বা অবনতি হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ওসমান হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা আপাতত বজায় আছে এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে শরীরের হরমোনগত ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়ায় প্রতি ঘণ্টায় ইউরিন উৎপাদনে তারতম্য হচ্ছে। এ কারণে অ্যাসিড-বেস ব্যালেন্স, ফ্লুইড ও ইলেকট্রোলাইট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ব্লাড সুগার সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, যা এ ধরনের সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রে একটি বড় ক্লিনিক্যাল চ্যালেঞ্জ।
মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছে, ওসমান হাদির সার্বিক অবস্থা এখনো অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তবে সর্বোচ্চ পেশাদারত্ব ও সমন্বয়ের মাধ্যমে তাঁকে সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। পরিবার অথবা পরিবারের মাধ্যমে সরকার চাইলে তাঁকে দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মেডিকেল বোর্ড সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
ওসমান হাদির প্রথম অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়া ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুল আহাদ আজ এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল শনিবারের মতো আজও মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। রোগীর কেস সামারি প্রস্তুত করে ইতিমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, হাদিকে আগামীকাল সোমবার দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদির মধ্যে এক জরুরি কল কনফারেন্সে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরে প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত শুক্রবার বেলা সোয়া ২টার দিকে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে আসা দুই দুর্বৃত্ত চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে।

চার দিন থাকি ছাওয়াগুলা বায়না ধরছে গরুর গোস্ত খাইবে। হাওলাত করি পাঁচশ ট্যাকা ধরি আসচুং। তাক ফির ছয়শ ট্যাকা চাওচে। বিশ দিন আগোতে পাঁচশ ট্যাকাত বেচা দেখছুন গরুর গোস্ত।
০৪ মার্চ ২০২২
সরকারি সার অবৈধভাবে বিক্রির অপরাধে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা ও ক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
৫ মিনিট আগে
বরিশালে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়া নিয়ে হামলার ঘটনায় ২ শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রীসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বার্তায় জানিয়েছে পুলিশের বিশেষ এই ইউনিট।
২১ মিনিট আগে