লালমনিরহাট প্রতিনিধি

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
কিন্তু মুক্ত জীবন পেলেও এই দীর্ঘ সময়ে অজান্তেই সবকিছু হারিয়েছেন রেখা। এক বোন ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। মা-বাবা, ভাইবোনসহ একে একে মারা গেছেন পরিবারের ২৫ জন। স্বামীও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়িটিও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁর।
২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলায় দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু কারাগারে রয়ে যান শুধু রেখা খাতুন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ করতে হয় তাঁকে।
রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে থাকতে হতো। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকার কথা তাঁর।
বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এ কারণে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে, ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুন লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জরিমানা পরিশোধের আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।
৯ এপ্রিল সকালে জেল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা খাতুন। তাঁর দাবি, শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ধর্ষণে সহায়তার করার অপরাধে কারাগারে কেটে গেল ২৩টি বছর। এখন জানতে পেরেছেন ছোট বোন ছাড়া পরিবারের কেউ নেই। এখন কোথায় গিয়ে উঠবেন কিছুই জানেন না।
কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আশাও নেই। আমি এখন কোথায় যাব!’
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়। ধরলা নদীতে বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা গেছেন। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁদের। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন রেখা।
দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর। বিয়ের পরও দু-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। অথচ তাঁদের সহায়তার অপরাধে দণ্ডিত রেখা খাতুন কারাভোগ করলেন দীর্ঘ ২৩ বছর!
নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট–৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।’
রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালে শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সহায়তা করলে হস্তশিল্পের কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
কিন্তু মুক্ত জীবন পেলেও এই দীর্ঘ সময়ে অজান্তেই সবকিছু হারিয়েছেন রেখা। এক বোন ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। মা-বাবা, ভাইবোনসহ একে একে মারা গেছেন পরিবারের ২৫ জন। স্বামীও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়িটিও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁর।
২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলায় দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু কারাগারে রয়ে যান শুধু রেখা খাতুন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ করতে হয় তাঁকে।
রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে থাকতে হতো। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকার কথা তাঁর।
বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এ কারণে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে, ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুন লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জরিমানা পরিশোধের আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।
৯ এপ্রিল সকালে জেল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা খাতুন। তাঁর দাবি, শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ধর্ষণে সহায়তার করার অপরাধে কারাগারে কেটে গেল ২৩টি বছর। এখন জানতে পেরেছেন ছোট বোন ছাড়া পরিবারের কেউ নেই। এখন কোথায় গিয়ে উঠবেন কিছুই জানেন না।
কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আশাও নেই। আমি এখন কোথায় যাব!’
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়। ধরলা নদীতে বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা গেছেন। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁদের। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন রেখা।
দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর। বিয়ের পরও দু-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। অথচ তাঁদের সহায়তার অপরাধে দণ্ডিত রেখা খাতুন কারাভোগ করলেন দীর্ঘ ২৩ বছর!
নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট–৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।’
রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালে শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সহায়তা করলে হস্তশিল্পের কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
কিন্তু মুক্ত জীবন পেলেও এই দীর্ঘ সময়ে অজান্তেই সবকিছু হারিয়েছেন রেখা। এক বোন ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। মা-বাবা, ভাইবোনসহ একে একে মারা গেছেন পরিবারের ২৫ জন। স্বামীও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়িটিও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁর।
২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলায় দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু কারাগারে রয়ে যান শুধু রেখা খাতুন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ করতে হয় তাঁকে।
রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে থাকতে হতো। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকার কথা তাঁর।
বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এ কারণে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে, ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুন লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জরিমানা পরিশোধের আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।
৯ এপ্রিল সকালে জেল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা খাতুন। তাঁর দাবি, শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ধর্ষণে সহায়তার করার অপরাধে কারাগারে কেটে গেল ২৩টি বছর। এখন জানতে পেরেছেন ছোট বোন ছাড়া পরিবারের কেউ নেই। এখন কোথায় গিয়ে উঠবেন কিছুই জানেন না।
কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আশাও নেই। আমি এখন কোথায় যাব!’
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়। ধরলা নদীতে বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা গেছেন। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁদের। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন রেখা।
দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর। বিয়ের পরও দু-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। অথচ তাঁদের সহায়তার অপরাধে দণ্ডিত রেখা খাতুন কারাভোগ করলেন দীর্ঘ ২৩ বছর!
নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট–৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।’
রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালে শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সহায়তা করলে হস্তশিল্পের কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
কিন্তু মুক্ত জীবন পেলেও এই দীর্ঘ সময়ে অজান্তেই সবকিছু হারিয়েছেন রেখা। এক বোন ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। মা-বাবা, ভাইবোনসহ একে একে মারা গেছেন পরিবারের ২৫ জন। স্বামীও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়িটিও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁর।
২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলায় দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু কারাগারে রয়ে যান শুধু রেখা খাতুন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ করতে হয় তাঁকে।
রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে থাকতে হতো। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকার কথা তাঁর।
বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এ কারণে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে, ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুন লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জরিমানা পরিশোধের আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।
৯ এপ্রিল সকালে জেল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা খাতুন। তাঁর দাবি, শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ধর্ষণে সহায়তার করার অপরাধে কারাগারে কেটে গেল ২৩টি বছর। এখন জানতে পেরেছেন ছোট বোন ছাড়া পরিবারের কেউ নেই। এখন কোথায় গিয়ে উঠবেন কিছুই জানেন না।
কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আশাও নেই। আমি এখন কোথায় যাব!’
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়। ধরলা নদীতে বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা গেছেন। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁদের। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন রেখা।
দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর। বিয়ের পরও দু-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। অথচ তাঁদের সহায়তার অপরাধে দণ্ডিত রেখা খাতুন কারাভোগ করলেন দীর্ঘ ২৩ বছর!
নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট–৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।’
রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালে শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সহায়তা করলে হস্তশিল্পের কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
৪ মিনিট আগে
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১৮ মিনিট আগে
কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি
৩৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
গতকাল শুক্রবার সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে সদস্যদের সরাসরি ভোটে আগামী এক বছরের জন্য ১৫ সদস্যের এই কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। র্যাকের বিদায়ী সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফের সভাপতিত্বে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রফিক উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সময় টেলিভিশনের সহযোগী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তাসলিমুল আলম তৌহিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার মারুফ কিবরিয়া।
দৈনিক আজকালের খবরের সাইফুল ইসলাম মন্টু অর্থ সম্পাদক, রাজধানী টিভির মাসুদ রানা দপ্তর সম্পাদক, সারাবাংলা ডটনেটের নাজনীন আক্তার লাকি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জিটিভির জান্নাতুল ফেরদৌসি প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠের ফজলুর রহমান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কাশেম, দৈনিক যুগান্তরের আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক ইত্তেফাকের জামিউল আহসান শিপু, দৈনিক খবরের কাগজের মতলু মল্লিক ও রূপালী বাংলাদেশের সাইফ বাবলু বিজয়ী হয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সিনিয়র সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান।

দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
গতকাল শুক্রবার সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে সদস্যদের সরাসরি ভোটে আগামী এক বছরের জন্য ১৫ সদস্যের এই কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। র্যাকের বিদায়ী সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফের সভাপতিত্বে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রফিক উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সময় টেলিভিশনের সহযোগী জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক তাসলিমুল আলম তৌহিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র রিপোর্টার মারুফ কিবরিয়া।
দৈনিক আজকালের খবরের সাইফুল ইসলাম মন্টু অর্থ সম্পাদক, রাজধানী টিভির মাসুদ রানা দপ্তর সম্পাদক, সারাবাংলা ডটনেটের নাজনীন আক্তার লাকি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, জিটিভির জান্নাতুল ফেরদৌসি প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক, দৈনিক জনকণ্ঠের ফজলুর রহমান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সিনিয়র সাংবাদিক আবুল কাশেম, দৈনিক যুগান্তরের আব্দুল্লাহ আল মামুন, দৈনিক ইত্তেফাকের জামিউল আহসান শিপু, দৈনিক খবরের কাগজের মতলু মল্লিক ও রূপালী বাংলাদেশের সাইফ বাবলু বিজয়ী হয়েছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সিনিয়র সাংবাদিক তৌহিদুর রহমান।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১৮ মিনিট আগে
কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি
৩৮ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসান।
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আনিস আলমগীরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
এসময় আনিস আলমগীরের পক্ষে তাঁর আইনজীবী নাজনীন নাহার তাঁকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং কারা কর্তৃপক্ষকে কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে কাজ করা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরদিন রাতে আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লিখিত অভিযোগ দেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ।
তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
ওই অভিযোগে পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাত এ নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন আদালতের উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসান।
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, আনিস আলমগীরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্যগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
এসময় আনিস আলমগীরের পক্ষে তাঁর আইনজীবী নাজনীন নাহার তাঁকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা দেওয়ার আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং কারা কর্তৃপক্ষকে কারা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে ১৪ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানে কাজ করা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরদিন রাতে আনিস আলমগীর ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লিখিত অভিযোগ দেন জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ।
তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
ওই অভিযোগে পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। অভিযুক্তরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪
দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
৪ মিনিট আগে
কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি
৩৮ মিনিট আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩ বীর ও র্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর সদস্যরা।
অভিযানে শামীমের নিজ বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও অপরাধমূলক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির পাশের এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
র্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বিকেলে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।’
অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র ও সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে—তিনটি পাইপগান, ৬০টি শটগানের গুলির খোসা, ১৮টি মেশিনগানের গুলি, ১টি পিস্তলের গুলি, ১টি রিভলবারের গুলি, ১০টি দেশীয় অস্ত্র (ছুরি, চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল), দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ একটি মানিব্যাগ। এ ছাড়া মানিব্যাগে থাকা এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার শামীম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি ও সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, দাঙ্গা, হত্যাচেষ্টা, গুরুতর জখম, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে শামীম জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সহসভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত এবং কুমিল্লা শহরের একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।

কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকায় অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩ বীর ও র্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর সদস্যরা।
অভিযানে শামীমের নিজ বাসভবনে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অস্ত্র ও অপরাধমূলক সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাড়ির পাশের এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
র্যাব-১১ (সিপিসি-২)-এর অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বিকেলে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।’
অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র ও সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে—তিনটি পাইপগান, ৬০টি শটগানের গুলির খোসা, ১৮টি মেশিনগানের গুলি, ১টি পিস্তলের গুলি, ১টি রিভলবারের গুলি, ১০টি দেশীয় অস্ত্র (ছুরি, চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল), দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনসহ একটি মানিব্যাগ। এ ছাড়া মানিব্যাগে থাকা এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার শামীম কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি ও সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, দাঙ্গা, হত্যাচেষ্টা, গুরুতর জখম, নারী ও শিশু নির্যাতনসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে শামীম জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সহসভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িত এবং কুমিল্লা শহরের একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪
দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
৪ মিনিট আগে
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১৮ মিনিট আগে
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি
৩৮ মিনিট আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তবে পলাতক থাকলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁকে সরব থাকতে দেখা গেছে।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন জানান, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতে ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে ফেসবুকে তিনি নানা কর্মকাণ্ডের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পুলিশ বেশ কিছুদিন থেকে তাঁকে খুঁজছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় ৭ থেকে ৮টি মামলা চলমান আছে।

দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার মাহমুদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আলতাফুজ্জামান মিতা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক। তবে পলাতক থাকলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁকে সরব থাকতে দেখা গেছে।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন জানান, ‘সাম্প্রতিক সময়ে নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখতে ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালে ফেসবুকে তিনি নানা কর্মকাণ্ডের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পুলিশ বেশ কিছুদিন থেকে তাঁকে খুঁজছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় ৭ থেকে ৮টি মামলা চলমান আছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪
দুর্নীতিবিরোধী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশনের (র্যাক) নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চ্যানেল এসের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর শাফি উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার তাবারুল হক।
৪ মিনিট আগে
তিনি বলেন, পাঁচ দিনের রিমান্ডে শেষে আজ আনিস আলমগীরকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
১৮ মিনিট আগে
কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযানে বিপুল অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ একাধিক মামলার আসামি মো. নাজমুল ইসলাম শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে