লালমনিরহাট প্রতিনিধি

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
কিন্তু মুক্ত জীবন পেলেও এই দীর্ঘ সময়ে অজান্তেই সবকিছু হারিয়েছেন রেখা। এক বোন ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। মা-বাবা, ভাইবোনসহ একে একে মারা গেছেন পরিবারের ২৫ জন। স্বামীও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়িটিও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁর।
২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলায় দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু কারাগারে রয়ে যান শুধু রেখা খাতুন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ করতে হয় তাঁকে।
রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে থাকতে হতো। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকার কথা তাঁর।
বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এ কারণে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে, ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুন লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জরিমানা পরিশোধের আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।
৯ এপ্রিল সকালে জেল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা খাতুন। তাঁর দাবি, শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ধর্ষণে সহায়তার করার অপরাধে কারাগারে কেটে গেল ২৩টি বছর। এখন জানতে পেরেছেন ছোট বোন ছাড়া পরিবারের কেউ নেই। এখন কোথায় গিয়ে উঠবেন কিছুই জানেন না।
কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আশাও নেই। আমি এখন কোথায় যাব!’
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়। ধরলা নদীতে বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা গেছেন। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁদের। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন রেখা।
দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর। বিয়ের পরও দু-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। অথচ তাঁদের সহায়তার অপরাধে দণ্ডিত রেখা খাতুন কারাভোগ করলেন দীর্ঘ ২৩ বছর!
নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট–৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।’
রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালে শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সহায়তা করলে হস্তশিল্পের কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
কিন্তু মুক্ত জীবন পেলেও এই দীর্ঘ সময়ে অজান্তেই সবকিছু হারিয়েছেন রেখা। এক বোন ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। মা-বাবা, ভাইবোনসহ একে একে মারা গেছেন পরিবারের ২৫ জন। স্বামীও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়িটিও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁর।
২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলায় দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু কারাগারে রয়ে যান শুধু রেখা খাতুন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ করতে হয় তাঁকে।
রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে থাকতে হতো। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকার কথা তাঁর।
বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এ কারণে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে, ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুন লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জরিমানা পরিশোধের আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।
৯ এপ্রিল সকালে জেল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা খাতুন। তাঁর দাবি, শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ধর্ষণে সহায়তার করার অপরাধে কারাগারে কেটে গেল ২৩টি বছর। এখন জানতে পেরেছেন ছোট বোন ছাড়া পরিবারের কেউ নেই। এখন কোথায় গিয়ে উঠবেন কিছুই জানেন না।
কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আশাও নেই। আমি এখন কোথায় যাব!’
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়। ধরলা নদীতে বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা গেছেন। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁদের। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন রেখা।
দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর। বিয়ের পরও দু-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। অথচ তাঁদের সহায়তার অপরাধে দণ্ডিত রেখা খাতুন কারাভোগ করলেন দীর্ঘ ২৩ বছর!
নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট–৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।’
রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালে শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সহায়তা করলে হস্তশিল্পের কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
কিন্তু মুক্ত জীবন পেলেও এই দীর্ঘ সময়ে অজান্তেই সবকিছু হারিয়েছেন রেখা। এক বোন ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। মা-বাবা, ভাইবোনসহ একে একে মারা গেছেন পরিবারের ২৫ জন। স্বামীও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়িটিও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁর।
২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলায় দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু কারাগারে রয়ে যান শুধু রেখা খাতুন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ করতে হয় তাঁকে।
রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে থাকতে হতো। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকার কথা তাঁর।
বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এ কারণে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে, ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুন লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জরিমানা পরিশোধের আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।
৯ এপ্রিল সকালে জেল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা খাতুন। তাঁর দাবি, শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ধর্ষণে সহায়তার করার অপরাধে কারাগারে কেটে গেল ২৩টি বছর। এখন জানতে পেরেছেন ছোট বোন ছাড়া পরিবারের কেউ নেই। এখন কোথায় গিয়ে উঠবেন কিছুই জানেন না।
কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আশাও নেই। আমি এখন কোথায় যাব!’
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়। ধরলা নদীতে বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা গেছেন। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁদের। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন রেখা।
দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর। বিয়ের পরও দু-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। অথচ তাঁদের সহায়তার অপরাধে দণ্ডিত রেখা খাতুন কারাভোগ করলেন দীর্ঘ ২৩ বছর!
নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট–৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।’
রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালে শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সহায়তা করলে হস্তশিল্পের কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
কিন্তু মুক্ত জীবন পেলেও এই দীর্ঘ সময়ে অজান্তেই সবকিছু হারিয়েছেন রেখা। এক বোন ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। মা-বাবা, ভাইবোনসহ একে একে মারা গেছেন পরিবারের ২৫ জন। স্বামীও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়িটিও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁর।
২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলায় দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু কারাগারে রয়ে যান শুধু রেখা খাতুন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ করতে হয় তাঁকে।
রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে থাকতে হতো। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকার কথা তাঁর।
বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এ কারণে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে, ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুন লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জরিমানা পরিশোধের আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।
৯ এপ্রিল সকালে জেল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা খাতুন। তাঁর দাবি, শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ধর্ষণে সহায়তার করার অপরাধে কারাগারে কেটে গেল ২৩টি বছর। এখন জানতে পেরেছেন ছোট বোন ছাড়া পরিবারের কেউ নেই। এখন কোথায় গিয়ে উঠবেন কিছুই জানেন না।
কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আশাও নেই। আমি এখন কোথায় যাব!’
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়। ধরলা নদীতে বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা গেছেন। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁদের। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন রেখা।
দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর। বিয়ের পরও দু-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। অথচ তাঁদের সহায়তার অপরাধে দণ্ডিত রেখা খাতুন কারাভোগ করলেন দীর্ঘ ২৩ বছর!
নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট–৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।’
রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালে শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সহায়তা করলে হস্তশিল্পের কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।
লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গণঅধিকার পরিষদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
৫ মিনিট আগে
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৮ মিনিট আগে
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইনকিলাব মঞ্চ। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গণঅধিকার পরিষদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
এ সময় তাঁর সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, সদ্য পদত্যাগ করা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতিয়ার রহমানসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে রাশেদ খান বলেন, ‘আমাকে তারেক রহমান মনোনীত করে পাঠিয়েছেন। আমি কথা দিচ্ছি, আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে, আমার পাশে থাকলে, এখানে কোনো দলাদলি থাকবে না। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে।’
রাশেদ বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন তারেক রহমান। আমি আপনাদের জেলার সন্তান। আমি আপনাদের বাইরের কেউ নই। তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে পাঠিয়েছেন। আমি এখানে ইতিমধ্যে ভোটার হয়েছি। আপনারা যাঁরা বিএনপিকে ভালোবাসেন, ধানের শীষকে ভালোবাসেন, বেগম জিয়াকে ভালোবাসেন, আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে—আপনারা ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবেন।’
রাশেদ খান আরও বলেন, ‘তারেক রহমান যাঁদের মনোনীত করেছেন, তাঁদের জয়যুক্ত করতে কাজ করবেন। আপনাদের জন্য কাজ করতে আপনাদের কাছে এসেছি। ফ্যাসিবাদবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে আপনাদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আপনারা আমার পাশে থাকবেন, বিএনপির পাশে থাকবেন। আমি বিজয়ী হলে তারেক রহমান বিজয়ী হবেন।’

ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গণঅধিকার পরিষদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
এ সময় তাঁর সঙ্গে জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ, সদ্য পদত্যাগ করা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, কালীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আতিয়ার রহমানসহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।
মনোনয়নপত্র জমা শেষে রাশেদ খান বলেন, ‘আমাকে তারেক রহমান মনোনীত করে পাঠিয়েছেন। আমি কথা দিচ্ছি, আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে, আমার পাশে থাকলে, এখানে কোনো দলাদলি থাকবে না। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন হবে।’
রাশেদ বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন তারেক রহমান। আমি আপনাদের জেলার সন্তান। আমি আপনাদের বাইরের কেউ নই। তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে ঝিনাইদহ-৪ আসনে পাঠিয়েছেন। আমি এখানে ইতিমধ্যে ভোটার হয়েছি। আপনারা যাঁরা বিএনপিকে ভালোবাসেন, ধানের শীষকে ভালোবাসেন, বেগম জিয়াকে ভালোবাসেন, আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে—আপনারা ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবেন।’
রাশেদ খান আরও বলেন, ‘তারেক রহমান যাঁদের মনোনীত করেছেন, তাঁদের জয়যুক্ত করতে কাজ করবেন। আপনাদের জন্য কাজ করতে আপনাদের কাছে এসেছি। ফ্যাসিবাদবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে আপনাদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আপনারা আমার পাশে থাকবেন, বিএনপির পাশে থাকবেন। আমি বিজয়ী হলে তারেক রহমান বিজয়ী হবেন।’

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৮ মিনিট আগে
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইনকিলাব মঞ্চ। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে৪৮তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য)
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেবাশীষ দাস।
লিখিত বক্তব্যে দেবাশীষ বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা জোরদারে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে ২ হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গত ২৯ মে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর ১৮ জুলাই এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা ও ১০ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) শেষে ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। তবে ফল প্রকাশের তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের চিকিৎসকসংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন উল্লেখ করেন আয়োজকেরা। গত ৩ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র একজন চিকিৎসকের ওপর শতাধিক রোগীর চাপের চিত্র উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর স্বজনেরা। আয়োজকদের ভাষ্য, এটি শুধু একটি উপজেলার চিত্র নয়, দেশের প্রায় সব উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই একই ধরনের সংকট বিরাজ করছে।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার ৯৮০টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে তীব্র চিকিৎসকসংকট থাকা সত্ত্বেও ৩ হাজার ৫০০–এর বেশি প্রস্তুত চিকিৎসককে পদায়ন না করে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এতে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এর আগে জানিয়েছিলেন, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগের কার্যক্রম নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তবে বাস্তবে সেই আশ্বাসের প্রতিফলন এখনো দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকেরা।
আয়োজকেরা জানান, দ্রুত নিয়োগের আশায় অনেক সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক এফসিপিএস, এমডি–এমএসসহ চলমান উচ্চতর প্রশিক্ষণ ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু গেজেট ও পদায়ন বিলম্বিত হওয়ায় তাঁরা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এতে একদিকে তাঁদের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে একাডেমিক ধারাবাহিকতাও ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট প্রকাশ ও দ্রুত পদায়নের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, এতে যেমন চিকিৎসকদের অনিশ্চয়তা দূর হবে, তেমনি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবায়ও স্বস্তি পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রুহুল আমিন, মো. রিফাত খন্দকার, ইশরাত জাহানে ঈসা, আজাদ হোসেন ও রাতুল বালা বিশ্বাল।

৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দেবাশীষ দাস।
লিখিত বক্তব্যে দেবাশীষ বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা জোরদারে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে ২ হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) গত ২৯ মে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর ১৮ জুলাই এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা ও ১০ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) শেষে ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। তবে ফল প্রকাশের তিন মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের চিকিৎসকসংকটের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন উল্লেখ করেন আয়োজকেরা। গত ৩ জুলাই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাত্র একজন চিকিৎসকের ওপর শতাধিক রোগীর চাপের চিত্র উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে। দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীর স্বজনেরা। আয়োজকদের ভাষ্য, এটি শুধু একটি উপজেলার চিত্র নয়, দেশের প্রায় সব উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই একই ধরনের সংকট বিরাজ করছে।
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার ৯৮০টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে তীব্র চিকিৎসকসংকট থাকা সত্ত্বেও ৩ হাজার ৫০০–এর বেশি প্রস্তুত চিকিৎসককে পদায়ন না করে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এতে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এর আগে জানিয়েছিলেন, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে তিন হাজারের বেশি চিকিৎসক নিয়োগের কার্যক্রম নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান দ্রুত ও স্বচ্ছ নিয়োগ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন। তবে বাস্তবে সেই আশ্বাসের প্রতিফলন এখনো দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন চিকিৎসকেরা।
আয়োজকেরা জানান, দ্রুত নিয়োগের আশায় অনেক সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসক এফসিপিএস, এমডি–এমএসসহ চলমান উচ্চতর প্রশিক্ষণ ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু গেজেট ও পদায়ন বিলম্বিত হওয়ায় তাঁরা এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এতে একদিকে তাঁদের ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে একাডেমিক ধারাবাহিকতাও ব্যাহত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে অবিলম্বে ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট প্রকাশ ও দ্রুত পদায়নের দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, এতে যেমন চিকিৎসকদের অনিশ্চয়তা দূর হবে, তেমনি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবায়ও স্বস্তি পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রুহুল আমিন, মো. রিফাত খন্দকার, ইশরাত জাহানে ঈসা, আজাদ হোসেন ও রাতুল বালা বিশ্বাল।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪
ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গণঅধিকার পরিষদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
৫ মিনিট আগে
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইনকিলাব মঞ্চ। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। এতে এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তাঁরা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। সোয়া ২টার পর তাঁরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেন।
গত শুক্রবার দুপুর থেকে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।
গতকাল সারা দেশের বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে রাত ১০টার দিকে খুনিদের গ্রেপ্তার, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের কাজের অনুমতি বাতিলসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা হলো—
১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।
২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়ের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।
৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সব খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।
৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। এতে এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তাঁরা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। সোয়া ২টার পর তাঁরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেন।
গত শুক্রবার দুপুর থেকে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।
গতকাল সারা দেশের বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে রাত ১০টার দিকে খুনিদের গ্রেপ্তার, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের কাজের অনুমতি বাতিলসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।
ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা হলো—
১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।
২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়ের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।
৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সব খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।
৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪
ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গণঅধিকার পরিষদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
৫ মিনিট আগে
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৮ মিনিট আগে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার্থীরা http://apply.ku.ac.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে ফল জানতে পারবে।
আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ না করলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ডিসিপ্লিনভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগামী ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা) পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারটি ইউনিটের প্রধানেরা নিজ নিজ ইউনিটের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সভায় চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সব স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা স্কুল) ও ‘ডি’ ইউনিট (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) এবং ১৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ও ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার্থীরা http://apply.ku.ac.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে ফল জানতে পারবে।
আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ না করলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ডিসিপ্লিনভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগামী ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা) পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারটি ইউনিটের প্রধানেরা নিজ নিজ ইউনিটের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সভায় চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সব স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা স্কুল) ও ‘ডি’ ইউনিট (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) এবং ১৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ও ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪
ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গণঅধিকার পরিষদের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রেজওয়ানা নাহিদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
৫ মিনিট আগে
৪৮তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) সুপারিশপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের গেজেট দ্রুত প্রকাশ ও পদায়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা। তাঁদের ভাষ্য, সুপারিশের তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো গেজেট প্রকাশ না হওয়ায় দেশের তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১৮ মিনিট আগে
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আবারও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইনকিলাব মঞ্চ। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।
১ ঘণ্টা আগে