লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর একপর্যায়ে তাঁরা দুজন পালিয়ে বিয়ে করেন। মেয়ের পরিবার বিষয়টি মানতে না পেরে ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে। সেই মামলায় ছেলে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে। শেষ পর্যন্ত মেয়ের নামে প্রায় তিন বিঘা জমি লিখে দেয় ছেলের পরিবার। দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারাগারে প্রেমিক যুগলের বিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষ রাকিবুজ্জামান রাকিবের সঙ্গে গত ২৯ নভেম্বর ১৭ বছর বয়সী স্বর্ণা খাতুনের বিয়ে দেন। কারাগারে বিয়ে করা রাকিবুজ্জামান রাকিব আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর কালীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আর কনে পাশের গ্রাম উত্তর বোবদার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন সাবুর মেয়ে।
এলাকাবাসী জানান, রাকিবুজ্জামান রাকিব তাঁর নিকটাত্মীয় ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত বছরের জানুয়ারিতে দুজন বাড়ি ছেড়ে গোপনে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। কিন্তু মেয়ের বাবা এ ঘটনায় অপহরণের মামলা করলে গত বছরের ১৩ জুলাই ঢাকা থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। আদালত রাকিবকে জেলহাজতে পাঠান। উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রীকে গর্ভবতী উল্লেখ করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীকালে সন্তান নষ্ট হয়ে যায় ভিকটিমের। সেটাও আদালতকে অবগত করে চিকিৎসকের রিপোর্ট দাখিল করে পুলিশ।
প্রথমে উভয় পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালত বরের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে আপিল করলে জামিন বাতিল করেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। অবশেষে মেয়ের নামে জমি লিখে দিয়ে আপস মীমাংসা করে রাকিবের পরিবার। পরে বাদী তাঁর নাবালিকা মেয়ের (১৭) বিয়েতে রাজি আছেন মর্মে হাইকোর্টকে অবগত করেন।
এদিকে শুনানিতে ভুক্তভোগীর বাবা আপিল বিভাগকে বলেন, তাঁর মেয়েও বিয়েতে আগ্রহী। পরে শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ১৫ দিনের মধ্যে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষকে বিয়ের আয়োজন করতে নির্দেশ দেন। গত ৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তাঁদের বিয়ের নির্দেশ দেন। আদালতের সেই নির্দেশ মোতাবেক গত ২৯ নভেম্বর বিকেলে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে দুই পরিবারের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন করেন জেল সুপার উমর ফারুক। গত ৪ ডিসেম্বর কারাগারে থাকা রাকিবের জামিন বহাল রেখে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের মুক্তির নির্দেশের চিঠি কারাগারে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় রাকিবের এখনো মুক্তি মেলেনি। এদিকে গত শুক্রবার মামলার বাদী সাহাব উদ্দিন সাবু তাঁর অপর মেয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেন। সেখানে এক মেয়েকে তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দিলেও অপর মেয়ে স্বর্ণাকে তাঁর স্বামীর অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মামলার বাদী সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, ‘আদালত যে আদেশ দিয়েছেন আমি তাতে অনেক খুশি। সেই আদেশে আমি শুক্রবার বিয়ের কার্ড করে শত শত মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু আপিল বিভাগের সেই নির্দেশ এখন পর্যন্ত কারাগারে পৌঁছায়নি।’
বরের বাবা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কারাগারে ছেলের বিয়ে দিলাম, ছেলের মুক্তির আশায়। বিয়ে হলেও এখন পর্যন্ত তার মুক্তি মেলেনি। বাদী বিয়াইসহ অ্যাডভোকেট ও আদালতে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। দু-এক দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তির আদেশ কারাগারে পৌঁছালে মুক্তি মিলবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কিছু জমি দিয়েছি। তবে এসব নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না।’
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নার্গিস তানজিমা বলেন, হাইকোর্টের আপিল বিভাগ বাদীর জবানবন্দি ও ভিকটিমের বিয়ের ইচ্ছের ওপর কারা কর্তৃপক্ষকে বিয়ের আয়োজনের নির্দেশ দেন। যা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় জামিনও মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালতের কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে, তা শেষে দু-এক দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তির নির্দেশনা কারাগারে পৌঁছে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেল সুপার উমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কারাগারে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে এ বিয়ে হয়েছে। শুনেছি, আপিল বিভাগ রাকিবের জামিনের আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি হাতে পেলে রাকিব মুক্তি পাবেন।’

প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর একপর্যায়ে তাঁরা দুজন পালিয়ে বিয়ে করেন। মেয়ের পরিবার বিষয়টি মানতে না পেরে ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে। সেই মামলায় ছেলে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে। শেষ পর্যন্ত মেয়ের নামে প্রায় তিন বিঘা জমি লিখে দেয় ছেলের পরিবার। দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারাগারে প্রেমিক যুগলের বিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষ রাকিবুজ্জামান রাকিবের সঙ্গে গত ২৯ নভেম্বর ১৭ বছর বয়সী স্বর্ণা খাতুনের বিয়ে দেন। কারাগারে বিয়ে করা রাকিবুজ্জামান রাকিব আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর কালীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আর কনে পাশের গ্রাম উত্তর বোবদার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন সাবুর মেয়ে।
এলাকাবাসী জানান, রাকিবুজ্জামান রাকিব তাঁর নিকটাত্মীয় ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত বছরের জানুয়ারিতে দুজন বাড়ি ছেড়ে গোপনে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। কিন্তু মেয়ের বাবা এ ঘটনায় অপহরণের মামলা করলে গত বছরের ১৩ জুলাই ঢাকা থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। আদালত রাকিবকে জেলহাজতে পাঠান। উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রীকে গর্ভবতী উল্লেখ করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীকালে সন্তান নষ্ট হয়ে যায় ভিকটিমের। সেটাও আদালতকে অবগত করে চিকিৎসকের রিপোর্ট দাখিল করে পুলিশ।
প্রথমে উভয় পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালত বরের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে আপিল করলে জামিন বাতিল করেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। অবশেষে মেয়ের নামে জমি লিখে দিয়ে আপস মীমাংসা করে রাকিবের পরিবার। পরে বাদী তাঁর নাবালিকা মেয়ের (১৭) বিয়েতে রাজি আছেন মর্মে হাইকোর্টকে অবগত করেন।
এদিকে শুনানিতে ভুক্তভোগীর বাবা আপিল বিভাগকে বলেন, তাঁর মেয়েও বিয়েতে আগ্রহী। পরে শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ১৫ দিনের মধ্যে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষকে বিয়ের আয়োজন করতে নির্দেশ দেন। গত ৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তাঁদের বিয়ের নির্দেশ দেন। আদালতের সেই নির্দেশ মোতাবেক গত ২৯ নভেম্বর বিকেলে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে দুই পরিবারের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন করেন জেল সুপার উমর ফারুক। গত ৪ ডিসেম্বর কারাগারে থাকা রাকিবের জামিন বহাল রেখে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের মুক্তির নির্দেশের চিঠি কারাগারে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় রাকিবের এখনো মুক্তি মেলেনি। এদিকে গত শুক্রবার মামলার বাদী সাহাব উদ্দিন সাবু তাঁর অপর মেয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেন। সেখানে এক মেয়েকে তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দিলেও অপর মেয়ে স্বর্ণাকে তাঁর স্বামীর অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মামলার বাদী সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, ‘আদালত যে আদেশ দিয়েছেন আমি তাতে অনেক খুশি। সেই আদেশে আমি শুক্রবার বিয়ের কার্ড করে শত শত মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু আপিল বিভাগের সেই নির্দেশ এখন পর্যন্ত কারাগারে পৌঁছায়নি।’
বরের বাবা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কারাগারে ছেলের বিয়ে দিলাম, ছেলের মুক্তির আশায়। বিয়ে হলেও এখন পর্যন্ত তার মুক্তি মেলেনি। বাদী বিয়াইসহ অ্যাডভোকেট ও আদালতে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। দু-এক দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তির আদেশ কারাগারে পৌঁছালে মুক্তি মিলবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কিছু জমি দিয়েছি। তবে এসব নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না।’
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নার্গিস তানজিমা বলেন, হাইকোর্টের আপিল বিভাগ বাদীর জবানবন্দি ও ভিকটিমের বিয়ের ইচ্ছের ওপর কারা কর্তৃপক্ষকে বিয়ের আয়োজনের নির্দেশ দেন। যা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় জামিনও মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালতের কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে, তা শেষে দু-এক দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তির নির্দেশনা কারাগারে পৌঁছে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেল সুপার উমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কারাগারে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে এ বিয়ে হয়েছে। শুনেছি, আপিল বিভাগ রাকিবের জামিনের আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি হাতে পেলে রাকিব মুক্তি পাবেন।’
লালমনিরহাট প্রতিনিধি

প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর একপর্যায়ে তাঁরা দুজন পালিয়ে বিয়ে করেন। মেয়ের পরিবার বিষয়টি মানতে না পেরে ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে। সেই মামলায় ছেলে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে। শেষ পর্যন্ত মেয়ের নামে প্রায় তিন বিঘা জমি লিখে দেয় ছেলের পরিবার। দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারাগারে প্রেমিক যুগলের বিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষ রাকিবুজ্জামান রাকিবের সঙ্গে গত ২৯ নভেম্বর ১৭ বছর বয়সী স্বর্ণা খাতুনের বিয়ে দেন। কারাগারে বিয়ে করা রাকিবুজ্জামান রাকিব আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর কালীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আর কনে পাশের গ্রাম উত্তর বোবদার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন সাবুর মেয়ে।
এলাকাবাসী জানান, রাকিবুজ্জামান রাকিব তাঁর নিকটাত্মীয় ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত বছরের জানুয়ারিতে দুজন বাড়ি ছেড়ে গোপনে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। কিন্তু মেয়ের বাবা এ ঘটনায় অপহরণের মামলা করলে গত বছরের ১৩ জুলাই ঢাকা থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। আদালত রাকিবকে জেলহাজতে পাঠান। উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রীকে গর্ভবতী উল্লেখ করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীকালে সন্তান নষ্ট হয়ে যায় ভিকটিমের। সেটাও আদালতকে অবগত করে চিকিৎসকের রিপোর্ট দাখিল করে পুলিশ।
প্রথমে উভয় পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালত বরের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে আপিল করলে জামিন বাতিল করেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। অবশেষে মেয়ের নামে জমি লিখে দিয়ে আপস মীমাংসা করে রাকিবের পরিবার। পরে বাদী তাঁর নাবালিকা মেয়ের (১৭) বিয়েতে রাজি আছেন মর্মে হাইকোর্টকে অবগত করেন।
এদিকে শুনানিতে ভুক্তভোগীর বাবা আপিল বিভাগকে বলেন, তাঁর মেয়েও বিয়েতে আগ্রহী। পরে শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ১৫ দিনের মধ্যে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষকে বিয়ের আয়োজন করতে নির্দেশ দেন। গত ৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তাঁদের বিয়ের নির্দেশ দেন। আদালতের সেই নির্দেশ মোতাবেক গত ২৯ নভেম্বর বিকেলে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে দুই পরিবারের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন করেন জেল সুপার উমর ফারুক। গত ৪ ডিসেম্বর কারাগারে থাকা রাকিবের জামিন বহাল রেখে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের মুক্তির নির্দেশের চিঠি কারাগারে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় রাকিবের এখনো মুক্তি মেলেনি। এদিকে গত শুক্রবার মামলার বাদী সাহাব উদ্দিন সাবু তাঁর অপর মেয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেন। সেখানে এক মেয়েকে তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দিলেও অপর মেয়ে স্বর্ণাকে তাঁর স্বামীর অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মামলার বাদী সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, ‘আদালত যে আদেশ দিয়েছেন আমি তাতে অনেক খুশি। সেই আদেশে আমি শুক্রবার বিয়ের কার্ড করে শত শত মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু আপিল বিভাগের সেই নির্দেশ এখন পর্যন্ত কারাগারে পৌঁছায়নি।’
বরের বাবা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কারাগারে ছেলের বিয়ে দিলাম, ছেলের মুক্তির আশায়। বিয়ে হলেও এখন পর্যন্ত তার মুক্তি মেলেনি। বাদী বিয়াইসহ অ্যাডভোকেট ও আদালতে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। দু-এক দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তির আদেশ কারাগারে পৌঁছালে মুক্তি মিলবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কিছু জমি দিয়েছি। তবে এসব নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না।’
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নার্গিস তানজিমা বলেন, হাইকোর্টের আপিল বিভাগ বাদীর জবানবন্দি ও ভিকটিমের বিয়ের ইচ্ছের ওপর কারা কর্তৃপক্ষকে বিয়ের আয়োজনের নির্দেশ দেন। যা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় জামিনও মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালতের কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে, তা শেষে দু-এক দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তির নির্দেশনা কারাগারে পৌঁছে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেল সুপার উমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কারাগারে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে এ বিয়ে হয়েছে। শুনেছি, আপিল বিভাগ রাকিবের জামিনের আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি হাতে পেলে রাকিব মুক্তি পাবেন।’

প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর একপর্যায়ে তাঁরা দুজন পালিয়ে বিয়ে করেন। মেয়ের পরিবার বিষয়টি মানতে না পেরে ছেলের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করে। সেই মামলায় ছেলে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে। শেষ পর্যন্ত মেয়ের নামে প্রায় তিন বিঘা জমি লিখে দেয় ছেলের পরিবার। দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারাগারে প্রেমিক যুগলের বিয়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষ রাকিবুজ্জামান রাকিবের সঙ্গে গত ২৯ নভেম্বর ১৭ বছর বয়সী স্বর্ণা খাতুনের বিয়ে দেন। কারাগারে বিয়ে করা রাকিবুজ্জামান রাকিব আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর কালীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আর কনে পাশের গ্রাম উত্তর বোবদার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন সাবুর মেয়ে।
এলাকাবাসী জানান, রাকিবুজ্জামান রাকিব তাঁর নিকটাত্মীয় ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত বছরের জানুয়ারিতে দুজন বাড়ি ছেড়ে গোপনে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। কিন্তু মেয়ের বাবা এ ঘটনায় অপহরণের মামলা করলে গত বছরের ১৩ জুলাই ঢাকা থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। আদালত রাকিবকে জেলহাজতে পাঠান। উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রীকে গর্ভবতী উল্লেখ করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। কিন্তু পরবর্তীকালে সন্তান নষ্ট হয়ে যায় ভিকটিমের। সেটাও আদালতকে অবগত করে চিকিৎসকের রিপোর্ট দাখিল করে পুলিশ।
প্রথমে উভয় পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে উচ্চ আদালত বরের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে আপিল করলে জামিন বাতিল করেন হাইকোর্টের আপিল বিভাগ। অবশেষে মেয়ের নামে জমি লিখে দিয়ে আপস মীমাংসা করে রাকিবের পরিবার। পরে বাদী তাঁর নাবালিকা মেয়ের (১৭) বিয়েতে রাজি আছেন মর্মে হাইকোর্টকে অবগত করেন।
এদিকে শুনানিতে ভুক্তভোগীর বাবা আপিল বিভাগকে বলেন, তাঁর মেয়েও বিয়েতে আগ্রহী। পরে শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ১৫ দিনের মধ্যে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষকে বিয়ের আয়োজন করতে নির্দেশ দেন। গত ৪ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ তাঁদের বিয়ের নির্দেশ দেন। আদালতের সেই নির্দেশ মোতাবেক গত ২৯ নভেম্বর বিকেলে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে দুই পরিবারের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগীর সঙ্গে ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন করেন জেল সুপার উমর ফারুক। গত ৪ ডিসেম্বর কারাগারে থাকা রাকিবের জামিন বহাল রেখে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের মুক্তির নির্দেশের চিঠি কারাগারে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় রাকিবের এখনো মুক্তি মেলেনি। এদিকে গত শুক্রবার মামলার বাদী সাহাব উদ্দিন সাবু তাঁর অপর মেয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেন। সেখানে এক মেয়েকে তাঁর স্বামীর হাতে তুলে দিলেও অপর মেয়ে স্বর্ণাকে তাঁর স্বামীর অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মামলার বাদী সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, ‘আদালত যে আদেশ দিয়েছেন আমি তাতে অনেক খুশি। সেই আদেশে আমি শুক্রবার বিয়ের কার্ড করে শত শত মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু আপিল বিভাগের সেই নির্দেশ এখন পর্যন্ত কারাগারে পৌঁছায়নি।’
বরের বাবা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কারাগারে ছেলের বিয়ে দিলাম, ছেলের মুক্তির আশায়। বিয়ে হলেও এখন পর্যন্ত তার মুক্তি মেলেনি। বাদী বিয়াইসহ অ্যাডভোকেট ও আদালতে নিয়মিত যোগাযোগ করছি। দু-এক দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তির আদেশ কারাগারে পৌঁছালে মুক্তি মিলবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কিছু জমি দিয়েছি। তবে এসব নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না।’
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নার্গিস তানজিমা বলেন, হাইকোর্টের আপিল বিভাগ বাদীর জবানবন্দি ও ভিকটিমের বিয়ের ইচ্ছের ওপর কারা কর্তৃপক্ষকে বিয়ের আয়োজনের নির্দেশ দেন। যা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় জামিনও মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালতের কিছু আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে, তা শেষে দু-এক দিনের মধ্যে জামিনে মুক্তির নির্দেশনা কারাগারে পৌঁছে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেল সুপার উমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কারাগারে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে এ বিয়ে হয়েছে। শুনেছি, আপিল বিভাগ রাকিবের জামিনের আদেশ দিয়েছেন। আদেশের কপি হাতে পেলে রাকিব মুক্তি পাবেন।’

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
৬ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৪১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষ রাকিবুজ্জামান রাকিবের সঙ্গে গত ২৯ নভেম্বর ১৭ বছর বয়সী স্নর্ণা খাতুনের বিয়ে দেন। কারাগারে বিয়ে করা রাকিবুজ্জামান রাকিব আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর কালীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আর কনে পাশের গ্রাম উত্তর বোবদার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন সাবুর মেয়ে।
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৪১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষ রাকিবুজ্জামান রাকিবের সঙ্গে গত ২৯ নভেম্বর ১৭ বছর বয়সী স্নর্ণা খাতুনের বিয়ে দেন। কারাগারে বিয়ে করা রাকিবুজ্জামান রাকিব আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর কালীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আর কনে পাশের গ্রাম উত্তর বোবদার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন সাবুর মেয়ে।
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
৬ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৪১ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষ রাকিবুজ্জামান রাকিবের সঙ্গে গত ২৯ নভেম্বর ১৭ বছর বয়সী স্নর্ণা খাতুনের বিয়ে দেন। কারাগারে বিয়ে করা রাকিবুজ্জামান রাকিব আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর কালীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আর কনে পাশের গ্রাম উত্তর বোবদার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন সাবুর মেয়ে।
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
৬ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

উচ্চ আদালতের নির্দেশে লালমনিরহাট কারা কর্তৃপক্ষ রাকিবুজ্জামান রাকিবের সঙ্গে গত ২৯ নভেম্বর ১৭ বছর বয়সী স্নর্ণা খাতুনের বিয়ে দেন। কারাগারে বিয়ে করা রাকিবুজ্জামান রাকিব আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর কালীরহাট এলাকার বাসিন্দা। আর কনে পাশের গ্রাম উত্তর বোবদার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন সাবুর মেয়ে।
১২ ডিসেম্বর ২০২৩
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
৬ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
৪১ মিনিট আগে