Ajker Patrika

অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে ঝরে গেল যে তরুণের প্রাণ  

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা 
আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২: ৪৯
অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে ঝরে গেল যে তরুণের প্রাণ  

স্বার্থপরতা, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার এই সমাজে জোবায়ের রহমান নাজিউল (১৮) একেবারেই ব্যতিক্রম। তাই তো জীবনের ঝুঁকি আছে জেনেও বাঁচাতে গিয়েছিলেন শিশুসহ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিতে যাওয়া নারীকে। শেষ পর্যন্ত ওই নারীর সঙ্গে মারা যান জোবায়েরও। বেঁচে যায় শিশুটি। তবে এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হলেও মানুষের প্রতি মানুষের সহমর্মিতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন এই তরুণ। 

ঘটনাটি ঘটছে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিক গাইবান্ধা শহরের আদর্শ কলেজসংলগ্ন মাঝিপাড়া এলাকায় রেললাইনে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সান্তাহার থেকে পার্বতীপুরগামী পদ্মরাগ ট্রেন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাঝিপাড়া অতিক্রম করছিল। এ সময় শহরের কলেজপাড়ার গৃহবধূ রাজিয়া বেগম তাঁর দেড় বছরের শিশু আবিতকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিচ্ছিলেন। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যান কলেজ শিক্ষার্থী জোবায়েরও। 

জোবায়েরের এমন মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ এলাকাবাসী শোকে কাতর। নাজিউলের বাড়ি অর্থাৎ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামে রাতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে চৌকির ওপর পড়ে আছে জোবায়েরের নিথর দেহ। সবাই তাঁর বাবা-মাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীসহ উপস্থিত সবার চোখে পানি। 

জোবায়েরের মায়ের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চারপাশ। কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ‘আমার কলজার ধনকে আনে দেও। আমার ধনকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম। আহা রে ধনটা কই গেল। ভালো করে লেখাপড়া করবে, সেজন্য শহরে ভালো স্কুলে ভর্তি করালাম। মাসে মাসে এখন আমি কাক টাকা পাঠাব। কে আমাকে বলবে, মা আমার মেসের খাবার ভালো লাগছে না। এখন আমি কাক নিয়ে বেঁচে থাকব। বাবারে, তুই ক্যামনে কবরে একাই থাকবু। আমাক একা করে এভাবে চলে যাবি।’ 

ভরতখালী গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের রহমান। জাহিদুল ইসলামের দুই ছেলে-মেয়ে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। নাজিউল গাইবান্ধা শহরের এস কে এস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।  

এদিকে নিহত গৃহবধূ রাজিয়া বেগমের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গাইবান্ধা শহরে গোবিন্দপুর মাঝিপাড়ায়। চার বছরের প্রেমের সম্পর্কে তিন বছর আগে এই গ্রামের রবিয়ার রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেনের (২৫) সঙ্গে বিয়ে হয় সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বাগলির বাজার গ্রামের বাবরের মেয়ে রাজিয়া (২৩)। দেড় বছর আগে তাঁদের আবিত নামের একটি ছেলেসন্তান হয়। সেই সন্তানকে কোলে নিয়ে আত্মহত্যা করতে রেললাইনে যান রাজিয়া বেগম। 

প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে প্রাইভেট পড়ার জন্য মেস থেকে বের হয়েছিলেন জোবায়ের। রেললাইনের পূর্ব পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সিজার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী মর্মান্তিক ঘটনাটির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, একটি ছেলে কাঁধে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল। হঠাৎ দেখতে পায়, সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা পদ্মারাগ ট্রেনটি টানা হুইসেল দিচ্ছে আদর্শ কলেজসংলগ্ন মাঝিপাড়া এলাকায় আর এক নারী কোলে থাকা শিশু সন্তানকে নিয়ে ট্রেনের নিচে লাফ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছেলেটি দৌড়ে তাঁদের কাছে যায়। এরই মধ্যে ট্রেনটি সেখানে পৌঁছে গেলে ছেলেটি কোলের সন্তানসহ নারীকে সরানোর জন্য টানাটানি শুরু করে। তার পরই জোবায়ের ও রাজিয়াকে ধাক্কা দেয় ট্রেনটি। তারা দুজন গুরুতর আহত হলেও শিশুটি তেমন আঘাত পায়নি। 

স্থানীয়রা তিনজনকেই গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জোবায়ের ও রাজিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। আর শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরিবারের কাছে দিয়ে দেন। 

গোবিন্দপুরের মাঝিপাড়ায় রাতে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটি খেলা করছে তার দাদি মঞ্জুরি রানীর কোলে। নিহতের বড় জা মনি আকতার বলেন, গত রোববার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। রাজিয়া একপর্যায়ে তাঁর নিজের ঘর থেকে বের হয়ে এসে বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে থাকে। তাঁদের ঘরে ছোট আবিতকে মারধর নিয়েই মূলত এই কলহ। এর আগেই রাজিয়া দুই-তিনবার রেললাইনে মাথা দিয়ে মারা যাওয়া জন্য গিয়েছিলেন।

রাজিয়ার স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছেলেকে আমার স্ত্রী মারে সব সময়। গত রাতে এর জেরে স্ত্রীকে মারধর ও গালি দিই। এরপর রাতেই ঘর থেকে আমার স্ত্রী বের হয়ে যায়। পরে আমার ছেলেসহ অন্য রুমে ঘুমায়। সকালে আমি কাজে যাই। পরে সাড়ে ১১টার দিকে শুনতে পাই আমার স্ত্রী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছে। আমি এই ছোট শিশুকে নিয়ে তার মা ছাড়া কীভাবে বেঁচে থাকব! আমার শিশুকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখছেন, নাজিউর রহমান নামে ছেলেটি বাঁচলে তার বাবা-মায়ের কোল খালি হতো না।’ 

এদিক জোবায়ের এমন মৃত্যুর মাধ্যমে শিশুকে বাঁচানোর বিষয়টি নিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে মৃত্যুঞ্জয়ী আখ্যা দিচ্ছেন। 

কবি ও সাংবাদিক রজতকান্তি বর্মণ তাঁর ফেসবুকের স্ট্যাটাসে লিখছেন, জোবায়েরের জন্য আমরা গর্বিত। ওর বাবা-মাকে কোনোভাবেই সান্ত্বনা দেওয়া যাবে না। প্রিয় সন্তান জোবায়েরকে হারানোর অভাব কেউ কোনো দিনই ওর বাবা-মাকে পূরণ করে দিতে পারবে না। কিন্তু জোবায়েরকে নিয়ে আমরা গর্ব করতেই পারি। সেটি হলো, আমাদের কিশোর, তরুণ সমাজ এখনো পুরোপুরি নষ্ট হয়ে, পচে-গলে দুর্গন্ধ ছড়ায়নি। আমরা আশান্বিত হতেই পারি, সমাজে এখনো জোবায়েরের মতো কিশোররা আছে, যারা নিজের সমূহ সর্বনাশ হতে পারে জেনেও মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে। 

জোবায়ের রহমানের বন্ধু মাশনুন স্নিগ্ধ লিখেছেন, ‘আহ জীবন! আমার সহপাঠী, এসকেএস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শুরু থেকে যার সাথে ওঠাবসা, ওরে আজ হারাইলাম; অন্যকে বাঁচাইতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় সে নিজে চলে গেল না ফেরার দেশে। এই তো আজকে সকাল ৯টা ১৫ পর্যন্ত একসাথে ছিলাম ভাই। কত গল্প করলাম, কেমিস্ট্রি প্রাইভেট পড়লাম একসাথে, বাসায় আসতে না আসতেই এই খবর! আমি বাকরুদ্ধ। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তোমাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুক, ভাই।’ 

এভাবেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জোবায়ের রহমান নাজিউলের মহত্ত্ব নিয়ে লিখছেন অনেকেই। 

ছোট আবিত তার মায়ের ভালোবাসা, আদর-স্নেহ ছাড়াই বেড়ে উঠবে, সমাজে হয়তো একদিন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। হয়তো সেভাবে উপলব্ধিও করতে পারবে না নাজিউল নামের এক তরুণের জন্যই বেঁচে গিয়েছিল সে। কিন্তু নাজিউলের মা-বাবা কখনো ভুলতে পারবেন না ছেলের এভাবে চলে যাওয়া। 

তবে মহাকাল সবকিছুকে ধ্বংস করে দিলেও কিছু কর্ম, ত্যাগ, সৃষ্টি কখনো বিলীন হয় না। তেমনি মহৎ কোনো কাজের মাধ্যমে মৃত্যুর পরও অন্যদের মনে অমর হয়ে থাকেন কিছু কিছু মানুষ। জোবায়ের রহমান নাজিউলও এমনই একজন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় শ্রমিক শক্তির নেতাকে গুলি: যুবশক্তির সেই নেত্রী কারাগারে

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৫
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা
তনিমা তন্বী। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোতালেব শিকদারকে (৪০) গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার আসামি তানিয়াকে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর মো. আসাদুর জামানের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার তানিয়া তন্বী এনসিপির যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির খুলনা জেলার যুগ্ম সদস্যসচিব।

এদিকে গ্রেপ্তার তানিয়া দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে দাবি করেছেন। তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির ওসি তৈয়মুর ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ’মামলার নথি এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া তন্বী অন্তঃসত্ত্বা কি না, বিষয়টি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।’

এর আগে সোমবার নগরীর সোনাডাঙ্গা আল আকসা মসজিদ সরণির ১০৯ নম্বর রোডের মুক্তা হাউসের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে মোতালেব শিকদারকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রীর করা মামলায় তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা থেকে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মোতালেব শিকদারের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার বাদী হয়ে ছয়-সাতজন অজ্ঞাতনামা আসামির নামে মামলা করেছেন। এই মামলায় আটক তানিয়া তন্বীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া তানিয়া অন্তঃসত্ত্বা থাকার কথা বলেছেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সব রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে, তিনি অন্তঃসত্ত্বা কি না।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই ফ্ল্যাটে এবং আশপাশে মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী, তাঁর স্বামী তানভীর শেখসহ ১০ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একটি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠনের কয়েকজন সদস্যের উপস্থিত থাকার বিষয়ে তথ্য পাচ্ছি।

চাঁদাবাজি, মাদক (ইয়াবা) ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়গুলো নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মোতালেব শিকদার, তানিয়া তন্বী এবং তাঁর স্বামী তানভীর শেখ নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মোতালেব শিকদারের ব্যাপারেও আলাদা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

গুলিবিদ্ধ মোতালেব শিকদার প্রসঙ্গে কেএমপির এই উপপুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আহত মোতালেব শিকদারের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। সোমবার আহত হওয়ার পর সে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এখন সে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ভান করছে। সে পুলিশ দেখলেই বোবা হয়ে যাচ্ছে।

ইশারা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কথা বলছে। কোনো কথা জিজ্ঞেস করলে কলম দিয়ে আঁকাবাঁকা কী সব খাতায় লিখে দিচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না। সে সুস্থ হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী তানভীর শেখ পলাতক রয়েছেন। তানভীরসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিরোজপুরে সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে তরুণীর মৃত্যু

পিরোজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৯
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আটক অমিত হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎পিরোজপুরে সুমনা আক্তার নামের এক তরুণী তাঁর সাবেক স্বামী অমিত হাসানের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সুমনা মারা যান। পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‎

‎নিহত সুমনা আক্তার (১৮) পিরোজপুর সদর উপজেলার ঝাটকাঠি এলাকায় ফারুক শিকদারের মেয়ে। অভিযুক্ত অমিত হাসান (২৫) একই উপজেলার মধ্য রাস্তা এলাকার বাসিন্দা।‎

‎পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক স্বামী অমিত হাসান সুমনা আক্তারকে ঝাটকাঠিতে বাবার বাড়িতে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন তাঁকে উদ্ধার করে ওই রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনা মারা যান। বর্তমানে তাঁর মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।‎

‎পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।‎

পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে ৩০০ ফুটে নেতা-কর্মীদের ভিড়

নুরুল আমিন হাসান, ৩০০ ফুট থেকে
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৭
৩০০ ফুট সড়কের তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার দুপুর থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
৩০০ ফুট সড়কের তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার দুপুর থেকে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়ো হওয়া শুরু করেছেন। এতে ৩০০ ফুট সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

৩০০ ফুট সড়কে তারেক রহমানের জন্য তৈরি করা মঞ্চের সামনে আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এমন দৃশ্য দেখা যায়।

এদিকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার জন্য ৩০০ ফুট সড়কসহ আশপাশ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডগ স্কোয়াড টিম দিয়ে মঞ্চ এবং এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা তল্লাশি করা হয়েছে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দলে দলে বিভিন্ন মিছিল ও স্লোগান নিয়ে আসতে দেখা যায়।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ মঞ্চ থেকে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বারবার অনুরোধ করে বলতে দেখা যায়, ‘আপনারা মঞ্চের বাঁশ-খুঁটিতে নাড়াচাড়া করবেন না। এতে মঞ্চটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে।’

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আপনারা সবাই মঞ্চের সামনে থেকে সরে যান। এখানে নিরাপত্তা তল্লাশি করা হবে। নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য ডগ স্কোয়াডের টিম রয়েছে। আমাদের নেতার নিরাপত্তার জন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবেন।’

উল্লেখ্য, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। সে জন্যই রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে করা হয়েছে একটি বিশাল মঞ্চ। জানা গেছে, দেশে ফিরেই তিনি এই মঞ্চ থেকে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৩
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মগবাজার এলাকায় ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া শক্তিশালী ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে সিয়াম নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মগবাজার মিডিয়া গলির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এই তথ্য নিশ্চিত করে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, মগবাজারে ফ্লাইওভারের নিচে সিয়াম নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণের কারণে তাঁর মাথায় আঘাত পান। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ওই পথচারী সেখানে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ ফ্লাইওভারের ওপর থেকে কে বা কারা একটি ককটেল নিক্ষেপ করে। সেটি নিচ দিয়ে চলাচল করা এক যুবকের মাথায় পড়ে। এতে তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে, রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত