পঞ্চগড় প্রতিনিধি

নদীর চরের পরিত্যক্ত জমি এখন আর পড়ে নেই। পরিবেশ উপযোগী, ঝুঁকি কম এবং উৎপাদন খরচ সীমিত পক্ষান্তরে অধিক মুনাফা নিশ্চিত হয়েই পঞ্চগড়ের চাষিরা ঝুঁকে পড়েছেন উচ্চ ফলনশীল বাদাম চাষে।
ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও লাভজনক বিকল্প ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের প্রান্তিক চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রযুক্তিগত ধারণা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
হিমালয়ের খুব কাছে অবস্থানের কারণে এ জেলার মাটি এবং আবহাওয়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন। মাটিতে পাথর এবং বালির আধিক্য থাকায় অর্থকরী ফসল উৎপাদনে ঝুঁকি ও লাভ সীমিত। এ কারণে চাষিরা লাভজনক উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদনের কৌশল খুঁজছেন। এই তালিকায় শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি, ভুট্টা, কলা এবং বাদাম চাষে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন বেশি। উৎপাদন মুখী এই প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। পাশাপাশি সচ্ছলতাও ফিরেছে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে।
পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বছরের দুই মৌসুমে ব্যাপক আকারে চাষ হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল বাদাম। বিশেষ করে জেলার দেবীগঞ্জ বোদা এবং সদর উপজেলায় এই বাদাম চাষ বর্তমানে কৃষিতে নতুন এক বিপ্লব এনে দিয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘাতেই ১০ মন বাদাম উৎপাদন করা সম্ভব। সাইজে আকর্ষণীয় হওয়ার কারণে প্রতি মণ বাদামের পাইকারি মূল্য ২ হাজার ৫০০ টাকা। স্বল্প খরচে অধিক মুনাফায় এই বাদাম চাষ চাষিদের স্বাবলম্বী করে তুলেছে।
তবে সুষ্ঠু বাজার জাত, আর্থিক সহায়তা এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় কিছুটা হতাশ চাষিরা।
উৎপাদিত ফসলের সন্তোষজনক দাম এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষিদের সহায়তা করা গেলে পঞ্চগড়ের উৎপাদিত বাদাম এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে, এমনটি বলছে কৃষি বিভাগ।
বিকল্প ফসল হিসেবে বাদাম চাষ করে চাষিরা যেমন সফল হয়েছে তেমনি বাদাম মিলে কাজ করে এলাকার বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা তাঁদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করেছেন। কৃষি বিপ্লবের এই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ে গড়ে ওঠা বাদাম মিল থেকে প্রসেসিং করা বাদাম দেশের বড় বড় খ্যাতনামা কোম্পানিতে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলায় ব্যক্তি মালিকানায় ২৫ থেকে ৩০টি বাদাম মিল চলছে। এই বাদাম মিলে বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা কাজ করে তাঁদের জীবন জীবিকা ভালোভাবে পাড় করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এমন একটি বাদাম মিলে কাজ করেন শরিফা খাতুন। তিনি বলেন, সংসারের কাজ কর্ম শেষ করে স্বামীর সঙ্গে তিনিও বাদাম মিলে কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা আয় করেন, যা দিয়ে তার সংসারে নেই কোনো অনটন।
দেবীগঞ্জের বাদাম মিল মালিক আকতারুজ্জামান বলেন, বাদাম মিল মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের ব্যাপারে জেলার কৃষি মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারলে এই অঞ্চলের বাদাম চাষ জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে অভিমত মিল মালিক ও শ্রমিকদের।
জেলার বাদাম মিল মালিকেরা বলছেন, তাঁদের এই মিলের বিপরীতে সরকার যদি স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে মিলে আরও বেশি শ্রমিককে কাজে নিতে পারবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান জানান, জেলায় এ বছর প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম চাষে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ফলে প্রতি বছরেই চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানা পর্যায়ে ২৫ / ৩০টি বাদাম প্রসেসিং (খোসা ছড়ানো) মিল বসেছে। এই মিল গুলোতে এলাকার অনেক বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করে আসছেন। এতে করে অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হয়েছে।

নদীর চরের পরিত্যক্ত জমি এখন আর পড়ে নেই। পরিবেশ উপযোগী, ঝুঁকি কম এবং উৎপাদন খরচ সীমিত পক্ষান্তরে অধিক মুনাফা নিশ্চিত হয়েই পঞ্চগড়ের চাষিরা ঝুঁকে পড়েছেন উচ্চ ফলনশীল বাদাম চাষে।
ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও লাভজনক বিকল্প ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের প্রান্তিক চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রযুক্তিগত ধারণা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
হিমালয়ের খুব কাছে অবস্থানের কারণে এ জেলার মাটি এবং আবহাওয়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন। মাটিতে পাথর এবং বালির আধিক্য থাকায় অর্থকরী ফসল উৎপাদনে ঝুঁকি ও লাভ সীমিত। এ কারণে চাষিরা লাভজনক উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদনের কৌশল খুঁজছেন। এই তালিকায় শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি, ভুট্টা, কলা এবং বাদাম চাষে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন বেশি। উৎপাদন মুখী এই প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। পাশাপাশি সচ্ছলতাও ফিরেছে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে।
পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বছরের দুই মৌসুমে ব্যাপক আকারে চাষ হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল বাদাম। বিশেষ করে জেলার দেবীগঞ্জ বোদা এবং সদর উপজেলায় এই বাদাম চাষ বর্তমানে কৃষিতে নতুন এক বিপ্লব এনে দিয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘাতেই ১০ মন বাদাম উৎপাদন করা সম্ভব। সাইজে আকর্ষণীয় হওয়ার কারণে প্রতি মণ বাদামের পাইকারি মূল্য ২ হাজার ৫০০ টাকা। স্বল্প খরচে অধিক মুনাফায় এই বাদাম চাষ চাষিদের স্বাবলম্বী করে তুলেছে।
তবে সুষ্ঠু বাজার জাত, আর্থিক সহায়তা এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় কিছুটা হতাশ চাষিরা।
উৎপাদিত ফসলের সন্তোষজনক দাম এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষিদের সহায়তা করা গেলে পঞ্চগড়ের উৎপাদিত বাদাম এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে, এমনটি বলছে কৃষি বিভাগ।
বিকল্প ফসল হিসেবে বাদাম চাষ করে চাষিরা যেমন সফল হয়েছে তেমনি বাদাম মিলে কাজ করে এলাকার বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা তাঁদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করেছেন। কৃষি বিপ্লবের এই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ে গড়ে ওঠা বাদাম মিল থেকে প্রসেসিং করা বাদাম দেশের বড় বড় খ্যাতনামা কোম্পানিতে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলায় ব্যক্তি মালিকানায় ২৫ থেকে ৩০টি বাদাম মিল চলছে। এই বাদাম মিলে বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা কাজ করে তাঁদের জীবন জীবিকা ভালোভাবে পাড় করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এমন একটি বাদাম মিলে কাজ করেন শরিফা খাতুন। তিনি বলেন, সংসারের কাজ কর্ম শেষ করে স্বামীর সঙ্গে তিনিও বাদাম মিলে কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা আয় করেন, যা দিয়ে তার সংসারে নেই কোনো অনটন।
দেবীগঞ্জের বাদাম মিল মালিক আকতারুজ্জামান বলেন, বাদাম মিল মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের ব্যাপারে জেলার কৃষি মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারলে এই অঞ্চলের বাদাম চাষ জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে অভিমত মিল মালিক ও শ্রমিকদের।
জেলার বাদাম মিল মালিকেরা বলছেন, তাঁদের এই মিলের বিপরীতে সরকার যদি স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে মিলে আরও বেশি শ্রমিককে কাজে নিতে পারবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান জানান, জেলায় এ বছর প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম চাষে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ফলে প্রতি বছরেই চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানা পর্যায়ে ২৫ / ৩০টি বাদাম প্রসেসিং (খোসা ছড়ানো) মিল বসেছে। এই মিল গুলোতে এলাকার অনেক বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করে আসছেন। এতে করে অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হয়েছে।
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

নদীর চরের পরিত্যক্ত জমি এখন আর পড়ে নেই। পরিবেশ উপযোগী, ঝুঁকি কম এবং উৎপাদন খরচ সীমিত পক্ষান্তরে অধিক মুনাফা নিশ্চিত হয়েই পঞ্চগড়ের চাষিরা ঝুঁকে পড়েছেন উচ্চ ফলনশীল বাদাম চাষে।
ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও লাভজনক বিকল্প ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের প্রান্তিক চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রযুক্তিগত ধারণা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
হিমালয়ের খুব কাছে অবস্থানের কারণে এ জেলার মাটি এবং আবহাওয়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন। মাটিতে পাথর এবং বালির আধিক্য থাকায় অর্থকরী ফসল উৎপাদনে ঝুঁকি ও লাভ সীমিত। এ কারণে চাষিরা লাভজনক উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদনের কৌশল খুঁজছেন। এই তালিকায় শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি, ভুট্টা, কলা এবং বাদাম চাষে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন বেশি। উৎপাদন মুখী এই প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। পাশাপাশি সচ্ছলতাও ফিরেছে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে।
পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বছরের দুই মৌসুমে ব্যাপক আকারে চাষ হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল বাদাম। বিশেষ করে জেলার দেবীগঞ্জ বোদা এবং সদর উপজেলায় এই বাদাম চাষ বর্তমানে কৃষিতে নতুন এক বিপ্লব এনে দিয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘাতেই ১০ মন বাদাম উৎপাদন করা সম্ভব। সাইজে আকর্ষণীয় হওয়ার কারণে প্রতি মণ বাদামের পাইকারি মূল্য ২ হাজার ৫০০ টাকা। স্বল্প খরচে অধিক মুনাফায় এই বাদাম চাষ চাষিদের স্বাবলম্বী করে তুলেছে।
তবে সুষ্ঠু বাজার জাত, আর্থিক সহায়তা এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় কিছুটা হতাশ চাষিরা।
উৎপাদিত ফসলের সন্তোষজনক দাম এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষিদের সহায়তা করা গেলে পঞ্চগড়ের উৎপাদিত বাদাম এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে, এমনটি বলছে কৃষি বিভাগ।
বিকল্প ফসল হিসেবে বাদাম চাষ করে চাষিরা যেমন সফল হয়েছে তেমনি বাদাম মিলে কাজ করে এলাকার বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা তাঁদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করেছেন। কৃষি বিপ্লবের এই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ে গড়ে ওঠা বাদাম মিল থেকে প্রসেসিং করা বাদাম দেশের বড় বড় খ্যাতনামা কোম্পানিতে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলায় ব্যক্তি মালিকানায় ২৫ থেকে ৩০টি বাদাম মিল চলছে। এই বাদাম মিলে বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা কাজ করে তাঁদের জীবন জীবিকা ভালোভাবে পাড় করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এমন একটি বাদাম মিলে কাজ করেন শরিফা খাতুন। তিনি বলেন, সংসারের কাজ কর্ম শেষ করে স্বামীর সঙ্গে তিনিও বাদাম মিলে কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা আয় করেন, যা দিয়ে তার সংসারে নেই কোনো অনটন।
দেবীগঞ্জের বাদাম মিল মালিক আকতারুজ্জামান বলেন, বাদাম মিল মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের ব্যাপারে জেলার কৃষি মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারলে এই অঞ্চলের বাদাম চাষ জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে অভিমত মিল মালিক ও শ্রমিকদের।
জেলার বাদাম মিল মালিকেরা বলছেন, তাঁদের এই মিলের বিপরীতে সরকার যদি স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে মিলে আরও বেশি শ্রমিককে কাজে নিতে পারবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান জানান, জেলায় এ বছর প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম চাষে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ফলে প্রতি বছরেই চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানা পর্যায়ে ২৫ / ৩০টি বাদাম প্রসেসিং (খোসা ছড়ানো) মিল বসেছে। এই মিল গুলোতে এলাকার অনেক বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করে আসছেন। এতে করে অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হয়েছে।

নদীর চরের পরিত্যক্ত জমি এখন আর পড়ে নেই। পরিবেশ উপযোগী, ঝুঁকি কম এবং উৎপাদন খরচ সীমিত পক্ষান্তরে অধিক মুনাফা নিশ্চিত হয়েই পঞ্চগড়ের চাষিরা ঝুঁকে পড়েছেন উচ্চ ফলনশীল বাদাম চাষে।
ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও লাভজনক বিকল্প ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের প্রান্তিক চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রযুক্তিগত ধারণা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
হিমালয়ের খুব কাছে অবস্থানের কারণে এ জেলার মাটি এবং আবহাওয়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্ন। মাটিতে পাথর এবং বালির আধিক্য থাকায় অর্থকরী ফসল উৎপাদনে ঝুঁকি ও লাভ সীমিত। এ কারণে চাষিরা লাভজনক উচ্চ ফলনশীল ফসল উৎপাদনের কৌশল খুঁজছেন। এই তালিকায় শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজি, ভুট্টা, কলা এবং বাদাম চাষে কৃষকেরা ঝুঁকে পড়েছেন বেশি। উৎপাদন মুখী এই প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। পাশাপাশি সচ্ছলতাও ফিরেছে প্রান্তিক চাষিদের মাঝে।
পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বছরের দুই মৌসুমে ব্যাপক আকারে চাষ হচ্ছে উচ্চ ফলনশীল বাদাম। বিশেষ করে জেলার দেবীগঞ্জ বোদা এবং সদর উপজেলায় এই বাদাম চাষ বর্তমানে কৃষিতে নতুন এক বিপ্লব এনে দিয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা খরচ করে এক বিঘাতেই ১০ মন বাদাম উৎপাদন করা সম্ভব। সাইজে আকর্ষণীয় হওয়ার কারণে প্রতি মণ বাদামের পাইকারি মূল্য ২ হাজার ৫০০ টাকা। স্বল্প খরচে অধিক মুনাফায় এই বাদাম চাষ চাষিদের স্বাবলম্বী করে তুলেছে।
তবে সুষ্ঠু বাজার জাত, আর্থিক সহায়তা এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় কিছুটা হতাশ চাষিরা।
উৎপাদিত ফসলের সন্তোষজনক দাম এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে চাষিদের সহায়তা করা গেলে পঞ্চগড়ের উৎপাদিত বাদাম এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে, এমনটি বলছে কৃষি বিভাগ।
বিকল্প ফসল হিসেবে বাদাম চাষ করে চাষিরা যেমন সফল হয়েছে তেমনি বাদাম মিলে কাজ করে এলাকার বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা তাঁদের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করেছেন। কৃষি বিপ্লবের এই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ে গড়ে ওঠা বাদাম মিল থেকে প্রসেসিং করা বাদাম দেশের বড় বড় খ্যাতনামা কোম্পানিতে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলায় ব্যক্তি মালিকানায় ২৫ থেকে ৩০টি বাদাম মিল চলছে। এই বাদাম মিলে বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিকেরা কাজ করে তাঁদের জীবন জীবিকা ভালোভাবে পাড় করছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এমন একটি বাদাম মিলে কাজ করেন শরিফা খাতুন। তিনি বলেন, সংসারের কাজ কর্ম শেষ করে স্বামীর সঙ্গে তিনিও বাদাম মিলে কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ টাকা আয় করেন, যা দিয়ে তার সংসারে নেই কোনো অনটন।
দেবীগঞ্জের বাদাম মিল মালিক আকতারুজ্জামান বলেন, বাদাম মিল মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানের ব্যাপারে জেলার কৃষি মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। আর্থিক সহায়তা প্রদান করে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারলে এই অঞ্চলের বাদাম চাষ জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে অভিমত মিল মালিক ও শ্রমিকদের।
জেলার বাদাম মিল মালিকেরা বলছেন, তাঁদের এই মিলের বিপরীতে সরকার যদি স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে মিলে আরও বেশি শ্রমিককে কাজে নিতে পারবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান জানান, জেলায় এ বছর প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদাম চাষে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। ফলে প্রতি বছরেই চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার দেবীগঞ্জ ও বোদা উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানা পর্যায়ে ২৫ / ৩০টি বাদাম প্রসেসিং (খোসা ছড়ানো) মিল বসেছে। এই মিল গুলোতে এলাকার অনেক বেকার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করে আসছেন। এতে করে অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
১৭ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
২৪ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
৪০ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাস হত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় প্রধান অভিযুক্তসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সদর সপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাতজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)। তাঁদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির ফ্লোর ম্যানেজার এবং মিরাজ হোসেন আকন কোয়ালিটি ইনচার্জ।
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে দিপুকে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীরা কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অর্ধপোড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাস হত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় প্রধান অভিযুক্তসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সদর সপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাতজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)। তাঁদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির ফ্লোর ম্যানেজার এবং মিরাজ হোসেন আকন কোয়ালিটি ইনচার্জ।
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে দিপুকে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীরা কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অর্ধপোড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও লাভজনক বিকল্প ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের প্রান্তিক চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রযুক্তিগত ধারণা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা য
০৪ অক্টোবর ২০২১
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
২৪ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
৪০ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও লাভজনক বিকল্প ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের প্রান্তিক চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রযুক্তিগত ধারণা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা য
০৪ অক্টোবর ২০২১
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
১৭ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
৪০ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও লাভজনক বিকল্প ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের প্রান্তিক চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রযুক্তিগত ধারণা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা য
০৪ অক্টোবর ২০২১
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
১৭ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
২৪ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

ভৌগোলিক অবস্থার কারণে অর্থকরী ফসল উৎপাদনে আগ্রহ হারালেও লাভজনক বিকল্প ফসল উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের প্রান্তিক চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন প্রযুক্তিগত ধারণা, ঋণ সুবিধাসহ উৎপাদিত পণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাত ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে এ জেলার উৎপাদিত বাদাম গ্রামীণ এই জনপদের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা য
০৪ অক্টোবর ২০২১
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
১৭ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
২৪ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
৪০ মিনিট আগে