Ajker Patrika

নীলফামারীর সৈয়দপুর

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২ কিলোমিটার লুপ লাইনে দুই হাজার স্লিপার ‘গায়েব’

  • উধাও হওয়া স্লিপারের দাম ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা
  • এ কারণে মেরামতে আসা রেলকোচ প্রায় সময় লাইনচ্যুত হয়
  • রেলওয়ের লোকজনের যোগসাজশে চুরি হচ্ছে, দাবি স্থানীয়দের
  • এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা: রেলওয়ে পুলিশ
রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী) 
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৪৬
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কয়েকটি গেটের সামনে, রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকাসহ প্রায় অর্ধকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে শতাধিক স্লিপার নেই। স্লিপার না থাকায় ওই পথের রেললাইন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার কয়েকটি গেটের সামনে, রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকাসহ প্রায় অর্ধকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে শতাধিক স্লিপার নেই। স্লিপার না থাকায় ওই পথের রেললাইন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ২ নম্বর রেলগেট থেকে রেলওয়ে কারখানা পর্যন্ত ৩টি লুপ লাইন। প্রতিটি লুপ লাইনের দৈর্ঘ্য দুই কিলোমিটার। লুপ লাইনগুলোর বিভিন্ন স্থানে রেললাইনের পাতের নিচের স্লিপার নেই। এমনকি কিছু স্থান থেকে রেললাইনের পাতও গায়েব। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ রেলপথে প্রায় দুই হাজার স্লিপার উধাও হয়ে গেছে, যার দাম প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, লুপ লাইনগুলো অনেক পুরোনো। তাই কিছু স্লিপার ভেঙে গেছে। বাকিগুলো চুরি হয়েছে। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় স্লিপারগুলো চুরি হয়। এ কারণে এসব পথে রেলওয়ে কারখানায় মেরামতে আসা রেলকোচ প্রায় সময়ে লাইনচ্যুত হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ১০, ১১ ও ১২ নম্বর গেটের সামনে, রেলস্টেশন-সংলগ্ন এলাকাসহ প্রায় অর্ধ- কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে রেললাইনে শতাধিক স্লিপার নেই। এসব জায়গার খানিক পরপর স্লিপার উধাও।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুরে ৫টি লুপ লাইন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মালবাহী ট্রেন পরিবহনের জন্য দুটি রেলওয়ে স্টেশনের অধীন। অপর তিনটি লুপ লাইন দিয়ে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য রেলওয়ে কোচ আনা-নেওয়া করা হয়। এই লুপ লাইন তিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি কিলোমিটার রেলপথে রেললাইনের পাতের নিচে ১ হাজার ৪০০ কাঠ, লোহা বা সিমেন্টের স্লিপার থাকে। প্রতিটি স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত চারটি করে ক্লিপ দিয়ে লাগানো হয়। সেই হিসাবে এসব রেলপথে ৪ হাজার ৮০০ স্লিপার থাকার কথা। এর মধ্যে ২ হাজার স্লিপারই নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশল বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি স্লিপারের দাম ৮ হাজার টাকা হিসাবে চুরি যাওয়া স্লিপারগুলোর দাম প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। স্লিপার না থাকায় ওই পথের রেললাইন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এতে মেরামতে আসা কোচগুলো প্রায় সময় লাইনচ্যুত হয়।

রেলওয়ে কারখানাসংলগ্ন ইসলামবাগ বড় মসজিদ এলাকার ফারুক আহম্মেদ বলেন, ‘দিনদুপুরেই এই রেললাইন থেকে স্লিপারগুলো খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে রেলওয়ের লোকজন দেখেও না দেখার ভান করেন।’

রেলওয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন কারখানার শাখার সাধারণ সম্পাদক শেখ রোবায়েতুর রহমান বলেন, ‘এভাবে রেললাইন থেকে স্লিপার উধাও হওয়াটা সত্যিই উদ্বেগের।’ এর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়ী করেন তিনি।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার প্রকৌশল বিভাগের সিনিয়র সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (ইনচার্জ) মোরসালিন রহমান বলেন, ‘এই লুপ লাইনগুলোর স্লিপার অনেক পুরোনো। অধিকাংশই কাঠের। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ও কোচ চলাচলের কারণে অনেক স্লিপার ভেঙে নষ্ট হয়েছে। কিছু চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ইতিমধ্যে রেলওয়ে স্টেশন অংশে লুপ লাইনের সংস্কার করে নতুন স্লিপার লাগানো হয়েছে।’ স্লিপার চুরির বিষয়ে স্থানীয় রেলওয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এ কর্মস্থলে নতুন। তাই অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হবে।’

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী এ বিষয়ে বলেন, স্লিপার চুরির বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত ছয়জন গ্রেপ্তার

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহীন ওরফে আবু বকর ওরফে মুসা (৩২), আমিনুর ওরফে দর্জি আমিন (৫০) ও সাফিয়ার রহমান ফকিরকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে একই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বিস্ফোরণের পর মাদ্রাসা ভবন থেকে বিপুল দাহ্য ও রাসায়নিক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে পুলিশসহ একাধিক সংস্থা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ উদ্‌ঘাটনে তদন্ত জোরদার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেনীতে খালেদা জিয়ার আসনে বিএনপির ৩ নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

ফেনী প্রতিনিধি
বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ফেনী-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া দলের আরও তিন নেতা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তাঁরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হাবীবুর রহমান নান্টু ও তাঁর ছেলে মজুমদার আরিফুর রহমান। তবে আরিফুর রহমান নিজেকে বিএনপি নেতা বলে দাবি করলেও তাঁর দলীয় পদ-পদবি জানা যায়নি।

রাজনৈতিক সচেতন মহলের মতে, সাধারণত কোনো দলের প্রধানের নিজ আসনে দলীয় প্রার্থী তাঁকে ঘিরেই চূড়ান্ত হয়ে যায়। সেখানে বিএনপি থেকে একই আসনে আরও তিনজন মনোনয়ন সংগ্রহকে দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ ও নেতৃত্বের মর্যাদা পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত বহন করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেনী-১ (ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম) আসনে ভোটের প্রচার-প্রচারণায় খালেদা জিয়ার পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকের ভোট চাইতে দেখা গেছে রফিকুল আলম মজনুকে। তিনি ওই আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর সমন্বয়ক।

এ ছাড়া মজুমদার আরিফুর রহমানও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি আগে গণমাধ্যমকে জানিয়ে ছিলেন, নিজে নির্বাচন করবেন না, শুধু খালেদা জিয়ার জন্য ভোট চাইবেন। হঠাৎ করে তিনি ও তাঁর বাবা (হাবীবুর রহমান নান্টু) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে মজুমদার আরিফুর রহমানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সভায় ব্যস্ত আছেন জানিয়ে পরে কল করতে বলেন। আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে ফুলগাজী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হোসেন বলেন, ‘এই আসনে আমাদের প্রার্থী খালেদা জিয়া। যদি কোনো কারণে তিনি নির্বাচন না করেন, সে ক্ষেত্রে আমাদের পছন্দ রফিকুল আলম মজনু। অন্য কেউ প্রার্থী হলে লাভ হবে না।’

এ বিষয়ে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন আলাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারা মনোনয়ন নিয়েছেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না। তবে যেখানে ম্যাডাম নিজে মনোনয়ন নিয়েছেন, সেখানে অন্যদের মনোনয়ন নেওয়ার দুঃসাহস তাঁরা কেন দেখাচ্ছেন, সেটা বুঝে ওঠা কঠিন। আগামীকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। তখন বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার হবে। কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে অবশ্যই দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুমিল্লায় ধানের শীষের বিপক্ষে লড়বেন খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস মতিন

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
কুমিল্লা­-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে আজ রোববার সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা­-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে আজ রোববার সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়)। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ইঞ্জিনিয়ার এম এ মতিন খান।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুমাইয়া মমিনের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে একই দিন বিকেলে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।

অবসরপ্রাপ্ত সচিব মতিন খান কুমিল্লা-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু আসনটিতে কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ইঞ্জিনিয়ার মতিন খান বলেন, ‘এই আসন থেকে কখনোই বহিরাগত কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেননি। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, বিএনপি থেকে হোমনা-তিতাস উপজেলার মধ্য থেকেই প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার। কিন্তু সেই দাবি উপেক্ষা করে আসনের বাইরের একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ফলে জনগণ ও দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চাপেই আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে।’

মতিন খান আরও বলেন, ‘জনগণ যদি আমাকে সেবা করার সুযোগ দেয়, আমি তাদের একজন সেবক হিসেবে কাজ করব। প্রয়াত এম কে আনোয়ারের (সাবেক মন্ত্রী) অসমাপ্ত উন্নয়নকাজগুলো বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব, ইনশা আল্লাহ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সুষ্ঠু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে: বদিউল আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ রোববার গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আজ রোববার গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য দেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় শুধু সুষ্ঠু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, আমাদের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক হতে হবে। এসবের জন্য সুদূরপ্রসারী সংস্কার দরকার।’

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন। সুজনের চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিটি এই বৈঠকের আয়োজন করে।

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে কতগুলো বাধা আছে, সেসব বাধা দূর করা দরকার। দুর্বৃত্তায়িত রাজনৈতিক অঙ্গন, দুর্বৃত্তায়িত নির্বাচনী অঙ্গন, টাকার খেলা, সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা। একই সঙ্গে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে এ ক্ষেত্রে সোচ্চার ভূমিকা পালন করা কিংবা তাদের ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম হবে।

বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরিয়া, সুজন চট্টগ্রামের সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত