রংপুর প্রতিনিধি

পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীগুলো সরকারের নির্দেশে মানুষের বুকে গুলি মারে। ভূমিদস্যুর মুখে গুলি মারে না। পাথর ব্যবসায়ীর বুকে গুলি মারে না। দুষ্টের, ঘুষখোরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয় না। সেইখানে তাদের সখ্যতা রয়েছে। যখন হেলমেট পরে এসে নিরীহ ছাত্রদের আক্রমণ করে, তাদের জন্য তাদের গুলির বরাদ্দ নাই। গুলির বরাদ্দ হচ্ছে নিরীহ ব্যক্তিদের জন্য।’
আজ বুধবার দুপুরে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ জুলাই দিবস’ ও আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি বলছি না গুলি করতে হবে, আমি বলছি যাদের আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি করতে হবে, যারা আসলে আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি, যারা আসলে শান্তি সৃষ্টির জন্য হুমকি, যারা নানা অজুহাতে আমি আর তুমি মনস্তাত্ত্বিক ঢুকিয়ে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু আমাদের সমাজে কখনোই প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে উঠে নাই। যারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তারা যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যায়, তারা তাদের প্রটেকশন না দিয়ে ওই দুষ্টুদেরকেই প্রটেকশন দেয়।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছিলাম চীন সরকার সম্পূর্ণ নিজ অনুদানে একটা হাসপাতাল করে দেবে। সেই হাসপাতালটা বাংলাদেশের কোথায় হতে পারে। আসিফ ভাইয়ের হয়তো মনে থাকবে নিশ্চয়ই, আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বললেন, এই হাসপাতালটা রংপুরে হতে হবে এবং এই হাসপাতাল এই জন্য রংপুরে হতে হবে, আপনাদের আন্দোলনের কথাটা মনে রেখে। এই অবহেলিত পিছিয়ে পড়া জনপদে এগিয়ে যাওয়ার কথা মনে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলছিল, যারা চিকিৎসা নিতে যাবে, এত উন্নতমানের চিকিৎসা কী দেবে? তারা কি ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আসবে চিকিৎসা নিতে? তখন উনি বললেন, ঢাকা থেকে যদি ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবে যায়, ব্যাংককে যায়, রংপুরেও আসবে। আপনারা যদি ভাবেন, আপনাদের মনে রাখি না, এটা ঠিক নয়। আমরা কাগজে কী রেখেছি, তা দিয়ে সব সময় জাজ করা যায় না। আমরা হৃদয়ে কী রেখেছি, এটার একটা বড় উদাহরণ আপনাদের দিলাম।’
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘তিস্তা নদী নিয়ে টাকা কারা দিবে, এ নিয়ে অনেক কথা হতে পারে। তিস্তার মতো একটা ভাঙনপ্রবণ, খরস্রোতা, ভাগ করে নেওয়া নদী, যেখানে আমরা ভাটিতে আছি, তার ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকে উৎকর্ষতার দাবি রাখে। এ জন্য চীন সরকারের সঙ্গে বিগত সরকারের আমলে যখন চুক্তি হয়, তাদের পরিকল্পনা সেলফে তুলে রাখা হয়। আমরা ওটা বের করলাম। ওটার ওপর কাজ করেছি।’
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা প্রকল্প এই এলাকায় বাস্তবায়িত হবে। এটার কাজ আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। এখানে সরকার টাকা দিবে, চীন সরকারও টাকা দিবে। এটা ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা। তার মধ্যে পাঁচ বছরে সেচ, ভাঙনরোধ ও স্থায়ী বাঁধ—এই তিনটা জিনিসকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পরিকল্পনা আমরা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। গতকাল পরিকল্পনা কমিশন তাঁদের পক্ষ থেকে অনাপত্তি দিয়ে এই তিস্তা প্রকল্পের খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছে ইআরডি বিভাগে। এখন ইআরডি বিভাগ থেকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চায়নার কাছে। আমরা এখানে একমত। এখন বিশেষজ্ঞেরা এটা ডিজাইন করবেন। আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে এই চুক্তিটা শেষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে। আমাদের প্রকল্পের দলিলে লেখা আছে, কাজ শুরু হবে জানুয়ারি ২০২৬-এ।’
আজ সকাল থেকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদকে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কালো ব্যাজ ধারণ করে এক শোক র্যালি বের করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন তাঁর নিহত হওয়ার স্থানে ‘আবু সাঈদ চত্বর’ ঘোষণা করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে শহীদ দিবসের ভোর থেকেই আবু সাঈদের কবরের চারপাশে তৈরি হয় এক নীরব গভীর আবেগঘন পরিবেশ। কান্না, শোক আর শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে পীরগঞ্জের বাবনপুর। শহীদের কবরের পাশে ফুল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মা-বাবা, শিক্ষক, সহপাঠী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীগুলো সরকারের নির্দেশে মানুষের বুকে গুলি মারে। ভূমিদস্যুর মুখে গুলি মারে না। পাথর ব্যবসায়ীর বুকে গুলি মারে না। দুষ্টের, ঘুষখোরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয় না। সেইখানে তাদের সখ্যতা রয়েছে। যখন হেলমেট পরে এসে নিরীহ ছাত্রদের আক্রমণ করে, তাদের জন্য তাদের গুলির বরাদ্দ নাই। গুলির বরাদ্দ হচ্ছে নিরীহ ব্যক্তিদের জন্য।’
আজ বুধবার দুপুরে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ জুলাই দিবস’ ও আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি বলছি না গুলি করতে হবে, আমি বলছি যাদের আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি করতে হবে, যারা আসলে আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি, যারা আসলে শান্তি সৃষ্টির জন্য হুমকি, যারা নানা অজুহাতে আমি আর তুমি মনস্তাত্ত্বিক ঢুকিয়ে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু আমাদের সমাজে কখনোই প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে উঠে নাই। যারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তারা যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যায়, তারা তাদের প্রটেকশন না দিয়ে ওই দুষ্টুদেরকেই প্রটেকশন দেয়।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছিলাম চীন সরকার সম্পূর্ণ নিজ অনুদানে একটা হাসপাতাল করে দেবে। সেই হাসপাতালটা বাংলাদেশের কোথায় হতে পারে। আসিফ ভাইয়ের হয়তো মনে থাকবে নিশ্চয়ই, আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বললেন, এই হাসপাতালটা রংপুরে হতে হবে এবং এই হাসপাতাল এই জন্য রংপুরে হতে হবে, আপনাদের আন্দোলনের কথাটা মনে রেখে। এই অবহেলিত পিছিয়ে পড়া জনপদে এগিয়ে যাওয়ার কথা মনে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলছিল, যারা চিকিৎসা নিতে যাবে, এত উন্নতমানের চিকিৎসা কী দেবে? তারা কি ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আসবে চিকিৎসা নিতে? তখন উনি বললেন, ঢাকা থেকে যদি ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবে যায়, ব্যাংককে যায়, রংপুরেও আসবে। আপনারা যদি ভাবেন, আপনাদের মনে রাখি না, এটা ঠিক নয়। আমরা কাগজে কী রেখেছি, তা দিয়ে সব সময় জাজ করা যায় না। আমরা হৃদয়ে কী রেখেছি, এটার একটা বড় উদাহরণ আপনাদের দিলাম।’
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘তিস্তা নদী নিয়ে টাকা কারা দিবে, এ নিয়ে অনেক কথা হতে পারে। তিস্তার মতো একটা ভাঙনপ্রবণ, খরস্রোতা, ভাগ করে নেওয়া নদী, যেখানে আমরা ভাটিতে আছি, তার ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকে উৎকর্ষতার দাবি রাখে। এ জন্য চীন সরকারের সঙ্গে বিগত সরকারের আমলে যখন চুক্তি হয়, তাদের পরিকল্পনা সেলফে তুলে রাখা হয়। আমরা ওটা বের করলাম। ওটার ওপর কাজ করেছি।’
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা প্রকল্প এই এলাকায় বাস্তবায়িত হবে। এটার কাজ আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। এখানে সরকার টাকা দিবে, চীন সরকারও টাকা দিবে। এটা ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা। তার মধ্যে পাঁচ বছরে সেচ, ভাঙনরোধ ও স্থায়ী বাঁধ—এই তিনটা জিনিসকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পরিকল্পনা আমরা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। গতকাল পরিকল্পনা কমিশন তাঁদের পক্ষ থেকে অনাপত্তি দিয়ে এই তিস্তা প্রকল্পের খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছে ইআরডি বিভাগে। এখন ইআরডি বিভাগ থেকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চায়নার কাছে। আমরা এখানে একমত। এখন বিশেষজ্ঞেরা এটা ডিজাইন করবেন। আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে এই চুক্তিটা শেষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে। আমাদের প্রকল্পের দলিলে লেখা আছে, কাজ শুরু হবে জানুয়ারি ২০২৬-এ।’
আজ সকাল থেকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদকে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কালো ব্যাজ ধারণ করে এক শোক র্যালি বের করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন তাঁর নিহত হওয়ার স্থানে ‘আবু সাঈদ চত্বর’ ঘোষণা করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে শহীদ দিবসের ভোর থেকেই আবু সাঈদের কবরের চারপাশে তৈরি হয় এক নীরব গভীর আবেগঘন পরিবেশ। কান্না, শোক আর শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে পীরগঞ্জের বাবনপুর। শহীদের কবরের পাশে ফুল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মা-বাবা, শিক্ষক, সহপাঠী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
রংপুর প্রতিনিধি

পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীগুলো সরকারের নির্দেশে মানুষের বুকে গুলি মারে। ভূমিদস্যুর মুখে গুলি মারে না। পাথর ব্যবসায়ীর বুকে গুলি মারে না। দুষ্টের, ঘুষখোরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয় না। সেইখানে তাদের সখ্যতা রয়েছে। যখন হেলমেট পরে এসে নিরীহ ছাত্রদের আক্রমণ করে, তাদের জন্য তাদের গুলির বরাদ্দ নাই। গুলির বরাদ্দ হচ্ছে নিরীহ ব্যক্তিদের জন্য।’
আজ বুধবার দুপুরে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ জুলাই দিবস’ ও আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি বলছি না গুলি করতে হবে, আমি বলছি যাদের আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি করতে হবে, যারা আসলে আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি, যারা আসলে শান্তি সৃষ্টির জন্য হুমকি, যারা নানা অজুহাতে আমি আর তুমি মনস্তাত্ত্বিক ঢুকিয়ে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু আমাদের সমাজে কখনোই প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে উঠে নাই। যারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তারা যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যায়, তারা তাদের প্রটেকশন না দিয়ে ওই দুষ্টুদেরকেই প্রটেকশন দেয়।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছিলাম চীন সরকার সম্পূর্ণ নিজ অনুদানে একটা হাসপাতাল করে দেবে। সেই হাসপাতালটা বাংলাদেশের কোথায় হতে পারে। আসিফ ভাইয়ের হয়তো মনে থাকবে নিশ্চয়ই, আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বললেন, এই হাসপাতালটা রংপুরে হতে হবে এবং এই হাসপাতাল এই জন্য রংপুরে হতে হবে, আপনাদের আন্দোলনের কথাটা মনে রেখে। এই অবহেলিত পিছিয়ে পড়া জনপদে এগিয়ে যাওয়ার কথা মনে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলছিল, যারা চিকিৎসা নিতে যাবে, এত উন্নতমানের চিকিৎসা কী দেবে? তারা কি ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আসবে চিকিৎসা নিতে? তখন উনি বললেন, ঢাকা থেকে যদি ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবে যায়, ব্যাংককে যায়, রংপুরেও আসবে। আপনারা যদি ভাবেন, আপনাদের মনে রাখি না, এটা ঠিক নয়। আমরা কাগজে কী রেখেছি, তা দিয়ে সব সময় জাজ করা যায় না। আমরা হৃদয়ে কী রেখেছি, এটার একটা বড় উদাহরণ আপনাদের দিলাম।’
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘তিস্তা নদী নিয়ে টাকা কারা দিবে, এ নিয়ে অনেক কথা হতে পারে। তিস্তার মতো একটা ভাঙনপ্রবণ, খরস্রোতা, ভাগ করে নেওয়া নদী, যেখানে আমরা ভাটিতে আছি, তার ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকে উৎকর্ষতার দাবি রাখে। এ জন্য চীন সরকারের সঙ্গে বিগত সরকারের আমলে যখন চুক্তি হয়, তাদের পরিকল্পনা সেলফে তুলে রাখা হয়। আমরা ওটা বের করলাম। ওটার ওপর কাজ করেছি।’
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা প্রকল্প এই এলাকায় বাস্তবায়িত হবে। এটার কাজ আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। এখানে সরকার টাকা দিবে, চীন সরকারও টাকা দিবে। এটা ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা। তার মধ্যে পাঁচ বছরে সেচ, ভাঙনরোধ ও স্থায়ী বাঁধ—এই তিনটা জিনিসকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পরিকল্পনা আমরা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। গতকাল পরিকল্পনা কমিশন তাঁদের পক্ষ থেকে অনাপত্তি দিয়ে এই তিস্তা প্রকল্পের খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছে ইআরডি বিভাগে। এখন ইআরডি বিভাগ থেকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চায়নার কাছে। আমরা এখানে একমত। এখন বিশেষজ্ঞেরা এটা ডিজাইন করবেন। আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে এই চুক্তিটা শেষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে। আমাদের প্রকল্পের দলিলে লেখা আছে, কাজ শুরু হবে জানুয়ারি ২০২৬-এ।’
আজ সকাল থেকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদকে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কালো ব্যাজ ধারণ করে এক শোক র্যালি বের করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন তাঁর নিহত হওয়ার স্থানে ‘আবু সাঈদ চত্বর’ ঘোষণা করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে শহীদ দিবসের ভোর থেকেই আবু সাঈদের কবরের চারপাশে তৈরি হয় এক নীরব গভীর আবেগঘন পরিবেশ। কান্না, শোক আর শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে পীরগঞ্জের বাবনপুর। শহীদের কবরের পাশে ফুল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মা-বাবা, শিক্ষক, সহপাঠী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীগুলো সরকারের নির্দেশে মানুষের বুকে গুলি মারে। ভূমিদস্যুর মুখে গুলি মারে না। পাথর ব্যবসায়ীর বুকে গুলি মারে না। দুষ্টের, ঘুষখোরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয় না। সেইখানে তাদের সখ্যতা রয়েছে। যখন হেলমেট পরে এসে নিরীহ ছাত্রদের আক্রমণ করে, তাদের জন্য তাদের গুলির বরাদ্দ নাই। গুলির বরাদ্দ হচ্ছে নিরীহ ব্যক্তিদের জন্য।’
আজ বুধবার দুপুরে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ জুলাই দিবস’ ও আবু সাঈদের প্রথম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি বলছি না গুলি করতে হবে, আমি বলছি যাদের আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি করতে হবে, যারা আসলে আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি, যারা আসলে শান্তি সৃষ্টির জন্য হুমকি, যারা নানা অজুহাতে আমি আর তুমি মনস্তাত্ত্বিক ঢুকিয়ে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু আমাদের সমাজে কখনোই প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে উঠে নাই। যারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তারা যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যায়, তারা তাদের প্রটেকশন না দিয়ে ওই দুষ্টুদেরকেই প্রটেকশন দেয়।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছিলাম চীন সরকার সম্পূর্ণ নিজ অনুদানে একটা হাসপাতাল করে দেবে। সেই হাসপাতালটা বাংলাদেশের কোথায় হতে পারে। আসিফ ভাইয়ের হয়তো মনে থাকবে নিশ্চয়ই, আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বললেন, এই হাসপাতালটা রংপুরে হতে হবে এবং এই হাসপাতাল এই জন্য রংপুরে হতে হবে, আপনাদের আন্দোলনের কথাটা মনে রেখে। এই অবহেলিত পিছিয়ে পড়া জনপদে এগিয়ে যাওয়ার কথা মনে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ কেউ বলছিল, যারা চিকিৎসা নিতে যাবে, এত উন্নতমানের চিকিৎসা কী দেবে? তারা কি ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আসবে চিকিৎসা নিতে? তখন উনি বললেন, ঢাকা থেকে যদি ভারত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবে যায়, ব্যাংককে যায়, রংপুরেও আসবে। আপনারা যদি ভাবেন, আপনাদের মনে রাখি না, এটা ঠিক নয়। আমরা কাগজে কী রেখেছি, তা দিয়ে সব সময় জাজ করা যায় না। আমরা হৃদয়ে কী রেখেছি, এটার একটা বড় উদাহরণ আপনাদের দিলাম।’
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘তিস্তা নদী নিয়ে টাকা কারা দিবে, এ নিয়ে অনেক কথা হতে পারে। তিস্তার মতো একটা ভাঙনপ্রবণ, খরস্রোতা, ভাগ করে নেওয়া নদী, যেখানে আমরা ভাটিতে আছি, তার ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকে উৎকর্ষতার দাবি রাখে। এ জন্য চীন সরকারের সঙ্গে বিগত সরকারের আমলে যখন চুক্তি হয়, তাদের পরিকল্পনা সেলফে তুলে রাখা হয়। আমরা ওটা বের করলাম। ওটার ওপর কাজ করেছি।’
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে জানিয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা প্রকল্প এই এলাকায় বাস্তবায়িত হবে। এটার কাজ আমরা এগিয়ে নিচ্ছি। এখানে সরকার টাকা দিবে, চীন সরকারও টাকা দিবে। এটা ১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা। তার মধ্যে পাঁচ বছরে সেচ, ভাঙনরোধ ও স্থায়ী বাঁধ—এই তিনটা জিনিসকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘পরিকল্পনা আমরা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। গতকাল পরিকল্পনা কমিশন তাঁদের পক্ষ থেকে অনাপত্তি দিয়ে এই তিস্তা প্রকল্পের খসড়া পাঠিয়ে দিয়েছে ইআরডি বিভাগে। এখন ইআরডি বিভাগ থেকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে চায়নার কাছে। আমরা এখানে একমত। এখন বিশেষজ্ঞেরা এটা ডিজাইন করবেন। আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে এই চুক্তিটা শেষ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। আগামী বছর থেকে কাজ শুরু হবে। আমাদের প্রকল্পের দলিলে লেখা আছে, কাজ শুরু হবে জানুয়ারি ২০২৬-এ।’
আজ সকাল থেকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদকে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কালো ব্যাজ ধারণ করে এক শোক র্যালি বের করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন তাঁর নিহত হওয়ার স্থানে ‘আবু সাঈদ চত্বর’ ঘোষণা করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে শহীদ দিবসের ভোর থেকেই আবু সাঈদের কবরের চারপাশে তৈরি হয় এক নীরব গভীর আবেগঘন পরিবেশ। কান্না, শোক আর শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে পীরগঞ্জের বাবনপুর। শহীদের কবরের পাশে ফুল হাতে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর মা-বাবা, শিক্ষক, সহপাঠী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারাসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩১ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেমনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ এলাকায় ট্রাক ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাজগঞ্জ বাজার এলাকার রহমতউল্লাহর ছেলে নিশান (২৩), মেয়ে নীলা (২৫) ও মেয়ের স্বামী মিজানুর রহমান (৩৫)।
নিহত মিজানুর রহমান একটি বেসরকারি ঋণদান সংস্থার শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন। তাঁর বাড়ি কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর এলাকায়। আর নিশান রাজগঞ্জ বাজারে একটি কিন্ডারগার্টেনের সহকারী শিক্ষক ও তাঁর বোন নীলা গৃহিণী ছিলেন।
নিহত নীলা-মিজানুর রহমান দম্পতির ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে মাতম চলছে। শোক নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
নিহত ব্যক্তিদের প্রতিবেশী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘মিজানুর রহমান ব্রেন স্ট্রোক করে এক মাস ধরে অসুস্থ হয়ে যশোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আজ সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন স্ত্রী নীলা ও শ্যালক নিশান। তাঁরা ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছালে একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমান, নিশান ও তাঁর বোন নীলা নিহত হন।’
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রজিউল্লাহ খান বলেন, ‘ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের কেউ জানায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবার কোনো আইনি সহায়তা চাইলে সহযোগিতা করব।’

পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীগুলো সরকারের নির্দেশে মানুষের বুকে গুলি মারে। ভূমিদস্যুর মুখে গুলি মারে না। পাথর ব্যবসায়ীর বুকে গুলি মারে না। দুষ্টের, ঘুষখোরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয় না। সেইখানে
১৬ জুলাই ২০২৫
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সাহার বাজারে জয়নালের মুদিদোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইমাম হোসেনের ফার্মেসি, নজরুল ইসলামের মাছের খাদ্যের দোকান, জহিরের ওয়ার্কশপ, রুবেলের সাইকেল গ্যারেজ এবং শাহ আলমের হার্ডওয়্যারের দোকান।
ফরিদগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুল হাসান বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীগুলো সরকারের নির্দেশে মানুষের বুকে গুলি মারে। ভূমিদস্যুর মুখে গুলি মারে না। পাথর ব্যবসায়ীর বুকে গুলি মারে না। দুষ্টের, ঘুষখোরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয় না। সেইখানে
১৬ জুলাই ২০২৫
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩১ মিনিট আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’
আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা থেকে চলে আসার পর বেলা ১২টায় হাদি হত্যার বিচার চেয়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য মুন্সি বোরহান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ১২টার সময়ে আবারও শাহবাগ মোড়ে এসেছি হাদির হত্যার বিচার চাইতে। তারেক রহমান হাদির কবর জিয়ারত করতে আসায় আমরা সাময়িক সময়ের জন্য শাহবাগের পশ্চিম দিকে একটি পাশে অবস্থান নিয়েছিলাম।’
আজ শনিবার বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে শাহবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে শায়িত শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। ওসমান হাদির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি। এরপর সেখানে শায়িত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা জানান ও জিয়ারত করেন।
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাদি হত্যার বিচার দাবি শাহবাগে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। রাতভর অবস্থানের পর সকাল ১১টার আগে শাহবাগ মোড় ছেড়ে একদিকে সরে যান অবস্থান কর্মসূচি পালনকারীরা।

পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীগুলো সরকারের নির্দেশে মানুষের বুকে গুলি মারে। ভূমিদস্যুর মুখে গুলি মারে না। পাথর ব্যবসায়ীর বুকে গুলি মারে না। দুষ্টের, ঘুষখোরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয় না। সেইখানে
১৬ জুলাই ২০২৫
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩১ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
২ ঘণ্টা আগেনওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।
মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’
আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’
ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

নওগাঁয় গত কয়েক দিনে ক্রমান্বয়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েও অনেককে কাজ না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে খালি হাতে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে পুরো এলাকা। তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাকডাকা ভোরে কাজের সন্ধানে গ্রাম থেকে এসে মুক্তির মোড়, ব্রিজের মোড় ও শিবপুর ব্রিজ (বাইপাস) এলাকায় জড়ো হয়েছেন দিনমজুরেরা। জীবিকার তাগিদে আসা এসব শ্রমজীবীর সঙ্গে থাকে মাটি কাটার ঝুড়ি ও কোদাল। কিন্তু একদিকে শীতের কষ্ট, অন্যদিকে কাজ না পাওয়ার হতাশা—দুইয়ের বোঝা নিয়েই অনেককে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।
মুক্তির মোড়ে বসে থাকা ৭০ বছর বয়সী আবুল কাশেম বলেন, ‘কয়েক দিন শীত কম ছিল। এখন হঠাৎ খুব শীত পড়েছে, সঙ্গে বাতাস। এই শীতে ঘর থেকে বের হওয়াই কষ্ট। তারপরও পেটের দায়ে কাজে আসতে হয়। সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে। আয় কমে যাওয়ায় খুব বিপদে আছি।’
আরেক শ্রমজীবী তছলিম বলেন, ‘ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে সাইকেল চালিয়ে কাজে এলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গরিব মানুষ, কাজ না করলে চলবে না। শীতে যত কষ্টই হোক, বের হতে হয়। কিন্তু গত দুই দিন কোনো কাজই পাইনি।’
ব্রিজের মোড়ে কাজের অপেক্ষায় থাকা ৬৫ বছর বয়সী হাজের আলী বলেন, ‘আমাদের কাজ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুর ওপর নির্ভর করে। শীত পড়ার পর থেকেই কাজ কমে গেছে। পারিশ্রমিক কম হলেও যা পাই তা-ই করি। কেউ কাজ পায়, কেউ পায় না। কাজ না পেলে কোদাল-ঝুড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরে বসে থাকতে হয়।’

পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীগুলো সরকারের নির্দেশে মানুষের বুকে গুলি মারে। ভূমিদস্যুর মুখে গুলি মারে না। পাথর ব্যবসায়ীর বুকে গুলি মারে না। দুষ্টের, ঘুষখোরের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয় না। সেইখানে
১৬ জুলাই ২০২৫
যশোর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মনিরামপুরের একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহত তিনজন সম্পর্কে ভাই-বোন ও ভগ্নিপতি। তাঁদের বাড়ি ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে রাজগঞ্জ বাজার এলাকায়। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের মনসুরাবাদ...
৩১ মিনিট আগে
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের সাহার বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সাব্বির হোসেন (১৫) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় বাজারের পাঁচটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। নিহত সাব্বির হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার শালদহ ছৈয়ালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জয়নালের মুদিদোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তারেক রহমানের শাহবাগে আসা উপলক্ষে ইনকিলাব মঞ্চ শাহবাগ মোড় থেকে পার্শ্ববর্তী পশ্চিম দিকে সাময়িক অবস্থান নেয়। এরপরে তাঁর কবর জিয়ারত শেষ হলে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।
১ ঘণ্টা আগে