ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল
সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি জেনারেটর ১৮ বছর ধরে বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে আসা ৬০ কেভিএ ক্ষমতার ওই জেনারেটরটি ২০২৫ সালেও একই জায়গায় পড়ে আছে। স্টোররুমের কোণে, একটি কাঠের বাক্সে বন্দী। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রোগীদের। সরকারি বরাদ্দে কেনা ৫ লাখ টাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। কিন্তু ১৮ বছর ধরে সেটিতে শুধু ধুলা জমছে। চালু হয়নি এক দিনের জন্যও। হাসপাতালের কেউ জানেন না, যন্ত্রটি আদৌ চালু হলে কাজ করবে কি না—কারণ কখনো চালুর চেষ্টাও করা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, ২০০৭ সালে জেনারেটরটি পাওয়ার পর একবারও কোনো প্রকৌশলী বা টেকনিশিয়ান এসে সেটি ইনস্টল করেননি। বিষয়টি কয়েকবার জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে; কিন্তু কাজ হয়নি।
হাসপাতালের স্টোরকিপার মাহবুবুর রহমান জানান, ‘২০২০-২৩ এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, জেনারেটরটি এখনো বাক্সবন্দী। কিন্তু আজও কেউ আসেননি। এত দিনে তো যন্ত্রটায় মরিচা পড়ে যাওয়ার কথা।’
একজন কর্মকর্তা তিক্ত হাসি হেসে বলেন, ‘মেশিনটা চালু হলে কী হতো, কে জানে? হয়তো একদম ঠিকই থাকত; কিন্তু আমরা জানার সুযোগই পেলাম না।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার সময় একটি নতুন জেনারেটর সরবরাহ করা হয়। তবে ওই জেনারেটরটি ২৫০ জন রোগীর চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম হলেও, বাস্তবে হাসপাতালে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ রোগী ভর্তি থাকে। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে অল্পসংখ্যক ওয়ার্ডে সামান্য কিছু বৈদ্যুতিক পাখা চললেও অধিকাংশ রোগীকে গরমে কষ্ট পেতে হয়। বিষয়টি কয়েকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানিয়ে আরও একটি জেনারেটরের আবেদন করা হয়েছে; কিন্তু আজও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায়। জেনারেটর থাকলেও কার্যকর না থাকায় প্রচণ্ড গরমে রোগীদের কষ্ট সহ্য করতে হয় প্রতিদিন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকার ভর্তি হওয়া রোগী গৃহবধূ রওশন আরা বলেন, ‘পাখা চলে না, গরমে বাচ্চা নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হয়। রাতে ঘুমানোই যায় না। আমরা তো জানি, হাসপাতালের আলাদা বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা থাকে; কিন্তু এখানে তো সেগুলো নেই।’
রফিকুল ইসলাম নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমি নিজে হাতপাখা দিয়ে ভাইকে বাতাস দিচ্ছি। এখন তো গরম এমন, মনে হয় এসি ছাড়া আর কোথাও থাকা যায় না। অথচ এ হাসপাতালে তো সে জেনারেটরটা এক যুগ ধরে ঘুমাচ্ছে।’
আরেকজন রাণীশংকৈলের আমিনুল ইসলাম, যিনি অপারেশনের জন্য সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি। বলেন, ‘আমি গতকাল অপারেশন করাইছি। বিদ্যুৎ চলে গেলে সারা রাত ঘেমে গেছি। মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।’
চিকিৎসা কর্মকর্তা রাকিবুল আলম চয়ন বলেন, ‘জেনারেটরের জন্য আমরা কয়েকবার চাহিদাপত্র দিয়েছি। হাসপাতাল যেহেতু ২৫০ শয্যায় উন্নীত, তাই বড় জেনারেটর দরকার। বাক্সবন্দী যেটা আছে, সেটাও ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি; কিন্তু তা চালু করা সম্ভব হয়নি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে সমস্যা শুধু এই একটি যন্ত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। অস্ত্রোপচার কক্ষজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অচল যন্ত্রপাতির তালিকা। এর মধ্যে রয়েছে ২টি অটোক্লেভ, ১টি ডায়াথার্মি মেশিন, ৬টি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, ৬টি সাকার, ৪টি অপারেশন ইন্সট্রুমেন্ট ট্রলি ও ২টি অপারেশন লাইট। এসব যন্ত্র ২০১৯ সাল থেকে বিকল। কয়েকটি সহজেই মেরামতযোগ্য; কিন্তু সেগুলোও পড়ে রয়েছে অচল অবস্থায়। চিঠি গেছে, রিপোর্ট গেছে; কিন্তু সাড়া আসেনি।
সার্জারি বিভাগের প্রধান কনসালট্যান্ট শিহাব মাহমুদ
শাহরিয়ার বলেন, ‘যেসব যন্ত্র দিয়ে অস্ত্রোপচার চালাচ্ছি, তার বেশি রভাগই ২০-২৫ বছরের পুরোনো। কোনোটা আলো দেয় না, কোনোটা গরম হয় না। তারপরও প্রতিদিন ৮-১০টি অপারেশন করতে হচ্ছে এক ধরনের ঝুঁকি নিয়ে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘গাইনি, সার্জারি, ইএনটি—সব মিলিয়ে মাসে ২০০-২৫০টি অপারেশন হয়। আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলে রোগীরা আরও নিরাপদ, আর চিকিৎসকেরা আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে পারতেন।’
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, ‘বাক্সবন্দী জেনারেটর ও অচল যন্ত্রপাতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা সম্প্রতি আবারও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, এবার অন্তত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি জেনারেটর ১৮ বছর ধরে বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে আসা ৬০ কেভিএ ক্ষমতার ওই জেনারেটরটি ২০২৫ সালেও একই জায়গায় পড়ে আছে। স্টোররুমের কোণে, একটি কাঠের বাক্সে বন্দী। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা রোগীদের। সরকারি বরাদ্দে কেনা ৫ লাখ টাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। কিন্তু ১৮ বছর ধরে সেটিতে শুধু ধুলা জমছে। চালু হয়নি এক দিনের জন্যও। হাসপাতালের কেউ জানেন না, যন্ত্রটি আদৌ চালু হলে কাজ করবে কি না—কারণ কখনো চালুর চেষ্টাও করা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্র বলছে, ২০০৭ সালে জেনারেটরটি পাওয়ার পর একবারও কোনো প্রকৌশলী বা টেকনিশিয়ান এসে সেটি ইনস্টল করেননি। বিষয়টি কয়েকবার জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে; কিন্তু কাজ হয়নি।
হাসপাতালের স্টোরকিপার মাহবুবুর রহমান জানান, ‘২০২০-২৩ এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, জেনারেটরটি এখনো বাক্সবন্দী। কিন্তু আজও কেউ আসেননি। এত দিনে তো যন্ত্রটায় মরিচা পড়ে যাওয়ার কথা।’
একজন কর্মকর্তা তিক্ত হাসি হেসে বলেন, ‘মেশিনটা চালু হলে কী হতো, কে জানে? হয়তো একদম ঠিকই থাকত; কিন্তু আমরা জানার সুযোগই পেলাম না।’
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার সময় একটি নতুন জেনারেটর সরবরাহ করা হয়। তবে ওই জেনারেটরটি ২৫০ জন রোগীর চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম হলেও, বাস্তবে হাসপাতালে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ রোগী ভর্তি থাকে। ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে অল্পসংখ্যক ওয়ার্ডে সামান্য কিছু বৈদ্যুতিক পাখা চললেও অধিকাংশ রোগীকে গরমে কষ্ট পেতে হয়। বিষয়টি কয়েকবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানিয়ে আরও একটি জেনারেটরের আবেদন করা হয়েছে; কিন্তু আজও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ না থাকলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যায়। জেনারেটর থাকলেও কার্যকর না থাকায় প্রচণ্ড গরমে রোগীদের কষ্ট সহ্য করতে হয় প্রতিদিন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর এলাকার ভর্তি হওয়া রোগী গৃহবধূ রওশন আরা বলেন, ‘পাখা চলে না, গরমে বাচ্চা নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হয়। রাতে ঘুমানোই যায় না। আমরা তো জানি, হাসপাতালের আলাদা বিদ্যুৎ-ব্যবস্থা থাকে; কিন্তু এখানে তো সেগুলো নেই।’
রফিকুল ইসলাম নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমি নিজে হাতপাখা দিয়ে ভাইকে বাতাস দিচ্ছি। এখন তো গরম এমন, মনে হয় এসি ছাড়া আর কোথাও থাকা যায় না। অথচ এ হাসপাতালে তো সে জেনারেটরটা এক যুগ ধরে ঘুমাচ্ছে।’
আরেকজন রাণীশংকৈলের আমিনুল ইসলাম, যিনি অপারেশনের জন্য সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি। বলেন, ‘আমি গতকাল অপারেশন করাইছি। বিদ্যুৎ চলে গেলে সারা রাত ঘেমে গেছি। মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল।’
চিকিৎসা কর্মকর্তা রাকিবুল আলম চয়ন বলেন, ‘জেনারেটরের জন্য আমরা কয়েকবার চাহিদাপত্র দিয়েছি। হাসপাতাল যেহেতু ২৫০ শয্যায় উন্নীত, তাই বড় জেনারেটর দরকার। বাক্সবন্দী যেটা আছে, সেটাও ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি; কিন্তু তা চালু করা সম্ভব হয়নি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে সমস্যা শুধু এই একটি যন্ত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। অস্ত্রোপচার কক্ষজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অচল যন্ত্রপাতির তালিকা। এর মধ্যে রয়েছে ২টি অটোক্লেভ, ১টি ডায়াথার্মি মেশিন, ৬টি অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, ৬টি সাকার, ৪টি অপারেশন ইন্সট্রুমেন্ট ট্রলি ও ২টি অপারেশন লাইট। এসব যন্ত্র ২০১৯ সাল থেকে বিকল। কয়েকটি সহজেই মেরামতযোগ্য; কিন্তু সেগুলোও পড়ে রয়েছে অচল অবস্থায়। চিঠি গেছে, রিপোর্ট গেছে; কিন্তু সাড়া আসেনি।
সার্জারি বিভাগের প্রধান কনসালট্যান্ট শিহাব মাহমুদ
শাহরিয়ার বলেন, ‘যেসব যন্ত্র দিয়ে অস্ত্রোপচার চালাচ্ছি, তার বেশি রভাগই ২০-২৫ বছরের পুরোনো। কোনোটা আলো দেয় না, কোনোটা গরম হয় না। তারপরও প্রতিদিন ৮-১০টি অপারেশন করতে হচ্ছে এক ধরনের ঝুঁকি নিয়ে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘গাইনি, সার্জারি, ইএনটি—সব মিলিয়ে মাসে ২০০-২৫০টি অপারেশন হয়। আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলে রোগীরা আরও নিরাপদ, আর চিকিৎসকেরা আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে পারতেন।’
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, ‘বাক্সবন্দী জেনারেটর ও অচল যন্ত্রপাতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা সম্প্রতি আবারও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, এবার অন্তত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৯ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৮ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য না পাওয়ায় লোকসানে পড়ছেন তাঁরা।
কৃষকেরা জানান, চলতি আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের দাম অনেক কম। গত বছর বাজারে যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে, এই বছর মাঝারি শুকনা ধান ৯০০ ও শুকনা ধান ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বীজতলা থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলার আগপর্যন্ত অনেক শ্রম ও টাকা খরচ করতে হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করা হয়েছে। এর থেকে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯০ টন ধান উৎপাদন হবে। আর এই ধান থেকে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। আমন ধানের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকেরা।
বাজারে আমন ধানের দাম কম হলেও সরকারিভাবে ভালো দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে প্রতি কেজি আমন ধান ৩৪ টাকা মূল্যে ৭৯০ টন, সেদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি মূল্যে ২ হাজার ৬৭৭ টন ও আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি মূল্যে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও সদর উপজেলার আমনখেত ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা পাকা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত। অনেক এলাকায় দ্রুত সময়ে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ একসঙ্গে সেরে নিচ্ছেন কৃষকেরা। এতে সময়, খরচ ও কষ্ট কম করতে হচ্ছে। আবার কেউ কাজের লোক এনে ধান কেটে ফসলের মাঠেই মাড়াই করে সেদ্ধ দিচ্ছেন। অনেক কৃষক মাঠের মধ্যে রাত জেগে ধান সেদ্ধ করছেন। তবে সবকিছু ঠিক থাকলেও ধানের দাম কম থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কৃষকেরা।
কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়ন কৃষক আনোয়ার খান বলেন, ‘গত বছর আমাদের ধান একেবারেই হয়নি। এ বছর অনেক ভালো ধান হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ফলন হয়েছে। তবে বাজারে ধানের দাম অনেক কম। প্রতি মণ ধান মাত্র ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় ধানের দাম বাড়েনি।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মিলন কান্তি চাকমা বলেন, ‘আমাদের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যক্রম ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে; চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারিভাবে ধানের দাম গত বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সময় আমরা ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারতাম না; তবে এখন ধান-চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। আশা করি, চলতি মৌসুমে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।’
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘জেলায় এ বছর খুব ভালো আমন ধান হয়েছে। কৃষকেরা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। আশা করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও দিনের বেলা কুয়াশা না থাকায় সহজে কৃষকেরা ধান কাটা, মাড়াই ও সেদ্ধ করতে পারছেন।’

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি জেনারেটর ১৮ বছর ধরে বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে আসা ৬০ কেভিএ ক্ষমতার ওই জেনারেটরটি ২০২৫ সালেও একই জায়গায় পড়ে আছে। স্টোররুমের কোণে, একটি কাঠের বাক্সে বন্দী।
১১ জুন ২০২৫
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৮ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
গত কয়েক দিন পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৩ ডিগ্রির ঘরে থাকছে। ফলে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। আজ শুক্রবার সকালে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশায় ঢাকা চারদিক। সুনসান নীরবতায় গরম কাপড় পরে প্রয়োজনীয় কাজে বের হয়েছে লোকজন। কেউ কেউ মাঠে করছেন হালচাষ। এরই মধ্যে পূর্ব আকাশে সূর্য দেখা দিলেও নেই প্রখর রোদ।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার গৃহবধূ নাজমা বেগম বলেন, ‘সকাল-বিকেল খুব ঠান্ডা পড়ে। ঘর থেকে বের হলেই যেন বাতাসে শরীর কেঁপে ওঠে। বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঠান্ডা লাগলে হাসপাতালে যেতে হয় বারবার।’
একই এলাকার দিনমজুর মিজানুর রহমান বলেন, ‘শীতে কাজ পাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে। সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না, হাত-পা জমে থাকে। ঠান্ডায় শরীর ঠিকমতো সাড়া না দেওয়ায় কাজের গতি কমে গেছে।’
স্কুলছাত্রী তানজিলা আক্তার বলে, ‘সকালে কলেজ ও প্রাইভেটে যেতে খুব সমস্যা হয়। ঠান্ডা এমন যে হাতে গ্লাভস ছাড়া সাইকেল চালানো যায় না। শীত যেমন বাড়ছে, তেমনি অসুস্থ হওয়ার ভয়ও বাড়ছে।’
জেলার আশপাশ এলাকায় বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হঠাৎ তাপমাত্রা পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, দিন-রাতের তাপমাত্রার এই বড় পার্থক্য শরীরের ওপর চাপ ফেলে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ বেশি ঝুঁকিতে থাকে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীত ধীরে ধীরে নামছে। আজ ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। সামনে শীত আরও তীব্র হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি জেনারেটর ১৮ বছর ধরে বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে আসা ৬০ কেভিএ ক্ষমতার ওই জেনারেটরটি ২০২৫ সালেও একই জায়গায় পড়ে আছে। স্টোররুমের কোণে, একটি কাঠের বাক্সে বন্দী।
১১ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৯ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণ, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ওমর আলী কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার হাটবেলাটপুর গ্রামের ছাত্তার শেখের ছেলে।
বারোবাজারের ইসমাইল নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে বারোবাজারে শ্রমিকের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে ওমর আলী নছিমন কিনেছে। সে বারোবাজারের মাছের ভাড়া টানে। সকালে তার মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ হচ্ছিল না। পরে জানতে পারি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির গলায় ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ রয়েছে। এ ছাড়া রশি দিয়ে তাঁর গলা পেঁচানো। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি জেনারেটর ১৮ বছর ধরে বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে আসা ৬০ কেভিএ ক্ষমতার ওই জেনারেটরটি ২০২৫ সালেও একই জায়গায় পড়ে আছে। স্টোররুমের কোণে, একটি কাঠের বাক্সে বন্দী।
১১ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৯ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৮ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন।
১ ঘণ্টা আগেঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ( রাঙামাটি)

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কৃষক জয়নাল আবেদীন এ বছর ৩৩ শতক জমিতে হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন। ভালো ফলন পাওয়ায় তিনি লাভের আশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভুট্টা চাষ করেছেন তিনি।
উপজেলার ১ নম্বর চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেশম বাগান ব্লকের বারঘোনিয়া তঞ্চঙ্গাপাড়ায় জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন কৃষক জয়নাল। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৩৩ শতক কৃষি জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। চলতি বছরের বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ভুট্টার বীজ, সার ও সাইনবোর্ড পেয়েছেন। এ ছাড়াও একই জমিতে সাথি ফসল হিসেবে লালশাক, ফরাস শিম ও টমেটো চাষ করেছেন। বর্তমানে জমিতে ভুট্টার ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ভুট্টা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এদিন কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব রেশমবাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় কৃষক জয়নাল আবেদীনের ভুট্টা চাষ প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে ভুট্টা চাষ কম হলেও রেশম বাগান তঞ্চঙ্গাপাড়ায় এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলায় চারটি ভুট্টা প্রদর্শনীর মধ্যে একটি কৃষক জয়নাল আবেদীনকে দিয়েছিলাম। ভুট্টা চাষে উনার ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উনি ভালো লাভ করতে পারবেন।’

ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একটি জেনারেটর ১৮ বছর ধরে বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে আসা ৬০ কেভিএ ক্ষমতার ওই জেনারেটরটি ২০২৫ সালেও একই জায়গায় পড়ে আছে। স্টোররুমের কোণে, একটি কাঠের বাক্সে বন্দী।
১১ জুন ২০২৫
মৌলভীবাজারের চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। তবে বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। তাই ফলন ভালো হওয়ার পরও বাজারে ধানের যথার্থ মূল্য...
৯ মিনিট আগে
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
৩৮ মিনিট আগে
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ওমর আলী শেখ (৫০) নামের এক নছিমনচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ফার্মের সড়কের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, নছিমনচালককে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে