Ajker Patrika

দুলাল ঘোষ ও তাঁর জামাতার ঘরবাড়ির চিহ্নও নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৮: ০৮
দুলাল ঘোষ ও তাঁর জামাতার ঘরবাড়ির চিহ্নও নেই

সবুজ ধানখেতের পাশে কাঠা দশেক জায়গা হালচাষ করা। জমির এক কোণে শুধু একটা আমগাছ। দেখে মনে হচ্ছে, হালচাষের পর এ জমি পতিত ফেলে রাখা হয়েছে। কিন্তু আট দিন আগে এখানেই ছিল দুলাল ঘোষ আর তাঁর জামাতা কমল ঘোষের বাড়ি। এখন এ বাড়ি দুটির চিহ্নমাত্র নেই।

দুলালের এ বাড়ি ছিল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হিজলগাছি গ্রামে। একই জমিতে পাশের বাড়িটি ছিল দুলালের জামাতা কমল ঘোষের। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেদিনই বিকেলে এ বাড়ি দুটিতে লুটপাট চালান স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা। পরদিন বাড়ি দুটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এখানেই যে দুলাল-কমলের বাড়ি ছিল, তা এখন বোঝার উপায় নেই। 

বাড়ির চারপাশে ছিল অন্তত ৩০টি গাছ। একটি আমগাছ ছাড়া সবই কেটে ফেলা হয়েছে। তবে জমিতে এখনো দাঁড়িয়ে আছে বিদ্যুতের একটি খুঁটি। সেই খুঁটির সঙ্গে টানানো তার দেখিয়ে দুলাল ঘোষ বলেন, ‘কারেন্টের তারগুলা শুধু আছে। মিটারডাও খুইল্যা লিইয়্যা গেলছে। এখুন আমার থাকার জাগা নাই। ব্যাটার বাড়িতে আছি। বিটি আছে আরাক বিটির বাড়িতে।’ 

ভিটেছাড়া হয়ে ৫ আগস্ট থেকেই কিছুটা দূরে ছেলের বাড়িতে থাকছেন বৃদ্ধ কৃষক দুলাল ঘোষ। আজ মঙ্গলবার সকালে যোগাযোগ করা হলে দুলাল তাঁর ভিটায় এসে বলেন, ‘তারা হুমকি দিয়্যাছে, ভিটায় আইলে লাশ ফেল্যা দেওয়া হবে। আমি জানের ভয়ে আসি না। ৫ তারিখের পর আইজ প্রথম আসনু।’ কান্নায় ভেঙে পড়ে দুলাল এ ঘটনার বিচার চান। নিজের বসতভিটা রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

দুলাল জানালেন, প্রায় ৩০ বছর আগে পৌনে দুই বিঘা খাস জমি তাঁর দাদা সরকারের কাছ থেকে ১০০ বছরের জন্য পত্তন নেন। এর আগে এলাকার কিছু লোক এই জমি ভোগ করতেন। সরকার দুলালের দাদাকে জমি পত্তন দেওয়ার পর কিছু লোক ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেন। তখন গ্রামে সালিস বসে। সালিসে কাগজপত্র দেখে জমি দুলালদেরই দেওয়া হয়।

এখন জমিতে ফসলের আবাদ করা হয়। প্রায় ১০ বছর আগে দুলাল জমির একটি অংশে বাড়ি করেন। কয়েক বছর আগে জামাতা কমল ঘোষকেও বাড়ি করতে দেন। এত দিন আর কখনো কোনো ঝামেলা হয়নি। হঠাৎ ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জয়দুল ইসলাম ফেন্সু, তাঁর দুই ছেলে নবাব ও জনি; ভাই সাবেক সেনাসদস্য শরিফুল ইসলাম ও লালমিয়া; ভগ্নিপতি আসারুল ও সেলিম; বিএনপিকর্মী পলাশ, সুইট, সাল্লাম, জাকিরুল, রিপনসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। এরপর দুই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, ঢেউটিন, ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটে নেওয়া হয়।

পরদিন হামলাকারীরা তাঁর সেমিপাকা বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয়। গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। বাড়ির ইটগুলো পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কমলের বাড়ির ঢেউটিনগুলো নিয়ে চলে যায় হামলাকারীরা। প্রাণভয়ে দুলাল ও কমল তাঁদের বাড়ি রক্ষায় হামলাকারীদের সামনেই যেতে পারেননি। ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ফেন্সু দীর্ঘদিন ধরেই এ জমি দখলের চেষ্টা করছিলেন বলে জানান দুলাল।

শিবা রানী। ছবি: আজকের পত্রিকাকমল ঘোষ গরুর দুধ সংগ্রহের কাজ করেন। বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর স্ত্রী শিবা রানীর বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। আজ সকালে ওই বাড়িতে গিয়ে শিবা রানীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘হামলার সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ মানুষ ছিল না। হামলাকারীরা আমার ১৫ বছরের মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছিল। মেয়ের ইজ্জত রক্ষায় আমি তাকে নিয়ে এক কাপড়ে পালিয়ে এসেছি। বাড়ির আর কিছুই পাইনি।’

হামলা, লুটপাট ও উচ্ছেদের পর শিবা রানী ও তাঁর বাবা দুলাল ঘোষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হায়াতের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। দুলাল বলেন, ইউএনও সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন। সেনা সদস্যরা রিপন নামের এক হামলাকারীকে আটকও করেছিল। পরে একই জমিতে তাঁদের বাড়ি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে রিপনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে বাড়ি তো করে দেওয়া হয়নি, উল্টো এখন ভিটা ছেড়ে দিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন দুলাল ঘোষ।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জয়দুল ইসলাম ফেন্সুর মোবাইলে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। গোদাগাড়ীর ইউএনও আবুল হায়াত বলেন, ঘটনাটি তিনি জানেন। অভিযোগ পেয়ে তিনিই সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিলেন। এখনো সমস্যার সমাধান না হলে তিনি নিজে যাবেন। দুলাল ও কমলের বসতবাড়ি কেউ দখলে নিতে পারবে না। এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একটি কারখানার শ্রমিককে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় পিএ নিট কম্পোজিট লিমিটেডের সামনে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, গাজীপুর এলাকা থেকে কারখানার নিজস্ব বাসে করে শ্রমিকেরা ভালুকায় আসার পথে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস শ্রমিকবাহী বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সঙ্গে সৌখিন পরিবহনের চালকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আমিনুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক সৌখিন পরিবহনের বাসে উঠে চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়ান। পরে তাঁকে ওই বাসের মধ্যে আটক রেখে বাসটি ময়মনসিংহের দিকে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা।

এর প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকেরা প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকেরা সৌখিন পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে রেখে অন্য যানবাহন ছেড়ে দেন।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সৌখিন পরিবহনের বাসগুলো আটকে রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতির আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় কাপ্তাই বন বিভাগের সতর্কতামূলক কার্যক্রম

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা নামে দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কটিতে হাতির চলাচল বাড়তে থাকে।

কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সোলার ফেন্সিং কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার ফেন্সিংয়ের আওতার বাইরে থাকা কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।

ওমর ফারুক স্বাধীন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাতি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও রোডমার্কিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাপ্তাই রেঞ্জের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বন্য হাতির চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে সূর্যের দেখা নেই, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

দৌলতপুর উপজেলায় নিজস্ব আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই আবহাওয়া আরও এক দিন, অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। রোববার কুষ্টিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনমজুর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। তা ছাড়া আমার ঠান্ডাজনিত রোগ আছে, তাই বাইরে বের হওয়াও কষ্টকর।’

উপজেলার মথুরাপুর বাজারের অটোরিকশাচালক মামুন হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। শীতের কারণে যাতায়াত কমে গেছে, আয়ও আগের তুলনায় অনেক কম।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে দু-এক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে এবং মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া আরও উন্নত হবে।

এদিকে শীতের প্রভাবে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জ্বর, সর্দি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, শীত থেকে বাঁচতে সবাইকে গরম পোশাক পরতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সব সময় গরম পোশাকে রাখতে এবং গরম খাবার খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মধুপুরে পরিবহনের ধাক্কায় পথচারী নিহত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জলছত্র এলাকায় পরিবহনের ধাক্কায় আবু হানিফা আলী (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের জলছত্র (ধরদরিয়া) এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু হানিফা আলী বেরিবাইদ ইউনিয়নের চুনিয়া দিগলবাইদ এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোরে জলছত্র বাজার মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে তিনি রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী গাড়ি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর পেয়ে অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

অরনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ পাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিবহনের ধাক্কায় একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

বিমল চন্দ পাইন জানান, ঘাতক পরিবহন শনাক্ত ও চালককে আটক করার জন্য তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোট চুরির এমপি হতে চাই না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: চিকিৎসায় শিক্ষার্থীপ্রতি বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা

২,০০০ পুলিশের বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান

বাগেরহাটের চিতলমারী: অবৈধ বালু উত্তোলনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত