Ajker Patrika

সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিদ্যুৎ-সংযোগ কাটল আ.লীগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০: ৪০
সিরাজগঞ্জে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিদ্যুৎ-সংযোগ কাটল আ.লীগ

ভোট দিতে না যাওয়ায় ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের ৯ নেতা-কর্মীর বসতবাড়ির বৈদ্যুতিক সংযোগ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৮ জানুয়ারি উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের হাটশিরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সংযোগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। 

বৈদ্যুতিক সংযোগ কেটে দেওয়ায় ২২ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রাত-দিন কাটছে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীর পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখাও বিঘ্নিত হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ৯ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাজীপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল ইসলাম। এরপরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর আগে ৮ জানুয়ারি রাতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বসতবাড়ির বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়। 

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাজীপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) ছানোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জানতে চাইলে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদর আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেব।’ 

যাঁদের বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন কাজীপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল ইসলাম, চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আবু রায়হান, চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমীন এবং বিএনপি কর্মী বদিউজ্জামান, হায়দার আলী, জহুরুল ইসলাম, দুদু মিয়া, আজিবার মওলানা ও হাসান সরকার। 

কাজীপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশাদুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশনা ছিল বিএনপি নেতা-কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে। এ কারণে ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ায় ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করা হয় আমাদের বিরুদ্ধে। পরে ৮ জানুয়ারি রাতে চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ও উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেকুল ইসলাম রনুর নেতৃত্ব ২০-২৫ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী একত্রিত হয়ে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীর ১৪টি বৈদ্যুতিক লাইন কেটে দেন। সেই দিন থেকে বিদ্যুৎহীন রাত কাটছে আমাদের।’ 

আশাদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার বিঘ্ন ঘটছে। ঘরের ফ্রিজ ছোট বোনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ রয়েছে, এরপরও লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে লিখিত অভিযোগ করে কাজ হয়নি। ২২ দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রাত কাটছে বিএনপির ৯ নেতা-কর্মীর পরিবারের সদস্যদের।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেকুল ইসলাম রনু বলেন, ‘লাইন কাটার সময় আমি ছিলাম না। রাজনৈতিক কারণে আমার নাম বলা হচ্ছে। যুবদল নেতা আশাদুল আমার মামাতো ভাই। তাঁর বাড়িতে লাইন কাটার সময় আমি ছিলাম না। পরে শুনেছি তাঁর বাড়ির বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি আছেন যিনি বিদ্যুতের কাজ করেন। তাঁর কাছে জিজ্ঞাসা করলে পাওয়া যাবে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত।’ 

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারের কাজ করি। যখন যিনি ডাকেন তাঁর কাজ করে দিই। ৮ জানুয়ারি রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা চান্দু আব্দুল কাদের, হায়দার মেকার, শাহাদাত, মুন্নাফসহ ৫০-৬০ জন আমাকে জোর করে নিয়ে যান। লাইন কাটা হয়েছে ৯টা। লাইন আরও কাটানো হবে বললে, আমার নাতি কান্নাকাটি করছে এমন কথা বলে চলে আসি। তাঁরা বিএনপি করেন এ জন্য লাইন কেটেছে। তাঁরা ভোট দিতে যাননি।’ 

এ বিষয়ে চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি স্থানীয় এমপি তানভীর শাকিল জয় ও উপজেলার চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান শিরাজী দেখবেন। লাইন কাটা আছে। যাঁরা ডিজিএমের কাছে গিয়েছিলেন তাঁদের বলা হয়েছে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে।’ 

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বৈদ্যুতিক সংযোগ কেটে দেওয়ার বিষয়ে জানতে কাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান শিরাজীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। 

জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কাজীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাজমুল হাসান তালুকদার রানা বলেন, ‘ঘটনাটি অমানবিক। ভোটকেন্দ্রে যাওয়া না যাওয়া ব্যক্তিগত বিষয়। এটিকে পুঁজি করে বিদ্যুতের লাইন কেটে দিতে হবে, এটি হতে পারে না। তাঁরা তো নিয়ম মেনে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন। বিলও পরিশোধ রয়েছে। তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন, আরও দুই আসামি গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার দুই আসামি। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের কাশর এলাকা থেকে আশিকুর রহমান ও কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে পুলিশ ও র‍্যাবের অভিযানে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আশিকুর রহমান (২৫) ও কাইয়ুম (২৫)। এর আগে আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জেলা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করার পর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। দুই বছর ধরে তিনি এই কোম্পানিতে কাজ করছিলেন।

ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। কেন ওই যুবককে পুলিশের হাতে না দিয়ে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ভালুকা উপজেলায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় একটি কারখানার শ্রমিককে বাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় পিএ নিট কম্পোজিট লিমিটেডের সামনে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, গাজীপুর এলাকা থেকে কারখানার নিজস্ব বাসে করে শ্রমিকেরা ভালুকায় আসার পথে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস শ্রমিকবাহী বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের সঙ্গে সৌখিন পরিবহনের চালকের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে আমিনুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক সৌখিন পরিবহনের বাসে উঠে চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়ান। পরে তাঁকে ওই বাসের মধ্যে আটক রেখে বাসটি ময়মনসিংহের দিকে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন শ্রমিকেরা।

এর প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকেরা প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকেরা সৌখিন পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে রেখে অন্য যানবাহন ছেড়ে দেন।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ বলেন, ‘এক শ্রমিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সৌখিন পরিবহনের বাসগুলো আটকে রাখা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতির আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় কাপ্তাই বন বিভাগের সতর্কতামূলক কার্যক্রম

কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাঙামাটির কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে বন্য হাতির চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে কাপ্তাই বন বিভাগ। সম্প্রতি ওই সড়কে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণহানির ঘটনার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফেরার পথে বন্য হাতির আক্রমণে ঝর্ণা চাকমা ও সবিতা চাকমা নামে দুই নারী নিহত হন। এই ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং সড়কটিতে হাতির চলাচল বাড়তে থাকে।

কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সোলার ফেন্সিং কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি সোলার ফেন্সিংয়ের আওতার বাইরে থাকা কাপ্তাই-আসামবস্তি সড়কে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন ও সড়কে সতর্কবার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।

ওমর ফারুক স্বাধীন আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় হাতি চলাচলের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ও রোডমার্কিং করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাপ্তাই রেঞ্জের পক্ষ থেকে নিয়মিত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের বন্য হাতির চলাচল সম্পর্কে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দৌলতপুরে সূর্যের দেখা নেই, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি 
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকালে রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা খুব কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা না থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

তীব্র শীতের কারণে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাব পড়েছে হাটবাজারেও। অধিকাংশ বাজারে দোকানপাট খুলতে দেখা গেছে সকাল ১০টার পর। পেটের তাগিদে অনেকেই ঘরের বাইরে বের হলেও কাজ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। অপর দিকে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

দৌলতপুর উপজেলায় নিজস্ব আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলার কুমারখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই আবহাওয়া আরও এক দিন, অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে। রোববার কুষ্টিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনমজুর মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডা ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে আজ কাজে যেতে পারিনি। তা ছাড়া আমার ঠান্ডাজনিত রোগ আছে, তাই বাইরে বের হওয়াও কষ্টকর।’

উপজেলার মথুরাপুর বাজারের অটোরিকশাচালক মামুন হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে মানুষের আনাগোনা কম। অফিসগামী যাত্রী ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছে না। শীতের কারণে যাতায়াত কমে গেছে, আয়ও আগের তুলনায় অনেক কম।’

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশা না থাকলেও মেঘাচ্ছন্ন আকাশের কারণে দু-এক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে। তবে দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিলতে পারে এবং মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া আরও উন্নত হবে।

এদিকে শীতের প্রভাবে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শিশু-বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ জ্বর, সর্দি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, শীত থেকে বাঁচতে সবাইকে গরম পোশাক পরতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের সব সময় গরম পোশাকে রাখতে এবং গরম খাবার খাওয়াতে বলা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত