নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ছাত্র–জনতার অভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় মামলা করছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম না দিতে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগের মামলায় গণ আসামি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ঘটনা নিয়েও মামলা হচ্ছে এখন।
পুলিশ বলছে, মামলায় কাকে আসামি করা হবে না হবে তা বাদীর ওপরেই নির্ভর করছে। মামলা রেকর্ডের আগে যাচাই–বাছাই করার সুযোগ হচ্ছে না। আর আইনজ্ঞরা বলছেন, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ মামলায় গণআসামি করছেন। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন তা নজর রাখা উচিত। কারণ, মামলার লক্ষ্য হলো– সুবিচার পাওয়া। হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মামলা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট থেকে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা হতে শুরু করেছে। ১৯ আগস্ট প্রথম মামলা হয় নগরের বোয়ালিয়া থানায়। গত ৫ আগস্ট আলী রায়হান নামের এক শিবির নেতার নিহতের ঘটনায় করা এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। মামলায় আসামি হিসেবে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি আরও ১০০০ থেকে ১২০০ জন।
রাজশাহীতে ৫ আগস্টের সংঘর্ষে আলী রায়হানসহ মোট দুজনের মৃত্যু হয়। অপর শিক্ষার্থী সাকিব আনজুমকে হত্যার অভিযোগে ২৩ আগস্ট রাতে বোয়ালিয়া থানায় আরও একটি মামলা হয়। এতেও আসামি করা হয় লিটনসহ ৪২ নেতা–কর্মীকে। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা আরও প্রায় ৩০০ জন।
১৯ আগস্টের পর থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় প্রতিদিনই দুয়েকটি করে মামলা হচ্ছে। সব মামলাতেই গণহারে আসামি করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় অজ্ঞাত আসামিও করা হয়েছে ১০০ থেকে ২০০ জনকে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট ডাকাতির অভিযোগেও এখন মামলা হতে শুরু করেছে। নগরের বোয়ালিয়া, কর্ণহার ও গোদাগাড়ী থানায় এমন মামলা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রাজশাহী মহানগরের বিত্তশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের মামলার আসামি না করতে মোটা অংকের টাকারও লেনদেন হচ্ছে। ফলে রাজশাহীর প্রভাবশালী সাবেক একাধিক এমপি ও কোন কোন প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে এখনও মামলা হয়নি। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রাজশাহী সদর আসন থেকে টানা তিনবার এমপি হওয়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার নামেও এখনও পর্যন্ত মামলা হয়নি। এনিয়েও সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা–সমালোচনা চলছে।
বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলার বাদী কে হবেন তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলীয় নেতাদের কাছে সমালোচিত হওয়া ব্যক্তিরাও আগবাড়িয়ে মামলা করতে যাচ্ছেন। দলের সুনজরে আসতে রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহারও ২০১৮ সালের ঘটনায় সম্প্রতি মামলা করেছেন। সামসুন নাহার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০২৩ সালে তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সামসুন নাহার এখনও দলীয় পরিচয় উল্লেখ করেছেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে রাজশাহী সদর আসনের বিএনপির প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বোয়ালিয়া থানায় তিনি মামলাটি করেছেন। এ মামলাতেও গণআসামি করা হয়েছে। এছাড়া ওই সময় মিনুর বাড়ি ও নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে আরও দুটি মামলা করেছেন তার বাড়ির কেয়ারটেকার।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন রাজশাহী–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী–৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী–৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাজশাহী–৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রাজশাহী সদর আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান, রাজশাহী–৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ এবং রাজশাহী–৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি।
ওমর ফারুক চৌধুরী ও আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে ভোটডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছে। সাড়ে ৫ বছর আগের ঘটনার এসব মামলায় গণআসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া কারও ওপর অতীতে ছোটখাট কোন রাগ থাকলে তাকেও আসামি করা হচ্ছে।
রাজশাহীর বাঘা থানায় মামলা করতে একটি এজাহার দিয়েছেন কিশোরপুর গ্রামের জাহিদ হাসান নামের এক ব্যক্তি। এই এজাহারে ১৪ নম্বর আসামি হিসেবে বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান ও ১৫ নম্বর আসামি হিসেবে তাঁর ছেলে মো. স্বদেশের নাম লেখা হয়েছে। মামলায় ১৩০ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার তারিখ বলা হয়েছে ২৫ আগস্ট। নুরুজ্জামান দৈনিক ইত্তেফাকের বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি। আর তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে তার ওপর কেউ বিরাগভাজন থাকতে পারে। এ জন্য ছেলেসহ তাকেও আসামি করতে এজাহারে নাম লেখা হয়েছে।
সাংবাদিক নুরুজ্জামান অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এলাকায় ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার মতো কেউ নেই। তারপরও গায়েবি মামলা করতে এরকম এজাহার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কিছু অতিউৎসাহী লোকজন এসব মামলা করছে। আবার যাদের বাদী করা হচ্ছে, তারা নিজেরাও মামলার বিবরণ ও আসামি সম্পর্কে কিছুই জানে না।
গায়েবি অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে সোমবার বিকালে অভিযোগকারী জাহিদ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। সন্ধ্যার পর তিনি যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ‘মামলাটা অভিযোগ আকারে আছে। এখনও মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি। তবে মামলা হয়ে যাবে।’
ওসি বলেন, ‘আসামি কে হবেন না হবেন তা বাদীর ওপরেই নির্ভর কছে। মামলা হওয়ার পরে তদন্তের সময় আমরা বাকিটা দেখব।’
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের রাজশাহীর এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ কোনো যাচাই–বাছাই করছে না। যাদের নামে ইচ্ছে হচ্ছে মামলা করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগের ঘটনা সামনে এনে গায়েবি মামলাও করা হচ্ছে। আবার আওয়ামী লীগের বিত্তশালী নেতাদের সঙ্গে তৃতীয়পক্ষ যোগাযোগ করছে মামলা থেকে বাঁচানোর কথা বলে। তারা বিএনপি নেতাদের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আসলেই এ টাকা বিএনপির নেতারা নিচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে দুয়েকজন বিত্তশালী আওয়ামী লীগ নেতার নামে এখনও কোন মামলা হয়নি।’
একাধিক মামলার আসামি হয়ে যাওয়ার ভয়ে ওই নেতা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহেদী বলেন, ‘কোনো অপরাধের বিচার পাওয়াটাই মামলার মূল্য উদ্দেশ্য। এখানে কাউকে হয়রানি করার জন্য গণআসামি করা ঠিক হবে না। তবে মামলা করাই তো শেষ কথা নয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করবেন। তখন যেন মামলাগুলোর সতর্কতার সাথে তদন্ত করা হয়। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধেই যেন অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।’
গণআসামি করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমার নামে এখন ৬৭টা মামলা, সবগুলো মামলাই গায়েবি। আমাদের অন্য নেতাকর্মীদের নামেও অসংখ্য গায়েবি মামলা আছে। তারপরেও আমরা গায়েবি মামলা সমর্থন করি না। কেউ হয়তো অতিউৎসাহী হয়ে এ ধরনের মামলা করছেন। এর দায় মামলার বাদীকেই নিতে হবে। আমরা বলছি, কাউকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে যেন মামলার আসামি করা না হয়।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন যে মামলা হচ্ছে সেগুলো বাদীর ইচ্ছার ওপরেই নির্ভর করছে। বাদী আসামিদের নাম দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী মামলা হচ্ছে। তবে তদন্তের সময় পুলিশ দেখবে আসলেই কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যাদের ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদেরই অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হবে। অন্যদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’

ছাত্র–জনতার অভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় মামলা করছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম না দিতে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগের মামলায় গণ আসামি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ঘটনা নিয়েও মামলা হচ্ছে এখন।
পুলিশ বলছে, মামলায় কাকে আসামি করা হবে না হবে তা বাদীর ওপরেই নির্ভর করছে। মামলা রেকর্ডের আগে যাচাই–বাছাই করার সুযোগ হচ্ছে না। আর আইনজ্ঞরা বলছেন, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ মামলায় গণআসামি করছেন। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন তা নজর রাখা উচিত। কারণ, মামলার লক্ষ্য হলো– সুবিচার পাওয়া। হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মামলা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট থেকে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা হতে শুরু করেছে। ১৯ আগস্ট প্রথম মামলা হয় নগরের বোয়ালিয়া থানায়। গত ৫ আগস্ট আলী রায়হান নামের এক শিবির নেতার নিহতের ঘটনায় করা এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। মামলায় আসামি হিসেবে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি আরও ১০০০ থেকে ১২০০ জন।
রাজশাহীতে ৫ আগস্টের সংঘর্ষে আলী রায়হানসহ মোট দুজনের মৃত্যু হয়। অপর শিক্ষার্থী সাকিব আনজুমকে হত্যার অভিযোগে ২৩ আগস্ট রাতে বোয়ালিয়া থানায় আরও একটি মামলা হয়। এতেও আসামি করা হয় লিটনসহ ৪২ নেতা–কর্মীকে। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা আরও প্রায় ৩০০ জন।
১৯ আগস্টের পর থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় প্রতিদিনই দুয়েকটি করে মামলা হচ্ছে। সব মামলাতেই গণহারে আসামি করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় অজ্ঞাত আসামিও করা হয়েছে ১০০ থেকে ২০০ জনকে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট ডাকাতির অভিযোগেও এখন মামলা হতে শুরু করেছে। নগরের বোয়ালিয়া, কর্ণহার ও গোদাগাড়ী থানায় এমন মামলা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রাজশাহী মহানগরের বিত্তশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের মামলার আসামি না করতে মোটা অংকের টাকারও লেনদেন হচ্ছে। ফলে রাজশাহীর প্রভাবশালী সাবেক একাধিক এমপি ও কোন কোন প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে এখনও মামলা হয়নি। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রাজশাহী সদর আসন থেকে টানা তিনবার এমপি হওয়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার নামেও এখনও পর্যন্ত মামলা হয়নি। এনিয়েও সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা–সমালোচনা চলছে।
বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলার বাদী কে হবেন তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলীয় নেতাদের কাছে সমালোচিত হওয়া ব্যক্তিরাও আগবাড়িয়ে মামলা করতে যাচ্ছেন। দলের সুনজরে আসতে রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহারও ২০১৮ সালের ঘটনায় সম্প্রতি মামলা করেছেন। সামসুন নাহার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০২৩ সালে তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সামসুন নাহার এখনও দলীয় পরিচয় উল্লেখ করেছেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে রাজশাহী সদর আসনের বিএনপির প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বোয়ালিয়া থানায় তিনি মামলাটি করেছেন। এ মামলাতেও গণআসামি করা হয়েছে। এছাড়া ওই সময় মিনুর বাড়ি ও নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে আরও দুটি মামলা করেছেন তার বাড়ির কেয়ারটেকার।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন রাজশাহী–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী–৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী–৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাজশাহী–৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রাজশাহী সদর আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান, রাজশাহী–৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ এবং রাজশাহী–৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি।
ওমর ফারুক চৌধুরী ও আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে ভোটডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছে। সাড়ে ৫ বছর আগের ঘটনার এসব মামলায় গণআসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া কারও ওপর অতীতে ছোটখাট কোন রাগ থাকলে তাকেও আসামি করা হচ্ছে।
রাজশাহীর বাঘা থানায় মামলা করতে একটি এজাহার দিয়েছেন কিশোরপুর গ্রামের জাহিদ হাসান নামের এক ব্যক্তি। এই এজাহারে ১৪ নম্বর আসামি হিসেবে বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান ও ১৫ নম্বর আসামি হিসেবে তাঁর ছেলে মো. স্বদেশের নাম লেখা হয়েছে। মামলায় ১৩০ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার তারিখ বলা হয়েছে ২৫ আগস্ট। নুরুজ্জামান দৈনিক ইত্তেফাকের বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি। আর তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে তার ওপর কেউ বিরাগভাজন থাকতে পারে। এ জন্য ছেলেসহ তাকেও আসামি করতে এজাহারে নাম লেখা হয়েছে।
সাংবাদিক নুরুজ্জামান অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এলাকায় ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার মতো কেউ নেই। তারপরও গায়েবি মামলা করতে এরকম এজাহার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কিছু অতিউৎসাহী লোকজন এসব মামলা করছে। আবার যাদের বাদী করা হচ্ছে, তারা নিজেরাও মামলার বিবরণ ও আসামি সম্পর্কে কিছুই জানে না।
গায়েবি অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে সোমবার বিকালে অভিযোগকারী জাহিদ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। সন্ধ্যার পর তিনি যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ‘মামলাটা অভিযোগ আকারে আছে। এখনও মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি। তবে মামলা হয়ে যাবে।’
ওসি বলেন, ‘আসামি কে হবেন না হবেন তা বাদীর ওপরেই নির্ভর কছে। মামলা হওয়ার পরে তদন্তের সময় আমরা বাকিটা দেখব।’
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের রাজশাহীর এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ কোনো যাচাই–বাছাই করছে না। যাদের নামে ইচ্ছে হচ্ছে মামলা করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগের ঘটনা সামনে এনে গায়েবি মামলাও করা হচ্ছে। আবার আওয়ামী লীগের বিত্তশালী নেতাদের সঙ্গে তৃতীয়পক্ষ যোগাযোগ করছে মামলা থেকে বাঁচানোর কথা বলে। তারা বিএনপি নেতাদের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আসলেই এ টাকা বিএনপির নেতারা নিচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে দুয়েকজন বিত্তশালী আওয়ামী লীগ নেতার নামে এখনও কোন মামলা হয়নি।’
একাধিক মামলার আসামি হয়ে যাওয়ার ভয়ে ওই নেতা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহেদী বলেন, ‘কোনো অপরাধের বিচার পাওয়াটাই মামলার মূল্য উদ্দেশ্য। এখানে কাউকে হয়রানি করার জন্য গণআসামি করা ঠিক হবে না। তবে মামলা করাই তো শেষ কথা নয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করবেন। তখন যেন মামলাগুলোর সতর্কতার সাথে তদন্ত করা হয়। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধেই যেন অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।’
গণআসামি করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমার নামে এখন ৬৭টা মামলা, সবগুলো মামলাই গায়েবি। আমাদের অন্য নেতাকর্মীদের নামেও অসংখ্য গায়েবি মামলা আছে। তারপরেও আমরা গায়েবি মামলা সমর্থন করি না। কেউ হয়তো অতিউৎসাহী হয়ে এ ধরনের মামলা করছেন। এর দায় মামলার বাদীকেই নিতে হবে। আমরা বলছি, কাউকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে যেন মামলার আসামি করা না হয়।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন যে মামলা হচ্ছে সেগুলো বাদীর ইচ্ছার ওপরেই নির্ভর করছে। বাদী আসামিদের নাম দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী মামলা হচ্ছে। তবে তদন্তের সময় পুলিশ দেখবে আসলেই কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যাদের ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদেরই অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হবে। অন্যদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ছাত্র–জনতার অভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় মামলা করছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম না দিতে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগের মামলায় গণ আসামি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ঘটনা নিয়েও মামলা হচ্ছে এখন।
পুলিশ বলছে, মামলায় কাকে আসামি করা হবে না হবে তা বাদীর ওপরেই নির্ভর করছে। মামলা রেকর্ডের আগে যাচাই–বাছাই করার সুযোগ হচ্ছে না। আর আইনজ্ঞরা বলছেন, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ মামলায় গণআসামি করছেন। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন তা নজর রাখা উচিত। কারণ, মামলার লক্ষ্য হলো– সুবিচার পাওয়া। হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মামলা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট থেকে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা হতে শুরু করেছে। ১৯ আগস্ট প্রথম মামলা হয় নগরের বোয়ালিয়া থানায়। গত ৫ আগস্ট আলী রায়হান নামের এক শিবির নেতার নিহতের ঘটনায় করা এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। মামলায় আসামি হিসেবে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি আরও ১০০০ থেকে ১২০০ জন।
রাজশাহীতে ৫ আগস্টের সংঘর্ষে আলী রায়হানসহ মোট দুজনের মৃত্যু হয়। অপর শিক্ষার্থী সাকিব আনজুমকে হত্যার অভিযোগে ২৩ আগস্ট রাতে বোয়ালিয়া থানায় আরও একটি মামলা হয়। এতেও আসামি করা হয় লিটনসহ ৪২ নেতা–কর্মীকে। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা আরও প্রায় ৩০০ জন।
১৯ আগস্টের পর থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় প্রতিদিনই দুয়েকটি করে মামলা হচ্ছে। সব মামলাতেই গণহারে আসামি করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় অজ্ঞাত আসামিও করা হয়েছে ১০০ থেকে ২০০ জনকে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট ডাকাতির অভিযোগেও এখন মামলা হতে শুরু করেছে। নগরের বোয়ালিয়া, কর্ণহার ও গোদাগাড়ী থানায় এমন মামলা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রাজশাহী মহানগরের বিত্তশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের মামলার আসামি না করতে মোটা অংকের টাকারও লেনদেন হচ্ছে। ফলে রাজশাহীর প্রভাবশালী সাবেক একাধিক এমপি ও কোন কোন প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে এখনও মামলা হয়নি। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রাজশাহী সদর আসন থেকে টানা তিনবার এমপি হওয়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার নামেও এখনও পর্যন্ত মামলা হয়নি। এনিয়েও সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা–সমালোচনা চলছে।
বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলার বাদী কে হবেন তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলীয় নেতাদের কাছে সমালোচিত হওয়া ব্যক্তিরাও আগবাড়িয়ে মামলা করতে যাচ্ছেন। দলের সুনজরে আসতে রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহারও ২০১৮ সালের ঘটনায় সম্প্রতি মামলা করেছেন। সামসুন নাহার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০২৩ সালে তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সামসুন নাহার এখনও দলীয় পরিচয় উল্লেখ করেছেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে রাজশাহী সদর আসনের বিএনপির প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বোয়ালিয়া থানায় তিনি মামলাটি করেছেন। এ মামলাতেও গণআসামি করা হয়েছে। এছাড়া ওই সময় মিনুর বাড়ি ও নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে আরও দুটি মামলা করেছেন তার বাড়ির কেয়ারটেকার।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন রাজশাহী–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী–৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী–৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাজশাহী–৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রাজশাহী সদর আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান, রাজশাহী–৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ এবং রাজশাহী–৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি।
ওমর ফারুক চৌধুরী ও আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে ভোটডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছে। সাড়ে ৫ বছর আগের ঘটনার এসব মামলায় গণআসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া কারও ওপর অতীতে ছোটখাট কোন রাগ থাকলে তাকেও আসামি করা হচ্ছে।
রাজশাহীর বাঘা থানায় মামলা করতে একটি এজাহার দিয়েছেন কিশোরপুর গ্রামের জাহিদ হাসান নামের এক ব্যক্তি। এই এজাহারে ১৪ নম্বর আসামি হিসেবে বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান ও ১৫ নম্বর আসামি হিসেবে তাঁর ছেলে মো. স্বদেশের নাম লেখা হয়েছে। মামলায় ১৩০ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার তারিখ বলা হয়েছে ২৫ আগস্ট। নুরুজ্জামান দৈনিক ইত্তেফাকের বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি। আর তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে তার ওপর কেউ বিরাগভাজন থাকতে পারে। এ জন্য ছেলেসহ তাকেও আসামি করতে এজাহারে নাম লেখা হয়েছে।
সাংবাদিক নুরুজ্জামান অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এলাকায় ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার মতো কেউ নেই। তারপরও গায়েবি মামলা করতে এরকম এজাহার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কিছু অতিউৎসাহী লোকজন এসব মামলা করছে। আবার যাদের বাদী করা হচ্ছে, তারা নিজেরাও মামলার বিবরণ ও আসামি সম্পর্কে কিছুই জানে না।
গায়েবি অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে সোমবার বিকালে অভিযোগকারী জাহিদ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। সন্ধ্যার পর তিনি যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ‘মামলাটা অভিযোগ আকারে আছে। এখনও মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি। তবে মামলা হয়ে যাবে।’
ওসি বলেন, ‘আসামি কে হবেন না হবেন তা বাদীর ওপরেই নির্ভর কছে। মামলা হওয়ার পরে তদন্তের সময় আমরা বাকিটা দেখব।’
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের রাজশাহীর এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ কোনো যাচাই–বাছাই করছে না। যাদের নামে ইচ্ছে হচ্ছে মামলা করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগের ঘটনা সামনে এনে গায়েবি মামলাও করা হচ্ছে। আবার আওয়ামী লীগের বিত্তশালী নেতাদের সঙ্গে তৃতীয়পক্ষ যোগাযোগ করছে মামলা থেকে বাঁচানোর কথা বলে। তারা বিএনপি নেতাদের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আসলেই এ টাকা বিএনপির নেতারা নিচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে দুয়েকজন বিত্তশালী আওয়ামী লীগ নেতার নামে এখনও কোন মামলা হয়নি।’
একাধিক মামলার আসামি হয়ে যাওয়ার ভয়ে ওই নেতা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহেদী বলেন, ‘কোনো অপরাধের বিচার পাওয়াটাই মামলার মূল্য উদ্দেশ্য। এখানে কাউকে হয়রানি করার জন্য গণআসামি করা ঠিক হবে না। তবে মামলা করাই তো শেষ কথা নয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করবেন। তখন যেন মামলাগুলোর সতর্কতার সাথে তদন্ত করা হয়। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধেই যেন অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।’
গণআসামি করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমার নামে এখন ৬৭টা মামলা, সবগুলো মামলাই গায়েবি। আমাদের অন্য নেতাকর্মীদের নামেও অসংখ্য গায়েবি মামলা আছে। তারপরেও আমরা গায়েবি মামলা সমর্থন করি না। কেউ হয়তো অতিউৎসাহী হয়ে এ ধরনের মামলা করছেন। এর দায় মামলার বাদীকেই নিতে হবে। আমরা বলছি, কাউকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে যেন মামলার আসামি করা না হয়।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন যে মামলা হচ্ছে সেগুলো বাদীর ইচ্ছার ওপরেই নির্ভর করছে। বাদী আসামিদের নাম দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী মামলা হচ্ছে। তবে তদন্তের সময় পুলিশ দেখবে আসলেই কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যাদের ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদেরই অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হবে। অন্যদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’

ছাত্র–জনতার অভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় মামলা করছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম না দিতে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগের মামলায় গণ আসামি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ঘটনা নিয়েও মামলা হচ্ছে এখন।
পুলিশ বলছে, মামলায় কাকে আসামি করা হবে না হবে তা বাদীর ওপরেই নির্ভর করছে। মামলা রেকর্ডের আগে যাচাই–বাছাই করার সুযোগ হচ্ছে না। আর আইনজ্ঞরা বলছেন, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ কেউ মামলায় গণআসামি করছেন। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন তা নজর রাখা উচিত। কারণ, মামলার লক্ষ্য হলো– সুবিচার পাওয়া। হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মামলা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট থেকে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা হতে শুরু করেছে। ১৯ আগস্ট প্রথম মামলা হয় নগরের বোয়ালিয়া থানায়। গত ৫ আগস্ট আলী রায়হান নামের এক শিবির নেতার নিহতের ঘটনায় করা এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। মামলায় আসামি হিসেবে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি আরও ১০০০ থেকে ১২০০ জন।
রাজশাহীতে ৫ আগস্টের সংঘর্ষে আলী রায়হানসহ মোট দুজনের মৃত্যু হয়। অপর শিক্ষার্থী সাকিব আনজুমকে হত্যার অভিযোগে ২৩ আগস্ট রাতে বোয়ালিয়া থানায় আরও একটি মামলা হয়। এতেও আসামি করা হয় লিটনসহ ৪২ নেতা–কর্মীকে। অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা আরও প্রায় ৩০০ জন।
১৯ আগস্টের পর থেকে রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় প্রতিদিনই দুয়েকটি করে মামলা হচ্ছে। সব মামলাতেই গণহারে আসামি করা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় অজ্ঞাত আসামিও করা হয়েছে ১০০ থেকে ২০০ জনকে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট ডাকাতির অভিযোগেও এখন মামলা হতে শুরু করেছে। নগরের বোয়ালিয়া, কর্ণহার ও গোদাগাড়ী থানায় এমন মামলা হয়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, রাজশাহী মহানগরের বিত্তশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের মামলার আসামি না করতে মোটা অংকের টাকারও লেনদেন হচ্ছে। ফলে রাজশাহীর প্রভাবশালী সাবেক একাধিক এমপি ও কোন কোন প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে এখনও মামলা হয়নি। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে রাজশাহী সদর আসন থেকে টানা তিনবার এমপি হওয়া বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার নামেও এখনও পর্যন্ত মামলা হয়নি। এনিয়েও সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা–সমালোচনা চলছে।
বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মামলার বাদী কে হবেন তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলীয় নেতাদের কাছে সমালোচিত হওয়া ব্যক্তিরাও আগবাড়িয়ে মামলা করতে যাচ্ছেন। দলের সুনজরে আসতে রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহারও ২০১৮ সালের ঘটনায় সম্প্রতি মামলা করেছেন। সামসুন নাহার রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০২৩ সালে তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে মামলার এজাহারে সামসুন নাহার এখনও দলীয় পরিচয় উল্লেখ করেছেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে রাজশাহী সদর আসনের বিএনপির প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বোয়ালিয়া থানায় তিনি মামলাটি করেছেন। এ মামলাতেও গণআসামি করা হয়েছে। এছাড়া ওই সময় মিনুর বাড়ি ও নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলার অভিযোগে আরও দুটি মামলা করেছেন তার বাড়ির কেয়ারটেকার।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন রাজশাহী–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী–৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, রাজশাহী–৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাজশাহী–৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
রাজশাহী সদর আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান, রাজশাহী–৩ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ এবং রাজশাহী–৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি।
ওমর ফারুক চৌধুরী ও আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে ভোটডাকাতির অভিযোগ আনা হয়েছে। সাড়ে ৫ বছর আগের ঘটনার এসব মামলায় গণআসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া কারও ওপর অতীতে ছোটখাট কোন রাগ থাকলে তাকেও আসামি করা হচ্ছে।
রাজশাহীর বাঘা থানায় মামলা করতে একটি এজাহার দিয়েছেন কিশোরপুর গ্রামের জাহিদ হাসান নামের এক ব্যক্তি। এই এজাহারে ১৪ নম্বর আসামি হিসেবে বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান ও ১৫ নম্বর আসামি হিসেবে তাঁর ছেলে মো. স্বদেশের নাম লেখা হয়েছে। মামলায় ১৩০ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার তারিখ বলা হয়েছে ২৫ আগস্ট। নুরুজ্জামান দৈনিক ইত্তেফাকের বাঘা উপজেলা প্রতিনিধি। আর তার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
নুরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকাশিত সংবাদকে কেন্দ্র করে তার ওপর কেউ বিরাগভাজন থাকতে পারে। এ জন্য ছেলেসহ তাকেও আসামি করতে এজাহারে নাম লেখা হয়েছে।
সাংবাদিক নুরুজ্জামান অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর এলাকায় ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দেওয়ার মতো কেউ নেই। তারপরও গায়েবি মামলা করতে এরকম এজাহার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কিছু অতিউৎসাহী লোকজন এসব মামলা করছে। আবার যাদের বাদী করা হচ্ছে, তারা নিজেরাও মামলার বিবরণ ও আসামি সম্পর্কে কিছুই জানে না।
গায়েবি অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে সোমবার বিকালে অভিযোগকারী জাহিদ হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। সন্ধ্যার পর তিনি যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, ‘মামলাটা অভিযোগ আকারে আছে। এখনও মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি। তবে মামলা হয়ে যাবে।’
ওসি বলেন, ‘আসামি কে হবেন না হবেন তা বাদীর ওপরেই নির্ভর কছে। মামলা হওয়ার পরে তদন্তের সময় আমরা বাকিটা দেখব।’
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের রাজশাহীর এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ কোনো যাচাই–বাছাই করছে না। যাদের নামে ইচ্ছে হচ্ছে মামলা করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগের ঘটনা সামনে এনে গায়েবি মামলাও করা হচ্ছে। আবার আওয়ামী লীগের বিত্তশালী নেতাদের সঙ্গে তৃতীয়পক্ষ যোগাযোগ করছে মামলা থেকে বাঁচানোর কথা বলে। তারা বিএনপি নেতাদের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আসলেই এ টাকা বিএনপির নেতারা নিচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে দুয়েকজন বিত্তশালী আওয়ামী লীগ নেতার নামে এখনও কোন মামলা হয়নি।’
একাধিক মামলার আসামি হয়ে যাওয়ার ভয়ে ওই নেতা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পারভেজ তৌফিক জাহেদী বলেন, ‘কোনো অপরাধের বিচার পাওয়াটাই মামলার মূল্য উদ্দেশ্য। এখানে কাউকে হয়রানি করার জন্য গণআসামি করা ঠিক হবে না। তবে মামলা করাই তো শেষ কথা নয়। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করবেন। তখন যেন মামলাগুলোর সতর্কতার সাথে তদন্ত করা হয়। প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধেই যেন অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।’
গণআসামি করার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘আমার নামে এখন ৬৭টা মামলা, সবগুলো মামলাই গায়েবি। আমাদের অন্য নেতাকর্মীদের নামেও অসংখ্য গায়েবি মামলা আছে। তারপরেও আমরা গায়েবি মামলা সমর্থন করি না। কেউ হয়তো অতিউৎসাহী হয়ে এ ধরনের মামলা করছেন। এর দায় মামলার বাদীকেই নিতে হবে। আমরা বলছি, কাউকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে যেন মামলার আসামি করা না হয়।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন যে মামলা হচ্ছে সেগুলো বাদীর ইচ্ছার ওপরেই নির্ভর করছে। বাদী আসামিদের নাম দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী মামলা হচ্ছে। তবে তদন্তের সময় পুলিশ দেখবে আসলেই কারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যাদের ব্যাপারে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদেরই অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হবে। অন্যদের অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৩ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৫ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বালুমহাল ইজারায় একটি নির্দিষ্ট সীমানা বা এলাকা নির্ধারণ করা থাকে। নাজিরপুর উপজেলার বালুমহালের বা বালু উত্তোলনের সীমানা ২৪ দশমিক ২১ একর। কিন্তু চিতলমারীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ গ্রামসংলগ্ন মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কাজে যুক্ত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কামাল শেখ ওরফে কামাল মেম্বার। মূল ইজারাদারের কাছ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে এই কাজ নিয়েছেন তিনি। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করছি।’ যাঁর নামে সরকারি ইজারা আনা হয়েছে, তাঁর নাম অবশ্য জানাতে পারেননি কামাল মেম্বার। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তির নাম তাঁর মনে নেই।
চিতলমারীর শৈলদাহ এলাকার মো. ফরিদ শেখ, বিপুল বৈদ্য, আল-আমিন খান ও তুহিন শেখ জানান, কলাতলা ইউনিয়নের মধুমতী নদীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ এলাকায় ৩-৪টি বলগেট ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, গাছপালা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে উপজেলার মানচিত্র। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শ একর জমি ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাটিভাঙ্গা সেতুও এখন ঝুঁকির মুখে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন চিতলমারী উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার মানচিত্র ছোট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে ওরা বালুমহাল ইজারা নিয়েছে। রাতের আঁধারে এসে চিতলমারীর সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করে। আমরা বেশ কয়েকবার অভিযানে গিয়েছি। কিন্তু অভিযানের খবর শুনে ওরা আগে থেকেই চলে যায়। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, ওরা যাতে সীমানায় না আসে সে জন্য কাজ করছি। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন “জিরো টলারেন্স” নীতিতে কাজ করছে।’

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা। সংশ্লিষ্ট হওয়ায় বাগেরহাট, পিরোজপুর ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের দপ্তরেও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
বালুমহাল ইজারায় একটি নির্দিষ্ট সীমানা বা এলাকা নির্ধারণ করা থাকে। নাজিরপুর উপজেলার বালুমহালের বা বালু উত্তোলনের সীমানা ২৪ দশমিক ২১ একর। কিন্তু চিতলমারীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ গ্রামসংলগ্ন মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এই কাজে যুক্ত পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ও বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার শৈলদাহ এলাকার প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন কলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কামাল শেখ ওরফে কামাল মেম্বার। মূল ইজারাদারের কাছ থেকে কয়েকজনকে নিয়ে এই কাজ নিয়েছেন তিনি। তবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করছি।’ যাঁর নামে সরকারি ইজারা আনা হয়েছে, তাঁর নাম অবশ্য জানাতে পারেননি কামাল মেম্বার। তিনি দাবি করেন, ওই ব্যক্তির নাম তাঁর মনে নেই।
চিতলমারীর শৈলদাহ এলাকার মো. ফরিদ শেখ, বিপুল বৈদ্য, আল-আমিন খান ও তুহিন শেখ জানান, কলাতলা ইউনিয়নের মধুমতী নদীর অতুলনগর, কুনিয়া ও শৈলদাহ এলাকায় ৩-৪টি বলগেট ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রলার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ফসলি জমি, গাছপালা ও রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে উপজেলার মানচিত্র। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক শ একর জমি ও বসতবাড়ি। এ ছাড়া প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাটিভাঙ্গা সেতুও এখন ঝুঁকির মুখে।
পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন চিতলমারী উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, এভাবে বালু উত্তোলনে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলার মানচিত্র ছোট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট একাধিক সরকারি দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
চিতলমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘পিরোজপুর থেকে ওরা বালুমহাল ইজারা নিয়েছে। রাতের আঁধারে এসে চিতলমারীর সীমানা থেকে বালু উত্তোলন করে। আমরা বেশ কয়েকবার অভিযানে গিয়েছি। কিন্তু অভিযানের খবর শুনে ওরা আগে থেকেই চলে যায়। পিরোজপুরের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে, ওরা যাতে সীমানায় না আসে সে জন্য কাজ করছি। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন “জিরো টলারেন্স” নীতিতে কাজ করছে।’

ছাত্র-জনতার অভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় মামলা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেশিরভাগই গায়েবি মামলা, কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম না দিতে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক ছ
২৭ আগস্ট ২০২৪
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৫ ঘণ্টা আগেদুমকী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগীসহ কয়েকটি গ্রাম, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালীসহ উত্তর এলাকা, আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আংগারিয়াসহ পশ্চিম এলাকা, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের দুমকী, শ্রীরামপুর, উত্তর দুমকী এলাকায় দুই বছর ধরে শুকনো মৌসুমে হস্তচালিত গভীর নলকূপে পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এসব এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন জানায়, এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষের লোকজন গিয়ে দেখে জানিয়েছেন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গভীর নলকূপে পানি উঠছে না।
এ বিষয়ে কথা হয় শাহজাহান খান নামের এক ভুক্তভোগীর সঙ্গে। শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুকনো মৌসুমে এলাকার খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পানির সংকট দেখা দেয়। অন্যদিকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পীরতলা জামলা ও আংগারিয়া খালটিতে ময়লা-আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানির প্রবাহ ব্যাহত ও খালের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় লোকজন পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এ অবস্থায় শুকনো মৌসুমে টিউবওয়েলের পানির অভাবে অনেকে ব্যবহার অনুপযোগী পানি পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
জামাল হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, শুকনো মৌসুম এলেই কলেজশিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পানির সমস্যায় ভোগেন। এ সময় উপায় না পেয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হয়।
পশ্চিম আংগারিয়ার বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, গভীর নলকূপ বসিয়েও পানির সংকটে ভুগতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুম শুরু হলেই পানি পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব এলাকায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
দুমকী উপজেলায় সরকারিভাবে ১ হাজার ৫৩০টি টিউবওয়েল এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার টিউবওয়েল বসানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া এলাকাবাসী ব্যক্তিগত খরচে নিজ নিজ বাসায় টিউবওয়েল বসিয়ে মোটর যুক্ত করেও পানি তুলতে পারছে না।
পানিসংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নিপা আক্তার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে হস্তচালিত নলকূপের পরিবর্তে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য এলাকাবাসীর স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের আলগীসহ কয়েকটি গ্রাম, লেবুখালী ইউনিয়নের লেবুখালীসহ উত্তর এলাকা, আংগারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম আংগারিয়াসহ পশ্চিম এলাকা, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের দুমকী, শ্রীরামপুর, উত্তর দুমকী এলাকায় দুই বছর ধরে শুকনো মৌসুমে হস্তচালিত গভীর নলকূপে পানির সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এসব এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন জানায়, এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযোগ জানালে কর্তৃপক্ষের লোকজন গিয়ে দেখে জানিয়েছেন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে গভীর নলকূপে পানি উঠছে না।
এ বিষয়ে কথা হয় শাহজাহান খান নামের এক ভুক্তভোগীর সঙ্গে। শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুকনো মৌসুমে এলাকার খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পানির সংকট দেখা দেয়। অন্যদিকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের পীরতলা জামলা ও আংগারিয়া খালটিতে ময়লা-আবর্জনায় ভরে যাওয়ায় পানির প্রবাহ ব্যাহত ও খালের পানি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় লোকজন পানি ব্যবহার করতে পারছে না। এ অবস্থায় শুকনো মৌসুমে টিউবওয়েলের পানির অভাবে অনেকে ব্যবহার অনুপযোগী পানি পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
জামাল হোসেন নামের এক শিক্ষক বলেন, শুকনো মৌসুম এলেই কলেজশিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা পানির সমস্যায় ভোগেন। এ সময় উপায় না পেয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করতে হয়।
পশ্চিম আংগারিয়ার বাসিন্দা রিনা বেগম বলেন, গভীর নলকূপ বসিয়েও পানির সংকটে ভুগতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুম শুরু হলেই পানি পাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব এলাকায় ৮০০ থেকে ১ হাজার ফুট গভীরে টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
দুমকী উপজেলায় সরকারিভাবে ১ হাজার ৫৩০টি টিউবওয়েল এবং বেসরকারিভাবে ১ হাজার টিউবওয়েল বসানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা গেছে। এ ছাড়া এলাকাবাসী ব্যক্তিগত খরচে নিজ নিজ বাসায় টিউবওয়েল বসিয়ে মোটর যুক্ত করেও পানি তুলতে পারছে না।
পানিসংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নিপা আক্তার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে হস্তচালিত নলকূপের পরিবর্তে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর জন্য এলাকাবাসীর স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় মামলা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেশিরভাগই গায়েবি মামলা, কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম না দিতে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক ছ
২৭ আগস্ট ২০২৪
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৩ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৫ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় মাত্র সাত একর জায়গায় জবি ক্যাম্পাস। আটটি ভবনে চলছে ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী প্রায় ২০ হাজার। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দুই দশক পরও নানা সংকটে রয়েছে জবি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ ১২৫ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাসেবার বাজেট বাড়ানোর জন্য আমরা ইউজিসির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি, কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে তারা বৃদ্ধি করছে না। তাই একটি বিশেষ ফান্ডের আবেদন করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে আগামী বছরে এর ব্যবস্থা হবে।
অব্যবস্থাপনায় মেডিকেল সেন্টার
জবির বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর চিকিৎসাসেবার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও লোকবল নেই। প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিলেও সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন চিকিৎসক, তিনজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, একজন নার্স, দুজন অফিস সহকারী ও একজন ক্লিনার। রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যেকোনো অসুখের চিকিৎসায় মেডিকেল সেন্টার থেকে দেওয়া হয় শুধু প্যারাসিটামল। অনেক সময় প্যারাসিটামলও পাওয়া যায় না।
গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, চিকিৎসকেরা রোগীর কথা শুনতে চান না। শুধু নাপা, প্যারাসিটামল বা স্যালাইন দিয়েই দায়িত্ব সারেন।
দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোছা. রাতিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার সমস্যা অনুযায়ী সঠিক ওষুধ দেওয়া হয়নি। শুধু প্যারাসিটামল ও স্যালাইনই মেলে মেডিকেল সেন্টারে।’
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মো. কামরুল হাসান বলেন, রক্তস্বল্পতার ইনজেকশন দেওয়ার সময় নার্সের অদক্ষতার কারণে তা মাংসে প্রবেশ করে। ফলে ক্ষত তৈরি হয়, যা পাঁচ মাসেও সারেনি।
এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘আমরা অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের মেডিকেল সেন্টারে প্রায় ৪০ ধরনের ওষুধ রয়েছে, যা রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী জ্বর, মাথাব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে আসে, তাই সাধারণত প্যারাসিটামল দেওয়া হয়।’
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘চিকিৎসা বাজেট এত কম কেন, এটি আমাদেরও প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে। তবে বর্তমান প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বাজেট বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং কিছুটা বৃদ্ধি এরই মধ্যে হয়েছে। ইউজিসির অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা সবই দিতে পারছে না। তবুও আশা করছি, শিগগির এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং দুটি পদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বাজেট অনুমোদন পাওয়া গেছে। আশা রাখছি আগামী অর্থবছরে এ খাতে ভালো বাজেট বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় মাত্র সাত একর জায়গায় জবি ক্যাম্পাস। আটটি ভবনে চলছে ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী প্রায় ২০ হাজার। কিন্তু প্রতিষ্ঠার দুই দশক পরও নানা সংকটে রয়েছে জবি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মোট বাজেট ধরা হয়েছে ২৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৮৪ শতাংশ। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ ১২৫ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসাসেবার বাজেট বাড়ানোর জন্য আমরা ইউজিসির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেছি, কিন্তু সীমাবদ্ধতার কারণে তারা বৃদ্ধি করছে না। তাই একটি বিশেষ ফান্ডের আবেদন করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে আগামী বছরে এর ব্যবস্থা হবে।
অব্যবস্থাপনায় মেডিকেল সেন্টার
জবির বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর চিকিৎসাসেবার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও লোকবল নেই। প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিলেও সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র দুজন চিকিৎসক, তিনজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, একজন নার্স, দুজন অফিস সহকারী ও একজন ক্লিনার। রয়েছে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যেকোনো অসুখের চিকিৎসায় মেডিকেল সেন্টার থেকে দেওয়া হয় শুধু প্যারাসিটামল। অনেক সময় প্যারাসিটামলও পাওয়া যায় না।
গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন বলেন, চিকিৎসকেরা রোগীর কথা শুনতে চান না। শুধু নাপা, প্যারাসিটামল বা স্যালাইন দিয়েই দায়িত্ব সারেন।
দর্শন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোছা. রাতিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার সমস্যা অনুযায়ী সঠিক ওষুধ দেওয়া হয়নি। শুধু প্যারাসিটামল ও স্যালাইনই মেলে মেডিকেল সেন্টারে।’
ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মো. কামরুল হাসান বলেন, রক্তস্বল্পতার ইনজেকশন দেওয়ার সময় নার্সের অদক্ষতার কারণে তা মাংসে প্রবেশ করে। ফলে ক্ষত তৈরি হয়, যা পাঁচ মাসেও সারেনি।
এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের উপপ্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মিতা শবনম বলেন, ‘আমরা অল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের মেডিকেল সেন্টারে প্রায় ৪০ ধরনের ওষুধ রয়েছে, যা রোগীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী জ্বর, মাথাব্যথা ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে আসে, তাই সাধারণত প্যারাসিটামল দেওয়া হয়।’
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘চিকিৎসা বাজেট এত কম কেন, এটি আমাদেরও প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি চলছে। তবে বর্তমান প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বাজেট বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং কিছুটা বৃদ্ধি এরই মধ্যে হয়েছে। ইউজিসির অনেক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা সবই দিতে পারছে না। তবুও আশা করছি, শিগগির এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ইতিমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং দুটি পদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য বাজেট অনুমোদন পাওয়া গেছে। আশা রাখছি আগামী অর্থবছরে এ খাতে ভালো বাজেট বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

ছাত্র-জনতার অভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় মামলা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেশিরভাগই গায়েবি মামলা, কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম না দিতে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক ছ
২৭ আগস্ট ২০২৪
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৩ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
৪ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের।
৫ ঘণ্টা আগেদৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকে তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গ্রাম আদালতে সরকারি নামমাত্র ফি আদায়ের নিয়ম থাকলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে বিচার চাইতে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদটির হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন নান্টু আলী নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও প্রমাণও দাখিল করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা। অথচ ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের দাবি, এখানে মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা জানান, স্বল্প সময়ে ও কম খরচে বিচার পাওয়ার আশায় তাঁরা গ্রাম আদালতে আসেন। কিন্তু এখানে এসেও তাঁদের অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।
আল্লাহর দরগা বাজার এলাকার এক ঝালমুড়ি ও ফুচকা বিক্রেতা জানান, পারিবারিক কলহ-সংক্রান্ত মামলায় তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। মুন্না নামের অন্য এক ভুক্তভোগী জানান, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতে তাঁকে ৪০০ টাকা দিতে হয়েছে।
অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে হিসাবরক্ষক আবু সুফিয়ান জানান, যোগদানের পর থেকে তিনি এমনভাবে টাকা নিয়ে আসছেন।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও চেয়ারম্যান উভয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের ব্যাপারে অবগত নন বলে দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে এবং সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ছাত্র-জনতার অভুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় মামলা করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেশিরভাগই গায়েবি মামলা, কোনো ঘটনা না ঘটলেও মামলা হচ্ছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম না দিতে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাম্প্রতিক ছ
২৭ আগস্ট ২০২৪
বাগেরহাটের চিতলমারীতে মধুমতী নদী থেকে অবৈধভাবে বিপুল বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট।
৩ ঘণ্টা আগে
পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটির বাসিন্দারা চরম পানিসংকটে ভুগছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে এ সংকট দেখা দিয়েছে। শুকনো মৌসুমে গভীর নলকূপের পানি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
৪ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র উদ্বেগজনক। শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বার্ষিক বাজেট মাত্র ২৫ লাখ টাকা। এ বছর মাথাপিছু চিকিৎসায় বরাদ্দ মাত্র ১২৫ টাকা; যা অপ্রতুল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
৪ ঘণ্টা আগে