Ajker Patrika

৪২ ফুট খুঁড়েও পাওয়া যায়নি শিশু সাজিদকে, উদ্ধার অভিযান চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫৫
রাজশাহীর তানোরে সরু গর্ত দিয়ে মাটির নিচে হারিয়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে ৪২ ফুট নিচেও পাওয়া যায়নি। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর তানোরে সরু গর্ত দিয়ে মাটির নিচে হারিয়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে ৪২ ফুট নিচেও পাওয়া যায়নি। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে ৪২ ফুট খুঁড়েও পাওয়া যায়নি। তবে উদ্ধার অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

গতকাল বুধবার তানোরের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ৮ ফুট ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে পড়ে যায় শিশু সাজিদ। এর পর থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সরু গর্তটির পাশে বড় আকারের গর্ত খনন করা হয় এক্সক্যাভেটর দিয়ে। এটি সরু গর্তের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়। তবু সাজিদকে পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ২০ মিনিটে গর্ত থেকে উঠে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

পুরো প্রক্রিয়ার বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তাঁরা ৪২ ফুট পর্যন্ত খনন করেও শিশুটিকে পাননি। এখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন।

উদ্ধার অভিযান চলবে কি না—জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হ্যাঁ, অভিযান চলবে। যদি মাটির ১০০ ফুট নিচেও থাকে, এভাবেই খনন করতে হবে।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করতেই থাকব। আমাদের ক্যাপাসিটি কত, সেটি বিষয় না।’

উল্লেখ্য, শিশুটি ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গর্তের ভেতর আছে। এলাকাটি উচ্চ খরাপ্রবণ। মাটির অনেক গভীরেও পানি পাওয়া যায় না। গভীর নলকূপ স্থাপনের আগে বিভিন্ন স্থান বোরিং করে পানির অস্তিত্ব দেখা হয়। এই গর্তও সে রকম। এখানে পানি না পাওয়ায় গভীর নলকূপ না বসিয়ে গর্তটি ফেলে রাখা হয়। সাধারণত এ ধরনের গর্তের গভীরতা ১০০ থেকে ১৫০ ফুট পর্যন্ত হয়।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...