নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের চাপের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ। এবারের ঈদে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে। তবে এসব ট্রেনের একটিও পাচ্ছে না রাজশাহী। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের আওতাধীন অন্য দুই বিভাগীয় শহর রংপুর ও খুলনা পায়নি বিশেষ ট্রেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মধ্যে শুধু রেলমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা পঞ্চগড় ও ঢাকা-চিলাহাটি রুটে দুটি বিশেষ ট্রেন চলবে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, রাজশাহী হলো শিক্ষানগরী। এই শহরের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে ঈদের সময় বাড়ি যেতে হয়। এ জন্য অন্তত বিশেষ ট্রেন দেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু ট্রেন দেওয়া হয়েছে শুধু মন্ত্রীর এলাকায়।
সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। শিক্ষানগরী হিসেবে এই ট্রেনের ব্যবস্থা যদি না নেয় তাহলে বৈষম্য করছে। রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতের যাঁরা এখানে চাকরি করেন তাঁদের জন্য অবশ্যই এই বিশেষ ট্রেন দেওয়া উচিত। যদি এই ট্রেন না দেওয়া হয় তাহলে রাজশাহীর মানুষের সঙ্গে বৈষম্য করা হবে।’
জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করে জামাত খান বলেন, ‘এখানকার জনপ্রতিনিধিদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাব। তাঁরা সেইভাবে সংশ্লিষ্টদের চাপ দিতে পারেন না। আরও বেশিসংখ্যক রেল চালু হওয়া দরকার। রেলমন্ত্রীকে একটা বিশেষ ধন্যবাদ দিতে হয় যে উনি ওনার অবহেলিত এলাকার ট্রেন যোগাযোগটা উন্নত করছেন। এটা ভালো, হোক। কিন্তু রাজশাহী একটা বিভাগীয় শহর, এখানে তো অবহেলিত হতে পারে না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘রাজশাহী তো এখন অবহেলিত ও বঞ্চিত নগরী। সমগ্র উত্তরাঞ্চলই বঞ্চনার শিকার। গত ২০ বছরে আমরা যদি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের হিসাব ধরি, মেগা প্রকল্পের হিসাব ধরি, একনেকে গত ২০ বছরে যত প্রকল্প পাস হয়েছে তা যদি জেলাভিত্তিক বণ্টন করা হয়, দেখা যাবে সবচেয়ে অবহেলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাঞ্চলের এই সব জেলা। এটা একটা বঞ্চনার শিকার, অন্যতম কারণ হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে একতা নেই। একতাবদ্ধ হয়ে তাঁরা এলাকার উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করেন না। কাজেই রেলের যে ঘটনা তা এর থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়।’
রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘রাজশাহীতে ঈদ স্পেশাল ট্রেন না থাকার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না আমি। যদি এই রুটে ট্রেন না দিয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই দুঃখজনক। কেননা রাজশাহী অঞ্চলের প্রচুর লোকজন চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। এই সুযোগটা যদি তাঁরা না পান তাহলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ। তারা রাজশাহীতে বসে রাজশাহীবাসীর জন্য ট্রেন না দিয়ে থাকলে চরম অন্যায় ও প্রতারণা করছে।’
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘এবার ঈদে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের বরাদ্দ হয়েছে। একটি পঞ্চগড় ও অন্যটি চিলাহাটি-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে কোনো বিশেষ ট্রেন থাকছে না।’
জিএম আরও বলেন, ‘কোনো এলাকায় ট্রেন দেওয়ার আগে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে এলাকায় বেশি প্রয়োজন সেই এলাকাতেই ট্রেন দেওয়া হয়েছে।’

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের চাপের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিশেষ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ। এবারের ঈদে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে। তবে এসব ট্রেনের একটিও পাচ্ছে না রাজশাহী। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের আওতাধীন অন্য দুই বিভাগীয় শহর রংপুর ও খুলনা পায়নি বিশেষ ট্রেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মধ্যে শুধু রেলমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা পঞ্চগড় ও ঢাকা-চিলাহাটি রুটে দুটি বিশেষ ট্রেন চলবে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজশাহীর বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলছেন, রাজশাহী হলো শিক্ষানগরী। এই শহরের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে ঈদের সময় বাড়ি যেতে হয়। এ জন্য অন্তত বিশেষ ট্রেন দেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু ট্রেন দেওয়া হয়েছে শুধু মন্ত্রীর এলাকায়।
সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। শিক্ষানগরী হিসেবে এই ট্রেনের ব্যবস্থা যদি না নেয় তাহলে বৈষম্য করছে। রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতের যাঁরা এখানে চাকরি করেন তাঁদের জন্য অবশ্যই এই বিশেষ ট্রেন দেওয়া উচিত। যদি এই ট্রেন না দেওয়া হয় তাহলে রাজশাহীর মানুষের সঙ্গে বৈষম্য করা হবে।’
জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনা করে জামাত খান বলেন, ‘এখানকার জনপ্রতিনিধিদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অভাব। তাঁরা সেইভাবে সংশ্লিষ্টদের চাপ দিতে পারেন না। আরও বেশিসংখ্যক রেল চালু হওয়া দরকার। রেলমন্ত্রীকে একটা বিশেষ ধন্যবাদ দিতে হয় যে উনি ওনার অবহেলিত এলাকার ট্রেন যোগাযোগটা উন্নত করছেন। এটা ভালো, হোক। কিন্তু রাজশাহী একটা বিভাগীয় শহর, এখানে তো অবহেলিত হতে পারে না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ‘রাজশাহী তো এখন অবহেলিত ও বঞ্চিত নগরী। সমগ্র উত্তরাঞ্চলই বঞ্চনার শিকার। গত ২০ বছরে আমরা যদি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের হিসাব ধরি, মেগা প্রকল্পের হিসাব ধরি, একনেকে গত ২০ বছরে যত প্রকল্প পাস হয়েছে তা যদি জেলাভিত্তিক বণ্টন করা হয়, দেখা যাবে সবচেয়ে অবহেলিত ও ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাঞ্চলের এই সব জেলা। এটা একটা বঞ্চনার শিকার, অন্যতম কারণ হচ্ছে উত্তরাঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে একতা নেই। একতাবদ্ধ হয়ে তাঁরা এলাকার উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করেন না। কাজেই রেলের যে ঘটনা তা এর থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়।’
রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, ‘রাজশাহীতে ঈদ স্পেশাল ট্রেন না থাকার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত না আমি। যদি এই রুটে ট্রেন না দিয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই দুঃখজনক। কেননা রাজশাহী অঞ্চলের প্রচুর লোকজন চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। এই সুযোগটা যদি তাঁরা না পান তাহলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ। তারা রাজশাহীতে বসে রাজশাহীবাসীর জন্য ট্রেন না দিয়ে থাকলে চরম অন্যায় ও প্রতারণা করছে।’
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘এবার ঈদে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের বরাদ্দ হয়েছে। একটি পঞ্চগড় ও অন্যটি চিলাহাটি-ঢাকা রুটে চলাচল করবে। রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে কোনো বিশেষ ট্রেন থাকছে না।’
জিএম আরও বলেন, ‘কোনো এলাকায় ট্রেন দেওয়ার আগে তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে এলাকায় বেশি প্রয়োজন সেই এলাকাতেই ট্রেন দেওয়া হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়কে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কৃষকেরা দাবি করেছেন, তাঁদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে সড়ক নির্মাণের পর সেই জমি আবার ভরাট করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি তারা।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে লক্ষ্মীপুরে চারটি আসনে বইছে ভোটের আমেজ। সব কটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জামায়াত। বসে নেই অন্য দলের প্রার্থীরাও। সকাল-বিকেল চালাচ্ছেন প্রচারণা।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রীয় শোক এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়িয়ে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উদ্যাপন করেছে নগরবাসী। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০২৬-এর প্রথম প্রহরে নগরজুড়ে বাসাবাড়ির ছাদে ছাদে আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানোর দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় চারপাশে বিকট শব্দ শোনা যায়।
৩ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৪১ টাকা। তাঁর স্ত্রী মারিয়া আক্তারের সম্পদের পরিমাণ ২ লাখ ৬৬ হাজার ৮১৮ টাকা। তাঁদের কোনো স্বর্ণালংকার নেই।
৪ ঘণ্টা আগে