Ajker Patrika

পুঠিয়ায় সভা ডেকে ‘প্রতিমন্ত্রীর পছন্দের’ প্রার্থী ঘোষণা, বিভক্ত আ.লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
পুঠিয়ায় সভা ডেকে ‘প্রতিমন্ত্রীর পছন্দের’ প্রার্থী ঘোষণা, বিভক্ত আ.লীগ

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারার ‘নির্দেশে’ সভা ডেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে পুঠিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সভা ডাকেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম। তবে সভায় ডাক পাননি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ শাহরিয়ার রহিম কনক। 

সভায় প্রতিমন্ত্রী দারার পছন্দের প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ মোল্লার নাম ঘোষণা করা হয়। 

এ ঘটনায় আজ রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জিএম হিরা বাচ্চু। 

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে প্রতিমন্ত্রী দারাকে ফোন কলা করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুস সামাদ মোল্লাও উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন—জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম ফারুক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি এবং ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা। 

সভায় হ্যান্ডমাইকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারার নির্দেশে এই সভা ডাকা হয়েছে। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর সমর্থিত প্রার্থী আব্দুস সামাদ মোল্লাকে সমর্থন দিয়ে তাঁর পক্ষে কাজ করতে। তাই পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আমরা আব্দুস সামাদ মোল্লাকে ঘোষণা করছি। আমরা সবাই তাঁর জন্য ভোট করব। তিনিই আমাদের আওয়ামী লীগের প্রার্থী।’ 

সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সামাদ মোল্লা বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদকের (আব্দুল ওয়াদুদ দারা) নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগ এই সভা ডেকেছে। এই মিটিংয়ে আমাকে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা করায় আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। শেখ হাসিনা সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী আমাদের একমাত্র নেতা আলহাজ আব্দুল ওয়াদুদ দারা মহোদয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের দোয়া প্রার্থী।’ 

এই সভার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এ ঘটনার পরপরই পুঠিয়া ত্রিমোহনী মোড়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জিএম হিরা বাচ্চু প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। তিনি বলেন, ‘আজ থেকে তিন বছর আগে সিজার অপারেশন করার মতো করে শুধু সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এই কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যেখানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন যে কোনো ভাবেই মন্ত্রী–এমপিরা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না, কোনো প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারবেন।’ 

আজ জিএম হিরা বাচ্চু সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুস সামাদ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারার ছবি ব্যানার ও ফেস্টুনে ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে এলাকার ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম সভা ডেকে আব্দুস সামাদকে প্রতিমন্ত্রীর সমর্থিত প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছেন। গত ৫ মে অভিযোগ দেওয়ার পরও আব্দুস সামাদের সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর ছবিযুক্ত ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো আছে। 

এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় আমাকে ফোন করে বলেছেন আমার চয়েসের প্রার্থী সামাদ মোল্লা। তাঁর পক্ষে খাটেন। তখন আমরা মিটিং করে ঘোষণা করেছি। এটা আমাদের ব্যক্তিগত চয়েসের প্রার্থী।’ 

তবে সভায় ডাক না পাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে শুধু সভাপতি–সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমাকে ডাকা হয়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগ কাউকে সমর্থন দেয়নি। এটা প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারার সমর্থন। তিনিই সভাপতিকে দিয়ে মিটিং করিয়ে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন।’ 

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস সামাদকে ফোনকল করা হলে তিনি বারবার কেটে দেন। 

পুঠিয়ার ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর হোসেন নির্ঝর বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ মারা গেছেন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত
সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ (৭০) মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, সুকুমার রঞ্জন ঘোষ দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন। তিনি ধানমন্ডির বাসায় থাকতেন। গত কয়েক দিন ধরে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

সুকুমার রঞ্জন ঘোষ শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ শ্রীনগর উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর পর থেকে অসুস্থ ছিলেন।

উল্লেখ্য, সুকুমার রঞ্জন ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (কুলা প্রতীক) ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনকে (ধানের শীষ) পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। এরপর ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে নিহত দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ১০
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় গণপিটুনিতে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের বাড়িতে শোকের মাতম এখনো থামেনি। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পুরো পরিবার যেন শোকে কাতর।

প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার পক্ষ থেকে দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে আর্থিক সহায়তাসহ নানা আশ্বাস। এ ছাড়া দিপুর পরিবারের জন্য বাড়িতে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আজ সোমবার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান নিহত দিপু দাসের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তাঁর সঙ্গে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিপুর পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা, শীতবস্ত্র, শুকনো খাবার ও একটি সেলাই মেশিন পরিবারটিকে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিপুর স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণাও দেন জেলা প্রশাসক।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সহযোগিতাসহ সব সময় তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছি।’

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা
ময়মনসিংহে নিহত পোশাকশ্রমিক দিপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ ঘটনায় নিহতে দিপুর ছোট ভাই অপু দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

প্রতিবাদ সমাবেশ

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ভালুকায় দিপু দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ময়মনসিংহ নগরী ও তারাকান্দায় মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। আজ সচেতন ময়মনসিংহবাসীর ব্যানারে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন দিপু দাসের ছোট ভাই অপু দাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা আল নুর মো. আয়াস, হৃদয় খান, সাংবাদিক মোজাম্মেল খোকন, কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ।

একই দাবিতে দিপু দাসের নিজ উপজেলা তারাকান্দায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ফ্রন্ট ও দিপু দাসের পরিবার। আজ সকালে তারাকান্দা বাজারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের তারাকান্দা উপজেলা সভাপতি বিজন কুমার ভৌমিক রতন, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শর্মা সরকার কাঞ্চনসহ দিপুর পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা কারখানার মালিকসহ প্রকৃত দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন এবং দিপু দাসের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের, যানজটে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা রহমতপুর এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন। ঘণ্টা তিনেক ধরে চলা অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে যানজট তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।

ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত সপ্তাহ থেকে ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়েছেন তাঁরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) থেকে পৃথক করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান করা, সব কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদ শুধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষণ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বেসরকারি চাকরিতে ন্যূনতম দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে যোগদানের পর ছয় মাসের বনিয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘৯ মাস আগে আট দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তখন শুধু আশ্বাস দিয়েছিল, বাস্তব কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’ আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমাদের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেনে না নেবে, তত দিন ক্যাম্পাস লকডাউন, প্রশাসনিক ভবন বন্ধসহ এই আন্দোলন চলবে।’

এ বিষয়ে রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। তবে এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারভুক্ত নয়। এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিতাসে শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যায় জামাতা গ্রেপ্তার

হোমনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত
মো. জামাল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় শাশুড়িকে খালে চুবিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জামাতা মো. জামাল সিকদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার রাতে ঢাকার সাভারে আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী। আজ সোমবার সকালে তাঁকে তিতাস থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তিতাস থানা-পুলিশ দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।

গত ১০ অক্টোবর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে সুফিয়া খাতুন নামে (৭০) এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের জেরে তাঁর জামাতা জামাল তাঁকে বসতবাড়ির কাছে খালে চুবিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে তিতাস থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়ে ছিলেন জামাল।

জানা গেছে, জামাল সুফিয়া বেগমের ভাই দিলু সিকদারের ছেলে। তাঁর সঙ্গে সুফিয়ার মেয়ে রহিমা বেগমের বিয়ে হয়। শ্বশুরবাড়ির পাশেই জামালের বাড়ি।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, শাশুড়িকে চুবিয়ে হত্যার প্রধান আসামি জামাল উদ্দিন শিকদারকে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় গ্রেপ্তার করে আজ সকালে থানায় আনা হয়। পরে দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত